নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য আমাকে কেবলই পিছুটানে!!

কামরুন নাহার বীথি

আমি কিছুটা ভ্রমণবিলাসী আর ফুলের প্রতি আছে আমার আজন্ম ভালোবাসা

কামরুন নাহার বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুমিল্লার বাকি কয়েক ঘন্টা

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

প্রথম পর্বে ছিল, ময়নামতির পাহাড়ে চাঁদ উঠেছে আহারে , আবারও পড়তে পারেন! :)

------- রাতে ভাল ঘুম হলো না। কারণ বালিশ সমস্যা! শক্ত, ভারী বালিশে ঘুমাতে পারলাম না। মনে হয়, এখন থেকে আমার বালিশ বয়ে নিয়ে বেড়াতে যেতে হবে!! :D রাতেই প্রোগ্রাম করা হয়েছিল। ভোরে উঠে ভোরের সুর্য্য দেখতে আবার যাব নীলাচল টিলায়। ঘুম কাতুরে দু’এক জন বাদে সবারই প্রাতভ্রমণ শুরু হলো। ভোরের মিষ্টি আলোর ছবি তোলা আর সবুজের মাঝে আরো কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি। তাড়াতাড়িই ফিরতে হলো। নাস্তার পরেই বেরিয়ে পড়ব আরো কিছু স্পট দেখতে। সকালের নাস্তায় দারুন মজার সবজি, ছোলার ডাউল ভূনা, ডিম, রুটি, পরোটা। মজার এই সবজি খেয়ে ভেবেছিলাম, ফেরার পথে টাটকা সবজি কিনে নিয়ে ফিরব, কিন্তু তা’ আর হয়নি।

নীলাচলের ভোরের আলোর ছবিঃ















সকাল ন’টার মধ্যেই বেরিয়ে পড়লাম। উদ্দেশ্য ইটাখোলা মুড়া, রূপবান মুড়া দেখে বার্ডে ফিরব, দুপুরের খাবারের পরে একবারে বেরিয়ে যাব। যাবার পথে ওয়ার সেমেট্রি দেখে, ঢাকায় ফিরব। আর কোন বিরতি নয়। সেভাবেই প্রথমে চললাম ইটাখোলা মুড়ার উদ্দেশে। দেখলাম ইতিহাসের সাক্ষী, সব ধ্বংসপ্রাপ্ত বৌদ্ধ বিহার। সেখানে যে ইতিহাস পেলামঃ

ইটাখোলা মুড়া

স্থানীয়ভাবে এই প্রত্নস্থানটি ইটাখোলা মুড়া নামে পরিচিত। খননের ফলে এখানে পূর্বমূখী একটি বৌদ্ধ মন্দিরের ভূমি নকশা উন্মোচিত হয়েছে। মন্দিরটিতে মোট পাঁচটি নির্মাণ এবং পুনঃ নির্মাণ পর্বের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই মন্দিরের উত্তর দিকে ছোট একটি বৌদ্ধ বিহারের ভূমি নক্‌শাও আবিস্কৃত হয়েছে।

এখানে খননের ফলে প্রাপ্তপ্রত্নবস্তুর মধ্যে ১৮তোলা স্বর্ণ, একটি রৌপ্য মুদ্রা ও একটি তাম্র শাসন উল্লেখযোগ্য। ইহাছাড়া একটি ধ্যানী বুদ্ধ মূর্তির আবক্ষ অংশ যাহা যথা স্থানে স্থাপিত রয়েছে, প্রাপ্য প্রত্নবস্তু ও স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় মন্দিরটি সাত থেকে বারো শতকে নির্মিত বলে ধারণা করা যায়।


