নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা- একটি নির্যাতি জাতিগোষ্ঠী (পর্যালোচনা)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪


মায়ানমার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত একটি বৌদ্ধ প্রধান দেশ। ৬,৭৬,৫৭৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি ১৮২৪ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশদের অধীনে ছিলো। ১৯৪৮ সালে দেশটি ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পায়। স্বাধীনতার পর প্রায় ১৩ বছর দেশটিতে গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু থাকলেও ১৯৬২ সালে দেশটিতে সামরিক শাসন জারি হয়। যা ২০১১ সাল পর্যন্ত বলবৎ ছিল। তবে দেশটি বর্তমানে গনতান্ত্রিক ধারায় ফিরলেও সামরিক বাহিনীর প্রভাব সরকারের উপর স্পষ্ট। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে।

!!!----------রোহিঙ্গারা (Rohingya) মায়ানমারের ৮টি প্রধান জাতিগত গোষ্ঠীর (ethnic group) অন্যতম হলেও দেশটির সরকার জাতীয়ভাবে তাদেরকে "বার্মীজ" হিসেবে স্বীকার করে না। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আরাকানিজ ইন্ডিয়ান (Arakanese Indian) নামেও পরিচিত।----------!!!

২০১৩ সালে জাতিসংঘ (UN) রোহিঙ্গাদের বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত ও সুবিধাবঞ্চিত জাতি হিসেবে গণ্য করে।

মায়ানমার ১৪টি রাজ্য নিয়ে গঠিত। রাখাইন রাজ্যের আয়তন ৩৬,৭৭৮ বর্গ কিমি, যেটি দেশটির অষ্টম বৃহত্তম রাজ্য। বাংলাদেশের কক্সবাজার সীমান্তঘেসা রাখাইন রাজ্যে (Rakhine State) মূলতঃ রোহিঙ্গাদের বাস। রাখাইন রাজ্যটি আগে আরাকান হিসেবে পরিচিত ছিল। এ রাজ্যে প্রায় ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা বাস করে যা মায়ানমারের মোট জনসংখ্যার ৪%। এছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় ১৬ লক্ষ রোহিঙ্গার বাস। যাদের প্রায় অর্ধেক (সাড়ে সাত লক্ষ) বাংলাদেশে। পাকিস্তানে প্রায় দুই লক্ষ, থাইল্যান্ডে এক লক্ষ, মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় আশি হাজারের মত হবে। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ভারত এবং এশিয়া-ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও কিছু সংখক রোহিঙ্গা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগ মুসলিম হলেও কিছু হিন্দু ধর্মাবলম্বীও আছেন।


১৯৮২ সালের বার্মিজ সিটিজেনশীপ আইনের (Burmise Citizenship Law) মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা খর্ব করে তৎকালীন সামরিক সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করে। যদিও রোহিঙ্গারা অষ্টম শতাব্দী থেকে দেশটিতে বসবাস করে আসছেন, তবুও বার্মীজ সরকার স্বীকার করতে চায়নি রোহিঙ্গারা প্রাচীন বার্মার অংশ। রোহিঙ্গারা এখন নিজ দেশে থেকেও রাষ্ট্রহীন, তাদের নেই অবাধে চলাচলের সুযোগ, নেই শিক্ষার অধিকার। নাগরিকত্ব না থাকায় নেই সরকারী চাকরির অধিকার। অন্যান্য বার্মীজ জনগণ যে সকল নাগরিক সুবিধা পায় তার ছিটে ফুঁটোও রোহিঙ্গাদের জন্য জুটে না। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭৮, ১৯৯১-৯২, ২০১২, ২০১৫-২০১৮ সালে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে দেশটির সরকার আন্তর্জাতিক সকল আইন অমান্য করে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার সব রকম চেষ্টা করে।

ইতিমধ্যে যে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে তাদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমার সরকার অস্বীকার করছে। তারা বলছে নাগরিকত্বের সনদ ছাড়া কাউকে মায়ানমার ফিরিয়ে নেবে না। যেহেতু রোহিঙ্গাদের বার্মার নাগরিকত্ব নেই সেহেতু তাদের সম্ভবত আর ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের উচিত জাতিসংঘেরর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আদালতের স্বরণাপন্ন হওয়া। মায়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সেমিনারে রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়া। মোট কথা এটা মায়ানমার সরকারের অঘোষিত গণহত্যা, যা পৃথিবীর নিষ্টুরতম বর্বরতাকেও হার মানায়।

