নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামহয়্যারইনব্লগ এর আর তেমন কোন জনপ্রিয়তা নেই..আর তেমন কেউ পড়েও না... তাই এই ব্লগেই আমার লেখাগুলো প্রকাশ করা সবচেয়ে বেশী নিরাপদ মনে করছি...

মোঃ কামরুজ্জামান কনক

জ্ঞান অর্জন করতে হলে লেখার কোন বিকল্প নেই। একটি লেখা পড়ে যতোটা না জ্ঞান অর্জন হয়, একটি লেখা লিখতে তার থেকেও হাজারগুন বেশী জ্ঞানের দরকার হয়।

মোঃ কামরুজ্জামান কনক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ এবং ধর্ম… সঠিক পথের সন্ধানে

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬


এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বিতর্কিত একটি বিষয়ঃ [তারপরেও না লিখে পারলাম না] আমরা সবাই এক একজন ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের অনুসারী। কেউ মুসলিম, কেউ হিন্দু আবার কেউ খ্রিষ্টান… (এবং সারা পৃথিবীতে আরও আছে প্রায় ৪০০০+ আলাদা আলাদা ধর্ম) সবাই সবার নিজ ধর্ম নিয়ে অনেক সুখীই আছি। সবাই সবার ধর্মকে ফলো করে যাচ্ছি। এবং আমি কোন ধর্মের অনুসারী হবো সেটার উত্তর পেয়েছি আমার বাবা-মায়ের কাছে থেকে। অর্থাৎ আমাদের বাবা-মা যে ধর্মের আমিও সেই ধর্মেই বিশ্বাস স্থাপন করেছি। এটা নিয়ে তেমন কোন মাথা ঘামাচ্ছি না এবং কেউ আপাতপক্ষে অন্যকারো ধর্মে নাক গলাচ্ছি না। আর যারা ধর্ম বা কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে সুখী হতে পারছে না, এগুলোর কোন একটাতে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারছে না তারা নাস্তিক ধর্মের অনুসারী (কোন ধর্মে বিশ্বাস না করাটাকেও একটা ধর্ম বলা যায়)। তবে বর্তমানে নাস্তিকদের সব দাবী যে ভুল তার যথাযথ প্রমাণ বিজ্ঞান নিজেই দিয়েছে এবং তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে… তাই এই লেখাতে তাদের কথা বাদ দিয়ে এবার বাকী বিশ্বাসীদের নিয়ে কথা বলবো যারা কোন না কোন ধর্মে বিশ্বাস করে।

সবাই সিট বেল্ট বেঁধে নিন… এবং লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কোন এক লাইনও বাদ না দিয়ে পুরোটা পড়ুন এবং অবশ্যই অনেক মনোযোগ সহকারে। কারণ বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সহজে বোধগম্য নয়। আমি যতটা সম্ভব কম কথা বলে যত সহজে জিনিসটি উপস্থাপন করা যায় সেটার চেষ্টা করবো।

প্রথমেই বলে নিই… আমিও বিশ্বাসীদের অন্তর্ভূক্ত… এবং একটি ধর্মে পুরোপুরি ভাবে বিশ্বাস করি। সেটা হলো “ইসলাম” অর্থাৎ আমি একজন মুসলিম। তবে এই লেখাটিতে আমি পুরোপুরি নিরপেক্ষ ভাবে কথা বলবো। অর্থাৎ কোন ধর্মের পক্ষপাতিত্ব করবো না। এবং আপনিও যদি নিরপেক্ষ ভাবে আমার কথা গুলো বোঝার চেষ্টা করেন এবং আপনার মধ্যে জ্ঞান অর্জনের ইচ্ছা থাকে তবেই শুধু এই লেখাটা পড়তে পারেন আর অন্যথায় এখানেই থেমে যান। তাহলে চলুন শুরু করা যাক…

১.
আমরা যে কোন একটি ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ। আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানলে আমরা চুপ করে বসে থাকি না। আর যদি অন্য ধর্মের কেউ আমাদের ধর্মে আঘাত হেনে কোন কথা বলে তবে তার গুষ্টি উদ্ধার করে ছেড়ে দিই। আমি অবশ্যই এখানে কারো ধর্মে আঘাত হেনে কোন কথা বলতে আসিনি, শুধু কিছু সিম্পল লজিক নিয়ে কথা বলতে এসেছি এবং এতোটাই সিম্পল যে এটা সাধারণ জ্ঞানের ব্যাপার মাত্র। আপনার যদি ন্যূনতম সাধারণ জ্ঞান থেকে থাকে তবে আমার কথা গুলো সহজেই বুঝতে পারবেন।

