নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য আমাকে কেবলই পিছুটানে!!

কামরুন নাহার বীথি

আমি কিছুটা ভ্রমণবিলাসী আর ফুলের প্রতি আছে আমার আজন্ম ভালোবাসা

কামরুন নাহার বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃতি কন্যা জাফলং

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩৬




বিছানাকান্দি আর পানতুমাই ঘুরে হোটেলে পৌছুতে রাত হয়ে এল। পরদিনের প্রোগ্রাম জাফলং দেখে শ্রীমঙ্গল চলে যাব। শ্রীমঙ্গলে আরো দু’দিন থাকব আমরা।

পরদিন জাফলং-এর উদ্দেশ্যে বেরোতে একটু দেরীই হয়ে গেল। সেই গোয়াইনঘাটের রাস্তা ধরে চলেছি আমরা, আমাদের পাশে পাশেই চলছে মেঘালয়ে সবুজ পাহাড়ের সারি। মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে শ্বেতশুভ্র ঝর্ণা। কোথাও সারা মাঠ জুড়ে সবুজ ধানক্ষেত-এর মাতামাতি, মন ভোলানো সবুজ চা বাগান, সবুজ পাহাড় আর শুভ্র ঝর্ণা দেখতে দেখতে, সবুজ মুগ্ধতা নিয়ে এক সময় চলে এলাম আমরা জাফলং!







সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে, গোয়াইনঘাট উপজেলায়, ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের কোল ঘেঁষে অবস্থিত জাফলং, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি। এখানে ভারতের ডাউকি নদী আর বাংলাদেশের পিয়াইন নদীর মোহনা। প্রকৃতি কন্যা হিসাবে সারাদেশে এক নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং। একসময় পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছিল আকর্ষণীয়। এখন আসলে একটা ধূ ধূ প্রান্তর ছাড়া আর কিছু না । সেই পাথুরে সৌন্দর্য্য কবেই আমরা বিলুপ্ত করে ফেলেছি , পড়ে আছে কেবল বালি!এখনও নদীতে পর্যটকের নৌকার চেয়ে পাথর তোলার নৌকাই বেশী দেখা যায়। বিছানাকান্দিতে দেখে এলাম সেই পাথুরে সৌন্দর্য্য! জানিনা এ সৌন্দর্য্য কতদিন স্থায়ী হবে!











পিয়াইন নদীর ওপারে ভারতের ডাউকি শহর দেখা যাচ্ছে। পাহাড়, টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরাম ধারায় নেমে আসা জলপ্রপাত, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রীজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হিমেল পানি, উঁচু পাহাড়ে গহিন অরণ্য ও শুনশান নিরবতার কারণে এলাকাটি পর্যটকদের দারুণভাবে আকৃষ্ঠ করে। এসব দৃশ্যপট দেখতে প্রতিদিনই দেশী-বিদেশী পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে। আমি অনেক ছবি তুললাম এখানকার। প্রকৃতি কন্যা ছাড়াও জাফলং বিউটি স্পট, পিকনিক স্পট, সৌন্দর্যের রাণী- এসব নামেও পর্যটকদের কাছে বেশ পরিচিত। ভ্রমণ পিয়াসীদের কাছে জাফলং-এর আকর্ষণই যেন অন্য রকম। সিলেট ভ্রমনে এসে জাফলং না গেলে ভ্রমণ যেন অসপূর্ণই রয়ে যায়।



