নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্যামেলি ট্যুর (গল্প)

০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২


১.
আজ অফিস থেকে বের হয়ে বেশ কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হলো আফজাল সাহেবের। শীতের বিকেলে পশ্চিম আকাশে সূর্য কখন ডুম মারে বোঝার উপায় নেই। দেখলেন সন্ধ্যা অনেক আগেই হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ এজন্য অফিসে অনেক খাটুনি যাচ্ছে আফজাল সাহেবের। তবে সকালে অফিসে আসার সময় একদম নরমাল ওয়েদার ছিল। এজন্য অনেক দাম দিয়ে কেনা সু জুতাটি আজ পরা হয়নি তার। একান্ত বাধ্য না হলে বিয়ের সময় শ্বশুর বাড়ি থেকে পাওয়া কোট-টাই পরেন না তিনি। কোটের বয়স গুনে গুনে একত্রিশ বছর হয়ে গেছে তারপরও যত্নের কোন হেরফের হয় না।

প্রতিদিন তিনি নিয়ম করে পুরাতন সার্ট-প্যান্টের সাথে হাঁত কাটা একটি সুয়েটার আর চামড়ার একজোড়া সেন্ডেল অফিসে আসতে ব্যবহার করেন। বিশেষ কোন উপলক্ষ, অফিস পার্টি আর ভিজিটিংয়ের দিনগুলো ছাড়া আয়রণ করা হয় না ড্রেসগুলো। এজন্য অফিসের জুনিয়র-সিনিয়র সব কলিগ তাকে "হাড়কিপ্টা" বলে ডাকে। এমন কথা যে তার কানে আসে না তা কিন্তু নয়। তবে লোকজন তাকে কিপ্টে বলে অপবাদ দিলেও তিনি নিজেকে মিতব্যয়ী ভাবেন।

নিজেকে প্রশ্ন করলেন, "ইদানিং দেশের ওয়েদার কী ইউরোপ-আমেরিকার মতো সকাল-বিকাল বদলানো শুরু করলো? নিজে থেকে আবার উত্তরও খুঁজে নিলেন, দেশের মানুষ যেভাবে পশ্চিমা হওয়ার জন্য লাফাচ্ছে, তাদের সবকিছু কার্বণ কপি করে নিজের বলে চালিয়ে দিচ্ছে তাতে বরং না হওয়াটাই বেমানান!!

বাসাটি আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে হলেও অফিস শেষে প্রতিদিন হেঁটে হেঁটে বাড়ি যান আফজাল সাহেব। বয়স বাড়ছে ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকায় মূলতঃ অফিসে আসা-যাওয়ার পথে হাঁটেন তিনি; এতে অর্থের সাথে স্বাস্থ্যগত উপকার হয়। শুনেছেন যারা নিয়মিত হাঁটাচলা করে তাদের নাকি হার্ট সুস্থ থাকে; এছাড়া উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কম থাকে।

হঠাৎ মনে পড়লো অফিসে আসার সময় গিন্নি তাজা সবজি, গরুর মাংস আর দেশী সুটকি নিয়ে যেতে বলেছে। ভাগ্য ভাল বাজারের কাছাকাছি থাকতে মনে হয়েছে, না হলে বাসায় পৌছে নির্ঘাৎ গিন্নির তিরস্কার পেতেন। আর নিশ্চিতভাবে দরজা থেকে ফিরে এসে পইপই করে কড়ায়গণ্ডায় বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরতে হতো তাকে।

যেই ভাবনা সেই কাজ; দ্রুত ইউ-টার্ণ করে বাজারের পথে দিলেন ছুট। গিন্নির পছন্দের সুটকি আর গরুর মাংস কিনে সবজির বাজারে ঢুকলেন আফজাল সাহেব -
-- বেগুনের কেজি কত?
একটু ভদ্র গোছের এক বিক্রেতাকে জিজ্ঞেেস করলেন; দেখতে বদরাগী আর চালাক টাইপের বিক্রেতাকে সব সময় এড়িয়ে চলেন তিনি।
-- চৌদ্দ টেহা, স্যার।
-- এই ভরা সিজনেও এতো দাম!
-- কি যে কন স্যার!! লকাল বেগুন; একদম টাটকা।
বড় একটি চিকচিকে টাটকা বেগুন ভাঙতে ভাঙতে আফজাল সাহেবকে দেখাচ্ছিল আর কথা বলছিল দোকানি।
-- দুই কেজি নিলে আন্নের জন্য পঁচিশ টাকা, স্যার।
-- দশ টাকা করে হলে দুই কেজি দাও।
উত্তর দিলেন আফজাল সাহেব।
-- স্যার, এক কেজি বেগুন বেঁচে মাত্র এক টাকা বাঁচে!! আপনি চাইলে আরো কয়েকটি দোকান দেখে আসতে পারেন। তবে চার কেজি নিলে আটচল্লিশ টাকা দিলেই চলবে।
-- না পয়তাল্লিশ দেব।
আফজাল সাহেবের ঝটপট উত্তর।
-- স্যার, আপনি প্রায় প্রতিদিন আমার কাছ থেকে বাজার নেন; আপনাকে ফেরাই কেমনে কন? ঠিক আছে দেন। একদিন না হয় স্যারের কথা রাখতে লস করলাম!!
দু'টি পলিথিন ব্যাগ এক সাথে করে বেগুন ভরে বিক্রেতা আফজাল সাহেবকে সালাম দিয়ে বললো-
-- স্যার, একদম টাটকা বেগুন; ভাঁজি করে খেলে অনেক টেস্ট পাবেন। ম্যাডাম চাইলে তরকারিও রাধতে পারেন। হেব্বি মজা লাগবে!!

