নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দি নেকলেস (The Necklace); বিশ্বখ্যাত সাহিত্যিক "গাঁই দ্যা মুফাসাঁর" (Guy de Maupassant) বিখ্যাত গল্পের বাংলা অনুবাদ (La Parure)।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:০৬


সে ছিল সেইসব দুর্ভাগা অতীব সুন্দরী মেয়েদেরই একজন যে কিনা ভুল করে একজন কেরানি বাবার ঘরে জন্ম নিয়েছিল। তার বাবার ছিল না যৌতুক দেওয়ার সামর্থ্য, এমনকি তার বিয়ে নিয়ে ছিল না বাড়তি কোন আবেগ-উচ্ছ্বাস কিংবা প্রত্যাশা। তাদের ছিল না ধনী ও সমভ্রান্ত কোন পরিবারের সাথে জানাশুনা ও খাতির। এজন্য সেসব পরিবারের পুরুষের সাথে তার প্রেম কিংবা বিয়ের কোন সম্ভাবনাও ছিল না। অতএব, ফলাপল স্বরুপ যা হবার তাই ঘটল; বিয়ে হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সামান্য কেরানির সাথে।

বিয়ের পরও তার পোষাক-পরিচ্ছদ খুব সাদামাটা ছিল; কেননা একজন ছাপোষা কেরানির বউ হিসাবে এরচেয়ে ভাল পোষাক পরার সামর্থ্য তার ছিল না। কিন্তু উচ্চভিলাসী মানসিকতার জন্য ভেতরে ভেতরে সে ছিল ভীষণ অসুখী; বিষয়টি অনেকটা এরকম-

"যেন কোন স্বর্গের দেবী পথ ভুলে পৃথিবীতে এসে পড়েছে।"

এমন একটি পরিবারে তার জন্ম হয়েছে যেখানে রূপ-লাবণ্য, সৌন্দর্য-কমণীয়তার জন্য না আছে কদর, না আছে মর্যাদা। শুধুমাত্র সন্তান জন্ম দেওয়া, তাদের লালন পালন করা আর সংসারের ঘানি টেনে নেওয়াটাই এখানে একমাত্র কাজ।

তার মতে, "মেয়েদের কমনীয়তা, সহজাত লাবণ্যপ্রভা, চটপটে আর তুখোড় মেধাই তাদের মর্যাদার পরিচয় বহণ করে, আর এসব গুণাবলী থাকলে একটি সাধারন দরিদ্র পরিবারের মেয়েও হয়ে উঠতে পারে সমাজের একজন প্রভাবশালী সম্মানিত মহিলা।"

এজন্য নতুন বিবাহিত বউটা সব সময় মনমরা হয়ে থাকতো; স্বামী, সংসার কোনটিতেই তার আগ্রহ কিংবা আনন্দ ছিল না। ঘরের শ্রীহীন অবস্থা, শ্যাওলা পড়া পুরাতন দেয়াল, রং উঠে যাওয়া পুরাতন চেয়ার আর পুরাতন হয়ে যাওয়া ঘরের কমদামী পর্দাগুলো তাকে দুঃখ দিত। এগুলো তাকে ভিতরে ভিতরে নিঃশেষ করে দিত, অপমানিত করতো; যদিও তার সমমর্যাদার অনেক মেয়েই এ বিষয়গুলো নিয়ে তেমন একটা ভাবতো না, হয়তো বা তেমন সচেতনও ছিল না।

লিটল ব্রিটেনের মেয়েটি যে কিনা তার ছোট্ট বাড়িটিতে কাজ করতে এসেছিল, মেয়েটির নানান গল্প তার ছাইচাপা দেওয়া মনকে উসকে দিত, কষ্টে আর অপমানে তার হৃদয়টা ভেঙ্গে খান খান হয়ে যেত। সে কল্পনা করতো; একটি শান্ত-সুনিবিড় চমৎকার কারুকাজের একটি বাড়ির, প্রাচ্য দেশীয় পশমী কাপড়ের তৈরী রঙিন কাপড়ে ঢাকা তার ঘরের দেয়াল, দামী কাঠের আসবাবপত্র ইত্যাদির। ব্রোঞ্জের তৈরী লম্বা লম্বা ঝাড়বাতিতে আলোকিত ঘর, অতিথি অভ্যর্থনা আর টেবিলে খাবার পরিবেশনের জন্য দু'জন সজ্জিত আয়া। এছাড়াও সে স্বপ্ন দেখতো, উন্নত কারুকাজে সজ্জিত একটি অতিথিশালার; মনোমুগ্ধকর ও সুগন্ধিতে মৌ মৌ করা ছোট্ট দু'টি অভ্যর্থনা ঘর, যেখানে ঘনিষ্ট বন্ধু-বান্ধব ও বিখ্যাত সেলিব্রিটিদের নিয়ে আয়োজন করা হবে ছোট ছোট পার্টি। যা দেখে অন্য মেয়েরা হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরবে!

