নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামহয়্যারইনব্লগ এর আর তেমন কোন জনপ্রিয়তা নেই..আর তেমন কেউ পড়েও না... তাই এই ব্লগেই আমার লেখাগুলো প্রকাশ করা সবচেয়ে বেশী নিরাপদ মনে করছি...

মোঃ কামরুজ্জামান কনক

জ্ঞান অর্জন করতে হলে লেখার কোন বিকল্প নেই। একটি লেখা পড়ে যতোটা না জ্ঞান অর্জন হয়, একটি লেখা লিখতে তার থেকেও হাজারগুন বেশী জ্ঞানের দরকার হয়।

মোঃ কামরুজ্জামান কনক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কম্পিউটার নিয়ে যতো কথা

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৫


কম্পিউটার সাবজেক্টটা বরাবরই আমার খুব ভালো লাগতো। হয়ত চার্লস ব্যবেজ তখনও প্রথম কম্পিউটারের ধারণাটা ঠিকভাবে দিয়ে উঠতে পারেনি। সেই সময় থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল আমি বড় হয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হবো। কতো সুন্দর একটা স্বপ্ন। ছেলে কি করে? কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার... আহঃ শুনতেই যেন কেমন একটা লাগছে। সেই সময় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার মানে ছিল অনেক কিছু। আসলে ইঞ্জিনিয়ার বলতে শুধু কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদেরই বোঝানো হতো। বাকিরা কোন ইঞ্জিনিয়ারিং এর দলেই পড়তো না। পরবর্তীতে কম্পিউটার যতোটা সহজলভ্য হয়েছে, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যাও ততো বেড়েছে। তবে শুধু সংখ্যাটাই বেড়েছে। ঠিক যেমন এখন SSC তে A+ এর সংখ্যা বেড়েছে তেমন। আর তাই বর্তমানে মনে করা হয় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোন দামই নেই। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট এর নামটা দেখলেই অনেকে নাক শিটকানো শুরু করেন। তবে আমি মনে করি কম্পিউটারের অবস্থাটা এদেশে আগের মতোই আছে। চাহিদাটা বরং আগের চেয়ে অনেকগুনে বেড়েছে। কম্পিউটার যতো সহজলভ্য হয়েছে ততোটাই এই সাবজেক্টএর চাহিদা বেড়েছে। আমার অনেক অনেক বন্ধু আছে যারা কম্পিউটারে ডিপ্লোমা বা বি.এস.সি করছে বা কমপ্লিট করে ফেলেছে তাদের মাঝে এক ধরনের হতাশা কাজ করতে শুরু করেছে। সেটা হলো, কম্পিউটার সেক্টরের বর্তমান চাকরীর বাজার খুবই খারাপ। এই ভেবে অনেকেই একজন ভালো কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার আশা ছেড়ে দিচ্ছে। কেউবা সাবজেক্টই চেইঞ্জ করে ম্যাকানিক্যাল বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার চেষ্টা করছে। এই রকম হতাশাগ্রস্থ বন্ধুদের জন্যই আজকে আমার এই লেখা।

মূলত কম্পিউটার সাবজেক্ট এর সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক আমার কাছে কোনটা মনে হয় জানেন? এর অনেকগুলো সাব-ডিভিশন আছে, অনেকগুলো সুন্দর বিষয়ের মধ্যে যে কোন একটা পছন্দের বিষয় ঠিক করে সেটাতেই নিজের ক্যারিয়ার গড়া যায়। আপনি ইচ্ছা করলে হতে পারেন একজন সফট্ওয়্যার প্রকৌশলী অথবা কম্পিউটার প্রোগ্রামার। কিনবা হতে পারেন একজন ওয়েব ডিজাইনার, না হলে ডেভেলপার আর না হলে গ্রাফিক্স ডিজাইনার, অ্যানিমেটর, গেম ডেভেলপার, মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপার, ডাটা অ্যাডমিনিসট্রেটর বা সিস্টেম এনালিস্ট। যদি হার্ডওয়্যারের দিকে কোন টান থাকে তবে হতে পারেন হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বা নেটওয়ার্ক আর্কিটেক্ট। আবার ওভারঅল হতে পারেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। আরো কতশত যে বিষয় আছে তার কোন ঠিক-ঠিকানা নাই। তবে করার মতো যে অনেক কিছুই এখানে আছে সেটা অবশ্যই বোঝা যাচ্ছে। কম্পিউটারের এই সুন্দর সুন্দর বিষয়গুলোতে বা যেকোন একটাতে যদি মিশে যেতে পারেন তবে আপনি আপনার বিয়ে করা বউকে ছেড়েদিতে পারবেন কিন্তু এটা ছাড়তে পারবেন না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে সেটা সবাই বুঝে উঠতে পারে না। অনেকে দূর থেকে দাড়িয়ে দেখেই ভয়ে পালিয়ে যায়। কাছে যাওয়ার সাহসটা পর্যন্ত পায়না।