আমরা সবাই যে যেই ধর্মের অনুসারীই হই না কেন আমরা সবাই তো মানুষ… তাই নয় কি? এ ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত থাকবে না। আমাদের শারীরিক অবকাঠামো থেকে শুরু করে মানুষিক গঠন সবারই একই রকম হয়ে থাকে। আমাদের সবারই বুকের বাম দিকে হার্ট থাকে, আমাদের সবারই বেঁচে থাকার জন্য খাবার খাওয়া লাগে। অর্থাৎ আমরা এমনটা কখনই বলতে পারবো না যে আমি মুসলিম বলে আমি একধরণের মানুষ আর আপনি হিন্দু বলে আপনি আর এক ধরণের মানুষ এবং সে খ্রিষ্টান বলে সে অন্য কোন এক রকম এর মানুষ এবং তার বৈশিষ্ট আলাদা। এটা যেহেতু আমরা বুঝতেই পারছি যে আমরা সবাই একই ধরণের… তাহলে এটাতেও আপনি নিশ্চই একমত হবেন যে আমাদেরকে যিনি বানিয়েছেন তিনিও একই সত্তা । তিনি কখনোই ভিন্ন হতে পারেন না। অর্থাৎ এমনটা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই যে, আমি মুসলিম তাই আমাকে একজন সত্তা বানিয়েছেন আর আপনি খ্রিষ্টান বা বৌদ্ধ অথবা হিন্দু বলে আপনাকে অন্য ভিন্ন ভিন্ন সত্তা বনিয়েছেন। আমি বা আপনি ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হলেও আপনাকে এটা মেনে নিতেই হবে যে পৃথিবীতে যতো মানুষ আছে তাদের সবাইকে কোন একটি সত্তায় বানিয়েছেন। এখন কোন সত্তা আমাদের বানিয়েছেন সেটা আমার আলোচনার মূখ্য বিষয় নয়। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাচ্ছি যে আমাদের সবার সৃষ্টিকর্তা একই। আমি যে ধর্মেরই হই না কেন বা আপনি যে ধর্মেরই হন না কেন আপনার আর আমার সৃষ্টিকর্তা একই এবং এটা অবশ্যই আপনাকে মেনে নিতে হবে। কারণ এটা একটি সাধারণ জ্ঞান এর বিষয়। এটা বুঝতে হলে খুব বেশী মাথা খাটাতে হবে না।

২.
এবার আসি আর একটি কথায়, সেটা হলো আমাদের সবার ধর্মেই কিন্তু বেশ কিছু জিনিস মিলে যায়। অর্থাৎ সব ধর্মেরই কিছু কিছু অংশ এমন আছে যেগুলো মিলে যায়। যেমন কোন ধর্মেই মানুষকে খারাপ কোন কাজ করতে উৎসাহিত করে না। কিন্তু একটা জিনিস আমরা অবশ্যই লক্ষ করি সেটা হলো ভিন্ন ধর্মের সবাই ভিন্ন ভিন্ন সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে এবং তাদের ইবাদতের নিয়মও ভিন্ন ভিন্ন। এই ক্ষেত্রে কোন মিল নাই। যেমন মুসলমান তাদের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে আল্লাহ্ কে বিশ্বাস করে এবং খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীরা যিশু খ্রিষ্ট কে ইশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা বলে বিশ্বাস করে। হিন্দু ধর্মাবলম্বিরা তাদের ভগবান কে বিশ্বাস করে। এবং সবার ইবাদতের দিকে লক্ষ করে দেখুন, কারো সাথেই কারো মিল নাই। অর্থাৎ মুসলমানেরা যায় মসজিদে, হিন্দুরা যায় মন্দিরে এবং খ্রিষ্টানেরা যায় চার্চে। এবং সেখানে গিয়ে ভিন্নভাবে সবাই সবার মতো ইবাদত বা উপাসনা করে থাকে।