যাক আজ পাক্কা এগারো টাকা সেভ, বিষয়টি ভাবতেই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেন আফজাল সাহেব। অল্প দামে এমন টাটকা বেগুন দেখে গিন্নি নিশ্চয় খুশি হবে, মনে মনে ভাবলেন আফজাল সাহেব। বাজারের ব্যাগটি অনেক ভারী হওয়ায় বাসায় যেতে যেতে হাফিয়ে উঠলেন তিনি। তিন তলার সিড়ি ভাঙ্গিয়ে উপরে উঠে কলিংবেল দিতেই গৃহকর্মী রাহেলা দরজা খুলে দিল। রাহেলার হাতে ব্যাগটি দিয়ে হাতমুখ ধোয়ে ফ্রেশ হতে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকলেন আফজাল সাহেব।

ঘরে ঢুকেই কোথায় হাওয়া হয়ে গেলে? আজ তোমার একদিন কি আমার একদিন। কি এনেছো এগুলো? আর কবে আক্কেল হবে তোমার শুনি? উনি এই ভরা মৌসুমেও বাজারে আনাজ-তরকারি খোঁজে পান নাই আপনি! লাউ, সীম, ফুলকপি, বাঁধাকপি কত রকমের টাটকা সবজিতে সয়লাব বাজার কিন্তু উনার চোখে এগুলো পড়বে না। অকর্মাটি আমার জন্য নিয়ে এসেছে বেগুন। ছেলে-মেয়ে ভুলেও বেগুন-টেগুন মুখে তুলবে না। আর আমার যে এলার্জি তাও তোর খেয়াল নেই!! এই ভুলোমনা অপদার্থকে নিয়ে আর পারছি না। হে আল্লহ, আমাকে মুক্তি দাও; এই কিপ্টার সংসাসারে আর থাকতে পারছি না। এই বলদা স্বামীর চেহারা আর দেখতে চাই না আমি।

আফজাল সাহেব অবস্থা বেগতিক দেখে সিটকানি ভালভাবে আটকিয়ে চুপচাপ ওয়াশরুমে অপেক্ষা করতে লাগলেন কখন গিন্নির রাগ পড়ে। এটা আফজাল সাহেবের জন্য নতুন কোন অভিজ্ঞতা নয়; বিয়ের কিছুদিন পর যখন যৌথ পরিবার থেকে স্বামীকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা সংসারে নিয়ে আসে তখন থেকেই বউয়ের এই কুকুর মেজাজ। তবে এখন তা দিনকে দিন বেড়েই চলছে; বিশেষ করে ছেলে মেয়েরা বড় হওয়ার পর থেকে।

সাতটা বাজতে বেশি দেরী নেই; টিভিতে জি বাংলার "অবুজ স্বামী ত্যাজি গিন্নি" সিরিয়াল শুরু হলেই শান্তি। তখন চুপিচুপি বের হওয়া যাবে; একটু ধৈর্য্য না ধরলে বিপদ আরো বাড়বে। বিষয়টি ভাবছেন আর গিন্নির গলার ভলিউম কমার অপেক্ষা করছেন আফজাল সাহেব।

ঘরের মেঘলা ভাব কেটে যেতেই আস্তে আস্তে সিটকানি খুলে বাইরে বেরিয়ে আসলেন আফজাল সাহেব। গিন্নি ততোক্ষণে ফুল ভলিয়মে সিরিয়াল নিয়ে ব্যস্ত। সিরিয়ালের বদরাগী বউয়ের নিরীহ স্বামীকে তিরষ্কারের আওয়াজ টাস টাস করে কানে লাগছে। হঠাৎ চোখে পড়লো পুরো ঘরটি বেগুনময়!! দেখলেন কাজের মেয়েটি ঝাড়ু দিয়ে জঞ্জাল পরিস্কার করছে আর আফজাল সাহেবের বিধস্ত চেহারার দিকে আড়চোখে থাকিয়ে মুচকি হাসছে। বিষয়টি আফজাল সাহেবের চোখ ফাঁকি না দিলেও এড়িয়ে গেলেন। ভাবলেন, যাক রাগটি শেষমেষ বেচারা বেগুনের উপর দিয়ে গেছে। নিজে আপাতত নিরাপদ!!


২.
বাসায় সর্ব সাকুল্যে সিটিং আর ডাইনিং বাদে তিনটি রুম। এছাড়া আছে একটি ছোট্ট গেস্ট রুম। মালিক হয়তো গৃহকর্মীদের কথা মাথায় রেখে এ রুমটি তৈরী করেছে, কে জানে!! ফ্ল্যাটের একটি রুমে থাকে আফজাল সাহেবের ব্যবসায়ী বড় ছেলে, যে এখনো বিয়ে করেনি। আরেকটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একমাত্র মেয়ে। আর অপরটিতে গিন্নি। আফজাল সাহেবের জন্য বরাদ্দ এই গেস্ট রুম কাম সার্ভেন্ট রুম; আছে একটি পুরাতন সিঙেল খাট, একটি পুরাতন আলনা, একটি খোঁড়া চেয়ার আর ঝং ধরা একটি আয়না। তবে বাসায় অতিরিক্ত কোন মেহমান বেড়াতে আসলে আফজাল সাহেবকে সিটিং রুমের সোফায় ঘুমাতে হয়। তবে মেহমান অতিরিক্তের অতিরিক্ত হলে সিটিং রুমের ফ্লোরই ভরসা।
-- খালু চা করে দেই?
ছোট্ট রুমটার দরজা ফাঁক করে জানতে চাইলো কাজের মেয়ে রাহেলা।
-- হুম। একটু আদা চা করে দিসরে মা।
-- সাথে কোন নাস্তা দেব?
কোন উত্তর না পেলেও রাহেলা জানে মাথা ধরলে বা বেশি টেনশন করলে খালু আদা চা দিতে বলেন; আর সাথে প্রিয় টোস্ট বিস্কুট। কছুক্ষণ পর রাহলা চা নিয়ে হাজির-
-- খালু আপনার চা।
-- মামুম আর তানজিকা ফিরেছে?
-- ভাইজান এখনো ফিরেনি। তবে আপা বিকাল থেকে বাসায়, আফাকে ডাকবো?
-- না লাগবে না, তুই নিজের কাজে যা।