ইটাখোলা মুড়ার ছবিঃ



















এখান থেকে ঠিক করা হলো রূপবান মুড়া দেখতে যাব। কুমিল্লা জেলা সম্মন্ধে পড়তে যেয়ে অনেক প্রত্ন স্থানের সন্ধান পেয়েছিলামঃ কুমিল্লার লালমাই ময়নামতি পাহাড়ে একটি সমৃদ্ধ প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। এখানে রয়েছে শালবন বিহার, কুটিলা মুড়া, চন্দ্রমুড়া, রূপবন মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, সতের রত্নমুড়া, রাণীর বাংলার পাহাড়, আনন্দ বাজার প্রাসাদ, ভোজ রাজদের প্রাসাদ, চন্ডীমুড়া প্রভৃতি। এসব বিহার, মুড়া ও প্রাসাদ থেকে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে যা ময়নামতি জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। ময়নামতি একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা। ময়নামতি জাদুঘরটি একটি অন্যতম পর্যটন আকর্ষন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ১৯২১ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ভারতের নেতা মহাত্মা গান্ধী কুমিল্লায় এসেছিলেন। কুমিল্লাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত বিভিন্ন দেশের সৈন্যদের কবর ও ওয়ার সেমেট্রি রয়েছে। বতর্মানে রাজশে পুর ইকোপার্ক এবং তদসংলগ্ন বিরাহিম পুরের সীমান্তবর্তী শাল বন টুরিস্ট স্পট হিসেবে ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

রূপবান মুড়াঃ

স্থানীয়ভাবে রূপবান মুড়া নামে পরিচিত। কিন্তু খননের পরে এখানে একটি বিহার, একটি মন্দির ও একটি আট কোনাকার নিবেদন স্তুপের স্থাপত্য নিদর্শন উন্মোচিত হয়েছে। খনন কালে আবিষ্কৃত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্ন সম্পদের মধ্যে একটি গুপ্ত অনুকরণের স্বর্ণ মুদ্রা, ৪ টি মিশ্রিত ধাতুর মুদ্রা, ৩ টি রৌপ্য মুদ্রা এবং গুপ্ত পরবর্তী যুগের ১টি বৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তি উল্লেখযোগ্য। প্রাপ্ত প্রত্নঃ নিদর্শনের বিবেচনায় মূল বিহার ও মন্দির অষ্টম শতাব্দীর নির্মিত বলে ধারণা করা যায়।

রূপবান মুড়ার ছবিঃ



















পাশের দিকটায় এমন একটা দরজা দিয়ে ভেতরে ঢোকা যায়


ঘরের ছাদটা সরু হয়ে ওপরে উঠে গেছে


কোন এক সময়ে হয়ত এখানে সন্ধ্যা প্রদ্বীপ জ্বলতো


ইটাখোলা আর রূপবান মুড়া ঘুরে আসার পরেও আমাদের হাতে বেশ খানিকটা সময় থাকল। দুপুরের খাবার খেয়ে রওয়ানা দেব ঢাকার পথে আর পথিমধ্যে ওয়ার সেমেট্রি দেখে যাব। হাতে সময় থাকায় বার্ড-এর বাইরের বনে-বাদাড়ে ঘুরতে বেরোলাম আমরা। চারিদিকে চিরসবুজ বন আর লালমাটির ছোট ছোট টিলা। একটা টিলার পাশে আমরা নেমে পড়লাম গাড়ী থেকে। নিশ্চুপ, নিঝুম বনাঞ্চল, পাশ দিয়েই চলে গেছে লাল মাটির মেটোপথ। সেখানেই আমাদের ফটোসেশন চললো কিছুক্ষণ। একসময় সেই নিঝুম অরণ্যে দেখা পেলাম স্থানীয় এক গাঁয়ের বধুর। তার সাথে গল্প করলাম কিছুক্ষণ।তার মতামত,” কুমিল্লার ভাষার মত সুন্দর ভাষা, কোন রাষ্টে (রাষ্ট্রে) নাই!” আসলেই মায়ের ভাষার মত প্রিয় ভাষা আর হয় কী! সে কিছু কাঁচা পাতা তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। সে সম্মন্ধে জানতে পারলাম, ঐ পাতাগুলোর স্বাদ একটু টকজাতিয়। সেই পাতা দিয়ে সে ছোট মাছ চচ্চরি করবে। পাতাগুলো কোন গাছের পাতা, তার নাম জেনেছিলাম আর ছোট মাছকে সে কিছু একটা ‘শব্দে’ উপস্থাপন করছিল, সে নামটাও মুখস্থ করেছিলাম, কিন্তু বেমালুম ভুলে গেছি। মাথায় কিসসু নেই আমার! ছোট মাছ বিভিন্ন নামে পরিচিত; যেমন গুড়া মাছ, গুদা মাছ------- আরো যে কত কী! তাকে প্রস্তাব দিলাম ছবি তোলার, সে হাসিমুখে পোজ দিল!! সেই গাঁয়ের বধু আমাদের আমন্ত্রণ করেছিল, তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য। কিন্তু সে আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারিনি আমরা! :(

সময় হয়ে এল দুপুরের খাবারের, ফিরে এলাম আমরা আবারও বার্ড-এ। (--চলবে)

বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়ানোর ছবিঃ









হাসিমাখা মুখটি সত্যিই নিস্পাপ


ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

রিকি বলেছেন: বড়ই সৌন্দর্য। :D :D

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু !!