আসুন বোঝার চেষ্টা করি কম্পিউটার জিনিসটার সৌন্দর্য এবং এর ক্ষমতা। কেন কম্পিউটার সেক্টরে আপনার ক্যারিয়ার গড়াটা সবচেয়ে ভালো এবং কতোটা সফল আপনি এখান থেকে হতে পারেন। আমি কোথায় থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছি না... আসলে কম্পিউটার জিনিসটা এমন একটা জিনিস যার গভীরতা পরিমাপ করা সম্ভব নয়। আজকের যুগের একটা কম্পিউটার যদি চার্লস ব্যবেজ কে দেখানো যেত তাহলে তিনি নির্ঘাত জ্ঞান হারাতেন। কম্পিউটার প্রযুক্তি যে বর্তমানে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা বোঝানোটা খুব একটা সহজ কাজ নয়।



আসলে প্রযুক্তি বা টেকনোলজি শব্দটার ব্যবহার কম্পিউটার আবিষ্কার হওয়ার আগে করাই হতো না। কেউ জানতোই না যে এরকম কোন শব্দ ডিকশনারিতে আছে। এবং এখন প্রযুক্তি আর কম্পিউটার দুইটা সমার্থক শব্দ হয়ে গেছে। কম্পিউটার ছাড়া আজ কোন প্রযুক্তিই আর কল্পনা করা যায় না। প্রতিনিয়ত কম্পিউটার আমাদের কতটা কাছে চলে আসছে সেটা কি আপনি একবারো ভেবে দেখেছেন? আর এটা সম্ভব হয়েছে এর ব্যপক উন্নতি সাধনের ফলে। কম্পিউটারকে বিশাল বড় বড় ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভারী ভারী মেশিনপত্রের রুপ থেকে আপনার পকেটের স্মার্টফোনের রুপে আসতে অবশ্য কেটে গেছে বেশ কয়েক যুগ। আজকাল কম্পিউটার এর বিবর্তন নিয়ে আমরা তেমন কোন মাথা ঘামাই না। আর ঘামানোর দরকারও নেই। তবে যেটা জানার দরকার সেটা হলো, কম্পিউটার জিনিসটা আমাদের হাতে আসা খুব বেশীদিন হয়নি। মনে করে দেখে নিন, মাত্র কয়েক বছর হয়েছে। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের দিক বিবেচনা করলে এই সময়টা খুবই সামান্য। আর এই সামান্য সময়েই কম্পিউটার আমাদের নিত্য-প্রয়োজনীয় অপরিহার্য বস্তুতে পরিনত হয়েছে। কারণ, কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম গুলোকে মাত্রাতিরিক্ত সহজ করে দিয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে হয়তো আপনার এটা মনে নাও হতে পারে, একটা সামান্য যন্ত্র কিভাবে মানুষের সব কাজ এতোটা সহজ করে দেয়? মুভি দেখা আর ফেসবুক ইউজ করা ছাড়া তো কোন কাজ চোখেই পড়ছে না তাই না? সত্যিই যদি এরকমটা মনে করে থাকেন তবে আপনার জন্য আমার এই লেখা না। আপনি আপনার কম্পিউটার নিয়ে মুভি দেখাতে আর ফেসবুকই ইউজ করাতেই ব্যস্ত থাকতে পারেন। উলুবনে মুক্ত ছড়িয়ে আমার কোন লাভ নেই। তবে হ্যা, আপনার যদি বিন্দু পরিমান চিন্তা করার ক্ষমতা থাকে তবে ভেবে দেখেতে পারেন, আজ কম্পিউটার জিনিসটা আবিষ্কার না হলে আপনি যে অবস্থায় এই মুহুর্তে আছেন, সেভাবেই থাকতেন কি না? নাকি অন্য কোন কাজ করতেন? তবে আর যা-ই করেন না কেন, বসে বসে আমার এই পোস্টটা অন্তত পড়তেন না।

