নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা অামার তৃষ্ণার জল

কয়েস সামী

i m nothing in this huge world...

কয়েস সামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পে গল্পে সুরাহ্ আল আহযাব- ৪

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১১

নবী করিম (সাঃ) এর প্রতি বিশ্বাস মদীনার মুমনিদের শক্তিকে আরো জোরদার করেছিল। তারা শপথ নিয়েছিল যতো কঠিন সময়ই আসুক না কেন তারা আল্লাহ ও তার রসুলকে মেনে চলবে। কঠিন কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েও সত্যিকারের মুমিনদের এই আনুগত্যবোধ কখনো নিঃশ্বেষ হয়ে যায়নি। ইসলামের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে তারা কুণ্ঠাবোধ করেন নি।

২৩. মুমনিদের মধ্যে অনেকে আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করেছে, তাদের কেউ কেউ শাহাদত বরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা তাদের অঙ্গিকার ভঙ্গ করেনি।
২৪. কারণ আল্লাহ সত্যবাদীদেরকে পুরুষ্কৃত করেন সত্যবাদীতার জন্য এবং তার ইচ্ছা হলে মুনাফিকদের শাস্তি দেন অথবা তাদেরকে ক্ষমা করেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
২৫. আল্লাহ কাফিরদেরকে ক্রুদ্ধাবস্থায় বিফল মনোরথে ফিরে যেতে বাধ্য করলেন। যুদ্ধে মুমিনদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহ সর্বশক্তিমান, পরাক্রমশালী।

খন্দক যুদ্ধ হতে কুরাইশদের পলায়নের পর মুসলমানরা বিজয়ীর বেশে মদীনায় প্রবেশ করেই আল্লাহ্র নির্দেশে বিশ্বাসঘাতক বানু কুরাইযার দুর্গের দিকে রওনা দিলেন। মুসলিম বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ হল বানু কারাইযা দুর্গ। টানা পঁচিশ দিনের অবরোধের পর বানু কুরাইযা আত্মসমর্পন করল এবং আউস গোত্রের সা’দ ইবনে মু’আয (রাঃ) কে তাদের মীমাংসাকারী হিসেবে দাবী করল। তারা ভাবল, যেহেতু আউস গোত্রের সাথে বানু কুরাইযা গোত্রের দীর্ঘদেিনর বন্ধুত্ব ছিল, সা’দ নিশ্চয়ই তাদের পক্ষেই রায় দিবেন, তাদেরকে এবারের মতো ক্ষমা করে দেবেন। তাই তারা বলল, সা’দ (রাঃ) তাদের যে মীমাংসা করবেন তাই তারা মেনে নেবেএবং তাদের দুর্গ মুসলমানদের হাতে সমর্পন করবে। আহত সা‘দ (রাঃ) কে ঘোড়ায় চড়িয়ে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে আসা হল। তার রায়ই কার্যকর করা হবে হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর কাছ থেকে এ মর্মে নিশ্চয়তা নিয়ে, সা’দ (রাঃ) তার রায় শুনালেন, ‘বানু কুরাইযার মধ্যে যুদ্ধে অংশ নেয়ার মতো যতো লোক রয়েছে তাদের সবাইকেই হত্যা করা হবে। তাদের শিশু সন্তানদেরকে বন্দী করা হবে এবং তাদের ধন-সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বন্টন করা হবে।” অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নির্দেশ মোতাবেক গর্ত খনন করা হল এবং বানু কুরাইযা গোত্রের লোকদেরকে শৃঙ্খলিত অবস্থায় হত্যা করে তাতে নিক্ষেপ করা হল। হত্যাকৃতদের সংখ্যা ছিল সাতশ বা আটশ। তাদের নারীদেরকে ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের এবং সমস্ত ধন-সম্পদ হস্তগত করা হল।

২৬. কিতাবীদের মধ্যে যারা তাদেরকে সাহায্য করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের দুর্গ হতে অবতরণে বাধ্য করলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি সঞ্চার করলেন। এখন তোমরা তাদের কিছুকে হত্যা করছো এবং কিছুকে করছো বন্দী।
২৭. এবং তোমাদেরকে অধীকারী করলেন তাদের ভূমি, ঘরবাড়ি ও ধনসম্পদের এবং সেই ভূমির যা তোমরা এখনো পদানত করনি। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.