!!!----------অষ্টম শতাব্দী থেকে রোহিঙ্গারা মায়নমারে বসবাস করলেও মূলত মোঘল ও ব্রিটিশ শাসনামলে তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এসে রাখাইনে বসতি স্থাপন করে। এদের বেশিরভাগের আদি নিবাস ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার সময় রোহিঙ্গা নেতারা দেশটির সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারক ছিলেন। রাখাইনের মংডু, বুথিয়াডং ও রাথেদং হল রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট শহর। এবারের জাতিগত নিধন ও বিতাড়নের প্রধান শিকারও এসব অঞ্চলের জনগোষ্ঠী। পরিকল্পিতভাবে প্রায় আড়াইশো রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে এরা।----------!!!


২০১৫ সালের নির্বাচনে অং সাং সুচির "ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি" (NLD) ক্ষমতায় আসার পর অনেকেই ভেবেছিলেন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের অধিকার ফিরে পাবে, সামরিক সরকারের মানবাধিকার হরণকারী কালো আইনটি বাতিল হবে। কিন্ত বাস্তবে তার কিছুই হয়নি। দীর্ঘ দিন নিরব থাকার পর অং সাং সুচি ২০১৬ সালে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি কমিশন গঠন করেন, এতে বিদেশীদের পাশাপাশি মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধিরাও সম্পৃক্ত ছিলেন। ২৪শে আগস্ট, ২০১৭ তারিখে কমিশন দেশটির প্রেসিডেন্ট থিন কিউ এবং রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর অং সান সুচির হাতে যে প্রতিবেদন জমা দেয় তাতে রাখাইন রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করা, তাদের অবাধ চলাচল ও সমান নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়।

নব্বই এর দশকে বিশিষ্ট মার্কিন সাংবাদিক এ্যালেন ক্লেমেন্টস্ মিয়ানমারের গণতন্ত্রের নেত্রী অং সাং সুচি সম্বন্ধে বলেছিলেন "ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতার উদাহরণ"। এর আগে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় ১৯৯১ সালে সুচি শান্তিতে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। সারা বিশ্বব্যাপী তিনি গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। অসহায় ও নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতীক ছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার নেতৃত্বে মায়ানমারে দেখতে পাচ্ছি অহিংসার বিরুদ্ধে হিংসার উন্মত্ত উল্লাস। সেখানে রোহিঙ্গাদের শুধু নাগরিকত্ব হরণ করা হয়নি, তাদের ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুরুষদের হত্যা এবং নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে।

!!!----------যে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সুচি ক্ষমতায় এসেছেন সেই সামরিক শাসক ১৯৮২ সালে সংবিধান সংশোধন করে রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রহীন করে। সে আইনে বলা হয় ১৮২৩ সালের আগে যারা মিয়ানমারে এসেছিলেন শুধু তারাই নাগরিক হিসাবে গণ্য হবেন। ১৮২৪ সালে ইঙ্গো বার্মা যুদ্ধে বর্মী রাজা ব্রিটিশদের কাছে পরাজিত হলে বার্মা ব্রিটিশদের অধীনে চলে যায়। রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগ মূলত ব্রিটিশদের শাসনামলে মায়ানমারে বসতি গড়েছিলো বলে সামরিক জান্তা কৌশলে এ কালো আইন জারি করে, যাতে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা বাদ পড়ে।----------!!!