তিন দিনের ব্যবহৃত কাপড়ে ঢেকে রাখা গোলাকার টেবিলটিতে বসে যখন মেয়েটির স্বামী খুব উচ্ছ্বাস নিয়ে স্যুপের বাটির ঢাকনা খুলতে খুলতে বলছিল, "আহ! দারুণ স্বচ্ছ স্যুপ!! এর চেয়ে ভাল আর কি হতে পারে?"

অথচ মেয়েটি সে সময় স্বামীর মুখোমুখী বসে স্বপ্ন দেখছিলো দারুন সুস্বাদু কিছু রুচিকর খাবারের, ঝলমলে রুপোর বাসন-কোসনে খাবার পরিবেশনের, দেয়াল জুড়ে সাজানো রেশমি কাপড়ের ক্যানভাসে আঁকা কোন চিত্রকর্ম; সে গুনগুন করে গান গাইছে আর ট্রাউট মাছের সুস্বাদু ঝোল অথবা তিথিরের ডানার মাংসের স্বাদ নিতে নিতে তার সুন্দর মুখটিতে মিষ্টি হাসির ঢেউ উঠছে।

কেরানির সুন্দরী বউটা বারবার শুধু ভাবে, তার নেই কোন ভাল পোষাক, নেই কোন গহনা; শুধু নেই আর নেই! অথচ এই জিনিসগুলোই সে খুব ভালবাসতো; সব সময় তার মনে হতো এসবের জন্যই তার জন্ম হয়েছে। সে চাইত খুব ধনী হতে, ঈর্ষার পাত্রী হতে, অন্যের কাছে খুব আকাঙ্খিত হতে; এগুলো ছিল তার কাছে সুখি হওয়ার প্রধান উপাদান।

হঠাৎ মনে পড়লো স্কুলে পড়াকালীন সময়ের তার এক বান্ধবীর কথা। তারা ছিল খুবই ধনী আর অভিজাত বংশের। ওদের বাড়িতে কোন নিমন্ত্রণ পড়লে সব সময় সে নানা ছুঁতোয় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত; কেননা যিদিন ওদের বাড়িতে যেত, সেখান থেকে ফিরেই সে খুব মর্ম পীড়ায় দগ্ধ হতো। প্রচন্ড দুঃখে, অনুতাপে, হতাশা আর যন্ত্রণায় সে সারা দিন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেদে কেটে অস্থির হয়ে যেত।


একদিন সন্ধ্যায় তার স্বামী হাতে বড় একটি খাম নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরলেন। বউকে সামনে পেয়েই বলে উঠলেন, "দেখো কি নিয়ে এসেছি তোমার জন্য?"

বউ দ্রুত খামটি খোলে সুদৃশ্য কার্ডখানা বের করলো। তাতে লেখা, "আগামী ১৮ জানুয়ারি রোজ সোমবার, সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় এবং মিসেস রামপনিউ; ম্যাচিলদ্ ও মাদাম লাইজেল এর সদয় উপস্থিতি কামনা করছি।"

স্বামী লাইজেল ভেবেছিলেন দাওয়াত পেয়ে প্রিয়তমা আনন্দে আত্মহারা হয়ে লাফিয়ে উঠবে; কিন্তু না এর কিছুই ঘটল না। বউটা বিরক্ত হয়ে কার্ডটি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বিড়বিড় করে বলতে লাগলো, "এটা দিয়ে আমি কি করবো?"

"কেন? কি করবে মানে!!" একটু মেজাজ দেখিয়ে উত্তর দিল লাইজেল।

আমি তো ভেবেছিলাম তুমি খুব খুশি হবে। এত বড় আয়োজনে তো তুমি কখনো যাও নাই। এমন সুযোগ জীবনে সব সময় আসবে না। জানো, এই আমন্ত্রন পত্র পাওয়ার জন্য আমি প্রচন্ড কষ্ট করেছি। আমার সব কলিগও এই দাওয়াতটি পেতে উদগ্রীব ছিল। কিন্তু এ আয়োজনটি নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জন্য হওয়ায় তাদের অনেকেই দাওয়াত পায় নাই।

জানটু, "পার্টিতে অনেক বিখ্যাত মানুষজন আসবে।"

"একবারও কি ভেবেছ তুমি, এই অনুষ্ঠানে আমি কী পরে যেতে পারি? তোমার তো দেখছি এ বিষয়ে কোন ভাবনাই নেই!", রাগে, দুঃখে কান্না জড়িত কণ্ঠে তোতলাতে তোতলাতে বললো সে।

"কেন?"

