নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা অামার তৃষ্ণার জল

কয়েস সামী

i m nothing in this huge world...

কয়েস সামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজয়ের গল্প: প্রায়শ্চিত্ত

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৭

তুমি কি বাংলাদেশী?
প্লেনে বসে জানালা দিয়ে মেঘের অপরূপ দৃশ্য দেখছিলাম। পাশের সিটের লোকটার প্রশ্নে সম্বিত ফিরে পেয়ে তাকালাম। ভদ্রলোক থুত্থুুড়ে বুড়ো। তাই যথেষ্ট বিনয়ের সাথে তার কথার উত্তর দিলাম।
হ্যা, আমি বাংলাদেশী।
বাড়ি কোথায়? রশিদপুর চা বাগানে?
বাংলাদেশে এতো জায়গা থাকতে লোকটা রশিদপুরের মতো অজানা একটা চা বাগানের নাম কেন বলল বুঝলাম না।
বললাম, না। আমি ঢাকায় থাকি।
ও ঢাকায়? আই সি। ওকে কোন প্রবলেম নাই। তুমি ঢাকায় থাকলেও আমার কাজ চলবে।
লোকটি বলে কী! চিনি না, জানি না লোকটার কাজ আমাকে দিয়ে হয়ে যাবে! আমিও আগ্রহী হলাম।
তোমাকে একটা যুদ্ধের গল্প বলি। আমি তখন একজন গর্বিত মিলিটারী অফিসার। তাই দেশ মাতাকে শত্রু মুক্ত করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে কুন্ঠা বোধ করলাম না। যে দল নেতৃত্ব করার দায়িত্ব পড়ল আমার হাতে সে দলের প্রায় সবাই অকুতোভয় বীর সেনানী। আমরা একের পর এক জনপদ আগুনে পুড়িয়ে ভস্ম করতে করতে এগুতে থাকলাম। যে ঘটনার কথা তোমাকে বলতে চাই সেটা ঘটেছিল একটা চা বাগানের মধ্যে। বাগানটার নাম রশিদপুর।
বাগানটিতে দু-একটা পাকা বাড়ি ছাড়া সবগুলো বাড়িই মাটির। আমরা বাড়ি বাড়ি ঢুকে যুবক পোলাপান আছে কি না যাচাই করছি। তেমনি একটা ঘরের উঠোনে যাওয়া মাত্রই জীর্ণশীর্ণ এক বৃদ্ধা বের হয়ে আসলেন। বললেন, তিনি একাই ঘরটিতে থাকেন। তবু দলের আরো দুজনকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলাম। আমি এগিয়ে গেলাম রান্নাঘরটির দিকে। বৃদ্ধা আমার পথ আগলে ধরলেন। বললেন, খাবার সব সামনের ঘরেই আছে। এটা ঠিক যে আমার তখন ভীষন ক্ষুধা। তারপরও বৃদ্ধার পথ আগলে ধরার ভঙ্গিতে মনে হল যেন রান্নাঘরের ভেতর কেউ আছে। তাই বুড়িটাকে সরিয়ে সতর্ক পায়ে এগুতে থাকলাম। রান্নাঘরে ঢুকেই দেখি একটা মেয়ে এক কোনায় জড়োসড়ো হয়ে মুখ ঢেকে বসে আছে। আমি মেয়েটির দিকে এগুতে থাকলে বৃদ্ধা আমার পায়ে ধরে চিৎকার করতে লাগলেন। বাপ-মা মরা মেয়েটাকে যেন রেহাই দেই। বৃদ্ধাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ব্যাটালিয়ানের অন্যান্যরাও তখন রান্নাঘরে। তাদের নির্দেশ দিলাম বৃদ্ধাকে বের কের রান্নাঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দিতে। পেটের ক্ষিধা থেকে তখন অন্য ক্ষিধাটা মুখ্য হয়ে উঠেছে। মেয়েটির কাছে গিয়ে তার হাত দুটি মুখ থেকে সরিয়ে দিতেই আমার চোখ দুটো যেন কোথায় হারিয়ে গেল। এই চা বাগানের ছোট্ট একটা ঘরে এমন পরীর মতো দেখতে একটি মেয়ে আছে এটা ভাবাও যায় না। আমি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। দরজায় ক্ষুধার্ত সব জাওয়ানদের তাড়া দেয়া চিল্লাচিল্লিতে বাস্তবে ফিরে এসে মেয়েটার চোখে তাকালাম। মেয়েটার ঘৃণা ভরা চোখ তখন। কিন্তু সেটা টের পাওয়ার মতো মন তো আমার ছিল না। ভয়ে কুঁকড়ে যাওয়া মেয়েটার থরথর কাঁপন টের পাওয়ার মতো ক্ষমতাটাও আমার ছিল না। বুঝোই তো, সৈনিক মানুষ। মাসের পর মাস ঘর বাড়ি থেকে বাইরে। তৃষ্ণায় শরীর-মন পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছিল। এখন আমি ঠিক ঠিক বুঝতে পারি মানুষ হিসেবে কোনটা করা উচিত আর কোনটা অনুচিত। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্র তো আসলে কোন নিয়ম কানুনের ধার ধারে না, তাই না? যা খুশি তাই করা যায় তখন। অস্ত্র হাতে থাকলেই হল। তাই আমিও আমার খুশি মতো মেয়েটির দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে চাইলাম। আমার তখন অবাধ স্বাধীনতা। আমার হাতেই তখন ঐ চা বাগানের ছোট্ট বাড়িটার সর্বময় কর্তৃত্ব। কর্তা যা খুশি তাই করতে পারেন। আমি মেয়েটির দিকে তাকাতে থাকলাম। তাকে জানালাম, তার সৌন্দর্য্যের তুলনা হয় না। তাই তাকে সুবর্ণ একটা সুযোগ দিলাম। হয় সে আমাকে খুশি করে দেবে, নয়তো তাকে ব্যারাকে নিয়ে যাওয়া হবে। দুটার একটা তাকে পছন্দ করতে বললাম। জানি না মেয়েটা তখন আমার কথা শুনার মতো মানসিক অবস্থায় ছিল কি না। তবে আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে। হঠাৎ করে মেয়েটার গায়ে কিভাবে জানি অশুরের শক্তি নেমে আসল। সে আমাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই তার পাশে রাখা ছুরিটা হাতে নিয়ে নিজের বুকের মধ্যে বসিয়ে দিল। সবকিছু কেমন মুহুর্তের মধ্যে ঘটে গেল। আত্মহত্যা যে এতো সহজে কেউ করতে পারে তা আমার জানা ছিল না। এর আগে অনেক লোককে নিজের হাতে শুট করে মেরেছি। অনেক রক্ত দেখেছি। কিন্তু এমন মৃত্যু কখনো দেখিনি। এতো সুন্দর একটা মেয়ে এভাবে হুট করে চরম একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে ভাবতে পারি নি। এমন সুন্দরকে যুদ্ধের ডামাডোলে হাতের কাছে পেয়েও হারাবো ভাবিনি কখনো। আমার ব্যারাকের সৈন্যদলও বিষয়টা মানতে পারছিল না কিছুতেই। লোভাতুর সেই সৈন্যরা, অকুতোভয় বীর সেই সেনানীরা কিছুতেই মানতে পারল না আমার কারনণ এমন মূল্যবান এক রত্ন হারাবে যে কি না যুদ্ধের বাকি দিনগুলোতে তাদের চরম আনন্দের উৎস হতে পারত। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল। আমার অধীনস্তরা আমার হাত পা বেঁধে আমার বিচার করা শুরু করল। বিচারের রায়ে আমাকে গুলি করে আহত করা হল। আহত করে তারা আমাকে অকেজো হিসেবে হ্যাড কোয়ার্টারে পাঠিয়ে দিল। আমার যুদ্ধজীবন এভাবেই শেষ হল।
বুড়ো এতোক্ষণে থামল। বুঝতে পারলেও জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কোন দেশের মানুষ; কোন যুদ্ধের কথা বলছেন।
তিনি জানালেন, তিনি একজন পাাকিস্তানী। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের কথাই বলছিলেন এতোক্ষণ।
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কারো সাথে আমার দেখা হবে- এ কখনো ভাবিনি। হানাদার বাহিনীর একজনের মুখে এমন গল্প শুনার দুর্ভাগ্য আমার হবে- এটাও ভাবিনি। তার চোখের দিকে সরাসরি তাকালাম। তীব্র ঘৃণায় মুখে থু থু চলে আসল।
তিনি বললেন, যুবক, তোমার চোখের ঘৃণা আমি বুঝতে পারছি। আমি বা আমরা পাকিস্তানীরা যে কাজ করেছি তা সত্যিই ঘৃণা করার মতো। এ গল্পটা এর আগে কখনো কাউকে বলিনি। নিজেরই নিজের প্রতি ঘৃণা আসে। তোমাকে পেয়ে গল্পটা বললাম, আমার পরিচয় দিলাম, তোমার কাছে ক্ষমা চাইব বলে। এভাবে এর আগে কখনো কোন বাংলাদেশীকে পাই নি। তাই গল্পটা এতোদিন জমিয়ে রেখেছিলাম। যুদ্ধের সময় আমি যেসব কাজ করেছি তা ক্ষমারও অযোগ্য। তবু আমি ক্ষমা চাইছি তোমার কাছে, তোমার দেশের কাছে। আমি মনে করি, আমার দেশেরও তোমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বেরুচ্ছিল না।
তিনি তার হ্যান্ড-ব্যাগ খুলে একটি ছুরি বের করলেন। বললেন, দেখো এই সেই ছুরি যেটা ছুরি দিয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছিল।
আপনি এটা সাথে নিয়ে ঘুরেন?
হু। সাথে নিয়ে ঘুরি সবসময়। সাথে রাখি পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য। খুব ইচ্ছে করে আমি নিজেও এই ছুরি দিয়েই আত্মহত্যা করব। কিন্তু পারি না। মানুষ তো। খুব ভয় করে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: রক্তের প্রতিটা বিন্দু জেনো বুকে বারি মারছে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