তাহলে এই কথাটা অবশ্যই প্রমানিত হয় যে বিভিন্ন ধর্মের মানুষজন ভিন্ন ভিন্ন সৃষ্টিকর্তাতে বিশ্বাস করে। কিন্তু আমরা জানি যে আমাদের সৃষ্টিকর্তা ভিন্ন নয়, আমরা সবাই যেহেতু মানুষ তাই সবার সৃষ্টি কর্তা একই। তাহলে অবশ্যই কোথাও না কোথাও একটি বড় ধরণের ভুল হচ্ছে। অবশ্যই কোন বড় ধরণের ভুল হচ্ছে না হলে আমরা কখনই কেউ ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হতাম না। হয় সবাই মুসলমান হতাম অথবা সবাই হিন্দু হতাম আর না হলে সবাই খ্রিষ্টান হতাম অথবা অন্য কোন ধর্মের হতাম। কিন্তু আমরা যেহেতু ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের অনুসারী সেক্ষেত্রে অবশ্যই বলতে হচ্ছে যে কোথাও না কোথাও একটা বড় ধরণের ভুল হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এই বড় একটি ভুল সম্পর্কে আমরা সবাই বেখেয়াল অর্থাৎ এদিকে আমাদের তেমন কোন লক্ষই নেই। আমরা যে যার যার কাজে ব্যস্ত, দুনিয়ার সব কাজ আমরা ঠিক মতো করছি কিন্তু এই বিশাল একটি ভুল কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। এবার একটু মাথা খাটান, বোঝার চেষ্টা করুন… যদি বুঝতে না পারেন তবে আবার প্রথম থেকে পড়ুন বা এই প্যারা টা আবার পড়ুন। আপনি যেহেতু মানুষ তাই আপনি অবশ্যই বুঝবেন যে আমাদের সবারই একদিন মৃত্যু বরণ করতে হবে। এবং নাস্তিক বাদে সব ধর্মের মানুষই এটা বিশ্বাস করে যে মৃত্যুই শেষ নয় এর পরে আরো একটা জীবন আছে। এবং সবাই এটাও বিশ্বাস করে যে সেই জীবনে আমাদের এই জীবনের সব হিসাব দিতে হবে। আমাদের ইবাদত থেকে শুরু করে সব ভালো ও খারাপ কাজের বিচার হবে এবং আমাদের ফলাফলের উপরে আমাদেরকে জান্নাত বা জাহান্নাম, স্বর্গ বা নরক, হ্যাভেন বা হেল যাই বলি না কেন সেখানে রাখা হবে এবং সেটা অনন্ত কালের জন্য। আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেন এইগুলো কি অবিশ্বাস করবেন?? অবশ্যই করবেন না। তাহলে এই বিষয়েও আমরা সবাই একমত। এখন খুবই ঠান্ডা মাথায় এটা বোঝার চেষ্টা করুন এবং এই কথার উত্তর দিন যে আমরা সবাই যেহেতু একই ধরণের মানুষ এবং আমাদের সৃষ্টিকর্তাও যেহেতু একই তাহলে আমরা সারা দুনিয়ার সব মানুষেরা মৃত্যুর পরে যখন আমাদের সবার সৃষ্টিকর্তার সামনে দাঁড়াবো তখন সেটা কি ভিন্ন ভিন্ন সৃষ্টিকর্তা হবে না একই হবে? আপনার কি মনে হয় যে মুসলমানেরা আল্লাহ্’র সামনে দাঁড়াবে আর হিন্দুরা তাদের সংশ্লিষ্ট ভগবানের সামনে দাঁড়াবে এবং খ্রিষ্টানেরা তাদের যিশু খ্রিষ্টের সামনে দাঁড়াবে?? এটা যদি মনে করে থাকেন তবে লেখাটি আবার প্রথম থেকে পড়ুন। কারণ আমি আগেই বুঝিয়েছি যে আমাদের সৃষ্টিকর্তা যিনিই হন না কেন তিনি সবার জন্য একই। অর্থাৎ আমাদের ভিন্ন কোন সত্তা তৈরী করেননি। আর যেহেতু কোন ভিন্ন সত্তা নেই তাই অবশ্যই এটা আপনাকে মেনে নিতে হবে যে আমরা যে কোন একটি সত্তার সামনে গিয়ে দাঁড়াবো, ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ভিন্ন ভিন্ন সত্তার সামনে নয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে মৃত্যুর পরে কোন সত্তার সামনে গিয়ে আমি বা আমরা দাঁড়াবো বা কোন ইশ্বর আমাদের তৈরী করেছেন। আমাদের সৃষ্টিকর্তা যেহেতু আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তিনি আমাদের অবশ্যই কোন না কোন ধর্ম দিয়ে পাঠিয়েছেন। এখানে একটি কথা আছে, একদল মানুষ মনে করেন যে আমাদের একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন যিনি আমাদের বানিয়েছেন তবে তিনি কোন ধর্ম দিয়ে আমাদের পাঠায়নি, ধর্ম মানুষের তৈরী। মানুষই এটা বানিয়েছে এবং মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। এরকম