নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবিসি (BBC) - ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (ফিচার)

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩


ছোট বেলা একটি গল্পে পড়েছিলাম রসুলগঞ্জ নামক একটি বাজারে বিবিসি সামছু নামে এক ছেলে থাকতো। উল্লেখ্য যে, বাজারটি ছিল অত্র অঞ্চলের দশ-বারটি গ্রামের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বাজার-সদাইয়ের একমাত্র হাট। সপ্তাহে শুক্র ও মঙ্গলবারে বড় হাট বসলেও বাকি দিনগুলোতেও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রব্যের বাজার বসতো। এলাকাটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ ছিল, তবে বাজারের সাথে গ্রামগুলোর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল নৌকা। অবশ্য শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে মানুষ চলাচল করতো। জেলা শহর থেকে এলাকাটি বেশি দূরে না হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় সাধারন মানুষকে সদরে যেতে আসতে অনেক কষ্ট পোহাতে হতো। বর্ষার দিনে প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার নৌকা/স্টিমারে এবং শুকনো মওসুমে অনেকে পায়ে হেঁটি চলাচল করতেন। পাশাপাশি বাহন হিসাবে গরুর গাড়িও ছিল।। ভাটি অঞ্চল হওয়ায় বছরের বেশিরভাগ সময় এলাকাটিতে বন্যা থাকতো। বাইরের পৃথিবীর সাথে একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম ছিল রেডিও। তবে মাঝে মাঝে রসুলগঞ্জে পত্রিকাও আসতো; তবে ছাপা হওয়ার এক-দুইদিন পর! বলা যায় রিমোট একটি এলাকা; যার সাথে বাইরের পৃথিবীর তেমন কোন যোগাযোগ নেই।

সামছু প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাজারের মধ্যখানে ছোট্ট একটি টুলের উপর দাঁড়িয়ে পত্রিকা ও রেডিওর খবরগুলো বক্তৃতার মতো করে প্রচার করতো। মানুষ মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনতো। এছাড়া এলাকার কোন হারানো সংবাদ, মিটিং-মিছিলের আপডেট প্রচার করতেও সামছুর ডাক পড়তো। এজন্য এলাকার লোকজন এক নামে তাকে 'বিবিস সামছু' বলে চিনতো। তবে বিবিসি কী? কেনই বা তার নামের সাথে বিশেষণটি জুড়ে দেওয়া হয়েছিল তা অনেকের জানা ছিল না। আর জানবেই বা কেমন করে এলাকার শিক্ষার যে হাল তাতে না জানাটাই স্বাভাবিক। তখন গোটা এলাকায় মেট্রিক পাশ একজন মানুষও ছিল কি না বলা মুশকিল।

বাস্তবে হয়তো গল্পের বিবিসি সামছু বলে কেউ ছিল না। তবে লন্ডনের হাইড পার্কের মার্বেল আর্চ এলাকায় প্রতি রবিবার বিকালে এরকম বক্তৃতার আসর বসে। অনেক দর্শক সমাগম হয়। একটা সময় ছিল যখন আমাদের গ্রামে-গঞ্জে বিবিসি বাংলা সংবাদ বেশ জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য ছিল। পাশাপাশি ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদও মানুষ বেশ গুরুত্ব দিয়ে শুনতো। তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে আগের সে দিন আর নেই। এখন দূরের অজো-পাড়াগায়েও ডিশ এন্টিনার ফলে মানুষ দেশি বিদেশি শত শত টিভি চ্যানেল দেখে অভ্যস্থ। এতো এতো চ্যানেলের মাঝে এখনো কিছু নিউজ চ্যানেল আছে যা সমান তালে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে বিশ্বব্যাপী টিকে আছে। বিবিসি নিউজ (ইংরেজি) নিঃসন্দেহে তাদের মধ্যে অন্যতম সেরা সংবাদ মাধ্যম।


বিবিসি- (Broadcasting House) নতুন হেড কোয়ার্টার

ছোটবেলা থেকেই বিবিসির প্রতি একটি প্রচন্ড টান অনুভব করতাম। বিদেশি সংবাদ মানেই মনে ভাসতো একমাত্র বিবিসির নাম। এজন্য বড় হওয়ার পর দিনে অন্তত একবার হলেও বিবিসি নিউজ টিভিতে দেখতাম।

