নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা অামার তৃষ্ণার জল

কয়েস সামী

i m nothing in this huge world...

কয়েস সামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুরা ফাতিহা: আমি যা যা জানলাম

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

প্রচলিত বঙ্গানুবাদ

১.শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

২.যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা

৩. যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু

৪. যিনি বিচার দিনের মালিক

৫.আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

৬.আমাদেরকে সরল পথ দেখাও।

৭. সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে



নামকরণ:



ফাতিহা শব্দের অর্থ প্রারম্ভিকা। যেহেতু এ সুরাটি দিয়ে কোরান শুরু হয়েছে তাই এর নামকরণ করা হয়েছে ফাতিহা। এর অবশ্য আরো অনেক নাম রয়েছে। যেমন: উম্মুল কোরান (কোরানের মাতা), সাবআ’ মাসানী (সবচেয়ে বেশিবার পুনরাবৃত্তি হওয়া সাত আয়াত), আল হামদ্( আল্লাহর প্রশংসা) আস-সালাহ(প্রার্থণা), আস-শিফা।



মক্কী ? না, মাদানী?



এ সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ নাকি মদীনায় এ নিয়ে মতভেদ আছে। কারো কারো মতে এটা মক্কী আবার কেউ বা মতামত দিয়েছেন এটা মাদানী সুরা। আবার কেউ কেউ বলে থাকেন এ সুরাটি দু’বার নাযিল হয়েছে। একবার মক্কায়, দ্বিতীয়বার মদীনায়। তবে মক্কায় নাযিল হবার ঘটনাটাই বহুলভাবে স্বীকৃত। কেননা মক্কায় নাযিল হওয়া সুরাহ আল-হিজর এর ৮৭ নম্বর আয়াতে বলা আছে, “আমি আপনাকে সাতটি বারবার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরান দিয়ছি।” এই সাতটি বারবার পঠিতব্য আয়াত কিন্তু সুরাহ্ ফাতিহার সাতটি আয়াত। তাই ধওে নেয়া যায় যে সুরাহ ফাতিহা সুরাহ আল হিজরের আগেই (তাই অবশ্যই মক্কায়) নাযিল হয়েছে।



