নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য আমাকে কেবলই পিছুটানে!!

কামরুন নাহার বীথি

আমি কিছুটা ভ্রমণবিলাসী আর ফুলের প্রতি আছে আমার আজন্ম ভালোবাসা

কামরুন নাহার বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবরত্ন মন্দির – সিরাজগঞ্জ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭




কয়েকদিন আগে প্রোগ্রাম হলো পাবনা যাব। বেশ কিছুদিন যাওয়া হয় না! চললাম পরিবারের সবাই। দু’দিন পাবনা থেকে ফেরার পথে সিরাজগঞ্জে ঢুকবো, ঠিক হলো নবরত্ন মন্দির দেখে তারপরে সিরাজগঞ্জ যাব। নবরত্ন মন্দিরের সামনে যেয়ে আমিতো অবাক! হুবহু কান্দজীর মন্দির! খুব ছোটবেলায় দেখেছিলাম, ভাঙাচোরা মন্দিরটি। সংস্কারের পরে আমি আর দেখি নাই।

সিরাজগঞ্জ জেলায়, প্রায় পাঁচশ বছরের পুরানো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির। উল্লপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নে এই মন্দিরের অবস্থান।

সিরাজগঞ্জ-বগুড়া মহাসড়কের হাটিকুমরুল বাস স্টেশন। দুইপাশের ধান ক্ষেতের বুক চি্‌ড়ে, সেখান থেকে ছোট্ট একটি মেঠো পথ আঁকাবাঁকা হয়ে চলে গেছে উত্তর পূর্ব দিকে। এই পথে প্রায় এক কিলোমিটার গেলেই দেখা মিলবে পোড়ামাটির কাব্যে গাঁথা অনন্য এক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই পথে বর্ষাকালে গাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই এলাকার মাটি রৌদ্রে শুকিয়ে গেলে সিমেন্টের মত শক্ত হয়ে যায়, আবার একটু বৃষ্টি পেলেই হাঁটু পর্যন্ত কাদা হয়ে যায়। এই মন্দির সংস্কার এবং রক্ষনাবেক্ষন করছেন স্বয়ং প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর! রাস্তা সংস্কারের দায়িত্ব কাদের, আল্লাহ্‌ই জানেন! বাংলাদেশে যতগুলো পর্যটন স্পট আছে, তার অধিকাংশেরই রাস্তার এই দশা।

(২)

(৩)

তিনতলা বিশিষ্ট এই মন্দিরের চারপাশের দেয়ালে পোড়ামাটির অলঙ্করণে ভরপুর, বাইরে থেকে দেখতে অনেকটাই কান্তজীর মন্দিরের মতো। স্থানীয়ভাবে দোলমঞ্চ নামে পরিচিত, এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নবরত্ন মন্দির।


বাংলাদেশে প্রাচীন যেসব হিন্দু মন্দির দেখতে পাওয়া যায় সেগুলোর অন্যতম একটি এই হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির। হিন্দু স্থাপত্যের উজ্জ্বল নিদর্শন কারুকার্যমন্ডিত নবরত্ন মন্দিরটি উঁচু একটি বেদীর উপর নবরত্ন পরিকল্পনায় নির্মিত, মন্দিরের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ১৫.৪ মিটার এবং প্রস্থে ১৩.২৫ মিটার। ক্রমহ্রাসমান তিনতলা বিশিষ্ট, এই স্থাপনার উপরের রত্ন বা চূড়াগুলো প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। মূল মন্দিরের বারান্দার বাইরের দিকে ৭টি এবং ভিতরের দিকে ৫টি খিলান বা প্রবেশ পথ। মন্দিরের মূল কক্ষটি বেশ বড়। নীচতলায় ২টি বারান্দা বেষ্টিত একটি গর্ভগৃহ। গর্ভগৃহের পূর্ব ও দক্ষিন দিকে ২টি প্রবেশ পথ রয়েছে। মন্দিরের ২য় তলায় কোন বারান্দা নেই। ভিতর থেকে মূল ভবনের উপরের ছাদ গোলাকার গম্বুজে আচ্ছাদিত। বর্গাকার এই মন্দিরের আয়তন ১৫ দশমিক ৪ বর্গমিটার। একসময়ে মন্দিরে নয়টি চূড়া ছিলো বলে নবরত্ন মন্দির হিসেবে এটি পরিচিতি পায়।


(৪)

(৫)

(৬)

(৭)


মূল অবস্থায় মন্দিরটি পোড়ামাটির চিত্রফলক দ্বারা সজ্জিত ছিল। এখনও মন্দিরের গায়ে সামান্য কিছু চিত্রফলকের চিহ্ন দেখা যায়। মন্দিরটির ছাদপ্রান্ত আংশিক বাঁকানো।

