নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলাবাগান১

বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা দেশপ্রেমের ই অংশ

কলাবাগান১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

SonoLuminescence (শব্দ থেকে আলো) ও ধর্মান্ধতা

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫



পৃথিবীতে জনসংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, ভবিষ্যতে এনার্জির (বিদ্যুত) অভাবে অনেক জাতিকে চরম মূল্য দিতে হবে জীবন ও জীবিকায়। এর সমাধানে যে এনার্জি সোর্সের কথা বিজ্ঞানীরা ভাবছেন সেটা সূর্য্য যেভাবে তার এনার্জি জেনারেট করে (এটম ফিউশন দ্বারা), সে ফিউশন বিক্রিয়াকে ইউজ করে সুর্য্যের মত অফুরন্ত এনার্জি 'তৈরী' করা। কিন্তু প্রবলেম হল এই বিক্রিয়ার (দুটা হালকা অনু কে ফিউশন করা) জন্য যে তাপ মাত্রা দরকার (১৫০, ০০০, ০০০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড) সেটা সুর্য্যের মাঝেই আছে- পৃথিবীতে সেটা তৈরী করা অনেক অসাধ্য। দুটা অনু যখন প্রচন্ড তাপমাত্রায় তাদের নিউক্লিূয়াসগুলি 'জোড়া' লাগে, তখন সে নতুন অনু (এটম) এ রূপান্তরিত হয় আর এর সাথে অনেক এনার্জি ও পরমানু নিউট্রন কে রিলিজ করে। অনেক সাধনার পর Joint European Torus (JET), the world's largest fusion device, কয়েক সেকেন্ডের জন্য মেগাওয়াট পাওয়ার জেনারেট করতে পেরেছে ফিউশনের মাধ্যমে- যেটা এখন পর্যন্ত্য ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।
নিচে সহজ ভাবে বুঝার জন্য ছবি দেখানো হল


কিন্তু কিভাবে ফিউশন ঘটানোর জন্য এই তাপমাত্রা পাওয়া যায়??? ১৯৩০ এর শতকে জার্মান বিজ্ঞানীরা প্রথম শব্দ থেকে আলো তৈরী হওয়ার অবলোকন করেন। যেখানে পানির মাঝে যখন উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সীর শব্দ প্রবাহিত করা হয়, তখনই দেখা যায় যে বিন্দু আকারের বুদবুদ (যেটা নেগেটিভ প্রেশার থেকে তৈরী) যেটা ফেটে (কলাপ্সড) গিয়ে আলো তৈরী করে ..সেই আলো দেখা যায় এক সেকেন্ডের ১০, ০০০,০০০,০০০ ভাগের একভাগ সময়। এটাই হল SonoLuminescence। নিচের ইউটিউব ভিডিতে আরো বিশদ ভাবে বলা আছে। আর বিজ্ঞানীরা দেখতে পেলেন যে এই আলো তৈরীর সময় তাপমাত্রা প্রায় সুর্য্যের পৃস্ঠের তাপমাত্রার সমান হয়।
এখানে ও খুব বিশদ কিন্তু সহজ ভাবে ব্যাখা আছে


'পিস্তল চিংড়ি' লিখে গুগুলে সার্চ দিন তাহলে দেখতে পারবেন কিভাবে এই চিংড়ি তার শিকার ধরার সময় যে প্রচন্ড শব্দ করে তার সাড়াশি দিয়ে..তাতেও পানিতে আলো ও তাপমাত্রা জেনারেট করে।


SonoLuminescence কিভাবে কাজ করে সেটা কিন্তু ফিজিজিস্টরা এখনও শিউর না এবং এটা এখনও পর্দাথ বিজ্ঞানে আনসলভড প্রবলেম বলে 'বিখ্যাত'


