নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য আমাকে কেবলই পিছুটানে!!

কামরুন নাহার বীথি

আমি কিছুটা ভ্রমণবিলাসী আর ফুলের প্রতি আছে আমার আজন্ম ভালোবাসা

কামরুন নাহার বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঠান মুলুকে - ১ (এক)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:২২



পাঠান বলতে আমরা সাধারনতঃ আফগানিস্তানের অধিবাসী বুঝি।পাঠান জাতি বেশীরভাগ বাস করে আফগানিস্তানে, আর এর পরেই পাকিস্তানে। আফগানিস্তানের সরকারী নাম আফগানিস্তান ইসলামী প্রজাতন্ত্র। (পশতু ভাষায়ঃ দে আফ্‌গানিস্তান্‌ ইস্‌লামি জোম্‌হোরিয়াৎ‌; ফার্সি ভাষায়ঃ জোম্‌হুরীয়ে এস্‌লমীয়ে অ্যাফ্‌গ়নেস্তন্‌।) আফগানিস্তানকে অনেক সময় দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অংশ হিসেবেও গণ্য করা হয়। আফগানিস্তানের উত্তর সীমানায় তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান; পূর্বে চীন এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর; দক্ষিণে পাকিস্তান এবং পশ্চিমে ইরান। আফগানিস্তান শব্দটির অর্থ- "আফগান (পশতুন) জাতির দেশ"।

আফগানিস্তান একটি রুক্ষ এলাকা - দেশটির অধিকাংশ এলাকা পর্বত ও মরুভূমিতে আবৃত। পর্বত উপত্যাকাগুলি আর উত্তরের সমভূমিতেই কেবল গাছপালার দেখা মেলে। এখানকার গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া গরম ও শুষ্ক এবং শীতকালে এখানে প্রচণ্ড শীত পড়ে। কাবুল দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। কাবুল আফগানিস্তানের পূর্ব-কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত। অন্যান্য প্রধান শহরের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণের কান্দাহার, পশ্চিমের হেরাত এবং উত্তরের মাজার ই শরীফ। ছোট শহরগুলির মধ্যে আছে পূর্বের জালালাবাদ, কাবুলের উত্তরে অবস্থিত চারিকার, এবং উত্তরের কন্দোজ ও ফয়েজাবাদ।

আফগানিস্তানের অধিকাংশ অঞ্চল সুউচ্চ পর্বতময় এলাকা। দেশটির প্রায় অর্ধেক এলাকার উচ্চতা সমুদ্র সমতল থেকে ২,০০০ মিটার বা তার চেয়ে উঁচুতে অবস্থিত। ছোট ছোট হিমবাহ ও বছরব্যাপী তুষারক্ষেত্র প্রায়ই পরিলক্ষিত হয়। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত ৭,৪৮৫ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট নওশাক আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এক সময় 'কাবুলিওয়ালারা' আমাদের দেশে ব্যবসা করতে আসতো। পেস্তা, বাদাম, কাজুবাদাম, কিসমিস, আখরোট, নানা রকমের রঙিন মুল্যবান পাথর নিয়ে আসত, যা অলংকারে ব্যবহৃত হতো।

আফগানিস্তান প্রাচীনকাল থেকেই এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিস্থল হিসেবে পরিচিত। বহু প্রাচীন বাণিজ্য ও বহিরাক্রমণ এই দেশের মধ্য দিয়েই সংঘটিত হয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহু লোক আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে চলাচল করেছেন, এবং এদের মধ্যে কেউ কেউ এখানে বসতি স্থাপন করেছেন। দেশটির বর্তমান জাতিগত ও ভাষাগত বৈচিত্র্য এই ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়। আফগানিস্তানে বসবাসরত সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী হল পশতুন বা পাঠান জাতি। এরা আগে আফগান নামেও পরিচিত ছিল। তবে বর্তমানে আফগান বলতে কেবল পশতুন নয়, জাতি নির্বিশেষে রাষ্ট্রটির সব নাগরিককেই বোঝায়।

আফগানিস্তান প্রশাসনিকভাবে ৩৪টি প্রদেশ বা ওয়েলায়েত-এ বিভক্ত। প্রতি প্রদেশের নিজস্ব রাজধানী আছে। প্রদেশগুলি আবার জেলায় বিভক্ত। একেকটি জেলা সাধারণত একটি করে শহর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল নিয়ে গঠিত।

ধর্মই আফগানিস্তানের বিভক্ত জাতিসত্তার দৃঢ়তম বন্ধন। আফগানদের প্রায় ৯৯ শতাংশই মুসলিম। এদের মধ্যে ৮৪ শতাংশ সুন্নি এবং প্রায় ১৫ শতাংশ শিয়া মুসলিম। শহরগুলিতে অল্পসংখ্যক হিন্দু, শিখ, পারসিক ও ইহুদী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। ১৯৬০-এর দশক থেকে অনেক আফগান ইহুদী ইসরায়েলে পাড়ি দিয়েছেন। হযরত আলির (রাঃ) কবর মাজার-এ-শরিফ অনেক মুসলিমের তীর্থস্থল।