আফজাল সাহেবের ছোট ছেলেটি জাপানে থাকে। রোবটের উপর উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে গত বছর ওসাকা ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। গত এক বছরে মাত্র দুইবার ছেলেটির সাথে কথা হয়েছে তার। ছেলেটি হয়তো অনেক ব্যস্ত থাকে এজন্য নিয়মিত খোঁজ নিতে পারে না। তবে জানেন মায়ের সাথে তার নিয়মিত কথা হয়; ভাই-বোনের সাথেও যোগাযোগ হয়।

রাত এগারোটা বাজার চৌদ্দ মিনিট আগে ডিনার করতে আফজাল সাহেবকে তাড়া দিয়ে গেল রাহেলা। শরীরটা আজকাল তেমন ভাল যাচ্ছে না তার। উপরি হিসাবে গিন্নির এমন আচরণে আজ মনটাও খারাপ তাই শুয়ে পড়েছিলেন; কখন ঘুম চলে এসেছে খেয়াল নেই।
-- কি হলো, সুলতান সুলেমানের আসতে এতো সময় লাগছে কেন?
ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে খেতে খেতে চিৎকার করছেন গিন্নি। লোকটি আস্ত একটা বলদ কিন্তু ভাব ধরে বাদশাহী!! যেন তিনি একখান অটোম্যান সম্রাট!!!
-- থামোতো মা; সারা দিনে খেতে বসেছি। তুমি খাও; বাবা এমনিতেই আসবে।
চরম বিরক্ত ভাব নিয়ে মাকে বললো মামুন।
-- জানিস, আজ বাজার থেকে কী নিয়ে এসেছে? মানুষটি একটা অকর্মার ঢেঁকি।
-- কিচ্ছু শুনতে ইচ্ছে করছে না মা; প্রতিদিন একই রেকর্ড শুনতে আর ভাল্লাগে না।

বাবাকে আসতে দেখে তার পাশের চেয়ারে বসতে ইশারা করলো মেয়ে তানজিকা।
-- বাবা, জানুয়ারিতে চাচ্ছিলাম সবাইকে নিয়ে তিন-চারদিনের জন্য রাঙামাটি বেড়াতে যাব। তুমি কী বলো?
মামুন বাবাকে উদ্দেশ্য করে বললো।
-- আমি কী বলবো? সময় থাকলে সবাইকে নিয়ে রাঙামাটি বেড়াতে গেলে ভালই লাগবে। অনেক দিন হলো ফ্যামেলি ট্যুর হয়নি, কি বলিস তানজিকা?
-- তুমি কী বলবে মানে? পরে তো কাহিনী বানাবে তুমি কিছুই জান না; তোমাকে বলা হয়নি।
ঝাঁঝালো কণ্ঠে প্রতিক্রিয়া দিলেন গিন্নি। সাথে যোগ করলেন, আগামী পহেলা জানুয়ারিতে আমরা ঢাকা থেকে রাঙামাটির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেব। মাঝে তিনদিন থেকে পাঁচ তারিখে ফিরবো।


৩.
পরের দিন সকালে ফুরফুরে মেজাজে অফিসে গিয়ে পুরোনো দিনের একটি সিনেমার গান গাইতে গাইতে চেয়ারে বসতেই কলিগ সবুর সাহেব হাক দিলেন-
-- কি ব্যাপার আফজাল সাহেব, মনে নতুন রঙ লাগলো নাকি?
-- কি যে বলেন ভাই; সেই বয়স কী এখন আর আছে? আপনি এতো রসিকতা পারেনও বটে!!
-- অনেক দিন পর এমন তরুণ মেজাজে দেখলাম আপনাকে; তাই ভাবলাম ভাল কোন মুডে আছেন হয়তো।
-- পহেলা জানুয়ারিতে সবাই মিলে ফ্যামেলি ট্যুরে রাঙামাটি যাব। ভাবছি স্যারকে বলে পাঁচ দিনের ছুটি নেব। জানেন, একটা সময় ছিল তখন প্রচুর ঘোরাঘুরি করতাম। গত কয়েক বছরে কোথাও যাওয়া হয়নি। সময়-সুযোগও তেমন আসে না। বড় ছেলেটা চায় সবাই মিলে ঘুরে আসতে।
-- এখন বুজতে পারছি এতো খুশি হওয়ার হেতু।
-- দেখি স্যারকে বলে ম্যানেজ করতে পারি কি না।
-- পাবেন, পাবেন। অবশ্যই ছুটি পাবেন। আপনি তো সারা বছরই ছুটি নেন না। তার উপর ফ্যামেলি ট্যুর শুনলে স্যার আপনাকে নিরাশ করবে না।

হ্যা, স্যার আসলেই আফজাল সাহেবকে নিরাশ করেন নাই। পাঁচ দিনের সাথে শুক্র ও শনিবার মিলে মোট সাত দিনের ছুটি মঞ্জুর হলো। স্যার বাড়তি কোন টাকা পয়সা লাগলেও দিতে চেয়েছিলেন। তবে প্রয়োজন নেই বলে আফজাল সাহেব স্যারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।