যদি সুর্য্যের পৃস্ঠের তাপমাত্রার সমান জেনারেট হয়, তাহলে তো SonoLuminescence দিয়ে হালকা দুটি এটম কে ফিউশন বিক্রিয়া করানো যেতে পারে। যদি SonoLuminescence এর সাথে সাথে পরমানু নিউট্রন কে ডিটেক্ট করা যায়, তাহলেই বলা যাবে যে ফিউশান বিকৃিয়া সম্পূর্ন হয়েছে। এই আইডিয়ার উপর ভিত্তি করেই ভারতীয় বংশভুত বিজ্ঞানী Rusi Taleyarkhan আমেরিকার অক রিজ ল্যাবে প্রথম পেপার পাবলিশ করেন বিখ্যাত জার্নাল Science এ ২০০২ সনে যে উনার SonoLuminescence এক্সপেরিমেন্টের সময় উনি নিউট্রন পরমানু ডিটেক্ট করেছেন। এই পেপার সারা পৃথিবীতে হইচই ফেলে দেন...সবাই উনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া কিছুদিনের মাঝেই বলে প্রেডিক্ট করা আরম্ভ করেন। নিচে দেখুন সেই ঝড় নিয়ে প্রতিবেদন
Rusi's Storm for Bubble Fusion
যে মুহুর্তে এটা পাবলিশ, সে সময় থেকেই তাবদ নিউক্লিয়ার ফিউশন বিজ্ঞানীদের মাথা খারাপ অবস্হা...সবাই আদাজল খেয়ে লাগল এই এক্সপেরিমেন্ট কে রিপিট করার জন্য কিন্তু কারো পক্ষেই সম্ভব হল না সেটা রিপিট করা... সবার মতে উনি যে নিউট্রন ডিটেক্ট করেছেন, সেটা ব্যাকগ্রাউন্ড নিউট্রন... SonoLuminescence থেকে না। ফলাফল Rusi Taleyarkhan এর বিজ্ঞানী হিসাবে পতন। কিন্তু উনি অনড় এবং এখনও উনি উনার যায়গায় স্হির বিশ্বাসে আছেন ...অনেকেই ইদানিং বিশ্বাস করতে আরম্ভ করছে যে Rusi Taleyarkhan হয়ত সঠিক ছিলেন। বিবিসি ২০০৫ সনে নিজের টাকায় এই এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে একটা বিশদ ডকুমেন্টারি তৈরী করে যেটা আপনি নিচের ইউটিউব লিংকে দেখতে পারেন


কিন্তু ধর্ম এল কিভাবে???

বাইবেল বিজ্ঞানীরা এই যে শব্দ থেকে আলো তৈরী হয় সেটা কে GOD এর বলা শব্দ 'Let There Be Light' দিয়ে এই বিশ্ব ব্রম্মান্ড কে সৃস্টি কে প্রমান হিসাবে প্রতিস্ঠা করতে চাইছেন। শয়ে শয়ে ওয়েব সাইট বানানো হয়েছে এটা কে প্রমান হিসাবে ব্যবহার করে
"“In the beginning God created the heaven and the earth. And the earth was without form, and void; and darkness was upon the face of the deep. And the Spirit of God moved upon the face of the waters. And God said, Let there be light: and there was light. And God saw the light, that it was good: and God divided the light from the darkness. And God called the light Day, and the darkness he called Night. And the evening and the morning were the first day.” (Genesis 1:1-5)"
যেমন বাইবেল সাইন্স ফোরাম এর সাইট
GOD created Universe through sonoluminescence
GOD and SonoLuminescence


ভাগ্য ভাল এখনও অন্য ধর্মের লোকজন এটার খবর পায় নাই... তাহলে তারাও এটা নিয়ে নাড়াচাড়া করত...অবশ্য একজন কে পেয়েছি উনি বলছেন পানির বদলে নাকি অলিভ অয়েলে শব্দ দিয়ে আলো এর কথা লিখা আছে যার মাধ্যমে পৃথিবী সৃস্টি করার কথা উনার ধর্মের গ্রন্হে নাকি লিখা আছে...

যুগ যুগ ধরেই দেখে আসছি বিজ্ঞানরা কোন কিছুর আবিস্কারের পরে ই এক দল লোক জন দৌড়ে এসে বলতে আরম্ভ করেন যে এটা তো আমাদের গ্রন্হেই আগেই বলা আছে...একদিন ও দেখলাম বিজ্ঞানীদের আগে ধর্মীয় গ্রন্হ পড়ে কিছু আবিস্কার করতে....
ACCEPT THE SCIENCE.....SCIENCE IS THE BEAUTY OF NATURE

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পানির বদলে অলিভ ওয়েল

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

কলাবাগান১ বলেছেন: Rusi Taleyarkhan এর উচিত ছিল Acetone এর বদলে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করা :D

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

এ আর ১৫ বলেছেন: এই লেখাতো ভাই মাদ্রাসা বিঞ্জানিরা পছন্দ করবে না , আপনি বাইবেলের ভিতরে বিঞ্জানের আবিষ্কার করে দেখালেন , আপনি তাদের ধর্ম বিশ্বাষে চরম আঘাত করছেন !!!!!