লন্ডনে যাওয়ার পর অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখার পাশাপাশি বিবিসি স্টুডিও দেখার জন্য খুব উদগ্রীব ছিলাম। তখন বিবিসি স্টুডিও ছিল ওয়েস্ট লন্ডনের হোয়াইট সিটিতে। আমি থাকতাম ইস্ট লন্ডনের ব্রমলি-বাই-বো-তে। ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখলাম হোয়াইট সিটি যেতে দু'টি বাস বদলাতে হবে। প্রথমে টুয়েন্টি ফাইভ বাসে (bus route 25) অক্সফোর্ড সার্কাস স্টেশনে নেমে নাইনটি ফোর (bus route 94) বাসে বিবিসি স্টুডিওতে পৌছিলাম। ভেতরে যাওয়ার কোন অনুমোদন না থাকায় বাইরে থেকে ঘুরে ঘুরে দেখলাম। বর্তমানে হোয়াইট সিটির স্টুডিওটি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন এটি সেন্ট্রাল লন্ডনের বিখ্যাত অক্সফোর্ড সার্কাস স্টেশন ও রিজেন্ট স্ট্রিটের উত্তর পাশে নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। যা ব্রডকাস্টিং হাউজ নামে পরিচিত। প্রায় চার বছর এই এলাকায় কাজ করার সুবাদে প্রায় প্রতিদিনই বিবিসি স্টুডিও বাইরে থেকে দেখতাম।

ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (British Broadcasting Corporation) সংক্ষেপে বিবিসি; ১৯২২ সালের ১৮ই অক্টোবর জন হৃত বিবিসি প্রতিষ্টা করেন। এটি একটি পাবলিক সার্ভিস ব্রডকাস্টার। যার মালিক ব্রিটিশ জনগণ। এখানে সরকারের কোন অংশিদারিত্ব বা খবরদারী নেই। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং ব্রিটিশ মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত। বিবিসি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন প্রচার মাধ্যম। এছাড়া কর্মী সংখ্যার দিক দিয়েও এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিডিয়া কর্পোরেশন। রয়েল চার্টারের প্রতিষ্ঠিত বিবিসি ব্রিটিশ সরকাকারের তথ্য, সংস্কৃতি ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। তবে তা সরকারের হস্তক্ষেপ মুক্ত। একজন স্বাধীন চেয়ারম্যান, একজন ডিরেক্টর জেনারেল ও একজন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল বিবিসির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকেন। সারা দেশের বার্ষিক টেলিভিন লাইসেন্স ফি দিয়ে বিবিসি চলে। সরকার থেকে কোন অনুদানের প্রয়োজন পড়ে না। লাইসেন্স ফি ব্রিটিশ সরকার নির্ধারণ করলেও পার্লামেন্টে আলোচনার মাধ্যমে লাইসেন্স ফি-র হার নির্ধারণ করা হয়। বিবিসি নিউজ, বিবিসি রেডিও, টিভি ও অনলাইন সার্ভিসও (আই প্লেয়ার) এর অন্তর্ভূক্ত। বর্তমানে পৃথিবী ব্যাপী ২৮টি ভাষায় বিবিসির কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

১৯৬০ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বিবিসি টেলিভিশন সেন্টার লন্ডনের হোয়াইট সিটিতে ছিল। পরবর্তীতে বিবিসি ব্রডকাস্টিং হাউজে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৩২ সালে ১৫ মার্চ বিবিসি রেডিও দিয়ে ব্রডকাস্টিং হাউজের যাত্রা শুরু হলেও ২০১২ সালে এটি সম্প্রসারণ করে বিবিসি হেড কোয়ার্টারে রুপান্তর করা হয়। সম্পূর্ণ গ্লাস ও স্টিলের তৈরী ইউ-শেপের (U) নতুন ভবনটি দেখতে খুব চমৎকার। এজন্য অনেকে এটিকে এখন নিউ ব্রডকাস্টিং হাউজও বলে থাকেন। লন্ডনের বাইরে যেমন- ম্যানচেস্টার, গ্লাসগো, কার্ডিফ ইত্যাদি বড় শহরগুলোতেও বিবিসির সম্প্রচার স্টেশন ও স্টুডিও আছে।


