নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামহয়্যারইনব্লগ এর আর তেমন কোন জনপ্রিয়তা নেই..আর তেমন কেউ পড়েও না... তাই এই ব্লগেই আমার লেখাগুলো প্রকাশ করা সবচেয়ে বেশী নিরাপদ মনে করছি...

মোঃ কামরুজ্জামান কনক

জ্ঞান অর্জন করতে হলে লেখার কোন বিকল্প নেই। একটি লেখা পড়ে যতোটা না জ্ঞান অর্জন হয়, একটি লেখা লিখতে তার থেকেও হাজারগুন বেশী জ্ঞানের দরকার হয়।

মোঃ কামরুজ্জামান কনক › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নে দেখা ভবিষ্যতের পৃথিবী

১৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০২

গত রাতে আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি। সেই স্বপ্নে সম্ভবত আমি এমন একটা পৃথিবীতে ছিলাম যেটা কিয়ামতের ঠিক আগের সময়কার পৃথিবী। হয়ত কয়েক বছর পরেই কিয়ামত সংগঠিত হবে ঠিক এরকম একটা সময়।



আমি বাংলাদেশেরই কোন এক জেলাতে গিয়েছিলাম, যেখানে আমি একেবারে নতুন, নতুন পরিবেশ, নতুন সব কিছু। হয়ত পড়াশোনা বা অন্য কোন কাজের জন্য আমাকে সেখানে যেতে হয়েছিল। আমি একটা মেস-এ উঠেছিলাম, নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হচ্ছিলাম। সেই শহরের অধিকাংশ বাসা গুলো বিশাল বহুতল বিল্ডিং-এর রুপে ছিল। আমি যে রুমে থাকতাম, সেটা কত তলাতে ছিল আমার জানা ছিল না, তবে সেখানে সিড়ি দিয়ে ‍উঠতে অনেকটা সময় লেগে যেত, আর আমাদের বিল্ডিং-এ এত পরিমান মানুষ বাস করতো যে, আমি যখন বাইরে থেকে এসে আমার রুমে যেতাম, প্রতিটা সিঁড়ি আর ফ্ল্যাট পার করে যাওয়ার সময় আমার মনে হতো আমি কোন বিশাল সামুদ্রিক জাহাজের মাঝে আছি। আমার আরো ২ জন রুম-মেট ছিল যারা প্রত্যেকে বাংলাদেশেরই অন্য কোন জেলার। তাদের সাথে আমার খাবার থেকে শুরু করে সব কিছুতেই ভিন্যতা ছিল। আমি বাইরে থেকে কিছু খাবার কিনে নিয়ে এসেছিলাম, আমার রুম-মেটকে বললাম বাইরে গিয়েছিলাম, এই প্যাকেটে কিছু নাস্তা আছে তুমি খেতে পারো। সে আমাকে বললো কি এটা, আমি প্যাকেটটা টেবিলে রাখলাম, সে প্যাকেটটা নেড়ে খাবার গুলো দেখলো, তাতে কিছু সমুুচা বা সিঙ্গারা ও জিলাপী ছিল। সেগুলো দেখে বললো, আমার ওদিকে তো আমরা এমন খাবার খাইনা, আমরা লোহা রড-বালি-সিমেন্টের তৈরী খাবার খাই। আমি বিষয়টাকে পুরোটাই ইয়ারকি বা মজা ধরে নিলাম, ভাবলাম আমার সাথে আমার সদ্য পরিচয় হওয়া অন্যকোন জেলার রুম-মেট হয়ত মজা করছে। এও কি হয় নাকি, মানুষ হয়ে নাস্তায় রড বালির তৈরী খাবার খায় মানুষ। সেও এই কথা বলে হাসছিল, ভাবলাম আসলেই মজা করছে, আমিও তার সাথে একটু হাসলাম। কিন্তু পরোক্ষণেই আবার অবাক হলাম, যখন দেখলাম তার কাছে সত্যি সত্যি অনেকটা সেরকমই দেখতে কিছু একটা আছে। সে আমাকে তার ব্যাগ থেকে বের করে আমার সামনে ছোট একটা কামড় দিয়ে খাওয়া শুরু করলো ধূসর রঙ-এর তিলে খাজার মতো দেখতে এক ধরণের খাবার যেটা কিনা সিমেন্ট বালি এবং ভিতরে পুরনো জং-ধরা লোহার মত কিছু একটা দিয়ে তৈরী ছিল। আমি মনে মনে ভাবছিলাম এই খাবার কিভাবে সে বা তারা খায়, সে আমাকে তার থেকে সামান্য একটু অংশ ভেঙে সামনে এগিয়ে দিলো, বললো খেয়ে দেখতে, আমি অনিচ্ছার পরেও তার জোরাজুরিতে ভাবলাম টেস্ট করে দেখি। মুখে দিয়ে চাবিয়ে খেয়ে দেখলাম, কুড়মুড়ে টাইপের, কেমন একটা তেলটে গন্ধ, হালকা মিষ্টি ধরণের একটি খাবার। অনেকটা সিমেন্ট বালির বিস্কুট বলা যায়। আমি যেমন ভেবেছিলাম তার থেকে স্বাদটা মোটামুটি ভালোই ছিল, অন্তত খাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনার পরে আমি বুঝতে পারলাম আমি যেখানে ছিলাম সেখানে, দেশের এক এক অঞ্চলের মানুষের স্বভাব, খাওয়া দাওয়ার বৈশিষ্ট্য অঞ্চল ভেদে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল।