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০২

কলাবাগান১ বলেছেন: শব্দ থেকে যে আলো তৈরী হয় সেটা চার্চের লোকজন জীবনে ও কল্পনা করতে পারে নাই কিন্তু এখন যখন বিজ্ঞান এটা বলল, তখন উনারা বলতে আরম্ভ করল যে গড শব্দ থেকে আলো দিয়ে ইউনিভার্স সৃস্টি করেছেন...

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

সিগন্যাস বলেছেন: Sonoluminiscene ঘটার সময় যদি পানিতে সূর্যের সমান তাপ উৎপন্ন হয় তাহলে সেই তাপে পানি বাষ্প হয়না কেন?

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

কলাবাগান১ বলেছেন: গড়ল ভাই সুন্দর করে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। আরেকটু বলি...এটা মাত্র পানির কিছু মলিকিউল এর মাঝে ঘটে যেখানে তাপমাত্রা বাড়ে সেটা পাত্রের সমস্ত পানির অনুপাতে নাই বললেই চলে। উপরের ভিডিওতে দেখতে পারছেন যে আলো দেখা যাচ্ছে একটা বিন্দুর মত। Rusi Taleyarkhan পানির বদলে এসিটোন ইউজ করাতে বড় সাইজের বুদবুদ তৈরী করতে সক্ষম হয়েছিলেন আর তাতেই ফিউশান সম্ভব হয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন।

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

গরল বলেছেন: @সিগন্যাস, এক অণু পানি থেকে বাস্প হতে যে পরিমান তাপ প্রয়োজন হয় তা Sonoluminiscene তা উৎপন্ন হয় না তাই বাস্প দেখা যাচ্ছে না। তাপের মাত্রা ও তাপের পরিমাণ দুটাই প্রয়োজন অনুযায়ী থাকতে হবে। ধন্যবাদ লেখককে সুন্দর করে এত কঠিন বিষয় তুলে ধরার জন্য।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ গড়ল ভাই। চাকরী টা টিকে আছে জঠিল বিষয়গুলি কে সহজ ভাবে ছাত্রদের কাছে উপস্হাপন এর জন্যই।

আপনার দেওয়া Augmented Reality আমাকে অনেক হেল্প করেছে। আমাদের ছেলের খুব ইচ্ছা বায়োমেডিকাল ইনজিনিয়ারিং পড়া। শরীরের ৩-ডি ইমেজের Augmented Reality বায়োমেডিক্যালে হেল্প করবে বলে বিশ্বাস। আপনার পোস্ট পড়ার সাথে সাথে ছেলেকে Coursera এর Introduction to Augmented Reality Course 'ভর্তি' করে দিয়েছি। এই সামারটা ওর খুব প্রোডাক্টিভ ভাবে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। প্রচন্ড উৎসাহ নিয়ে সে প্রতিদিন এসাইনমেন্ট/লেকচার এগুলি করছে।

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৩

সিগন্যাস বলেছেন: আহ যদি কখনো আমরা ফিউশন শক্তি পেয়ে যায় তাহলে দূষণ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।পৃথিবীতেই আমরা বানাতে পারবো আমাদের নিজেদের সূর্য।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

কলাবাগান১ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন..দুষন মুক্ত অশেষ সোর্স অফ পাওয়ার হবে ফিউশান সাকসেসফুল হলেই। পৃথিবীতে অলরেডি মিনি সুর্য্য বানানো আরম্ভ হয়ে গেছে..এই লিং টা দেখুন
Mini Sun on Earth

৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

গরল বলেছেন: বায়োমেডিক্যাল এ হেল্প করার জন্য আর একটা ৩ডি টেকনোলোজী আছে যাকে বলে ভোক্সেল গ্রাফিক্স (Voxel Graphics)



বিস্তারিত দেখতে Torso and Inner Organs of the Visible Human

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ গড়ল ভাই। লিং টা কাজে লাগবে।

৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৩

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ, গুরুত্বপুর্ণ পোষ্টটি দেওয়ার জন্য।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৫

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সম্ভবত এমনো হতে পারে বড় তেলের ঘাণী (সরিষার তেল ভাঙ্গানো ঘাণী’র মতো) তাতে জীব জন্তু এমনকি মানুষকে ও ঢেলে দেওয়া হবে, তেল ও জ্বালানী সংকট মোচনের জন্য তা অনন্য উপাদান - সেই ঘাণী হতে যেই তেল বার হবে তা তেল ও জ্বালানী হিসেবে ব্যাবহার হবে । ভয়ংকর দৃশ্য ।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: দৃশ্যত এখনই তা হচ্ছে...কর্মীদের...তেল বড়লোকের গাড়ীর গ্যাস