এবার আসল কথায় ফিরে আসি। বাংলাদেশের কম্পিউটার সেক্টরটা একদমই কাদায় পড়ে ছিল কিছু দিন আগেও। অর্থাৎ এই সেক্টরটাতে কাজ করার মতো মানুষ খুবই কম ছিল। তবে বর্তমানে সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল বানানোর লক্ষে কম্পিউটার সেক্টরটাকে খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং এর মর্ম বুঝতে পেরেছে। তবুও বলবো অনেক পিছিয়ে আছে তার কারণ হলো, কম্পিউটার জিনিসটা এদেশের মাটিতে আসাটা খুব বেশী দিন হয়নি। কিন্তু এটা বলা যায় এই সল্প সময়ের মধ্যে তুলনামূলক ভাবে কম্পিউটার এদেশের পরিবেশে অনেকটাই মিশে গেছে। তবে বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে অনেক আগেই, সেই ১৯৬৪ সালে। অবশ্য সেই দুর্ভাগ্য হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র এর উপহারের কারণে। দুর্ভাগ্য বললাম কারণ তখন সেটা নিয়ে দেশের সরকার পড়েছিল মহা বিপদে, তেমন কেউই ছিলনা সেই কম্পিউটারটি ব্যবহার করার মতো। সেই কম্পিউটারটি দেখলে এখন অবশ্য কেউ কম্পিউটার বলে স্বীকার করবে না। কারণ সেটি ছিল IBM এর একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার। বা বলা যায়, এখনকার কম্পিউটারের দাদারও দাদা... আর তার আকার ছিল একটা বড়সড় ঘরের সমান। তার অনেক বছর পরে নব্বই দশকের মাঝের দিকে কম্পিউটার জিনিসটার সাথে বাঙালী ধীরে ধীরে পরিচিত হতে শুরু করে। বুঝতে শুরু করে যে কোন একটা যন্ত্র আছে যেটা দিয়ে অনেক মজার মজার কিছু করা যায়। এই সময়টাকেই তাই বলা যায় বাংলাদেশে কম্পিউটারের আবির্ভাবকাল। আর তারও এক যুগ পরে এসে কম্পিউটার জিনিসটা মানুষের নাগালের মধ্যে আসতে শুরু করে। কম্পিউটার জিনিসটাকে নিয়ে মানুষ, তাও আবার বাংলাদেশের মানুষ ক্যারিয়ার তৈরী করা শুরু করে।

বর্তমানে বাংলাদেশে কম্পিউটারে দক্ষ মানুষের চাহিদা ব্যপক। কারণ প্রযুক্তিতে উন্নত একটা দেশে যে পরিমান দক্ষ জনবল দরকার তার ২০ ভাগের এক ভাগও এখনো বাংলাদেশে তৈরী হয়নি। তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাটা কোথায় একবার ভাবার চেষ্টা করুন। আর কম্পিউটারের যতোটা ব্যবহার এদেশে করা হয় তার থেকে অনেক বেশী ব্যবহার এখনও করা সম্ভব। অর্থাৎ এদেশে কম্পিউটারের অনেক কিছুই এখনও অব্যবহৃত হয়ে আছে যেটা অন্যান্য দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। আরো অনেক অনেক ক্ষেত্রে কম্পিউটারকে কাজে লাগানো হচ্ছে। নতুন নতুন উপযোগীতা তৈরী হচ্ছে।