লন্ডনের হোয়াইট সিটির পুরাতন বিবিসি হেড কোয়ার্টার

পৃথিবী বিখ্যাত লন্ডনের বিবিসি হেড কোয়ার্টারে গেলে অবাক হতে হয়। এতো বিশাল মিডিয়া কর্পোরেশন কিন্তু নেই কোন বাড়াবাড়ি। নেই আলাদা দেয়াল ঘেরা নিরাপত্তা বলয় ও গেইট। শুধুমাত্র বিল্ডিংয়ের ভেতরে ঢোকার সময় আছে তল্লাসি চৌকি। তবে তা বাইরে থেকে দেখা যায় না। যে কেউ চাইলে ভবনটি চারিপাশে অনায়াসে ঘুরে ঘুরে দেখতে পারবে। তবে ভেতরে প্রবেশের জন্য আলাদা পাস সংগ্রহ করতে হয়। সাইনবোর্ডে আমাদের মত বিশাল আকারে বিবিসির নাম ফলক নেই। প্রতিদিন শত শত মানুষ ভবনটিতে আসা যাওয়া করলেও নেই কোন জটলা, ঠেলাঠেলি ও শব্দ দূষণ। সবাই চুপিচুপি যার যার দায়িত্ব পালন করে। অন্যের জন্য কখনো নিজেরা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। অনেক মানুষ অসংখ্যবার বিবিসির সামনে দিয়ে আসা-যাওয়া করেও জানে না এটা বিবিসি স্টুডিও। অথচ সারা পৃথিবীর মানুষ বিবিসির নাম শুনলে এক নামে চেনে।

ব্রিটিশরা আমাদের মতো প্রচার সর্বস্ব নয়। আমাদের মতো সরকারী নামকরা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে নেই বিশাল নেইম ফলক, উঁচু প্রাচীর ও গেইট। কোন কোন ক্ষেত্রে নাম থাকলেও তা বেশিরভাগ সময় চোখে পড়ে না। যেমন আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল হেড কোয়ার্টের সামনে বিশাল সাইনবোর্ড ও নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি দেখলে সহজে পাবলিক বুঝতে পারে এটা বাংলাদেশ ব্যাংক। অবাকের বিষয় ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবনের চতুর্দিক ঘুরলেও আপনি কোন সাইনবোর্ড দেখতে পাবেন না। নেই কোন সীমানা প্রাচীর ও বাড়তি নিরাপত্তা। ভবনটিতে ঢোকার জন্য আছে ছোট একটি দরজা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ট্রেনিং সেন্টার, আমেরিকান এম্বেসি, রাশিয়ান এম্বেসি, চায়নিজ এম্বেসি, সৌদি এম্বেসি ও ইরান এম্বেসি ছাড়া কোথাও অস্ত্রধারী সিকিউরিটি আমার চোখে পড়েনি। তবে রাস্তায় টহল পুলিশ প্রয়োজনে হেভি গান ব্যবহার করে। আরেকটি কথা ইংল্যান্ডে ব্যক্তিগত অস্ত্র ব্যবহারের লাইসেন্স দেওয়া হয় না। এজন্য পালিকের কাছে কোন আগ্নেয়াস্ত্র থাকে না।

বিবিসির নিউজ টিম পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষ সংবাদ কর্মী হিসাবে পরিচিত। এসব কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে বিবিসি প্রতি বছর প্রশিক্ষণ খাতে প্রচুর টাকা খরছ করে। পাশাপাশি বিশ্বের অনেক নামকরা নিউজ চ্যানেলের কর্মীদেরও তারা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। বিবিসির ডকুমেন্টারিগুলো বিশ্বব্যাপী খুব জনপ্রিয়।

আমাদের বিটিভির কথা মনে হলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। সরকার প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা খরছ করলেও চ্যানেলটির উন্নতির দৃশ্যমান কোন লক্ষণ নেই। গ্রামের মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম বিটিভি হলেও সম্প্রচার মান অত্যন্ত খারাপ। বাড়তি এন্টেনা লাগিয়েও চ্যানেলের খোঁজ মেলে না। তার উপর নিম্মমানের সংবাদ ও অনুষ্ঠান পরিবেশনা। নেই দক্ষ লোকবল ও পেশাদারিত্ব। বিটিভি দেখলে মনে হয় এখনো পঞ্চাশ বছর আগের প্রযুক্তি ও নির্মাণ শৈলির অনুষ্ঠান দেখছি। অথচ গরীব মানুষের ট্যাক্সের পয়সায় চলা বিটিভির সবচেয়ে ফোকাসের জায়গা হওয়ার কথা ছিল গ্রামীণ জনগোষ্টি। শহরের মানুষ ভূলেও বিটিভি দেখে না। একমাত্র ইত্যাদি সম্প্রচারের সময় বিটিভির পর্দা অনেকে ওপেন করে থাকেন। বিটিভি চট্টগ্রাম ও সংসদ টিভি তো বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। চ্যানেল দু'টি যখন বন্ধ থাকে তখন এমন ঝাঁঝালো শব্দ হয় যে, কান দু'টি বন্ধ করেও রেহাই মিলে না।।


বিবিসি হেড কোয়ার্টার (ছবিটা আমার তোলা)

ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

মিথী_মারজান বলেছেন: বি বি সি'র সাথে বি টিভি'র কথা দেখে খুব মজা পেলাম।
যদিও বি টিভিতে আগে খুবই মানসম্মত কিছু প্রোগ্রাম হতো যা এখন এত্তগুলো বেসরকারি চ্যানেল মিলেও করতে পারছেনা।

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: BBC, BTB পার্থক্য শুধু C আর T. অতএব, Corporation & Television দুইটার মধ্যে অনেক মিল আছে। একটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নিউজ চ্যানেল, আর অন্যটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তৈল টিভি।

২| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

রাকু হাসান বলেছেন: জানলাম বেশ কিছূ । টাইপিং গত ভুল আছে .শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, হাসান ভাই। ঠিক করেছি।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আহা!!
সাবীর মোস্তফা, মানসী বড়ুয়া, জানেমান শাকিল আনোয়ার, মোয়াজ্জেম হোসেন, শারমিন রমা, অরচি অতন্দ্রিলা......:P



বিবিসি বাংলার ফেসবুক পেজ খুব ভাল জায়গা। নিউজগুলো আরো ভালX(X(

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
বিবিসি বাংলার ফেসবুক পেজ খুব ভাল জায়গা। নিউজগুলো আরো ভালX(X(

জানতাম না। কবি বলেছেন দেখতে তো হবে :P

৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আপনার লেখার সামছু এর মত পাঠক তার বোন কে বি বি সি ডাকে :P কারন অনেক খবরাখবর তার কাছে পাওয়া যায় যা সম্পর্কে পাঠক অবগত থাকেনা :P
বরাবরের মত অনেক তথ্যবহুল চমৎকার একটি পোস্ট।
বিটিভি এর কথা আর বলতে, কথা সত্যি একসময় শুধু ইত্যাদির জন্য বিটিভি দেখা হত তবে এই ইত্যাদি ও একসময় বোরিং হয়ে যায়। আর এখন অনেক জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি আর সম্প্রচার হয় কিনা তাও জানা নেই। হায়রে আমাদের বিটিভি।

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "বিটিভি এর কথা আর বলতে, কথা সত্যি একসময় শুধু ইত্যাদির জন্য বিটিভি দেখা হত তবে এই ইত্যাদি ও একসময় বোরিং হয়ে যায়। আর এখন অনেক জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি আর সম্প্রচার হয় কিনা তাও জানা নেই। হায়রে আমাদের বিটিভি।"............

আমার দিলের কথা কইছেন। হের লাগি মুই এখন ইত্যাদি দেহি না। আগের হেই ইত্যাদি আর নেই। :P ইন্তেকাল ফরমাইছে।

আপু :( :( চমৎকার একখনা মন্তব্যের জন্য টেঙ্ক ইউ।

৫| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @"আরেকটি কথা ইংল্যান্ডে ব্যক্তিগত অস্ত্র ব্যবহারের লাইসেন্স দেওয়া হয়না।"

হে..হে..হে..
-- এবার আর আমার সাথে লড়াইয়ে পারবে না মনু....:D

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


হে..হে..হে..
-- এবার আর আমার সাথে লড়াইয়ে পারবে না মনু....:D

এতো হাসি/হিসু করিসনে ভাই,
মোদের কিন্তু পারমানবিক আছে
ছুড়লে কিন্তু কইলাম নিস্তার নাই।

৬| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।
ব্রিটিশদের লাইফস্টাইল নিয়ে লিখুন। ব্লগে দেখে চোখ পচে গেলো যে আমাদের মূল্যবোধ খুব ভালো ওদের তুলনায় কিন্তু আমি তো জানি ওদের থেকে ভদ্র কেউ হয় না


একজন ডাক্তারের মৃত্যু

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই।


"ব্রিটিশদের লাইফস্টাইল নিয়ে লিখুন। ব্লগে দেখে চোখ পচে গেলো যে আমাদের মূল্যবোধ খুব ভালো ওদের তুলনায় কিন্তু আমি তো জানি ওদের থেকে ভদ্র কেউ হয় না।".......... সামনের দিনগুলোতে লেখবো।

৭| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

অচেনা হৃদি বলেছেন: নতুন কথা জানতে পারলাম বিবিসি সরকারী প্রতিষ্ঠান নয় । আগে আমি মনে করতাম বিটিভি যেমন আমাদের সরকারী টেলিভিশন বিবিসি তেমনই একটি বৃটিশ সরকারী টেলিভিশন ! ধন্যবাদ ভাইয়া ।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আগে আমি মনে করতাম বিটিভি যেমন আমাদের সরকারী টেলিভিশন বিবিসি তেমনই একটি বৃটিশ সরকারী টেলিভিশন ! ধন্যবাদ ভাইয়া।"........

