নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশায়

মোঃ আরিফিন ইসলাম।

আরিফিন ইসলাম

মোঃ আরিফিন ইসলাম একটি সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশা করি। কর্মস্থলঃ thereport24.com (IT support)

আরিফিন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যয় বাড়ছে বিচারপতিদের ভবন নির্মাণে

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

ব্যয় বাড়ছে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণে। ভূমিকম্পসহনীয় করাসহ নানা কারণে এ ব্যয় বাড়ানো লাগছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এর ফলে মূল ব্যয় ১৪১ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা থেকে ৩২ কোটি ৭৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বেড়ে বর্তমান ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১৭৩ কোটি ৮৩ লাখ ৪৮ হাজারর টাকা। এ বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একটি সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।

উল্লেখ্য, সুপ্রীম কোর্ট এলাকার কাছাকাছি ও বিচারপতিতের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে রাজধানীর কাকরাইলে এলাকায় অবস্থিত সার্কিট হাউস ভবন ভেঙে ১ দশমিক ৪৮ একর জমির উপর ২০ তলাবিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য এস এম গোলাম ফারুক বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের জন্য আবাসিক সুবিধা সৃষ্টি হবে। তা ছাড়া সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধনের বিদ্যমান পরিপত্র অনুযায়ী প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনের ক্ষেত্রে মোট অনুমোদিত ব্যয়ের ২০ শতাংশের বেশি হলে অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মূল প্রকল্প হতে সংশোধিত প্রকল্পের ব্যয় ৩২ কোটি ৭৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা হয়েছে, যা অনুমোদিত প্রকল্পের তুলনায় ২৩ দশমিক ২২ শতাংশ। তাই প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব একনেকে অনুমোদন এখতিয়ারভুক্ত।’

এদিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের নিরাপদ আবাসিক ভবনে বসবাস করা প্রয়োজন হলেও সরকারি আবাসন সংকটের কারণে ১২০ জন বিচারপতির মধ্যে ১০১ জন বিচারপতিই ভাড়া বাসায় থাকেন। এতে সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে এবং বিচারপতিদের নিরাপত্তার বিষয়টিও যথাযথভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব দিক বিবেচনা করে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। মূল প্রকল্পটি ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য একনেকের বৈঠকে অনুমোদন লাভ করে।

পরবর্তীকালে প্রকল্পের মেয়াদ দু’-দফায় বৃদ্ধি করে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হলে ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্যায়ে বিচারপতিদের চাহিদা ও বর্তমান সময়কাল বিবেচনা করে ভবনে বসবাসের উপযোগী নান্দনিকতা বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু অংশের ব্যয় বৃদ্ধি ও কিছু অংশে ব্যয় হ্রাস এবং নতুনভাবে যুক্ত হিসেবে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সংযোজন ইত্যাদি কারণে ব্যয় বেড়েছে বলে দেখানো হয়। ওই সভায় কিছু শর্ত পালন সাপেক্ষে একনেক অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী একনেক বৈঠকে অনুমোদন প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের প্রস্তুতি শেষ করেছে পরিকল্পনা কমিশন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প সংশোধনের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে— অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপিতে) যে পরিমাণ সোর পাইল ধরা ছিল তা সয়েল ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট ও স্টাকচারাল ডিজাইন অনুযায়ী প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল তাই এই পাইলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ফলে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্পতিককালে ভূমিকম্পের প্রবণতা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়া এবং ভবনটি সুউচ্চ তাই ভবনের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন, ডায়নামিক এ্যানালাইসিসের আলোকে বিশ্লেষণ ও ডিজাইন করায় ভবনে সেয়ার ওয়ালের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যা অনুমোদিত ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না, ফলে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংগ্রহ- দ্য রিপোর্ট২৪ থেকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.