বই কিনে যেমন আজ পর্যন্ত কেউ দেউলিয়া হয়নি, তেমনই কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থেকে আজ পর্যন্ত কেউ গোল্লায় যায়নি। তবে হ্যা... কেউ কেউ আবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ-আউট হয়েছে। কিন্তু মজার ব্যপার হচ্ছে, ৩০ বছর পরে আবার সেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ই তাদেরকে ডেকে নিয়ে গিয়ে সম্মান সূচক ডিগ্রী প্রদান করেছে। কারণ এই সময়ের মধ্যে তারা বিশ্বের সব চেয়ে ধনী ব্যাক্তিদের খাতায় নিজেদের নাম লিখিয়েছে কি-না। তবে যায়হোক, সেসব কথা এখানে বলে লাভ নেই। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি তা হলো... কম্পিউটার সেক্টরটা বাংলাদেশের জন্য এমন একটা সেক্টর যেটা মাত্র অংকুরিত হয়েছে আর ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। এটা আরো যতো বড় হতে থাকবে, এর ডালপালা ততো বাড়তে থাকবে। এক পর্যায়ে গিয়ে অনেক বিশাল একটা বৃক্ষে পরিণত হবে আর যার ফল হবে বাংলাদেশের জন্য সব চেয়ে বড় রেভিনিউ এর যায়গা।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বানানোর জন্য সরকার কম্পিউটার সেক্টরটিকে কতোটা গুরুত্ব দিচ্ছে বা এর জন্য কি কি কাজ করছে সেসব কথা আমি বলতে চাইনা, কারণ তা আপনি নেট সার্চ করলেই জানতে পারবেন। আমি আপনাকে জানাতে চাই অন্য সব কথা। সরকারের কোন ধরণের পদক্ষেপ ছাড়াও কম্পিউটারের ভবিষ্যতটা কেমন হতো বা হতে পারে, সেটা বলতে চাই। তার আগে আর কিছু কথা বলবো, ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনেই যারা আছেন কিন্তু মনে করেন কম্পিউটার সেক্টরের এদেশে তেমন কোন মূল্য নাই, তারা আগামীতে প্রতি পদে পদে বুঝতে পারবেন আপনার ধারণা কতোটা ভুল ছিলো। কম্পিউটার সেক্টরে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং করছে তাদের জন্য আমি “কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার” শব্দটা ব্যবহার করতে চাইনা। তার বদলে বলতে চাই কম্পিউটার এর লোক বা কম্পিউটার লাইনের একজন মানুষ। আর এটা হওয়ার জন্য কম্পিউটার লাইনে ইঞ্জিনিয়ারিং করতেই যে হবে তার কোন মানে নাই। ইঞ্জিনিয়ারেরাই যে সব কিছু জানে তা ঠিক নয়। বর্তমান বাংলাদেশের কম্পিউটার সেক্টরে যারা অবদান রেখেছেন তাদের বেশীর ভাগই পড়াশোনার ক্ষেত্রে অন্য কোন সাবজেক্টে ছিলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে এসে কম্পিউটারের সাথে জাড়িয়ে পড়েছেন। এবং তারা কম্পিউটার সেক্টরেই নিজেদের ক্যারিয়ার তৈরী করেছেন। আসলে আপনি অন্য কোন সেক্টরে যে নিজের ভালো ক্যারিয়ার তৈরী করতে পারবেন না, এমনটা নয়। আপনি চাইলে যে কোন বিষয়ে, যে কোন সেক্টরে অনেক ভালো ক্যারিয়ার তৈরী করতে পারেন। শুধু আপনাকে তার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আর কম্পিউটারের জন্য? কম্পিউটারে ক্যারিয়ার তৈরী করতে চাইলে বিশ্বাস করুন আর না করুন, তার থেকেও তিন গুন বেশী পরিশ্রম করতে হবে। কারণ এই সেক্টরটি পদে পদে পরিবর্তিত হয়। উন্নত হয় এবং প্রসার লাভ করে।


