নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবিনশ্বর ছায়া, রহস্য ঘেরা, অতি সাধারণ সামান্য মানুষ !জন্ম-জন্মান্তর পৃথিবীতেই পরে আছি !!

জে আর সিকদার

আমার অচেনা আমি

জে আর সিকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি করলে ভালো হবে ? কনফিউজড !

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১২

আমার জন্য সঠিক রাস্তা কোনটা? – বিদেশ, স্বদেশ, ব্যাবসা, চাকরি শ্রম বিক্রি (কামলা)?


অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে – আমি দেশেই কিছু করবো নাকি বিদেশ যাবো (কোনটা করলে যে ভালো হয়) বুঝতে পারছি না। নিজেকে খুশি করবো? নাকি পরিবারকে? আমার মন চায় এটা, কিন্তু সবাই বলে অন্যটা ... ...
আমরা খুব সহজে বলে ফেলি – এটা আমার স্বপ্ন। কিন্তু কেন ? – সেটা জিজ্ঞেস করলে অনেকেই থমকে যাবে। মাথা চুলকোবে। “এই লাইনে টাকা আছে” অই লাইনে ওটা আছে, এ জাতীয় কথা খুব লেইম অথবা সস্তা শোনায়, তাই আমরা এটা স্বীকার করতে লজ্জা পাই। আমাদের মাঝে মহা পণ্ডিতের অভাব নাই।
দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদেরকে বড় করা হয় এভাবে – আমরা নিজেদের জন্য কোন দিকটা ঠিক, এটা নিজেরা কখনো ঠিক করার সুযোগ পাই না। শতকরা আশি ভাগ ছাত্রছাত্রী বাবা-মার চাপে, বড় ভাই-বোনের চাপে, বন্ধুদের চাপে কিংবা গত কয়েক বছরের ট্রেন্ডের চাপে সিদ্ধান্ত নেয়। পুরো মনোযোগ দিতে পারে না, নিজেকে খুঁজেও পায় না বলে হতাশায় ভোগে। অনেকের বাবা-মা জানেনই না যে ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়া পৃথিবীতে আর কোন পেশা আছে।