"যে পোষাকটি পরে তুমি থিয়েটারে যাও; আমার কাছে ঐ পোষাকটা কিন্তু দারণ লাগে।"

প্রিয়তমা বউকে এভাবে কাঁদতে দেখে বোকা হয়ে গেল লাইজেল। এমন পরিস্থিতি তার প্রত্যাশিত ছিল না, নিজেকে একজন অসহায় আর বোকা মানুষ লাগছিল তার। বউকে কি বলবে বা এমন পরিস্থিতি কিভাবে সামলাতে হয় জানা নেই তার। গোল গোল চোখের বড় বড় দু'ফোটা জল চোখের কোণা বেঁধ করে মসৃণ গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়তে লাগলো।

"বউ, কি হয়েছে তোমার; হয়েছেটা কি?" তোতলাতে তোতলাতে জানতে চাইল লাইজেলে।

"নাহ! কিছুই হয়নি আমার, আমার তো সেরকম পোষাকই নেই; তাই পার্টিতে যেতে পারছি না। তুমি বরং আমন্ত্রন পত্রটি তোমার কোন বন্ধুকে দিয়ে দাও, যার বউ সাজলে আমার চেয়েও অনেক সুন্দরী দেখায়া!" মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা তীব্র ব্যাথাটি দমিয়ে রেখে উত্তর দিল বউ।

বউয়ের এমন কথা শুনে কষ্টে লাইজেলের হৃদয়টা ভেঙ্গে গেল।

"ম্যাথুয়েঁ, একটি মানানসই পোষাকের দাম কত হতে পারে? যেটি তুমি অন্য কোন অনুষ্ঠানেও পরতে পারবে? একেবারে কমদামী নয়, বলতে পার মাঝারি মানের।"

ম্যাথুয়েঁ কয়েক সেকেন্ড গভীর মনযোগে বিষয়টি নিয়ে ভাবলো; চিন্তা করলো পোষাকের সম্ভাব্য দাম নিয়ে। আরেকটি কথা মনের মাঝে উদ্রেক হলো, দাম বেশি হলে কেরানি স্বামী সাথে সাথে অসম্মতি জানাবে। এজন্য দামটি হতে হবে মানানসই। একটু দ্বিধান্বিত হয়ে উত্তর দিল, "আমি ঠিক জানি না, তবে মনে হয় চারশো ফ্রা হতে পারে।

টাকার পরিমাণ শুনে স্বামী লাইজলের মুখটা কিছুটা মলিন হয়ে গেল। এই পরিমাণ ফ্রা তার কাছে আছে, তবে সে টাকাগুলো জমিয়ছিল একটি বন্দুক। ইচ্ছে ছিল আসছে গ্রীষ্মে বন্ধুদের নিয়ে ন্যানথের মভুমিতে শিকারে যাবে; প্রতি রবিবারে বন্ধুরা মিলে সেখানে লারক্ পাখি শিকার করবে। সবশেষে নিজের সখকে মাটি চাপা দিয়ে ম্যাথুয়েঁকে বললো, "ঠিক আছে আমি, তোমাকে চারশো ফ্রা দেব, তবে এই টাকার মধ্যেই তোমাকে খুব সুন্দর একটি পোষাক কিনতে হবে।"


বোল পার্টির তারিখ যত ঘনিয়ে আসতে লাগলো লাইজেলকে আরো বিষন্ন, অস্থির ও উদ্বীগ্ন লাগছিল! অথচ তার পোষাক তৈরী ছিল!! বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে ঐ দিন সন্ধে বেলা লাইজেল জাতে চাইলো, "বউ, তোমার কি হয়েছে একটু খোলাসা করে বল তো? গত তিনদিন থেকে তোমাকে খুব অস্বাভাবিক লাগছে!"

"আমার আবার অবস্থা! বলতে পার যাচ্ছে তাই। তিনদিন পরে পার্টি অথচ পরার মতো কোন অলংকার আমার নেই, গলায় পরার জন্য নেই কোন হার। আমার বরং পার্টিতে না যাওয়াই ভাল!"

