নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশায়

মোঃ আরিফিন ইসলাম।

আরিফিন ইসলাম

মোঃ আরিফিন ইসলাম একটি সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশা করি। কর্মস্থলঃ thereport24.com (IT support)

আরিফিন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এফবিআই(FBI) তথ্য নেয়, তারা আমাদের কিছু দেয় না !

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ‘ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ (এফবিআই) ব্লগার হত্যার ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগকে (ডিবি) তেমন কোনো সহায়তা করছে না। এমনকি ব্লগার হত্যার ঘটনায় এফবিআইকে দেওয়া আলামতও ডিবি ফেরত পায়নি। উল্টো ডিবির কাছ থেকে আরও তথ্য এফবিআই নিচ্ছে বলে ডিএমপি’র এক পদস্থ ব্যক্তি জানিয়েছেন।
ডিএমপি সূত্র জানায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ব্লগার অভিজিৎ রায় খুন হন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় এখান থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশে এসে হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এফবিআইয়ের আগ্রহের চেষ্টা। তবে তদন্তে সহযোগিতার কথা বলে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন আলামত পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে নিয়ে গেলেও তার কোনো ফলাফল এখনো আসেনি গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। আলামত ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও এফবিআই থেকে আজ পর্যন্ত কোনো রিপোর্ট দেওয়া হয়নি বাংলাদেশী গোয়েন্দাদের।
ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম মঙ্গলবার সকালে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড তদন্তের দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশ মার্চে এফবিআই সদস্যদের কাছে ১২ থেকে ১৩টি আলামত হস্তান্তর করেছে। এফবিআই সদস্যরা পরীক্ষার জন্য আলামতগুলো যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছেন। পরীক্ষার ফল অপরাধী শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আলামত নিয়ে এফবিআই কাজ করছে।’ অবশ্য দ্রুতই তারা (এফবিআই) আলামত সম্পর্কে তথ্য দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ডিবি সূত্র জানায়, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের স্থল থেকে পাওয়া দু’টো চাপাতি, ব্যাগ ও রক্তের নমুনা এফবিআইকে দেওয়া হয়। টিএসসির ৫০ গজ উত্তরে ঘটনাস্থল থেকে ওই দু’টি চাপাতি ও একটি ব্যাগ আলামত হিসেবে সংগ্রহ করে পুলিশ। ল্যাপটপের ওই ব্যাগে কয়েকটি পত্রিকা ভাঁজ করা ছিল, যা চাপাতিগুলো মোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে পুলিশের ধারণা। এ ছাড়া একটি জিন্স প্যান্ট ও কয়েকটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেটও পাওয়া যায় ব্যাগের ভেতর।
অভিজিৎ হত্যায় রহস্য উদ্ঘাটন হতে না হতেই আরেক ব্লগার নীলাদ্রি চক্রবর্তী (নিলয় নীল) হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিলয় হত্যা ঘটনার পর দিনই এফবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এক উপ-কমিশনারের (ডিসি) যোগাযোগ করে এবং এর পরের দিনই ডিবি কার্যালয়ে বৈঠক করে এফবিআইয়ের তিন সদস্য।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এফবিআই সদস্যরা ঘটনাস্থল কেমন, হত্যার কৌশল কী, হত্যাকারীদের সংখ্যা ও শারীরিক বর্ণনাসহ বিভিন্ন তথ্য ডিবির কাছ থেকে নিয়েছে। কিন্তু এ সময় হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে এফবিআই কী সহায়তা করবে কিংবা কারিগরি কী সহযোগিতা করতে পারবে, সে বিষয়ে এফবিআই কিছুই জানায়নি।
ডিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এফবিআই শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা। রাষ্ট্র নিয়ম অনুসারে তারা বিভিন্ন ঘটনায় সহায়তা করতে পারে। কিন্তু সে সহায়তা কি শুধু ব্লগার হত্যার ক্ষেত্রে? অতীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর এবং রমনা বটমূলসহ বিভিন্ন স্থানে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় এফবিআই কোনো সহায়তা করেনি বা করছে না কেন? সেই হামলাগুলোতে হতাহতের সংখ্যাও শতাধিক। ব্লগার হত্যাকারীদের বিষয়ে অবশ্যই আমরা সোচ্চার; কিন্তু এফবিআই শুধু ব্লগার হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে সহায়তার কারণ কী? এফবিআই আমাদের কাছ থেকে শুধু তথ্য নেয়। তারা আমাদের কিছু দেয় না।’
আরো কিছু বিষেশ খবরে জন্য ঘুরে আসতে পারেন দ্য রিপোর্ট২৪ থেকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.