নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা অামার তৃষ্ণার জল

কয়েস সামী

i m nothing in this huge world...

কয়েস সামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কী ভাবিয়া মনে এ দুটি নয়নে উথলে নয়নবারি- অষ্টম পর্ব

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

১১.
অনেক দিন পর আমরা পঞ্চরত্ন এক হয়েছি। মাসুদ, রিয়াদ, মাহমুদ, সঞ্জয় আর আমি। স্কুল লাইফে আমাদের এই পাঁচ জন সবসময় ঝাঁকের কই হয়ে থাকতাম আর নানা রকমের দুষ্টামি করতাম। তাই পরিচিত সবাই আমাদের নাম দিয়েছিল পঞ্চরত্ন। মাসুদ ব্যাংকার, রিয়াদ তার বাবার ব্যবসা দেখাশুনা শুরু করেছে, মাহমুদ বিসিএস পাশ করল এবার, সঞ্জয় স্কুল শিক্ষক- কবিতা লিখে বেশ নাম কুড়িয়েছে ইদানিং। আমাদের আজকের ভ্যানু মাসুদের বাসা। জড়ো হবার উদ্দেশ্য- জয়ীর বিয়ে ভেঙে দেয়া।

রিয়াদ বিয়ে ভাঙার মহান এই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। আমাদের বন্ধু রিয়াদ এই কিছুদির আগেও প্রেমিক পুরুষ ছিল। জলি নামের একটা মেয়ের সাথে তুমুল প্রেম ছিল তার। কিন্তু অতি সম্প্রতি তাদের ব্র্যাক-আপ হয়ে গেছে। এখন সে ভয়াবহরকমের নারী বিদ্বেষী। আমার সাম্প্রতিক চিন্তাভাবনা শুনে সে মাসুদকে বলেছে, যা করার আমি করব। আবীরকে বলে দিস, এই রিয়াদ যখন দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে তখন তার আর কোন চিন্তা নাই।

রিয়াদের পরামর্শেই আজ আমরা সবাই একসাথে হয়েছি।
-সুপ্রিয় কমরেড সকলে, তোমরা অলরেডি আবীরের কষ্টের কথা শুনেছো। আমিও শুনেছি। আমি বিশ্বাস করি দুঃসময়ের বন্ধুই, প্রকৃত বন্ধু। তাই এখন সকলের সুযোগ এসেছে আবীরের সাচ্চা বন্ধু হিসেবে নিজেদের প্রমান করার। আমাদের উচিত এই চরম দুর্দিনে আবীরের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া । তাই আমি তোমাদের সবাইকে রক্ত কসম করা কথা দিচ্ছি। এই রিয়াদ যতোদিন বেঁচে আছে, ততোদিন জয়ী বিয়ে করতে পারবে না। জয়ীর যদি কাউকে বিয়ে করতেই হয় তবে তার আবীরকেই করতে হবে। এছাড়া তার আর কোন উপায় নাই। জয়ীর যে বিয়ে লাগার খবর আমাদের কানে এসে পৌছেছে তা আমি আজকেই ভেঙে দিতে বদ্ধ পরিকর। তোমরা কী বল?

এই হল আমাদের রিয়াদ। মজা করতে খুব ওস্তাদ সে। আমরা সকলেই তার সঙ্গ পেলে মজা পাই। কিন্তু জলি মেয়েটা আমাদের থেকে রিয়াদকে প্রায় কেড়ে নিয়েছিল। গত ছয় মাসে রিয়াদের সাথে আমার দেখা হয়েছে মাত্র দু বার। মোবাইলেও তাকে পাওয়া যেত না একদম। জলির সাথে ব্র্যাকআপ হয়ে যাওয়ায় আমরা তাই বেশ খুশি হয়েছি বলা চলে। রিয়াদ যেন আজীবন এমন থাকে। আর কোন জলি যাতে তার মস্তিষ্ক আবার খেয়ে না ফেলতে পারে।

