নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবিনশ্বর ছায়া, রহস্য ঘেরা, অতি সাধারণ সামান্য মানুষ !জন্ম-জন্মান্তর পৃথিবীতেই পরে আছি !!

জে আর সিকদার

আমার অচেনা আমি

জে আর সিকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প থেকে শিক্ষা , শেষ পর্ব "অগল্প"

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৬



“দেরীতে হলেও কিছু সময়ের জন্য শ্বাস আটকিয়ে যাবেই”! “ওনার সাথে দেখা আমার হলো না” “যার সাথে আমার দেখা হওয়ার কথা ছিল”। যতটুকু দেখা হয়েছে এটা কি কোন দেখা হলো” ! কেউ আমার হলো না। না আমি কারো হতে পেরেছি ।
“চক্র আমার ভাগ্যের এই জায়গায় এসে থেমেছে । যেখানে ফুল তো খেলেনা কলি ঝরে যায়। কারো দোষ না আমারই ভুল হয়েছে । সত্যকে আমি ছেড়ে দিয়েছি স্বপ্নকে আমি ভালবেসেছি ।
যেটা কখনই ছিলই না দুনিয়াতে মিটেই যায় । সকাল হয়েছে তো সন্ধা হবেই কারণ শুরুতেই শেষ লুকিয়ে থাকে। জন্মের মধ্যে মৃত্যু লুকিয়ে থাকে। যে দিন তুমি জন্ম নিয়েছ সে দিন থেকেই তুমি মরতেছ । ৭০/৮০ বছর লাগে সেটা পূর্ণ হতে ।
“সেই কথা আলাদা মৃত্যু কিন্তু হঠাৎ করে আসেনা । জন্মের সাথে সাথেই তার পাক ধ্বনি শোনা যায় হয়ত বা আসতে আসতে সময় লেগে যায়। যাকে আমরা জীবন বলছি সেটা মৃত্যুরই একটা প্রাকৃতিক । যখন আমাদের চোখে মৃত্যু দেখা দেয় তখন আমরা খুঁজি সত্য কি ?
প্রথম কদম এই জীবনটা একটা ধোঁকা, মায়া মনে হয় জীবনের মতনই। জীবন আসলে কি ? কিছু হাড়, শ্বাস আসে যায়। এটাকে তোমরা জীবন বল। বাহিরে শ্বাস বের হলে আর যদি ভিতরের শ্বাস না আসে জীবন শেষ । এত স্বস্তা দুই টাকার জীবন । এতো অসহায় এটাকে তোমরা জীবন বলেছো ।
এটা যদি জীবন হয় তা হলে মৃত্যু কি ? এই দেহ এখন আছে একটু পরে হারিয়ে যাবে, মনে হয় যে কখনই ছিলই না। অথচ আমরা এই জীবনকে কত মূল্য দিয়ে রেখেছি । আমরা সমস্ত সময় এই তুচ্ছ জীবনের প্রতি ব্যয় করতেছি ।
এর জন্য সূফী বলেনঃ অনেক হয়েছে আর এই মাটির ঘরে থাকবো না অনেক থেকেছি । জন্ম জন্মান্তর থেকেছি। না বোঝারও একটা সীমা থাকা দরকার । আর থাকবোনা মাটির ঘরে, !!! “মাটিই তো’ এক দিক দিয়ে শ্বাস গেল আরেক দিক দিয়ে কবর খোরা শুরু হলো !! এক দিক দিয়ে শ্বাস গেল আরেক দিক দিয়ে লোকজন দেহ নিয়ে গেল !!!
মাটি মাটিতেই মিশে যাবে । আর এই মাটির জন্য কত গন্ড গোল । কত রাগ, কত অহংকার, এই মাটির জন্যই কত মানুষকে না কষ্ট দিয়েছো । মাটিতে না জানি কত স্বপ্ন দেখেছে । পুরোসম্প্রদায় কে এক সাথে করতে হবে,পদ আর প্রতিষ্টা আর ভুলেই গেছি এটা মাটি ।