প্রথম দেখা কাবুল।


ছাত্রীরা স্কুলের পথে


নিস্পাপ শিশুরা


জহিরুদ্দীন মোহাম্মদ বাবর ছিলেন মায়ের দিক থেকে চেঙ্গিস খানের বংশধর আর বাবার দিক থেকে তৈমুর লঙের বংশধর। তিনি ১৫০৪সালে কাবুল দখল করেন এবং তারপর ভারতে যেয়ে মুঘল সাম্রাজ্য স্থাপন করেন।

১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীর পুরোটা জুড়ে ভারতে অবস্থিত মুঘল সাম্রাজ্য এবং পারস্যের সাফাউইদ রাজ বংশের রাজারা আফগানিস্তানের দখল নিয়ে যুদ্ধ করেন। সাধারণত মুঘলেরা কাবুলের দখল রাখত এবং পারসিকেরা হেরাত দখলে রাখত, আর কান্দাহারের শাসনভার প্রায়ই হাতবদল হত।

১৭৪৭ সালে আহমদ শাহ দুররানি কান্দাহার শহরকে রাজধানী করে, এখানে দুররানি সাম্রাজ্যের পত্তন করেন । তখন থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান একটি রাজতন্ত্রছিল। অনেক হাতবদল হয়ে ১৯১৯ সালে তৃতীয় ব্রিটিশ-আফগান যুদ্ধশেষে আফগানিস্তান দেশটি ব্রিটেন থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে আফগানিস্তানে এক দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিপ্রায়ে ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান আক্রমণ করে এবং সোভিয়েত- আফগান যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েতরা আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয় এবং এর সাথে সাথে দেশটিতে আবার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে তালেবান নামের একটি মুসলিম মৌলবাদী গোষ্ঠী কাবুলের দখল নেয়। তালেবান সন্ত্রাসবাদী দল আল-কায়েদাকে আফগানিস্তানে আশ্রয় দেয়। ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০০১-এর সন্ত্রাসী হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান আক্রমণ করে এবং ২০০১-এর শেষে তালেবানদের উৎখাত করে। ২০০৪ সালে আফগানিস্তানের সংবিধান নতুন করে লেখা হয় এবং একটি রাষ্ট্রপতি-ভিত্তিক গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা চালু হয়। যুদ্ধে যুদ্ধে বিধ্বস্ত এই দেশটি এখনও অশান্ত। তালেবানদের গুপ্তহত্যা চলছেই।


বিভিন্ন গোত্রের সর্দারগন ।


মরু বাহন।










সবুজ কাবুল


বিধ্বস্ত রাজবাড়ী


বিধ্বস্ত রাণীমহল




বিধ্বস্ত দেশ


জাতিসংঘের তত্বাবধানে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ চলছে এখন। বাড়ী-ঘর, রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সবই ছিল বিধ্বস্ত। জাতিসংঘের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে আমার হাসবেন্ড ছয় বছর আফগানিস্তানে ছিলেন। (তিনি পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনীয়ার।) সেই সুযোগে আমি আফগানিস্তান গিয়েছিলাম, ছিলাম কিছুদিন। তখনই আফগানদের প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয় আমার।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত পাঠানরা মনের দিক থেকে খুব পরিস্কার। আর বাংলাদেশী মুসলমানদের ওরা খুব পছন্দ করে। আফগানদের খুব অতিথীপরায়ন বলে মনে হয়েছে আমার। আমি কয়েকটি পরিবারে দাওয়াত পেয়েছিলাম। ওদের খাবার পরিবেশনটাও বনেদী। মেঝেতে ভারি কার্পেট বিছিয়ে বসা, পেছনে বড় বড় ফোম রাখা আছে। চাইলে হেলান দিয়ে, আরো আরাম করে বসা যায়। আফগানরা অতিথী আপ্যায়নে বিশেষ এক ধরনের পাত্র ব্যবহার করে, এতে সাজানো থাকে কাঠবাদাম, পেস্তা, আখরোট, কিসমিস, চকলেট সাথে চিনি বিহীন লাল চা। এটাই অতিথীকে প্রথম আপ্যায়ন। চা পরিবেশনার শেষ নেই। এক কাপ শেষ হবার আগেই ঐ কাপে আবারো চা ঢেলে দেওয়া হবে। আমি চিনি ছাড়া চা পানে অভ্যস্ত নই, তাই চা-এর সাথে চকলেট খেয়েছি।