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগে যে কয়টি ফটো ব্লগ এসেছে তার মধ্যে আপনার এই পোস্টটি সত্যি দারুন। শুধু মাত্র ছবির জন্য নয়, ছবির সাথে আপনার বর্ণনা, ইতিহাসে চোখে দেখার প্রচেষ্টা সত্যি ভালো লেগেছে।

শুভেচ্ছা জানবেন।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনার অনুপ্রেরণামাখা মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই!!!! :)

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ছবি । ঝরঝরে বর্ণনা ।ভাল লেগেছে ।++++

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই!
আপনাদের ভাললাগা, আমার মত নতুনদের জন্য অনুপ্রেরণা!!

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩০

আলোরিকা বলেছেন: আপনার চোখে আমিও দেখে নিলাম কুমিল্লার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ বিস্তারিত বিবরণ সহ ..... সুন্দর!!! :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আনার চোখে আপনিও দেখলেন!!! তাহলে আমার দক্ষিণা কই!!!!!! :)
অনেক শুভেচ্ছা, ভাল থাকবেন!!

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: কুমিল্লায় গেছি, ঘুরছি, তবে আপনার উল্লেখিত জায়গাগুলার নামও শুনি নাই আগে। সুন্দর এবং সমৃদ্ধ। এর পরেরবার গেলে অবশ্যই ওসব জায়গায় যাবো।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমি লিখেছি কুমিল্লা জেলার পর্যটন স্থানগুলোর তালিকা!!
পড়তে যেয়ে আরো অনেক অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার অবস্থান সম্মন্ধে জেনেছি।
এতে দেখা যায় অনেকগুলোই দেখা হয়নি আমার!!

আসলে যেখানে বেড়াতে যাব,সেখানে কি কি দর্শনীয় স্থান আছে,সেটাই প্রথমে জেনে যাওয়া ভাল।
কিন্ত, এই ভুলটাই আমাদের হয়ে যায়।

হ্যা ভাই, এর পরে অবশ্যই দেখে আসবেন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন:



চমৎকার একটি পোষ্ট। ধন্যবাদ।




ভালো থাকবেন নিরন্তর।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনিও ভাল থাকবেন ভাই,অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!!

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ছবি ও বর্ণনা, দু'টোই চমৎকার হয়েছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে, আমিও আনন্দিত!! অনেক শুভেচ্ছা ভাই!!

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহ কি আনন্দে ঘুরে বেরিয়েছেন!!

আর কি দারুন এক ঐতিহাসিক স্থাপত্যে আমাদেরও ঘূরিয়ে আনলেন.. সে জন্য ধন্যবাদ দিতেই হয়।

আহা কবে এমন বনের পাখি হয়ে ঘুরতে বেড়াতে পারব? ৭-৮ যন্ত্রজীবনের বাইরে গিয়ে!!!! (দীর্ঘশ্বাসের ইমো হবে)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: না না ভাই, দীর্ঘশ্বাসের ইমো দিতে হবে না।
যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, একঘেয়েমি কাটাতে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে কোথাও ঘুরে আসুন!!
মাথাটা রিফ্রেশ হয়ে যাবে!!!! :)
ভাল থাকবেন ভাই!!

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ভীষণ ভালো লাগলো আপনার লেখাটি আর ছবিগুলো তো অসাধারণ। ময়নামতি গিয়েছিলাম অনেক ছোট বেলায় তাই সেরকম ভাবে কোন মজা পাইনি । আপনি এতো সুন্দর করে লিখেছেন যে এখনই ছুটে যেতে ইচ্ছা হচ্ছে । আপনাকে ট্র্যাভেল আর ট্যুরিজমের টপ বস বানিয়ে দেয়া দরকার । অনেক শুভকামনা রইল । :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনি এতো সুন্দর করে লিখেছেন যে এখনই ছুটে যেতে ইচ্ছা হচ্ছে । আপনাকে ট্র্যাভেল আর ট্যুরিজমের টপ বস বানিয়ে দেয়া দরকার । ------

ছোট বেলায় অনেক গিয়েছেন, বড় বেলায় আবার যেয়ে ঘুরে আসুন, ছোট বেলার চেয়ে অবশ্যই ভাল লাগবে!
এই ব্লগে ট্র্যাভেল আর ট্যুরিজম নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন লেখার মত বাঘা বাঘা ব্লগার আছেন, তাঁদের কাছে আমি নিতান্তই তুচ্ছ।
তাঁদের লেখা পড়ুন, আপনি হতবাক হয়ে যাবেন। :)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে, ভাল থাকবেন!!