আমিও আপনার মতো আগে ভাবতাম BBC সরকারী প্রচারযন্ত্র। চমৎকার একটি কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। নতুন একটি লেখা দেন, পড়তে চাই।

৮| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @লেখক বলেছেন "আমার দিলের কথা কইছেন। হের লাগি মুই এখন ইত্যাদি দেহি না। আগের হেই ইত্যাদি আর নেই। :P ইন্তেকাল ফরমাইছে" হাহাহা! এই প্রথম আপনার মুখে এমন ভাষা শুনলাম ভাইয়া :P খারাপ লাগেনি :P

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এটা কিন্তু আমাদের আঞ্চলিক ভাষা নয়।
এখন মগো ভাষা তর্জমা করে কই, কেমন? :P :P

"আমার মনর খতা খইছইন। এর লাগি আমি এখন ইত্যাদি দেকি না। আগর ইত্যাদি আর নাই। ইত্যাদি মরি গেছে।".........

আফনে কিতা বুচ্ছইন নি!!! :P :P

৯| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

সনেট কবি বলেছেন: বি বি সি সেরা সংবাদ মাধ্যম হিসেবে নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। আর বি টি ভির দিক থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, দুইখান চ্যানেল দুই মেরুর বাসিন্দা।

১০| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: বরাবরের মত এই পোস্টটাও অনেক তথ্যবহুল ছিল। অনেক কিছু জানতে পারলাম।

@কথার ফুলঝুরি, আপনাকে বলছি। ইত্যাদি এখন বিটিভি তে প্রচার করে কিনা জানিনা। তবে ইউটিউবে এখন ইত্যাদির নিয়মিত সম্প্রচার ৩/৪ মাস পরপর করা হয়।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ইবরাহীম ভাই। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।

১১| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: বিবিসি সামসুর গল্প খুব ভালো লাগলো।
যখন দেশ নিয়ে আপনি খুব হতাশ হবেন- তখন বিটিভি দেখবেন। হতাশা কেটে যাবে।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "যখন দেশ নিয়ে আপনি খুব হতাশ হবেন- তখন বিটিভি দেখবেন। হতাশা কেটে যাবে।"....

চমৎকার একখান থিওরি, রাজীব ভাই।

১২| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: ভাইয়া, আপনার কথামত নতুন লেখা পোস্ট করেছি । পড়ার নিমন্ত্রণ রইল ।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এক্কুনি পড়ছি। :-B :-B :-B

১৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

জোকস বলেছেন:




এক স্কুলের শিক্ষক ছাত্রের উদ্দেশে বললেন,
বলতো বি.বি.সি- তে কি হয়।

ছাত্র :- স্যার বিবিসি তে হয় 'বেঙ্গল বিস্কিট কোম্পানি'। :)

শিক্ষক :- বেয়াদব বদমাইশ ছেলে! X((

ছাত্র :- আপনারটাও ঠিক স্যার। :P

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বাহ!! জোকস ভাই। bbc নিয়ে চমৎকার একটি জোকস।
আপনার প্রপিকটা চমৎকার হয়েছে। :P :P :P :P :P :P

আমি বিটিভিকে - বাংলাদেশ তেলি ভিশন বলি। :P :P

১৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: অাপনার 'বিবিসি' দেখে রিয়াল মাদ্রিদের 'বিবিসি'র কথা শুরুতেই মনে অাসল। অাজ বিবিসির অাসল পরীক্ষা।


লেখা ভালো হয়েছে ব্লগার কাওসার চৌধুরী।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, @আখেনাটেন ভাই। অনুপ্রাণিত হলাম।

১৫| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @ লেখক বলেছেন---"আমার মনর খতা খইছইন। এর লাগি আমি এখন ইত্যাদি দেকি না। আগর ইত্যাদি আর নাই। ইত্যাদি মরি গেছে।" (আমার মনের কথা বলেছেন। এর জন্য আমি এখন ইত্যাদি দেখি না। আগের ইত্যাদি আর নেই। ইত্যাদি মরে গিয়েছে) :P

"আফনে কিতা বুচ্ছইন নি" জী আমি সব ই বুঝেছি। :-B

@ ইব্‌রাহীম আই কে---আপনার তথ্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। তবে কাউসার ভাই এর মত আমার ও অবস্থা। আগের ইত্যাদি আর নেই, তাই দেখিনা।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আফনে কিতা বুচ্ছইন নি" জী আমি সব ই বুঝেছি। :-B

আফা, আপ্নে য়েত বুঝেন কেরে? বেশি বুঝা কইলাম বালা নায় :P :P

কথা তো নয় যেন ফুলের ঝুঁড়ি।
বয়স কবে পঞ্চাশের পেরিয়েছ।
স্বামী ও সংসার কবে হারিয়েছি
বয়স যখন সবে ছিল কুড়ি।

কবির জন্য এখনো মন কাঁদে
কেমনে দিল নীল বিষ ঢেঁলে।
জানাবো স্বাগত এই পঞ্চাশে
কবির মতো মনের খুঁজ পেলে।


১৬| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


তাদের আভ্যন্তরীণ জনপ্রিয়তা কেমন?