বাসায় ফিরে হলিডের জন্য কিছু সার্ট-প্যান্ট ও সুয়েটার আলাদা করলেন পরদিন দোকানে নিয়ে আয়রন করার জন্য। কোটটিও ওয়াশ করাতে হবে। সাথে সু জুতাটিতে কালার দেওয়া প্রয়োজন। শুনেছেন এ বছর পার্বত্য অঞ্চলে প্রচুর শীত পড়েছে। প্রয়োজনীয় গরম কাপড় অবশ্যই নিতে হবে। সাথে সাত বছর আগে কেনা কালো চশমাটিও নেবেন বলে মনস্থির করলেন আফজাল সাহেব।

একত্রিশে ডিসেম্বর রাতে অফিস থেকে ফেরার পথে গলির মোড়ের পরিমল বাবুর সেলুনে চুলদাড়ি ছাটাই করে বাসায় ফিরেছেন আফজাল সাহেব; সাথে পাক্কা দশ টাকা অতিরিক্ত বকশিশ। পরিমল অবাক হয়ে ভাবলো নিশ্চয় বাবুর মন আজ খুব ভাল এজন্য এমন উদার হস্ত। এতদিন এক কাপ চায়ের কথা বলেও পাঁচ টাকা বাড়তি নিতে পারেনি সে। এজন্য আজ নিজেকে অনেক ভাগ্যবান ভাবলো পরিমল।

বাসায় এসে আয়রণ করা কাপড় চোপড় যখন আফজাল সাহেব ব্যাগে ভরছিলেন তখন দরজা ঠেলে গিন্নি ভেতরে ঢোকলেন। গিন্নির এমন আগমনে একটু অবাক হলেন আফজাল সাহেব। একান্ত গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ না থাকলে গিন্নি এদিকটায় পা মাড়েন না।
-- মনে আছে কাল ভোরে আমরা রাঙামাটির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেব।
-- মনে থাকবে না কেন? শুনেছিলাম ছেলেটি নাকি চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিমানের টিকেটের ব্যবস্থা করেছে; বাকি পথের জন্য নাকি মাইক্রো ভাড়া করবে?
-- ঠিকই শুনেছ। যে তিনদিন আমরা থাকবো সে তিনদিন গাড়িটিও আমাদের সাথে থাকবে।
-- ভালই হলো সবাই মিলে ঘোরাঘুরি করা যাবে। আমার সাত দিনের ছুটি আছে। অনেকদিন পর একটা জম্পেশ হলিডে হবে।
-- বুঝলাম না!! তুমি ছুটি নিয়েছো কেন?
-- মানে?
-- এতো মানে মানে করছো কেন? তুমি কিভাবে ভাবলে বাসাটি খালি রেখে সবাই বেড়াতে যাব? খোঁজ খবর কিছু রাখো? ইদানিং ঢাকা শহরে প্রতিদিন ডাকাতি হচ্ছে। তুমিও আমাদের সাথে গেলে বাসাটি পাহারা দেবে কে? শোন, কাল সকালে আমরা ভোর ঠিক পাঁচটায় রওয়ানা দেব। অফিস থেকে যেহেতু ছুটি নিয়েছো একদিকে ভালই হয়েছে; সারাদিন বাসায় থাকতে পারবে। আর সব সময় দরজা ভালভাবে সিটকানি দিয়ে রাখবে। রাতে শোয়ার আগে আবার দরজা-জানালা চেক করে ঘুমাবে। একান্ত কোন সমস্যা হলে আমাদের ফোন দেবে; তবে অযথা বিরক্ত করবে না।

আরেকটি কথা রাহেলাকে ছুটি দিয়েছি, আমরা না আসা পর্যন্ত সে তার বাড়িতে থাকবে। পুরুষ মানুষকে বিশ্বাস করার মতো বোকা মেয়ে আমি নই!! ফ্রিজে মাছ, মাংস ও ডাল রান্না করা আছে; শুধু খাওয়ার আগে ভাত রাধতে হবে। আমরা না ফেরা পর্যন্ত তোমার চলবে; প্রয়োজনে রান্না করে খাবে। তবে হোটেলে খাওয়ার অজুহাতে খালি বাসা ফেলে বাইরে যাবে না কিন্তু। কথাটি মনে থাকে যেন।

অনেক দিন পর বউয়ের বস সূলভ চেহারা দিকে একপলক থাকিয়ে চুপচাপ ট্রেভেল ব্যাগ থেকে কাপড়গুলো বের করতে লাগলেন। প্রিয়তমা বউ ততক্ষণে হাওয়া!!!



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

চাইলে পড়তে পারেন-
আমার সবচেয়ে পঠিত, লাইক ও কমেন্ট প্রাপ্ত পোস্ট।
সবচেয়ে পঠিত প্রবন্ধ
সবচেয়ে পঠিত গল্প।
ছবি ব্লগ (লন্ডনের ডায়েরি-১)।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

ত্রিকোণমিতি বলেছেন: প্রিয়তে রেখে দিলাম। সময় করে পড়ে নিব

০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাই। ভাল লাগা ও শুভ কামনা আপনার জন্য। B-) B-) B-)

২| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর ছবি ও লেখা।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ফ্যামেলি ট্যুরটি যেহেতু রাঙামাটিতে তাই রাঙামাটির দর্শনীয় কয়েকটি জায়গার ছবি দিলাম; এদের পাঠকরা গল্প পড়ার পাশাপাশি চমৎকার ছবিগুলো দেখে খুশি হবেন।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

সিগন্যাস বলেছেন: গল্পের শেষে এসে মাথায় ইট ভাঙলেন।আফজাল সাহেবকে খালি বাসায় ফেলে রাখলেন???

০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "গল্পের শেষে এসে মাথায় ইট ভাঙলেন।আফজাল সাহেবকে খালি বাসায় ফেলে রাখলেন???"...........