আমরা বাংলাদেশীরা হুজুগে জাতি। গত কয়েক বছরে প্রচণ্ড পাবলিসিটি করে ডিপ্লোমা বস্তুটিকে আকাশে তুলে দেয়া হয়েছে বলে এখন গণহারে সবাই এটার পেছনে ছোটে – অনেক সময় দুঃখজনকভাবে নিজের স্বপ্ন , ইচ্ছা, কী ছিল এবং কেন ছিল সেটা ভুলে গিয়েই ছোটে, কারণ বাজার বড় কঠিন। ডিপ্লোমা পাশ করলেই চাকরি করা যায়, এখানে ভবিষ্যৎ আছে ইত্যাদি নানান ঝাপসা কথা বলা হয়। বাস্তবতা হল এই – চাকরি করতে গিয়ে শুরুতেই কয়েকজোড়া জুতা ক্ষয় করে নাম মাত্র চাকুরির দেখা মেলে, করতে হয় চাকরগিরি। কিন্তু বছর খানেক পরে অনেকেরই বিবেক বেশ দুর্বল হয়ে যায় সিস্টেমের খপ্পরে পড়ে। আর যারা ধান্দাবাজ, তাদের কথা বলাই বাহুল্য (এ সংখ্যাটি নেহায়েত কম নয়, অনেক পরিবারেই সততা বিষয়টি শেখানো হয় না)। খাবার টেবিলে বাবা-মায়ের, বা সোশ্যাল অকেশনগুলোতে আত্মীয়স্বজনদের বাঁকা কথার ক্রমাগত চাপে পড়েও অনেকে ভাবে, সরকারী চাকরি ছাড়া আসলে গতি নেই, নিশ্চিন্ত পথ অবলম্বন করাই সমীচীন। আরও আছে। “উদ্যোক্তা” শব্দটি খুব Cool শোনায় – কিন্তু এর রিস্ক, প্রয়োজনীয় জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা এসব চিন্তা করলে অনেক আপাত-আগ্রহী যুবকই পিছিয়ে আসবে।
লেখাপড়া করতে যারা বিদেশে যায়, তারাও যে স্বপ্ন তাড়া করতে যায় কথাটি সবক্ষেত্রে সত্যি নয় (“স্বপ্ন” শব্দটি আজকাল বাজারে খুব চলে!)। লেখাপড়া করতে গিয়ে অনেকে বিরক্তির একশেষ হয় – কারণ সে লেখাপড়া করতে বাইরে আসে নি, এসেছিল টাকা কামাতে; শোনা কথা এই ছিল যে বড় ভাইয়া-আপুরা বিদেশে, তারা অনেক টাকা উপার্জন করে, বিদেশি টাকা পায়, কাজেই বিদেশী টাকা জমিয়ে দেশে আনলে অঙ্কটা অনেক বড় দেখায়! আমি কী করবো – এটা খুব কম মানুষ নিশ্চিত হয়ে বলে, বেশীরভাগ খুব আগ্রহ নিয়ে বলে সে মাসে কত টাকা করে পাবে!
তাহলে উপায় কী?
এক্ষেত্রে সম্ভবত একজন ফ্রেশার ছাত্রছাত্রীর “অন্যের দেখাদেখি” স্বভাব বাদ দিয়ে নিজের সঠিক অবস্থা এবং দুর্বলতা যাচাই করা ভালো কৌশল হবে। মজার ব্যাপার হল, আমরা অন্যদের বিষয়ে আলোচনা নিয়ে এত ব্যস্ত থাকি যে নিজের অবস্থা এবং দুর্বলতা যাচাই করতে বসার সুযোগ তেমন পাই না! নিজের দুর্বলতা নিয়ে চিন্তা থেকে আমরা বেশী চিন্তিত থাকি সহপাঠীর সবলতা নিয়ে। আমরা যখনি দেখি কেউ চাকরীর আবেদন করছে আমরাও চাকরীর জন্য পড়া শুরু করছি। যদি দেখি কেউ বিদেশ যাচ্ছে, তখুনি ভাবি – আমারও বিদেশ যাওয়া দরকার। অর্থাৎ, এটা করা দরকার, ওটা করা দরকার। “কেন করা দরকার” –এটার উত্তর যদি নিজের কাছে থাকে, তাহলেই সে নিজের রাস্তাটা খুঁজে পাবে (এটাই মূল কথা !)। দুম করে কোথাও ঢুকে পড়া ফ্রেশার ছাত্রছাত্রীদের বদভ্যাস, এটা করার আগে একটু সময় নিয়ে চিন্তাভাবনা করা দরকার। আজ আমি কোথায় আছি তার চেয়েও বড় কথা হল দশ বছর পরে নিজেকে কোথায় দেখতে চাই। মন কী চায় তার চেয়ে বড় কথা, লজিকলি চিন্তা করলে মন কী চায়? সবকিছুই আমার জন্য – এটা ভাবা যেমন ভুল, কিছুই আমার জন্য নয় – এটা ভাবাও ভুল।
টেনশন হ্যান্ডল করার অ্যাবিলিটি একজন মানুষের বড় ক্ষমতা। অস্বস্তি নিয়েও যে নিজের প্ল্যান ঠিকঠাক ফলো করতে পারে, সে সাধারণত ঠিক জায়গায় পৌঁছায়। আমরা সবকিছু তৈরি অবস্থায় চাই, এবং কিছুদিন মাঝামাঝি ঝুলে থাকতে হলে অস্থির হয়ে পড়ি। পরিপাকতন্ত্রে গোলমাল দেখা দেয়, পেট নেমে যায়, ভাবতে থাকি – অমুক তো চাকরি পেয়ে গেলো। তমুক তো ভিসা পেয়ে গেলো। আমি এখন বাসা থেকে বের হই কী করে, সবাই তো জিজ্ঞেস করে আমি কী করি! কাজেই খুব দ্রুত কিছু একটা (অপটিমাম না, যা তা হোক কিছু একটা) করা