মন্দিরের নির্মাণ সময় সম্পর্কিত কোনও শিলালিপি পাওয়া যায়নি। তবে কিছু পাঠজাত বিবরণ থেকে জানা যায় যে, নবাব মুর্শিদকুলি খানের শাসনামলে, রামনাথ ভাদুরী নামে জনৈক তহসিলদার ১৭০৪-১৭২৮ সালের মধ্যবর্তী সময়ে, মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। অনেকের মতে রামনাথ জামিদার ছিলেন।


(৮) মন্দিরের স্তম্ভের উপরে পোড়ামাটির সুশোভিত চিত্র ফলক।


মন্দিরের বিশাল চত্বরে বিক্ষিপ্তভাবে আরও ৩টি মন্দির রয়েছে। নবরত্ন মন্দিরের উত্তর পাশেই শিব-পার্বতী মন্দির, তার পাশেই রয়েছে দোচালা চণ্ডি মন্দির, দক্ষিণপাশে পুকুরের পাড় ঘেঁষে রয়েছে পোড়ামাটির টেরাকোটা কারুকার্যখচিত শিবমন্দির। বহুকাল ধরে মহা ধুমধামে এ ৪টি মন্দিরেই পূজা অর্চনা করা হতো। কালের বিবর্তনে ভারত উপমহাদেশে জমিদারি প্রথা বিলুপ্তি, দেশ বিভাগ ও নানা রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে হারিয়ে যায় জমিদারের পূর্ব পুরুষরা। অরক্ষিত এ নবরত্নের অনেক মূল্যবান প্রাচীন সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় দেশি-বিদেশি দুর্বৃত্তরা। স্বাধীনতার পর প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ পর্যায়ক্রমে বের করে নিয়ে আসে এর প্রাচীন সৌন্দর্য্য। সবগুলো মন্দিরেরই বর্তমানে দেখাশোনা করছেন সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।


(৯) এটি শিব মন্দির।

(১০)

(১১)

(১২) পোড়ামাটির টেরাকোটা কারুকার্যখচিত শিবমন্দিরটি।

(১৩)

(১৪)শিব-পার্বতী মন্দির।

(১৫) দোচালা চণ্ডি মন্দির।


এ মিন্দরের নির্মাণ নিয়ে নানা গল্প প্রচলিত আছে এ অঞ্চলে। কথিত আছে, দিনাজপুরের রাজা প্রাণনাথের কাছের মানুষ হয়েছিলেন জমিদার রামনাথ ভাদুরী। প্রাণনাথ দিনাজপুরে ঐতিহাসিক কান্তজী মন্দির নির্মাণে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে সংকটে পড়েন। ফলে বছরের রাজস্ব পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে পড়েন। সে সময় তাকে সাহায্যে এগিয়ে আসেন বন্ধু রামনাথ ভাদুরী। নিজ কোষাগারের টাকা দিয়ে রাজা প্রাণনাথের বকেয়া শোধ করে দেন তিনি। তবে এই অর্থ ফেরতের শর্ত হিসেবে, দিনাজপুরের কান্তজী মন্দিরের রূপ্‌ হাটিকুমরুলে একটি মন্দির নির্মাণের অনুরোধ জানান। রামনাথ ভাদুরীর শর্তানুসারেই রাজা প্রাণনাথ কান্তজীর মন্দিরের অবিকল নকশায় হাটিকুমরুলে এ নবরত্ন মন্দির নির্মাণ করে দেন। এ মন্দির নির্মাণকালে প্রতিটি ইট ঘিয়ে ভেজে তৈরী করা হয়েছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

আবার অনেকের মতে রাখাল জমিদার হিসেবে পরিচিত রামনাথ ভাদুরী তার জমিদারীর সঞ্চিত অর্থ দিয়েই এ মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।

(১৬)মন্দিরের সামনে স্থাপিত পরিচিতি ফলক ।

(১৭)

(১৮) মন্দিরের বিভিন্ন দিকের সৌন্দর্য্য।


***ছোটবেলায় বাড়ি এলে দাদির কাছে গল্প শুনেছি, মন্দিরের পেছনে বিশাল একটি পুকুর আছে। সেই পুকুরে অনেক বড় ধন-রত্ন ভরা একটি সিন্দুক ডুবানো আছে। সেই সিন্দুক উপরে ওঠানো যায় না। কয়েকটা হাতির পায়ে (কয়টা মনে নেই) দড়ি বেঁধে, সিন্দুকের সাথে সেই দড়ির অপর প্রান্ত বেঁধে, সিন্দুক তোলার চেষ্টা চলতো। সিন্দুক উপরে ভেসে উঠত ঠিকই কিন্তু ভেসে ওঠার সাথে সাথেই হাতিগুলো চিৎকার কর মাটিতে পড়ে যেত। সেই সিন্দুক আজও তোলা হয়নি, ঐখানেই আছে!!!