আসলেই!! মাথায় ইট ভাঙার সমান। বিষয়টি আমিও ভেবেছি। :( :(

আফজাল সাহেবের ভাগ্য যেন কারো না হয়; এমন বউ যাতে কারো কপালে না জুটে। :((

৪| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ভাইয়া, আপনার লেখা গল্পের একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, পাঠকরা একদম গল্পের শেষে গিয়ে ধাক্কা খায় :P হাহা! বিষয়টি মজার। যেমন, গল্পের শিরোনাম দেখে ভাবছিলাম ভ্রমন কাহিনী হবে বুঝি, তারপর পড়তে পড়তে ভাবছিলাম হয়তো অনেক পরিকল্পনা ও চরাই উৎরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত আফজাল সাহেব পরিবার নিয়ে ঘুরতে যেতে সক্ষম হবে্‌ কিন্তু না শেষে এসে দেখি পুরাই উল্টো। আহারে বেচারা আফজাল সাহেব :(

ভালো লেগেছে ভাইয়া।

গল্পের মধ্যে মজা পাওয়া দুটি শব্দ, কুত্তা মেজাজ ও বলদা স্বামী =p~ :P

০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "ভাইয়া, আপনার লেখা গল্পের একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, পাঠকরা একদম গল্পের শেষে গিয়ে ধাক্কা খায় :P হাহা! বিষয়টি মজার। যেমন, গল্পের শিরোনাম দেখে ভাবছিলাম ভ্রমন কাহিনী হবে বুঝি, তারপর পড়তে পড়তে ভাবছিলাম হয়তো অনেক পরিকল্পনা ও চরাই উৎরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত আফজাল সাহেব পরিবার নিয়ে ঘুরতে যেতে সক্ষম হবে্‌ কিন্তু না শেষে এসে দেখি পুরাই উল্টো। আহারে বেচারা আফজাল সাহেব :( "..........

চমৎকার বলেছেন, আপু। আসলে এখানেই গল্পের সার্থকতা। পাঠক যদি গল্পের পরিণতি আগে বুঝে ফেলেন তাহলে গল্পের মজা থাকে না। পড়ার আগ্রহ আসে না। এজন্য পাঠক শেষ পর্যন্ত পড়ে যেতে হয় গল্পের পরিণতি দেখার জন্য। :( :(

কুত্তা মেজাজ আর বলদা জামাই মূলত: কাহিনীর প্রয়োজনে ব্যবহার করেছি। এগুলো আমারও পছন্দ। B-) :D B-)। অনেক ভাল লাগা প্রিয় আপুটার জন্য।

৫| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আফজাল সাহেবর চরিএ টি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে ।
কারণ তিনি সবসময় চালাক এবং বদ রাগী দোকান দার দের এরিয়ে চলতেন।
প্রিয় তমা বউ টি হাউয়া বাহ্‌ দারুন ।
ভালা লাগা রইলো অনেক অনেক ।

[[[[[[ আমার ব্লগে
এক বার ঘুরে আসার বিনীত অনুরোধ রইল।
আপনাদের অনুপ্রেরনাই আমাকে
এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে ।]]]]]]]

০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রোকন ভাই, আপনার আগের লেখাটিও পড়েছি। বেশ ভাল লেগেছ; তবে সময় সময়ের অভাবে কমেন্ট করা হয়নি। আপনার ব্লগে এক্কুনি ঘুরতে যাব।

৬| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: লেখক? আজকে ঠিকমত প্রতিউত্তর করবেন..X(

১. কাউসার:P ভাইয়া? আপনি কি প্রফেসর?
২. মাত্র ১৪টাকা কেজি বেগুন??
৩. ভাবছি তানজিকারে বিয়া করমু! ডাইনি শাশুড়িকে টাইট দিতে হবে!!X(


@"কথার ফুলঝুরি!,
ধাক্কা-ধাক্কি তুমি খাও হে?
আমি জানতাম এমন কিছু একটাই হবে!
হবু শ্বশুর মশাইয়ে কষ্ট দেখে আমার তো মেজাজ গরম। X(

০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


১. কাউসার:P ভাইয়া? আপনি কি প্রফেসর?
২. মাত্র ১৪টাকা কেজি বেগুন??
৩. ভাবছি তানজিকারে বিয়া করমু! ডাইনি শাশুড়িকে টাইট দিতে হবে!!X(
.............................................
(১) Its personal, but.......... :( :( লেকচারয়র B-)
(২) সস্তার দিনে মন্ডল আর বেগুন উভয়ই মূল্যহীন। ;) :D :) (লেখক গল্পটি ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তরবঙ্গে বসে লেখেছেন। তখন বে-গুনের কেজি ছিল ২-৩ টাকা) :D
(৩) তানজিকা লেখকের সাথে প্রেম করছে। B-) অতএব নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। না হলে খবর আছে কইলাম :P
.........................................
@"কথার ফুলঝুরি!!! (এত কমেন্টের মাঝে এটা বেছে নিলেন!! হাউ!! ডিয়ার ম্যান!!!)

৭| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নাহ! এ্ই ধরনের গল্প ভালো লাগে না। স্বামীরা স্ত্রীদের ধমকে চললে পুরুষের অপমান হয়। আফজাল সাহেব কেন আলাদা রুমে থাকবেন? ঘরজামাই নাকি?

