নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশায়

মোঃ আরিফিন ইসলাম।

আরিফিন ইসলাম

মোঃ আরিফিন ইসলাম একটি সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশা করি। কর্মস্থলঃ thereport24.com (IT support)

আরিফিন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতে কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম নামছে বাংলাদেশে !

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

প্রতিবেশী দেশ ভারতে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় রাজধানীসহ সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি কমেছে চাল, মুরগীর মাংস, আলু, আদা, ডিমের দাম। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় এ-সব পণ্যের দাম কমেছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। অন্যদিকে, সরবরাহ কম থাকায় শীতের শাকসব্‌জির দাম হাতের নাগালের বাইরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বড় মগবাজার, কাপ্তানবাজার, ফকিরাপুল বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

এ দিনটি (বৃহস্পতিবার) সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় বাজারগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। অবশ্য, চাল, মুরগীর মাংস, পেঁয়াজ ও আলুর দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও শাকসব্‌জির দোকানে ভিড় ছিল না বললেই চলে। চড়া দাম হওয়াতে অনেক ক্রেতাকেই দাম শুনেই জলতি কেটে পড়তে দেখা গেছে। এ বিষয়ে বিক্রেতাদের দাবি, শীতের সব্‌জি বাজারে কম আসার কারণে সব্‌জির দাম একটু বাড়তি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গত এক মাসের তুলনায় কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০-৫০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ ৫৫-৬৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের শুরুতেও দেশী পেঁয়াজ ৭০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একই সময়ে বিদেশী (ভারতীয়) পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা। অবশ্য গত বছর এই সময়ে দেশী পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৮-৪৫ টাকা ও ভারতী পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকা। ফলে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে গত মাসের ব্যবধানে দেশী পেঁয়াজের দাম ২৫ শতাংশ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২৬.৯২ শতাংশ কমলেও তা গত বছরের তুলনায় এখনো বাড়তি।

এ বিষয়ে ফকিরাপুল বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘ভারতে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। তাই বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। গত দুই মাস আগে ভারতে যখন পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল ঠিক তখনও বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। এক কথায় বলা যায়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাজার সম্পর্কিত। আর দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ ঠিক থাকায় দাম কমতে শুরু করেছে।’

এদিকে বাজারগুলোতে প্রতি কেজি খুচরা গুটি স্বর্ণা চাল ৩২-৩৪ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিআর আটাশ ৩৫-৩৭ টাকা, বিআর ঊনত্রিশ ৩৫-৩৬ টাকা, মিনিকেট ৪০-৪২ টাকা, হাসকি (আধা সিদ্ধ) ৩৫-৩৬ টাকা, নাজিরশাইল ৪৬-৪৭ টাকা, বিডিগোল্ড (চিকন চাল) ৫০-৫২ টাকা এবং পোলায়ের চাল ৭০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত মাসে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় মিল মালিকরা চালের দাম এবং পরিবহন মলিকরা ট্রাক ভাড়া বাড়িয়েছে। ফলে গত মাসে চালের দাম কেজিপ্রতি দুই টাকা বেড়ে যায়। তবে চলতি সপ্তাহে চালের দাম আবার কমে এসেছে। তবে এক বছরের ব্যবধানে বর্তমানে চালের দাম কম রয়েছে। গত বছর একই সময়ে মোটা চালের দাম ছিল ৩৫-৩৮ টাকা।

এদিকে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে পাইকারী হিসেবে গুটি স্বর্ণা ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা চাল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকা, বিআর আটাশ ১৬৫০, মিনিকেট ১৯০০-২০০০, হাসকি ১৭৫০, নাজিরশাইল ২২০০, বিডিগোল্ড ২৬০০ ও পোলায়োর চাল ৩৭০০ টাকা।

এ বিষয়ে বড় মগবাজার এলাকার চালের দোকান আলিফ ট্রেডার্সের কর্মচারী আবুল কালাম দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘বর্তমানে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। গত মাসে একটু দাম বাড়লেও বর্তমানে তা আবার কমে এসেছে। গত মাসে গ্যাস ও তেলের দাম বাড়ায় ট্রাক মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। তবে সরবরাহ ঠিক থাকায় চালের দাম বাড়েনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় চাল আনি। আগে ট্রাকপ্রতি ভাড়া দিতে হত ১৫ হাজার টাকা, বর্তমানে দিতে হচ্ছে ১৮ হাজার টাকা। তাই ঢাকার চাল ব্যবসায়ীরা বস্তাপ্রতি চালের দাম বাড়িয়েছেন। আগামী জানুয়ারিতে আমন ধান উঠবে। ওই সময়ে চালের দাম কমতে পারে। আশা করি এ সময়ের মধ্যে চালের দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে।’

