নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য আমাকে কেবলই পিছুটানে!!

কামরুন নাহার বীথি

আমি কিছুটা ভ্রমণবিলাসী আর ফুলের প্রতি আছে আমার আজন্ম ভালোবাসা

কামরুন নাহার বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাশ্মশান

১৭ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১৭



পশুপতিনাথ মন্দিরঃ- কাঠমান্ডুর পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে পবিত্র বাগমতি নদীর তীরে প্রসিদ্ধ হিন্দুতীর্থ পশুপতিনাথ মন্দির অবস্থিত। নেপাল তথা সমগ্র হিন্দু তীর্থযাত্রীদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান। হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবার এই শেষ ইচ্ছে থাকে, তার শেষকৃত্য যেন পশুপতিনাথ মন্দিরে করা হয়।

মন্দিরটি ভগবান পশুপতিনাথের জন্য স্থাপিত। এটি ইউনেসকোর “বিশ্ব ঐতিহ্য” (ওয়ার্ড হেরিটেজ) -এর তালিকায় রয়েছে।

পশুপতিনাথ মন্দিরের উৎপত্তি নিয়ে বহুবিধ কাহিনী প্রচলিত আছে। একটি কাহিনী এরকমঃ- শিব এবং পার্বতী তাদের মর্তে সফরকালে কাঠমান্ডু ভ্যালীতে এসেছিলেন এবং বাগমতি নদীর তীরে বিশ্রাম করছিলেন। শিব কাঠমান্ডু ভ্যালীর সৌন্দর্যে এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, তারা (শিব এবং পার্বতী) হরিণের রুপ ধারন করে বনের মাঝে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। কিছু সময় পর অন্য দেবতারা তাদেরকে খুঁজতে থাকেন। অনেক সমস্যার পরে তারা বনের মাঝে শিবকে খুঁজে পান। কিন্তু শিব ফিরে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি ঘোষণা দেন যে, যেহেতু তিনি একটি হরিনের রূপ নিয়ে বাগমতি নদীর তীরে অবস্থান করেছেন, তিনি এর পর থেকে বনের সম্রাট পশুপতিনাথ নামে পরিচিত হবেন।

সেই বাগমতির তীরেই পশুপতিনাথ মন্দির স্থাপিত হয়। বলা হয়, ওই মন্দিরে যে শিবলিঙ্গ রয়েছে, সেটি স্পর্শ করলে পরবর্তি জীবনে কেউ কোন পশুর রূপে জন্মগ্রহন করবে না।

রুপার তৈরি কারুকার্য করা দরজা আর গিলটি করা প্যাগোডাধর্মী মন্দিরের গর্ভগৃহে কালো পাথরের পঞ্চমুখী লিঙ্গ রূপী মহাদেব পূজিত হন। গর্ভগৃহে সাধারনের প্রবেশ নিষেধ, তাই চারদিকের চার দরজা দিয়ে লিঙ্গমুর্তির চতুর্মুখ দেখা গেলেও পঞ্চম মুখের দেখা মেলে না ভক্তদের। প্রতিমাসের একাদশীতে যাত্রী সমাগম হয় অন্য দিনের চেয়ে বেশী। আর শিবরাত্রিতে জমকালো উৎসব হয়। পবিত্র বাগমতির জলে পুণ্যস্নান সেরে পূজা দেয় ভক্তরা শিব/মহাদেবের উদ্দেশ্যে। ভক্তরা বিশ্বাস করে, পশুপতিনাথ দর্শনার্থীদের রুদ্রাক্ষের জপমালা কিনতে হয়, না হলে অসম্পূর্ণ থেকে যায় দর্শন। নন্দী, ভৃঙ্গী, ভৈরব, বীরভব, গনেশ প্রভৃতি মহাদেবের পার্শ্বচরেরাও আছেন এ চত্বরে। এই মন্দিরে অদূরেই মহাশ্মশান।

অহিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ। তাই আমরা "দাহ করা" দেখেছি বাগমতি নদীর অপর তীর থেকে। নদীর উপরে ব্রীজ। মূল মন্দির আর শ্মশান নদীর এক পাড়ে। বাগমতি নদীটি এখন প্রায় খালের আকার ধারন করেছে। আমাদের সাথে অনেক দেশ বিদেশের পর্যটক ছিলেন।