সেদিন মাঝ রাতে আমরা রুমে আছি, কি নিয়ে যেন সেদিন আমাদের কথা হচ্ছিল। এমন সময় হঠাত আমার বিছানা থেকে শুরু করে সব কিছু দুলতে শুরু করলো, যার কম্পোন ধীরে ধীরে বাড়ছিল। আমি বুঝতে পারলাম যে ভূমিকম্প শুরু হয়েছে। আমি সবাইকে বললাম দৌড়ে ছাদে যাওয়ার জন্য। কারণ আমরা যে কক্ষে থাকি সেটা অনেক বহুতল একটা বিল্ডিং-এর উপরের দিকে, ছাদের কাছাকাছি কোন একটা ফ্ল্যাটে, যেখান থেকে নিচে নেমে বাইরে বের হওয়া সম্ভব নয়, তবে চাইলে দৌড়ে ছাদে যাওয়া সম্ভব। আমি জানতাম যে ভূমিকম্পের সময় বিল্ডিং এর বাইরে বের হয়ে যেতে হয় আর না হলে ছাদে চলে যেতে হয়। ঘরের মধ্যে থাকতে হয়না। আমরা দৌড়ে ছাদে চলে গেলাম, বলা যায় আমিই তাদের ডেকে ডেকে ছাদে নিয়ে গেলাম, তারা প্রথমে তেমন আগ্রহী ছিল না। বিল্ডিংটা বেশ কিছু সময় ধরে কাপছিল। এক পর্যায়ে আরো বেশ কিছু মানুষ ছাদে চলে এসেছিল। কিছুটা সময় পরে একটা পর্যায়ে এসে ভূমিকম্প থেমে গেল। সবাই ফিস ফিস করে কথা বলছিল। তাদের কথা কিছুটা আমার কানে আসছিল, তারা বলছিল অনেকটা এরকমঃ জানিস, কাল অমূক যায়গাতে ভূমিকম্পে এত জন মারা গেছে। গত পরশু অমূক যায়গাতে এত জন মারা গেছে। আমার রুম-মেটদের আচরণ দেখে বুঝতে পারলাম তারা এই ভূমিকম্পের সাথে মানিয়ে নিয়েছে যেন এটা তাদের জীবনেরই একটা অংশ আর স্বাভাবিক বিষয়। কারণ প্রায় প্রতিদিন রাতেই এখানে ভূমিকম্প হয়। এটা তাদের কাছে তেমন কোন ভয়ের কিছু না, একেবারেই স্বাভাবিক একটা বিষয়।

