নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছাইয়ের নেই আগুনের ভয়

জুলিয়ান সিদ্দিকী

জগতের সব কাজই আমি পারি না। অনেক কাজে অলস হলেও লিখতে কখনও ক্লান্তি বোধ করি না। এতে করে আমার সময়গুলো ভালো কাটে।

জুলিয়ান সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারা সত্যিই তৃতীয় লিঙ্গের নাকি স্ত্রী-সন্তান-ওয়ালা পুরুষরাই হিজড়ার বেশে?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯



(ছবি- গুগুল)
একটা সময় হিজড়াদের কোনো পরিচয় ছিল না। ছিল না নাগরিকত্বের পরিচয়। যে কারণে তাদের ছিল না ভোটাধিকারও। ফলে তারা নানা উপায়ে জীবীকার সন্ধান করতো। বিশেষ করে বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচ-গান করা ছিল তাদের আয়ের একটি অবলম্বন। আরেকটি অবলম্বন ছিল হাটে-বাজারে বিভিন্ন দোকানীর কাছে হাত পেতে কিছু অর্থ আদায়। তা ছাড়া কোথাও কোনো শিশু জন্ম নিলেও তারা দল বেঁধে হাজির হতো টাকার জন্য। কিন্তু এর বাইরেও এক সময় তারা আবাসিক এলাকাতেও হানা দিতে থাকে। হানা দিতে থাকে বাসে ট্রেনে লঞ্চেও। বর্তমানে অবস্থা দৃষ্টে দেখা যাচ্ছে হিজড়াদের এই চাঁদাবাজি অনেকটা অত্যাচারের পর্যায়ে চলে গেছে। প্রতিদিনই মানুষ নানা ভাবে তাদের হাতে হেনস্থা হচ্ছে।

সরকার বর্তমানে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে তাদের নিবন্ধন করেছেন। তারা পেয়েছে নাগরিক অধিকার সহ ভোটাধিকারও। এখন তাদের এসব ভিক্ষাবৃত্তি বা চাঁদাবাজি থেকে সরানোর পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে। তারা চাকরি, লেখাপড়া করে তাদের জীবন যাপনের মান উন্নত করতে পারে। কিন্তু তাদের মাঝে এ নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখা যায় না। ভারতে তাদের কর্মমুখী করতে সরকারীভাবে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। কিন্তু এভাবে তো চলতে পারে না।

যেহেতু তাদের আয়ের কোনো নির্দিষ্ট পথ নেই, তাই তারা চাঁদাবাজির ওপর নির্ভর করছে। পথে ঘাটে কিছু বেদেনীকেও দেখা যায় হাতে সাপ নিয়ে লোকজনকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে। এসব কিন্তু পুলিশের চোখের সামনেই ঘটছে। কিন্তু এ নিয়ে তারাও কোনো রকম উচ্চবাচ্য করে না। আর মান—সম্মানের ভয়ে হিজড়াদের কেউ ঘাটাতে সাহস পায় না বলে, তারাও যেন দিনকে দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা সত্যিই তৃতীয় লিঙ্গের নাকি স্ত্রী-সন্তান-ওয়ালা পুরুষরাই হিজড়ার বেশে এমন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে সেটাও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তদন্ত করে দেখতে হবে। কেন না, হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ঘরে ঘরে জন্মায় না। প্রতি বছরই শয়ে শয়ে হিজড়া জন্ম নেয় না। কয়েক বছর আগেও তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় হাতে গোনা। কিন্তু বছর দুয়েক ধরে তাদের সংখ্যা যেন হুহু করেই বেড়ে যাচ্ছে। তারা কি এদেশেরই, নাকি কর্ম করবার ভয়ে পাশের দেশ থেকেও চলে আসছে বলা মুশকিল। কারণ ভারতে হিজড়াদের চাঁদাবাজির দিন এখন আর নেই।

ইন্দোনেশিয়াতেও তাদের পুরুষ সুলভ আচরণের জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। ভারতে জোর দেয়া হচ্ছে তারা যাতে কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করে। আমাদের দেশেই বা কেন এমনটা হবে না? একজন তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষিত মানুষ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েও সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন। তেমন মানুষেরাও হিজড়াদের কর্মমুখী করতে বড় উদাহরণ হতে পারেন।

পত্রিকায় সংবাদ এসেছে, যাত্রাবাড়ীতে টাকা না পেয়ে বাচ্চার প্রতিবন্ধী মাকে বেঁধে রেখে বাচ্চাটিকে বালতির পানিতে উপুড় করে ফেলে দিয়ে হিজড়ারা চলে যায়। এটা তো প্রকাশ্যে খুন করা হয়ে গেল। তারা হিজড়া বলে, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বলে কি খুন করেও পার পেয়ে যাবে? তাদের অনাচারের বিচার কি হবে না? কিছুদিন আগে ফেসবুকে একজন লিখেছিলেন, টাকা না দেওয়াতে হিজড়ারা তার ঘরের মেঝেতে পেশাব করে দিয়ে গেছিল।

আরো যে কত সংবাদ পত্রিকার পাতায় আসে না কে বলতে পারে?

