নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠক।

জুনায়েদ বি রাহমান

মৌসুমি রোদ্দুর মেঘ হলে, আমি বৃষ্টির জলে খুঁজবো তোমাকে; নীল খামে কাব্য করে বর্ষার ঠিকানায় লিখবো প্রেমপত্র।

জুনায়েদ বি রাহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'উন্নতি\'! \'দুর্নীতি\' | আমার অভিব্যক্তি

১৫ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:২২

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনে "বাংলাদেশের গত ডিসেম্বরের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র" শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছে। তারা বলছে বাংলাদেশ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নই।(সত্য।)
প্রথম আলোর অনলাইন পাঠকবৃন্দ এই নিউজের কমেন্ট সেকশনে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সরকার বিরোধী'রা প্রতিবেদন সম্পর্কে পড়ে খুশি হলেও সরকার সমর্থক'রা বিরক্ত। তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর কে! তাদের সুষ্ঠু বা অসুষ্ঠু বলায় আমাদের কি আসে যায়! দেশে যে গনতন্ত্র আছে এনাফ, আমরা উন্নতি চাই... ইত্যাদি। সরকারের অন্ধ সমর্থক বা অন্ধ বিরোধীদের বলবার কিছুই নেই। তাদের কাছে দেশ, জনমানুষ উন্নতি এসবের চাইতে ক্ষমতায় টিকে থাকা বা ক্ষমতায় যাওয়াটা বেশি ইম্পর্টেন্ট। উন্নয়ন, ভালোমন্দ সেসব নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। কিন্তু যারা উন্নয়ন, উন্নতির দোহাই দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতিবাচক মন্তব্য অগ্রাহ্য করে স্বৈরাচার সরকারের ডাকাতিকে সমর্থন করছেন তাদের জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে-
আওয়ামীলীগ যেভাবে দেশ চালাচ্ছে সেভাবে আরো ২০ বছর শাসন করেও কি সামরিক, আর্থিক অর্থাৎ সবদিকেই দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়তে পারবে? কিংবা তাদের(যুক্তরাষ্ট্রের) মন্তব্য, চাওয়া অগ্রাহ্য করার মতো সামর্থ্য কি আমাদের আছে? (সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য ঘাড়ত্যাড়ামি করলে করতেও পারে। প্রশ্ন, সরকার তাদের অগ্রাহ্য করলে এর ফলাফল কি আমাদের জন্য ভালো হবে?)

৭২'রে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বিভিন্নরকম আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পল্লী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন বা পল্লী দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষে তাদের USAID নামক একটি সংস্থার কার্যক্রম সংবাদপত্রে প্রায়ই চোখে পড়ে। ৪-৫ দিন আগেও দেখেছি, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে তাদের সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। এছাড়াও আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর মূলত তাদের জন্যই টিকে আছে। এইসব সর্বপরি বিষয় বিবেচনা করলে, তাদের মতামত অগ্রাহ্য করার সামর্থ্য এখনো আমাদের হয়ে ওঠেনি। আর আমাদের সরকার যেভাবে দেশ চালাচ্ছে সেভাবে চলতে থাকলে ৫০বছরেও সেই সামর্থ্য হবেনা।
উন্নয়নের নামে কারণে অকারণে বাজেট বাড়ালেই দেশ উন্নত হয়ে যায় না। স্রেফ দুর্নীতিবাজ নেতা, আমলা কামলাদের পকেট ভারী হয়। এভাবে নীতিনৈতিকতাহীন আমলা কামলাদের দুর্নীতি আর সরকারের রোডম্যাপ বিহীন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে কয়েকবছর পর, দ্রব্যমূল্য অতিমাত্রায় বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ না খেয়ে মরবে। প্রবাসীরা ত্যাক্ত হয়ে দেশে ফিরবে! (কারণ দেশে দিনদিন যেভাবে দ্রব্যমূল্য ফুরফুর বাড়ছে, শ্রমের মূল্য বাড়ছে প্রবাসে প্রবাসী শ্রমিকদের বেতন এর দশ শতাংশও বাড়ছে না)

