নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশায়

মোঃ আরিফিন ইসলাম।

আরিফিন ইসলাম

মোঃ আরিফিন ইসলাম একটি সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশা করি। কর্মস্থলঃ thereport24.com (IT support)

আরিফিন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবৈধপথে আসছে আইফোন !!!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫১

এক বছরে আমদানি হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি পিস মোবাইল হ্যান্ডসেট। এর মধ্যে আইফোনের সংখ্যা মাত্র পাঁচ হাজার। যদিও দেশে আইনফোনের সংখ্যা এর চেয়েও কয়েক হাজার গুণ বেশি । এ নিয়ে খোদ ব্যবসায়ী মহলেই প্রশ্ন উঠেছে— এত আইফোন আসছে কোন জায়গা থেকে, কীভাবে?

দ্য রিপোর্টের অনুসন্ধানে জানা গেছে, চোরাইপথে বা ঘোষণা না দিয়ে আইফোন আমদানি করায় মূলত সংখ্যার এই হেরফের। কাস্টমস কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বৈধ আমদানির চেয়ে কয়েক হাজার গুণ বেশি আইফোন আসছে ল্যাগেজের মাধ্যমে। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।

ঢাকা কাস্টমস হাউসের তথ্যমতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৯৫ হাজার পিস মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার আইফোন আনা হয়েছে।

এই তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে একাধিক মোবাইল আমদানিকারকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ দেশে বছরপ্রতি আড়াই লাখ আইফোনের চাহিদা রয়েছে। মোবাইলের মার্কেট ঘুরলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।

চলতি বছরের ১৮ মার্চ মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আনা একটি মোবাইলের চালান আটক করে বিমানবন্দর কাস্টমস। কম্পিউটার এক্সেসরিজের ঘোষণা দেয়া হলেও স্যামসাং, এ্যাপলের আইফোন, এইচটিসিসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৬৫টি মোবাইল সেট এবং প্রায় লাখখানেকের মতো দুই জিবি থেকে ১৬ জিবি পর্যন্ত ডাটা ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মেমোরি কার্ড আনা হয়। এ সব মোবাইল আনা হয়েছিল আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস সংস্থা ডিএইচএলের মাধ্যমে।

২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২ কোটি ২৩ লাখ পিস মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি হয়েছে। এর আমদানি মূল্য ছিল ৩ হাজার ৬৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৯৫ হাজার পিস মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি হয়েছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের বাজারে মোবাইল হ্যান্ডসেটের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অবৈধপথে মোবাইল আমদানির ঘটনা। ক্রেতার চাহিদা থাকায় ও সাধারণ ফোনের চেয়ে দাম বেশি হওয়ায় অবৈধপথে সবচেয়ে বেশি আনা হচ্ছে আইফোন। আবার বৈধপথে যে সব আইফোন আমদানি করা হচ্ছে সেগুলোতে ব্যাপক হারে আন্ডার ইনভয়েসিং করা হচ্ছে।

এ সব আইফোনের অধিকাংশই আবার ক্লোন (নকল) বা রিকন্ডিশন্ড। ল্যাগেজের মাধ্যমে শুল্ক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এ সব হ্যান্ডসেট আনা হচ্ছে। হরহামেশাই এ ধরনের চালান ঢাকা কাস্টমস হাউসে ধরা পড়লেও আমদানিকারকরা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

গত বছরের ২৮ আগস্ট গেজেট এ্যান্ড গিয়ারের বনানী ১১ নম্বর এবং গুলশান এভিনিউর শোরুমে অভিযান চালিয়ে দেড় কোটি টাকা মূল্যের চার শতাধিক অবৈধ হ্যান্ডসেট উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এগুলোর মধ্যে স্যামসাং, নকিয়া, সনি এক্সপেরিয়া, এইচটিসি ব্র্যান্ডের মতো নামকরা মোবাইল হ্যান্ডসেটও ছিল। এ সব হ্যান্ডসেটের বেশিরভাগই ছিল ক্লোন (নকল) ও রিকন্ডিশন্ড। বিটিআরসির অনুমোদন না নিয়ে এবং চোরাইপথে আমদানি করে বিক্রি করায় ১৯ লাখ টাকা শুল্ক-কর জরিমানা করা হয় প্রতিষ্ঠানটিকে।

অপরদিকে আইফোন সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় রিকন্ডিশন্ড আইফোন কিনে প্রতারিত হচ্ছেন অনেক ক্রেতা। আইফোনের মাদারবোর্ড, ক্যাসিং ও ডিসপ্লে সংগ্রহ করে সংযোজন করা হয়। সাধারণত চীন থেকে ল্যাগেজের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা নিয়ে আসেন। পরবর্তী সময়ে দেশের বড় বড় মার্কেটে সরবরাহ করা হয়। দেশে এ্যাপলের পরিবেশক না থাকায় এ সব আইফোন কেনার সমস্যা দেখা দিলে বিক্রয়পরবর্তী সেবা পাওয়া যায় না। যে স্থান থেকে ফোন কেনা হয় সেখানেই নিজস্ব টেকনিশিয়ান দ্বারা সমস্যার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেন বিক্রেতারা।

অবস্থা এমনই বেগতিক যে, মোবাইল এক্সপার্টরাও অনেক সময় প্রকৃত আইফোন চিনতে পারেন না। সম্প্রতি শীর্ষস্থানীয় এক মোবাইল আমদানিকারকের বাবা আইফোন কেনার পর সমস্যা দেখা দিলে মেরামতের জন্য ফোনটি চীনে পাঠানো হয়। চীন থেকে জানানো হয়, আইফোনটি এর আগে একবার মেরামতের জন্য খোলা হয়েছিল।

দেশে আইফোনের চারটি রি-সেলার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো হচ্ছে— আই সেন্টার, এ্যালোহা আইশপ, কম্পিউটার সোর্স লিমিটেড ও এক্সিকিউটিভ মেশিনস লিমিটেড। এ ছাড়া মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোও আইফোন বিক্রি করে থাকে।

বসুন্ধরা সিটির এক মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য রিপোর্টকে জানান, আইফোন ফোর, ফোর-এস, ফাইভ, ফাইভ-এস মডেলের আইফোন সবচে বেশি রিকন্ডিশন্ড হচ্ছে। আমদানিকারকদের এজেন্টরা দোকানে দোকানে ঘুরে অর্ডারসাপেক্ষে সরবরাহ করে থাকেন। ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে এ সব ফোন পাওয়া যায়। এ সব ফোনের সঙ্গে এক বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়। তবে তা কোনো সার্ভিস সেন্টারের নয়, ওই দোকানের।

এ প্রসঙ্গে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান দ্য রিপোর্টকে বলেন, আন্ডার ইনভয়েসিং ও মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে মোবাইল সেট আমদানি করা প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। শিগগিরই এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হবে।
নিউজ সংগ্রহ- দ্য রিপোর্ট২৪ থেকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.