পৃথিবীর শক্তিশালী দেশগুলো তাদের স্বার্থে মিয়ানমারকে তোয়াজ করছে। তাদের অমানবিক অন্যায়-অত্যাচার, খুন-ধর্ষণ, দমন-পীড়ন দেখেও না দেখার ভান করছে। আমি এমন ঘৃণ্য আন্তর্জাতিক রাজনীতির নিন্দা জানাই। অং সাং সুচির মনে রাখা উচিৎ, যখন তিনি সামরিক জান্তার কারাগারে বন্ধী ছিলেন তখন তাঁর মুক্তির দাবিতে রোহিঙ্গারাও রাজপথে আন্দোলন করেছিল।

!!!----------শত শত বছর থেকে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে বসবাস করেও যদি দেশটির নাগরিক হিসাবে গণ্য না হন তাহলে প্রশ্ন হল, নোবেল বিজয়িনী অং সাং সুচি কোন্ নৈতিকতার বলে মাত্র কয়েক বছর ইংল্যান্ডে থেকে সেদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন? ব্রিটিশ সরকার নিশ্চয় তার বাড়িতে এসে জোর করে নাগরিকত্বের সনদ ধরিয়ে দেয়নি। ব্রিটেনের উচিৎ গনতন্ত্র, শান্তি ও অহিংসার মুখোশধারী অং সাং সুচির নাগরিকত্ব অবিলম্বে বাতিল করা।----------!!!

সম্প্রতি অং সাং সুচি রোহিঙ্গা দমন-পীড়ন ও উৎখাত প্রসঙ্গে সে দেশের গণমাধ্যমে বলেছেন, রাখাইনে সব সম্প্রদায়েরর মানুষ নিরাপদে আছে। কোন প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি। তাহলে প্রশ্ন হলো, হাজার-হাজার রোহিঙ্গা দূর্গম পথ পাড়ি দিয়ে, নিজের সহায়-সম্পত্তি রেখে, নদী ও সমুদ্রে ডুবে মরার ঝুঁকি নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে কেন পাড়ি জমাবে? মিয়ানমার সরকার কেন বিদেশী সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার কর্মীদের সংঘাতপূর্ণ এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।


একবার বিদেশী এক সাংবাদিক রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিয়ে অং সাং সুচিকে প্রশ্ন করতেই তিনি রেগে গিয়ে বলেছেন; ওদেরকে রোহিঙ্গা বলবেন না, ওরা আমাদের দেশের নাগরিক না হলেও আমরা তাদেরকে তো তাড়িয়ে দিচ্ছি না। শত শত বছর থেকে রোহিঙ্গারা মায়ানমারে বসবাস করলেও শান্তিতে নোবেল বিজয়িনীর কাছে এরা মানুষ নয়, যেন নদীর জলে ভেসে আসা আগাছা মাত্র। আসলে মায়ানমারের জনগন রোহিঙ্গাদের বাঙ্গালী হিসাবে দেখে, বার্মীজ হিসেবে নয়। যদিও রোহিঙ্গারা বাংলায় কথা বলে না।

!!!----------নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন "হিউম্যান রাইট ওয়াচ" বলেছে; সম্প্রতি রোহিঙ্গা হত্যা, ধর্ষণ, শেল নিক্ষেপ ও তাদের গ্রাম পুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জাতিগত নিধনের (ethnic cleansing) সব উপাদান আছে।----------!!!

গনতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী অং সাং সুচি অহিংসার বিরুদ্ধে, নিপীড়নের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন আন্দোলন করে ক্ষমতায় এসে সবকিছু ভূলে গেছেন। আসলে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন হওয়াই ছিলো তার আন্দোলন ও দীর্ঘ কারাবাসের মূল উদ্দেশ্য। মানবাধিকার, নাগরিকত্ব, সম অধিকার, অহিংসা ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যাবস্থা চালু করা তার উদ্দেশ্য কখনো ছিল না, যা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট। তাকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া নোবেল কমিটির একটি ভুল ছিল।


অং সাং সুচির মত অনেক বিতর্কিত ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন, যা নোবেল কমিটির জন্য মোটেও সুখকর নয়। যদিও নোবেল পুরষ্কার ফিরিয়ে নেওয়ার কোন আইন নেই, তবুও আশা করি নোবেল কমিটি পুরষ্কারটি দেওয়ার আগে আর বেশি করে যাচাই বাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান মায়ানমার তাদেরকে নিজেদের নাগরিক হিসাবে মেনে নেওয়া। সম্মানের সহিত নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়ে ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে যখন কোন নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীকে অস্বীকার করা হয়, অমর্যাদা করা হয়, রাষ্ট্রের ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয় তখন তাদের কাছ থেকে শান্তির জয়ধ্বনি আশা করাটা বোকামি। নিজেদের অধিকার আদায়ে এজন্য অনেক সময় তারা সহিংস হয়ে উঠে। হাতে অস্ত্র নেয়। সারা বিশ্বে এরকম শত শত উদাহরণ আছে। অনেকের হয়তো রোয়ান্ডার গণহত্যার ইতিহাস জানা আছে। ইতিহাসের ভয়াবহতম এ গণহত্যার মূলে ছিল হুতু আর তুতুদের মর্যাদা আর অধিকার প্রতিষ্টার লড়াই।