লক্ষণীয়ঃ মৌসুমী ফসলের মূল্য কম থাকায় ফসল উৎপাদন কারী সাধারণ কৃষক'রা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। পকেট ভারী হচ্ছে আড়তদার ব্যবসায়ীদের। ফলে ধীরেধীরে চাষবাস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ কৃষক'রা । ফলে দিনদিন চাষীদের সংখ্যা কমছে। বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকারের দায়িত্বশীল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে উদাসীন। সুতরাং উন্নয়ন, উন্নতি বলে ফেনা তুলে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য অগ্রাহ্য করার পূর্বে সরকারের আমলা-কামলা, নেতা মন্ত্রিদের দুর্নীতি বন্ধে আওয়াজ তোলা উচিত। এবং এরিই সাথে কৃষকশ্রেণী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ বেকার জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে যথাযথ প্ল্যান পরিকল্পনা গ্রহণে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করা। না হলে, কয়েকবছর পর এইসব তথাকথিত ইউটিউব, ফেইসবুক, থ্রিজি-ফোরজি আর রড়ের বদলে বাশ মার্কা উন্নয়নের চিপায় পড়ে কুকড়ে মুকড়ে মরতে হবে!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:২৩

বলেছেন: দি ইকোনমিস্ট বলছে, বাংলাদেশ নাকি গণতান্ত্রিক দেশের লিষ্টে নেই তাতে কি আমাদের দেশ তো ভালোই চলছে উন্নয়নের মহাসড়কে --- উন্নয়ন বলতে কি দেশের সার্বিক ব্যবস্থার উন্নয়ন নাকি মুষ্টিমেয় কিছু চাটুকার ও দুর্বৃত্তদের অবস্থার উন্নয়ন তা কি কেউ দেখার আছে!!!


১৫ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: যারা স্রেফ উন্নয়ন ইস্যু করে অপকর্ম সাপোর্ট করে তারা দলান্ধ, চাটুকার অথবা উন্নয়নের ডেফিনিশন ঠিকঠাক বুঝে না।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: সব কিছুর দায় শুধুই রাজনীতিবিদ নামধারী দুবৃত্তদের নয়। দুই পরিবার যে কি টাইপের পরিবারের তা আমাদের কারো অজানা নয়। কিন্ত দেশ ও জাতির সাথে বেইমানি করে চলেছে এই দেশের বিবেকহীন শিক্ষিত শ্রেনী।এদের কারনেই আজ স্বৈরাচার ঘারে চেপে বসেছে এই জাতির।

১৫ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সহমত। এরা চাটুকারিতা করতে গিয়ে দেশ ও জাতির ক্ষতি করছে। এরাই আসল দেশদ্রোহী!

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকা কি বাংলাদেশে এর চেয়ে ভালো মানের নির্বাচন আশা করছিলো?

১৫ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: করলে তো আরো পূর্বে প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা। তারা সব পক্ষের মন রক্ষা করে চলতে চাইছে।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন:
রবীন্দ্রনাথের প্রেম পর্বের গান গুলো অসাধারণ সৃষ্টি - 'আজ তোমারে দেখতে এলেম অনেক দিনের পরে/ ভয় কোরো না, সুখে থাকো, বেশিক্ষণ থাকব নাকো'।

১৫ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হা হা...
ভাই, আমার তো থাকবার ইচ্ছে ছিলো !

৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৫৩

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আওয়ামী দলকানারা তা কক্ষনো বুজিবে না বত্ব...

আগেকার অর্জন দিয়ে এখনো চলতে চায়...

ইনশাআল্লাহ, একদিন অপরাজনীতির অপসারণ হবে। দেশে উন্নয়নের ফুল ফুটবে

১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মানুষ দিনদিন অকৃতজ্ঞ, নীতিনৈতিকতাহীন, হিংস্র হয়ে যাচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা তথা সর্বপরি পরিবেশ মানুষকে এমন হতে বাধ্য করছে৷
এমন অস্থির সময়ে, ২০ বছর, ৪০ বছর আগে কি হলো! কে কি দিলো! কি পেলো! সেসব গৌণ। মূখ্য গতকাল কি পেয়েছে! আজ কি পেলো! কাল কি পাবে!
আওয়ামীলীগ নেতারা সুখে শান্তিতে আছে, অভাব অনটন সমস্যা তাদের দ্বারে কাছেও নেই। তাই অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চাইছেন। সময়, মানুষ, দেশ নিয়ে ভাবলে সেসব নিয়ে পড়ে থাকতেন না।

৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ২:২৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কিছু বলার নেই।

১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.