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বিজ্ঞানবিষয়ক চমৎকার পোষ্টটি পড়ে আমার মতো অনেকেই লাভবান হবে।
অনেক ভালবাসা রইল লেখকের প্রতি।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ উৎসাহ দেওয়ার জন্য

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সনোলুমিন্যান্সের ব্যাপারটা জানতাম না তবে ডিউটোরিয়াম-ট্রাইটিয়ামের জন্য বেশী এনার্জী দরকার হয় না, মাত্র ১০ মেগাজুল। সমস্যা হলো এই শক্তিটা ৩ ন্যানোসেকেন্ড সময় এবং খুবই ক্ষুদ্র স্থানের (২মিমি) ওপর ফোকাস করা সম্ভব। সার্নে এই ফিউশন প্রক্রিয়ার কিছু অংশ কোলাইডারে করছে কিন্তু তা এফিসিয়েন্ট ছিলো না এই জন্য যে মাত্র কয়েকটা অনু ফিউশন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে আর বাকি সব তাপে পরিনত হয়।


৭০ কিংবা ৮০ এর দশকে হেলিয়ন সেঞ্চুরিয়নে আমেরিকার মেলেটারী ফিউশন ফিশন বা আইসিএফের ওপর একটা ডিটেইল এক্সপেরিমেন্ট চালায় এই ডিউটেপিয়াম ট্রাইটিয়াম দিয়ে যার পাবলিকেশন এখন উন্মুক্ত। মার্কিন কংগ্রেস এমন লেজার বানানোতে গড়িমসিকরে। লিংক দিতে পারলাম না জার্নালের কমেন্ট নিচ্ছে না

২০১৭ সালে চায়নার ১০০ সেকেন্ডারি এই রিএ্যাকশনটা পড়ে দেখতে পারেন। হাইড্রোজেন বোম্ব এই প্রক্রিয়া অনুসরন করেই তৈরী

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৮

কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ উদাসী ভাই...লিখাটা মেইনলি লিখেছি যারা বলে যে আয়াতুল কুরসি পড়ে রেডিও আবিস্কার হয়েছে তাদের যে সপ্তম শ্রেনীর ধারনা নিয়ে সেটা বুঝানোর জন্য (এই খোচা টা বুঝার ও জ্ঞান নাই উনার, তাই গবেষনা পাবলিকেশন বিহীন ড:শমসের আলীই উনার কাছে বিরাট বিজ্ঞানী।

জীববিজ্ঞান এর মানুষ হিসাবে, পর্দাথবিজ্ঞান শুধু ফলো করি পুপলার সাইন্স পড়ে ...ডিটেইল বুঝার অবস্হা এখনও হয় নাই...

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩১

কলাবাগান১ বলেছেন: Rusi Taleyarkhan কে নিয়ে আপনার কি কোন মন্তব্য আছে? আমি দোটানায় আছি ...একজন অক রিজ ল্যাবের বিজ্ঞানী এত বড় 'ভুল' করতে পারে বলে বিশ্বাস হয় না....

১১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই আমি রুসির ভুল ধরি নাই। বরংচ নিজেরই লজ্জা লাগছিলো এটা পড় হয় নাই। যদিও পাঠ্যসুচিতে এটা এক্সট্রা ছিলো। কিন্তু বাদ পড়ছিলো কেমনে যেনো। এত সুন্দর একটা বিষয় বাদ গেছে এটা ভেবেই আশ্চর্য লাগছে

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৫১

কলাবাগান১ বলেছেন: আমি সেটা বলি নাই যে আপনি রুসির ভুল ধরেছেন। আমি জাস্ট কৌতুহল থেকে আপনার মতামত জানতে চেয়েছিলাম।

১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: We use the Complete Anatomy app for anatomy. There are other free apps too.

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

কলাবাগান১ বলেছেন: Son wants to be the developer of apps for biomedical engineering application

১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @ বাংলাদেশ হোক রাজাকার মুক্ত
বুকে সাহস নাই? রাজাকারকে এত ভয় পান ক্যালা??:P


অনুসরণ করা হইল.......

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

কলাবাগান১ বলেছেন: রাজাকারদেরে বিরূদ্ধে সংগ্রাম সেই ১৯৭১ সন থেকে চলে আসছে

১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:০৩

এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: That's great!

Just spent 6 hours straight in the donor lab learning structures....