(১৯) মন্দিরে পেছনের সেই ঐতিহাসিক পুকুরটির বর্তমান অবস্থা!

*** মায়ের কাছে আরেক গল্প শুনেছিঃ- নায়েব রামনাথ ভাদুরী একদিন দুপুরে রাজবাড়ীর বাগানে, গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে ছিল। একটি বড় সাপ ফনা তুলে তার পাশে ছিল। রাজবাড়ি থেকে রানী ভবানী এই দৃশ্য দেখতে পেয়েছিলেন। রানী বুঝতে পেরেছিলেন এই রামনাথ এক সময় অনেক ধন-রত্নের মালিক হবে। তিনি একদিন রামনাথকে বলেছিলেন,”তুমি যদি অনেক সম্পদশালী হয়, তবুও কি আমাকে এখনকার মতই এভাবে ভক্তি শ্রদ্ধা করবে?” তার জবাবে রামনাথ সম্মতি জানিয়ে বলেছিল,”আমি যতদিন বেঁচে আছি, আপনাকে সম্মান দেখিয়ে যাব।“ সম্পদশালী হয়ে, রামনাথ ছয়তলা বিশিষ্ট এই নবরত্ন মন্দির তৈরী করেছিল আর তারই চিলেকোঠা থেকে রানী ভবানীর উদ্দেশ্যে প্রণাম করত। মন্দিরে তিন তলা ভুমিকম্পে মাটির নিচে দেবে গেছে, এখন উপরে আছে বাকি তিনতলা!!!

তথ্যসূত্রঃ মন্দির সংলগ্ন পরিচিতি ফলক।


ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ

মন্তব্য ৯৮ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৯৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

আলোরিকা বলেছেন: সুন্দর - চিত্র ও লেখনী দুটোই ! :)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু!!!

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: অসাধারণ স্থাপত্যকলা আজো স্বমহিমায় জ্বলছে!


খুব ভাল পোষ্ট! ধন্যবাদ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ঠিক তাই!!! অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু!!!

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মন্দিরগুলো নিয়ে ছবিব্লগ ভাল হয়েছে!! আসলে আমাদের স্থাপত্যও অনেক আছে সেটা মাঝে মধ্যেই এইরকম পোস্টের কল্যাণে টের পাওয়া যায়।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ঠিক বলেছেন!!!
পর্যটন কর্পোরেশন আর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর -এর কোন দায় নেই।
দেশ বা বিদেশে কোন পরিচিতি নেই!

অনেক ধন্যবাদ গেমু ভাই!!

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

পথহারা মানব বলেছেন: অসাধারন!!
লেখা এবং ছবি দুটোই।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই!!!

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

আমি ইহতিব বলেছেন: দারুন সুন্দর জায়গা, আর আপনার বর্নণা আর ছবিগুলোও অসাধারণ। দেশে আসলে এত সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে আমাদের। শুধুমাত্র অব্যবস্থাপনার কারনে অনেকে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও পারেনা। আর রাস্তার কথা তো আপনি বললেনই, রাতারগুল যাওয়ার পথে মনে মনে শুধু বকেছি সেই মানুষগুলোকে যাদের দায়িত্ব তারা সচেতনভাবেই অবহেলা করে যাচ্ছে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর গোছানো মন্তব্যের জন্য!!
আমি পাবনার কিছু স্থাপনার ছবি পোষ্ট করব একসময়, দেখবেন কী অব্স্থা!!!
এই ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর দুরবস্থা দেখলে সত্যিই কষ্ট হয়!!

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

শুভ_ঢাকা বলেছেন: পাঠক এই তথ্য জেনে আনন্দিত। ছবি ও লিখা উভয়ই আকষর্নীয়।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এমন মন্তব্যে সত্যিই লেখার আগ্রহ আর সাহসও পাই!!
অনেক ধন্যবাদ ভাই!!

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো ছবি ও সাথের গল্প ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই নীলপরী!!! :)

৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

সাহসী সন্তান বলেছেন: বীথিপু, আপনার প্রথম লাইনেই পাবনা যাওয়ার কথা পড়ে আমি অবশ্য অন্যকিছু আন্দাজ করছিলাম! :P তবে আপনার উদ্দেশ্য যে 'নবরত্ন মন্দির' পরিদর্শন সেইটা অবশ্য পরে এসে জানলাম! ;)

তবে পোস্টে উল্লেখি শেষের দুইটা (আপনার দাদি এবং মায়ের কাছে শোনা) গল্পকে আমার কাছে পৌরাণিক মিথের মত মনে হলো! অবশ্য বাংলাদেশের অধিকাংশ স্থাপত্য শিল্প নিয়ে এমন হাজারও কিংবদন্তি কাহিনী মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত। বাস্তবিক পক্ষে যেগুলো শুনতে আমার ব্যাপক ভাল লাগে।

