নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠক।

জুনায়েদ বি রাহমান

মৌসুমি রোদ্দুর মেঘ হলে, আমি বৃষ্টির জলে খুঁজবো তোমাকে; নীল খামে কাব্য করে বর্ষার ঠিকানায় লিখবো প্রেমপত্র।

জুনায়েদ বি রাহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের আবাল পুলিশদের ছাবলামি

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:০৫

* ঘটনা-১ (পুলিশের নাটক)

পাশের জনের সাথে ফিসফাস করে ছাতা তুলে দুপা এগিয়ে এসে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের একজন বললেন-
''মানিব্যাগটা কার কাছে? মানিব্যাগটা কার কাছে ভাই? লাইসেন্সের সাথে ম্যানিব্যাগটা ছিলো। মানিব্যাগটা কার কাছে ভাই? এটাও তো আপনাদের ছাত্র, ঠিকাছে না। ওর মানিব্যাগে কয়েকটা টাকা প্লাস মানিব্যাগ। মানিব্যাগ আর লাইসেন্স দিয়া দেন।'' পাশ থেকে আরেকজন তাল মেলালেন।
পুলিশ সদস্য আবারো বললেন, 'এই ভাইয়ের মানিব্যাগ দিয়া দেন ভাই, ভাইয়ের মানিব্যাগ দিয়া দেন।' অতঃপর, অভিযোগকারী কালপ্রিট পুলিশ সদস্য (যে মানিব্যাগ হারিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল) মুখ খুললেন-
'আমার ভোটার আইডি কার্ড... আমার ভোটার আইডি কার্ড আছে। আমি সবি রাখছি। আমার রানার কার্ডটা, ওটা একটা কাগজ, ঢাইকা রাখছি। ওটা.... পারি না। ওটা কে নিছে প্রমাণ করবে। আমার হ্যাভী লাইসেন্স। দুই বৎসরের হ্যাভী লাইসেন্স। এটা অরিজিনাল লাইসেন্স। এর মাঝে কোন ফল্ট নাই.......... পাশ থেকে একজন ভিডিও করছিলেন। তিনি 'কে নিয়েছে বলতে পারবেন?' জিজ্ঞেস করলে অভিযোগকারী পুলিশ মুচকি হাসি দিয়ে বললেন 'না'।

আন্দোলনকারীদের কয়েকজন এসে তাদের চেক করতে বললে তিনি(পুলিশ) আমতাআমতা শুরু করলেন। ততক্ষণে আরো কয়েকজন এসে বললো, আপনার হাতে মানিব্যাগ ছিলোনা। ভিডিও আছে.... ইত্যাদি ইত্যাদি। শুনে কালপ্রিট, মিথ্যুক পুলিশ বুল পালটিয়ে বললেন, আমি কি বলেছি তোম্রা নিয়েছো? সাথে সাথে পাশের ভিডিওম্যান ভাই এগিয়ে গিয়ে বললেন- 'আপনি এই না বললেন, আপনার মানিব্যাগ সহ তিনহাজার টাকা ওরা নিয়েছে।' পুলিশ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে কেটে পড়তে চাইলেন। কিন্তু ত্যক্তবিরক্ত ছাত্ররা তিনাকে ছাড়লো না। ঘুষখোর, চোর, ভোয়া পুলিশসহ পাঁচমিশালি নেতিবাচক নানা কথা শুনানো শুরু করলো।

উপরের ঐ নাটক'টা দ্যাখে কিছু প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে। আচ্ছা এইসব নাটক করার কি কোনো প্রয়োজন ছিলো? ভিডিও, লাইভ এইসব সম্পর্কে কি আমাদের পুলিশ সদস্যদের কোনো ধারণা নেই? না থাকাটাই স্বাভাবিক! খুঁজাখুঁজি করলে হয়তো দেখা যাবে, এদের অনেকেই ০৮-১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে কিংবা ক্ষমতাসীন দলের সাপোর্টারস হওয়ার সুবাদে চাকরী পেয়েছে। তাদের না আছে দেশপ্রেম, না আছে মনুষ্যত্ব। ইনভেস্ট করা টাকা তোলবার নেশাতেই তারা মাতাল।




