নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কি দোষ,আমি তো মানুষ !!

যুলকারনাইন

পাঠ্যবই ভাল লাগেনা,তবে প্রচুর বই পড়ি নিজের পছন্দমত

যুলকারনাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে আগুন লাগলে করণীয়

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৫

রাহাত্তারপোল থেকে রিক্সায় করে ফিরছিলাম,সাথে ফেসবুক।
গণি বেকারীর মোড়ে এসে দেখি আমাদের নাস্তা খাওয়ার অন্যতম স্থল "মিসকিন শাহ ঝাল বিতান" এ আগুন লাগছে। গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে। সিলিন্ডারটাকে দোকানের বাইরে আনলেও ভিতরে আগুন দেখে আশেপাশের সবাই মাশাআল্লাহ নিরাপদ দূরত্বে। সবার ভয় যেকোন মূহুর্তে সিলিন্ডার ফাটবে। তাই অধীর আগ্রহে দেখছে।
আগুন দেখলে আমার কি হয় জানি না। দৌড়ে চলে যাই। যথারীতি কখন যে সিলিন্ডারের কাছে চলে গেছি বলতে পারবো না। সবাই সতর্ক করতে শুরু করতেই আমিও পালটা গরম। শেষে কে একজন পাশের পেট্রোল পাম্প থেকে extinguisher আনতেই TICI এর ট্রেনিং ঝেড়ে ফেললাম। অতঃপর আগুন নিয়ন্ত্রণে।

এই সুযোগে তাই সবাইকে একটু জ্ঞান দেই। যারা বাসাবাড়ি বা দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করেন,তারা সবসময় হাতের কাছে চটের বস্তা রাখবেন। আর একটা বালতি বা ড্রামে পানি। যখনই সিলিন্ডার লিক করে আগুন লাগবে,পানি না ছুড়ে চটের বস্তাটাকে ভিজিয়ে (যেন টপটপ করে পানি ঝরে) সিলিন্ডারের মুখ ঢেকে দিবেন। মূহুর্তেই আগুন নিভে যাবে। এরপর না হয় সারা ঘরের আগুন নিভাতে পানি দিন।
মনে রাখবেন,সিলিন্ডারের আগুন পানি বা বালু ব্যবহারে নিভবে না। আর চটের বস্তার এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র আগুন নিভবে কিন্তু গ্যাস লিক হওয়া বন্ধ হবে না। তাই আগুন নেভানোর সাথে সাথেই সিলিন্ডারটাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিবেন। আগুন দেখলেই ভয় পাবেন না। হ্যাঁ,শরীরের ৪০% পুড়ে গেলে মানুষ বাঁচে না। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আগুন নেভাতে পারবেন ততই ভাল। আর গ্যাসের সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে এটি বেশি প্রযোজ্য।

জীবনে অনেক বাড়িতে আগুন নিভাতে ছুটে গেছি। বাড়ির সামনের হিন্দু পাড়া,গ্রামের পশ্চিম পাড়া,দাইয়্যা পাড়া,এমনকি পাশের গ্রাম মোহাম্মদনগরেও।
জীবনের অনেকগুলো কষ্টের স্মৃতির একটি হলো নিজের ঘরের আগুন নেভানোর জন্য কিছুই করতে পারি নাই। মাঝরাতে ঢাকায় বসে ফোনে শুনতে হয়েছিল ঘর পুড়ে যাওয়ার কথা।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১৫

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কাজের পোষ্ট এবং শেষেরটুকু স্পর্শী।
প্রদীপের নীচের অংশ আধার থাকে।
গম লাইগ্গে বদ্দা..........

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

যুলকারনাইন বলেছেন: কষ্ট লাগে যখন সেদিনের কথা মনে পড়ে যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৮

Tas DE Sun বলেছেন: শুভকামনা রইল

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২৫

যুলকারনাইন বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০০

সার্ভেয়ার/আমিন সাব বলেছেন: উপকারি পেষ্ট..................

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

যুলকারনাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
জেনে উপকৃত হলাম। কাজে লাগবে।

ধন্যবাদ আপনাকে। :)

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

যুলকারনাইন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

মেহবুবা বলেছেন: ধন্যবাদ ।অনেকের কাজে লাগবে।
এই কারনে সা'ইনকে ভালবাসি।

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

কথাকাহন বলেছেন: কাজের পোস্ট তো অবশ্যই। তবে শেষটুকু পড়ে সব এলোমেলো হয়ে গেল। আশা করি বাড়িই পুড়েছে আপন স্বজনরা ভালো আছে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৬

যুলকারনাইন বলেছেন: হুম,সবাই ভালো আছে।

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: উপকারী পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৫

যুলকারনাইন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

আব্দুল্যাহ বলেছেন: এভাবে মানবতা ছড়িয়ে গেলেই আমরা সবাই মানুষ হয়ে উঠব। সেদিন রাস্তার কুড়ে ঘরটিও বাচাতে শত মানুষ পাবেন আশা করি।

৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: চরমভাবে গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ।

১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: চমৎকার শিক্ষণীয় পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ রইলো

সতত শুভাশিস ...

১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:১২

বেচারা বলেছেন: সিলিন্ডার নামক জীবন্ত নরক নিয়ে ঘরকন্না করছি ১ বছর। সারাক্ষণ আতঙ্কে ভুগতাম কখন জানি ঠুস হয়। সরকার নাকি আবার এইটারে ভবিষ্যতে ফরজ করার ধান্দায় আছে। এই নরকের নিরাপদ মেকিং এর নিশ্চয়তা কে দিবে? আপনার পোষ্ট উপকার করবে।

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বেশ ভাল পোস্ট । তবে আপনার দুঃখটি শুনে কষ্ট লাগলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.