যদি ভেবে থাকেন তবে সেটা অবশ্যই ভুল করবেন, কারণ যদি ধর্ম না থাকে তবে ইবাদতও থাকবে না। কারণ ধর্মের সাথেই ইবাদত জড়িত। ধর্ম না থাকলে ভালো মন্দ কাজের কোন নির্দেশও থাকবে না। আর ভালো বা মন্দ কাজের কোন নির্দেশ না থাকলে এর জন্য কোন বিচারও হবে না। আর বিচার না হলে জান্নাত/জাহান্নাম বা স্বর্গ/নরক কোন কিছুই থাকবে না। আর তা হলে মানুষকে মৃত্যুর পরে আবার জীবিত করারও কোন দরকার পড়বে না। এমনটি ভাবলে নাস্তিকদের কথাকেই সমর্থন দেওয়া হবে। তাই এটা অবশ্যই আপনাকে মেনে নিতে হবে যে, যতোগুলো ধর্ম বর্তমান পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে তার মধ্যে এমন একটি ধর্ম অবশ্যই আছে যেটা আমাদের সৃষ্টিকর্তার মনোনীত। যেহেতু আমি এখানে নিরপেক্ষ ভাবে কথা বলছি তাই আমরা ধরে নিতে পারি যতো গুলো ধর্ম আছে তার মধ্যে যে কোন একটি ধর্ম সঠিক বা আমাদের সৃষ্টিকর্তার মননীত এবং গ্রহণযোগ্য। সেটা হতে পারে যে কোনটা। হতে পারে ইসলাম বা হতে পারে খ্রিষ্টান অথবা হতে পারে হিন্দু বা বৌদ্ধ ধর্ম। সব গুলো ধর্ম তো একসাথে সঠিক হতে পারবে না কারণ প্রতিটা ধর্মেই ইশ্বর হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন সত্তাকে বিশ্বাস করা হয় এবং যেহেতু প্রকৃত ইশ্বর যে কোন একজন সত্তা তাই ধর্ম যদি সঠিক হয় তবে যে কোন একটিই সঠিক হবে। একসাথে একাধিক ধর্ম কোন ভাবেই সঠিক হতে পারে না। এটা একদমই পরিষ্কার ভাবে বোঝা যাচ্ছে। তাই এখন কথা হচ্ছে যদি এর মধ্যে মাত্র একটি ধর্ম সঠিক হয় তবে বাকী ধর্মগুলো অবশ্যই ভুল বা সঠিক নয়। আপনি যে ধর্মের অনুসারীই হয়ে থাকুন না কেন এই কথাটা আপনাকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে যতোগুলো ধর্ম বিদ্যমান আছে তার মধ্যে যে কোন একটি ধর্মই সঠিক। এবং বাকী গুলো অবশ্যই সঠিক নয়। আর যদি সেগুলো সঠিক না হয়ে থাকে তবে তাহলে যারা ওই ভুল ধর্মের অনুসারী তারা যখন সঠিক ধর্মের প্রকৃত ইশ্বর এর সামনে মৃত্যুর পরে উঠে দাঁড়াবে তাদের কি অবস্থা হবে। কারণ প্রতিটা ধর্মেই বলা আছে ওই ধর্ম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম গ্রহনযোগ্য না। তাহলে আপনি আবার একবার ভেবে দেখুন যে আসলে আমি কি বোঝাতে চাইছি এবং সেটা আপনি বুঝতে পারছেন কি না। একবার ভেবে দেখুন বর্তমান দুনিয়াতে কতোগুলো ধর্ম আছে, আর তার মধ্যে মাত্র একটি ধর্ম যদি সঠিক হয় তবে কতোটুকু গ্যারান্টি আছে যে আপনার ধর্মটিই সঠিক। যদি আপনার ধর্মটি সঠিক হয় তবে কোন না কোন ভাবে আপনার ইবাদতের উপরে হয়তো পার পেয়ে যেতে পারেন, কিন্তু যদি আপনার ধর্মটি সঠিক না হয় তবে সারা জীবন যিনি আপনার ইশ্বর, যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন তাকে বাদ দিয়ে আপনি অন্য কাউকে আপনার ইশ্বর বলে মেনে এসেছেন এবং অন্যকারো ইবাদত করেছেন। তাহলে এবার মাথা খাটিয়ে আপনি নিজেই বলুন আপনাকে কি তখন প্রকৃত ইশ্বর ক্ষমা করবেন? বা ক্ষমা করে দেওয়া উচিৎ? যদি ক্ষমা করে দেয় তবে যারা সঠিক সৃষ্টিকর্তাকে চিনে শুধুমাত্র তারই ইবাদত করেছিল, তারই আদেশ মতো জীবন পার করেছিল, যতো সব পাপ কাজ থেকে নিজেদেরকে অনেক কষ্টে বিরত রেখেছিল তাদের সাথে কি তখন অবিচার করা হবে না? তাই আপনার সাধারণ জ্ঞানের মাধ্যমে এইটুকু অবশ্যই বোঝা উচিৎ যে ঐ দিন প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা কখনই কারো সাথে অবিচার করবেন না। যার যার প্রাপ্য সেদিন সে পাবে এবং এটা অবশ্যই ঘটবে। তাই এবার আবার নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি কি সঠিক ধর্মের মাঝেই আছেন নাকি কোন মানুষের বানানো মিথ্যা ধর্মে আছেন বা একটি ভুল বিশ্বাসের উপরে আছেন?