"তুমি ফুলের মালা পরতে পার। বছরের এ সময়টাতে ফুলের তৈরী অলংকার দেখতে বেশ লাগে; তোমাকে কিন্তু দারুণ মানাবে। দশ ফ্রা'তে তুমি অনায়াসে ২-৩ টি চমৎকার গোলাপ পেয়ে যাবে।"

না, ম্যাথিয়ঁকে এসব সস্তা কথায় খুশি করা গেল না।

তার এক কথা, "এত ধনী মহিলাদের মাঝে নিজেকে হত দরিদ্র হিসাবে উপস্থাপন করা মোটেও কাম্য নয়।"

বউয়ের অনড় অবস্থা দেখে লাইজেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে চিৎকার করে বলে উঠলো, "দেখো, তুমি কত বোকা! যাও, মিস্ ফরেস্টিয়ারের সাথে দেখা করে কিছু অলঙ্কার ধার করে নিয়ে আস। তোমার সাথে তার যেমন হৃদ্যতার সম্পর্ক, ধার চাইলে তোমাকে ফিরিয়ে দেবে না, নিশ্চিত আমি।

" তুমি ঠিকই বলেছো, আমি তো তার কথা ভেবে দেখিনি।"

দেরী না করে ঠিক পরের দিন ম্যাথিয়েঁ বান্ধবীর সাথে দেখা করে গহনা ধার চাইলো। ফরেস্টিয়ার তার ড্রেসিং টেবিলের সামনে থেকে একটি বাক্স তুলে এনে লাইজেলকে বললো, "বেছে নাও বন্ধু, তোমার যে গয়নাটা পছন্দ হয়।"

ম্যাথিয়েঁ প্রথমে কিছু ব্রেসলেট দেখলো, এরপর একটি মুক্তার হার, সবশেষে একটি নিপুন কারুকাজে সমৃদ্ধ রত্ন খচিত ভেনিসীয় একটি ক্রস দেখলো। অলংকারগুলো পরে আয়নার সামনে গিয়ে ট্রায়াল দিতে লাগলো। বুজতে পারছিল না কোনটি নেবে; অথবা এগুলো তার পোষাকের সাথে মানানসই হবে কিনা?

ম্যাথিয়েঁ অলঙ্কারগুলো বাক্সের মধ্যে রাখতে রাখতে জানতে চাইলো, এগুলো ছাড়া আর নেই?"

"আছে তো, তুমি নিজেই বেছে নাও। আমি তো জানি না কোনটি তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হবে।" উত্তর দিল ফরেস্টিয়ার।

ম্যাথিয়েঁর হঠাৎ কালো রেশমি কাপড়ে মোড়ানো একটি হীরের হার চোখে পড়লো; হারটি দেখে এতো পছন্দ হয়েছিল যে, এটি পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষায় তার বুকে ধুক ধুক কাঁপুনি অনুভূত হলো। দ্রুত হারটি গলায় পরে আয়নার সামনে যেতেই বেশ পুলকিত হলো সে। কিছুটা দ্বিধা আর শংকা নিয়ে জানতে চাইলো, "তুমি কি আমাকে এই হারটা ধার দিতে পারবে? শুধু এটি হলেই চলবে আমার।"

"হ্যা, অবশ্যই৷"

সম্মতি পেয়ে ম্যাথিয়েঁ খুশিতে আটখানা হয়ে বান্ধবীর বুকে উপুড় হয়ে পড়ে সজোরে আলিঙ্গন করলো! পরে অলঙ্কারটি সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরলো।

পার্টির দিনটি চলে এলো। ম্যাথিয়ে যখন বোল পার্টিতে উপস্থিত হলো তখন উপস্থিত সবার দৃষ্টি সে কেড়ে নিল। তার সরব উপস্থিতির ফলে মেয়েদের মধ্যে তাকে সবচেয়ে সুশ্রী, রুচিশীল, মার্জিত ও হাসিখুশি দেখাচ্ছিল। সুদর্শন পুরুষরা অপলক দৃষ্টিতে তার পানে চেয়ে রইলো, কাছে এসে নাম জানতে চাইলো, পরিচিত হতে আগ্রহ দেখালো। মন্ত্রি পরিষদের সবাই তার সাথে নাচতে চাইলেন। মন্ত্রিও তাকে চোখে চোখে রাখলেন।

ম্যাথিয়েঁ খুশিতে আত্মহারা হয়ে সারা রাত নাচলো, মনের সাধ পূর্ণ করলেো; আজ কোন কিছুর জন্য তার কোন অপূর্ণতা নেই। বিজয় উল্লাস আর সাফল্যের অহংকার তাকে এনে দিল যাবতীয়
প্রশংসা; তার মনের সকল চাওয়ার পূর্ণতা পেল। এটি তার নারী হৃদয়ের জন্য বড়ই তৃপ্তির, বড়ই মধুর।