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ইউকে-তে (ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলস) বিবিসি সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেল। বিশেষ করে তাদের বাচ্ছাদের জন্য চ্যানেলগুলো খুব শিক্ষনীয়। বিবিসি কার্টুন, বিবিস ডকুমেন্টারি পৃথিবী সেরা; এগুলো খুব উচু মানের প্রগ্রাম। এছাড়া বিবিসি নিউজ, নাটক ও রিয়েলিটি শোগুলো খুব জনপ্রিয়। তাদের অনুষ্ঠান ও সম্প্রচার মান খুব উন্নত।

এজন্য বিবিসি শীর্ষে।

১৭| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বিবিসি! আমার বেকার জীবনের সঙ্গী। আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে তার ফেলে দেয়া টুইন ওয়ানটি নিয়ে ( ক্যাসেট চলতো না, কিন্তু রেডিও অংশটি চমৎকার ছিল) আমি মজা করে বিবিসি শুনতাম। আমি গ্রামে থাকতাম বলে বিদ্যুতের সংযোগ ছিল না। ঢাকার বাংলাবাজারের কাছে নর্থব্রুক হল রোডের এক দোকান থেকে মোটর সাইকেলের ব্যাটারী এনে সেটাকে বাজারে গিয়ে চার্জ দিয়ে আনতাম। তারপর সারা দিনের পর রাতে যখন চাকরির পড়াশোনা করতে বসতাম তখন রাত সাড়ে ১০ টার প্রবাহ দিয়ে শুরু করতাম। সেই সময়েই বিবসি তার শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী নির্বাচন করে।

একটি আশ্চর্য বিষয় হলো - আমার ঢাকার দোহার থেকে কোন অজ্ঞাত কারণে জানি না, আমি কলকাতার ব্শেীর ভাগ এফ এম রেডিও শুনতে পেতাম। এর কোন ব্যাখা জানি না।

আপনার পোস্ট পড়ে আবার আমার সেই রেডিও জীবনের কথা মনে পড়ে গেল।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রিয়, সাজ্জাদ ভাই।

বিবিসি! আমার বেকার জীবনের সঙ্গী। আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে তার ফেলে দেয়া টুইন ওয়ানটি নিয়ে ( ক্যাসেট চলতো না, কিন্তু রেডিও অংশটি চমৎকার ছিল) আমি মজা করে বিবিসি শুনতাম। আমি গ্রামে থাকতাম বলে বিদ্যুতের সংযোগ ছিল না। ঢাকার বাংলাবাজারের কাছে নর্থব্রুক হল রোডের এক দোকান থেকে মোটর সাইকেলের ব্যাটারী এনে সেটাকে বাজারে গিয়ে চার্জ দিয়ে আনতাম। তারপর সারা দিনের পর রাতে যখন চাকরির পড়াশোনা করতে বসতাম তখন রাত সাড়ে ১০ টার প্রবাহ দিয়ে শুরু করতাম। সেই সময়েই বিবসি তার শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী নির্বাচন করে।.......... এমন কিছু স্মৃতি আমারও আছে।

১৮| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শেষের দিকে এসে মনে হল হুট করেই শেষ হয়ে গেল। বাংলাদেশের যেকোনো রাজনৈতিক সংকটের সময় বিবিসিই ছিল সবার আস্থার নাম।

যখন বিটিভি ছাড়া অন্যকোন চ্যানেল ছিল না তখন কত কষ্ট করেই না বিবিসিকে রেডিওতে এডজাস্ট করতে হতো।

সুন্দর পোষ্ট। লাইক।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় তারেক ভাই।

"যখন বিটিভি ছাড়া অন্যকোন চ্যানেল ছিল না তখন কত কষ্ট করেই না বিবিসিকে রেডিওতে এডজাস্ট করতে হতো।"......... হ্যা, সব সময় সিগনাল পাওয়া যেত না।

১৯| ২৬ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিটিভির মাধ্যমেই বিবিসি আর সিএনএন-এর সাথে পরিচয়। কারণ বিটিভিতে ফ্রি সম্প্রচার শুরু হয়েছিল। তার আগে মনে হয় রেডিওতে সকালে বিবিসি খবর শুনত আমার বাবা। তবে বিবিসির খবর সিরিয়াসলি শুনেছি ইরাক-আমেরিকা যুদ্ধের সময়। এরপর আর তেমন আগ্রহ জাগেনি...

