নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা অামার তৃষ্ণার জল

কয়েস সামী

i m nothing in this huge world...

কয়েস সামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যা ট্রিবিউট টু মাই সান- ২

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১২

দেখতে দেখতে তুমি এ পৃথিবীতে তিনটি বছর কাটিয়ে দিলে। এখন একটু একটু কথা বলতে শিখেছ। নিজের ভাব কথায় প্রকাশ করা শিখেছ। দৌড়াদৌড়ি, খেলাধূলার আনন্দ উপভোগ করা শিখেছ। ওষুধটাও যে খেতে হয় না- এটাও শিখেছ। শিখে নিয়েছো কিভাবে মুখে ঢেলে দেয়া ওষুধকে মুখ থেকে বের করা যায়। ওষুধ তুমি খেতেই চাও না। তোমার বয়েসি অন্যান্য বাচ্চারাও অবশ্য ওষুধ খেতে চায় না। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তোমাকে আমরা জোর করে ধরেও খাওয়াতে পারি না। আমি তোমাকে শক্ত করে ধরে রাখি। তোমার মা তোমার মুখে নিপুণ কৌশলে সিরাপ ঢালতে থাকেন আর তুমিও ততোধিক কৌশলের সাথে ওষুধ মুখ থেকে ফেলে দিতে থাক। তো, অসুস্থ হলে এভাবে কোন রকমে ওষুধ ছাড়াই অসুস্থতা কাটিয়ে উঠেছ বেশ কয়েক বার। কিন্তু এবার যখন ডাক্তার বললেন, এই অ্যান্টিবায়োটিকটা তাকে খাওয়াতেই হবে, তখন আমাদের সবার মাথায় হাত। কী করব এবার! কিভাবে তোমাকে ওষুধ খাওয়াব? পরপর তিনদিন অনেক চেষ্টা করা হল। তোমাকে জোর করে ধরে ওষুধ খাওয়াতে গিয়ে ব্যর্থ তো হলামই, উপরন্তু প্রতিবার তোমার কিল ঘুষি খেয়ে আমাদের সবার তো নাজেহাল অবস্থা! অবশেষে তোমার দাদুর পরামর্শে শেষ চেষ্টা হিসেবে তোমাকে ক্লিনিকে নিয়ে গেলাম। ক্লিনিকের অ্যাটেনডেন্টরা জিজ্ঞেস করলেন, বাচ্চাকে ভর্তি করাবেন না কি? উত্তর দিলাম, না। জিজ্ঞেস করল, তবে কি ইনজেকশন দিবেন? উত্তর, না। আসলে এমন একটা কাজে তোমাকে নিয়ে গেছি যে কাজে কেউ কখনো এভাবে ক্লিনিকে গিয়েছে কি না সন্দেহে। তাই সত্যি কারণটা জানাতে আমি কিছুটা সময় নিচ্ছি।
তবে ওকে নিয়ে আপনারা কি জন্যে এসেছেন?
এবার মুখ খুললেন তোমার মা। ওকে আমরা ওষুধ খাওয়াতে এসেছি।
উত্তর শুনে সবাই অবাক। বুঝিয়ে বললাম, বাচ্চাটা ওষুধ খেতেই চায় না। তাই শেষ চেষ্টা হিসেবে আপনাদের সাহায্য চাইতে এসেছি।
ওরা বলল, বাবা-মার হাতেই ওষুধ খাচ্ছে না। আমাদের হাতে কি আর খাবে?
আমি অনুরোধ করলাম, একবার চেষ্টা করে দেখুন না।
চেষ্টা শুরু হল। তোমার চিৎকারও শুরু হল। তোমাকে একটা কেবিনে নিয়ে গেলাম। তিনজন নার্স মহা উৎসাহে এগিয়ে আসলেন। এরকম রোগী তো তারা আর কখনো দেখেন নি। তোমাকে তোমার মায়ের কোলে বসিয়ে রাখা হল। তারা তিনজন তোমার হাত পা ধরল। তুমি হয়তো ভয় পেয়ে গেলে। একজন নার্স চামচে সিরাপ ঢেলে তোমার মুখের সামনে ধরলেন। অবাক কান্ড! তুমি এমনভাবে খাওয়া শুরু করলে যেন ওষুধের চেয়ে মজাদার খাবার আর কিছুই এ জগতে নাই। তোমার ওষুধ খাওয়া শেষ হলে আমাদের সবার মুখেই আনন্দ। মাথা থেকে একটা টেনশন নেমে গেল। নার্সকে তার দক্ষিণা দিয়ে বের হতে যাব। গোল বাঁধালে তুমি। তুমি রেগে গিয়ে চিৎকার করে বলতে থাকলে,
আমি দাব নাআআ।
আমি এখানে থাকব।
আমাকে আলো ওষুধ দাওওওও।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা হা|
ট্রিবিউট পাওয়ার মতই কাজ কারবার! বড় হলে ওকে এলেখা গুলো পড়াইয়েন

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

কয়েস সামী বলেছেন: ওকে তো অবশ্যই পড়াব। এ উদ্দেশ্যেই লেখাটা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


:D :D :D

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

কয়েস সামী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হাহাহাহাহা।

আমাকে আলো ওষুধ দাও।

ভাল্লাগছে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

কয়েস সামী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: হা হা হা দারুণ লাগল। ওর জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৪

কয়েস সামী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মাশাল্লাহ। আপনার ছেলের জন্য শুভ কামনা। যখন পড়তে লিখতে শিখবে, আশাকরি আপনার এই ব্লগ পড়ে ওষুধ পাবে। ভালবাসা আর স্নেহের ‍ওষুধ। হাহ হা্

ব্লগে আপনাকে বেশ চুপচাপ দেখছি। ভাল আছেন তো, কয়েস সামী ?

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৩

কয়েস সামী বলেছেন: খুব ব্যস্ত আছিরে ভাই। ব্যাপরটা খেয়াল করেছেন দেখে ভাল লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.