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ছবি এবং বর্ননা দু'টাই অসাধারন! অনেক ভাল লাগলো!

শুভ কামনা জানবেন!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন ভাই !!!

১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০০

সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগা রইলো। প্লাস।

এমন করে পোস্ট দিলে তো, যেতেই হবে..... !:#P

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এমন করে পোষ্ট না দিলেও যেতে হবে, ভাল লাগবে।
আর ঢাকা থেকেতো খুব বেশী দূরে নয়, দেখে আসুন একবার!! :)
অনেক শুভেচ্ছা দাদা!!!

১২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৯

প্রামানিক বলেছেন: একসময় সেই নিঝুম অরণ্যে দেখা পেলাম স্থানীয় এক গাঁয়ের বধুর। তার সাথে গল্প করলাম কিছুক্ষণ।তার মতামত,” কুমিল্লার ভাষার মত সুন্দর ভাষা, কোন রাষ্টে (রাষ্ট্রে) নাই!” আসলেই মায়ের ভাষার মত প্রিয় ভাষা আর হয় কী! সে কিছু কাঁচা পাতা তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। সে সম্মন্ধে জানতে পারলাম, ঐ পাতাগুলোর স্বাদ একটু টকজাতিয়। সেই পাতা দিয়ে সে ছোট মাছ চচ্চরি করবে। পাতাগুলো কোন গাছের পাতা, তার নাম জেনেছিলাম আর ছোট মাছকে সে কিছু একটা ‘শব্দে’ উপস্থাপন করছিল, সে নামটাও মুখস্থ করেছিলাম, কিন্তু বেমালুম ভুলে গেছি। মাথায় কিসসু নেই আমার! ছোট মাছ বিভিন্ন নামে পরিচিত; যেমন গুড়া মাছ, গুদা মাছ------- আরো যে কত কী!

হে হে হে পড়ে মজাই পেলাম তার সাথে আরো ছবি, দারুণ দারুণ হয়েছে। "গুদা মাছ" এটা কিন্তু পাবনা সিরাজগঞ্জের ভাষা। কুমিল্লায় "গুদা ছাওয়ালরে" "ছুইটকা" বলে। সামনের পোষ্টের আশায় রইলাম।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা, পাবনা- সিরাজগঞ্জে 'গুদা মাছ' আর 'গুড়া মাছ' - দু'টোই বলে, অঞ্চল ভিত্তিকে। :)
সামনের পোষ্টের আশায় আছেন, কিন্তু আমার যত আলসেমী, লিখতে ইচ্ছে করে না।
কুমিল্লারই আরেকটা পর্ব লিখব ভাবছি, তবে খুব শীঘ্র হবে না মনে হয়!! :)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রামানিক ভাই!!

১৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কুমিল্লার ভাষার মত সুন্দর ভাষা, কোন রাষ্টে (রাষ্ট্রে) নাই! তাই বুঝি? লেখা ও ছবিগুলোয় বড্ড বেশি ভাললাগা কাজ করলো। শুভকামনা জানবেন।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা, যার কথা বা বিশ্বাস এটা, তার ছবিও দিয়েছি আমি।
এই সহজ সরল মানুষগুলোর স্বপ্ন যেমন নিস্পাপ, কথাও তেমনি এক্কেবারে খাঁটি !!!

লেখা আপনা্দের ভাল লেগেছে জানলে, উৎসাহ পাই সত্যিই।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই!!

১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কামরুন নাহার বীথি ,




বালিশ সমস্যার কারনে রাতে ভাল ঘুম না হলেও ছবি সহ লেখাটিতে ঘুমের আলস্য নেই ।
তৃতীয় ছবিটি দারুন লেগেছে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: রাতে ঘুম হয় নাই তাতে কি, সক্কালে উঠে ঠান্ডা পানিতে অনেকক্ষণ গোসল।
এক্কেবারে ফ্রেশ !!! :) ছবি তোলাতে কোওনদিনই আলস্য আসে না আমার! :)
আসলে ছবি তোলার মতই সুন্দর একটি জায়গা বার্ড।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই!!

