নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা অামার তৃষ্ণার জল

কয়েস সামী

i m nothing in this huge world...

কয়েস সামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পে গল্পে আল্ আহযাব- ৭

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

বিবি যয়নব (রাঃ) কে বিয়ে করার পর মুনাফিকরা নানা রকম কথা বলতে থাকে। তারা বলতে থাকে, এর আগে সুরা নিসায় যেহেতু মুমিনদের চারটি বিয়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, হযরত মুহম্মদ (সাঃ) নিজে কখনই পঞ্চম বিয়ে করতে পারেন না। আয়াত নাযিল হল-

৫০. হে নবী! আমি তোমার জন্য বৈধ করে দিয়েছি তোমার স্ত্রীদেরকে যাদের মোহর তুমি প্রদান করেছো। এবং এমন নারীদেরকে যারা আল্লাহ প্রদত্ত বাঁদীদের মধ্য থেকে তোমার মালিকানাধীন হয়েছে, এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি তোমার চাচার কন্যা ও ফুপুর কন্যাকে, মামার কন্যা ও খালার কন্যাকে, যারা তোমার সাথে দেশ ত্যাগ করেছে এবং কোন মুমিন নারী, নবী (সাঃ) এর নিকট নিজেকে নিবেদন করলে এবং নবী (সাঃ) তাকে বিয়ে করতে চাইলে সেও বৈধ। এটা বিশেষ করে তোমারই জন্য। অন্য মুমিনদের জন্যে নয়; যাতে তোমার কোন অসুবিধা না হয়। মুমিনদের স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন দাসীদের জন্য যা আমি নির্ধারিত করেছি তা আমি জানি। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

হযরত আয়েশা (রাঃ) প্রথম দিকে একটা ব্যাপার খুব অপছন্দ করতেন। এই যে বিভিন্ন নারী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর কাছে এসে নিজেকে বিয়ে করার জন্য নিবেদন করে- তিনি এ ব্যাপারটা মেনে নিতে পারতেন না। তাই একদিন নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন এই সব নারীদের কি বিনা মোহরে পুরুষের কাছে নিজেকে নিবেদন করতে লজ্জাবোধ হয় না? আয়াত নাযিল হল-

৫১. তুমি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তোমার নিকট হতে দূরে রাখতে পার এবং যাকে ইচ্ছা তোমার নিকট স্থান দিতে পার। এবং তুমি যাকে দূরে রেখেছো তাকে কামনা করলে তোমার কোন অপরাধ নেই। এই বিধান এই জন্য যে এতে তোমাদের তুষ্টি সহজতর হবে এবং তারা দুঃখ পাবে না, আর তাদেরকে তুমি যা দিবে তাতে তাদের প্রত্যেকেই প্রীত থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।

আয়াতটি নাযিল হবার পর আয়েশা (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনার রব আপনাকে খুশি করার জন্য আপনার মর্জি মুতাবিক জলদি করেন।
আল্লাহ নবী করিম (সাঃ) এর জন্য আরো নির্দেশনা প্রদান করলেন-

৫২. এর পর তোমার জন্য কোন নারী বৈধ নয় এবং তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয় যদিও তাদের সৌন্দর্য তোমাকে বিস্মিত করে, তবে তোমার অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপারে এই বিধান প্রযোজ্য নয়। আল্লাহ সবকিছুর উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন। (চলবে...)
বি.দ্র: ছোটবেলা থেকেই কোরান পড়া শুরু করেছি। পবিত্র রমযান মাস এলে অন্যদের সাথে রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে কোরান শেষ করার চেষ্টা করেছি। কে কতবার কোরান শেষ করতে পারল এ নিয়ে আমাদের মধ্যে ছিল তুমুল প্রতিযোগিতা। কিন্তু আমাদের এই পাঠ ছিল আরবী ভাষায়। কখনো এর অর্থ জানার চেষ্টা করিনি। আমি যে কোরান শরীফটি পড়তাম তার নিচে বাংলা ভাষায় এর অনুবাদ থাকা সত্ত্বেও কখনো ইচ্ছে হয়নি তাতে কি লেখা আছে তা পড়ে দেখার। কিছু কিছু আয়াতের দিকে হয়তোবা কখনো চোখ পড়েছে। কিন্তু না বুঝার কারনে কখনো বেশি দূর এগোইনি। কী দরকার! আরবী পড়লেই তো সওয়াব হয়। বাংলা পড়ার প্রয়োজনীয়তা বা ইচ্ছা কোনটাই কখনো উপলদ্ধি করিনি। কেন পড়লাম না, কেন আগ্রহ হল না- এ নিয়ে ভাবকে ভাবতে মনে হল, সহজ ভাষায় আগ্রহ সৃষ্টিকারী কোরানের উপর এমন কোন বাংলা বই হাতের কাছে পাইনি বলেই কখনো কোরান বুঝার ইচ্ছে হয়নি আমার। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, যে পবিত্র গ্রন্থটি আমাদের প্রত্যেক ঘরে ঘরে অন্তত একটি করে আছে সেই গ্রন্থে আসলে কী লেখা আছে তা জানার একটুখানি চেষ্টা করি। এ সিদ্ধান্ত থেকেই সুরা আল আহযাব পড়া শুরু করলাম। আর ভাবলাম, এ সুরাটি পড়ে আমি যা জানছি তা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আমার এ লেখায় তাফসীর ইবনে কাসীর, তফসীরে মা‘আরেফুল কোরআন, তফসীরে জিবরীল, তাহফীমুল কোরআন, বুখারী শরীফ, সহীহ মুসলিম, কোরান শরীফ-সরল বঙ্গানুবাদ থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলো সন্নিবেষ্টিত হবে। লেখায় কোন ভুল থাকলে জানাবেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪২

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: প্রচেষ্টা উত্তম

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩

কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য... ...

এভাবে কম কম করে করে যেতে পারেন... ...

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৮

কয়েস সামী বলেছেন: ঠিক আছে। অল্প অল্প করে লেখাটাই সুবিধা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.