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলে গল্প তো গল্পই। তবে, এমন ব্যতিক্রম ঘটনাও আমাদের সমাজে আছে। আমার বড়চাচী এমন ছিলেন। চাচা সারা জীবন কষ্ট করেছেন। আফজাল সাহেবের মত শত শত পুরুষ এদেশে আলাদা রুমে থাকেন। কিন্তু সমাজ আর লাজ লজ্জার ভয়ে কাউকে বলেন না। ঘর জামাইরা বরং ভাল আছেন। :( :(( :(

৮| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


গল্পটা বেশ কিছুক্ষণ আগে পড়েছি, প্লটটা তেমন শক্ত মনে হয়নি

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনি গল্পটি পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। আসলে গল্পে খুব বড় আর শক্ত প্লট থাকার সম্ভাবনা নেই; কাহিনীর বেশী গভীরে ঢুকলে গল্পের আকার বড় হয়ে যায়। এজন্য অল্প কথায় বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলতে হয়। তবে উপন্যাস হলে ভিন্ন কথা।

৯| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এটা এক ধরণের পুরুষ নির্যাতন, ছেলেমেয়েরা বড় হলে অনেক বউয়েরই স্বামীর প্রতি ভালবাসা কমে যায়। তবে সার্ভেন্ট রুমে ঘুমাতে দেওয়া খুবই দুঃখজনক।

বেশ ভাল লাগলো কাওসার ভাই।

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "এটা এক ধরণের পুরুষ নির্যাতন, ছেলেমেয়েরা বড় হলে অনেক বউয়েরই স্বামীর প্রতি ভালবাসা কমে যায়।" .......... এ বিষয়গুলো তেমন একটা প্রকাশ্যে আসে না বলে, তা নিয়ে মাতামাতি কম হয়। এটা দুঃখজনক।

১০| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: ডক্টর, আপনার গল্পটা পরে ভালো লাগলো । তবে একটি অপ্রিয় সত্য কি জানেন ? হুমায়ুন আহমেদের লেখা হুবহু এরকম একটি গল্প পড়েছিলাম । মনে হয় আপনার অজান্তে এই গল্পটা হুমায়ুন আহমেদের সাথে মিলে গেছে ।
প্লিজ হুমায়ুনের ঐ গল্পের নাম জানতে চাইবেন না, অনেক আগে পড়েছি তো, তাই নামটা মনে নেই ।
এনিওয়ে, আমাকে উতসর্গ করা গল্পটি একদম মৌলিক ছিল, সেই গল্পের জন্য এখানেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি । 8-|

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ওহ!! তাই নাকি!! জানি না তো!!! তাহলে গল্পটি পড়তে হবে। :( :( তবে আমার গল্পের কাহিনীর সাথে মেলার কথা না। কারণ, আমি হুমায়ুন আহমেদের কোন গল্প পড়িনি। এছাড়া গল্প লেখায় আমার নিজস্ব একটা স্টাইল আছে। যা বাংলাদেশের কোন গল্পকারের সাথে মিলবে না। আমার গল্পের উপস্থাপনা, কাহিনী বিন্যাস ও সমাপ্তিতে আমার নিজস্ব কল্পিত কাহিনী ও চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটে। আমার ডায়লগ বলার স্টাইলও ব্যতিক্রম। তবে কাহিনীর কোন অংশের সাথে অন্যকোন লেখকের কোন গল্পের কাহিনীর কোন অংশের মিল থাকতে পারে; তবে তা কাকতালীয়।

আমি লেখায় কারো স্টাইল ফলো করি না। এতে তা গল্প, প্রবন্ধ, ফিচার ও রম্য যাই হোক না কেন। যারা আমার লেখার সাথে পরিচিত উনারা তা জানেন।

সবশেষে, গল্পটি পড়ে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। শুভ কামনা রইলো।

১১| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৪

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @"হাউ!! ডিয়ার ম্যান!!!"

আমি কোন হরিন, টরিন নই!
আমি হনু হিরো, তাই দু-এক জনকে হিরোইন ভাবতেই পারি! ভিলেনরা চাইলে লড়াই করতে পারে:P


@"চাঁদগাজীবলেছেন:গল্পটা বেশ কিছুক্ষণ আগে পড়েছি, প্লটটা তেমন শক্ত মনে হয়নি!"

-- এই ব্লগের কে কে না পড়ে, অর্ধেক পড়ে, না বুঝে কমেন্ট করে সেটা কি আমি জানি না??:P

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আমি কোন হরিন, টরিন নই!
আমি হনু হিরো, তাই দু-এক জনকে হিরোইন ভাবতেই পারি! ভিলেনরা চাইলে লড়াই করতে পারে:P"..............

তাহলে জানেমন দোস্ত তুমি হলে "মুরগী চুরির মতলবে ওপ পেতে থাকা খেক শেয়াল"..... এই শেয়াল মামারা কিন্তু আরো ভয়ঙ্কর। X( :D

@..........!!! কি আর বলবো ------ আপনি তো বলেই দিয়েছেন। :( :(

১২| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজ অনেক রাত হয়ে গেছে। কাল নেট থাকলে পড়ে কমেন্ট করবো ।


শুভ কামনা প্রিয় কাওসার ভাইকে।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: স্যরি, এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনাকে কষ্ট দিচ্ছি। নিচের কমেন্টটি পড়লাম।

১৩| ১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৭:০৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ট্রাজেডি...............