৩.
এতক্ষন যে গুলো আপনাকে বললাম সেগুলো শুধু আপনাকে এটা বোঝানোর জন্য যে, আমরা আমাদের বাবা-মায়ের শেখানো ধর্মে অন্ধের মতো বিশ্বাস না করে আমরা আসলে নিজের ধর্মটি সঠিক কিনা বা এটাই আমাদের সেই প্রকৃত ইশ্বরের মনোনীত ধর্ম কিনা সেটা খুঁজে বের করার যেন চেষ্টা করি। কেন এটা জানা উচিৎ সেটা নিশ্চই আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন। আর যদি না পারেন তবে নিজের ভালোর জন্যই আর একবার এই লেখাটি প্রথম থেকে পড়া শুরু করুন। প্রতিটা কথা বা যুক্তিকে ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। আমি কোথাও কোন ভুল বলেছি কিনা সেটাও খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। কারণ আমরা কেউই জানি না যে আমরা কতোক্ষণ বাঁচবো। আর তাই সঠিক জিনিসটা না জেনেই যদি আপনার মৃত্যু হয়ে যায় তবে কি বড় বিপদটাই না আপনার হতে পারে সেটা অন্তত একবার বোঝা উচিৎ। জীবনে হয়তো এর আগে ধর্ম নিয়ে অনেক লেখা পড়েছেন বা অনেকের কথা শুনেছেন কিন্তু এভাবে কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে আপনি ঠিক পথেই আছেন? আপনার বর্তমান ধর্মটিই সেই প্রকৃত সৃষ্টিকর্তার প্রদত্ত প্রকৃত ধর্ম। যদি না ভেবে থাকেন তবে আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেন এই মুহুর্তেই আপনার সব কাজ বাদ দিয়ে দিন এবং বোঝার চেষ্টা করুন, খুঁজুন, খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। কারণ হয়তোবা আপনার হাতে আর বেশী সময় নাও থাকতে পারে। আপনার বাবা-মা আপনাকে জন্মের পর শিখিয়েছেন যে তারা নিজেরা এই ধর্মের অনুসারী এবং আপনাকেও এটাই শিখিয়েছেন যে তোমাকেও এই ধর্মটিই ফলো করতে হবে যেটা আমরা করি। আর তারা ওই ধর্মটি পেয়েছে কোথায় থেকে? তাদের বাবা-মায়ের কাছে থেকে। কেউকি এটা কখনও পরিপূর্ণভাবে এবং পরিষ্কারভাবে নিজের জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে সব গুলো ধর্ম যাচাই করে তারপরে এর মধ্যে থেকে যেটা প্রকৃত ধর্ম সেটাকে বেছে নিয়েছে বা কখনো এটা করার চেষ্টা করেছে? আপনি নিজেই ভাবুন একবার। নাকি আপনি সেই দিন, যেদিন মৃত্যুর পরে ইশ্বরের সামনে উঠে দাঁড়াবেন সেদিন আগে থেকেই ভেবে রেখেছেন যে যদি আমার এই ধর্মটি ভুল হয় তবে তখন সব দোষ আমার বাবা-মায়ের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে আমি নির্দোষ হয়ে জান্নাত বা স্বর্গে চলে যাবো। তাহলে আপনার যারা সন্তান হবে বা আছে তারাও তো আপনার ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্য তৈরী হয়ে থাকবে তাই না। আর আপনার যদি সন্তান না থাকে তবে আপনার কি মনে হয় যে আপনার এই দাবিটির তখন কোন মূল্য থাকবে? বা আপনার বাবা-মা আপনার দায়িত্ব নিবেন সেই দিন? অথবা সেদিন যদি আপনি ইশ্বরের সামনে গিয়ে এইটা বলবেন বলে ভেবে রাখেন যে… হে ইশ্বর, সবই তো তোমার হাতে, তুমি চাইলেই আমাকে তোমার মনোনীত ধর্মে প্রেরণ করতে পারতে অর্থাৎ আমাকে এমন এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করাতে পারতে যেখানে সবাই তোমার মনোনীত ধর্মের অনুসারী। তাহলে আমিও তোমার মনোনীত ধর্মেরই অনুসারী হতাম, তোমাকেই ইশ্বর বলে মানতাম, তুমি এমনটি করোনি কেন? এখন আমাকে তুমি শাস্তি দিতে পারো না। এখানে আমার কোন দোষ নেই। আসলেই কি তখন এরকম টা বলবেন? তাহলেই কি মনে করছেন যে আপনার কথাগুলো শুনেই সৃষ্টিকর্তা আপনার কথার আর কোন উত্তর দিতে না পেরে আপনাকে ক্ষমা করে জান্নাতে পাঠিয়ে দিবেন? কি মজা হবে তখন তাই না? সারা জীবন ভুল কাজ করলাম, যা ইচ্ছা তাই করলাম, অন্য কাউকে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মানলাম বা সৃষ্টিকর্তার সাথে আরো একাধিক সত্তাকে জড়ালাম আর সেই শেষ বিচারের দিন সৃষ্টিকর্তাকে কথার প্যাঁচে ফেলে জান্নাত বা স্বর্গে চলে গেলাম… কতো সোজা… তাই না? না অতো সোজা না… কারণ সৃষ্টিকর্তা যিনি মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীকে তৈরী করতে পারেন তিনি আপনার এই ফালতু একটা লজিকেরও দাঁতভাঙা জবাব দিতে পারেন। অন্তত একটা বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে এই জিনিসটা আপনার বোঝা উচিৎ। সেদিন যদি আপনি এরকম প্রশ্ন করেই বসেন যে সৃষ্টিকর্তা তো আমাকে প্রকৃত ধর্মে পাঠান নাই তাহলে আমার কি দোষ? সেদিন তিনি আপনাকে কি জবাব দেবেন সেটা কোন মানুষের দ্বারা বলা সম্ভব নয় তবে ধরে নেন তিনি আপনাকে বললো যে, হে বান্দা তুমি কি প্রকৃত ধর্মটি বা প্রকৃত পথটি খোঁজার চেষ্টা করেছিলে? তখন আপনি কি বলবেন সেটা একবার ভাবুনতো। আর সৃষ্টিকর্তা যদি একগুচ্ছ মানুষের একটি দলকে আপনার সামনে উপস্থিত করে বলে যে এই সমস্ত মানুষকেও আমি অন্য একটি ভুল ধর্মে, বিভ্রান্তির মধ্যে পাঠিয়েছিলাম কিন্তু তারা সঠিক পথটি খুঁজে বের করে সঠিক ধর্মটিই পালন করেছিল, আর এর জন্য অনেক কষ্টও সহ্য করেছিল। তো তুমি কেন আমার প্রকৃত ধর্মটি, আমাদের নির্দেশিত পথটিতে ফিরে আসতে পারোনি? তখন আপনি কি বলবেন? তখন কি আর আপনার কিছু বলার থাকবে ঐখানে? স্বর্গে যাওয়ার গাড়িটি তখন আপনাকে নিয়ে গিয়ে ফেলবে নরকে… জান্নাতে আর তো যাওয়া হবে না। আচ্ছা জান্নাত না হয় নাই বা পেলেন… কিন্তু জাহান্নাম বা নরকের মধ্যে যে কি মজা হয় সেটার তো স্বাদ পাবেন নাকি? এটাই তো বড় সমস্যা… কি করবেন তখন আপনি? বলুন, জবাব দিন, নিজেকেই প্রশ্ন করুন।


