নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠক।

জুনায়েদ বি রাহমান

মৌসুমি রোদ্দুর মেঘ হলে, আমি বৃষ্টির জলে খুঁজবো তোমাকে; নীল খামে কাব্য করে বর্ষার ঠিকানায় লিখবো প্রেমপত্র।

জুনায়েদ বি রাহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিরোনামহীন স্ট্যাটাস

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

১. এক শীতের রাত্রে ক্লান্তশ্রান্ত একচোর দিঘির একপ্রান্তে গোসল করছিলো। অন্যপ্রান্তে এক ঈমানদার ব্যক্তি তাহজ্জুদের সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে অজু করছিলেন।
ঈমাদর ব্যক্তিকে দেখে চোর মনেমনে ভাবছিলো, 'এই দাড়ি-টুপিওয়ালা লোকটা কি ঠিকমতো চুরি করতে পেরছে, নাকি আমার মতো কোনরকম জান নিয়া পালিয়ে এসেছে(?)
আর ঈমাদার ব্যক্তি চোরকে দেখে ভাবছিলেন, 'লোকটার ঈমান কতো মজবুত। এই শীতের রাতে গোসল করে নামাজ পড়বে।'
হিসেব সিম্পল। যে যেমন সে তার আশেপাশের সবাইকেও সে প্রায় তেমনই ভাবে। আমিও তার ব্যতিক্রম নয়। আর বিপত্তি এখানেই।
তাই ইদানীং সচেতনে নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করছি...

২. গতরাতের আগের রাতে ড. পিনাকী ভট্টাচার্যকে নিয়ে এক ধার্মিক ভাইয়ের স্ট্যাটাস পড়েছিলাম। ভাইমিয়া স্ট্যাটাসে- প্রথমে পিনাকী সাহেবের বিতর্কিত প্রচ্ছদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। মধ্যখানে সমালোচকদের তুলোধোনা করেছেন। এবং শেষে বেশ যুক্তি দেখিয়ে পিনাকী সাহেবকে ধোয়া তুলসীপাতা দাবী করে সমালোচকশ্রেণির দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর অনুরোধ করেছেন।
কৌতূহল মেটাতে পিনাকী সাহেবের প্রোফাইলে টু- মারলাম। হ্যা, প্রচ্ছদ'টি বিতর্কিত। একটি মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য করতে গিয়ে পিনাকী সাহেবও কথাটা স্বীকার করেছেন।
মন্তব্য প্রতিমন্তব্য সব দ্যাখে মনে হলো, তিনি(পিনাকী ভট্টাচার্য) জেনে বুঝেই এটা করেছেন। ক্লোজআপ কোম্পানির ভালোবাসা বান্ধব ক্রিয়েটিভ বিজ্ঞাপন প্রসেস'এর মতো এটাও একটা দুর্দান্ত বিজ্ঞাপন প্রসেস।

৩. 'বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।' - বাক্যটা জীবনের বিভিন্নসময় বিভিন্নভাবে বিভিন্নমুখে বহুবার শুনেছি। তবে প্রথমবার পড়েছি চন্দ্রগ্রামের সাবুল স্যারের 'বসন্তেরকোকিল' নামক উপন্যাসে। সাবুল সাহেব আমার স্যার নন তবুও লিখতে গিয়ে কেন যেনো স্যারই লিখে ফেললাম। সম্ভবত প্রথম দিন উনার সম্পর্কে বলতে গিয়ে সুলতান চাচা 'স্যার' সম্বোধন করেছিলেন। যাহোক, মূল প্রসঙ্গে আসি-
বিশ্বাস। 'বিশ্বাস' জিনিষ'টা সত্যিই অনেক শক্তিশালী। ছোটবেলায় ডান চোখের পাতা নড়লে বিশ্বাস করতাম বিপদ আসন্ন। এবং সত্যি সত্যি বিপদও আসতো। (যেনো চোখের পাতার এই ক্রিয়া অগ্রিম সতর্ক সংকেত।) কিন্তু, বিজ্ঞানের কল্যাণে যেদিন বুজলাম, এসব কুসংস্কার। সেদিন থেকে বিপদের পূর্বের এই সাংকেতিক সতর্কীকরণ আর আমি পেয়েও পাই না।
অনেকদিন পর, গতকাল থেকে খুব করে ডান চোখের পাতাটার নড়ানড়ি টের পাচ্ছি। এবং আনমনে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি। 'আল্লাহকে স্মরণ করায়'-এমন কুসংস্কারে বিশ্বাস করতে ক্ষতি কি?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

ওমেরা বলেছেন: প্রথম গল্পটা আমার আম্মুর কাছে শুনেছিলাম।

যদিও কুসংস্কার বিস্বাস করি না, কিন্ত একবার আমার চোখের পাতা একটু নড়ছিল কয়েকদিন পর আমি সাইকেল থেকে পরে দিয়ে পায়ে ব্যাথা পাই , মনে মনে বলেছিলাম তাইতো আমার চোখের পাতা নড়ছিল !!

কিছুদিন পর আমার চোখের পাতা এত নড়ছিল এত ভয় পেয়েছিলাম এবার মনে হয় গাড়ি এক্সিডেন্ট করব এত ভয় পেয়েছিলাম শুধু আল্লাহকে ডাকতাম কয়েক দিনের ভিতর আল্লাহর রহমতে একটা ভাল খবর পেয়েছিলাম।আলহামদুল্লিলাহ!

ধন্যবাদ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমিও আল্লাহ আল্লাহ করতেছি।

ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: ্মানূষের জীবনে এমন অনেক কিছুই ঘটে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হুম। ধন্যবাদ ভাই।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাধারণ মানুষের ভাবনা সাধারণ, আমাদেরকে লজিক্যালী ভাবতে হবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.