মেয়ে মহলে পুরুষ অতিথীদের প্রবেশ নিষেধ। আমাকে এক সময় নিয়ে যাওয়া হলো মহিলা-মহলে। সেখানে পরিবারের মহিলা সদস্যারা আমাকে সালাম জানিয়ে বসতে দিলেন। বসার ব্যবস্থাও মেঝেতে, চেয়ারে নয়। তারপর শুভেচ্ছা বিনিময়। কিন্তু মেয়েরা বিপাকে পড়ল ভাষা সমস্যায়। ওদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন পঙ্গু করে দিয়েছিল তালেবানরা, মেয়েদের স্কুল-কলেজ সব ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছিল। ওই পরিবারের একটি মেয়ে এইচ,এস,সি পাশ। সে কোনরকম ইংরেজি বলতে পারে না, তাদেরকে শেখানোই হয় না। আমাকে ওদের পরিবারের একজন পুরুষ সদস্যের সাথে কথা বলতে হলো, সে আবার মেয়েদেরকে আফগান ভাষায় ট্রান্সলেট করে দিল। সব মেয়েরাই অসম্ভব রকমের সুন্দরী!!!! আফগান পুরুষরাও সুন্দর।


অতিথীকে প্রথম আপ্যায়ন। চা, বাদাম ও কিসমিস দিয়ে।
আফগানরা অতিথী আপ্যায়নে বিশেষ এক ধরনের পাত্র ব্যবহার করে, এতে সাজানো থাকে কাঠবাদাম, পেস্তা, আখরোট, কিসমিস,চকলেট সাথে চিনি বিহীন লাল চা। চা পরিবেশনার শেষ নেই। এক কাপ শেষ হবার আগেই ঐ কাপে আবারো চা ঢেলে দেওয়া হবে।



আফগান পরিবারের মহিলা সদস্য




ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন। আফগানরা এ ভাবেই মেঝেতে বসে খাবার খায়।


বিধ্বস্ত আফগানিস্তান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। যেমন সবুজ, তেমনি বিরান মরুভূমি। পাথরের পাহাড়, বরফে আবৃত পাহাড়, পাহাড়ী স্রোতস্বিনী নদি আবার কোথাও নীল পানির প্রাকৃতিক লেক। পুরো দেশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক নিদর্শন। রাজধানী কাবুলে বাগ-এ-বাবর নামক একটি বাগানে মোঘল সম্রাট বাবর-এর সমাধী অবস্থিত। বাগ-এ-বাবর একটি বাগান, ১৫২৮ সালে সম্রাট বাবর, বাগ-এ-বাবর নামে বাগানটি তৈরী করেন।

১৫১৯ সালে সম্রাট জহির উদ্দিন মোহাম্মাদ বাবর ইউসুফজাই উপজাতীয় আফগান সর্দারের কন্যা বিবি মুবারিকাকে বিবাহ করেন। ইতিহাস থেকে জানা জানা যায় বিবি মুবারিকাকে বিবাহ করার বিষয়ে একটি চমৎকার গল্প আছে। বিবি মুবারিকা একজন দানশীলা মহিলা ছিলেন। একদিন বাবর ছদ্মবেশে ফকির সেজে বিবি মুবারিকার কাছে যান আর ছদ্মবেশী বাবরকে একজন কামেল লোক মনে হওয়ায় তিনি (বিবি মুবারিকা) বাবরের জুলুম থেকে বাঁচার জন্য তাঁর (বাবর) কাছ থেকে দোয়া চান। তখন সম্রাট বাবর সেখান থেকে চলে যান ও বিবি মুবারিকার কথা থেকে বুঝতে পারেন যে ইউসুফজাই উপজাতীয় সম্প্রদায় ভারত বা হিন্দুস্থান অভিযানের বিপক্ষে। যুদ্ধপ্রিয় ইউসুফজাই উপজাতীয় সম্প্রদায়কে হাত করার জন্য সম্রাট জহির উদ্দিন মোহাম্মাদ বাবর আফগান সর্দারের কন্যা বিবি মুবারিকাকে বিবাহ করেন।

আগ্রায় যমুনা নদীর পূর্ব দিকে তাজ মহলের বিপরীতে প্রচুর বাগান থাকায় ঐ জায়গাটিকে আগ্রাবাসী কাবুল বলত। জানা যায়, সম্রাট নাসিরুদ্দিন মোহাম্মাদ হুমায়ুন তাঁর পিতার শেষ ইচ্ছার রহস্য জানতেন। মাত্র ৪৭ বছর বয়সে সম্রাট জহির উদ্দিন মোহাম্মাদ বাবর আগ্রার পুরানা কিল্লায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর পরে সম্রাট বাবর, তাঁকে কাবুলে সমাহিত করার জন্য ওছিয়ত করে যান। সম্রাট বাবরকে যমুনা নদীর পূর্ব দিকে তাজ মহলের বিপরীতে আরাম বাগের চারবাগে অস্থায়ী ভাবে সমাহিত করা হয়, সেখানে কয়েক বছর তাঁর দেহাবশেষ ছিল। কাবুল বলতে সম্রাট বাবর আফগানিস্তানের কাবুলকে বুঝান নি, তিনি আগ্রায় যমুনা নদীর পূর্ব দিকের কাবুলকে বুঝিয়েছিলেন। সম্রাট বাবরের ওছিয়তের ভুল ব্যাখ্যা করে, নয় বছর পরে বাবরের স্ত্রী বেগা বেগম তাঁর দেহাবশেষ আফগানিস্তানের কাবুলে পাঠিয়ে দেন। কাবুলের বাগ-এ-বাবর-এ পুনরায় তাঁকে সমাহিত করা হয়। পরবর্তিতে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় স্ত্রী (আফগানী) মুবারিকাকে তাঁর পাশে সমাহিত করা হয়।



মোগল সম্রাট বাবরের কবর। কাবুলের বাগ-এ-বাবর-এ অবস্থিত।






এমনই পাহাড়ে বেষ্টিত কাবুল

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২২

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক সুন্দর হয়েছে। ছবি গুলি দেখে আরও ভাল লেগেছে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও, ভাল থাকবেন!!