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২৪

কলাবাগান১ বলেছেন:

১৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: থিওরী নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। কারন এটা অনেকটা ইমপ্যারিক্যাল ব্যাপার। একে সাপোর্ট করার মতো বেশ কিছু ভালো থিওরী আছে কিন্তু সেসব থিওরী দিয়ে ক্যালকুলেশন সে পরিমান আউটপুট পাবার কথা না। কিন্তু Rusi Taleyarkhan এর ব্যাপারটা ফিশি কারন সবাই জানে যে সোনোল্যমিন্যান্স একটা ইমপ্যারিক্যাল ব্যাপারে কিন্তু তার এক্সপেরিমেন্টের যে ডাটা গুলো সেগুলো যে এভাবে মিলে যাবে সেটা ধারনার বাইরে। আপনি হিসাব মেলাবেন আউটপুট দেখে তখন সে এক্সেরিমেন্ট নিয়ে দাতারা অবশ্যই প্রশ্ন করবে। যখন দেখা গেলো ঐ এক্সপেরিমেন্টের সেই আউটপুর অন্যকোথাও পাওয়া যাচ্ছে তাহলে এটা সায়েন্টিফিক মেথোডলজির বেসিক ক্রাইটেরিয়ার পরিপন্থি। সে হিসেবে তার ওপর ডিসবার ঠিক আছে।

তবে থিওরীটা অনেকটা ইন্ট্রিগিং এবং অসাধারন একটা ব্যাপার।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৩

কলাবাগান১ বলেছেন: "আপনি হিসাব মেলাবেন আউটপুট দেখে তখন সে এক্সেরিমেন্ট নিয়ে দাতারা অবশ্যই প্রশ্ন করবে। যখন দেখা গেলো ঐ এক্সপেরিমেন্টের সেই আউটপুর অন্যকোথাও পাওয়া যাচ্ছে তাহলে এটা সায়েন্টিফিক মেথোডলজির বেসিক ক্রাইটেরিয়ার পরিপন্থি।"

আসলেই এখানে উনি ভুল টা করেছেন...উনি যদি সঠিক হতেন তাহলে এতদিনে এই ফিল্ড টা অনেক দুরে চলে আসত..যেহেতু এগিয়ে আসে নাই, তাই সন্দেহ থেকেই যায়...

১৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ গবেশনামুলক মুল্যবান লেখাটির জন্য । আপনি ঠিকই বলেছেন শক্তির বিকল্প উৎসের জন্য নিউক্লিয়ার ফিউসন এনার্জি সাইনটিস্টদের জন্য এখন আর কোন অলীক স্বপ্ন নয় , এটা এখন বাস্তবতার অনেক কাছাকাছি । যদিউ most efforts to kickstart the process use high-intensity lasers, insane magnetic fields and super-hot hydrogen plasmas. However there may be a more humble alternative known as sonofusion that involves bubbles । ভারতীয় বংশোদ্ধত বিজ্ঞানী Rusi Taleyarkhan এর উদ্ভাবন নিয়ে কনট্রোভারসারী দেখা দেয়ায় Purdue University গঠিত ইনকোয়ারী টীম ২০০৮ সালে falsification of the research record এর জন্য যদিউ তাকে judged guilty of research misconduct and stripped of his full titled professorship, the Office of Naval Research, one of his funders barred him from federal funding for 28 months । তবে এত কিছুর পরেও তাকে দমিয়ে রাখা যায় নাই ।
ভালই বলেছেন research into bubble fusion is not dead, recently things have moved on and the sonofusion name has been cast off. First Light Fusion, for instance—a spin-out from the University of Oxford—claims to be studying the use of intense shockwaves to crush gas-filled cavities, inducing asymmetric collapses that concentrate energy in space and time।