!!!----------সবশেষ বলতে চাই, পৃথিবীর যে দেশগুলোতে মায়ানমারের নাগরিকরা স্থায়ীভাবে বসবাস করছে, সে সব দেশ তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করুক। যতক্ষণ না আইন করে মায়ানমার সরকার পৃথিবীর সব রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক হিসাবে স্বীকার না করে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ (UN), ওআইসি (OIC) এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো অবশ্যই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রয়োজনে ধনী ও প্রভাবশালী দেশগুলো মায়ানমারের উপর কঠোর অর্থনৈতিক ও সামরিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিৎ।----------!!!



তথ্য সংগ্রহ-
রয়টার্স- ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭।
বিবিসি নিউজ- ১৯ অক্টোবর, ২০১৭।
ডেইলি মেইল অনলাইন- ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭।
দি ওয়াশিংটন পোস্ট, গ্লোবাল সিটিজেন,
এস বি এস, দি ইনডিপেন্ডেন্ট।

ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


রোহিংগাদের ভবিষ্যত কি?

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভবিষ্য জানা নেই। তবে নিকট ভবিষ্যতে তাদের জীবন মানের উন্নতি হবে সে সম্ভাবনাও দেখছি না। এ সমস্যা থেকে উত্তরনের একমাত্র পথ মায়নমার সরকার তাদেরকে দেশের নাগরিক হিসাবে স্বীকার করা। সম অধিকার নিশ্চিত করা। রোহিঙ্গাদের আস্থা অর্জন করা এবং তাদেরকে শতভাগ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া। তা না হলে এভাবে লোক দেখানো ফাঁকা বুলিতে কোন কাজ হবে না। এ সমস্যার ন্যায়সঙ্গত সমাধান না হলে প্রতিবেশী হিসাবে আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হব। এভাবে কিছুদিন পরপর রোহিঙ্গারা আসবে, আর আমরা সমস্যায় পড়বো।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত অভিমত, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের অনেকেই সহানুভূতিশীল হলেও আমরা, পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে, যথেষ্ট নই। আমরা তাদের এ সমস্যা এবং এর ইতিহাসকে বহির্বি্শ্বে তুলে ধরতে পারতাম, ওআইসিকে এ ব্যাপারে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করতে পারতাম, পশ্চিমা দেশগুলোর কাছেও রোহিঙ্গাদের ন্যায্য অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অকুন্ঠ সমর্থনের কথা ব্যক্ত করতে পারতাম। এথনিক ক্লিনজিং এর যথেষ্ট প্রমাণ পশ্চিমাদের হাতে আছে, এ নিয়ে একটু তোড়জোর করলেই হয়তো তাঁরা আরেকটু তৎপর হতো এবং মায়ানমার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারতো। অপরাধী জেনারেলদের কেউ কেউ হয়তো ইতোমধ্যে জেলের ভাত খেতো।
যাহোক, সমস্যাটি নিয়ে আপনি ভেবেছেন, সমস্যাটি পাঠকদের কাছে তুলে ধরেছেন, এজন্য আপনাকে সাধুবাদ, এবং পোস্টে ভাল লাগা +।
আপনার এর আগের পোস্ট "ভিলেজ পলিটিক্স" পড়ে অনেক আগে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো, স্যার। ব্লগের জটিলতায় আপনার কমেন্ট পড়া হয়নি বলে দুঃখিত। আপনি গভীর মনযোগে লেখাটি পড়ে চমৎকার একটি মন্তব্য করায় খুশি হলাম। ভাল থাকবেন, স্যার সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.