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০২

এস কাজী বলেছেন: আপু, তোমার লেখা বর্ণনা আর ছবি সবসময়ের মত ভাল হয়েছে। ছবি দেখার জন্য নেট স্পীড বাড়াতে হয়েছে। লল

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!!
ছবি দেখার জন্য নেট স্পীড বাড়াতে হলো?!?!
আমি খুব বেশী রেজুলেশনের ছবিতো পোষ্ট করি নাই!!
যা হোক, দেখেছেন এতেই আমার সার্থকতা!!
ভাল থাকবেন!!

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৪

এস কাজী বলেছেন: আপু, আমি অত্যন্ত দু:খিত। বাজে অভ্যাস বশত: আপনাকে তুমি লিখে ফেলায় :(

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: না না, দুঃখ প্রকাশ করার কিছু নেই!!
ভার্চুয়াল সম্পর্কে তুমি বলতে পারেন, এতে বরং আপন আপন মনে হবে!! :)
অনুমতি দিয়ে দিলাম!!!!

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৩৮

কোলড বলেছেন: Hazrat ali is not burried in Majar-e-sharif just like Byejid Bostami is not in chittagong.

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: মাজার -ই -শরীফে হযরত আলী (রাঃ) -এর কবর আছে, এটা আফগানিরা জানে, বিশ্বাস করে!
আমিও সেখান থেকেই জানি!!
সত্যি, মিথ্যে যাচাই করবার আমি কে!!!


৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪৯

যান্ত্রিক বলেছেন: মেঝেতে বসে খাবার ব্যপারটা একসময় আমাদের দেশেও সাধারণ ব্যবস্থা ছিলো। এখনও গ্রামের বাড়িগুলোতে আছে। এই বিষয়টা সবসময় ভালো লাগে।
ধন্যবাদ। ++++

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে!!
হ্যা আমাদের দেশেও প্রচলিত মেঝেতে বসে খাওয়!
কিন্তু আমরা যারা শহুরে হয়ে গেছি, তারা আর মেঝেতে বসি না!!

কিন্তু ওদের বাড়ীতে কোথাও কোন রকমের চেয়ার নেই।
আমি যে বাড়ীর ছবি দিয়েছি, বাড়ীটা অভিজাত এলাকায়। বাড়ীর মালিক পয়সাওয়ালা!
আফগান এয়ারলাইন্স এরিয়ানায় তার নিজস্ব একটা প্লেন আছে!!
সে বাড়ীর বসার ঘর, খাবার ঘর, কোথাও কোন চেয়ার নেই!!
এটাই ওদের ট্রেডিশন!!!

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

রিকি বলেছেন: পেস্তা খেতে মন চাই !!!! :(( :(( :(( :(( পোস্ট কালকে রাতেই পড়েছিলাম--- অনেক অনেক ভালো লাগা রইল পশতুনদের এই পোস্টে। ;) সুন্দর জায়গা কিন্তু বিদ্ধস্ত হয়ে গেছে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: পেস্তা খেতে মন চাইলে আফগানিস্তান চলে যান আপু!! :)
এখনতো 'কাবুলিওয়ালা " ঝোলা ভর্তি পেস্তা বাদাম নিয়ে আমাদের দেশে আর আসে না!!

তালেবানদের নৃশংসতার আরো অনেক ছবি আমার কাছে ছিল, কিন্ত কোথায় যে রেখেছি!!
খুঁজে পেলে পোষ্ট করব, দেখবেন।
অনেক শুভেচ্ছা আপু!!

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভালো পোষ্ট। আপনি কি ইউএন কিংবা এনজিও তে আছেন নাকি কোনো? নাহলে এখন আফগানিস্তানের ধারে কাছে দিয়েই তো বিদেশীরা যেতে চায়না।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমি নই ভাই, আমার কর্তা ছিলেন ইউ এন -এর কনস্ট্রাকশন প্রজেক্টে।
বিষয়টা আমি মূল পোষ্টে লিখেছি!! আপনি হয়তো খেয়াল করেন নাই।
পড়ে দেখলে ব্যাপারটা বুঝবেন, কোন পাগলেও এখন আফগানিস্তান যায় না।

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: দারুন পোস্ট! অনেক কিছু দেখলাম, জানলাম এবং বুঝলামও। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ে দেখার জন্য!!
নতুন দেশ, জাতি সম্মন্ধে জানার অনেক বিষয় থাকে।।
আমি সেভাবে গুছিয়ে লিখতে পারিনি!!!

