নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশায়

মোঃ আরিফিন ইসলাম।

আরিফিন ইসলাম

মোঃ আরিফিন ইসলাম একটি সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশা করি। কর্মস্থলঃ thereport24.com (IT support)

আরিফিন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচার শেষ হয়নি ১১ বছরে, ১৮ আসামি বিদেশে !!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫০

একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে গ্রেনেড মামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলার দু’টির বিচারকাজ ১১ বছরেও শেষ হয়নি।

অপরদিকে এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামি বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পলাতক ১৮ আসামি রয়েছেন দেশের বাইরে। পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতেও পারছে না সরকার।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষ করতে সময় লেগেছে অনেক দিন। অপরদিকে মামলার সাক্ষীর সংখ্যা বেশী হওয়ায় মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করতে কিছুটা সময় লাগছে। আমরা আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মামলা দু’টি শেষ করতে পারব।’

রেজাউর রহমান আরও বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৮ আসামি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তাদের পলাতক দেখিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়ায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।’

আসামীপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবা দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বিএনপিকে সম্পূর্ণভাবে হয়রানি করার জন্য এই মামলা দুটি করা হয়েছে। মামলাসমূহকে স্বাভাবিক গতিতে চলতে দিচ্ছে না সরকার। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

মেজবা আরও বলেন, ‘বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরকারের অনুমতি নিয়ে দেশের বাইরে গেছেন। কিন্তু সরকার রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য তাকে পলাতক দেখিয়ে বিচার শুরু করেছে।’

আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলায় ৪৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭৪ জন বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দিয়েছেন।

২০০৮ সালের ১১ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

২০০৮ সলের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ৯ জুন পর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্য নেন ট্রাইব্যুনাল। ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি তদন্তের ভার পান সিআইডির পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নামযুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি অভিযোগপত্র দেন।

মামলার ৫২ আসামির মধ্যে খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. আশরাফুল হুদা, পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল হক, খোদা বক্স চৌধুরী ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুর রহমানসহ ৮ জন জামিনে আছেন।

সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২৬ জন আসামি কারাগারে আটক আছেন।

অন্যদিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৮ জন আসামিকে আদালত ‘পলাতক’ দেখিয়েছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড হামলা চালায়।

ভয়াবহ ওই হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৩ জন নিহত হন। আহত হন দলের ৩ শতাধিক নেতাকর্মী।

লেখক- জাহাঙ্গীর আলম। দ্য রিপোর্ট২৪ থেকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.