৪.
আমাদের সমাজ ব্যবস্থাতে আমরা যেভাবে মিশে গেছি, যেভাবে আমাদের সামাজিক সব রীতি নীতি গুলোকে পালন করে আসছি। এতসব করতে গিয়ে এই জিনিসটা আমরা ভুলেই গেছি যে আমাদের জীবনটা একদিন অবশ্যই শেষ হয়ে যাবে আর যাওয়ার পরে কি হবে। কখনো ভাবারই সময় পাই না এসব। কিন্তু না ভেবে যে চলবে না শুধু সেটা বোঝানোর জন্যই আমার এই লেখা। আমার এই পুরো লেখাটাতে আমি সম্পূর্ণভাবে ধর্ম নিরপেক্ষ থেকে আপনাকে শুধু এটিই বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে আমাদের বাবা-মায়ের কথার উপরে বা তারা যে ধর্ম পালন করে সেটার উপরেই অন্ধ বিশ্বাস না করে নিজে থেকে জানার চেষ্টা করুন যে আপনার ধর্মটি ঠিক আছে কি না। আপনি সঠিক পথে আছেন কি না। পথ যদি ভুল হয় তবে আপনি কেমন করে আপনার সঠিক গন্তব্যে পৌছাবেন বলুন? আর এখন আপনার যা করণীয়… সেই জিনিসটিই আপনাকে বলবো এবং এটাতেও আমি পুরোপুরি ভাবে ধর্ম নিরপেক্ষ থাকবো। … আমি ধরে নিলাম আপনি কোন একটি ধর্মের অনুসারী, সেটা হতে পারে যে কোনটা এবং আপনার পিতা-মাতাও ঐ একই ধর্মের অনুসারী। এখন সবার প্রথমে একটি জিনিস আপনাকে করতে হবে সেটা হলো আপনার নিজের ধর্মটি সম্পর্কে যতোটা সম্ভব বেশী জ্ঞান অর্জন করা। কারণ অন্য ধর্ম কি বলে সেটা জানার চাইতে আপনার নিজের ধর্মটির সকল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা আপনার কাছে তুলনামূলক ভাবে অনেক সহজ হবে এবং আপনি ছোটবেলা থেকেই এই ধর্মের সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনে এসেছেন অর্থাৎ ইতিমধ্যে জানেন। যেটুকু জানেন সেটা আর একটু ভালো করে জানার চেষ্টা করুন। একটি ধর্মে সৃষ্টির শুরু থেকে শুরু করে কেন ও কিভাবে মানুষকে সৃষ্টি করা হলো তার কারণ এবং মানুষ সৃষ্টির পরে মানুষের চলার জন্য প্রয়জনীয় সব দিক নির্দেশনা দেওয়া থাকে। যেগুলো প্রতিটা ধর্মের ধর্মগ্রন্থ পড়লেই বুঝতে পারবেন। তাই আপনার ধর্মগ্রন্থটি যদি আপনি না পড়ে থাকেন অথবা আপনার একটি পূর্ণ ধারণা না থাকে এটার উপরে তবে সেটা পড়ে বোঝার চেষ্টা করুন যে আসলে আপনার ধর্মটি কোন কথা বলছে। বোঝার চেষ্টা করুন যে সেই তথ্য গুলোর গ্রহণযোগ্যতাটা কতোটুকু। আর এই কাজটি সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে আপনি আপনার ধর্ম সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারণা হয়তো পাবেন কিন্তু আপনার ধর্মটিই সেই প্রকৃত ইশ্বরের মনোনীত ধর্ম কিনা সেটা কিন্তু বুঝতে পারবেন না। কারণ আপনি মাত্র একটি ধর্ম সম্পর্কেই জানেন। আর সেটা হলো আপনার নিজের ধর্ম। তাই আপনার ধর্মটিতে কোন ভুল কথা থাকলে বা ভুল কোন নির্দেশ থাকলে সেটা আপনি বুঝতে পারবেন না। সেটা বোঝার জন্য এবার অন্যান্য ধর্মগুলোর সম্পর্কে জানতে হবে আপনাকে। তবে এখন সারা বিশ্বে যে কয়েক হাজার ধর্ম আছে সেই সবগুলো সম্পর্কে জানতে গেলে তো আপনার জীবন পার হয়ে যাবে তাই না? তারপরেও জেনে শেষ করতে পারবেন না। তাই এখন কি করনীয়? তেমন কঠিন কিছু না… আগেকার সময়ে হয়তো এটা অনেক কঠিন ছিল কিন্তু এখন এটা এতোটা কঠিন নয়। বর্তমান আধুনিক যুগে আপনি অনেক কঠিন কঠিন কাজ অনেক সহজে করতে পারেন। অন্তত যে কোন তথ্য অনেক সহজে পেতে পারেন। তাই ঝটপট গুগল ওপেন করে সার্চ দিন “Top religion in the world” সাথে সাথে আপনি পেয়ে যাবেন একটা তালিকা। আর সেখানে থেকে প্রথম চারটি ধর্ম সম্পর্কে আপনাকে একটি সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কারণ ঐ প্রথম চারটি ধর্মই পৃথিবীর ৮৩.১২% মানুষের ধর্ম। আর বাকি ১৬.৮৮% মানুষ বাকী ধর্ম সমূহের অনুসারী। তাহলে এখানে বোঝাই যাচ্ছে যে… এখন কি করা উচিৎ। এবার মাত্র এই চারটি ধর্মের সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করলেই হচ্ছে। কারণ বাকী গুলো প্রথম স্টেপেই বাদ পড়ে গেল। আর আমি এটাও জানি যে আপনিও এই চারটি ধর্মের যে কোন একটিতে বিশ্বাস করেন। তাই আপনার আরো একটি ধর্ম কমে গেল। কারণ আপনার নিজের ধর্মটি সম্পর্কে তো আপনি আগে থেকেই যা জানার তা জানেন… এখন শুধু বাকী তিনটি ধর্ম সম্পর্কে আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাহলেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় ধর্মগুলোর সম্পর্কে আপনার জানা হয়ে যাবে। আর এগুলোর মধ্যে যদি আপনি সেই কাংখিত ধর্মটি খুঁজে না পেয়ে থাকেন তাহলে বাকী গুলোর দিকে যেতে হবে। কিন্তু অবশ্যই এই চারটি ধর্মের মধ্যেই আপনার কাংখিত সেই প্রকৃত ধর্মটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী। তাই বেশী চিন্তিত না হয়ে আপনার নিজেরটি বাদে শুধু ওই বাকী তিনটি ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান নেওয়া শুরু করুন। এবং এই কাজটি অবশ্যই আপনার নিজের জন্য, অন্য কারো জন্য নয়। জ্ঞান অর্জন করার মানে তো এই না যে আপনি ওই ধর্মের অনুসারী হয়ে গেলেন। আপনি শুধু বোঝার চেষ্টা করবেন যে ধর্মের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি, সেই ধর্মে ইশ্বর সম্পর্কে কি বর্ণনা করা হয়েছে। মানুষকে কেন সৃষ্টি করা হলো এই গুলো। আর এর জন্য শুধুমাত্র ইন্টারনেট ঘেঁটেই আপনি অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন। আমি আবারো বলছি আপনি এগুলো আপনার জন্য করবেন এবং আপনার ভালোর জন্যই। আর এই সব কিছু জানতে আপনাকে যে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে তা কিন্তু কখনই না। শুধুমাত্র একটু সময় নিয়ে আপনার এই কাজ গুলো করতে হবে এবং জানার চেষ্টা করতে হবে যে আসলেই কোন ধর্মটি আমাদের সকলের সৃষ্টিকর্তার মনোনীত । আপনি কি এখনও এটা জানার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন না? আমার কথাগুলো যদি আপনার বোধগম্য না হয় তবে আবার বলছি এই লেখাটি প্রথম থেকে আর একবার পড়ুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন আমি কি বলছি বা আমি কোন ভুল কিছু বলেছি কিনা। আপনাকে এতোটুকু কষ্ট তো করতেই হবে। হয়তো এই বোঝার চেষ্টা করার কারণে একদিন আপনি অনেক বড় সফলকাম হবেন। অনেক বড় কোন ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবেন। আর এটা শুধু আপনার জন্যই না, আপনার পুরো পরিবারের জন্যই মঙ্গল। কারণ আপনার রাস্তাটি যদি কোন কারণে ভুল হয় অর্থাৎ আপনি যদি কোন ভুল ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকেন তবে সেখান থেকে ফিরে এসে আপনি আপনার পরিবারকেও ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। কারণ আপনি যদি কখনোই জাহান্নাম বা নরকের মতো যায়গাতে যেতে না চান তবে আপনার পরিবারকেও, আপনার পিতা-মাতা, ভাই-বোন কাউকেই ঐ নিকৃষ্ট খারাপ যায়গাতে পাঠাতে চাইবেন না তাই না? তাই অন্তত সঠিক ধর্মটা তো খুঁজুন। ততক্ষণ পর্যন্ত খুঁজতে থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার মনের ভিতরে বিন্দুমাত্র সন্দেহ না থাকে যে, এইটা সঠিক ধর্ম নয় যেটা আমি পালন করে আসছি। আর এই খোঁজার ফলে যেটা হবে সেটা হলো, হয় আপনি কোন সঠিক ধর্মের সন্ধান পাবেন আর না হয় আপনি যদি প্রথম থেকেই সঠিক ধর্মে থাকেন অর্থাৎ আপনার ধর্মটিই সব গুলো ধর্মের মাঝে সঠিক হয় তবে এটা তো বলতে পারবেন যে আমি আমার পিতা-মাতার জন্য এই ধর্ম পালন করি না। আমি এই ধর্মে বিশ্বাস স্থাপন করেছি আমার নিজ জ্ঞানে, নিজ বুদ্ধিতে, জেনে এবং বুঝে। তাই এটাতে আপনার কোন ক্ষতিই নেই আপনি যে ধর্মের অনুসারীই হন না কেন।