এই শহরের বেশীর ভাগ জিনিস অনেক পুরোনো কিন্তু তা আমার কাছে অনেক আধুনিক মনে হত। কারণ আমি এমনটা আগে দেখিনি। কারণ পুরোনো হলেও অনেক অত্যাধুনিক সব বিষয় ছিল। পুরোনো আমলের পরিত্যাক্ত বিল্ডিং-এও লিফট থাকতো। চারিদিকে মানুষের কোলাহল, যে যার কাজে ব্যস্ত। শহরের রাস্তা গুলো কেমন যেন ছিল, বোঝার উপায় ছিল না কোন দিক দিয়ে কিভাবে গেলে কোথায় চলে যাওয়া যায়। আমি অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে যেখানে যেতাম, হঠাত সেদিন দেখি আমার বিল্ডিং-এর পাশ দিয়ে সরু একটা গলির ভিতর দিয়ে হেটে কয়েক মিনিটেই সেখানে পৌছে যাওয়া যায়।

এভাবে হয়ত কিছুদিন আমি সেখানে ছিলাম, ধীরে ধীরে সেই অচেনা শহরটাকে জানার চেষ্টা করছিলাম, আমার কি কাজ ছিল সেই শহরে জানিনা, আর সেখানে আমার যাওয়া কয়েকদিন হয়েছিল মাত্র। হঠাত সেখানে একদিন, আমি যে বিল্ডিং-এ থাকতাম তার পাশে কোন একটা কফিশপ বা রেস্তোরা টাইপের কোন একটা স্থানে আমি আমার আব্বুকে বসে থাকতে দেখি। দূর থেকে দেখে মনে হলো তিনি কয়েকজন মানুষের সাথে বসে কথা বলছেন। তার সাথে একটা ছোট ব্যাগ ছিল এবং তিনি এখানে বেড়াতে এসেছেন কিন্বা কোন কাজে অথবা কোন ভাবে তিনি চলে এসেছেন। কিন্তু তার তো বাসাতে আমাদের নিজ এলাকায় থাকার কথা ছিল, তিনি এখানে কেন? আমি ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে গেলাম, ভেবেছিলাম আমাকে দেখে হয়ত তিনি অবাক হবেন কিন্তু অবাক হলেন না। তিনি আমাকে দেখে সালাম দিয়েছিলেন মনে হয়, আমি বললাম তুমি এখানে কি করো? বললো আমি তো ঘুরতে বের হয়েছি। আমার মনে হলো, অনেকটা বিশ্ব ভ্রমনের মত আমার বাবা দেশ অথবা জেলা ভ্রমনে বের হয়েছেন। আমি তার উপরে রাগ করলাম কারণ তিনি আমাকে আসার আগে কেন কিছু বলেননি। আমি তাকে বললাম তুমি আসবে তো আমাকে জানাবে না? আমাকে কেন জানাওনি? তেমন কোন নির্দিষ্ট উত্তর তিনি আমাকে দিলেন না। আমি বললাম, আমি তো তোমাকে ঐ দূর থেকে দেখতে পেয়ে এখানে আসলাম, কিন্তু তিনি বললেন তিনি নাকি আমাকে আসার সময় কোনো একটা বিল্ডিং-এর লিফট থেকে নামতে নামতে আমাকে নিচে দেখেছেন। আমি নাকি কয়েকজনের সাথে ছুটোছুটি করছিলাম রাস্তায়। আমি বললাম হ্যা-ওরা আমার রুমমেট ছিল। কিন্তু আমার রুম-মেট গুলো কোথায় গেল? কিছুক্ষণ আগেও তো আমার সাথে ছিল। সবাই কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। হয়ত আমরা যেখানে যাচ্ছিলাম তারা সেখানে চলে গেছে, মাঝ পথে আমি আমার আব্বুকে দেখে থেমে গিয়েছিলাম।

আশে পাশে অনেক মানুষের ভীড়, হইচই হচ্ছে। আমি বললাম, আমি তোমার সাথে যাবো, তিনি আমাকে প্রথমে নিতে রাজী হননি কিন্তু আমার কান্নাকাটি আর জোরাজুরিতে এক পর্যায়ে আমাকে সাথে নেওয়ার জন্য রাজী হলেন। আমি সব কিছু ছেড়ে সেভাবেই তার সাথে বেরিয়ে পড়েছিলাম...