১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কয়েক ঘণ্টায় তো সমগ্র কুমিল্লা দেখিয়ে ছাড়লেন...! সবশেষের হাসিটা সহ :)
সুন্দর বর্ণনা এবং আকর্ষণীয় শিরোনাম।

কামরুন্নাহার আপা.... দারুনস!!!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা, ঈদের ছুটির দু'দিন কুমিল্লাতেই কাটালাম!
এখন চলছে দ্বিতীয় দিনের শুরুর কয়েক ঘন্টা, এর পরের কয়েক ঘন্টা আগামী দিন!!! :)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা মইনুল ভাই, ভাল থাকবেন!!

১৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার সাথে ঘুরে কুমিল্লার অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা সম্পর্কে ধারণা পেলাম ।
একটা ছবিতে ''টাচ মি নট''এর ছবি দেখলাম ।
টোটাল পোস্টটা চমৎকার করে উপস্থাপন করেছেন ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হুম,যেখানেই সবুজ বনাঞ্চল, সেখানেই ''টাচ মি নট''!!!!! :)
ভাল লেগেছে জেনে সত্যিই খুশি হলাম!!!
অনেক শুভেচ্ছা ভাই, ভাল থাকবেন!!

১৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর সব ছবি আর অপুর্ব বর্ণনা! খুব ভাল লাগল। ওসব জায়গা ত্রিশ চল্লিশ বছর আগেও দেখেছি তবে আপনার চোখে দেখে নতুন করে আরো ভাল লাগল্ ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: প্রত্নস্থান যত পুরোনো হয়,ততই তার মুল্য বা আকর্ষণও বেড়ে যায়!!
এখন দেখলে আরো ভাল লাগবে!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই, ভাল থাকবেন।

১৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০২

এস কাজী বলেছেন: পোস্ট টা অসাধারণ হয়েছে বীথি আপু। ছবি বর্ণনায় সবকিছুতেই ভাল লাগা।

তবে একটা ব্যাপার আমারও বালিশ চেইঞ্জ হলে ঘুমাতে পারিনা। তাই পারত পক্ষে আমি রাতে কোথাও থাকি না B-)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এ এ ই, আমার মত রোগী (সহরোগী) আরেকটা পাওয়া গেল!!!! :)
আসলেই এটা একটা বিশাল সমস্যা!! তবুও একেবারেই কোথাও না গেলেই যে নয়!

পোষ্টটা ভাল লেগেছে জেনে, আমারও খুব ভাল লাগছে!!
অনেক শুভেচ্ছা ভাই,ভাল থাকবেন!!

১৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

সুজন চন্দ্র পাল বলেছেন: হাসিমাখা মুখটি সত্যিই নিস্পাপ

এই হাসিটা অতি দুর্লভ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ঠিক তাই, এই হাসিটা অতি দুর্লভ।
অনেক ধন্যবাদ দাদা!!!

২০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমাদের পর্যটন বিভাগের স্থানে ব্লগারদের যদি সেই স্থান নিতেই হয় তবে সরকারের উচিৎ ব্লগারদের সন্মানী দেয়া।। কারন ইনারা দেশের কাজই করছেন,প্রকারান্তে।।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পেশ করা হোক!!! :)
অনেক ধন্যবাদ ভাই!!

২১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
ইটাখোলা মুড়ায় গিয়েছি। তবে তথ্যের অভাবে অত কাছের রূপবান মুড়ায় যাওয়া হয়নি। আবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে। বার্ডে থাকার ব্যবস্থাও ভাল। সম্ভবত ওখানে আর সার্কিট হাউজেই কেবল রাতে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা আছে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: কুমিল্লায় এমন আরো প্রত্নস্থান আছে।

কুমিল্লার লালমাই ময়নামতি পাহাড়ে একটি সমৃদ্ধ প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। এখানে রয়েছে শালবন বিহার, কুটিলা মুড়া, চন্দ্রমুড়া, রূপবন মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, সতের রত্নমুড়া, রাণীর বাংলার পাহাড়, আনন্দ বাজার প্রাসাদ, ভোজ রাজদের প্রাসাদ, চন্ডীমুড়া প্রভৃতি। ----- চাইলে এ সবই ঘুরে দেখে আসতে পারেন।

আবার," কুমিল্লাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত বিভিন্ন দেশের সৈন্যদের কবর ও ওয়ার সেমেট্রি রয়েছে। বতর্মানে রাজশে পুর ইকোপার্ক এবং তদসংলগ্ন বিরাহিম পুরের সীমান্তবর্তী শাল বন টুরিস্ট স্পট হিসেবে ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। "

ঘুরতে গেলে সবই দেখে আসতে পারেন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই!!