রিয়াদের নাতিদীর্ঘ ভাষণ শুনে মাহমুদ জানতে চাইল, বিয়ে কী কোন কাঁচের জিনিস যে তা বললেই ভাঙা যাবে?
-আলবৎ যাবে। মহমান্য মাহমুদ সাহেব, আপনাকে সবিনয়ে জানাতে চাই যে বিয়ে নামক ব্যাপারটা কাঁচের থেকেও ভঙ্গুর। নারী পুরুষের সম্পর্কটাই আসলে একটা সুতোর উপর দাড়িয়ে থাকে, বুঝলেন? একটু মনে করার চেষ্টা করুন, তসলিমা-রুদ্রর কথা, অথাব হুমায়ূন-গুলতেকিনের কথা। কতো প্রেম করে তারা সংসার পাতলো, কিন্তু বেশিদিন কি একসাথে থাকতে পারলো ? কিংবা এই যে.. এই যে, আপনাদের চোখের সামনেই আমার আর জলির প্রেম কেমন ছমাসের মাথাতেই বাষ্প হয়ে উবে গেল। নিজে প্রেম করে দেখুন না একবার। যখন দেখবেন প্রেমিকা আপনার মুখোমুখি বসে ইমোতে আরেকজনের সাথে ভিডিও চ্যাট করছে, তখন কিভাবে? তখন কিভাবে সম্পর্ক টিকে থাকবে? এই রিয়াদ... এই রিয়াদ সব জানে। বুঝলেন আপনারা?
-লেকচার রাখ্। কাজে নাম্। তোর কথা মতো ল্যাপটপ অন করলাম। কিভাবে কী করবি আমাদের বুঝিয়ে বল। মাসুদ রিয়াদকে তাড়া দিল।
-ডিজিটাল যুগে টেকনোলজি ছাড়া কিছু কি হয় বল? আমি ঠিক করেছি ফেসবুকের সাহায্য নেব।
-ফেসবুক! ফেসুবক দিয়া বিয়া হয় অনেক শুনেছি। সেই ব্রাজিল থাইকা সুন্দরী মাইয়া উইড়া চইলা আসে ফেসবুকের ফ্র্যান্ডের সাথে ঘর বাঁধবার জন্য। কিন্তু ফেসবুক দিয়া বিয়া ভাঙার খবর কখনো শুনিনি । সঞ্জয় সন্দেহ প্রকাশ করল।

মাসুদের বিছানায় শুয়ে শুয়ে সিগারেট টানতে টানতে বন্ধুদের ইয়ারকি ফাজলামি বেশ উপভোগ্য লাগছে। বিয়ে ভাঙুক আর না ভাঙুক সময়টা যে খুব ভাল কাটছে সেটা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