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমার অভিজ্ঞতাও ঠিক অনেকটা আপনার মতো। বিটিভির মাধ্যমেই বিবিসি আর সিএনএন-এর সাথে পরিচয়। পাশাপাশি রেডিও শুনা হতো।

২০| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: রাণি মারা গেলে প্রাসাদের বাইরে সাধারণের মাঝে সর্বপ্রথম জানানো হবে বিবিসি কে।
ঘরে বসে আপনার এই উপাদেয় লেখায় মন প্রাণ ভরে যায়।
ভাই, আপনি বেনামে পত্রিকায় লেখা পাঠান, প্রথমে ছোট পত্রিকা ধরেন। প্রথম আলো, বা প্র, কোন জাতের পত্রিকা না X( । এদের জন্যই আমরা বিবিসি মুখী, জানেন নিশ্চয়ই বিবিসির লেখাও খুব ভালো মানের। ভাই, আমার কথার গুরুত্ব দিন। বেনামে লিখুন, সাড়া পাবেন, আমাদের দু চার জনকে চুপচাপ জানাবেন, বাকিটা আমরা দেখবো B-)
অফটপিক: প্রতি শনিবার নয়াদিগন্তে এবনে গোলাম সামাদের "আত্নপক্ষ" বের হয়। পড়তে পারেন।

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রিয়, ভাইটি আমার। তোমার সুন্দর সাজেশন ফলো করার চেষ্টা করবো।

"প্রথম আলো, বা প্র, কোন জাতের পত্রিকা না X( । এদের জন্যই আমরা বিবিসি মুখী, জানেন নিশ্চয়ই বিবিসির লেখাও খুব ভালো মানের। ভাই, আমার কথার গুরুত্ব দিন। বেনামে লিখুন, সাড়া পাবেন, আমাদের দু চার জনকে চুপচাপ জানাবেন, বাকিটা আমরা দেখবো B-)


চমৎকার বলেছো।

২১| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাই সাজেশন না , অনুরোধ। :)

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কথাগুলো সত্যি সত্যি খুব, দরকারী। সে অনুরোধ হোক আর সাজেশন হোক। অনেক শুভ কামনা তোমার জন্য।

২২| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪২

সোহানী বলেছেন: একসময় বাবা চাচাদের শোনা বিবিসির সংবাদ শুনে শুনে বড় হয়েছি। এখনতো মনে হয় এ যুগের বাচ্চারা বিবিসির খবরের কথা জানে ও না। অথচ দেশের যেকোন আন্দোলনে বিবিসি বা সিএ্নএন এর ভূমিকা ছিল অসাধারন। আমার একটা এক্সপেরিয়েন্স আছে বিবিসিতে সাক্ষতকার দেয়া নিয়ে। এ সুযোগে শেয়ার করি....... রোকেয়া হলের র্সূর্যাস্ত আইনের আন্দেলনের প্রথম সারিতে থাকার কারনে তখন সাক্ষতকার দিয়েছিলাম মধুর ক্যান্টিনে বসে। সাংবাদিক ছিলেন যে আপা তার নাম ভুলে গেছি, খুব পান চিবাতেন। আমি খুব অবাক হয়ে উনাকে প্রশ্ন করেছিলাম যে আপনি এ বয়সে কেন পান চিবান। আমার নানু বা দাদুদের শুধু দেখেছি। উনি খুব হেসেছিলেন তখন...........

ভালো লাগলো বরাবরের মতই.............

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপা, আপনার ভাল থাকাটা আমার কাছে অনেক বড় কিছু। বিবিসি, সিএনএনের নাম শুনে বড় হয়েছি। এগুলো আমাদের আত্মার সাথে মিশে আছে। একটা সময় বিবিসি, সিএনএন, ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদ খুব মনযোগ দিয়ে আমরা শুনতাম। এছাড়া চীনের একটা বাংলা নিউজ স্টেশন ছিল। মাঝে মাঝে চায়নিজ ভাষা শেখানো হতো।

এখন কত্ত চ্যানেল, কত মাধ্যম আর কত্তো ফেইক নিউজ বলে শেষ করা যাবে না। এই সংবাদ দশটা মাধ্যমে দশভাবে উপস্থাপন করা হয়। আসল নকল বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।