বা পাওয়া দরকার। এমন অনেক আছে যে, ছেলেটি বাইরে যাবার জন্য মন দিয়ে পড়ছিল। হঠাৎ মোটামুটি বেতনের একটা চাকরি পেয়ে যাবার কারণে কাঁচা টাকার লোভে থেকে গেলো। ভাবল, আপাতত এক বছর জব করি, পরের বছর আঁটঘাঁট বেঁধে বাইরে যাবার ট্রাই করবো। কিন্তু পরের বছর সেই ট্রাই করার তেল-চর্বি-মাখন কিছুই অবশিষ্ট থাকে না – আধা-পচা প্রয়াস সাধারণত ব্যর্থ হয়, হওয়াই স্বাভাবিক। চোখের দেখায় প্রেম, হুট করে বিয়ে বা একটা ঝগড়া থেকেই ডিভোর্স – এসব ব্যাপার যেমন লাভের চেয়ে ক্ষতিই করে, তেমনি ঝোঁকের মাথায় বড় কোন ক্যারিয়ার ডিসিশনও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জীবন কাউকেই সুখের স্বর্গ তৈরি করে দেয় না। জীবনের কিছু অংশ সবাইকেই ভীষণ দুশ্চিন্তায় ও দোটানায় কাটাতে হয় – এটাই আমাদেরকে শক্ত করে। যে খুব সফল এবং সুবিধাজনক পজিশনে আছে ভাবছেন, খুঁজে দেখলে পাবেন তার দুশ্চিন্তা আরও বেশী। কন্ডিশন শুধু ভিন্ন। বাইশ বছর বয়সের একটা ছেলে অনেক জায়গাতেই পাকেচক্রে পড়ে শিখে যায় একটা আস্ত সংসার কী করে টানতে হয়। আবার অনেক পরিবারেই একটা বাইশ বছরের ছেলে শুধুমাত্র শেখে কী করে ডায়াপার ছাড়া চলতে হয়!
কিছু কঠিন এবং কষ্টকর সিদ্ধান্ত নিতে শেখাই অনেক সময় ব্যবধান গড়ে দেয় –নিজের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত সবসময় কিন্তু আরামদায়ক, সুখকর, বা অন্য সবার জন্য আনন্দময় না-ও হতে পারে! কয়েকটা রাস্তার মধ্য থেকে একটা বেছে নিতে হবে, বাকিগুলো ছাড়তে হবে (একটা বেছে নেয়া অনেক আরাম, কয়েকটা ছেড়ে দেয়া কিন্তু খুব কষ্ট!)। অনেকে স্বদেশ-বিদেশ সমস্ত কিছু হাতে রাখতে গিয়ে সবকিছুতেই আধাখাপচাভাবে এগোয়, এবং শেষ পর্যন্ত মনে করে, কষ্ট তো করলাম কিন্তু ফল পেলাম না কেন? মনে রাখতে হবে, আজকের যুগে কষ্ট করলেই যে ফল পাওয়া যাবে এমন কোন কথা নেই – কষ্ট কোথায়, কীভাবে, কেন, কে করছে এগুলোর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। এবং এটাও মনে রাখতে হবে, এভারেজ মানুষদের জন্য জীবন কঠিন রূপেই আসবে।
সফল হলে অন্যরা অভিনন্দিত করবে, বিফল হলে সেই তারাই আবার বিদ্রূপ করবে – এটাই নিয়ম। এটা মেনে নিতে হবে। জীবনের কাঠিন্য মেনে নেয়া এবং রিয়েলিস্টিকভাবে নিজের গোল সেট করা – এটাই হল কৌশল। আমরা বড় বড় স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি, বড় বড় গোল সেট করতে ভালোবাসি, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে লেগে থাকতে ভালোবাসি না। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে যে মানুষ লেগে থাকতে পারে, স্বভাবতই সে যুক্তিসঙ্গত উঁচু গোল সেট করতে পারে।
মানুষকে সম্ভবত ধৈর্যের চেয়ে বড় কোন শক্তি দেয়া হয় নি। সবাই শুধু শুরু আর শেষটা দেখে, যাত্রাপথ দেখে না বলেই যত ভুল ধারণার সূত্রপাত হয়। সবাই দেখবে আপনি একটা ভালো চাকরি পেয়ে গেছেন অথবা বাইরে যাবার ভিসা পেয়ে গেছেন – কেউ দেখবে না আপনাকে এর জন্য কতটা খাটতে হয়েছে, কত ঘণ্টা লেগে থাকতে হয়েছে কিংবা ক’টা কোম্পানিতে অ্যাপ্লাই করেছিলেন যারা আপনার খোঁজও নেয় নি। অন্যদের দেখাদেখিতে অবশ্য কিছু যায় আসে না – যায় আসে আপনার মানসিকতাতে। কাজেই, সেটিতে মনোযোগ দেয়াই কর্তব্য। ভালো সুযোগ বুঝেশুনে নেয়াটা যেমন বুদ্ধির পরিচয়, খারাপ সুযোগগুলো (অর্থাৎ ট্র্যাপগুলো) ভেবেচিন্তে ছেড়ে দেয়াটাও অনেক বিবেচনা এবং ম্যাচিউরিটির পরিচয়। যে পৌঁছে গেছে সে তো গেছেই। যে পৌঁছে যায় নি কিন্তু দড়ি ধরে ঝুলে আছে, তার হাতের জোর এবং মনের জোরই কিন্তু বেশী।