দূরের পাহারের উপরেই ডাউকি শহর।




মাঝে মাঝেই এমন পাহাড়ি ঝর্ণা।


পাহাড়ি রাস্তায় চলছে এমন বড় বড় যান বাহন।




ডাউকি ব্রীজ


নৌকার মাঝির কাছে শোনা, ডাউকি পাহাড়ে এই বড় পাথরের উপরে কোন একজনের মাজার আছে।


জাফলং পৌছে, সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ীর পাশে থেকে আমরা নৌকা ঠিক করলাম সংগ্রামপুঞ্জী/মায়াবী ঝর্ণা দেখতে যাব। নদীর কূল থেকে অনেকখানি ঢালু পথ পেরিয়ে আমরা নৌকায় উঠলাম। সেদিন বৃষ্টি ছিল না বলেই এতটা ঢালু পথ পেরিয়ে আসতে পেরেছি আমরা। আমাদের সাথে ছোট দু’টো বাচ্চা ছিল, ওদের নিয়ে কোনভাবেই এপথে আসা যেত না। নৌকার মাঝির কাছেই জানলাম ছোট-বড় ১৬টি ঝর্ণা নেমে এসেছে ওই খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড় থেকে। কিন্তু জাফলং-এর এই অংশের পিয়াইন নদীতে পানি এত কম কেন ভেবে পেলাম না আমি। নদী পার হয়ে আরো দশ মিনিট বালুর মধ্যে হাঁটার পরে পেলাম সেই মায়াবী ঝর্ণা। ভারতের সীমানায় এই ঝর্ণা, টহল দিচ্ছে বিজিবি। প্রচুর পর্যটকের ভীড়। বড় বড় পাথর বেয়ে নেমে আসছে এই উচ্ছল ঝর্ণাধারা। পাথর বেয়েই উপরে উঠছে সবাই, লাফালাফি ঝাপাঝাপি করছে স্বচ্ছ পানিতে। বেশী উপরে গেলেই বেজে উঠছে বিজিবি-র বাঁশি। এমনিতেই এটা ভারতের সীমানায়, তারপরে এত উপরে ওঠাও ঠিক না। আমার সাথীরাও পাথুরে পাহাড় বেয়ে কিছুটা এগিয়ে যেয়ে ঝর্ণায় ভিজলেন সাধ মিটিয়ে। বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে, অনেক অনেক ছবি তুলে ফিরে এলাম আমরা।



সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ী


এখান থেকেই আমরা নৌকায় উঠলাম।


জাফলং-এ পিয়াইন নদী।


এখানে নৌকা থেকে নেমে, আরো দশ মিনিট হেঁটে আমরা পৌছুলাম সংগ্রামপুঞ্জী ঝর্ণার ধারে।














এমন ঝর্ণার ছবি তুলেই চলেছি, তুলেই চলেছি। :D


বর্ষায় জাফলং-এর রূপ লাবণ্য যেন ভিন্ন মাত্রায় ফুটে উঠেছে। ক্ষণে ক্ষণেই ঝুপঝাপ বৃষ্টি, ধূলি ধূসরিত পরিবেশ হয়ে উঠেছে স্বচ্ছ, স্নিগ্ধ। খাসিয়া পাহাড়ের সবুজাভ চূড়ায় তুলার মত মেঘরাজির বিচরণ এবং যখন-তখন সেই মেঘ অঝোর ধারায় ঝরছে বৃষ্টি হয়ে, সে যেন এক ভিন্ন শিহরণ। সেই সংগে কয়েক হাজার ফুট উপর থেকে নেমে আসা ছবির মত শুভ্র ঝর্ণাধারার দৃশ্য যে কারোরই চোখ জুড়ায়, মনে আনে প্রশান্তি!




নদীতে পর্যটকের নৌকার চেয়ে পাথরবাহী নৌকাই বেশী। জাফলং-এর অতীতের সেই পাথুরে নদী দেখবার সৌভাগ্য আমার হলো না!




ফেরার পথে আরো দেখলাম তারুণ্যের চঞ্চলতা!