রিয়াদ আমাদের বুঝানো শুরু করল।
-আমাদের যেটা করতে হবে সবার আগে, সেটা হল জয়ীর ফেসবুক ফ্র্যান্ড লিস্ট থেকে তার হবু বরের আইডি খুঁজে বের করতে হবে। এখন প্রথম কাজ হল জয়ীর আইডিটা খুঁজে বের করা। আবীর, তোর সাথে কি জয়ী অ্যাড করা আছে?
-না। আমি তো ফেসবুক ব্যবহার করি না ওভাবে। আমার ভালও লাগে না। আর জয়ীর যে আইডি আছে এটাই বা নিশ্চিত হলি কিভাবে?
-বোকার মতো কথা বলিস না তো! স্মার্ট ফোনের এই যুগে মেয়েদের ফেসবুক থাকবে না, তো কার থাকবে? ঘরে বসে তাদের কোন কাজ আছে নাকি? সারাদিন ফেসবুকেই তো থাকে তারা। তোর জয়ীর যে কয়টা আইডি আছে সেটাই প্রশ্ন।
-মুখ সামলে কথা বল রিয়াদ। জয়ী মোটেই এমন মেয়ে না। রিয়াদকে শাসালাম আমি।
রিয়াদ হঠাৎ খুব সিরিয়াস হয়ে গেল।
-তোর মতো আমিও তাই ভাবতাম, জানিস। আমি ভাবতাম ফেসবুক কী, জলি সেটাই জানে না। পরে দেখলাম,অতীতে এবং বর্তমানে যতোগুলো সিম সে ব্যবহার করতো, এবং করছে- সবগুলো দিয়েই তার ফেসবুক আইডি আছে। আর কী সব বাহারি নাম সেগুলোর। নীড় হারা পাখি, জারা, মাহি আরো কত কত নামে যে সে আইডি তৈরী করেছিল তোরা শুনলে অবাক হয়ে যাবি।
-আমার একটা কথা আছে। সঞ্জয় তার হাত তুলল। আমরা সঞ্জয়ের দিকে তাকালাম।
-আমি বলতে চাই, এই সকল বিয়া ভাঙাভাঙি ব্যাপারটা আমার ঠিক পছন্দ হইতাসে না। আমরা বরং চেষ্টা করি বিয়াটা তাড়াতাড়ি লাগাইয়া দিতে।
সঞ্জয়ের এমন মন্তব্যে সবাই আমরা হৈচৈ করে উঠলাম। সঞ্জয় হাত তুলে আমাদের থামিয়ে দিল।
-থাম, থাম, আমি বুঝিয়ে বলতাসি। আমার মতামত, কারো উপর তুমি যদি প্রতিশোধ নিবার চাও তাহলে তাকে বিয়া করাইয়া দাও। তোমরা তো কেউ বিয়া কর নাই। আমি করসি। আমি জানি বিয়া করা আর নরকে প্রবেশ করা সমান কথা। আর, এই যে রিয়াদ। তোমার ব্র্যাকআপ হইসে বলে তুমি ওতো দুঃখ করতেসো কেন বুঝতেসি না। তোমার তো মিয়া শাহাজালালের মাজারে গিয়া শিরনী দেওয়া উচিত। ওই মাইয়ারে বিয়া করলেতো তোমার জীবনটা ফালা ফালা হইয়া যাইতো। তুমি মিয়া বাইচা গেসো। বাইচা গেসো।

সঞ্জয়ের দুঃখ আমরা সবাই বুঝতে পারলাম। মাহমুদ পরামর্শ দিল শোকগ্রস্ত সঞ্জয়ের জন্য আমাদের এক মিনিট নিরবতা পালন করা উচিত।