যাহোক এই গুরুত্বপুর্ণ বৈজ্ঞানিক আলোচনাকে অতি সহজভাবে তথ্য ও চিত্রের সাহায্যে এখানে তুলে ধরেছেন দেখে ভাল লাগল । মুল্যবান এ সমস্ত বিষয় নিয়ে সামুতে আরো বেশী বেশী পোষ্ট আসুক এবং সকলে এ ধরনের বিজ্ঞান বিষয়ক লেখার উপ আলোচনায় অংশ নিলে ভাল হয় । বিজ্ঞানের সাথে ধর্ম ও ধর্মের সাথে বিজ্ঞানেরও যোগসুত্র পেতে কিংবা বিজ্ঞানের আলোকে ধর্মকে আরো ভালভাবে বুঝার সে সাথে সৃষ্টি কর্তা বিধাতার অপরূপ ও বিশাল বিজ্ঞ জনোচিত ক্ষমতার পরিচিতি পেতে সক্ষম হবেন । বিধাতার সৃস্টির পরতে পরতে থাকা গুপ্ত রহস্য যা ক্রমে তারই সৃস্ট মানুষের হাতে তারই প্রদত্ত জ্ঞানের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ক্রমে ক্রমে উদ্ঘাটিত হচ্ছে সে সকল অপার সৃস্টি মহাত্ম বুঝতে সহায়তা করবে । তারঁ সৃস্টি নিয়ে যতই গবেষনা করবে ততই তাঁর সম্পর্কে জানতে পারবে । বলাই আছে পৃথিবীর সমস্ত জলকে কালী বানিয়ে লিখলেও তাঁর গুনাবলী লিখে শেষ করা যাবেনা । আর এখনকার যে কোন ধর্মগ্রন্থ লিখতে ( মানে কপি করতে ) মাত্র একটি বলপেনের ছোট টিউবের কালীই যথেষ্ট । তাই বর্তমানের ধর্মগ্রন্থে কোন বিষয় বিশদভাবে উল্লেখ না থাকাই স্বাভাবিক , সেখানে শুধু কিছু ধারনা ও চিন্তা এবং সে গুলি নিয়ে গবেষনা করার সুযোগ থাকার কথা বলা হয়েছে । সেখান হতে ধারনা নিয়ে সঠিকভাবে অনুমান করে হাইপোথিসিস দাঁড় করিয়ে যে কোন বিজ্ঞানীই ( যে যেকোন ধর্মেরই হতে পারে) যে কোন আবিস্কার কিংবা থিউরী দাঁড় করাতে পারে , তাতে বিজ্ঞানের নয় ধর্মেরই মহাত্ম বাড়বে, কারণ বিজ্ঞান ধর্মের মধ্যেই নিহীত , কোন কিছু জানা ও বুঝার জন্যই বিজ্ঞান ব্যবহার করা হয় , পুরা প্রসেসটার নামই বিজ্ঞান , তাই বিজ্ঞান অবলম্বন ছাড়া ধর্মের দোয়ারেও কেও পৌঁছতে পারবেনা ।বিজ্ঞান মুলত বিধাতা প্রদ্ত্ত জ্ঞান সাধনারই একটি পদ্ধতি এটা বিধাতা প্রদত্ত ফসল বলেই ধরে নিতে হবে । বিজ্ঞানীরা যা কিছু আবিস্কার করছেন তা নতুন কিছু নয়, সবই দেখা যায় বিধাতা তাঁর সৃস্টি জগতের কোথাও না কোথাও সৃস্টি করেই রেখেছেন, মানুষ ( বিজ্ঞানীকুল সহ ) শুধু এখন তা , তারই প্রদত্ত জ্ঞান ক্ষমতা সঠিকভাবে প্রয়োগ করে গবেশনা দ্ধারা জানতে পারছে ,প্রয়োগিকভাবে উদ্ভাবন ও ব্যবহার করতে সক্ষম হচ্ছে । আর এই কৃতিত্ব, শুধুমাত্র আবিস্কারক নীজেই নহেন তার সহায়ক পরিবেশ , অবকাঠামো ও পৃষ্ঠপোষকদেরও প্রাপ্য , আর এসকলের পিছনে যতকিছু আছে তার জন্য সকল প্রকারের কৃতজ্ঞতা এর মুল সৃজনকারী সৃস্টি জগতের মালিকরই প্রাপ্য।

মুল্যবান পোষ্ট টি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৯

কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ সুচিন্তিত মতামতের জন্য। তবে আপনার কথা সবটাই মেনে নিতে পারলাম না।

"সেখান হতে ধারনা নিয়ে সঠিকভাবে অনুমান করে হাইপোথিসিস দাঁড় করিয়ে যে কোন বিজ্ঞানীই ( যে যেকোন ধর্মেরই হতে পারে) যে কোন আবিস্কার কিংবা থিউরী দাঁড় করাতে পারে "

আমার জানা মতে ধর্ম গ্রন্হ থেকে ধারনা নিয়ে কোন বিজ্ঞানী কিছু আবিস্কার করেছে বলে জানা নাই...আমার নিজের ল্যাবের রিসার্চ ধারনা পাই মেইনলি পিয়ার রিভিয়ড পাবলিকেশন থেকে ...ধর্ম গ্রন্হ থেকে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.