আনুমানিক ভোর চারটায় ম্যাথুয়েঁ পার্টি থেকে ফিরলো। ফিরে দেখলো তার স্বামী আরো তিনজনের সাথে ঝিমাচ্ছে; যাদের বউয়েরাও তার সাথে পার্টিতে আনন্দ ফুর্তিতে নেচেছিল। ছোট্ট একটা পরিত্যাক্ত রুমে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢুলু ঢুলু চোখে অপেক্ষা করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। বউকে দেখে চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে বাড়ি ফেরার জন্য ম্যাথিয়েঁর জন্য আনা পোষাক সে তার কাধের দিকে ছুড়ে দিল; বড়ই সাদাসিধে পোষাক এটি, যা নাচের পোষাক হিসাবে বড়ই বেমানান। ম্যাথিয়েঁ এ ব্যাপারে সচেতন ছিলেন এজন্য দ্রুত বাড়ি ফেরার জন্য উদ্বীগ্ন হয়ে উঠলেন; পাছে ভোরের আলোয় দামী পোষাক পরা মহিলারা তা দেখে ফেলবেন।

"একটু অপেক্ষা কর, আমি ক্যাব ডাকছি। এছাড়া খোলা জায়গায় দাঁড়ালে তোমার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।" বোল রুম থেকে বেরিয়ে এসে বউকে বললো লাইজেল।

কিন্তু না, ম্যাথুয়েঁ স্বামীর কথায় কর্ণপাত না করে দ্রুত সিঁড়ি ডিঙিয়ে নীচে নেমে এলো। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাস্তায় তারা কোন ক্যাব পেলেন না; ফাঁকা রাস্তায় ছুটে চলা দুই-একটি ক্যাবকে ইশারা করেও থামাতে না পেরে তারা হাঁটতে শুরু করলো। শীতের রাত এজন্য দু'জনেই ঠান্ডায় কাঁপছিল; অনেকটা হতাশাগ্রস্ত হয়ে তারা যখন হাঁটছিলেন তখন কাকতালীয়ভাবে জাহাজ ঘাটে একটি নৈশ বাসের দেখা পেল। প্যারিসে এ বাসগুলো শুধুমাত্র রাতে আঁধারেই দেখা যায়। বিষয়টা অনেকটা এরকম, "দিনের আলোয় তারা নিজের জারাজীরণ বদনখানি দেখাতে লজ্জা পায়।"

গাড়িটি তাদেরকে 'রো দ্যাস মারটিয়ার'-এ পৌছে দিল; রাতভর পার্টিতে দু'টি দেহ যেন প্রাণ হারিয়েছিল। তবে ম্যাথিয়েঁর জন্য যাত্রাটি এখানেই সমাপ্তি হলেও লাইজেলকে অবশ্যই সকাল দশটায় অফিস ধরতে হবে।

ঘরে ফিরেই ম্যাথিয়েঁ তার কাধ পর্যন্ত পোষাকগুলো খুলে আয়নার সামনে নিজের রূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে লাগলো; কিন্তু হঠাৎ আর্তনাদ করে উঠলো, "আমার গলার হীরের গহণাটি নেই।"

লাইজেল ততক্ষণে অর্ধেক পোষাক খুঁলে ফেলেছে। অবাক হয়ে জানতে চাইলো, "কি ব্যাপার, পরিস্কার করে বলো তো?" ম্যাথিয়েঁ চরম হতাশা নিয়ে তার দিকে ফিরে তাকালো। লাইজেলও অবাক বিষ্ময়ে বড় বড় চোখে বউয়ের পানে স্থির দৃষ্টিতে থাকালো।

"কি বলছো তুমি? এ অ-স-ম্ভ-ব!"

ম্যাথিয়েঁ পোষাকের ভাঁজ, কোটের পকেট সহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজে দেখলো, কিন্তু না কোথাও পাওয়া গেল না।

"তুমি কি নিশ্চিত বলরুম থেকে বেরিয়ে আসার সময় হারটি তোমার গলায় ছিল?" জানতে চাইলো লাইজেল।
"হ্যা, হলরুমে থাকতেই ওটা আমি ছুয়ে দেখেছিলাম।"
"কিন্তু তুমি যদি রাস্তায় হারাতে, ওটা পড়ার শব্দ আমরা শুনতে পেতাম।"
"হ্যা, সমববত পেতাম তুমি কি কেবটি নামবার রেখেছিলে।"
"না, তুমি খেয়াল করনি তাই না।"

না!......না!!.....না!!!....