কয়েস সামী বলেছেন: বারি মারছে- বুঝলাম না ভাইয়া। তবু মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৪

সুমন কর বলেছেন: তাই গল্পটা এতোদিন জমিয়ে রেখেছিলাম। যুদ্ধের সময় আমি যেসব কাজ করেছি তা ক্ষমারও অযোগ্য। তবু আমি ক্ষমা চাইছি তোমার কাছে, তোমার দেশের কাছে। আমি মনে করি, আমার দেশেরও তোমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

চমৎকার গল্পে ভাল লাগা।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৬

কয়েস সামী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮

কয়েস সামী বলেছেন: ঠিক। তবে কি জানেন, গল্পটা লেখার পর থেকে বেশ ভাল লাগছে। আর গল্পটাতে একটা ভুল অাছে। ভুলটা জানার পরও রেখে দিয়েছি এ কারনে যে গল্টা ইতোমধ্যে আমার খুব প্রিয় একটা গল্পে পরিণত। তাই একে অার কাটছাট করার ইচ্ছা হচ্ছে না। ভাল থাকুন ভাই।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: বুঝাতে চেয়েছিলাম যে টগ বগ করে ফুটে উঠা প্রতিটা রক্তকনার ধাক্কা বুকে অনুভব করছি।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

কয়েস সামী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিয়ামুল। আগে বুঝতে না পারার জন্য দুঃখিত।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লিখেছেন +

শুভকামনা ।।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়।

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা......... শিহরন জাগানোর মতো ঘটনা।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

কয়েস সামী বলেছেন: অনেক দিন পর! ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৭

মামুন রশিদ বলেছেন: সকালে পড়েছিলাম, কোন মন্তব্য লিখতে পারিনি । এখনো কিছু লিখতে পারছিনা । পরীর মত সুন্দর মেয়েটার আত্মবিসর্জনের সাহস থেকে কিছুটা আঁচ করতে পারি, কতোটা লাঞ্চনা আর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম । ঐ শুওরের বাচ্চারা প্রায়শ্চিত্ত করতে করতে মরে গেলেও তাদের পাপ মুছে যাবেনা ।

দ্বিতীয়বার ভালোলাগা জানানোর সুযোগ নাই ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

কয়েস সামী বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মামুন ভাইকে। মামুন ভাইয়ের ভাললাগা একবার জানানোই যথেষ্ট। কৃতজ্ঞতা জানবেন

৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫১

মহাকাল333 বলেছেন: We will never forgive pakistani army for their past behavior.Accused pakistani army people still proud of their rape, violence and torture let alone to repent of their past behavior. I like Your post,that's a nice story. But the reality is different. Whatever, thanks.