চমৎকার ইতিহাস বর্ননা এবং সেই সাথে তৎসংশ্লিষ্ট ছবিগুলো সত্যিই অসাধারণ! অনেক অনেক ভাল লাগলো আপু!
শুভ কামনা জানবেন!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
সাহসী সন্তান বলেছেন: বীথিপু, আপনার প্রথম লাইনেই পাবনা যাওয়ার কথা পড়ে আমি অবশ্য অন্যকিছু আন্দাজ করছিলাম! ------- তার মানে? ফুল ফ্যামিলি পাগলাগারদ -এ যাচ্ছিলাম??
এমনটা যার মাথায় আসে, সেই একটা পাগল!!! :)

হ্যা, এমন স্থাপনা নিয়ে অনেক কিংবদন্তি কাহিনী প্রচলিত আছে!! শুনতে ভালোও লাগে।

অনেক শুভেচ্ছা ভাই, ভাল থাকবেন!!

৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৪

মোঃ জাফর আলম ভুইয়া বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ভাই!!

১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রতিউত্তরে মাইনাচ। আমি আবার কখন কইলাম যে আপনারা পাগলা গারদে যাইতেছেন? পাবনায় তো মানুষ আরো অনেক কিছুর জন্যও যাইতে পারে! সেখানে আরো কত কিছুই তো দেখার আছে।

হার্ডিঞ্জ ব্রীজ, লালন শাহ সেতু, ঈশ্বরদী বিমান বন্দর, পাকশী আরো কত্ত কিছু! অথচ আপনার খালি ঐটাই মনে হইলো? :(

তাছাড়া পাগলাগারদে কি মানুষ শুধু পাগল হইলেই যায়? ক্যান, পাগল দেখতেও তো যাইতে পারে! ;)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
হার্ডিঞ্জ ব্রীজ, লালন শাহ সেতু, ঈশ্বরদী বিমান বন্দর, পাকশী আরো কত্ত কিছু! অথচ আপনার খালি ঐটাই মনে হইলো?--

এখন এত্ত কিছু মনে আসলো, আর তখন??? শুধু আন্দাজ!!!! ;)
আপনার উল্লেখিত সবকিছুই আমার দেখা হয় গেছে সেই ক ----বে!!! :)
ছবি দেখাব একদিন।

পাগলও দেখেছি, পাগলরাই সাথে করে আমাদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখিয়েছে পাগলাগারদ !!

১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

সুমন কর বলেছেন: আপু, আজ খুব ক্লান্ত !! তাই ছবিগুলো দেখে গেলাম। সুন্দর।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ঠিক আছে দাদা, ভাল থাকুন!!

১২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: ছবি আর বর্ণনা খুব সুন্দর। আমাদের দেশে এরকম অমূল্য প্রাচীন কীর্তি অনেক আছে তবে অপদার্থ অযোগ্য অদক্ষ অকর্মন্য দুর্ণীতিবাজ প্রত্নতত্ব বিভাগের কারণে সব হারিয়ে যাচ্ছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা ভাই, দুঃখতো আমাদের সেখানেই! আমার ঐতিহ্য আমরা রক্ষা করতে পারছি না!! :(
অনেক ধন্যবাদ ভাই!!!

১৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: দোষটা আমার না! গায়ে পড়ে কেউ যদি ঝগড়া করবার চায়, তাইলে তো আর আমি তারে থামাইতে পারুম না! তাছাড়া কেউ মুখ হা করলেই যদি আপনি হাওড়া বোঝেন, তাইলে তো আর আমার কিছু করার থাকে না! ;)

বাই দ্যা ওয়ে, পাগলরা পাগলা গারদ ঘুইরা দেখাইছে; তারমানে পাগলা গারদের সব পাগল কি সেদিন আপনাদের সংস্পর্শে এসে ভাল হইয়া গেছিল নাকি? বিষয়টা তো কর্তৃপক্ষকে জানানো দরকার! আফটার অল এত ভাল একজন পাগলের চিকিৎসককে তো আর আমরা হেলায় হারাইতে পারি না! :P

আপনাকে পাগলা গারদের ডাক্তার বানানোটা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র! ;)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: দেখুন, ঝগড়া করাটা মেয়েদের একচেটিয়া অধিকার, বলতে পারেন মেয়েদের অলংকার!!!
হা করলে শুধু হাওড়া কেন, আরো অনেক কিছুই বুঝতে পারি!!! ;)

আমি পাগলের চিকিৎসক কে বলেছে, আশ্চর্য !!!!!!
আমি একজন মানবধর্মী মহামানবী!!!! ;)
আমার সংস্পর্শে এসে কোন পাগল যদি ভাল হয়ে যায়, তবে আমি হাজারবার আসিব ফিরে এই বাংলায়!!!! :)


১৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার ছবি ও বর্ণনা :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু!!!

১৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আমি গত মাসে গিয়েছিলাম ! মন্দিরটা অনেক সুন্দর। B-)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: তাই? অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!!

১৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৯

জে আর সিকদার বলেছেন: সিরাজগঞ্জ অনেক বার গিয়েছি কিন্তু ঘুরতে যাই নাই কখনই, এমাসেই আবার যাবো মিস করবো না আর হয়তো, লেখিকাকে ধন্যবাদ সুন্দর লেখা & ছবির জন্য।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: সিরাজগঞ্জ শহর থেকে খুব বেশী দূরে নয় কিন্তু!!
মন্দিরটা এখনও না দেখে থাকলে, দেখে আসবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!!

১৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চমৎকার ছবি সে সাথে বর্ণনা ।

শুভেচ্ছা রইল ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা ভাই!!

১৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ওয়াও আপা ছবিগুলি অনেক সুন্দর।আপনি দিনে দিনে পাকা ফটোগ্রাফার হয়ে যাচ্ছেন। কামাল ভাইয়ের দিন গেল বলে।
বর্ণনাও দিয়েছেন অনেক সুন্দর।আপনার দাদির কাছে পুকুর নিয়ে যা শুনেছেন আমরাও ছোট সময় এমন অনেক গল্প শুনতাম দাদির মুখে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: কী বলছো তুমি ফেরদৌসা!!!
কামাল ভাইয়ের মত ছবি তুলতে পারব আমি? কক্ষোনো না!!
উনার রক্তে মিশে আছে ফটোগ্রাফি!!!

তোমার এবারের ক্যামেরাটাও খুব ভাল ক্যামেরা, খুব ভাল ছবি ওঠে!!
তুমিও অনেক ভাল ছবি তোল এখন!!

অনেক শুভেচ্ছা ফেরদৌসা, ভাল থেক!!!

১৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

মাদিহা মৌ বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। আমি তো সিরাজগঞ্জ যাব, তখন দেখব। শিয়োর যাব।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, প্রিয়তে রেখে দিন!!
যাবেনতো অবশ্যই, ভাল লাগবে সামনে থেকে দেখতে!!

২০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। লেখা + ছবি দুটোই দারুণ।
দেশীয় ঐতিহ্য। সম্পদ। ধন্যবাদ আপনাকে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা, দেশীয় ঐতিহ্য আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার!!!
এর অবহেলা দেখলে সত্যিই কষ্ট হয়!!
ধন্যবাদ ভাই!!

২১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
ধন্যবাদ রইল।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দাদা!!

২২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

ক্লে ডল বলেছেন: অনন্য এক প্রাচীন ঐতিহ্য!! এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যারা আছেন তাদেরই উচিৎ সেগুলো দেখতে যাওয়ার সুব্যবস্থা করা। অর্থাৎ রাস্তাঘাট ভাল করা।

আপনার প্রাণবন্ত বর্ণনা খুব ভাল লাগল! :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনন্য এক প্রাচীন ঐতিহ্য!! এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যারা আছেন তাদেরই উচিৎ সেগুলো দেখতে যাওয়ার সুব্যবস্থা করা। অর্থাৎ রাস্তাঘাট ভাল করা।----------

এটাই যদি কোন প্রাইভেট প্রপার্টি হতো, দেখতেন এর শান -শওকত!!!
ঢাকা থেকেও প্রচুর ভিজিটর যেত প্রতিদিন।

শুধু এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করতে হবে, এটাই হয় না!!! :(

আন্তরিক এমন মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই!!!

২৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: এই মন্দির তো আপনার বাড়ির কাছে। আমার খুব ইচ্ছা করে এটা দেখতে। রাস্তার সাইবোর্ড দেখি কিন্তু যাওয়ার সময় পাই না। তবে আপনার বর্ননা পড়ে অনেক কিছু জানা হলো।
আপনি সিরাজগঞ্জ শহরের সেই লোহার ব্রিজটার ছবি তুলে তার ইতিহাসটাও আশা করি লিখবেন। ১৯৭৭সালে আমি অনেক দিন সিরাজগঞ্জে ছিলাম। তখন পুরো সিরাজগঞ্জ শহর চষে বেড়াতাম। ধন্যবাদ কামরুন্নাহার আপা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমার বাড়ি থেকে খুব কাছে বলা যায় না, প্রায় ঘন্টা খানেক সময় লাগে যেতে।
ওদিক দিয়েইতো আপনি যাতায়াত করেন, ঢুকবেন এক সময়।
আমারতো এখন ওদিকটায় যাওয়াই হয় না।
পাবনা গিয়েছিলাম বলেই দেখা হয়ে গেল।