ফিরে এলাম আবার সেই সীমান্ত ফাঁড়ীর ঘাটে।


ঘাটের পাড়েই দেখলাম একজন ফটোগ্রাফারকে, এই সিংহাসন আর একটা ক্যামেরাই তার জীবিকার হাতিয়ার। এই সিংহাসনে বসিয়ে ছবি তুলে দিচ্ছেন নিজের ক্যামেরায় অথবা চাইলে আপনার ক্যামেরায়।




ফাঁড়ীর পাশে অনেকগুলো দোকান। খাবারের সাথে সাথে টুকিটাকি অনেক কিছুই পাওয়া যায়। একজন পাথরে ছবি আঁকছেন, নাম লিখছেন। আপনি চাইলে, আপনার প্রিয়জনের জন্য উপহার হিসেবে কিনতে পারেন, স্মৃতি হিসেবে নিয়ে আসতে পারেন একটি ফলক, জাফলং ভ্রমণের।


ইতিহাস থেকে জানা যায়, হাজার বছর ধরে জাফলং ছিল খাসিয়া জৈন্তা-রাজার অধীন নির্জন বনভূমি। জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির পরে খাসিয়া জৈন্তা রাজ্যের অবসান ঘটে। তারপরও বেশ কয়েক বছর জাফলংয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পতিত পড়ে ছিল। ব্যবসায়ীরা পাথরের সন্ধানে নৌ পথে জাফলং আসতে শুরু করেন। পাথর ব্যবসার প্রসার ঘটতে থাকায় গড়ে উঠে নতুন জনবসতিও। আশির দশকে সিলেটের সাথে জাফলং এর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়। এরপর থেকে জাফলংয়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্যের কথা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা সিনেমায় দেখতাম জাফলং-এর পাথুরে নদীর ছবি! দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পাশাপাশি প্রকৃতি প্রেমীরাও ভীড় করতে থাকেন জাফলংয়ে। জাফলং এখন দেশের সেরা পর্যটন স্পট। নাগরিক জঞ্জাল আর কোলাহল ছেড়ে দু’দণ্ড শান্তি খুঁজে নিতে তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে, এমনকি দেশের বাইরে থেকেও দলবেঁধে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন পর্যটকরা।

বাংলাদেশ-এর প্রায় প্রতিটি স্থানেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সৌন্দর্য্যের সমাহার। তেমনই এক নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর প্রকৃতি কন্যা জাফলং।

প্রথম পর্বে ছিলঃ ভরা বর্ষায় আমার সিলেট ভ্রমণ - বিছানাকান্দি, সিলেটের আরেক বিস্ময়!!!

দ্বিতীয় পর্বে ছিলঃ পানতুমাই একটি চোখ জুড়ানো গ্রাম!!!



ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫২

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টে প্রথম ভাল লাগা! সত্যিই চোখ জুড়ানো ছবি! আর সাথে আপনার চমৎকার বর্ননা তো আছেই! স্পেসেফিক ভাবে পোস্টটা কেমন লেগেছে সেটা বলা কঠিন, তবে হালকা করে শুধু 'অসাধারন'ই বলে গেলাম!

শুভ কামনা আপু!

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: স্পেসেফিক ভাবে পোস্টটা কেমন লেগেছে সেটা বলা কঠিন, তবে হালকা করে শুধু 'অসাধারন'ই বলে গেলাম!
আপনাদের এমন মন্তব্যে ছবিব্লগ পোষ্ট করা্র উৎসাহ পাই আমি, সত্যিই।

অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকবেন।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ওয়াও!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আক্ষরিকই চোখ জুড়িয়ে গেল!

মুগ্ধতা ঝর্ণার অবরিল ধারার মতো :)

++++++++++++++

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: মুগ্ধতা ঝর্ণার অবরিল ধারার মতো ------

এমন কাব্যিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই!!!

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আবরও মনটা নষ্ট করে দিলে !!

মনে চাচ্ছে এখন সিলেট চলে যাই।
কিন্তু ব্যস্ততার নগরের প্রাণী .............

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: নাগরিক জঞ্জাল আর কোলাহল ছেড়ে দু’দণ্ড শান্তি খুঁজে নিতে এক্ষুনি যাত্রা শুরু করুন সিলেটের পথে!!! :)
ভালতো লাগবেই, ১০০% গ্যারান্টী!!!!

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আপনার ছবিতে সিলেট দেখে নিলাম আরেক বার। B-)

ছবি ও বর্ননা সব মিলে দারুন হয়েছে !