আপনার পোষ্টের ছবিগুলোর সাথে আমার কম বেশী সরাসরি সাক্ষাৎ আছে, তবে এমন দজ্জাল বউ নিয়ে বেঁচে থাকার চাইতে একলা কোন জঙ্গলে গিয়ে সাধু সন্নাসী সেজে থাকা অনেক আরাম দায়ক।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন। আপনি তো খুব ভাল মানের একজন ফটোগ্রাফার। আপনার অনেকগুলো ছবি ব্লগ দেখেছি; খুব ভাল ছবি তোলেন আপনি।

"তবে এমন দজ্জাল বউ নিয়ে বেঁচে থাকার চাইতে একলা কোন জঙ্গলে গিয়ে সাধু সন্নাসী সেজে থাকা অনেক আরাম দায়ক।".... :(( .... একদম ঠিক বলেছেন। এমন বউয়ের চেয়ে রাঙামাটির নয়নাভিরাম প্রকৃতি দেখে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেওয়া অনেক ভাল। :( :(

১৪| ১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা। কাওসার ভাই আফজাল সাহেবকে দিয়ে চার চার কেজি বেগুন কেনালে বৌয়ের ঝাটা খাওয়াটা যে স্বাভাবিক। তাতে আবার ওনাকে বেচারা বেচারা বানিয়ে বৌকে ভিলেন বানানো কোন দেশের বাহাদুরি শুনি। তিনটি সন্তানকে যিনি সঠিক ভাবে মানুষ করেছেন, গতকাল মাতৃদিবসে সেই মা যদি স্বামীজীর মতো হতেন তাহলে ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বা জাপানে স্কলারশিপে পড়তে যাওয়া , আদৌ সম্ভব হতনা, একথা হলফ করে বলতে পারি।

তবে রাঙামাটি ঘুরতে যাওয়ার অবসরে আফজাল সাহেব নাহয় একটু স্বস্তিতে থাকবেন, আপাতত কদিন নিজের জগতেই নাহয় থাকুন।

শুভ কামনা প্রিয় কাওসার ভাইকে।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আফজাল সাহেবকে দিয়ে চার চার কেজি বেগুন কেনালে বৌয়ের ঝাটা খাওয়াটা যে স্বাভাবিক। তাতে আবার ওনাকে বেচারা বেচারা বানিয়ে বৌকে ভিলেন বানানো কোন দেশের বাহাদুরি শুনি।".... B-) :( .... হা হা হা......

আসলে আফজাল সাহেবরা এমন বোকা কিসিমের মানুষ বলে মাত্র কয়েক টাকা লাভের আশায় ৪কেজি বে-গুন কিনে দজ্জাল বউয়ের কাছে প্যাদানি খান।

"তিনটি সন্তানকে যিনি সঠিক ভাবে মানুষ করেছেন, গতকাল মাতৃদিবসে সেই মা যদি স্বামীজীর মতো হতেন তাহলে ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বা জাপানে স্কলারশিপে পড়তে যাওয়া , আদৌ সম্ভব হতনা, একথা হলফ করে বলতে পারি।"...........

আপনি এ দিকটি তুলে ধরেছেন বলে অনেক ভাল লাগলো। দজ্জাল মহিলাদের সন্তানরা কিন্তু মানুষ হয়। কারণ ছোটবেলা কঠোর শাসনের মাঝে থাকতে হয় তাদের। এ গল্পেও তাই ঘটেছে। আর, বউটা যদি স্বামীর মতো হতো তাহলে বাচ্চারা মানুষ হওয়া তো দূরের কথা সংসারটা লাটে উঠতো।

অনেক ভাল লাগা ও শুভ কামনা প্রিয় পদাতিক চৌধুরী ভাই। এতো চমৎকার একটি কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

১৫| ১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ফ্যামেলি ট্যুরটি যেহেতু রাঙামাটিতে তাই রাঙামাটির দর্শনীয় কয়েকটি জায়গার ছবি দিলাম; এদের পাঠকরা গল্প পড়ার পাশাপাশি চমৎকার ছবিগুলো দেখে খুশি হবেন।

রাঙ্গামাটি আমি গিয়েছি বন্ধুদের সাথে। কিন্তু তখন সুরভি ছিল না। কাজেই সুরভিকে নিয়ে আরেকবার যেতে হবে।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এখন সুরভী ভাবি আর মেয়েকে নিয়ে একবার রাঙামাটি ঘুরে আসুন। B-)

১৬| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা! বেচারা

শত্তুরের জীবনেও এমন বউ না জুটুক ;)

++++

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বিদ্রোহী ভাই, ঠিকই বলেছেন। আশীর্বাদ করি, প্রিয় বিদ্রোহী ভাইয়ের কপালটি যেন এমন না হয়। B-)

১৭| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

শামচুল হক বলেছেন: চৌধুরি ভাই, এখন ব্যস্ত আছি রাতে পড়বো। এখন হাজিরা দিয়ে গেলাম।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় শামচুল ভাই, হাজিরা দেওয়ার জন্য কতজ্ঞ। রাতে দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

১৮| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

নীল মনি বলেছেন: কী দারুণ ছোট্ট ছোট্ট গতিতে গল্পের কাহিনি এগিয়েছে। সার্থক চিত্রী এবং গল্পকার। গল্পের শেষে এসে চিৎপটাং :)

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "কী দারুণ ছোট্ট ছোট্ট গতিতে গল্পের কাহিনি এগিয়েছে। সার্থক চিত্রী এবং গল্পকার। গল্পের শেষে এসে চিৎপটাং :)"........ আপু, এতো প্রশংসার যোগ্য আমি নই। আমি এখনো লেখালেখির হাতেখড়িটা নিচ্ছি। আপনাদের অনুপ্রেরণা আর সহযোগিতায় লেখালেখিটা আর ভাল করতে চাই। :(

আপু, অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য। B-) B-)

১৯| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

আফরোজ ন্যান্সি বলেছেন: আহারে বেচারা

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলেই, বেচারা। তবে, ন্যান্সি আপু এমন হবে না কক্কনো!!! :(