বাকশক্তি হারিয়ে দু'জন দু'জনের দিকে তাকিয়ে রইলো।

কিছুক্ষণ পর লাইজেল আবার পোষাক পরে নিল আর বললো, "আমি বের হচ্ছি, যেসব জায়গায় আমরা হেঁটেছি এসব জায়গা দেখে আসি, দেখা যাক পাওয়া যায় কিনা।

লাইজেল বেরিয়ে পড়ার পর পার্টিতে পরা পোষাকগুলো পরে রইলো; টেনশনে আর হতাশায় বিছানায় যাওয়ার শক্তিটুকু অবশিষ্ট ছিল না তার। নিরুত্তাপ আর বাকশুন্য হয়ে চুপচাপ চেয়ারে বসে রইলো।

সব জায়গায় তন্য তন্য করে খোঁজাখুঁজির না পেয়ে বিষন্ন মনরতে লাইজেল সকাল সাতটায় ফিরলো।

অফিস কামাই করে লাইজল সারাদিন পুলিশ স্টেশন, ক্যাব অফিস ও পত্রিকা অফিসে ছোটাছুটি করলো; হারটি খুঁজে পেয়ে কেউ ফেরৎ দিলে পুরষ্কার ঘোষণা করলো অর্থাৎ হারটি খুঁজে বের করতে দিনভর সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা চালিয়ে গেল লাইজেল।

নাহ! কোন লাভ হলো না। পণ্ডশ্রম হলো।

হতাশ হয়ে রাতে বাড়ি ফিরে লাইজেল বউকে বললো, "তোমার বান্ধবীর কাছে একটি চিটি লেখ; তাকে বলো যে, তুমি অসাবধানতা বশত তার হারটির আঙটা ভেঙে ফেলেছ, এজন্য এটি মেরামত করতে পাঠানো হয়েছে।" এতে করে বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করার কিছুটা সময় পাওয়া যাবে।

স্বামীর কথামত ম্যাথিয়েঁ চিটি পাঠিয়ে দিল।

সপ্তাহখানেক পরে তারা হারটি ফিরে পাওয়ার সব রকম আশা ছেড়ে দিল। এই কয়দিনের টেনশনে লাইজলের বয়স পাঁচ বছর বেড়ে গেল। তাদের একটাই চিন্তা কিভাবে হারটি ফেরৎ দেওয়া যায়।


পরদিন তারা হারটির বাক্সের ভেতরে লেখা জুয়েলারী দোকানের ঠিকানায় গেল; হারটির মূল্য কেমন হতে পারে, কতদিনে বানিয়ে দিতে পারবে তা নিয়ে দোকানীর সাথে আলোচনা করলো।

"এই হারটি আমি বিক্রি করি না, বড়জোর আমি এর আঙটা সরবরাহ করতে পারি।" উত্তর দিল দোকানদার।

এভাবে তারা একটার পর একটি গয়নার দোকানে গেল, হারিয়ে যাওয়া হারটির মতো হার খুঁজতে থাকলো, তাদের দেখার স্মৃতি থেকে বর্ণনা দিয়ে তারা বিভিন্ন দোকানীর পরামর্শ চাইলো। তীব্র অনুতাপ আর মনোকষ্টে তখন দুজনকেই অসুস্থ লাগছিল।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর 'পোলারিস রয়্যালে' তারা অবিকল আকৃতির হারটি খুঁজে পেলে।

"মূল্য চল্লিশ হাজার ফ্রা!"

তবে দামাদামি করার পর দোকানি তা ছত্রিশ হাজার ফ্রাতে বিক্রি করতে সম্মত হলো। তারা দোকানীকে অনুরোধ করলো আগামী তিনদিন যাতে তিনি হারটি বিক্রি না করেন, এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় টাকার ব্যবস্থা করে তারা হারটি কিনে নেবে। তবে দোকানীকে একটি অংগীকার করালো যে, যদি তারা ফেব্রুয়ারির মধ্যে হারিয়ে যাওয়া হারটি খুঁজে পান তাহলে যেন তিনি বিক্রিত হারটি চৌত্রিশ হাজার ফ্রাতে ফেরৎ নেন।

লাইজলের কাছে আঠারো হাজার ফ্রা ছিল; যা তার বাবা মৃত্যুর আগে তাকে দিয়েছিলেন। বাকি টাকার মধ্যে একজনের কাছ থেকে ধার করলো এক হাজার ফ্রা, আরেকজনের কাছ থেকে পাঁচশত ফ্রা।বাকি টাকা বাড়ির দলিল বন্ধক রেখে সুদের কারবরী ও মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিল।

সহজ কথায় হারটির জন্য সে বাকী জীবটাই বন্ধক রাখলো, সে জানে না এসব ঋণ পরিশোধ করতে পারবে কিনা, তারপরও ঋণের দলিলে স্বাক্ষর করতে হল। ঋণগ্রস্ত ভবিষ্যতের মুখোমুখী হওয়ার কথা ভেবে মর্মাহত হলো। ভবিষ্যতে গভীর দুর্দশার আশংকা নিয়ে, সকল প্রকার শারীরিক ও মানসিক পীড়নের ঝুঁকি নিয়ে ছত্রিশ হাজার টাকার যোগান করে হীরের আংটিটা আনতে তারা দোকানে গেল।

