নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কি দোষ,আমি তো মানুষ !!

যুলকারনাইন

পাঠ্যবই ভাল লাগেনা,তবে প্রচুর বই পড়ি নিজের পছন্দমত

যুলকারনাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দোলা এখনো কাঁদছে ...

০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮

দোলা কাঁদছে। মেয়ে মানুষ কত কারণেই কাঁদে,কার কি আসে যায়। কান্না তো মেয়েদের জীবনসঙ্গী। কিন্তু যদি কোন ছোট মেয়ে কাঁদতে থাকে তাহলে কারো না কারো আসে যায়। তার উপর যদি হয় পরিবারে সে সবার ছোট। এর সাথে আরো যোগ করি। সে বাবা হারানো মেয়ে,দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত মায়ের মেয়ে,ঘরে কর্তৃত্বশালী বড় বোনের ছোট বোন,পাঁচ ভাইয়ের ছোট বোন,ভাবীর আদরের একটা মাত্র ননদ। এত সব মিলিয়ে দোলার কান্না সারা ঘর অস্থির করে তোলার জন্য যেকোন দিক দিয়েই যথেষ্ঠ। কিন্তু সারা ঘর যখন আগে থেকেই অস্থির থাকে তখন এইসব দিকগুলো সবই গণনার বাইরে পড়ে যায়। আর তাই আজ দোলা কাঁদছে,দরজা না ভিড়িয়ে দিয়ে। সবার নজরের সামনেই কাঁদছে কিন্তু কেউ নেই যে খোলা মনে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে বলবে, “কি রে পাগলী,কাঁদিস কেন? কি হয়েছে?” সবাইকে ধমকে দিয়ে বলবে, “এই তোরা কে আমার দোলাকে কি বলেছিস? যতক্ষণ আমার দোলা হাসবে না ততক্ষণ কিন্তু কারো নিস্তার নাই”।







বাবা যখন ছিলেন তখন দোলা খুব ছোট। গুটিগুটি পায়ে সারা ঘরে হেঁটে বেড়াতো। সবাই দোলাকে আদরে আদরে রাখতো,অন্তত বাবার ভয়ে কেউ দোলাকে চটাতো না। দোলা সেই স্মৃতিহীন নিষ্পাপ শৈশবে বাবাকে হারিয়েছে। বাবা ভাল না খারাপ ছিলেন সে হিসেব দোলা কষতে পারেনা। হিসেব কষতে পারেনা বড় ভাইকে নিয়েও। বড় ভাই হিসেবে যে অবয়বকে মনে পড়ে দোলার তার ভাল-মন্দ যাচাইয়ের মত স্মৃতিধারনের ক্ষমতা তখন দোলার মস্তিষ্কের হয়ে উঠেনি। কতজন তো কত রকম কথাই বলে এই দুজনের ব্যাপারে। দোলা শুধু একটা ভাল ইমেজই রাখতে চায় মনের কোণে। তাছাড়া মৃত মানুষদের দোষ-ত্রুটির অস্তিত্ব থাকলেও তাকে আলোচনার বাইরে রাখা ভাল-এই বোধটুকু দোলা ইতিমধ্যে পেয়েছে। পায়নি বা পেয়েও হারাতে বসেছে পরিবারের বড়রা। অবশ্য এদের হারানোর খাতায় আরও অনেক বোধের নাম আছে। এই যেমন দোলা কাঁদছে আর বোধ হারানোরা নিজেদের নিয়ে আছে। নিজেদের স্বার্থ,নিজেদের ঝগড়ায়। অথচ ভুলেও যদি একটি মূহুর্তের জন্য এরা দোলার কান্নার কারণ খুঁজতে যায় তাহলে কিন্তু সব অশান্তির সমাধান হয়ে যায়। সবাই যদি সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে দোলার কান্না থামাতে চায় তাহলে ঘুচে যায় এদের মধ্যকার দ্বন্দ্বগুলো।







দোলার বড় বোন স্বামীর সংসার ছেড়ে বাপের সংসারে। তিনি বাকিদের বয়সে বড় এবং পরিবারে মা অসুস্থ,তাই তিনি একপ্রকারে পরিবারের প্রধান। প্রধান কিন্তু ভাবীও,কেননা বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর অসুস্থ মা সহ পুরো পরিবারকে তিনিই সামলে ছিলেন। তখন বুবু ছিলেন না এই সংসারে। দ্বন্দ্ব মূলতঃ এই দুজনের। বুবু’র আর ভাবীর মধ্যকার দ্বন্দ্বে দ্বিধাবিভক্ত পরিবার। বাকি চার ভাইরা নানান পরিস্থিতিতে নানান স্বার্থে নানান কারণে এক এক সময় এক এক জনের পক্ষ নেন। পরিবারের যে কোন কাজে বুবুর একদিকে মত,ভাবীর একদিকে মত। যখন যার মতে সমর্থন বেশি তখন তার মত করে কাজগুলো হয়। যেসব ব্যাপারে সবাই সমানভাবে দ্বিধাবিভক্ত সেসব ব্যাপার অমীমাংসিত,ঝুলন্ত বছরের পর বছর। দোলাকে নিয়ে যখন কথা উঠে তখন সবাই দোলার ভাল’র জন্যই কথা বলে। দোলার ভবিষ্যত নিয়ে ওদের সবাই স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আজ দোলা কাঁদছে,অনেকদিনের অভিমান নিয়ে। সেদিকে কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ঘরে রান্না কখন হবে, পুরো ঘর অগোছালো,নোংরা হয়ে আছে। কারো সেদিকেও খেয়াল নেই। অসুস্থ মা নিজে কিছুই করার ক্ষমতা রাখেন না,বরং সব ব্যাপারেই ওদের উপর নির্ভরশীল। তাই চুপ করে ওদের ছেড়ে দিয়েছেন নিজেদের মেজাজ-মর্জির উপর।







কবে মা সুস্থ হবেন ? কবে দোলার স্বপ্নগুলো সত্যি হয়ে ধরা দিবে ? কারো কি উত্তর জানা আছে ?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

পংবাড়ী বলেছেন: পেঁচানো লেখা, ভালো লাগেনি

০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

যুলকারনাইন বলেছেন: আরো ডিটেইলসে গেলে কি ভাল হত ??

২| ০৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: মোটামোটি ভালো।.



প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ

১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৮

যুলকারনাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.