সবাই নিজের জন্য সঠিক দিকটা খুঁজে পাক। শুভকামনা।
A realistic plan is always better than a fancy dream.
JR Sikder

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: দেশে হায়ার গ্র্যচুয়েশনের সংখ্যা দিন দিন বাড়তেছে সবারই একই প্রশ্ন

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

জে আর সিকদার বলেছেন: সমাধান খুজতে হবে আমাদেরকেই ?

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: :(





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

জে আর সিকদার বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২১

নতুন বলেছেন: নিজের ব্যবসা করতে পারলে সবচেয়ে ভালো... না পারলে কামলা। কি আর করা।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

জে আর সিকদার বলেছেন: যা করার তাই নিয়েই ভাবতে হবে।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

আখেনাটেন বলেছেন: মানুষকে সম্ভবত ধৈর্যের চেয়ে বড় কোন শক্তি দেয়া হয় নি। সবাই শুধু শুরু আর শেষটা দেখে, যাত্রাপথ দেখে না বলেই যত ভুল ধারণার সূত্রপাত হয়। -- নিঠুর বাস্তব কথা।

চমৎকার কিছু কথা লিখেছেন। পড়ে ভালো লাগল। আসলে আমাদের মাঝে একটি তাড়াহুড়ার ভাব চলে আসে গ্রাজুয়েশনের পর। কারণ এটি সারতেই জীবনের বেশ কিছু মূল্যবান সময় পার হয়ে যায়। ফলে বের হয়ে নানামূখী চিন্তাভাবনা ভর করে। এতেই ব্রেইন ডিসফাংশনাল হয়ে পড়ে। উদ্ভট চিন্তা-চেতনা বাড়তে থাকে।

আর দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সঠিকভাবে না হলে এইগুলো বাড়তেই থাকবে। কারণ হতাশা থেকেই এইসবের উদ্ভব।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

জে আর সিকদার বলেছেন: এসবের পেছনে আমাদের পেছনের মানুষগুলোও দায়ী । জীবন যেন বন্ধী ।

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: দেশে একটা ধারনা প্রচলিত আছে যেটা হচ্ছে বিদেশে গেলে সব মুশকিল আসান। আসলে ব্যপারটা তত সোজা নয়। বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক ভিসায় মুলত শ্রমিকদের নেয়া হয়। শিক্ষিত শ্রেনীর মধ্যে যারা মেধাবী, তারা বাইরে উচ্চতর ডিগ্রী করতে যায়। স্কলারশীপ না পেলে বিদেশে পড়াশোনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে বিদেশী ডিগ্রী থাকলে সেই দেশে চাকরি পাওয়া যায়। বিদেশে যেসব প্রবাসী বাংলাদেশী ভাল অবস্থানে আছে তারা এই প্রক্রিয়াতেই বিদেশে সেটেল করেছে। বিদেশি ডিগ্রী না থাকলে বিদেশে সেটল করার এক প্রকার অসম্ভব। মাঝ বয়সে ইমিগ্রেশন নিয়ে যারা বিদেশে যাচ্ছে, তারা নানা প্রকার ওডজব করে বিদেশে কোন প্রকারে টিকে আছে, কিন্তু সেই জীবন যাপন অত্যন্ত কষ্টকর।
তাই বিদেশে পারি দেবার উপযুক্ত সময় হচ্ছে গ্রাজুয়েশন শেষ করার সাথে সাথে বাইরে চলে যাওয়া। স্কলারশীপ এরেঞ্জ করে হায়ার স্টাডিজ অথবা মোটা অংকের টাকা খরচ করে হায়ার স্টাডিজ এর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া।একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন যে পার্ট টাইম চাকুরি করে যারা পড়তে যাওয়ার চিন্তা করেন তাদের এটা জানা প্রয়োজন যে পার্ট টাইমের টাকায় বড়জোড় আপনার থাকা খাওয়ার খরচ উঠতে পারে, কোন অবস্থাতেই পড়াশনার বিশাল খরচ উঠা সম্ভব নয়।

আমাদের দেশে বেকার সমস্যা দিনে দিন প্রকট হচ্ছে। হাজার হাজার বেসরকারী ইউনিভারসসিটি খুলে দেদারসে ডিগ্রী দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই পরিমান চাকুরি দেশে নাই। এই কারনে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। দিনে দিনে সমস্যাটা ভয়াবহ আকার ধারন করছে। কি যে আসলে করা উচিৎ সেই সাজেশন দেয়াটা আসলেই বড় কঠিন।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

জে আর সিকদার বলেছেন: জীবন যেখানে কঠিন, সেখানে সবই কঠিন।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: আমিতো আছি বসে নিষ্কর্মার মতন!
কি হবে এভাবে চলে...?