পশুপতিনাথ মন্দিরে তোলা কিছু ছবি আজ পোষ্ট করলামঃ-


পশুপতিনাথ মন্দির (মূল মন্দির)


পশুপতিনাথ মন্দির কমপ্লেক্স


পশুপতিনাথ মন্দির কমপ্লেক্সে এমন ছোট ছোট অনেক মন্দির দেখা যায়


মন্দিরে এমন হনুমান স্তম্ভ এখানে সেখানে দেখা যায়

জীবনে আমি এই প্রথম দেখলাম শ্মশানঘাট; এত কাছে থেকে একটি মৃতদেহকে সৎকার করা। নদীর তীরে সারি সারি চিতার বেদী। অনেক চিতা তৈরি করা হয়েছে। কিছু জ্বলছে, কিছু নতুন। কোনোটা থেকে ধোঁয়া উঠ্‌ছে, কোনোটা থেকে মাথার খুলি ফেটে যাওয়ার শব্দ আসছে। কোথাও সন্তানের বুকফাটা কান্না, কোথাও সন্তান চিতায় আগুন দিচ্ছে। খুব কষ্ট নিয়ে দেখলাম এই “দাহ প্রথা” আর সেই মৃত আত্মার শান্তি কামনা করলাম!!! একপাশে সারি সারি ছোট ছোট মন্দির। এখানে সম্ভ্রান্ত পরিবার/রাজ পরিবারের মৃতদের দাহ করা হয়েছে। সেখানে ছোট করে মন্দির তৈরি করা হয়েছে। এই মন্দিরগুলোকে চৈতা মন্দির বলা হয়। চিতার উপরের মন্দির, তাই এর নাম চৈতা মন্দির।



মৃতদেহ চিতায় আনা হচ্ছে

মৃতদেহ চিতায় রাখা হলো

হালকা জ্বালানী খড় দিয়ে ঢেঁকে, পরিধেয় শেষ বস্ত্রটিও খুলে নেওয়া হলো

সন্তানের বুকফাটা কান্না

হাতে হাত ধরে সম্ভবতঃ প্রার্থনা করছেন

চিতার চারপাশে আগুন নিয়ে ঘুরে, আগুন লাগানো হচ্ছে

সন্তান আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছেন

জ্বলে উঠলো চিতা

জ্বলছে চিতা

একসময় পুড়ে নিঃশেষ

আরও আসছে মৃতদেহ

আরো চিতা সাজানো হচ্ছে


চৈতা মন্দির

আমি এই ব্রীজের এপাশ থেকে ছবিগুলো তুলেছি

নদীর এপারে (মূল মন্দিরের বিপরীতে) আরো অনেক মন্দির আছে যা আমরা দেখলাম, ঢোকার অনুমতি আছে। তার মধ্যে রাম মন্দির উল্লেখযোগ্য। রাম মন্দিরের পাশে একজন ‘রামভক্ত হনুমান’ সেজে আছেন। ভক্তরা অনেকে তার কাছে আশীর্বাদ নিচ্ছে্ন, সাথে ছবিও তুলছেন। কিছু সাধুবাবা পুরোদস্তুর সাধু-সন্নাসী সেজে বসে আছেন। ছবি তোলার অনুমতি চাইলাম, সুন্দর পোজ দিলেন। ছবি তোলার পরে তাদের বকশিশও দিতে হলো।


রামভক্ত হনুমান

ভক্তরা হনুমানের আশীর্বাদ নিচ্ছেন

মন্দির প্রাঙ্গনের সাধুবাবা

গত ২৫শে এপ্রিল/২০১৫-এর ভুমিকম্পের পরে এই পশুপতিনাথ মন্দিরের শত শত চিতার বেদীতে হাজারো মৃতের সৎকারের স্থান সংকুলান হয়নি।এই নদীর পাড়ে, খোলা মাঠে তাদের দাহ করা হয়েছে। সেই হাজার হাজার মৃত আত্মার মুক্তি কামনা করি, পরকালে শান্তি কামনা করি!!!!
*********************************************************

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

সুমন কর বলেছেন: কষ্টদায়ক সব ছবি !!!

১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:০২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমিও প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছিলাম!!
এখোনো ছবিগুলো দেখলে শিউরে উঠি!