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৭

কয়েস সামী বলেছেন: I know the reality is totally different. Still we love to dream... We want our dream would some day be true.

৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ফাকিস্তানী শুকরের বাচ্চাকে ঈষৎ ইতিবাচক ভূমিকায় রাখার কারণে গল্পের লেখককে হাত খুলে মাইনাস দিতে ইচ্ছে করছে। মাইনাস বাটনটা তুলে নিয়ে সামু আসলেই খারাপ একটা কাজ করেছে। আপনাকে আনফলো করলাম।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪২

কয়েস সামী বলেছেন: ১২ নভেম্বর ২০১২ সালে দৈনিক মানবকণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদের কিয়দংশ‌‌' ১৯৭১-এর গণহত্যা ও নৃশংসতার জন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করতে হবে। কোনো স্বল্প সময়ের সাক্ষাতে এমন বড় বিষয়টি আটকে না রাখার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন দেশের কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তাদের মতে, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে, সঠিক রূপরেখা তৈরি করে, পাকিস্তানের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় তুলে পাকিস্তান সরকারকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশ বলতেই থাকবে কিন্তু বাস্তবে পাকিস্তান ক্ষমা চাইবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি পাকিস্তানকে ’৭১-এর গণহত্যা ও নৃশংসতার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের কাছে প্রাপ্য সম্পদের হিস্যা ও আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ফেরত পাঠানোর কথা বলেন।'
PrimeSangbad24.com ২৪ ডিসেম্বরে প্রকাশ 'পাকিস্তানের পার্লামেন্ট জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসিকে জুডিশিয়াল মার্ডার বলে অবিহিত করে মন্তব্য করায় সেক্টর কমান্ডার ফোরামের নেতা কেএম শফিউল্লাহ বলেছেন, ‘পাকিস্তানিদের ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে পাকিস্তানের সঙ্গে সকল কূচনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি করছি।’
অনলাইন সার্চ করেন। এমন আরো অনেক সংবাদ পাবেন যা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, আমরা সবাই চাই ফাকিস্তানীরা তাদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাক। এখন আমাদের সবার এ মনোবাসনা অনুযায়ী যদি ফাকিস্তানীরা সত্যি সত্যি একদিন ক্ষমা চায় তাইলে কি আপনি তাদের এ ক্ষমা চাওয়ার ঘটনাকে ইতিবাচক হিসেবে মনে করে তা মেনে নিতে পারবেন না? ব্যাপরটা কন্ট্রাডিকশন হয়ে যাবে না তবে? নাকি আপনি চান না তারা ক্ষমা চাক?!
অন্য সবার মতো আমিও চাই ওরা তাদের ঘৃণ্য কাজের জন্য প্রকাশ্যে আমাদের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করুক। এ ঘটনাটি ঘটাবার মতো ক্ষমতা যেহেতু আমার নাই, তাই আমি আমার গল্পের এক চরিত্রের মাধ্যমে ক্ষমা চাইয়েছি। আমার মনে হয় না আমি কোন ঘৃণ্য কাজ করেছি।

উপরের মন্তব্যগুলা পড়ে দেখুন। তারা বোধ করি আপনার থেকে কম বুঝেন তাই আপনার মতো করে কেউই ভাবতে পারেনি।

আপনার মতো বড় বোধবুদ্ধি সম্পন্ন কেউ আমার মতো তুচ্ছাতিতুচ্ছ কাউকে অনুসরন করুক এ আমি চাই না। নগন্য বুদ্ধিমত্তার অধিকারী আমাকে আমার মতো করেই থাকতে দিন।

ও হ্যা, আমি কিন্তু বিনিময়ে আপনাকে আনফলো করছি না। ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.