মনে করুন আপনি একজন পদার্থবিদ। পদার্থবিদ্যার উপরে আপনার ডিগ্রী রয়েছে। ওই ডিগ্রী পাওয়ার জন্য আপনি যা শিখেছেন, ওই পর্যন্তই সব। তার পরে আর আপনাকে নতুন করে কিছু শেখা লাগেনি। ওই জ্ঞান ভাঙিয়েই আপনি খেয়ে চলেছেন। কারণ বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বা নিউটন নতুন করে জীবিত হয়ে আপনার জন্য আর নতুন কোন থিওরী তৈরী করেননি। যেটা কয়েকশ বছর আগে আবিষ্কার হয়েছে সেটা নিয়েই আপনি এখনও পড়ে আছেন। আবার মনে করতে পারেন আপনি একজন গণিতবিদ। গণিতের অনেক কিছু আপনি জানেন। কিন্তু আপনার ডিগ্রী পাওয়ার পরে নতুন করে আজ পর্যন্ত কি আবার নতুন কিছু শেখা লেগেছে আপনাকে? আর তো নতুন কোন সূত্রও আবিষ্কার করেনি কেউ আর গণিতের নতুন কোন শাখাও আবিষ্কার হয়নি এবং আপনার নিজেরও আবিষ্কার করার মতো কিছু বাকি নেই। তবে আপনাকেও বলতে পারি আপনি আপনার ওই কয়েকশ বছর আগের আবিষ্কৃত পুরাতন জ্ঞান ভাঙিয়ে ভাঙিয়েই খেয়ে যাচ্ছেন। কোন নতুনত্ব নেই আর কোন নতুন পরিশ্রমও নেই।

আচ্ছা গণিতবিদ বাদ দিই, মনে করি আপনি একজন একাউন্টিং এর ছাত্র। সামনে এটা নিয়ে আপনি ডিগ্রী লাভ করবেন এবং এতে আপনার ক্যারিয়ার তৈরী করবেন। আপনি কি জানেন? যা ছাত্র জীবনে শিখবেন সেগুলোকেই বিভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়বেন। নতুন করে আপনাকে আর কোন কিছু শিখতে হবেনা। কি মজা তাইনা? এরকম প্রায় সব বিষয়গুলোকেই বলা যায় আর এতো গেল শুধু জেনারেল সাবজেক্টগুলো... ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলোকেও কি বলা যাবে? হ্যা অবশ্যই যাবে... আচ্ছা ধরুন আপনি একজন মেকানিক্যাল (যন্ত্রকৌশল) বা সিভিল (পুরকৌশল) ইঞ্জিনিয়ার, বিভিন্ন ইঞ্জিন থেকে শুরু করে অনেক কিছুই আপনি জানেন অথবা যেকোন বিল্ডিং এর এস্টিমেট থেকে শুরু করে নকশা প্রণয়ন সবই আপনি করতে পারেন। ছাত্র জীবনের যা শিখেছেন আপনার কজের ক্ষেত্রে আপনি সেটাই প্রয়োগ করবেন তবে আরেকটা কথা, ছাত্র জীবনে যা শিখছেন তা খুবই সামান্য ও প্রাথমিক, বাস্তব ক্ষেত্রে এসে আপনার প্রতিষ্ঠান আপনাকে তাদের প্রয়োজন মতো ট্রেইনিং দিয়ে তৈরী করে নেবে। আপনি সেই কাজের জন্য একবার তৈরী হয়ে গেলে আপনাকে দিয়ে সেই কাজ বার বার করিয়ে নেবে, আপনি শুধু সেই সব বিষয়গুলোতে দক্ষ হয়ে উঠবেন। কিন্তু নতুন করে কিছু আপনার আর শেখা লাগবে না এরকম প্রায় সব বিষয় গুলোকেই বলা যাবে শুধুমাত্র একটি সাবজেক্ট ছাড়া।

হ্যা... বিশ্বের বুকে একমাত্র কম্পিউটার সাবজেক্টটিই আছে যেটার আজ আপনি A থেকে Z পর্যন্ত সব কিছু শিখে নিয়ে ঘুমাতে যাবেন আর সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরী হয়ে গেছে যেটা আপনি এখনও জানেন না। অন্যান্য সাবজেক্টের সাথে কম্পিউটারের একটা বড় পার্থক্য হলো যে, এটা খুবই দ্রুত পরিবর্তনশীল। যেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। প্রতিনিয়ত এটা আপডেট হয়ে চলেছে। যেটা অন্যান্য সাবজেক্টের ক্ষেত্রে খুবই নগন্য। আর এর জন্য আপনি যদি এই সেক্টরটিতে নিজেকে তৈরী করেন তবে আপনার নিজেকেও এর সাথে তাল মিলিয়ে আপডেট হতে হবে যেটা সবাই করতে পারে না। বিধায় কম্পিউটার সাবজেক্টটাতে তাদের কোন ফিউচার দেখতে পায় না।