* ঘটনা-২ (মিরপুর-১০ ও ১৪'তে পুলিশ ও যুবকদের হামলা)


সময় টিভি, প্রথম আলোসহ বেশ কয়েকটি চ্যানেল ও পত্রিকায় নিউজ এসেছে গতকাল বিকেলে পুলিশ ও কয়েকজন যুবক যৌথভাবে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলা চালিয়েছে। কথিত যুবকরা যে ক্ষমতাসীন দলের গর্দভ টাইপ ষণ্ডাগুণ্ডা এটা গাও-গ্রামের আবুলদের কাছেও পরিষ্কার। আমার প্রশ্ন হলো, দিনশেষে গর্দভ-গুন্ডাদের নিয়ে এইসব হামলা টামলার মানে কি? ছাত্রলীগ কি জঙ্গি স্টাইলে অহিংস আন্দোলন পন্ডু করে রাজপথ সরকারের দখলে নেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০২

আবু তালেব শেখ বলেছেন: পুলিশের স্বভাব আদৌ কি বদলাবে না???

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সরকার পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই বদলাবে। কনস্টেবল নিয়োগ পেতে যদি দশ/বার লক্ষ ঘুষ দিতে হয় তাহলে এই কনস্টেবলগুলা কি করবে? ঘুষ না খেয়ে উপায় আছে?
এতো টাকা ইনভেস্ট করে ১০ পনেরো হাজার বেতন পেলে চলবে?

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এরা এমনই

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হুম। এরা সহজে বদলাবে না।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: এবার ফেরো ঘরে। হিংস্র জন্তুরা এসে গেছে পথে। তোমার কোমল শরীর দিতে পারে রক্তাক্ত করে ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সঠিক বলেছেন রাজীব ভাই। পথ ছেড়ে ঘরে ফেরাই ভালো, সরকার, পাব্লিক যেটা বুঝে গেছে। নইলে ক্ষমতাসীনরা পুরানো স্টাইলে দমন করতে গিয়ে বাচ্চা শিশুদের রক্ত ঝরাবে!
আমরা আর রক্ত দেখতে চাই না।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় জুনায়েদভাই

পুলিশের স্বভাব সবদেশে বোধহয় একই।

শুভকামনা নিরন্তর।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবস্থা প্রায় একি।

ধন্যবাদ পদাতিক ভাই। ভালো থাকবেন।

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:০৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

জনগন যেমন, প্রতিনিধি তেমন, ঠিক তেমনি তার প্রশাসন! আপনি বইনের বর খুঁজবেন পুলিশ ক্যাডার আবার গাইল পারবেন খুব! হুলিশ আবাল! এটাই বাংলাদেশের জাতীয় হিপোক্রেসী!


০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: কেডায় খুঁজে পুলিশ?!
আরে ভাই, বিম্পি জামাত ক্ষমতায় থাকাকালে আমার ছোটমামা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তখন এটা-সেটা মিলিয়ে বেশ কয়েকটা মামলা ছিলো উনার উপর। এরি মাঝে হঠাৎ ছোট খালার বিয়ের দিনতারিখ ঠিক হলো। আমরা সহ আত্মীয়স্বজন অনেকেই গেলাম নানার বাড়িতে।
বিয়ের পরেরদিন মাঝরাতে হঠাৎ পুলিশ বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত। নানা বুড়া দুড়া মানুষ। অবশ্যই তিনি ও তিনার ফুল ফ্যামিলি আওয়ামীলীগের সাপোর্টারস। ত পুলিশ সব ঘর তল্লাশি করছিলো। তাদের মুখের গালি শুনে তখন থেকেই এদের দেখলে ঘৃণা হয়। এদের অধিকাংশই খবিশ টাইপ। মুখে ভাষা খারাপ, পাবলিকের সাথে ভালো ব্যবহার করে না। রাজনীতি আর প্রভাবশালীদের হাতে পুতুলের মতো নাচতে নাচতে ওরা বিবেকহীন, অমানুষে পরিণত হয়ে যায়।

শুধু আমি নই দেশের ম্যাক্সিমাম সাধারণ মানুষই পুলিশকে ঘৃণা করে। লোভীদের অবশ্য ফাস্ট চয়েস হতে পারে পুলিশ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.