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম



আলোচ্য আয়াতটি সুরাহ ফাতিহার প্রথম আয়াত কি না এ নিয়েও পন্ডিতদের মধ্যে মতভেদ আছে। হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রেঃ), হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ), হযরত আলী (রাঃ) প্রমুখেরা এটাই বলেন যে বিসমিল্লাহ সুরা-ই-বারাআত ছাড়া প্রত্যেক সুরারই একটা পৃথক আয়াত। অন্যদিকে ইমাম মালিক (রঃ), ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ও তাদের সহচরেরা বলেন যে এটি কোন সুরার আয়াত নয়। দাউদ (রঃ) বলেন যে এটা প্রত্যেক সুরার প্রথমে একটা পৃথক আয়াত-কোন সুরার অন্তর্ভুক্ত কোন আয়াত নয়। কিন্তু ইমাম শাফিঈ (রঃ) এটিকে সুরাহ ফাতিহার প্রথম আয়াত হিসেবে মতামত দিয়েছেন এবং বলেছেন এটি অন্য কোন সুরার অন্তর্ভুক্ত নয়। ইবনে কাসিরের তাফসীরে দেখা যায় এই আয়াতটিকে আলাদা রেখে সুরা ফাতিহার তাফসীর করা হয়েছে। আবার তাফসীর ফি যিলালিল কোরআনে মতামত দেয়া হয়েছে যে বিসমিল্লাহ অবশ্যই সুরা ফাতিহার অন্তর্ভুক্ত। বলা হয়েছে, “সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য হচ্ছে এটা সুরা ফাতিহার অংশ। এটা নিয়েই সুরা ফাতিহার আয়াত সংখ্যা ৭ এ দাঁড়ায়। কেননা কোরানে আছে ,আমি আপনাকে সাতটি বারবার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরান দিয়ছি। এ দিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সুরা ফাতিহাকে নির্দেশ করা হয়েছে।” বিসমিল্লাহ ছেড়ে দিলে আয়াত সংখ্যা ৬ হয়ে যায়। সেজন্যেই বোধ করি যারা বিসমিল্লাহকে সুরা ফাতিহার অন্তর্ভুক্ত মনে করেন না তারা ‘ গা’ইরিল মাগ’দু-বি’ দিয়ে সপ্তম আয়াতটি শুরু করেন। অন্যদের মতে কিন্তু সপ্তম আয়াতটি শুরু হবে ‘ সিরা-তা ল্লাযি-না’ দিয়ে।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম নামাযে উচ্চস্বরে পড়া হবে না নিম্ন স্বরে পড়া হবে এটা নিয়েও রয়েছে মতভেদ। যারা একে সুরা ফাতিহার অংশ মনে করেন না তারা একে নিম্নস্বরে পড়ার পক্ষপাতি। যারা একে সুরা ফাতিহার অংশ মনে করেন তাদের মধ্যে ইমাম শাফিঈ(রঃ) এর মাযহাব এই যে ফাতিহাসহ প্রত্যেক সুরার পূর্বে একে উচ্চস্বরে পড়তে হবে। সাহাবীদের মধ্যে একে উচ্চস্বরে পড়ার পক্ষপাতি হলেন, হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ), হযরত ইবনে উমার (রাঃ), হযুরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) প্রমুখ। বেশ কয়েকটি হাদিসগ্রন্থে আছে, হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) নামায পড়লেন এবং কিরাআতে উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহ পড়লেন এবং নামায শেষে বললেন,“ তোমাদের সবার চাইতে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর নামাযের সঙ্গে আমার নামাযেরই সামঞ্জস্য বেশি।” হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) প্রত্যেক আয়াত শেষে থামতেন এবং তার কিরাআত পৃথক পৃথক হতো। যেমন তিনি বিসমিল্লাহ পড়ে থামতেন, তারপর আল হামদুলিল্লাহ পড়তেন।এভাবে তিনি থেমে থেমে পড়তেন। অন্যদিকে আবু হানিফা (রঃ), আহমদ বিন হাম্বলের (রঃ) মাযহাব হল বিসমিল্লাহ উচ্চস্বরে পড়তে হবে না। আবার ইমাম মালিকের (রঃ) মতে বিসমিল্লাহ পড়তেই হবে না। সহীহ মুসলিমে আছে হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) নামাযকে তাকবীর ও তেলাওয়াতকে আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল... দ্বারা শুরু করতেন।

এ বিষয়ে মতভেদ থাকলেও পন্ডিতরা একে খুব বড় কোনরকমের মতভেদ হিসেবে ধরেননি। প্রত্যেকে মাযহাবীরা অন্যদের নামায পড়ার রীতিকে শুদ্ধ বলে গণ্য করেছেন।



নামাযে সুরা ফাতিহা পাঠ



নাামাযে দাড়িয়ে সুরা ফাতিহা পাঠ আবশ্যকীয়। কেননা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, সুরা ফাতিহা পাঠ ছাড়া কোন নামায হয় না। কিন্তু ইমামের পেছনে নামায পড়ার সময় এ সুরা পাঠ করতে হবে কি না এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।

ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ বলেন, জাহরী নামায (ইমাম যখন শব্দ করে পড়েন) এর সময় মুক্তাদীর সুরা ফাতিহা পাঠ করবে না, যিরী নামাযের (ইমাম যখন নিঃশব্দে কেরাত পড়েন) সময় ফাতিহা পাঠ করতে হবে। ইমাম শাফীঈর মত, উভয় ক্ষেত্রেই এটি পাঠ করতে হবে। ইমাম আবু হানিফা ও আবু ইউসুফের মতে মুক্তাদীরের জন্য কেরাত পাঠ করা কোন ক্ষেত্রেই জায়েয না।