এখনো সময় আছে হিজড়াদের কর্মকাণ্ড আইনি নজরদারিতে আনা হোক। তারা যেন বাসা-বাড়িতে, যান-বাহনে চাঁদাবাজি করতে না পারে, তারা যাতে কোনো একটি কর্ম করে সৎভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সেদিকে সরকারের দৃষ্টি দেয়াটা খুবই জরুরি।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

হাঙ্গামা বলেছেন: মানবিকতার গুষ্ঠি ***দা এগুলারে কুত্তা পিডানি দেয়ার সময় আইসা গেছে। আর এগুলার পক্ষ হইয়া নাকি কান্দাকাটি করা
চুশীল মা****দ্গুলারে ও জুতানোর দরকার হইয়া গেছে। মিরপুর মডেল থানার সামনে একদল এই চান্দাবাজি করে আর বুক ফুলাইয়া বলে "আমরা থানার সামনে এগুলা ক্যামনে করি বুঝ না?"
পুলিশগুলা ও হিজড়া হইয়া গেছে মনে হয়। ওরা ও থানায় বইসাই চান্দার ভাগ পায়।
এরা কাম কইরা কোনদিন ও খাইবো না। এগুলা কইরা ফাও কামাইতে পারলে কে কাজকাম করতে চায় বলেন?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ হাঙ্গামা।
তাই তো আমার সন্দেহ যে, ইন্ডিয়ান হিজড়াগুলা এই দেশে ঢুকে পড়ছে নয়তো সহজে টাকা রোজগার করা যায় বলে অনেক পুরুষ এই ধান্দায় সামিল হইয়া গেছে।

সরকার এত কিছু করে, তাদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণ বা লেখাপড়ার কোনো ব্যবস্থা নেয় না। অথচ একদল ওত পাইতা বইসা আছে স্কুল কলেজে চলন্ত সিঁড়ি লাগানোর জন্য।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

শায়মা বলেছেন: সহমর্মিতা, মানবাধিকার অবশ্যই থাকবে তবে সেসবের সুযোগ নিয়ে প্রায়ই তারা চাঁদাবাজি করে এবং তারা এই রকম চাঁদাবাজির সময় পুলিশকে ভয় পায়না। উল্টা পুলিশ নাকি তাদেরকে ভয় পায়!!! এমনই শুনেছি! B:-)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা।
আসলে কাউকেই পুলিশরা ভয় পায় না। যেখানে তাদের স্বার্থ জড়িত, সেখানে তারা মুক ও বধির।
এরা বিনা কষ্ট বিনা শ্রমে ভালো রোজগার করতে পারে বলে এটাই করে।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: হিজড়াগণ সমাজে বোঝা।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ তারেক ফাহিম।

আপনার সঙ্গে ঐকমত্য প্রকাশ করতে পারছি না।
একবার একটা শ্লোগান অনেক প্রচার পেয়েছিল- ভিখারীর হাত হোক কর্মীর হাতিয়ার। ঠিক তেমনই হিজড়াদের পড়া-লেখার ব্যবস্থা করে, নানা রকম প্রশিক্ষণ দিয়ে সমাজের স্রোতে অনায়াসে যুক্ত করা যায়। এর জন্য প্রয়োজন আমাদের সদিচ্ছা।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: একমত।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ শহিদুল ইসলাম মৃধা।

ভালো থাকুন সব সময়।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পংগু করে ফেলেছে জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনা; অভাবে মানুষ অমানুষ হয়ে গেছে! এই ৪ জনের বিচার হবে!