সিরাজগঞ্জ শহরের সেই লোহার ব্রিজটার ছবি তোলার মত জায়গা নেই এখন আর!!
আগে এর নিচে ছিল বহমান নদী। যমুনার সাথে যোগ করা ছিল।
বড় বড় পাটভর্তি মহাজনী নৌকা এই ব্রীজের নিচে দিয়ে যেত।
এখন এইটা একটা খাল হয়ে গেছে, অনেক জায়গায় বন্ধও করা হয়েছে।

ঠিক আছে ভাই, আমি চেষ্টা করব। অনেক ধন্যবাদ।



২৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আহারে, এত গ্যাজানোর পরেও আপুমনিতা আমার মূল উদ্দেশ্যটাই ধরতারলো না! মুঞ্চাইতাছে নরম কোন ওয়ালের গায়ে (যাতে মাথায় না লাগে) মাথা খুইট্টা মইরা যাই! ওরে কইতরি তুই কোনাই.... জলদি কইরা একবাটি হেমলক লইয়া আয়, আমি হেইডা গলায় দিয়া আত্মহত্যা করি! ;)

নিজেগো বাড়ির পাশে এত ভাল ভাল দর্শনীয় স্থান অথচ একদিনও একটু কইলো না যে, ভাইয়ুমনি আসো একদিন আইসা বেড়াইয়া যাও? এই দুস্কের দঁড়ি আমি বান্দুম কুতায়? :(

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
একবাটি হেমলক লইয়া আয়, আমি হেইডা গলায় দিয়া আত্মহত্যা করি! ;) ------
কি ইইইইইইহ, এইতো পাবনা যাবার সময় এসে গ্যাছে!!! ;)

নিজেগো বাড়ির পাশে এত ভাল ভাল দর্শনীয় স্থান অথচ একদিনও একটু কইলো না যে, ভাইয়ুমনি আসো একদিন আইসা বেড়াইয়া যাও? এই দুস্কের দঁড়ি আমি বান্দুম কুতায়? -------

কথায় বলে না, মক্কার হাজী হজ্জ্ব পায় না --- আমার হয়েছে সেই অবস্থা!!!
সেই ছোট্ট বেলায় ভাঙাচোরা মন্দির দেখেছিলাম, আর সংস্কারের পরে এই প্রথম দেখলাম!!
আবার যখন যাব, সত্যিই নিয়ে যাব, তখন যেন কোন বাহানা না শুনি!!!!!

২৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

পবন সরকার বলেছেন: এইডা সম্পর্কে আমার কোন ধারনাই ছিল না। আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানা হলো।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: সব কিছুই কি আগে থেকেই জানা থাকে? এবারতো ধারনা কিছুটা হলেও পেলেন।
এবার এক সময় যেয়ে ঘুরে আসুন, ভাল লাগবে!!

২৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার ছবি, সেই সাথে পরিমিত বর্ণনা।

পোস্টে +++++

ভাল থাকুন। সবসময়।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই!!

২৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

তাহ্ফীর সাকিন বলেছেন: ছবি আর লেখার উপস্থাপনা থেকেই মনে হলো,নিজে স্বচক্ষে দেখছি ! আপনা উপস্থাপনা আর ছবিব্লগ সমগ্র ভালো লাগল। ধন্যবাদ!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার এমন আন্তরিক মন্তব্যের জন্য!

২৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সেই সভ্যতা আমরা আর সবের মতই ভুলে গেছি।। আর রক্ষাও করতে পারছি না তার স্মৃতি।।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ঠিক তাই, তবে আমাদের মনে করিয়ে দেবার দায়িত্ব যাদের তারা যে একেবারেই উদাসীন!!
অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকবেন!

২৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩২

স্বপ্নের_ফেরিওয়ালা বলেছেন: ছবিতে নবরত্ন দেখার সৌভাগ্য হল। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই, ভাল থাকবেন!!

৩০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

নাইম রাজ বলেছেন: ভালো লাগল মন্দির সম্পর্কে জেনে ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
সম্ভবত আপনি আজ প্রথম এলেন, স্বাগতম আমার ব্লগবাড়ীতে!!

৩১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

প্রথমকথা বলেছেন: অনেকগুলো সুন্দর ছবিও মন্দির সম্পর্কীয় অনেক গুলো বর্ণনা পেলাম। ভাল লাগল।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম আপু, ভাল থাকবেন!!!