শেষের মতামতধারীরা পবিত্র কোরানের সুরা আরাফের ২০৪ নং আয়াতের বরাত দেন; যাতে আছে, “আর যখন কোরান পাঠ করা হয় তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।” তবে এ আয়াতটি নামায নাকি খুতবা সম্পর্কে এটি নিয়েও বিতর্ক আছে।

সহীহ মুসলিম শরীফ থেকে পাওয়া যায়, আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “ইমাম বানানো হয় তার অনুসরণ করার জন্য। অতএব সে যখন তাকবীর বলবে তোমরাও তাকবীর বলবে; যখন সে তেলাওয়াত করবে, চুপ থাকবে; যখন সে সামিআল্লাহু লিমান হামিদা বলবে তোমরা বলবে রাব্বানা লাকাল হামদ।” ফাতিহা পাঠ না করার পেছনে এ হাদীসটির উল্লেখ করে বলা হয় এখানে রাসুল (সাঃ) কেরাতের সময় চুপ থাকতে বলেছেন, ফাতিহা পাঠ করার কথা বলেন নি।

দ্বিতীয় পক্ষ আবার এই হাদিসটির কথা উল্লেখ করেন- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যাক্তি সুরা ফাতিহা পড়ল না, তার নামায হল না। আবার আরেকটি হাদিস আছে যেখানে সুরা ফাতিহা পাঠ করার কথা বলা হয়েছে। উবাদাহ বিন সামিত (রাঃ) বলেন, সুরা ফাতিহা ব্যতীত অন্য কিছু পাঠ করবে না, কারণ যে এটি পড়বে না তার নামায হবে না। যদিও আবু দাউদ তিরিমিযি, নাসাঈ একই রকম বর্ণনা পেশ করেন, প্রথম দলভুক্তরা একে একটি দুর্বল হাদিস বলে প্রমাণিত করার চেষ্টা করেছেন।



আমীন বলা প্রসঙ্গে



কোরান শরীফের কোথাও আমীন শব্দটি না থাকলেও নামাযে সুরা ফাতিহার পর আমীন বলা হয়ে থাকে। আমীন শব্দটির অর্থ এমনটাই হোক। নামাযে এটি ব্যবহারের কারণ হচ্ছে বেশ কয়েকটি হাদিস। হাদিস শরীফে আছে, আবু হুরাইরা রাঃ বর্ণনা করেন যে রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন যে ইমাম যখন আমীন বলবে তোমরাও তখন আমীন বলবে। কারণ ফেরেশতাগণের আমীন বলার সাথে সাথে যার আমীন বলা হবে তার পূর্ববর্তী গুণাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে। হাদিসে আরো পাওয়া যায়, যখন ইমাম গা’ইরিল মাগ’দু-বি আ’লাইহিম ওয়া লা দ্দাল্লি-ন বলবেন তখন তোমরা অবশ্যই আমীন বলবে।

আমীন উচ্চস্বরে না মনে মনে বলতে হবে এটা নিয়েও আবার পন্ডিতদের মধ্যে দ্বিমত আছে। হানাফী মাযহাবের ইমাম আবু হানিফা বলেন আমীন অনুচ্চ স্বরে পড়া উচিত। হাদীসে আছে, হযরত ওয়ায়িল বিন হজর (রঃ) বর্ণনা করেন হযরত মুহম্মদ (সাঃ) সুরা ফাতিহা পাঠ শেষ করে আমীন বলতেন এবং তা অনুচ্চ আওয়াজে বলতেন। (তিরমিযী শরীফ)। আবার ইমাম শাফিঈ এবং আহমদ বিন হাম্বল এর মতে ইমাম উচ্চস্বরে পড়া উচিত। সম্প্রতি ড. জাকির নায়েক একটা কনফারেেেন্স বলেছেন এ বিষয়ে হানাফীদের মতামত ভুল। আমীন উচ্চস্বরে পাঠ করতে হবে।