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

জে আর সিকদার বলেছেন: চালাতে হবে ।

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯

আনুতা বলেছেন: সন্তানকে নি্যে বড় স্বপ্ন সব বাবা মাই দেখে, ও বাবা মাই বুঝতে পারে তার সন্তানের অ্যাবিলিটি কতটুকু , কোন বিষয়ের প্রতি তার আগ্রহ কাজেই বাবা মা্যের উচিত সেই অনুযায়ী একটা গোল নির্ধারন করে তাকে সহযোগীতা করা ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

জে আর সিকদার বলেছেন: বাবা-মা সন্তানকে কতোটুকু বোঝে, এটাই ব্যাপার। ১০% বুঝে মনে করে ১০০% বুঝি, এখানেই সমস্যা। সন্তানকে নিয়ে বাবা মা যেমন স্বপ্ন দেখে, সন্তান ও বাবা মা কে নিয়ে বড় সপ্ন দেখে।

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যতই প্ল্যান করে এগুতে চান না কেন ঝামেলা পাকবেই। খুব কম ব্যক্তি প্ল্যান অনুযায়ী তৃপ্তি নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছে। আর যে পরিবারে পিতার মৃত্যু হয় বা পিতা অবসরে চলে যায় কিংবা ফিক্সড ইনকামের ব্যবস্থা কম সে পরিবারের ছেলেদের অনেক কিছু বিসর্জন দিয়ে জীবন যুদ্ধে নামতে হয়। বেশীর ভাগকেই ফান্দে পইড়া লাইন পছন্দ করতে হয়েছে। বিষয়ভিত্তিক উচ্চ শিক্ষিতদের কয়জন নিজেদের সেক্টরে কাজ করতে পারে? শেষমেষ কারো মামা, চাচা ধরে দেশ না হয় বিদেশ পাড়ি। সামান্য অংশ বিসিএস দিয়ে অপছন্দের চাকুরি দিয়ে জীবন শেষ করে। এভাবেই চলছে...

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

জে আর সিকদার বলেছেন: এভাবে তো চলছেই, এভাবে আর চলবে কতো কাল ?
সব শেষে জীবন মানে সময় কাটলেই হলো ।

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

সুমন কর বলেছেন: ৫ নং মন্তব্যতেই উনি বাস্তবতা তুলে ধরেছেন, আমাদের দেশে বেকার সমস্যা দিনে দিন প্রকট হচ্ছে। হাজার হাজার বেসরকারী ইউনিভারসসিটি খুলে দেদারসে ডিগ্রী দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই পরিমান চাকুরি দেশে নাই। এই কারনে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। দিনে দিনে সমস্যাটা ভয়াবহ আকার ধারন করছে। কি যে আসলে করা উচিৎ সেই সাজেশন দেয়াটা আসলেই বড় কঠিন।

ভালো লিখেছেন।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

জে আর সিকদার বলেছেন: জিবন খুব কঠিন হয়ে গেছে কি আর করা যাবে।

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

কালীদাস বলেছেন:

ক্লুলেস ইয়াং জেনারেশন,
প্রচন্ড অলস অথচ ব্যাপক সাফল্য প্রত্যাশী বিনা পরিশ্রমে বা শর্টকাটের ধান্দাপ্রত্যাশী,
অতি স্বদেশী অনুকরণপ্রিয়,
এবং জাতিগতভাবে হুজুগে,

এই চারটা ক্লাসের লোকজনই এরকম দেশ না বিদেশ, চাকরী না পড়াশোনা (পড়াশোনা করলে কিসে).... এই লুপে ঘুরতে থাকে। বেশিরভাগই দালাল ধরে বিদেশে যেয়ে কিছুদিন কামলা খেটে পুরান ইলিগাল বাংলাদেশিদের অনুকরণে ইলিগাল ইমিগ্রান্ট হয় বিশ/ত্রিশ বছরে লিগাল হওয়ার আশায়। ঐখানে কামলা খাটতে বাধ্য হয়, দেশে একগ্লাস পানি খেতেও তিনজনকে ডাকে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

জে আর সিকদার বলেছেন: ঠিক বলছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.