নিরবতা পালন শেষ হলে রিয়াদ ফেসবুকে তার আইডি নিয়ে লগইন করল। আমরা খেয়াল করলাম, তার আইডিটা আসলে তার আইডি না। ফেসবুক ইন্টারফেসে নাম দেখা যাচ্ছে, পাভেল রহমান। মাসুদ জিজ্ঞেস করল, এই পাভেল রহমানটা কে রে রিয়াদ? ওর আইডি তুই কিভাবে পেলি?
-আরে এটা আমার আইডি। আইডিটা করেছিলাম জলিকে হাতে নাতে ধরার জন্য। পাভেল নামের জলির একটা বয় ফ্র্যান্ড ছিল। এটা জানতে পেরেই তার নামে আইডি করে জলিকে অ্যাড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম। তারপরই তো জলি ধরাটা খেলো।
-কিভাবে ধরলা বলবা। আমিও তাইলে আমার বউটারে ধইরা বিবাহ থাইকা বাইর অইয়া যাইগা। সঞ্জয় কৌতুহল ভরে জিজ্ঞেস করল।
-ধুর মিয়া! তোমার বউ এর মতো বউ হয় নাকি। কিসব আজেবাজে কও। রিয়াদ সঞ্জয়কে থামিয়ে দিয়ে ফেসবুকে কী সব হাবিজাবি করতে থাকে।
- কী কর? রিয়াদকে প্রশ্ন করি।
-রাজকে খুঁজি।
-রাজ দিয়া কি করবা? আমরা তো জয়ীরে খুঁজবো। সঞ্জয় রিয়াদের ভুল ধরিয়ে দেয়।
-আরে বাবা! রাজকে খুঁজে পেলেই তো জয়ীকে পাব। এই তো এইতো রাজ। দাঁড়াও, এবার রাজের ফ্র্যান্ড লিস্টে ঢুকি। এই তো... এই তো...আর মাত্র কিছুক্ষণ। এই যে... ইউরেকা! অ্যাট লাস্ট উই গট জয়ী গোস্বামী!
-এখন কী করবে? মাহমুদের প্রশ্ন।
-ধীরে বৎস ধীরে। এখন আমরা জয়ী থেকে জয়ীর হবু হাসব্যান্ডের আইডি খুঁজে বের করব।
-বাহ তোর তো অনেক বুদ্ধি! এতোক্ষণে মাসুদের ধারণা হয়েছে রিয়াদকে দিয়ে হবে।
-আরে মাসুদ। এইসব হল ঠেকে শেখা বুদ্ধি। হায় হায় এটা কী হইল? রিয়াদের প্রশ্নে আমরা অবাক হলাম।
-কী?
-কী?
-কী?
- আমরা তো জয়ীর হবু হাসব্যান্ডের নামটাই জানলাম না। ওর নাম জানাটা জরুরী। মাসুদ এক কাজ করতো। রাজকে কল লাগা। ওকে জিজ্ঞেস কর জয়ীর বরের নাম কী। এমন ভাবে জিজ্ঞেস করবি যাতে বুঝতে না পারে তুই কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কল দিয়েছিস।