আমীন শব্দটির উৎপত্তি নিয়েও অনেক গবেষণা হয়েছে। এ কথা উল্লেখ্য যে ইহুদী এবং খ্রীষ্টানরা দোয়ার পরে আমেন বলে থাকে। আমীন বা আমেন শব্দটি হিব্রু ভাষা থেকে এসেছে। প্রাচীন থিব্সদের দেবতার নাম ছিল আমুন। সেই আমুনটাই ধীরে ধীরে আমেন বা আমীন হয়েছে বলে অনেকের ধারণা। যেহেতু এই শব্দটি কোরানের বাইরে থেকে এসেছে তাই অনেকইে আমীন উচ্চারণ করে না। শিয়ারাও নামাযে সুরা ফাতিহার পর আমীন বলে না।



কোরান কার লেখা?



ইসলাম বিরূদ্ধবাদীরা কোরানের সুরা ফাতিহায় প্রথম পুরুষ ব্যবহারের উল্লেখ করে আসমানী কিতাব হিসেবে কোরানের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রায়শই। আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদিত ৭ আয়াতের ছোট্ট প্রার্থণাটিতে তিনটি গুণবাচক নাম- রহমান, রহিম এবং মালিক দেখতে পাওয়া যায়। প্রশ্ন করা হয়, সর্ব শক্তিমান আল্লাহ কি নিজেই নিজের গুণ কীর্তণ করতে পারেন তার প্রত্যাদেশে? তারপর, “আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থণা করি”- এটা কি আল্লাহর বক্তব্য নাকি মানুষের? পবিত্র কোরান যদি আল্লাহর বাণীই হবে, এখানে প্রথম পুরুষের ব্যবহার কেন?



বিরুদ্ধবাদীদের এ প্রশ্নটির সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ইসলামী পন্ডিতরা। তারা সুরা হিজরের ৮৭ নং আয়াতটির উল্লেখ করেছেন: আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরান দিয়েছি। এখানে স্পষ্ট করে কোরান এবং সুরা ফাতিহার মধ্যে পার্থক্য টানা হয়েছে। এ সুরা মূলত একটি প্রার্থণা। কোরানের প্রথমে এ সুরাকে স্থান দিয়ে এ শিক্ষাই দেয়া হয়েছে কোরান থেকে উপকৃত হতে হলে প্রথমে আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করতে হয়। বস্তুত এ সুরা মানুষের পক্ষ থেকে একটি প্রার্থণা বিশেষ আর পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান কোরান আল্লাহর পক্ষ হতে এ প্রার্থণার জবাব। তাই আল ফাতিহা কখনই কোরানের অবতরণিকা না। এর সাথে কোরানের সম্পর্ক হল এমন- ফাতিহা হল সর্বশক্তিমানের নিকট প্রার্থণা এবং কোরান তার জবাব।



গণিতিক সৌন্দর্য



সুরা ফাতিহা সাতটি আয়াতবিশিষ্ট। তেমনি:

বায়ুমন্ডলের স্তর সাতটি।

ভূ-অভ্যন্তরের স্তর সাতটি।

এক সপ্তাহ হয় সাত দিনে।

পৃথিবীতে মহাদেশ সাতটি।

মুসলিমরা হজ্জে পবিত্র কাবাঘর সাতবার প্রদক্ষিণ করে।

কোরান আরবী ভাষায় লেখা। আরবীতে বর্ণমালা আছে ২৮ টি যা ৭ দ্বারা বিভাজ্য।

সুরা ফতিহায় ২১ টা বর্ণমালা ব্যবহৃত হয়েছে যা ৭ দ্বারা বিভাজ্য।

কোরানের ২৯ টি সুরার প্রথম আয়াত শুরু হয়েছে বিশেষ অক্ষর দ্বারা যার অর্থ আমাদের এখনো অজানা (যেমন: সুরা বাকারার প্রথম আয়াত: আলিফ লাম মিম)। বিশেষ এসব আয়াতের বিশেষ অক্ষরগুলোর সংখ্যা (পুনরাবৃত্তিতা বাদ দিয়ে)- ১৪ যা ৭ দ্বারা বিভাজ্য।