আসল ব্যাপারটা কিন্তু সেরকম নয়, কম্পিউটারই একমাত্র সাবজেক্ট যেটাতে আপনি অনেক আগে থেকেই আপনার ফিউচার দেখতে পাবেন। প্রফেশনালি নিজের ক্যারিয়ার গড়ার আগেই আপনি ফলাফল হাতে পেয়ে যাবেন। আপনার ফিউচার নিজের মতো করে তৈরী করতে পারবেন। এক কথায় অন্যান্য সেক্টরগুলোর মতো কোন কম্পানি বা কারো কাছে আপনি ধরা থাকবেন না, আপনার নিজের মতো করে কোনকিছু চাইলেও আপনি তৈরী করতে পারবেন বা হতে পারবেন। ঠিক যেমনটা আপনি চান...


কম্পিউটারের সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়তা বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই। তবে কম্পিউটার এর উপরে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জনপ্রিয়তাটা এখনও সেভাবে ব্যাপক আকারে শুরু হয়নি। এখন খুব অল্প মানুষই আছে যারা জানেন কম্পিউটার হচ্ছে এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যেটা দিয়ে পৃথিবী বদলে ফেলা যায়। অসম্ভবকে সম্ভব করে অনন্ত জলিল হওয়া যায়। অতীতকালে যারা এটা বুঝতে পেরেছিল তারা আজকে পৃথিবীর উপরে রাজত্ব করছে। আর বর্তমানে যারা এটা বুঝবে ভবিষ্যতে তারা রাজত্ব করবে। কেন করবে আর কিভাবে করবে সেটা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী প্রসেসরগুলোর একটা যেটা আপনার নিজের মাথায় বসানো আছে, সেটা ব্যবহার করেই জানার চেষ্টা করুন। আমি বরং আপনাকে একটা গল্প বলি… বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তিদের তলিকায় সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম যার তিনি হচ্ছেন বিল গেটস। মাইক্রোসফট্ এর প্রতিষ্ঠাতা এ ব্যাক্তিকে প্রযুক্তির আরেক রাজপুত্রও বলা হয়, আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর আগে মেরিয়াম নামের একটি মেয়ে তখন মাইক্রোসফট্ এ সেক্রেটারি পদে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন। সেদিন তিনি তার হুবু বস বিল গেটসকে প্রথমবার দেখে চমকিয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনাটা ছিল অনেকটা এরকম… সেদিন এলোমেলো চুল ওয়ালা, জিন্স আর স্নিকার পরা একটা ছেলে ভেতরে ঢুকলো, ভেতরে ঢুকে মেরিয়ামকে বললো হ্যালো… তারপরে সোজা প্রেসিডেন্ট এর অফিসে ঢুকে গেল। তারপরে সেখান থেকে বেরিয়েই কম্পিউটার রুমে ঢুকলো। মেরিয়াম দৌড়ে গিয়ে স্টিভকে বললোঃ এই মাত্র একটা ছোট ছেলে কম্পিউটার রুমে ঢুকেছে, কি করি বলুন তো? স্টিভ তাকে বললো, বাচ্চা কাকে বলছেন? উনিই তো কম্পানির প্রেসিডেন্ট, উনিই আপনার বস। মেরিয়াম তো অবাক, ওই ছেলেটা ওর বস? ওর বয়স কতো? স্টিভ বললেন ওর বয়স কুড়ি… তবে ভাববেন না… খুব শিঘ্রই একুশ হয়ে যাবে।

