নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোঃ আরিফিন ইসলাম একটি সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশা করি। কর্মস্থলঃ thereport24.com (IT support)
আঁতকে ওঠার মতো সংবাদ মিলেছে বাঘ জরিপে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের জরিপে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ১০৬টি। ২০০৯ সালের জরিপে বাঘের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল ৪৫০টি। ১৯৭৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আটবার বাঘ জরিপ হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি জরিপেই বাঘের সংখ্যা সাড়ে তিনশ’ থেকে সাড়ে চারশ’র মধ্যে দেখানো হয়েছে। সে হিসাবে সুন্দরবনে বাঘ কমেছে প্রায় ৩৪৪টি।
সর্বশেষ জরিপে ক্যামেরা ট্র্যাপ পদ্ধতি ব্যবহার করে বাঘের এই সংখ্যা পাওয়া গেছে। বিশ্বব্যাংকের স্ট্রেনদেনিং রিজিওনাল কো-অপারেশন ফর ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন প্রজেক্টের অর্থায়নে ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সহায়তায় বন বিভাগ এ পদ্ধতি ব্যবহার করে। যদিও প্রধান বন সংরক্ষক বাঘ জরিপের সব পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তবে ভারতের অংশে একই পদ্ধতিতে জরিপ চালিয়ে ফলাফল ভিন্ন মেলায় এই জরিপের সত্যতা অনেকটাই গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা।
কোন পদ্ধতিতে বাঘের সঠিক শুমারি সম্ভব সেটা নিয়ে বিতর্ক করা যেতে পারে। তবে এটাই এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, গত কয়েক বছরে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। বাঘের সংখ্যা যে হারে কমতে শুরু করেছে তাতে আগামী জরিপে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে আদৌ কোনো বাঘের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সেটাই এখন মুখ্য প্রশ্ন।
এ অবস্থায় আশার বাণী শুনিয়েছেন খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক (সিএফ, সুন্দরবন বিভাগ) ড. সুনীল কুমার কুণ্ডু। তিনি বলেছেন, ‘সুন্দরবন ও বাঘের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য আগস্ট মাস থেকে জেলেদের নৌকায় ও বন বিভাগের যানবাহনে ট্র্যাকিং ডিভাইস বসানো হবে। এ ছাড়া চালু করা হবে মোবাইল নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা।’
যে সুনীল বাবুদের কর্মকাণ্ডে গত ৬ বছরে সুন্দরবন প্রায় বাঘশূন্য হয়ে পড়েছে তাদের এই বক্তব্যে দেশবাসী আশ্বস্ত হবে তেমনটি আশা করার কোনো কারণ নেই। আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল যে সব ব্যক্তির অযোগ্যতা, গাফিলতি ও ব্যক্তিস্বার্থের কারণে সুন্দরবন আজ বাঘশূন্য হতে চলেছে তাদের বিরুদ্ধেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে। কারণ সুন্দরবন বাঘশূন্য হওয়ার পেছনে যে যে কারণ কাজ করেছে তা রোধ করার এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরই দায়দায়িত্ব ছিল। কোন স্বার্থে তারা এ ব্যাপারে কোনো ভূমিকা রাখেনি সেটাও তদন্ত করে দেখা দরকার। আমরা জানি, সুন্দরবন উন্নয়নে বিদেশী সংস্থা ও সরকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে চলেছে। এই অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার হলে সুন্দরবন এভাবে বাঘশূন্য হয়ে পড়ার কথা নয়।
আমরা মনে করি, সুন্দরবন এবং এর প্রাকৃতিক সম্পদ বাঘ রক্ষার জন্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া দরকার। যাদের কারণে আজকের এই অবস্থা তাদের দায়িত্বে রেখে কোনোভাবেই বাঘ বা সুন্দরবন কোনোটাই রক্ষা করা যাবে না।
সূত্র- অনলাইন নিউজ সাইট দ্য রিপোর্ট২৪
©somewhere in net ltd.