কমরেড রিয়াদের নির্দেশ মাসুদ দক্ষতার সাথে পালন করল। জানা গেল, জয়ীর হাসব্যান্ডের নাম, অনন্ত ভট্টাচার্য।
-দাঁড়াও। জয়ীর ফ্রান্ড লিস্টে যাওয়া যাক! ...শিট!
- কী হল?
-আরে জয়ীর ফ্র্যান্ড লিস্ট হাইড করা! রিয়াদের কণ্ঠ থেকে রাগ ঝরে পড়ছে।
-এখন তাহলে কী হবে? মাহমুদের কণ্ঠে হতাশা।
-চিন্তা করো না মামু। দাঁড়াও, দেখি কী হয়। জয়ীকে একটা ফ্র্যান্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দেই। ওরেব্বাস! আবীর! জয়ী বুঝি ফেসবুক ইউজ করে না? এই দেখ, সাথে সাথে ফ্র্যান্ড রিকোয়েস্ট অ্যক্সেপ্ট! এই যে, এই যে, আমরা অনন্ত জলিল কে পেয়ে যাচ্ছি। আর মিনিটের ব্যাপার মাত্র।
-অনন্ত জলিল না। অনন্ত ভট্টাচার্য। সঞ্জয় রিয়াদের ভুল আবার ধরিয়ে দিল।
রিয়াদ আবার চিৎকার করে উঠল।
-পেয়েছি পেয়েছি । এই যে অনন্ত ভট্টাচার্য! কত শখ তোমার! সিলেট থেকে এতোদূর আসছো তুমি জয়ীকে বিয়ে করতে? দাঁড়াও। মজা বুঝাচ্ছি। সঞ্জয়। নাও। তুমি কবি মানুষ। লিখতে বস।
- আমি আবার কী লিখব?
-চিঠি লেখো। চিঠি। চিঠিতে বলে দাও জয়ী আরেকটা প্রেম করছে। তাকে বিয়ে করলে অনন্ত ঠকবে।
-এখানে আমাকে টানাটানি কেন? আমি লিখি, আর পরে আমার জেল জরিমানা হয়ে যায়!
-লিখ শালা! না লিখলে তোর বউকে গিয়ে বলে দিব ‘শীতল চুম্বন’ কবিতাটা কাকে নিয়ে লিখেছিলি। তখন বুঝবি ঠ্যালা।
মাসুদের শান্টিংএ কাজ হল। গাঁইগুঁই করতে করতে সঞ্জয় লিখতে বসল। মাসুদ রিয়াদ ও মাহমুদের পরামর্শে লেখা চিঠিটা শেষ পর্যন্ত এরকম হল:
সুপ্রিয় ডা. অনন্ত ভট্টাচার্য।
আমাদের প্রণাম নেবেন। আমাদের আপনি চিনবেন না। আমরা আপনার কয়েকজন শুভাকাংখী। পর সমাচার এই যে, জানতে পারলাম আপনার বিবাহ ঠিক হয়েছে। পাত্রী জয়ীতা গোস্বামী। আপনাকে আমরা না চিনলেও জয়ীতাকে আমরা খুব ভাল করে চিনি। আপনি ডাক্তার মানুষ। লোকজনের সেবা করে বেড়ান। তাই আমরা আপনার একটা উপকার করতে চাই। আপনি যাকে বিয়ে করছেন তার সম্বন্ধে মনে হয় বিশেষ খোঁজ খবর করেন নি। না করারই কথা। জয়ীকে আমরা এ পাড়ার হেলেন বলে থাকি। হেলেন অব ট্রয়ের সৌন্দর্য দেখে প্যারিস পাগল হয়ে গিয়েছিল। ভাল মন্দ পূর্বাপর কিছু বিচার না করেই আরেকজনের বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছিল। আপনিও জয়ীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কোন খোঁজখবর না নিয়েই হয়তো বিয়েতে রাজী হয়ে গিয়েছেন। যদি একটু বাস্তববাদী হয়ে খোজঁখবর নিতেন তাহলে জানতে পারতেন আরেকটা ছেলের সাথে জয়ীর বেশ গভীর প্রেম। এ বিষয়টা আমরা সকলে জানি। তাদেরকে আমরা সাইবার ক্যাফেতে ঢুকতে দেখেছি, তাদেরকে আমরা বিভিন্ন পার্কে বেড়াতে যেতে দেখেছি, এমনকি একদিন জয়ীকে কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতের পাশের একটা হোটেল থেকেও বের হতে দেখেছি। আপনি শিক্ষিত মানুষ। আপনি নিশ্চয়ই আমাদের ইশারা বুঝতে পারছেন।
আমাদের যা জানাবার ছিল তা জানালাম। এখন বিচার বিবেচনা সব আপনার হাতে।
ইতি
আপনার কয়েকজন শুভাকাংখী।

চিঠির কিছু কিছু ভাষা আমার পছন্দ হয় নি। জয়কে এমন ডাঁহা মিথ্যা অপবাদ দেয়া হবে এটা আমি একেবারে ভাবিনি। তাই আমি চিঠিটা সেন্ড করতে নিষেধ করলাম । কিন্তু কে শুনে কার কথা! বুঝলাম, এ সভার কোন নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা এখন আর আমার হাতে নাই। রিয়াদ আমাকে কোন সুযোগ না দিয়েই, সেন্ড অপশনে ক্লিক করে দিল।(চলবে)

বি.দ্র: ইতোমধ্যেই আমি আমার বন্ধুদের কারো কারো নাম বা তাদের জীবনের ঘটনা আমার উপন্যাসে উল্লেখ করেছি। কাজটি করেছি আমার এ প্রথম উপন্যাসের দ্বারা তাদেরকে অমর করে রাখার উদ্দেশ্যে(হাহাহা)। আপনাদের আর কেউ যদি নিজের চরিত্রকে বা নিজের কোন ঘটনাকে আমার উপন্যাসে দেখতে চান তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:০৮

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বেশ ভাল

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০৭

কয়েস সামী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.