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ঘুরে ফিরে এরাই তো ক্ষমতায় আসে, তো কে কার বিচার করবে? তারা চারজনে মিলে যদি আঁতাত করে তাহলে পাব্লিক কিছুই বুঝতে পারবে না।

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

ভাইরাস-69 বলেছেন: হিজড়াদের সবাই ঘৃণা নয় সবাই তাদের ভাল বাসুন। কারণ ওরাও আমাদের মত মানুষ ।


মূলত ক্রোমোজোমের জটিলতার কারণে যাদের লিঙ্গ জটিলতা দেখা যায়,তাদের পরিচিতি হয় হিজড়া হিসাবে।
হিজড়াদের মা-বাবা, আত্নীয়,পরিজন সবাই আছে তারাপরেও তারা স্বজনহীন। সমাজে হিজড়া নামক শব্দ নিয়ে ওদের বেচেঁ থাকাটা কটাক্ষ শুনতে হয়। হয়তো ওরা জানে এটা কতটা যন্ত্রণার।ওদেরও মেধা,দক্ষতায় ঘটতি নেই কিন্তু কেউ কাজ দেয় না। এমন অবস্থায় ওদের বা কি করার আছে?
বর্তমান সময়ে হিজড়াদের চাঁদাবাজী করতে দেখা যায়,
যদিও এর পিছনে কিছু সিন্ডিকেট মহল দায়ী।




০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: তারা যাতে কাজ পায়, তারা যাতে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে সে জন্য আমরা এমন কোনো উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ করিনি।

৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৬

হাঙ্গামা বলেছেন: এইতো উপ্রে সুশীলের দেখা পাওয়া গেছে।
বালুবাসার গাট্টিবোচকা নিয়া আইসা গ্যাছে। যত্তসব।

৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৭

কালীদাস বলেছেন: একসময়ে আমারও মনে হত এদের মৌলিক অধিকার খর্বিত হচ্ছে। মোটেও না; এদের এমনকি পুলিশও ঘাটাতে সাহস পায় না, এরা এমন সব যন্ত্রণা করে যেটার কোন ভদ্র প্রতিকার করা সম্ভব না। এদের উল্লেখযোগ্য অংশই স্বাভাবিক সমাজ জীবনে মিশতে আগ্রহী না, চাঁদাবাজি করে ভালই চলছে, শিক্ষাদীক্ষার দিকে আগ্রহ নেই বললেই চলে। এবং এটা হযরত মুসা (আঃ) এর জমানা না যে শিক্ষা আর টাকা দিনশেষে অটোমেটিক কারও ঘরে ঢুকে যাবে, যার যারটা তার নিজেরই বন্দবস্ত করতে হবে। ট্রান্সজেন্ডারদের মানবিক অধিকার নিয়ে যারা কাজ করে তারা এব্যাপারে আরও ভাল ইনফো শেয়ার করতে পারবে আমার বক্তব্যের প্রমাণস্বরুপ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ কালীদাস।

স্বাভাবিক জীবনের সঙ্গে যাতে এরা মিশে যেতে পারে তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। সামাজিক অবহেলা, তাচ্ছিল্যের কারণেও এরা ধীরে ধীরে সমাজের মূল থেকে সরে যায়। শুরু থেকেই এদের জন্য আবাসন আর শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারী শিশু সদন আছে। তেমনই সরকারী তৃতীয় লিংগ শিক্ষা ও কর্মসংস্থান কেন্দ্র নির্মাণ করে দিতে পারে।

৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু ইদানিং হিজড়ারা রাস্তায় মানূষকে খুব বেশি বিরক্ত করে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর।
তারা যাতে বিরক্ত করতে না পারে সে জন্য সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে। গুলশান, শেরাটন আর সোনারগাঁ হোটেলের আশপাশ যেমন ভিখারীমুক্ত করেছে তামনই একটা নিয়ম করতে পারে সরকার।

১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০০

সুমন কর বলেছেন: তারা কাজ করবে না, চাঁদাবাজিই ওদের মূখ্য কাজ। সহমত।
+।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর।
কাজ করতে তাদের বাধ্য করা উচিত।

১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৮

ভাইরাস-69 বলেছেন: প্রতিউত্তরে ধন্যবাদ,


আপনার সাথে একমত।ওদের আগে অপরাধারী হওয়ার পিছনে গল্প জানতে হবে। কেউ কাজ না দিলে, তারা কি করবে।
হয় চাঁদা বাজি, আর না হয় ভিক্ষা। উপরে দেখলাম অনেকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছে,কিন্তু কেউ আসল কথা বলেনি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইরাস-69

তারা যেহেতু মেয়ে সাজে থাকতে পছন্দ করে, সে সুবাদে তারা সেলস-গার্ল হিসেবে চাকরি পেতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.