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

নতুন বলেছেন: ভাল লাগলো। এরা বেশ সহজ সরল তাই পাঠানরা একটু কম বুদ্ধির হয় এমন ধারনা আছে অনেকের মাঝে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা, এইটা অনেকেরই ধারনা!! :)
তবে ওদের এই সরলতা আমাকে মুগ্ধ করেছে!!
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে!!

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা হালকা পড়লাম। ছবিগুলো অনেক সুন্দর এসেছে।

প্লাস।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হালকা পড়লেন, গভীর নয়!!! :)
ভিন্ন প্রকৃতির দেশ, ছবি অবশ্যই ভাল লাগবে!!
ধন্যবাদ দাদা!!

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

মধুমিতা বলেছেন: পড়ে খুব ভালো লাগল। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। লেখাটি চালিয়ে যাবেন। ভালো থাকবেন।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে!!
দোয়া করবেন, লেখাটি চালিয়ে যাবার ইচ্ছে আছে!!!

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
আমি আফগানিস্থানে সিন্দান, তারিন কোট, কান্দাহার অ বাগ্রাম প্রদেশে-এ এক বছর থাকিয়া আসিয়াছি। চাকুরি করিতাম ইউ, এ্‌স, আরমি-এর টেকনিসিয়ান হিসাবে। ওদের যুদ্ধ হেলিপক্টার রক্ষানাবেক্ষন-এ নিয়জিত ছিলাম। কিন্তু দুখের বিষয় আরমির বেস থেকে বাহিরে,যাইতে পারি নাই।
এই প্রবন্ধে এই দেশটি সমন্ধে বিস্তারি বর্ণনা এসেছে কিন্তু যুদ্ধে গত ২০ বছরে কী কী ক্ষতি হইয়াছে সে সমন্ধে বর্ণনা নাই। সেই দিকে একটু আলোকপাত করিলে পাঠক পাঠীকারা দেশটি সমন্ধে ধারনা পাইতো যুদ্ধ একটি দেশের এবং সেই দেশের মানুষদের কী পরিমান ক্ষতি করিয়া থাকে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে!!
আপনি আফগানিস্তানকে যুদ্ধ সময়কালীন দেখেছেন!!
গত ২০ বছরে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে, সেটি এক ইতিহাস!!
আর সে ইতিহাস আমার চেয়ে, আপনিই ভাল লিখতে পারবেন!!
তাই আশা করি আপনি লিখবেন, বিস্তারিত ভাবে!
শুভকামনা, ভাল থাকবেন -----

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

জুন বলেছেন: হযরত আলী (রা:) র কবর কি সত্যি আফগানিস্তানে ? সেই কতদুরে ?
অনেক পড়েছি ঐতিহাসিক এই দেশকে নিয়ে ।
অনেক ভালোলাগলো আপনার পোষ্টটি ।
+

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: মাজরে শরিফ (ফার্সি: مزارِ شریف) উত্তর আফগানিস্তানের শহর ও বাল্‌খ প্রদেশের রাজধানী। এটি বাল্‌খ শহরের কাছে অবস্থিত। শহরটি আফগান তুর্কিস্তান অঞ্চলের একটি বাণিজ্যকেন্দ্র এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। ১৫শ শতকে নির্মিত শহরের মসজিদটিতে মুহম্মদের জামাতা আলী সমাধি আছে বলে ধারণা করা হয়।[১]-----

আপু, উইকিপিডিয়াতে মাজার-ই-শরীফ সম্মন্ধে এইটুকে পাওয়া গেল ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু, ভাল থাকবেন ।

১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন এক ভ্রমন যেন হয়ে গেল!

আফগানির বাস্তবতা খুব সংক্ষেপে দারুন ফুটিয়ে তুলেছেন।

ছবিগুলো আরো প্রাণবন্ত করেছে ভ্রমন (ভার্চুয়াল) কে!!!!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য!!!!

১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কামরুন নাহার বীথি ,



রবীন্দ্রনাথের কাবুলীওয়ালার কথা মনে পড়ে গেলো ।

দুঃখ হয় সেই আখরোট , পেস্তা, বাদামের দেশে পপি ফুলের রমরমা কদর দেখে ।

ভালো লাগলো । শুভেচ্ছান্তে ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ঠিক তাই, পপি চাষ প্রচুর হচ্ছে সে দেশে!!
অবৈধ অস্ত্র আর লাশের মিছিল চারিদিকে। তবুও সে দেশের,সে মাটির যে কোন ফলই সুমিষ্ট।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই!!!