৩২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৬

মানস চোখ বলেছেন: কে বলেছে যে ফকির নিজ গ্রামে ভিক্ষা পায় না? আপনি তো পেয়েছেন :) :) :) :) !! কিন্তু আমি পাই নাই :( :( !! সিরাজগঞ্জ শহর থেকে ৩০/৪০ মিঃ এর দূরত্ব হলেও এখনোও পর্যন্ত এই নবরত্ন মন্দির এ যাওয়া হয় নাই :( :( :( । আগে মহাসড়ক থেকেই কিছু অংশ দেখা যেত, কতদিন ভেবেছি যেতে হবে, যাব কিন্তু সেই সুযোগ আজোও হয়ে উঠেনি।

অসংখ্য ধন্যবাদ 'বিথী' আপা, এই অসাধারণ পোষ্টি শেয়ার করার জন্য!!! সুন্দর ছবে সাথে প্রাঞ্জল বর্ণনা !!! সত্যিই অসাধারণ !!! সেই সাথে ভালো লাগছে আমাদের এলাকার প্রত্নসম্পদ লোকজন জানতে পারছে।

বাংলাদেশে যতগুলো পর্যটন স্পট আছে, তার অধিকাংশেরই রাস্তার এই দশা[/sb -- একদিক থেকে এই দশা থাকা ভালো :) ! খারাপ রাস্তার কারনে ঐখানে তারাই কষ্ট করে যাবে যাদের এই বিষয়ে আগ্রহ আছে। তথাকথিত গড় পর্যটক আউটিং করতে গিয়ে বিরানী উচ্ছিষ্ট প্যাকেট, চিপসের প্যাকেট, পানি আর ডিংকসের বোতল ফেলে আসবে না। কষ্ট করে যারা যাবে, তাদের আগ্রহ থাকবে বলে তারা এই বিষয়ে সচেতন হবে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হুম্ম, আমিতো ভিক্ষা পেলাম, আপনি কেন পেলেন না??? :) :)
আমিতো সদর উপজেলার ভিক্ষুক, আর আপনি ----- বললেন না যে??? :)

ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল করলে, পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে!!
আর অভ্যাস যাদের এখনও খারাপ, একসময় ঠিক হয়ে যাবে!!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা দেশীভাই!!!! :) ;)

৩৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গতকাল কিছুটা দেখে গিয়েছিলাম , গভীররাতে ঘুমের ঘুরে ভাল করে দেখতে পারি নি ।
আজ দেখলাম ভাল করে । মন্দিরটিতে পুরামাটির টেরা কোটার কাজ সত্যিই খুব সুন্দর এবং
এটা আমাদের মধ্যযুগীয় স্থাপত্য শিল্পের গৌরবময় নিদর্শন। বিষয়কর্ম উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ
অনেকবার গেলেও যাতায়াতের অসুবিধার কারণে যাওয়া হয়ে উঠেনি এ মন্দিরে । তাই এখানে
ছবিতে এটাকে দেখে প্রথমে একটু কনফিউসড হয়ে যাই, কারণ এটাকে এপারেন্টলি
দেখতে প্রায় দিনাজপুরের কান্তাজীর মন্দিরের মত মনে হচ্ছিল । দুটো ছবিকে পাশা
পাশি করে দেখায় বুঝা গেল পার্থক্য কোথায় । অবশ্য আপনিও বলেছেন দুটু দেখতে প্রায়
একই রকম । ছবিগুলি ও তার কাহিনী বিবরন খুবই সুন্দর হয়েছে । অনেক অজানা তথ্য উঠে
এসেছে ।
এর রক্ষনাবেক্ষনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা আশা করি এ পোস্টের মতামত গুলিকে বিবেচনায়
নিবেন । দেশের এই গৌরবময় স্থাপত্য কর্মকে সকলের কাছে পরিচিত করানোটা জরুরী ।

এই মন্দিরটি দেখা না হলেও সিরাজগনজের শাহজাদ পুরে রবিন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ীটি
দেখেছি । এছাড়াও শাহজাদপুরে রয়েছে ১৪শতকে নির্মিত শাহ মখদুম মসজিদ যার
স্থাপত্য শৈলীও নজর কারার মত । যদি এখনো সিরাজগনজ এলাকায় থেকে থাকেন তবে
এক ফাকে ঘুরে আসতে পারেন শাহজাদপুর ।
শাহ মখদুম মসজিদের একটি ছবি দেয়া হল নীচে ।
ভাল থাকার শুভেচ্ছা রইল

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার এই চমৎকার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য!!

উত্তরবঙ্গ -এর অনেকগুলো জেলায় যেতে এর সামনে দিয়েই যেতে হয়।
আগেতো মহাসড়ক থেকেই দেখা যেত, এখন অনেক বড় বড় গাছপালার জন্য দেখা যায় না!
ওখানে যাবার রাস্তা যতটা খারাপ ভাবছেন অতটা নয়।
হাটিকুমরুল বাসস্টপ প্রায় এক কিলোমিটার মাটির রাস্তা।
অটোরিকশা বা রিকশা সবই যায়।
একসময় এই মন্দির দেখতেই চলে যান।

আমার দেশের বাড়ীই সিরাজগঞ্জ!! :)
বাড়ি গেলে ইচ্ছে করে না আর বাইরে ঘুরতে!
তবে এই মসজিদ দেখতে যাব ইন শা আল্লাহ্‌!!