কিন্তু এই সব কিংবদন্তিদের গল্প বলে অবশ্য কোন লাভ আর যেখানেই থাকুক না কেন অন্তত বাংলাদেশে নাই। এদেশের একজন মানুষ সাধারণ জ্ঞান টাইপের শিক্ষাগুলো অর্জন করতে করতেই জীবনের বেশীর ভাগ সময় নষ্ট করে ফেলে। তাহলে আর অন্য সব কাজ কবে করবে? শেষে একটা মূল্যহীন সার্টিফিকেট অর্জন করে নিজে শিক্ষিত হওয়ার চেষ্টা করে বা শিক্ষিত হওয়ার দাবি করে। ব্যবহারিক দিক থেকে যার কোন দামই নাই। বাংলাদেশ আর দশটা দেশের মতো না বিশেষ করে আই.টির ক্ষেত্রে। নতুন যেকোন প্রযুক্তির সাথে মানিয়ে নিতেও এদেশের মানুষ ভয় পায়। তারা প্রচলিত সনাতন পদ্ধতিতেই সব কিছু করতে অভ্যস্থ। নতুন কোন কিছু এদেশের মানুষের কাছে ঝামেলার মনে হয় । তবুও কম্পিউটার জিনিসটাকে অনেকটা বাধ্য হয়েই মনিয়ে নিতে হয়েছে। কারণ কম্পিউটার যন্ত্রটা এমনভাবে তার ব্যবহারযোগ্যতাটা এদেশের মানুষের সামনে তুলে ধরেছে যাতে ব্যবহার না করে যেন কোন উপায়ই নেই। বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান তো ব্যবহার করছেই, বর্তমানে সরকারি অফিস সমূহেও কম্পিউটার একটা ভালো অবস্থান তৈরী করে নিয়েছে। যেটা আসলেই অনেক বড় একটা ব্যপার। কারণ সরকারি অফিস মানেই বোঝায় মানধাতা আমলের সব ব্যাপার স্যাপার আর ভোগান্তি। তবে বর্তমানে যেটা ধীরে ধীরে কমে আসছে। প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগে এখানেও ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। অনেক কিছুই আগের থেকে অনেক সহজ হয়ে গেছে। আর সামনে আরো হবে।

অনেক কথায় তো হলো এবার চলুন কম্পিউটার নিয়ে আপনার ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে সেটার দিকে কিছুটা আলোকপাত করা যাক। সব সাবজেক্ট এমন থাকে না যেটা দিয়ে সুন্দর ক্যারিয়ার তৈরী করা যায়। সেক্ষেত্রে কম্পিউটার বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে একটা অন্যতম ট্রেন্ড হয়ে দাড়িয়েছে যেটার উপরে অনেক ভালো মানের ক্যারিয়ার তৈরী করা যায়। বিশ্বের সবচেয়ে দামী আর বেশী বেতনের চাকুরী গুলোর মধ্যে কম্পিউটার রিলেটেড চাকুরীগুলোই আছে উপরের দিকে। ফলে কেমন হতে পারে এই সেক্টরে ক্যারিয়ার? গুগলের একজন সিনিয়র সফট্ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এর মাসিক বেতন পনের হাজার ডলার এর উপরে যেটা বাংলাদেশী টাকায় দশ লক্ষ টাকার উপরে। কিন্তু এতে আমাদের কিছুই যায় আসে না। কতজনই বা গুগল অথবা ফেসবুকে চাকরী করবে বা মাইক্রোসফট এ চাকরী পাবে। সে সংখ্যা খুবই সীমিত। তাই এরকম স্বপ্ন দেখাটা অনেকটা ছেঁড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মতো হয়ে যায়। তার চেয়ে বরং বাংলাদেশের অবস্থাটা একটু দেখে আসি। এ সেক্টরে আপনার দক্ষতায় নির্ধারন করবে আপনি কতো টাকা বেতন পাওয়ার যোগ্য। অন্যান্য সব জব সেক্টর এর পে-স্কেল কিরকম সেটা সম্পর্কে আমার খুব বেশী ধারণা নেই। একেবারেই যে নেই তা না, কিন্তু কম্পিউটার সেক্টরে কি রকম পে-স্কেল সেটা আমি জানি। বাংলাদেশের চাকরীর বাজারে একজন ভালোমানের কম্পিউটার প্রোগ্রামারের মাসিক বেতন প্রায় আশি হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর মোটামুটি মানের ভালো প্রোগ্রামারদের বেতন পঞ্চাশ হাজার থেকে ষাট হাজার টাকার মতো হয়। আর আপনি যদি তেমন কিছু না জেনেও ভাগ্যের জোরে কোন কম্পানিতে প্রোগ্রামার বা এই টাইপের পদে চাকরি পেয়ে যান তবেও আপনার স্টার্টিং-এ বেতন পঁচিশ হাজার থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে আমি জানি আপনাদের মধ্যে অনেকেই আই.টি সেক্টরে জব করে দশ-পনের হাজার টাকার বেশী বেতন পান না। তাদের মনে হতে পারে কম্পিউটার লাইনে চাকরীর বেতন খুবই কম। কিন্তু আসল কারণটা হচ্ছে আপনার পদবী ও যোগ্যতা। আপনাকে বেশী বেতন পাওয়ার জন্য অবশ্যই সেরকম লেভেলের কিছু একটা হতে হবে বা করতে হবে। বেতন… চাকরি… এই সব অবশ্য আমার ভালো লাগেনা। অন্যের অধীনে থেকে কাজ করাটা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর মনে হয়। সেক্ষেত্রে এই কম্পিউটার সেক্টরে আছে অরো অনেক ধরনের সুযোগ। যেকোন একটা বিষয়ের উপরে এক্সপার্ট হয়ে নিজের ইচ্ছামতো ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করেও আপনি যেকোন বড় চাকরী করার চেয়ে বেশী টাকা উপার্জন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাজের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। কারো অধীনেও আপনাকে থাকতে হবে না।