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আরেকবার দেখবেন, আমি আরো ঘুরেছি সিলেটে।
অনেক শুভেচ্ছা আবারও !!!

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
দারুণ। নির্দ্বিধায় আধঘন্টা কাটিয়ে দেওয়া যায় এই পাতায়। অথবা তারচেয়েও বেশি।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: তাই? আন্তরিক এই মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই!!
ছবিগুলো আমারও খুব ভাল লাগে দেখতে।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৯

নীলসাধু বলেছেন: চমৎকার সব ছবি এবং প্রাঞ্জল লেখায় মূল্যবান একটি পোষ্ট।
শুভেচ্ছা নাহার আপা।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা নীলদা। ভাল থাকবেন!

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০৫

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: জাফলং কে দেখলাম জানলাম।কি আপূর্ব সৌন্দর্য। চমৎকার ফটোগ্রাফি। এমন কন্যাকে ধারণ করতে পারলে যেকোন দেশই গর্বিত হতে পারবে। খুব সুন্দর।
ধন্যবাদ আপু।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
এমন কন্যাকে ধারণ করতে পারলে যেকোন দেশই গর্বিত হতে পারবে।

ঠিক তাই। কিন্তু এই কন্যার সৌন্দর্য্য আমরাই মলিন করে দিয়েছি!! :(
সারা নদী জুরে এক সময় বড় বড় পাথর ছড়ানো ছিল।
ছবিতে দেখেছি আমি, কিন্তু এখন সেই সৌন্দর্য্য আর নেই!

অনেক শুভেচ্ছা আপু, ভাল থাকবেন!

৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:০৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পাথরের উপরে মাজারটায় উঠতে চেয়েছিলাম কিন্তু উচ্চতায় ভীত বন্ধুদের বাধার কারণে উঠা হয়নি।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: তাই? কিন্তু এপার থেকেতো দেখা যায় পাহাড়ের সাথে লেগে আছে।
ওদেশ থেকে, বা পাহাড় থেকে কি খুব ঊঁচুতে?

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:০৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার দেখা আপনার সেরা ছবিব্লগ এটাই......এমন চমৎকার ফটোগ্রাফিতে সত্যিই আমি মুগ্ধ

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
ফটোগ্রাফিতে সত্যিই আমি মুগ্ধ -------

আপনার কাছে থেকে এমন সনদ পাওয়া মানে সৌভাগ্যের ব্যাপার!!!
সত্যিই আমি আনন্দিত!

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:১৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার বর্ণনাঃ

//সেই গোয়াইনঘাটের রাস্তা ধরে চলেছি আমরা, আমাদের পাশে পাশেই চলছে মেঘালয়ে সবুজ পাহাড়ের সারি। মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে শ্বেতশুভ্র ঝর্ণা। কোথাও সারা মাঠ জুড়ে সবুজ ধানক্ষেত-এর মাতামাতি, মন ভোলানো সবুজ চা বাগান, সবুজ পাহাড় আর শুভ্র ঝর্ণা দেখতে দেখতে, সবুজ মুগ্ধতা নিয়ে এক সময় চলে এলাম আমরা জাফলং! //

তার নীচেই ছবি তিনটা দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলাম !!!!

যতই এগিয়েছি, সেই স্তব্ধতা আরো প্রগাঢ় হয়েছে !!!

তাই প্রিয়তে নিলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
তার নীচেই ছবি তিনটা দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলাম !!!!
যতই এগিয়েছি, সেই স্তব্ধতা আরো প্রগাঢ় হয়েছে !!!
তাই প্রিয়তে নিলাম।
-----------

এমন অসাধারণ মন্তব্যে আমিও স্তব্ধ!!!! ;)
অনেক ধন্যবাদ ভাই!