এক পর্যায়ে আমি আর আমার বাবা কোন একটা স্থানে গিয়ে পৌছালাম যেখানে গিয়ে দেখলাম মানুষেরা ইচ্ছামত আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে। আমরা যেমন আকাশে ঘুড়ি উড়তে দেখি ঠিক তেমন আকাশে মানুষ উড়তে দেখা যাচ্ছে। তাদের কাছে বিশেষ ধরণের কোন যন্ত্র বা কিছু একটা আছে যেটা তারা তাদের গায়ে লাগিয়ে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে, এমনকি এভাবে উড়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানেও যেতে পারে। আবার কিছুক্ষণ পরে ঐ দূরে একজনকে অনেক উচু থেকে পড়ে যেতেও দেখলাম। যেটা বুঝতে পারলাম যে, সে আকাশে উড়তে উড়তে একটা পর্যায়ে তার সাথে থাকা আকাশে ওড়ার ঐ যন্ত্রটাতে কোথাও ছিদ্র হয়ে গেছে যার কারণে সে বাতাসে আর ভেসে থাকতে না পেরে পড়ে যাচ্ছে। তবে পুরোপুরি মাটিতে পড়তেও দেখিনি, জানিনা বেঁচে আছে কিনা। তবে হয়ত এরকমটা হর-হামেশায় হয়ে থাকে এখানে, এটা নতুন কিছু না।

রাস্তায় বড় বড় পুরুষ মানুষের ছবি যুক্ত পোস্টার বা সাইনবোর্ড ছিল। হয়ত তাদের কোন নেতাদের বা মডেলের ছবি হতে পারে। কিন্তু তাদের পোষাক ছিল খুবই অদ্ভুত। তারা যদিও পোষাক পরে ছিল কিন্তু তাদের শরীরের বিশেষ অংশ গুলো উন্মুক্ত করে রেখেছিল। অর্থাত আমরা শরীরের যা যা ঢেকে রাখার জন্য পোষাক পরি, এখানের মানুষেরা সেই অংশগুলো উন্মুক্ত করে রেখে বাকী অংশ ঢেকে রাখে। আর তাদের পোষাকও ছিল অনেকটা রাজকীয়, চকচকে আর রঙ-বেরঙ এর।

আমি ঠিক কতোটা সময় সেখানে ছিলাম আমার মনে নেই। তবে আমি আর আমার বাবা মিলে দুজনে অনেক অনেক যায়গাতে গিয়েছিলাম। নতুন নতুন সব জিনিস আর বিষয় আমাকে অবাক করছিল। কিন্তু আমার বাবা কেন জানি মোটেও অবাক হচ্ছিলেন না, বরং তিনি আমাকে অনেকটা গাইডের মতো সব কিছু বর্ণনা করছিলেন। আমাকে জানাচ্ছিলেন কি কি ঘটছে আমাদের সামনে। একটা পর্যায়ে আমার বাবা আমাকে হয়ত সেখানে রেখে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমি আমার বাবার সাথে যেতে চাই, তিনি আমাকে কেন জানি তার সাথে আর নিতে চাচ্ছিলেন না, আমি আবার কান্নাকাটি শুরু করি। কাঁদতে কাঁদতে আমার বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলি আমি তোমাকে অনেক অনেক বেশী ভালোবাসি আব্বু, আমাকে এখানে রেখে যেও না প্লিজ।

ঠিক এই পর্যায়ে আমার ঘুমটা ভেঙে যায়, আমি সেই যায়গা থেকে ১ সেকেন্ডে আবার এই সময়টাতে ফিরে আসি যেখানে আমি বা আপনি এখন আছি। ঘুম ভেঙে আমার চোখ ভেজা ছিল। আমি চোখ মুছতে মুছতে আমার ল্যাপটপ অন করলাম, কারণে আমি চাই আমার এই স্বপ্নটি লিখে রাখতে।

কারণ আমি কিছুক্ষণ আগে ঠিক এমন একটা স্থানে ছিলাম যেটা হয়ত আজ থেকে কয়েকশ বছর বা তার চেয়েও বেশী পরের কোন একটা পৃথিবী। সেখানে হয়ত আর কিছুদিন পরেই দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যেত। তার আগেই আমার ঘুমটা ভেঙে গেল। তবে আমি যে পৃথিবীটা দেখে আসলাম সেটা হয়ত বাস্তবেও একদিন আসবে, হয়ত আমি বা আমরা কেউ এই দুনিয়াতে থাকবো না। তখনকার মানুষ গুলোর আচার-আচরণ, খাদ্য, পোষাক সব কিছুই হবে অন্য রকম। তাদের জাদুঘরে হয়ত থাকবে আমাদের এই সময়কার মানুষের জীবাশ্ম, তারা হয়ত আমাদের আদিম মানুষ হিসেবে গবেষণা করবে, আমাদের জীবন যাত্রার মান কেমন ছিল, আমাদের খাদ্য কেমন ছিল সেটা জানার চেষ্টা করবে।