১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ইতিহাস আছে, একটি জাতির (পশতুন) ঐতিহ্য আছে, আছে আপনার তোলা চমৎকার কিছু ছবি-অনবদ্য পোষ্ট।
প্রিয়তে নিলাম !!!
পাথুরে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য কখনো দেখা হয়নি, আপনার লেখা পড়ে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে!!!
২ এর অপেক্ষায় রইলাম ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ!!
অশান্ত দেশটিতে নিরাপত্তার অভাব, এর মাঝে যতটুকু দেখেছি, ছবি তুলেছি, সেটুকুই শেয়ার করেছি!
সাহায্য নিয়েছি ইতিহাসেরও!! সমৃদ্ধ কোন লেখা আমাকে দিয়ে হয় না।
আমি সংক্ষেপে আরো দু'একটা পর্ব লিখব!
লেখা ভাল না লাগলেও, ছবিগুলো ভাল লাগবে।



১৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ লেখা। ধন্যবাদ।



ভালো থাকবেন নিরন্তর।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: লেখাটি পড়েছেন বলে অনেক ধন্যবাদ ভাই!!

১৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০১

প্রামানিক বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে বর্ননা পড়লুম এবং ছবি দেখে মুগ্ধ হলুম। ধন্যবাদ নাহার আপা। এরকম আরো পোষ্ট চাই।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পড়েছেন!!! অনেক ধন্যবাদ!!
ভাই, আপনি এতদিন কোথায় ছিলেন? আপনাকে পাওয়া গেল না যে!!

১৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

প্রামানিক বলেছেন: পঞ্চগড় দেবীগঞ্জে বেড়াতে গিয়েছিলাম।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: পঞ্চগড় দেবীগঞ্জের ছবিব্লগ চাই!!!!

২০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৬

কালীদাস বলেছেন: পোস্ট ভাল্লাগছে। পাঠানরা বেশ রুড, তাই না?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: না ভাই, আমি যাদের সাথে ( ধনী, গরীব) মিশেছি, তাদের খুব সাদাসিধে, অতিথিপরায়ণ মনে হয়েছে!
অনেক ধন্যবাদ ভাই!!!

২১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

প্রামানিক বলেছেন: বৃষ্টির কারণে বেশি ক্লিক করতে পারি নাই। তবে কিছু ছবি আছে দেবো।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ!!! আমিও আজ লৌহিজং ঘাট থেকে, নৌকাযোগে পদ্মা রিসোর্ট গিয়েছিলাম!!
ভাল লেগেছে, ছবি দেব একদিন!!

২২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

মো: আশিকুজ্জামান বলেছেন: ছবিগুলো মনছুয়ে গেল। তার থেকে বেশি ভাল লাগল ডকুমেন্টেশন। চমৎকার বর্ণনায় ছবিগুলো যেন আরো প্রানোবন্ত হয়ে উঠেছে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আশিক ভাই!!!
ভাল থাকবেন!!

২৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০

প্রামানিক বলেছেন: নুতন পোষ্ট কই?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ভাই, আমি আপনার মত মনে হলেই তো আর লিখতে পারি না, সেই মেধা আমার নেই!!
বেড়ানোর কিছু ছবি আছে পোষ্ট করব ধিরে ধিরে।

২৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অসাধারন ছবি ব্লগ। ভাল লাগা রইল।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই!

২৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০১

শায়মা বলেছেন: আপুনি পোস্ট পড়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।

খলিলভাইয়া কি দুলাভাইয়ার কলিগ ছিলো? আমার হঠাৎ এমন মনে হচ্ছে!:)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু!! কোন খলিল ভাইয়ার কথা বলছেন আপু? আমি যে চিনলাম না?

২৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: খুব ছোটবেলায় সাহস করে বড়দের একটা বই পড়েছিলাম।মূল কারণ ছিলো কাজিনদের সাথে ভাব নেয়া যে আমি বিরাট পাঠক,মোটা মোটা বই পড়ি।বইটির নাম ছিলো ''আফগানিস্তান আমার ভালোবাসা''।খুব সম্ভবত প্রিয় লেখক নসীম হিজাজীর লিখা।সেই থেকে চিরযোদ্ধা আফগান জাতির বীরত্ব গাঁথা মনের মাঝে ফ্যান্টাসি হয়েই আছে।বাবার কাছে অনেক শুনেছি আফগানিস্তান ভ্রমনের গল্প।ছবির মতন সুন্দর এক দেশ নাকি,আর তাদের বন্ধু বাৎসল্য এবং আতিথেয়তার নাকি কোনো তূলনাই হয়না!!!
বাবার স্মৃতি বিজরিত দেশটিতে যাওয়ার খুব ইচ্ছা।স্বর্গতে আজ নরক গুলজার।জানিনা কবে যাওয়া হবে?নাকি যোদ্ধা হয়েই যাবো !!!
পুষ্পরাণীর পোষ্ট দেখে আবেগে আপ্লুত।মন ভরে গেছে।গেছে সে আর মনে হলো আমার সাধ পুরেছে।তবে যাওয়ার ইচ্ছা আরো দ্বিগুন বেড়েছে।আপুনিটার মধ্যে এক বিরাট জাত লেখকের বসবাস।কথাটি কি সে জানে?