২| ১৭ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কি হৃদয়বিদারক দৃশ্য। কখনো দেখিনি। ছবিতে কিছুটা বুঝতে পারলাম।

১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:১১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: সত্যিই হৃদয়বিদারক!!
আমিও কখোনো দেখেছিলাম না।
আমাদের সাথে বহু পর্যটক এ অবস্থা দেখছিলেন, ছবি তুলছিলেন।
ঝোঁকের মাথায় আমিও ছবি তুলেছিলাম, কিন্তু এখন আর সইতে পারি না!!!!

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: এই প্রথম আপনার কোন পোষ্ট পড়ে আমার মন খারাপ হয়ে গেল! কিসের পিছনে ছুটছি আমরা? ছুটছে মানুষ?

১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:১৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হুম্ম, কেউ যদি এটাই মনে রাখত, দুনিয়া বেহেস্ত হয়ে যেত!!
ভাল থাকবেন জামাল ভাই!!!

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

বৃতি বলেছেন: একেবারেই অজানা কিছু সম্পর্কে ধারণা হল। শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।

১৮ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:০৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও!!!

৫| ১৮ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:০৩

প্রামানিক বলেছেন: ছবিতে দেখা হলো চিতায় মানুষ পোড়ানো সাথে মন্দীরের কাহিনী জানা হলো। ধন্যবাদ কামরুন্নাহার আপা।

১৮ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমারও প্রথম দেখা, তাই শেয়ার করেছি সবার সাথে!
ভাল থাকবেন প্রামানিক ভাই!!

৬| ১৮ ই জুন, ২০১৫ রাত ২:৩১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অজানকে জানার আশায় পড়তে গিয়ে জানার সাথে সাথে বিষন্নও হয়ে গেল মনটা।। প্রিয়জনদের নিজহাতে দাহ করার ব্যাপারটি মর্মবিদারী হলেও ভাবছি আমরাও একই কাজ করি,কিন্তু ভিন্নভাবে।। আসলে মানুষের শেষ বিদায়ের পরিনতিটা খুবই করুন।।

১৮ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:২০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ঠিক তাই, মানুষের শেষ বিদায়ের পরিনতিটা খুবই করুন।।
আমিও অজানাকে জানব বলেই ওখানে গিয়েছিলাম! কিন্তু এখোনো ভাবতে পারি না সে সব দৃশ্য!!!

ভাল থাকবেন সব সময়!!

৭| ১৮ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

আমি মিন্টু বলেছেন: কষ্ট লাগলেই বা কি করবো । আমাদের সকলে ভাগ্যের পরিনয় ওই একই অবস্থা হবে ।
হয়ত মুসলিম হলে কবর আর হিন্দু হলে পুড়ে ছাই পার্থর্ক্য এটাই ।
শেয়ারে ধন্যবাদ আপু ।ভালো তথ্যমূলক পোস্ট ।

১৮ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ঠিক তাই, হয়ত মুসলিম হলে কবর আর হিন্দু হলে পুড়ে ছাই পার্থর্ক্য এটাই ।

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে! আমার ব্লগ বাড়ীতে স্বাগতম!!!

৮| ১৮ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

জুন বলেছেন: আমি অনেক ছোট থাকতে একবার চিতায় দাহ করা দেখেছিলাম অনেক দূর থেকে । আগুন আর ধোয়া ছাড়া কিছুই দেখিনি । আজ আপনার চোখে কাছ থেকে দেখা হলো । অভিনব পোষ্ট এ অনেক ভালোলাগা কামরুন্নাহার বিথী
+

১৮ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা আপু!
আপনাকে আমার পোষ্টে পেয়ে সত্যিই আমি আনন্দিত!

৯| ১৮ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কি হৃদয়বিদারক দৃশ্য। কখনো দেখিনি। ছবিতে কিছুটা বুঝতে পারলাম।

নেপাল ভ্রমণ করার ইচ্ছা ছিল খুব, পাসপোর্ট রেডি করে এবছর যাওয়ার প্ল্যান ছিল। কিন্তু প্রকৃতি নেপালকে এলোমেলো করে দিল, এখন আর যাওয়া হচ্ছে না। আপনার পোস্ট ঘুরে ঘুরে নেপাল দেখা হচ্ছে, যদিও আজকের পোস্ট মন খারাপ করনিয়া বিষয় নিয়ে। :(

ভালো থাকুন আপু, শুভকামনা নিরন্তর।

১৮ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা আজকের পোষ্টটি মন খারাপ করে দেয়া, কিন্ত আমি প্রধানতঃ লিখতে চেয়েছিলাম পশুপতিনাথ মন্দির নিয়ে!
কিন্ত সেটি আড়াল হয়ে গেছে নামকরণ -এর কারণে!!!

