নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশায়

মোঃ আরিফিন ইসলাম।

আরিফিন ইসলাম

মোঃ আরিফিন ইসলাম একটি সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশা করি। কর্মস্থলঃ thereport24.com (IT support)

আরিফিন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গান ও বাদ্যযন্ত্র হালাল না হারাম? হারাম হলে দলিল কি?

১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

বাদ্যযন্ত্র (মার্জিত, ইসলামিক গানে অল্পহোক অার বেশি) এবং ননইসলামিক গান ১০০% হারাম নিচের দলিল এ তা স্পষ্ট।



আমি কিছু স্পষ্ট দলিল উল্লেখ করছিঃ-



১।আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআন মাজিদে বলেন, “এক শ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে পথভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে(আল্লাহর পথ) নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে। এদের জন্যে রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি”। [৩১-৬]

আল-ওয়াহিদি (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা), অন্যান্য তাফসীরকারগণের সাথে ব্যাখ্যা করেন যে, এই আয়াতে “অবান্তর কথাবার্তা বলতে গান সঙ্গীতকে বুঝানো হয়েছে। যেসকল সাহাবাগণ এই ব্যাখ্যা প্রদান করেন তারা হলেন ইবন আব্বাস, ইবন মাসউদ, মুজাহিদ, ইকরিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)।।. ইবন মাসউদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, “আল্লাহর শপথ, যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, ‘অবান্তর কথাবার্তা’ হল গান”।



২।সাহল ইবনে সাদ থেকে বর্ণিত, নবীজী সা. ইরশাদ করেন, শেষ যুগে সংঘটিত হবে ভূমিধ্বস, বর্ষিত হবে পাথরবৃষ্টি এবং মানবাকৃতিতে আসবে বিকৃতি। বলা হলো, তা কখন হবে হে আল্লাহর রাসূল! নবীজী বললেন ‘যখন ব্যাপকহারে প্রকাশ পাবে বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা’

(আলবানী, সহীহ আল জামে)।



৩।বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত নাফে’ রাহ. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার চলার পথে আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বাঁশির আওয়াজ শুনলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দুই কানে আঙ্গুল দিলেন। কিছু দূর গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে নাফে’! এখনো কি আওয়াজ শুনছ? আমি বললাম হ্যাঁ। অতঃপর আমি যখন বললাম, এখন আর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না তখন তিনি কান থেকে আঙ্গুল সরালেন এবং বললেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলার পথে বাঁশির আওয়াজ শুনে এমনই করেছিলেন। -[মুসনাদে আহমদ হাদীস : ৪৫৩৫; সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪৯২৪ বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ রাহ. থেকেও এমন একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে।-

ইবনে মাজাহ হাদীস : ১৯০১]



৪।বাজনাদার নুপুর ও ঘুঙুরের আওয়াজও সাহাবায়ে কেরাম বরদাশত করতেন না। তাহলে গান ও বাদ্যযন্ত্রের প্রশ্নই কি অবান্তর নয়? নাসাঈ ও সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত আছে, একদিন হযরত আয়েশা রা.-এর নিকট বাজনাদার নুপুর পরে কোনো বালিকা আসলে আয়েশা রা. বললেন, খবরদার, তা কেটে না ফেলা পর্যন্ত আমার ঘরে প্রবেশ করবে না। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ঘরে ঘণ্টি থাকে সেই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।

[-সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪২৩১; সুনানে নাসাঈ হাদীস : ৫২৩৭]



৫।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

“আমার উম্মতের মধ্য হতে একদল লোক এমন হবে যারা ব্যভিচার, রেশমি বস্ত্র পরিধান, মদ পান এবং বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার ইত্যাদি হালাল মনে করবে। এবং কিছু লোক এমন হবে যারা একটি পর্বতের নিকটে অবস্থান করবে এবং সন্ধ্যাবেলায় তাদের মেষপালক তাদের নিকট মেষগুলো নিয়ে আসবে এবং তাদের নিকট কিছু চাইবে, কিন্তু তারা বলবে, ‘আগামীকাল ফেরত এসো’। . রাতের বেলায় আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ধ্বংস করে দিবেন এবং তাদের উপর পর্বত ধ্বসিয়ে দিবেন, বাকি লোকদেরকে তিনি বানর ও শূকরে পরিণত করে দিবেন এবং শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত তারা এই অবস্থায় থাকবে”। [বুখারী, খণ্ড ৭, বুক ৬৯,সংখ্যা৪৯৪]



চার ইমামের ভাষ্যঃ-

গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ.-অভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। সকলেই গান-বাদ্যকে হারাম বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ইমাম মালেক রাহ. কে গান-বাদ্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কেবল ফাসিকরাই তা করতে পারে।



(অনুবাদ) হযরত আয়শা (রাঃ) বলেন: তাঁর কাছে উপস্থিত থেকে দুটি মেযে ঈদুল আযহার দিনে গান গাইছিল ও বাদ্য বাজাচ্ছিল। নবী করীম (সাঃ) কাপড়মুড়ি দিয়ে শুয়েছিলেন। এ সময় হযরত আবু বকর (রাঃ) সেখানে উপস্থিত হলেন। তিনি এ দেখে মেয়ে দুটিকে ধমকালেন। নবী করীম (সাঃ) তা শুনে মুখের কাপড় সরিয়ে বললেন: হে আবু বকর, ওদের করতে দাও। এখন তো ঈদের উৎসবের সময়।--- ----- ---- ---- --এই হাদিসটি দিয়ে বাদ্য হালাল করে অনেকে , তাহলে উপরের হাদিস গুলো স্বীকার করা হয় না। আসলে এখানে তো শুধু মাত্র ঈদের দিনের কথা বলা হয়েছে ,আর কোন ধরনের বাদ্য বাজাচ্ছিল সেটাও বুঝতে হবে।



মার্জিত ও রুচিবোধ সম্পন্ন বাদ্যযন্ত্রহীন ইসলামিক গান(গজল ,যেখানে আল্লাহ্ , রাসূলের প্রশংসা) হালাল অবশ্যয় হবে ।



কিন্তু বাদ্যযন্ত্র (মার্জিত, ইসলামিক গানে অল্পহোক অার বেশি) এবং ননইসলামিক গান ১০০% হারাম তা একদম স্পষ্ট।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.