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনার বাবা কি আফগানিস্তানে চাকূরী করতেন, কত সালে ছিলেন?
বাবা আফগানিস্তান ছিলেন আর আপনি বেড়াতে যান নাই, বিশাল মিস করেছেন।

চাকুরী করতে যদি আফগানিস্তান যান, তাহলে যাবেন। নইলে এমনি বেড়াতে যাবেন না।
আফগানিস্তানের ভিসা থাকলে , অন্য আর কোন দেশ ভিসা দিতে চায় না।

আমার এই লেখাটিতে কিছু কিছু তথ্য গুগোল মামুর কাছে থেকে ধার করতে হয়েছে।
তা'ছাড়া আমি কেমন লিখি, সেটা কি আর কারো জানতে বাকি আছে।
কোন সাহিত্য আমার মাথা থেকে বেরোয় না!!!

আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!!!

২৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



খুব ভাল লাগলো সিরিজটা। চমৎকার।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই আপনাকে!!

২৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার বাবা কি আফগানিস্তানে চাকূরী করতেন, কত সালে ছিলেন?
বাবা আফগানিস্তান ছিলেন আর আপনি বেড়াতে যান নাই, বিশাল মিস করেছেন।

চাকুরী করতে যদি আফগানিস্তান যান, তাহলে যাবেন। নইলে এমনি বেড়াতে যাবেন না।
আফগানিস্তানের ভিসা থাকলে , অন্য আর কোন দেশ ভিসা দিতে চায় না।

বাবা পেশোয়ার ইয়ুনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন।সেই সুবাদে ঘুরতে যাওয়া।ব্যাস এ-ই...........সময়টা পাকিস্তান আমল।আমার এখন কেবল ১৬ ছুঁই ছুঁই...........মিস না করে উপায় আছে মিস পুষ্পরাণী :)
আর ঐ ভিসা জটিলতার ডরেই তো যাওয়া হয়না...................তাছাড়া টিকিটের পয়সাও নাই।জমাইতাসি,পুরা ৩০০জমছে।বাকীটা জমলেই..............

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমার এখন কেবল ১৬ ছুঁই ছুঁই...........মিস না করে উপায় আছে মিস পুষ্পরাণী

এই বয়সেই এমন ছড়ার পাখি!!! অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!!
আর খোকাবাবু, আমি মিস নই, মিসেস ------------!!!!!
আমার মিস্টারের চাকুরী সুবাদেইতো আমার দেশ ভ্রমণ!!!!

২৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ম্যারাথন আকৃতির চমৎকার এক পোষ্ট।

মোবাইল থেকে প্রিয়তে নিতে পারছি না, বাসায় গিয়েই প্রিয় তালিকায় ধুকে যাবে এটা।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: sb]ম্যারাথন আকৃতির চমৎকার এক পোষ্ট। -------- হা হা হা, দারুন বিশেষণ!!!!

মোবাইল থেকে প্রিয়তে নিতে পারেননি, কিন্তু বাঙলায় লিখলেন কিভাবে? বুঝলাম না।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা এই পর্বও পড়ার জন্য!!!!!

৩০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার এখন কেবল ১৬ ছুঁই ছুঁই...........মিস না করে উপায় আছে মিস পুষ্পরাণী

এই বয়সেই এমন ছড়ার পাখি!!! অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!!
আর খোকাবাবু, আমি মিস নই, মিসেস ------------!!!!!
আমার মিস্টারের চাকুরী সুবাদেইতো আমার দেশ ভ্রমণ!!!!

যাই বলি হাছা-মিছে
তাই করো বিশ্বাস;
খিক খিকে দম ফাটে
আটকায় নিঃশ্বাস =p~ :#) :D

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: যাই বলি হাছা-মিছে
তাই করো বিশ্বাস;
খিক খিকে দম ফাটে
আটকায় নিঃশ্বাস
---------

হ্যা আমি এত্ত বোকা, আপনার সব মিথ্যে কথাই বিশ্বাস করেছি আমি!!!! :) :) :)
আ হা হা -----------------

৩১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ভ্রমণপোস্টে বোনাস হিসেবে ইতিহাসও পেলাম। জানতে পারলাম আফগানদের সংস্কৃতি সম্পর্কে।

ছবিগুলো অনেক কৌতূহল-জাগানিয়া।

কর্মসূত্রে আফগানিদের সাথে যোগাযোগ হয়। তারা অনেক উদার প্রকৃতির বলে মনে হয়েছে।

শুভেচ্ছা জানবেন, কামরুন নাহার আপা :)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: কর্মসূত্রে আফগানিদের সাথে যোগাযোগ হয়। তারা অনেক উদার প্রকৃতির বলে মনে হয়েছে। -----

হ্যা, এতেই ওদেশকে ভালভাবে জানা হয়েছে আমাদের!
আর লিখতে যেয়ে ইতিহাস খুঁজতে হয়েছে আমাকে!

অনেক শুভেচ্ছা মইনুল ভাই, ভাল থাকবেন!