২২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ওয়াও খুব সুন্দর পোষ্ট আপু। আপনার কলমে ও ছবিতে ছোটবেলার স্মৃতিবিজরিত জায়গাটাকে আবার দেখার সুযোগ পেলাম। ধন্যবাদ। :)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
ছোট বেলার স্মৃতিবিজড়িত জায়গাগুলো এখন আরো স্মৃতিময় হয়েছে।
আবার যেয়ে দেখে আসুন। আরো ভাল লাগবে।
অনেক শুভেচ্ছা আপু!!

২৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:



অসাধারণ একটি ছবি পোষ্ট।




ভালো থাকবেন নিরন্তর।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই আপনাকে।

২৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

হাসান জাবির বলেছেন: চমৎকার , সাবলীল বর্ণনা আর দারুণ দারুণ সব ছবি। এ যে আমার প্রিয় কুমিল্লার রূপের একটি অংশ কোটবাড়ি । কত সুখময় স্মৃতি এই বার্ডে, নীলাচল , ফায়ারিং রেঞ্জে , যাদুঘর শালবন বিহার আর রূপবান মুড়া। অসাধারণ ,অনেক অনেক ধন্যবাদ । আবার আসবেন আমাদের কুমিল্লায়।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা, জায়গাটার নাম কোটবাড়ি।
আমার লেখা উচিৎ ছিল!!

আপনার আমন্ত্রন রক্ষার্থেই আবার যাব কুমিল্লায়!! :)
তবে আপনার ঠিকানাটা ------------------

২৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

রোদেলা বলেছেন: ছবির সাথে সাথে লেখকের হাত ধরে হেঁটে এলাম যেন।পর্যটন বিচিত্রার জন্য লেখা নিচ্ছি।আপ্নারটাও রাখলাম।আমার সাথে যোগাযোগ করুন[email protected]

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু।
আপনার মন্তব্যে সত্যিই উৎসাহ বোধ করছি!!
হ্যা আপু, আপনার সাথে যোগাযোগ করছি, ধন্যবাদ!

২৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

লালপরী বলেছেন: দারুন সব ছবির সাথে ঘুরে এলাম আপু :)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমার সাথে ঘুরে আসার জন্য অনেক শুভেচ্ছা আপু !!! :)

২৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

মো: আশিকুজ্জামান বলেছেন: ছবি কথা বলে। ভালো লাগল।
সহজে বহনযোগ্য বালিশ পাওয়া যায়। শোয়ার সময় শুধু বাতাস ভরে নিলেই চলে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: পরামর্শের জন্য অনেক শুভেচ্ছা আশিক ভাই!
বাতাস বালিশও ব্যবহার করে দেখেছি, আরামদায়ক নয়!!!
(ট্রেনে মাদ্রাজ যাওয়ার সময়)
তুলার বালিশের মত আরাম কী আর হয়!! :)
পলিফিলের বালিশগুলোতে মাথা আরো গরম হয় যায়, যদিও বালিশ নরম!!

অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!!

২৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:



অগণিত বার কুমিল্লা যাওয়া হয়েছে কিন্তু কখন ইটাখোলা মুড়া আর রূপবান মুড়াতে যাওয়া হয়নি। এমনকি নামও শুনিনি। পরেরবার গেলে অবশ্যই যাওয়ার চেষ্টা করবো।

বর্ণনা ও ছবি +

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই,হ্যা আবার যাবেন!
আমার এই লেখায় কেউ যদি ঘুরে দেখার অনুপ্রেরণা পান,আমি সত্যিই গর্বিত!!!

২৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ছবিগুলো অনেক সুন্দর। বেশ ভালোই একটা ট্রিপ ছিল বুঝা যাচ্ছে। :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা, বেশ উপভোগ করেছিলাম! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.