“দেরি লাগবেনা পরে যেতে, যত ধন সম্পদ আছে এটা পরেই থাকবে । সূফীদের চোখে এটা ধরা পরে গেছে । তোমাদেরও এই বিষয় চিন্তা করা উচিত, অনেক সময় হয়েছে একটু লজ্জা পাও ।
এর জন্যই সূফী বলেনঃ আর থাকব না মাটির ঘরে এবার পরমআত্নায় মিলবো। এখনই আল্লাহর সাথে মিলবো’ চৈতান্যের ভিতরে বাস করবো । অনেক হয়েছে খেলনার সাথে খেলা । এখন সত্যকে ধরবো আর স্বপ্ন দেখবো না ।
এই দেহে ভিতরে আর থাকবো না,দেহের ভিতরে না থাকার অর্থ কি ? আত্বহত্যা করতে হবে। কি মাথা কেটে ফেলতে হবে। ফাঁসি লাগাতে হবে ।
মাটির ঘরে থাকবো এর অর্থ হলোঃ আর এই মাটি ঘরের সাথে সম্পর্ক রাখবো না। আর আমি বলতে চাই না যে আমি শুধু দেহ। অনেক দিন মাটির সাথে সম্পর্ক রেখেছি আর না। এক দিক দিয়ে মাটি সাথে সম্পর্ক ভাঙ্গবো আর এক দিক দিয়ে অমর এর সাথে সম্পর্ক করবো।
আর নয় কামনা, বাসনা, তৃষ্ণা অনেক হয়েছে। এবার ভেঙ্গে ফেলবো, মাটির ঘর, এবার যে আছেন, যে সব সময় থাকেন তার সাথে সম্পর্ক করবো তার নামই আল্লাহ । আল্লাহ কোন ব্যাক্তি না এই ভূলে কখনো থেকো না । যে তুমি তার দেখা পাবে । আল্লাহ কোন ব্যাক্তি না ঈশ্বর সম্বন্ধে তোমরা ব্যাক্তির ধারনা ছেড়ে দাও।
আল্লাহ কোন ব্যাক্তি না চৈতান্য, সত্য, আনন্দ, এমন গুরুর স্বরণ কর । সমস্ত জগৎ তার ভিতরে । ফুলে ফুলে উনার ছাপ আছে। এ জগত হলো ঈশ্বরের প্রকাশ। এ জগত ঈশ্বরময়। প্রতিটা শৈল এমন ঈশ্বরময়, প্রতিটা গাছ, পাখি, এবং এই সমগ্র অস্তিত্ব, উনার ছাপ আছে। কারণ সর্বত্র তুমি তাঁরই মাঝে বিরাজ করছো, ব্যাক্তির সন্ধান বন্ধ কর তা-না হলে কোন দিন তাকে পাবে না ।
পরম-আত্নাকে ব্যাক্তি হিসাবে দেখার জন্য কোটি কোটি লোক তাকে দেখার থেকে বঞ্চিত হয়ে গেছে । পরম-আত্না ব্যাক্তি না প্রার্থনার স্থীতি । সূফী বলেনঃ অনেক হয়েছে ছোট ঘরে থাকা এবার সারা বিশ্বকে ঘর বানাবো । আর বাঁধা থাকব না সীমার ভিতরে এবার অসীমের সাথে সম্পর্ক গড়বো।
"Translation"__ "Poromata" “Respect"__" Monju
Jr Sikder

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



গল্পটা কোথায়?

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১৬

জে আর সিকদার বলেছেন: লুকিয়ে আছে। এটাও গল্প যেটা পড়েছেন ।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২২

জুন বলেছেন: দর্শন তত্বে ভালোলাগা ।
+

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

জে আর সিকদার বলেছেন: ভাবের প্রকাশ, মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.