১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: নৌকার মাঝির কাছে শোনা, ডাউকি পাহাড়ে এই বড় পাথরের উপরে কোন একজনের মাজার আছে।

আমি ১৯৮০সালে যখন গিয়েছিলাম তখন ওখানকার লোকের কাছে শুনেছিলাম ওটা নাকি পাথর শাহের মাজার। ধন্যবাদ কামরুন্নাহার আপা ছবি বর্ননা দু'টাই ভালো লাগল।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ১৯৮০ সালে কতই না সুন্দর ছিল এই জাফলং!!
আমার দেখবার সুযোগ হয়নি তখন!

"পাথর শাহের মাজার" -- নামটা জেনে ভাল লাগল।
অনেক শুভেচ্ছা প্রামানিক ভাই!

১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা পড়ে আর চমৎকার সব ছবি দেখে কিছুটা শান্তি পেলাম। কিন্তু কবে যে যাবো.............!

+।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: দাদা, ভাবতে শুরু করুন কবে যাবেন।
ইচ্ছে থাকলে উপায় হবেই।

১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ঐ পাথরটার উপর উঠার জন্য পাথুরে ধাপ কাটা সিড়ি আছে, ওখানে যাওয়াটা কোন ব্যপারই নয়

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: তাহলে ভীতু বন্ধুদের আপত্তির মুখে যান নাই, তাইতো?
আপনাদের মধ্যে এমন ভীতু তো থাকার কথা না।
আপনারা পৃথিবীর যে কোন দুর্গম জায়গায় যেতে পারেন!!

১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: অপুর্ব সুন্দর সব ছবি আর চমৎকার সহজ বর্ণনা্ বেশ ভাল লাগল। ফাকে একটা কথা বলতে হয়। চল্লিশ পন্চাশ বছর আগে এসব জায়গা কত সুন্দর ছিল তা এখন কল্পনাই করা যাবেনা। এদেশের মানুষ নামের কতগুলো অসভ্য লোভী অসৎ অমানুষ অর্থের লোভে বিভিন্ন উপায়ে পাথর নিয়ে নিয়ে জায়গাটাকে নগ্ন করে ফেলেছে, তূলনামুলকভাবে প্রায় কুৎসিৎ করে ফেলেছে। বড় দুঃখ হয় রাগ হয় এখনকার চেহারা দেখলে। কিন্তু করার কিছুই নেই! আপনাকে ধন্যবাদ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এই ব্যাপারটা আমাকেও খুব নাড়া দিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন স্পটগুলোর মধ্য জাফলং একটি!!
আমি শুধু ছবিতেই দেখেছি, সেই সৌন্দর্য্য কাছে থেকে দেখা, আমার আর হলো না!!! :(

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই!!

১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৫

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অসাধারন ছবি এবং বর্ননা।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু!!

১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১০

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: স্কুলে পড়াকালীন সময়ে বেশ কয়েকবার জাফলং যাওয়া হয়েছে -জাফলংয়ে থেকে দেখা ভারতের সীমানায় অবস্থিত স্টিল ব্রিজের কাছে যাবার ইচ্ছেটা আজো মনে রয়ে গেছে :)
মুগ্ধ ছবি এবং দারুন বর্ণনা আপু ।
ভাল লাগা এবং ভাল লাগা ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: স্কুলে পড়াকালীন সময়ে যে সৌন্দর্য্য আপনি দেখেছেন, এখন আর সি সৌন্দর্য্য নেই! :(
আমরাই নষ্ট করেছি সেই সৌন্দর্য্য!!

ভারতের সেই ডাউকি ব্রীজের উপর দিয়ে শিলং দেখতে চলে যান।
স্বপ্ন পূরণ হয়ে যাবে!! :)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও স্বাগতম আমার ব্লগে!!

১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০০

মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: দারুন, মনেহল যেন নিজেই গুরে এলাম মাত্র। জাফলং এ যাওয়ার অনেক ইচ্ছা, ইনশাআল্লাহ কোন একদিন যাব....

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা, এমন ইচ্ছে থাকলে একদিন যাওয়া হবেই হবে!
অনেক শুভেচ্ছা ভাই!

১৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: মেগা ছবি পোস্ট।

শিহরণ জাগানিয়া।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দাদা!! :)

১৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি উপরে উঠব ততোক্ষণ আমার বন্ধুরা নিচে বসে থেকে কি করবে? তাছাড়া ওরা ওখানে উঠতে বাধাও দিচ্ছিল, কি আর করা ভবিষ্যতের আশায় চলে এলাম।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা, ভবিষ্যতে আবারও যাবেন সেই শুভকামনা!
তবে কোন বর্ষায় মেঘালয় গেলে আওয়াজ দিয়েন!

২০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এখন পর্যন্ত চিন্তা ভাবনা আছে আগামী আগষ্টে যাওয়ার, দেখা যাক কি আছে ভাগ্যে।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: তাই? পারিবারিক ভ্রমণ, নাকি দলীয় ভ্রমণ?
দলীয় হলে আমিও চেষ্টা করব।

২১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: যে কোন টাই হতে পারে, পারিবারিক হলেও আপনার সাথে আমরা স্বচ্ছন্দেই ভ্রমণ করতে পারবো।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই!!
দোয়া করবেন, তখন আমার সকল পরিস্থিতি যেন অনুকূল -এ থাকে!!

২২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু এত্ত এত্ত সুন্দর সব ছবি দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়।!
ধন্যবাদ চমৎকার পোস্ট এর জন্য :)

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা আপু, এমনই সুন্দর আমাদের দেশটা!!
তাই হাজার হাজার ছবি তুললেও যেন মন ভরে না।

অনেক ধন্যবাদ আপু, ভাল থাকবেন!

২৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৫

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা!:)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু!! :)

২৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

স্বপ্নের_ফেরিওয়ালা বলেছেন: বাহ! খুব সুন্দর ছবি । B-)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও আমার ব্লগে স্বাগতম ভাই!!!
আপনার এই নামের একজন ব্লগার, একসময় আমার খুব ভাল বন্ধু ছিলেন!! --------

২৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: চিত্ররূপময় কারুকাজ ও অসাধারণ লেখনী আমাকে যেন টেনে নিল জাফলং ভ্রমনে!

দারুন শেয়ার!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: তাই? ঘুরে আসুন, খুব ভাল লাগবে!!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!

২৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১১

তাওহীদ পলাশ বলেছেন: একবার গিয়েছিলাম, এখন আবার লোভ লাগলো।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হুম, বারবারই যেতে মন চায় সেখানে!! :)
অনেক ধন্যবাদ ভাই!

২৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ, আমার সিলেট যাওয়ার প্লান আছে সামনে :)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা আপু, ঘুরে আসুন খুব ভাল লাগবে। তবে বর্ষায় সে রূপে অনন্যা!!!
অনেক শুভেচ্ছা আপু!

২৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

ধমনী বলেছেন: এপ্রিলে বেড়িয়ে এসেছি। মায়াবী ঝর্ণাটা সত্যিই অসাধারণ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: বর্ষায় গেলে আরো আরো সৌন্দর্য্য দেখতে পেতেন।
বর্ষায় সিলেটের রূপ যেন বর্ণনাতীত!!
অনেক ধন্যবাদ ভাই!!

২৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কামরুন নাহার বীথি ,




প্রকৃতির অপূর্ব সব ছবি । সুপার্ব ।

এই ছবিটি অসাধারন । নিজ সংগ্রহে রাখতে চাই । অনুমতি পেলে ভালো লাগবে ।


১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, অনেককাল ব্লগে নেই আমি।
আপনার মন্তব্যও দেখা হয়নি।
অবশ্যই পছন্দের ছবিটা সংগ্রহে রাখবেন, এ আমারই আনন্দ।
আমার শখের কিছুটা হলেও মূল্যায়ন হোক!!!! :)

৩০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৬

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: ছবি ও বর্ণনা ভালো লাগল।
সিলেট দারুণ সুন্দর।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আসলেই সিলেট খুব সুন্দর!!! অনেক ধন্যবাদ ভাই!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.