৩২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট! এমন ছবিব্লগ সচরাচর দেখা যায় না। ++++++++++++++

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই!!!!

৩৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: লেখক বলেছেন: যাই বলি হাছা-মিছে
তাই করো বিশ্বাস;
খিক খিকে দম ফাটে
আটকায় নিঃশ্বাস ---------

হ্যা আমি এত্ত বোকা, আপনার সব মিথ্যে কথাই বিশ্বাস করেছি আমি!!!! :) :) :)
আ হা হা -----------------


ভালো কথা ভুলে গেছি
দেই আরো তথ্য;
মেজো বউ আফগানী
জেনো কথা সত্য।

তারে দেখে প্রেমে পড়ি
কাবুলের পার্কে;
তারপর অল সেট
মোরে আর পায় কে ?? ;)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ভালো কথা ভুলে গেছি
দেই আরো তথ্য;
মেজো বউ আফগানী
জেনো কথা সত্য।

তারে দেখে প্রেমে পড়ি
কাবুলের পার্কে;
তারপর অল সেট
মোরে আর পায় কে ??
---------

তাহলেতো জীবনখানা ষোল আনাই বৃথা!!!
থুক্কু ------------- কোণায় কানায় পরিপূর্ণ!!!! :) :)

৩৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৪০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: লেখক বলেছেন:
তাহলেতো জীবনখানা ষোল আনাই বৃথা!!!
থুক্কু ------------- কোণায় কানায় পরিপূর্ণ!!!! :) :)


আরে ধুরো কি যে বলো
বিয়ে করি এক হালি;
তাও মনে সুখ নেই
মোটে নেই কোনো শালী !!! :-<

সব মাল এক পিস
এক বাপ এক বেটি;
এ ভুল আর কভু নয়
কানে ধরে তোবা কাটি।

শালী ছাড়া সংসার
ধু ধু এক মরুভূমি;
মন চায় ফাঁস খাই
কি যে করি বলো তুমি? |-)

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আরে ধুরো কি যে বলো
বিয়ে করি এক হালি;
তাও মনে সুখ নেই
মোটে নেই কোনো শালী !!!
-----

গাঁজায় দম ভালই দিয়েছেন!!!! তবে এখন বলব " তোমার দেখি জীবনখানা ষোল আনাই বৃথা! "

৩৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আরে ধুরো কি যে বলো
বিয়ে করি এক হালি;
তাও মনে সুখ নেই
মোটে নেই কোনো শালী !!! -----

গাঁজায় দম ভালই দিয়েছেন!!!! তবে এখন বলব " তোমার দেখি জীবনখানা ষোল আনাই বৃথা! "

বললুম যেই মনের কথা
ট্যাগ দিলে গাজাখোর;
ষোল আনা ঠিকি বৃথা
ভারী মজা শালীর বাহুডোর ;) :P

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: বললুম যেই মনের কথা
ট্যাগ দিলে গাজাখোর;
ষোল আনা ঠিকি বৃথা
ভারী মজা শালীর বাহুডোর ;) :P
------

ধেরে বদ একটা ---------------

৩৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বদ বলে শুধু বদ
পাজীর আমি পা ঝাড়া;
এখনো দেখনি কিছু
এতো স্রেফ গা ঝাড়া। :-B

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: নিজের সম্মন্ধে নিজেরই এমন সার্টিফাই!!!!!!!! :) :) :)

৩৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: এই পর্বও অবশেষে পড়ে ফেললাম :)
অসাধারন ছবি এবং বর্ণনা।বৈচিত্রময় বিভিন্ন স্হানের ছবিগুলোর মধ্য দিয়ে মজায় মজায় অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করা গেল এবং একটি অশরীরী ভ্রমণও হয়ে গেল :)
ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার কামরুন নাহার বীথি আপুনি

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: খুব ভাল লাগল আপনি এতদিন পরে আমার এই লেখা খুঁজে পড়েছেন!
আন্তরিক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা!!!!!

৩৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: লেখক বলেছেন: নিজের সম্মন্ধে নিজেরই এমন সার্টিফাই!!!!!!!! :) :) :)

অত কথা বুঝিনে
হাছা বলি নাই লাজ;
মহারাণী শায়মাপু
আমি হনু পাজীরাজ। ;)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ঠিক তাই!!!!! :) :) :)

৩৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: সম্রাট বাবরের ইতিহাস যখনই পড়ি তখনই নতুন লাগে।

আপনার এই ভ্রমণের কারণে আমরা অনেক কিছুই জানলাম।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: সম্রাট বাবরের সমাধির ছবিটাই শুধু আমার তোলা, আর সবই ইতিহাস!!
অনেক শুভেচ্ছা ভাই, ভাল থাকবেন!!!

৪০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

কল্লোল পথিক বলেছেন: অনেক তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট আফগানিস্থান সম্পর্কে
অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, এতদিন পরেও আপনি আমার এ লেখা খুঁজে পড়েছেন!!!!!

৪১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

শ।মসীর বলেছেন: ভাল লাগা.....

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.