২০| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: জনাব, পুরো গল্পটি হুমায়ুন আহমেদের সাথে মিলে গেছে তা তো বলিনি । বিশেষ করে প্রথম পার্ট যে আপনার নিজের ছন্দে লেখা তা পাঠক মাত্রই বুঝবে । আসলে আমি এমন একটি গল্প পড়েছিলাম যেখানে পরিবারের প্রধান পুরুষকে রেখে সবাই কক্সবাজার বেড়াতে চলে যায় । এই অংশটুকুর মিল পেয়েছি । তবে হুম্যুনের গল্পের মূল থিম আর আপনার থিমে পার্থক্য আছে ।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হুবহু এরকম একটি গল্প পড়া আর মিলে যাওয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। হুবহু মিলে যাওয়াটা গুরুতর অপরাধ। এটাকে নকলবাজি বলে। এজন্য লেখকদের খুব সতর্ক থাকতে হয় যাতে অন্য কোন লেখকের ভাবনার সাথে তা মিলে না যায়। © কপিরাইট আইনে তা দন্ডনীয় অপরাধ।

আপু, আপনি হয় কথাটি এমনিতেই বলেছেন। হয়তো বলতে চেয়েছেন, হুমায়ুন আহমদের এরকম একটি গল্প পড়েছি। হুবহু শব্দটি হয়তো ভুলবশত এসে গেছে। আমি মাইন্ড করিনি। কিন্তু ব্লগের অন্য পাঠকরা যখন আপনার কমেন্ট পড়বে, তখন সন্ধিহান হয়ে পড়বে। আমার সম্বন্ধে নেগেটিভ ধারণা জন্ম নেবে। এজন্য মন্তব্যের প্রতিউত্তরে এরকম কমেন্ট করতে হয়েছে।

আপনাকে আমি ভুল বুঝিনি। আমি তো জানি আপনি কেমন, তাই না!! আপনি নতুন মন্তব্যে "জনাব" দিয়ে শুরু করায় একটু কষ্ট পেয়েছি। যাক, অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।

২১| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

নীল মনি বলেছেন: আমি সত্যিটাই বলেছি। আপনার শুভ কামনা ভালোবাসা ও আন্তরিকতার সাথে গৃহীত হল :)

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক খুশি হলাম, আপু। ভাল থাকবেন সব সময়।

২২| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: আন্তরিকভাবে দুঃখিত, সামনে কমেন্ট করার সময় সতর্ক থাকবো ! :-&

১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এতো দুঃখিত হওয়ার কী আছে, পাগলী!!! Its between apu & vaiya B-)

২৩| ১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

সামিয়া বলেছেন: ছবি গুলো এত্ত এত্ত সুন্দর!!!!! পড়ে পড়বার জন্য প্রিয়তে রাখলাম।।

১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপু, শুভেচ্ছা নেবেন। প্রিয়তে রেখেছেন জেনে ভাল লাগলো। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য আপু।

২৪| ১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো আফজাল সাহেবের ফ্যামিলি ট্যুর

১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: নয়ন ভাই, ধন্যবাদ। অনেক ভাল লাগা ও শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৫| ১৩ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:০৬

সোহানী বলেছেন: পদাতিক চৌধুরির সাথে একমত।

যে ভদ্রলোক চার কেজি বেগুন কিনে আনে তার দ্বারা আর যাই হোক সন্তানদের ডাক্তার পিইউচডি বানানো কঠিন। তারজন্য দরকার এরকম জাদরেল বউ...........হাহাহাহাহাহাহা।

তবে সন্তানদের সাথে এরকম দূরত্ব বা নিজ গৃহে পরবাসী মানে তার ব্যাক্তিত্বের সমস্যা আছে। জীবনভর সন্তানরা একজন রোবট এটিএম মেশিন বাবাই শুধু পেয়েছে। তাই এ বয়সে এর চেয়ে ভালো প্রতিদান পাওয়ার কথা নয়।.......... এটাই কিন্তু সত্য।

যাইহোক গল্পে ভালোলাগা। তবে আপনার সিরিজ আব উৎসর্গ পর্ব ভালো লাগছে। যে রেসপেক্ট করতে জানে সে রেসপেক্টই পায়............... ;)

১৩ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: যে ভদ্রলোক চার কেজি বেগুন কিনে আনে তার দ্বারা আর যাই হোক সন্তানদের ডাক্তার পিইউচডি বানানো কঠিন। তারজন্য দরকার এরকম জাদরেল বউ...........হাহাহাহাহাহাহা।

আপু, শুভেচ্ছা নেনেন। আমি গল্পে একজন বদমেজাজী আর স্বামী শাসক মহিলার পজেটিভ দিকটিও তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, যদিও গল্পে এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য নেই। মানুষ তো কত রকমেরই হয়। খুব খারাপ মানুষেরও ভাল কিছু গুণ থাকে; আবার খুব ভাল মানুষেরও খারাপ কিছু গুণাবলী থাকে। যার মধ্যে ভালোর অনুপাত বেশি তিনিই সমাজের চোখে ভাল মানুষ।

"তবে সন্তানদের সাথে এরকম দূরত্ব বা নিজ গৃহে পরবাসী মানে তার ব্যাক্তিত্বের সমস্যা আছে। জীবনভর সন্তানরা একজন রোবট এটিএম মেশিন বাবাই শুধু পেয়েছে। তাই এ বয়সে এর চেয়ে ভালো প্রতিদান পাওয়ার কথা নয়।.......... এটাই কিন্তু সত্য।".....

ধন্যবাদ আপু, এটা হচ্ছে আফজাল সাহেবের সবচেয়ে দূর্বল দিক; এজন্য ছেলে মেয়েদের সাথে উনার রিলেশন খুব ঘনিষ্ট নয়। ছোট থেকে মা-ই তাদের সব। মা অতিরিক্ত বদমেজাজি ও সেলফিস হওয়ায় কৌশলে ছেলে মেয়েদেরকে বাবার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। ভয় ছিল, বাবার সাথে বেশি ঘনিষ্টতা হলে সন্তানরা হয়তো বাবার স্বভাবটা পেয়ে যেতে পারে!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.