তবে এই স্বপ্ন থেকে আমি যা যা তাদের সম্পর্কে জানতে পারলামঃ
১. তাদের শহর হবে পুরাতন ধরণের, দালান-কোঠা হবে বহুতল বিশিষ্ট।
২. ভূমিকম্প হবে প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে, এটা তাদের কাছে একটা সাধারণ বিষয় হবে।
৩. তাদের খাবার এক এক স্থানে এক এক রকম, যা আমাদের কাছে এখন অখাদ্য সেগুলোকে তারা বিশেষ ভাবে খাওয়ার উপযোগী করে তৈরী করবে।
৪. সেখানের জনসংখ্যা অনেক বেশী হবে। এতটায় বেশী যে, সব যায়গা লোকে লোকারণ্য থাকবে, চারিদিকে হইচই হতে থাকবে।
৫. তাদের রাস্তাঘাট এমন প্যাঁচানো ধরণের হবে যে একটার উপর দিয়ে আর একটা এমন ভাবে থাকবে যে বোঝার উপায় নেই সেই রাস্তার শেষ কোথায়। এবং রাস্তায় অনেক শর্টকাট থাকবে, শর্টকাট নিয়ে অনেব বড় বড় পথ দ্রুত যাওয়া যাবে।
৬. তারা পুরোপুরি ভাবে দুনিয়াবি সব কর্মকান্ডে নিজেদের জড়িয়ে রাখবে।
৭. তাদের পোষাক হবে ভিন্ন, আমরা যে কারণে অর্থাত আমাদের লজ্জাস্থান ঢেকে রাখতে পোষাক পরি তারা তার বিপরীত কারণে পোষাক পরবে। লজ্জাস্থান উন্মুক্ত করে বাকী অংশ ঢেকে রাখতে সাচ্ছ্ন্দবোধ করবে।
৮. তাদের মধ্যে কোন কোন জাতির মানুষ এত উন্নত হয়ে যাবে যে তারা খুব সহজেই যন্ত্র ও প্রযুক্তির সাহায্যে বাতাসে ভেসে থাকার ক্ষমতা লাভ করবে। ইচ্ছা মত এদিক সেদিন উড়ে চলবে যেটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয় হবে।
৯. অনেক মানুষ বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে যেমন ভূমিকম্প এবং অনেক মানুষ প্রযুক্তিগত কারণে যেমন উড়তে গিয়ে আকাশ থেকে পড়ে মারা যাবে, এবং এটা স্বাভাবিক বিষয় হবে।
১০. সর্বোপরি তারা অনেক আধুনিক হওয়া শর্তেও বোকার মত অনেক কাজ করবে।

আমি এখনও অবাক হয়ে বসে আছি, আমি ভাবছি, কি কি দেখলাম আমি, আমার জন্য এক্সপেরিয়েন্সটা অনেক অশ্চর্যজনক ছিলো, অনেক অবাক করার মত অনুভূতি ছিল যেটা হয়ত লিখে পুরোটা বোঝানো সম্ভব নয়।

সবাইকে ধন্যবাদ।

কনক, ১৮ জুলাই ২০২

ফেসবুকে আমিঃ
Md. Kamruzzaman Kanak

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: স্বপ্ন আসুক সত্যি হয়ে।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: স্বপ্ন দেখা ভালো । তবে আকাশে উড়ার স্বপ্ন দেখা ভালো না।

১৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

মোঃ কামরুজ্জামান কনক বলেছেন: আপনি হয়ত এই পুরো পোস্টটি না পড়েই মন্তব্য করেছেন। আপনাকে পুরো লেখাটি পড়ে দেখার জন্য অনুরোধ করা হলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.