ম্যাথিয়েঁ যখন হারটি ফরেস্টিয়ার নিকটে নিয়ে গেল তখন তিনি তাকে কর্কশ কণ্ঠে শাসালেন "হারটি আরো আগে ফিরিয়ে দেওয়া উচিৎ ছিল তোমার, আমার তো এটির প্রয়োজন হতে পারতো।"

ম্যাথিয়েঁ বাক্সটি খুললো না, সে তার বান্ধবীকে খুব ভয় পাচ্ছিল। সে যদি হার বদলের বিষয়টি টের পেয়ে যায়! তাহলে সে কী ভাববে? কিছু বলবে? সে কী তাকে চোর ভাববে?

ঋণের দায় মেটাতে লাইজেন শোচনীয় দারিদ্র্যের কঠিন জীবনের সাথে পরিচিত হওয়া শুরু করলো। এজন্য কঠিন মনোবল নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে লাগলো; এই বিশাল ঋণ অবশ্যই তাকে পরিশোধ করতে হবে। প্রথমেই বাড়ির কাজের লোক সাটাই করা হলো, তাদের বাড়িটাও পাল্টাতে হলো, তারা টাকা বাঁচাতে ছাদের একটি চিলেকোঠা ভাড়া নিলেন।

ম্যাথিয়েঁ পরিচিত হতে লাগলো যাবতীয় পরিশ্রমের কাজগুলোর সাথে। রান্না ঘরের বাসন-কোসন ধোতে গিয়ে তার কোমল আঙুল আর গোলাপি নখগুলো পাতিলের চর্বি আর হাঁড়ির নীচে জমে থাকা কয়লার ধোয়ায় কালো ছাইপাঁশ পরিষ্কার করতে করতে অতি যত্নের আঙুল ও নখগুলো কেমন যেন রংহীন ফ্যাকাশে হয়ে উঠলো। প্রতিদিন সে বিছানার ময়লা চাঁদর, সার্ট-প্যান্ট আর ঘর ধোয়া মোছর নেকড়া রোদের শুকানোর জন্য তারের উপর মেলে দিত। প্রতিদিন ডাস্টবিনে জমানো উচ্ছিষ্টগুলো ঝুড়ি ভরে বড় রাস্তার ওখানে বড় বিনে ফেলে আসত। পানির বালতি, কলসি টানাটানি করতে গিয়ে হয়রান হয়ে ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিত। হত দরিদ্র মহিলাদের মতো পোশাক পরে কখনো ফল বিক্রেতা, মোদি দোকানী এবং মাংস বিক্রেতার কাছ থেকে দরকষাকষি করে, অপমানিত হয়ে প্রতিদিন এক-আধ পয়সা বাঁচানোর জন্য সংগ্রহাম করতে হত।

এভাবে একে একে পরিশোধ করা হতো প্রতি মাসের ঋনের কিস্তি। কখনো একান্ত অপারগ হলে নতুন করে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করা হতো পুরাতন ঋনর টাকা।

আর বেচারা কেরানি স্বামী প্রতি দিন অফিসের কাজ শেষ করে একটি দোকানে হিসাব-নিকাশের কাজের চাকরী করতে হত; সাথে প্রায় রাতেই চলতো এক-আধা পয়সা হিসেবে পান্ডুলিপি নকলের কাজ।

এভাবেই কেটে গেল তাদের জীবনের মূল্যবান দশ দশটি বছর। পরিশোধ হলো সকল প্রকার ঋণ।


দশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ঋণ পরিশোধ হলো টিকই; কিন্তু অতিরিক্ত পরিশ্রমের ধাক্কায় ম্যাথিয়েঁকে এখন বয়সের তুলনায় অধিক বয়স্ক দেখায়, অনেকটা বৃদ্ধ মানুষের মত! তাকে অন্য দরিদ্র নারীদের মত লাগে। তার চুলগুলো এখন এলোমেলো থাকে, পোষাক-পরিচ্ছেদ অপরিচ্ছন্ন, ব্যবহার্য স্কার্টগুলো কুচকে গেছে, মসৃন তুলতুলে হাত দু'টি খসকসে ও লালচে হয়ে গেছে। সে এখন কথা বলে কর্কশ কণ্ঠে, মেঝে পরিষ্কার করার সময় কখনো অসাবধানতায় পানি পুরো মেঝেতে ছলকে পড়ে, হাতে আগের মতো শক্তি নেই এখন।