উপরোক্ত ১৪ টি বিশেষ অক্ষর আবার সুরা ফাতিহায় মোট ১১৯ বার ব্যবহৃত হয়েছে যা ৭ দ্বারা বিভাজ্য।

আরবীতে আল্লাহ শব্দটি তিনটি অক্ষরের সন্নিবেশ। আলিফ, লাম এবং হা। এই তিনটি অক্ষর সুরা ফাতিহায় মোটা ৪৯ বার ব্যবহৃত হয়েছে যা ৭ দ্বারা বিভাজ্য।

আরেকটি বিশেষ শব্দ: আলিফ লাম মিম। সুরা ফাতিহায় আলিফ ব্যবহার হয়েছে ২২ বার, লাম ২২ বার, মিম ১৫ বার। এই তিনটি সংখ্যাকে যদি তাদের অনুক্রম অনুযায়ী সাজানো হয় তবে তা হবে ১৫২২২২ যা অবশ্যই ৭ দ্বারা বিভাজ্য।

সুরা ফাতিহার প্রথম আয়াতে আলিফ ৩ বার, লাম ৪ বার, মিম ৩ বার ব্যবহার হয়েছে। সংখ্যাগুলোকে পাশাপাশি সাজালে দাঁড়ায় ৩৪৩ যা ৭ দ্বারা বিভাজ্য।

এভাবে আরো অনেক গণিতিক সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায় যা পরে সুযোগ মতো জানানো যাবে।



জানাজার নামাযে সুরা ফাতিহা পাঠ



জানাজার নামাযে সুরা ফাতেহা পাঠ নিয়ে বিতর্ক লক্ষ করা যায়। সুরা ফাতিহা পাঠ করার পক্ষে বুখারী শরীফে উল্লিখিত হাদিসটি বর্ণনা করা হয়: হযরত তালহা ইবনে আওফ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনে আব্বাসের পেছনে জানাযার নামায আদায় করেছি। তিনি সুরা ফাতিহা পাঠ করে জানাযার নামায আদায় করলেন এবং পরে বললেন, (আমি এরূপ এজন্য করলাম) যাতে লোক একে সুন্নত বলে জানতে পারে। তাছাড়া, রাসুলুল্লাহ (সা:)এর এই উক্তিটিরও বরাত দেয়া হয়: যে ব্যাক্তি সুরা ফাতিহা পড়ল না, তার নামায হল না। এর উত্তরে অপর পক্ষ বলেন জানাযার নামায বস্তুত কোন নামায নয়, এ আসলে দুআ। ‘যখন তোমরা মাইয়্যেতের জন্য জানাযার নামায পড় তখন ইখলাসের সাথে দুআ কর। (সুনানে আবু দাউদহা, দিস নং-৩২০১)। এটি যদি নামায হতো তবে এতে কেরাত নেই কেন? রুকু, সেজদা নাই কেন?



বি.দ্র: আলোচ্য আলোচনায় কোরান শরীফের প্রথম সুরা আল ফাতিহা নিয়ে পড়াশুনা করে আমি যা যা জানতে পেরেছি তা তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছি। এ আলোচনার কোন অংশই আমার মৌলিক কোন মতামত নয়।



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

রাঘব বোয়াল বলেছেন: Post a +

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

জাফরুল মবীন বলেছেন: ভাল পোস্ট।

আল্লাহ আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দিন।

ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন।

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইন্টারেস্টিং!

প্লাস দিলুম।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লিখছেন না অনেক দিন ধরে। ব্যস্ত?

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঈদ মোবারক!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.