আমার এই লেখাটি শুধুমাত্র এই কথা ভেবেই লেখা সেটা হলো, আমাদের সামান্য ৫০ বা ৬০ বছরের জীবনে ভালো থাকার জন্য কতোকিছুই না করি আমরা। আর মৃত্যুর পরের অনন্ত কাল যে জীবন কাটাতে হবে সেটাতে ভালো থাকার জন্য সবার আগে যে জিনিসটা চেক করা হবে যে আমি সঠিক পথে ছিলাম কিনা। সেই সঠিক পথ সম্পর্কেই আমরা বেখেয়াল। আমরা সারাদিন কতশত মূল্যহীন জিনিস করি কিন্তু যেটা আমাদের সবার আগেই জানার দরকার সেটা এখনো পর্যন্ত না জেনেই বসে আছি। এই বিষয়টি নিয়ে কি আপনার একটুও চিন্তা হয়না? মনে হয়না যে আমি যদি ভুল পথে থাকি তবে কোন একদিন আমাকে চরম শাস্তির সম্মুক্ষিণ হতে হবে? সেই দিন হয়তো আর আপনার কোন কিছু করার থাকবে না। শুধুই আফসোস করা ছাড়া। আর আপনি চাইলেই এখন এই লেখাটি উপেক্ষা করতে পারেন, এড়িয়ে যেতে পারেন, অগ্রাহ্য বা অবহেলাও করতে পারেন। কিন্তু আমি যে কথাগুলো বললাম সেগুলো তো আর অস্বীকার করতে পারবেন না। এখন বাকীটা আপনার ইচ্ছা। আপনি কোন পথে যাবেন সেটা নিতান্তই আপনার বিষয় এবং সৃষ্টিকর্তাও আপনাকে এই জন্যই স্বাধিনতা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। ঠিক বা ভুল যাই করেন না কেন মনে রাখবেন সেটার ফল অন্যকাউকে না আপনাকেই ভোগ করা লাগবে।