অনেক শুভ কামনা প্রিয় আপা। ভাল থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন সব সময়।

২৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কাওসার ভাই আপনার পোষ্ট মানে বিশ্বকে দেখার সুযোগ। আমাদের সেই শৈশবে সন্ধে বেলায় বিবিসির খবর বড়দেরকে শুনতে শুনেছি। রেডিওতে একটা ঘড়ঘড় শব্দ হবে আর সঙ্গে সংবাদ। একটা অদ্ভূত অনুভূতি সে সময় তৈরী হত। আজ আপনার সুন্দর বিবিসি সম্পর্কে জেনে সমৃদ্ধ হলাম। আর ওপারের চ্যানেলটি নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। আমি তাকে সম্মান করি।

অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় কাওসার ভাইকে।

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ২:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই, আশা করি ব্যস্ততা কমেছে।

"আমাদের সেই শৈশবে সন্ধে বেলায় বিবিসির খবর বড়দেরকে শুনতে শুনেছি। রেডিওতে একটা ঘড়ঘড় শব্দ হবে আর সঙ্গে সংবাদ। একটা অদ্ভূত অনুভূতি সে সময় তৈরী হত।"................... এ অভিজ্ঞতা দুই বাংলার মানুষের কমিবেশি একই। নতুন প্রজন্মের এমন অভিজ্ঞতা হয়তো নেই।

আশা করবো ব্যস্ততা কাটিয়ে দ্রুত ফিরবেন। নতুন লেখা দিয়ে ব্লগকে সমৃদ্ধ করবেন।

২৪| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:১৫

হবা পাগলা বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: লেখাটি পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৫| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১:২৮

শহীদ আম্মার বলেছেন: ভাল করে না পড়েই মন্তব্য করলাম। ব্যস্ত। চালিয়ে যান। লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশ করবেন আশা করি।

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শহীদ ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন। আশা করবো ব্যস্ততার দিনগুলো ভাল কাটবে। হ্যা, আমার প্রতিটি লেখা বইয়ে আসবে আগামী দিনগুলোতে। পরামর্শ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ২:১৮

কাওছার আজাদ বলেছেন: যখন থেকে বুঝবান হয়েছি। মানে রেডিও সম্পর্কে একটু জ্ঞান হয়েছিল, তখন থেকেই বিবিসিকে মনের অজান্তেই দিলের ভিতরে যায়গা করে নিয়েছে। এখনো আমার ফোনের বুকমার্কে বিবিসির নিউজ পোর্টাল সাইট সেট করা আছে। প্রতিদিনই এফ.এম রেডিওতে বিবিসি সম্প্রচার শুনি। আমার জানামতে বিবিসিই নিরপেক্ষভাবে সংবাদ সম্প্রচার করে। সবচেয়ে আরো ভালো লাগে, যখন তারা জনগনের মতামত পর্যবেক্ষণ ও সমালোচনা। তথা ফোনিন অনুষ্ঠান। আর বিটিভি!! যদিও আগে গ্রাম্যজনগণের কাছে প্রিয় ছিল। কিন্তু এই চ্যানেল এখন প্রবাদ বাক্যে পরিণত হয়েছে। মানে কাউকে কেউ অবহেলা করলেই মুখ থেকে বের হয়ে আসে জীবনটা এখন 'বিটিভিময়'।

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কাওসার আজাদ ভাই, চমৎকার মন্তব্য করেছেন। বিবিসি, সিএনএনের নাম শুনে বড় হয়েছি। এগুলো আমাদের আত্মার সাথে মিশে আছে। একটা সময় বিবিসি, সিএনএন, ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদ খুব মনযোগ দিয়ে আমরা শুনতাম। এছাড়া চীনের একটা বাংলা নিউজ স্টেশন ছিল। মাঝে মাঝে চায়নিজ ভাষা শেখানো হতো।

২৭| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১০

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: দিলেন তো বিটিভির কথা মনে করাইয়া।

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হা হা হা............. বিটিভি!!!
সর্ব রোগের মহৌষধ।

২৮| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

নুরউদ্দিন আহমেদ শ্যামল বলেছেন: কামকুনি আর মহা-রানীর মধ্যে খুব সুন্দর পার্থক্য তুলে ধরেছেন । ধন্যবাদ প্রিয়।

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, শ্যামল ভাই। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

২৯| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: বাহ বিবিসি নিয়ে দারুণ পোষ্ট, বিবিসি বাঙালীর ভালবাসার নাম, বিবিসি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গেলা। অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কাওসার স্যার।

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শিমুল মাহমুদ ভাই, ধন্যবাদ। লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। শুভ কামনা আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.