আপনি নেপালে যান, ভূমিকম্পে নেপালের সৌন্দর্যের কতটুকুই বা ক্ষতি হয়েছে!!
আমার লেখায় আমি সে দেশের সৌন্দর্যের এক কণাও তুলে ধরতে পারনি!!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য!!

১০| ১৯ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: নেপালে যাওয়া ইচ্ছে অনেক দিনের।আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে প্রকৃতি কন্যাকে এখনই দেখে আসি। আকাশ পথে নয়।স্থল পথে যাওয়ার ইচ্ছে। কিন্তু কি ভাবে কি করতে হবে কেউ জানালে উপকৃত হতাম।

আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:০৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: নেপালের কাকরভিটা সীমান্ত আর বাংলাদেশের পঞ্চগড় সীমান্ত!
মাঝে ভারতের একটু করিডোর, সম্ভবত ঘন্টা তিনেকের ড্রাইভ! আমার ঠিক মনে নেই।
আর আপনার ভারতের ভিসা লাগবে, নেপালেরতো অন এরাইভাল।
দেখে আসুন নেপালকে, খুব ভাল লাগবে।

১১| ২০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

জহিরুল ইসলাম কক্স বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন

২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে!!

১২| ২০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: গত বছর ভারতীয় ভিসায় দার্জিলিং গিয়েছিলাম।আমার প্রশ্ন ভারতীয় ভিসায় ভারত অংশ পেরুনোর পর কি নেপালের কাকরভিটায় অন এরাইভাল ভিসা পাওয়া যাবে? শুনেছিলাম অন এরাইভাল ভিসা কেবল এয়াপোর্টে দেয়া হয়।অর্থাৎ যারা বিমানে নেপাল ঢুকবে তাদের জন্য(ত্রিভূবন বিমান বন্দরে)।

২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: দুঃখিত, আমিতো এইটা জানিনা যে বাইরোডে গেলে অন এরাইভাল ভিসা পাওয়া যায় না।
জেনে নিতে হবে।

১৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এত চমৎকার একটি এত দেরিতে নজরে আসলো কেন বুঝতেছিনা ।

চিতার ছবি গুলি হৃদয় বিদারক !

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক দিন পরে হলেও খুঁজে পেয়েছেন, এতেই আমার লেখা সার্থক!!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!!

১৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চিন্তার চেয়ে চিতার আগুন ভাল এরকম একটা গান শুনেছিলাম! মনে পড়ে গেল!

কিংবা
দু দিন পরে কেউবা হবে ধূলি কেউবা হবে ছাই!!!! এই বাক্যাটি নিয়েও গানটা ছিল চমৎকার!!

আমাদের সকল কিছূ শূন্য হয়ে যায় ভ্রমণের শেষাংকে! আর থই খুজে পাইনা। এরপর কি? এরপর কি? সবই ধোঁয়াসা, অজানা!!!

সেই শূণ্যতা ভুলতেই কি মানুষ এত এত জড়কে জড়িয়ে থাকে! সেই শূণ্যতার ভীতি কাটাতেই কি আপনা আপনা বানানোর খেলা খেলে?
সেই ভীতি থেকে পরিত্রাণের আশায়ই কি প্রেমের স্বপ্ন দেখে! নৈক্যট্যের জন্য এত আকুলি বিকুলি!!!!

কি জানি! সবই ভ্রম! সবই মায়া!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: বিষন্ন করে দিলামতো!! ক্ষমা করবেন আমায়!!
যা প্রথম দেখেছি, সেগুলো শেয়ার করবার লোভ সামলাতে পারিনি!!!
যেমন দেখেছি শেষকৃত্য, তেমনি দেখেছি মহা সমারহে বিয়ের ওনুষ্ঠানও!!
এগুলোও শেয়ার করব হয়তো একদিন!

আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.