৩৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৪

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: মাটির তৈরি তিন তলা মন্দির। কি অদ্ভুত স্থাপিত্য শিল্প। চমৎকারভাবে ক্যামেরাবন্দী করেছেন। ভাল লাগল

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা অদ্ভুত স্থাপিত্য শিল্প। আমাদেরই ঐতিহ্য, দেখতেও দারুন!!
অনেক শুভেচ্ছা আপু, ভাল থাকবেন!

৩৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

ধমনী বলেছেন: মন্দিরের স্থাপত্য মোগল আমলের। কান্তজিউ মন্দির সম্পর্কে শুনেছি- মন্দিরের নির্মাণ কাজ মুসলিম কারিগররা করেছে। এটাও একই মিস্ত্রিদের বানানো কিনা?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা, কান্তজী মন্দির সম্মন্ধে এমন তথ্য আমিও শুনেছি, কান্তজী মন্দিরও দেখেছি অনেক আগে!!
নবরত্ন মন্দির কোন শিল্পীর হাতে তৈরী তা' জানা যায় নাই।
যা জানা গেছে, অধিকাংশই জনশ্রুতি!!
এ দেশে এমন স্থাপনা নিয়ে কোন গবেষণা করা হচ্ছে কিনা জানিনা।

অনেক শুভেচ্ছা ভাই, ভাল থাকবেন।

৩৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০২

গোফরান চ.বি বলেছেন: ভালো লাগলো।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই!

৩৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ইদানিং আপনার ছবি ব্লগ দেখলে আমি পাগল হয়ে যাই আপু.........যেতে হবে একদিন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হায় হায়, কি বললেন!!!! আপনি পাগল হলে ছবিব্লগ কে পোষ্ট করবে!!!
আমি আর কতদিন, দু'চারটে পোষ্ট করে আর নেই।

হ্যা, মন্দিরটা সত্যিই দেখার মত!!
যদি না দেখে থাকেন, একদিন ঘুরে আসুন। ভাল লাগবে।।

৩৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: শাপলা চাই, চা খাব না!



৩৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৩

মানস চোখ বলেছেন: আমিও সদরের !!!! :) :) :)
ঐ ছোট শহরেই আমার বড় হওয়া !!! আপনার 'শিকড়' জেনে খুশী হলাম 'দেশী বোন' !!!
ভালো থাকবেন !! শুভ কামনা সব সময়!!!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
বাবার কর্মস্থল ঢাকায় আমার জন্ম হলেও, লেখাপড়া অনেকটাই সিরাজগঞ্জে!!!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই, ভাল থাকবেন সব সময়।

৪০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: ঈদ মোবারক।
আপনার এবং আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনাকেও শারদীয় শুভেচ্ছা দাদা!!!!!

৪১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ধন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য ।
রইল সেই সাথে

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা ভাই!!!!
আশা করছি ভাল আছেন!

৪২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জি ভাল আছি, ধন্যবাদ ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও!!

৪৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: ঈদের নতুন রেসিপি কই?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এবার ঈদের ছুটিতে সবাই দেশের বাইরে বেড়াতে গেছে!
আমরাই দুই বুড়ো বুড়ি বাড়ীতে!! :)
তাই মাংস ভুনা আর মাংস ভাজা ছাড়া আর কিছুই করি নাই!!!

৪৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই!!!

৪৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

পথহারা মানব বলেছেন: আপু তোমার ভারত ভ্রমনের পোষ্ট কোথায়...দিবা না?

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা ভাই দিব, একটু অপেক্ষা করতে হবে যে!! :)

৪৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২১

মেহেদী রবিন বলেছেন: ওয়াও, , , একবার হলেও দেখে আসতে হবে

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা অবশ্যই যাবেন, ফিরে আসবেন একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে!!!!

৪৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:১৫

জুন বলেছেন: আমিও চমকে গিয়েছি প্রথম দেখায় কান্তাজীর মন্দির ভেবে। না দেখা প্রাচীন এক মন্দিরের পুরনো ইতিহাস তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ কামরুন্নাহার বিথী। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য :)
+

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকেও আপু!
একবার প্রোগ্রাম করে ঘুরে আসুন, ভাল লাগবে!!

৪৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

শামীম আরেফীন বলেছেন: ছবি দেখে আর বর্ণনা পড়ে নবরত্ন মন্দির দেখার ইচ্ছে প্রবল হলো।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: প্রবল ইচ্ছেকে দমিয়ে রাখতে নেই, ঘুরে আসুন!!! :)

৪৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দিরের কথা অনেক শুনেছি, কিন্তু নবরত্ন মন্দিরের নামই জানা ছিল না। চমৎকার ছবি এবং বর্ণনার জন্য ধন্যবাদ :)

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: কান্তজী মন্দিরের চেয়েও আরো সুন্দর নাম না জানা মন্দির দেখে আসুন।
ভালতো অবশ্যই লাগবে!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.