নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা অামার তৃষ্ণার জল

কয়েস সামী

i m nothing in this huge world...

কয়েস সামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পে গল্পে সুরাহ্ আল আহযাব- ২

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৭

তখন পালক সন্তানদের তার লালন-পালনকারী বাবার নামে নামকরন করা হতো। হারেসার ছেলে জায়েদকে যখন মুহম্মদ (সাঃ) তার পালক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করলেন তখন জায়েদকে ডাকা হতো জায়েদ বিন মুহম্মদ। আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ আসল- না, এ কাজটি করা যাবে না। সন্তানরা অবশ্যই তাদের প্রকৃত বাবার পরিচয়ে পরিচত হবে। পিতৃ পরিচয় না জানলে ধর্মভাই বা বন্ধু হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। তবে কেউ যদি স্নেহবশতঃ অন্যের ছেলেকে পুত্র বলে সম্বোধন করে তবে তাতে কোন সমস্যা নাই।-

৫. তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত। যদি তোমরা তাদের পিতৃ-পরিচয় না জান, তবে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধুরূপে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

আরো বলা হল, নবী করিম (সাঃ) মুমিনদের কাছে সবচে ঘনিষ্ট। নবীর সাথে মুমনিদের যে সম্পর্ক তা সমস্ত মানবিক সম্পর্কের উর্দ্ধে। কথিত আছে, একবার হযরত উমর (রাঃ) বললেন, “হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর শপথ! নিশ্চয়ই আপনি আমার নিকট আমার প্রাণ ছাড়া সবকিছু হতেই প্রিয়।” তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “হে উমর (রাঃ), না, বরং আমি যেন তোমার কাছে তোমার জীবন অপেক্ষাও প্রিয় হই।” রাসুল (সাঃ) যেমনভাবে মুমিনদের কাছে ঘনিষ্টতর, তেমনি তাঁর স্ত্রীরাও মুমিনদের কাছে তাদের মায়ের মতো। নবী এবং নবীর স্ত্রীদের সাথে মুমিনদের সম্পর্ক কেমন হবে তা দেখিয়ে দেবার সাথে সাথে আরেকটি বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করা হল। তখন আরবে মক্কা থেকে আগত মুহাজিররা মদীনার আনসারদের সাথে ভাতৃ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। কেউ মারা গেলে তাদের ধর্ম ভাইয়েরা মৃতদের সম্পত্তির হকদার হতো। ঘোষণা আসল- মুহাজিরদের থেকে নিজ নিজ আত্মীয়দের অধিকার অনেক বেশি। তবে কেউ যদি বন্ধু হিসেবে কাউকে কিছু দান করতে চায় সেটা করতে পারবে। -

৬. নিঃসন্দেহে নবী ঈমানদারদের কাছে তাদের নিজেদের তুলনায় অগ্রাধিকার আর নবীদের স্ত্রীগণ তাদের মা৷ কিন্তু আল্লাহর কিতাবের দৃষ্টিতে সাধারণ মু’মিন ও মুহাজিরদের তুলনায় আত্মীয়রা পরস্পরের বেশি হকদার৷ তবে নিজেদের বন্ধুবান্ধবদের সাথে কোন সদ্ব্যবহার (করতে চাইলে তা) তোমরা করতে পারো৷ আল্লাহর কিতাবে এ বিধান লেখা আছে৷

আল্লাহতালা আগেই তো পাঁচ নবীর কাছ থেকে কথা নিয়ে রেখেছেন এই মর্মে যে তাঁরা আল্লাহর দ্বীনের প্রচার করবেন ও তাঁর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবেন। নবীকে আল্লাহর প্রতিটি হুকুম মেনে চলতে হবে এবং সেই সাথে অন্যদের তা মেনে চলার ব্যবস্থা করতে হবে। শত্রুদের সমালোচনার ভয়ে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা যাবে না।-

৭. আর হে নবী ! স্মরণ করো সেই অংগীকারের কথা, যা আমি নিয়েছি সকল নবীর কাছ থেকে, তোমার কাছ থেকে এবং নূহ, ইবরাহীম, মূসা ও মরিয়াম পুত্র ঈসার কাছ থেকেও৷ সবার কাছ থেকে আমি নিয়েছি পাকাপোক্ত অলংঘনীয় অঙ্গীকার
৮. সত্যবাদীদেরকে (তাদের রব) তাদের সত্যবাদিতা সম্বন্ধে প্রশ্ন করার জন্য এবং কাফেরদের জন্য তো তিনি যন্ত্রণাদায়ক আযাব প্রস্তুত করেই রেখেছেন৷(চলবে)
আগের পর্ব- গল্পে গল্পে সুরাহ আল আহযাব

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.