সর্বশেষে কিছু কথাঃ এটি কোন ধর্মীও লেখা নয় এবং এই লেখাটির মাধ্যমে আপনাকে কোন ধর্মীয় দাওয়াতও দেওয়া হয়নি। নিরপেক্ষ ভাবে শুধু একটি চিন্তার জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এবং এই একটি লেখা লিখে আমি যদি আপনার মনে অসলেও কোন চিন্তার জন্ম দিতে পারি তবেই আমি স্বার্থক। আর আপনিও স্বার্থক হবেন যদি এই চিন্তাটির সঠিক প্রয়োগ করে আপনি সফল হন। তবেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার পথটিই সঠিক। আর আপনার পথটি যদি সঠিক না হয়, তবে সঠিক পথটি যেন এই মুহুর্ত থেকেই খোঁজা শুরু করা হয়। বলা তো যাচ্ছে না যে আপনার বা আমার হাতে আর কতোটুকু সময় আছে কোন ভুল পথ থেকে সরে এসে সঠিক পথে আসার জন্য।

আমরা যদি কোন ভুল পথে থাকি তবে সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদেরকে সেই ভুল পথ থেকে তার মনোনীত সঠিক পথে ফিরে আসার জন্য সর্বদা সাহায্য করেন।

*** সমাপ্ত ***

© কনক ২০১৭ । কিছু অধিকার সংরক্ষিত ।
চাইলেই যে কেউ কপি বা শেয়ার করতে পারেন।


অফলাইনে পড়ার জন্য পিডিএফ ভার্সনের সরাসরি ডাউনলোড লিংকঃ https://goo.gl/QkCwJA

ফেসবুকে আমিঃ Káñàk The-Bøss

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৪

মহসিন ৩১ বলেছেন: মানুষের আচরন, কথাবার্তা, নিয়মনীতি, সাধারন মান্যতা এবং ইত্যাদি অনেক বিষয়ই ধর্ম চর্চার অন্তর্ভুক্ত। আর ইদানিং আধুনিক মানুষ মাত্রেই হল-- সুধু স্বার্থপর খানাপিনায় জীবনযাপন। ধর্মের সাথে একটা সঙ্ঘাত তো এখানেই টেরর পাওয়া যায়। ----আর বিশ্বাস অবিশ্বাস এর তুলনা সেটা, তো কেবল মানুষের সাধ সাধ্যকে পুনররুজ্জিবিত করতে ও নিতিকে বেধে রাখতে পরিচালিত হয়-- বিধায়; সত্যমিথ্যার এত এত যাচাই, বকা যারা সুধু তারাই করে।আমি উচ্চবাচ্চ করব না-- কারন এটা জানতে গেলেই মনে হবে যে; মানুষ হল আবেগ প্রবন প্রানি --- এবং মানুশেরা এখানেই সবচাইতে বড় ভুল গুলি করে থাকে। ---কিভাবে ?? একটু ভাবলেই বুঝতে পারবেন।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

মোঃ কামরুজ্জামান কনক বলেছেন: কেন এই সত্য মিথ্যা যাচাই করতে হবে বা এটা কেন গুরুত্বপূর্ণ সেটা এই লেখাতে খুব ভালো ভাবেই বোঝানো হয়েছে। মূর্খ মাত্রই এটা বুঝবে না। আর সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনার আবেগের কোন দাম নেই। তাই পারলে আর একবার এটা বোঝার চেষ্টা করুন যে এখানে কি বলা হয়েছে। একটু ভাবলেই বুঝতে পারবেন।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

মহসিন ৩১ বলেছেন: "হয়তো এই বোঝার চেষ্টা করার কারণে একদিন আপনি অনেক বড় সফলকাম হবেন। অনেক বড় কোন ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবেন। আর এটা শুধু আপনার জন্যই না, আপনার পুরো পরিবারের জন্যই মঙ্গল------" আপনার এই কথাগুলোর consistency নাই ।এই কথাগুলো আপনার অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় যুক্তিকে শক্তি জোগানোর উদ্দেশে যে বাবহারিত হচ্ছে না তা কিকরে বুঝবো। মানুষের ধর্ম তার নিজের কাছেই; কারন কোন সমাজ যদি কথাও ধসে যায়, তবে মানুষের ধর্মওতো ধসে যাবে আপনি কি এটা বোঝেন? এখন আপনার কি মনে হয় যে এ যুগটা "গিভ অ্যান্ড টেক" এই নিয়ম মোতাবেক সফল ভাবেই চলেছে? আইন কানুন পরিস্থিতি কি তা ই বোঝায়? আসলে যে কোন 'স্ট্রং আপিলের' নেপত্থে কাজ করছে আদর্শ নয় বরং কোন "গিভ অ্যান্ড টেক" এর উদ্দেশ্যমুলক ফায়দা হাসিল; সেটা আপনার উল্লেখিত ঐসব কোন ধর্মও নয়।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৫০

মোঃ কামরুজ্জামান কনক বলেছেন: মহসিন ৩১ আপনার মন্তব্যের জন্য অবশ্যই আপনাকে ধন্যবাদ। তবে আপনি যে কয়েকটা লাইন দিয়ে বললেন যে এটার কোন consistency বা দৃঢ়তা নেই ... এটার পেছনে আপনার কোন যুক্তিও খুঁজে পেলাম না। এই মন্তব্যটি পুরোটাই অবান্তর যার কোন সামঞ্জস্যতা নেই। ওখানে সফলকাম শব্দটি ব্যবহার করেছি বলে হয়তো আপনি এমনটি বলেছেন। আসলে আপনার বোঝার ভুল হয়েছে। আপনি কি জানেন? আমাদের সব চেয়ে বড় ভুল কোথায়? আমরা আমাদের সমাজ, আমাদের নিজেদের তৈরী নিয়ম কানুন নিয়ে সেগুলোর সাথে ধর্মেরও তুলনা করি যেটা আপনি আপনার মন্তব্যটিতে আপনি করেছেন। আপনি ভুলে গেছেন যে ধর্ম মানুষের তৈরী না সেটা সৃষ্টিকর্তার তৈরী। আপনি বলেছেন সমাজ ধসে গেলে ধর্মও তো ধসে যাবে? আপনি বোধহয় জানেন না যে আপনি যে সমাজে বাস করেন বা দুনিয়ার সবাই যে সমাজে বাস করে সেই সমাজ কখনও ধসে যাবে না, পরিবর্তন বা প্রতিস্থাপন হতে পারে। কিন্তু কোনদিনই ধসে যাবে না যতোদিন পৃথিবী ধ্বংস না হয়ে যায়। তাই ধর্মও কোন দিন ধসে যাবে না। এই লেখাটির প্রকৃত অর্থ বুঝতে যে লেভেলের চিন্তা করার প্রয়োজন। হয়তো আপনি সেই লেভেলে চিন্তা করতে পারেন না বা আপনার সাধ্যের বাইরে। তবে যায় হোক, আমি কিন্তু কোন ধর্মের পক্ষপাতিত্ব করে কোন কথা লিখি নাই। তাই এতে গিভ অ্যান্ড টেক এর কোন বিষয় নেই। আর নাস্তিক যারা ধর্মে বিশ্বাস করে না তাদের কাছে অবশ্যই ধর্ম বা ধর্মের কোন গুরুত্ব নেই। এবং এই সম্পর্কে তাদের জ্ঞান খুবই সীমিত তাই তাদের কাছে আমি যে বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলেছি সেটা বোঝার ক্ষমতাও নেই। তাই লেখার শুরুতেই তাদের আমি এটা পড়তে নিষেধ করে দিয়েছি। আমি জানিনা আপনি কোন ধর্মে বিশ্বাস করেন তবে যায় হোক আপনার মন্তব্যের জন্য অবশ্যই আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.