এদিকে কমেছে আদার দাম। দেশী আদা ৭০-৯০ টাকা ও ভারতীয় আদা ১০০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে দেশী আদা ১০০-১১০ টাকা ও ভারতীয় আদা ১১০-১৬০ টাকায় বিক্রি হয়। ব্রয়লার মুরগীর দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতি কেজি মুরগী ১২০-১৩০ টাকা ও লেয়ার ১৪০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে দেশী আদা ১৩০-১৪০ টাকা ও ভারতীয় আদা ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হয়। ফার্মের মুরগীর ডিমের দামও কমেছে। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। গত মাসে তা বিক্রি হয় ৩০-৩৩ টাকায়।

আর গত সপ্তাহের তুলনায় শাকসব্‌জির বাজার চড়া। কেজিপ্রতি শাকসব্‌জিতে ৫-৭ টাকা বেড়েছে। শীতের শাকসব্‌জি বাজারে আসতে শুরু করেছে, তবে তা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। তাই নতুন পণ্যের সরবরাহের সময় দাম একটু বাড়তি থাকে বলে দাবি করছেন বিক্রেতারা।

বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি শসা ৩০-৫০ টাকা, টমেটো ১০০-১২০ টাকা, পটল ৪০-৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, করল্লা ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০-২৩০ টাকা, শিম ১০০-১৪০ টাকা, কচুর লতি ৪০-৫০ টাকা, মূলা ৫০-৬০ টাকা, ভেন্ডি ৬০-৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, গাজর ১০০-১২০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, আলু ২৫-২৮ টাকা, লাউ ৫০-৫৫, বাঁধাকপি ৩০-৬০ টাকা, ফুলকপি ৩০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি আঁটি লাউশাক ৩৫-৪০ টাকা, পুঁইশাক ২৫-৩০ টাকা, পালংশাক ৩০ টাকা, লালশাক ১৫-২০ টাকা, কচু শাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছ। এ ছাড়া প্রতি হালি কাঁচকলা ২৫ টাকা ও এক পোয়া ধনে পাতা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দেশী রসুন ৭০-৮০ টাকা ও চীনা রসুন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফকিরাপুল বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মনির মিয়া দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘যেকোনো ঈদের সময় শাকসব্‌জির চাহিদা কম থাকে। তখন দাম কম ছিল। তবে শীতের আমেজ আসার সাথে সাথে আবার চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে বিধায় দাম একটু বেশী। কারওয়ান বাজার থেকে বেশী দামে সব্‌জি কিনতে হচ্ছে। তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে শাকসব্‌জি।’

এদিকে মাছের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতি কেজি ছোট-বড় দেশী রুই ও কাতল ১৬০-৪৫০ টাকা, আমদানীকৃত বড় রুই-কাতল ২৮০-৪০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০-১৬০ টাকা, সিলভার কার্প ১২০-১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-১৮০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ২৫০-৩০০ টাকা, মাঝারি চিংড়ি ৪০০-৫৫০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮০০-১০০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০-৬৫০ টাকা, দেশী মাগুর ৭০০-৮০০ টাকা, বাইন ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মাঝারি-বড় সাইজের প্রতিটি ইলিশ ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাপ্তানবাজারের মাছ ব্যবসায়ী জামাল মিয়া দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বাজারে মাছের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। তাই দামের তেমন কোনো তারতম্য নেই। তবে মাঝেমধ্যে সরবরাহ কম থাকলে দাম খানিক বেড়ে যায়।’

রাজধানীর সার্বিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রধান কর্মকর্তা (বাণিজ্যিক) আক্তার হোসেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বর্তমান বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ইতোমধ্যে বেড়ে যাওয়া চাল, পেঁয়াজ, আদা, ডিম, মুরগীর মাংসসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে সব্‌জির বাজার একটু বাড়তির দিকে রয়েছে। বর্তমানে শীতকালীন সব্‌জির চাহিদা একটু বেশী, সে অনুপাতে সরবরাহ কম। তাই দাম বাড়েছে। তবে সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম স্বাভাবিক অবস্থায় নেমে আসবে বলে মনে করি।’
সংগ্রহ- thereport24 থেকে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

এহসান সাবির বলেছেন: সব বাজার দর এখানে। বেশ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.