কিন্তু এই সব কিছুর আগে যেটা আসে সেটা হলো যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জন করা। আপনি কখনই এই সেক্টরে সফল হবেন না যদি কিনা আপনার কাজের উপরে দক্ষতা না থাকে। আর কাজ শেখার জন্য চাই অদম্য আগ্রহ আর ইচ্ছা। অতএব আপনি যদি শুধু টাকার লোভে পড়ে কাজ শিখতে চান বা এই সেক্টরে কাজ করতে চান তবে এখনই এখান থেকে সরে পড়া ভালো। কারণ আগ্রহ না থাকলে আপনার জন্য এই সেক্টরটি নয়। আপনি কখনই এখানে সফলতার মুখ দেখবেন না শুধু সময়ই অপচয় হবে। আর তাই যারা এই সেক্টরটিতে নিজের একটা হাই-ক্লাস ক্যারিয়ার তৈরী করার কথা ভাবছেন তারা অন্য কোন দিকে না তাকিয়ে শুধু নিজের ক্যারিয়ারের দিকে ফোকাসড হয়ে যান। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জিনিস শিখতে থাকুন, তৈরী করতে থাকুন নতুন কিছু। চেষ্টা করুন আরো ভালো কিভাবে করা যায়। পছন্দের যেকোন একটা দিক বেছে নিয়ে সেটার উপরেই পড়ে থাকুন সব সময়। সেটা নিয়েই ভাবতে থাকুন আর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখুন সেই টপিকটা। এভাবে আস্তে আস্তে কোন বিষয়ের উপরে দক্ষতা চলে আসার পরে আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না কখন আপনি নিজেই একটা বড় এন্টারপ্রেনার হয়ে গেছেন।

বাংলাদেশে এখন বর্তমানে অনেক ভালো ভালো সফট্ওয়্যার বা আইটি ফার্ম তৈরী হচ্ছে। যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তারা কয়েক জন মিলেও একটি ফার্ম দাঁড় করাচ্ছে। সেখানে অনেক জনের কর্মসংস্থান তৈরী হচ্ছে। সরকারও এক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা করছে। সর্বপরি বাংলাদেশের কম্পিউটার সেক্টরটি ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে যে কম্পিউটার সেক্টরটিই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুদুর সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শেষে তাই একটা কথাই বলতে চাই... আগামীটা “কম্পিউটারের”


ফেসবুকে আমি -- Káñàk The-Bøss
আমার পারসোনাল -- ওয়েব সাইট

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল আপনার পোষ্টটি। আরো লিখে যাবেন কম্পিউটার নিয়ে সেই আশায়।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

মোঃ কামরুজ্জামান কনক বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

বিজন রয় বলেছেন: আমাদের দেশে অনেক কিছুরই ভবিষ্যত আছে।
শুধ আমাদের একটু ভাল মানুষ হতে হবে।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়.) বলেছেন: আপনার ফটো ভাল্গাচ্ছে।

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

আলোকিত-পৃথিবীর-সন্ধানে বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম , যা আগে জানা ছিল না। ধন্যবাদ জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.