নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা অামার তৃষ্ণার জল

কয়েস সামী

i m nothing in this huge world...

কয়েস সামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পে গল্পে আল্ আহযাব- ৮

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩১

মুহম্মদ (সাঃ) তৎকালীন আরবীয়দের কিছু কিছু আচরণ একেবারেই পছন্দ করতেন না। তারা যখন তখন নিঃসংকোচে একে অন্যের ঘরে ঢুকে পড়তো। অনুমতি নেয়ার কোন প্রয়োজনীয়তার কথা তারা মোটেও ভাবতো না। হযরত ওমর (রাঃ)ও ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তিনি একদিন হযরত মুহম্মদ (সাঃ) কে পরামর্শ দিলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ), আপনার কাছে ভাল মন্দ অনেক লোকই এসে থাকে। তাই যদি আপনি মুমিনদের মায়েদের পর্দার ব্যবস্থা নিতেন তবে ভাল হতো। কিন্তু হযরত মুহম্মদ (সাঃ) অপেক্ষা করছিলেন এ বিষয়ে আল্লাহর নির্দেশনার জন্য। একদিন মুহম্মদ (সাঃ) বিবি আয়েশা (রাঃ) এর সাথে বসে খাবার খাচ্ছিলেন। এমন সময় হযরত উমর (রাঃ) সেখানে উপস্থিত হলেন। তারা দুজন উমর (রাঃ) কে খেতে বসতে বললেন। তারা তিনজন যখন এক পাত্রে যখন খাবার খাচ্ছিলেন তখন হযরত উমর (রাঃ) এর হাত আয়েশা (রাঃ) এর হাতে লেগে যায়। এ বিষয়টা হযরত মুহম্মদ (সাঃ) খেয়াল করলে উমর (রাঃ) বলে উঠেন, যদি আপনি আগেই আমার কথা মেনে নিতেন তবে এ ঘটনাটি ঘটতো না। তারপর যেদিন বিবি যয়নব (আঃ) এর সাথে বিয়ের ওলিমা, সেদিন ওলিমার দাওয়াত শেষে নিমন্ত্রিতদের কয়েকজন বসে গল্প করা শুরু করে দিল। এ দেখে হযরত মুহম্মদ (সাঃ) ভেতরের ঘরে চলে গেলেন। হযরত (সাঃ) কে আয়েশা (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ), আপনি আপনার নব- পরিণীতা স্ত্রীকে কেমন দেখলেন?” এরপর তিনি তার অন্যান্য স্ত্রীদের সাথে দেখা করলেন; সবাই নব বধূকে নিয়েই প্রশ্ন করল। তাদের সাথে আলাপচারিতা শেষে ফিরে এসে দেখলেন সেই লোকগুলো তখনো গল্প করছে। এ দেখে হযরত (সাঃ) আবার আয়েশা (রাঃ) এর ঘরে গেলেন। অতঃপর সেই লোকগুলো চলে যাবার খবর পেয়ে তবেই নবী করিম (সাঃ) বের হয়ে আসলেন। আয়াত নাযিল হলঃ

৫৩. হে মুমিনগণ! নবী গৃহে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করো না, খাবার সময়ের অপেক্ষায়ও থেকো না। তবে যদি তোমাদের খাবার জন্য ডাকা হয়, তাহলে অবশ্যই এসো। কিন্তু খাওয়া হয়ে গেলে চলে যাও, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়ো না। তোমাদের এসব আচরণ নবীকে কষ্ট দেয় কিন্তু তিনি লজ্জায় কিছু বলেন না এবং আল্লাহ সত্য কথা বলতে লজ্জা করেন না। নবীর স্ত্রীদের কাছে যদি তোমাদের কিছু চাইতে হয় তাহলে পর্দার পেছন থেকে চাও। এটা তোমাদের এবং তাদের মনের পবিত্রতার জন্য বেশী উপযোগী। তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলকে কষ্ট দেয়া মোটেই জায়েয নয়। এবং তাঁর পরে তাঁর স্ত্রীদেরকে বিয়ে করাও জায়েয নয়। এটা আল্লাহর দৃষ্টিতে ঘোরতর অপরাধ।
৫৪. তোমরা কোন কথা প্রকাশ বা গোপন করো আল্লাহ সবকিছুই জানেন।
৫৫. নবীর স্ত্রীদের গৃহে তাদের বাবা, ছেলে, ভাই-ভাতিজা, ভাগনা, সাধারণ মেলামেশার মহিলারা এবং তাদের মালিকাধীন দাসদাসীরা এলে কোন ক্ষতি নেই। তোমাদের আল্লাহর নাফরমানি থেকে দূরে থাকা উচিত। আল্লাহ প্রত্যেকটি জিনিসের প্রতি দৃষ্টি রাখেন।
৫৬. আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরূদ পাঠান। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তার প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠাও।
৫৭. যারা আল্লাহ ও তার রাসূলকে কষ্ট দেয় তাদেরকে আল্লাহ দুনিয়ায় ও আখেরাতে অভিশপ্ত করেছেন এবং তাদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক আযাবের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
৫৮. আর যারা মুমিন পুরুষ ও মহিলাদের কোন অপরাধ ছাড়াই কষ্ট দেয় তারা একটি বড় অপবাদ ও সুষ্পষ্ট গোনাহের বোঝা নিজেদের ঘাড়ে চাপিয়ে নিয়েছে।
৫৯. হে নবী (সাঃ)! তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে কন্যাদেরকে ও মুমিন নারীদেরকে বল তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজতর হবে; ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালূ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল লাগলো ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

কয়েস সামী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মাহমুদ ভাই।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০৯

প্রান্তিক জন বলেছেন: এটিই তো প্রগতিশীলতা।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

কয়েস সামী বলেছেন: ঠিক তাই।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

ডাঃ মারজান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌ খুব ভালো ও উপকারি পোস্ট। ধন্যবাদ

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

কয়েস সামী বলেছেন: সাথে থাকুন।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

কয়েস সামী বলেছেন: আশা করি পরের পোস্টগুলোতেও সাথে থাকবেন।

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: শিক্ষণীয় পোস্ট।
ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন।সবসময়।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

কয়েস সামী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:১৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কয়েস সামী,

প্রতিটি পোস্টের শেষে বর্ণনা-সূত্র উল্লেখ করে দিতে পারেন। ভালো লাগছে আপনার প্রচেষ্টাটি।
আসসালামু আলাইকুম।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য। পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.