যখন স্বামী অফিসে থাকেন তখন হাতে কোন কাজ না থাকলে ম্যাথিয়েঁ চুপচাপ জানালার পাশে বসে অনেক দিন আগের সেই সন্ধ্যার কথা ভাবে তখন কল্পনা করতো সুন্দর একটি বলরুমের যেটি হবে খুব সুন্দর, সবার কাছে দর্শনীয় হবে।

সে প্রতিনিয়ত এখন মনে মনে ভাবে, "যদি সেই রাতে হারটি না হারাতো তখন কি হতো?"........... কে জানে?......... কি জানি? আসলে জীবনটাই না কত বিষ্ময়কর, তাই না? কত পরিবর্তনশীল? সামান্য কিছু অথবা ছোট্ট একটি ভুল একটি জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে কিংবা বাঁচিয়ে দিতে পারে?"

সারা সপ্তাহ জুড়ে পরিশ্রম করে নিজেকে চাঙা করার জন্য এক রবিবার সে 'চ্যামপ্ এলিসিতে' বেড়াতে গেল; হঠাৎ খেয়াল হলো একজন মহিলা একটি শিশুকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছেন। আরেকটু কাছে আসতেই চমকে উঠলো।

আরে এ তো ফরেস্টিয়ার! কি আশচর্য তাকে দেখতে ঠিক আগের মতোই লাগছে, এখনো মনে হয় তরুনীদের মতো। অথচ মাঝখান থেকে দশটি বছর চলে গেল।

"সে আগের মতোই রূপবতী! আকর্ষণীয় গঠন!!"

ম্যাথিয়েঁ সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না সে ফরেস্টিয়ারের সাতে কথা বলবে কিনা? অবশেষে সিদ্ধান্ত নিল তার সাথে যেচে পরিচিত হবে এবং তার কাছ থেকে ধার করা হারটির জন্য তাকে গত ১০ বছরে কত পরিশ্রম করতে হয়েছে, সব খুলে বলবে তাকে। ম্যাথিয়ে ধীর পদক্ষেপে তার মুখোমুখি দাঁড়ালো।

"শুভ সকাল, জেনি।"

ফরেস্টিয়ার গভীর পর্যবেক্ষণে তার দিকে কিছুক্ষণ থাকিয়ে থাকলেন; কিন্তু না! চিনতে পারলেন না। মনে মনে কিছুটা অবাক হলেন, "একজন হত দরিদ্র মহিলা শুরুতে এত অন্তরঙ্গ কথা কেন বলছে?"

কিন্তু মা-দা-ম!, "আমি তো ঠিক আপনাকে চিনতে পারছি না, আপনি নিশ্চয়ই ভুল করছেন?" মাদাম তোতলাতে তোতলাতে বলে উঠলো।

"না, আমার কোন ভুল হয়নি। আমি মেথিয়ে লাইজেল।"

এবার মাদাম অনেকটা আর্তনাদের সূরে বলে উঠলো,

"ওহ! বেচারী!! তুমি ম্যাথিয়েঁ? এই ক'বছরে তুমি অনেকটা বদলে গেছ!!!"

হ্যা, তুমি ঠিকই বলেছ। তোমার সাথে শেষ দেখা হওয়ার পর আমি কিছু কঠিন সময় পার করেছি; সয়েছি অনেক দুঃখ....কষ্ট..... অর্জন করেছি অনেক রূঢ় অভিজ্ঞতা...জেনেছি জীবনের মানে....! এসব তোমার জন্যই।

আমার জন্য? কি বলছ এসব? এখটু খোলাসা করে বল তো শুনি?

তোমার কি মনে আছে সেই হীরের হারের কথা? একটি বল পার্টিতে পরার জন্য আমি তোমার কাছ তেকে ধার করে নিয়েছিলাম।

"হ্যা, তাতো নিয়েছিলে; আবার তা ফেরৎ দিয়েছিলে, তাই না?"
"ফেরৎ দিলেও মূল হারটি আমি হারিয়ে ফেলি।"
"তাহলে আমাকে ফেরৎ দিয়েছিলে কেমনে?"

"আমি তোমাকে ওটার মতো অবিকল আরেকটি হার বানিয়ে দিয়েছি। গত দশ বছর ধরে আমরা তার মূল্য পরিশোধ করেছি। আমি বিষয়টি যত সহজে বলছি বিষয়টি ততো সহজ ছিল না আমাদের জন্য। তবুও তা পরিশোধ করে ফেলেছি, এজন্য আমি আনন্দিত।

"একটু থাম, প্লীজ" তুমি বলেছ, আমার হারটি ফেরৎ দিতে তোমরা হীরের একটি হার কিনেছিলে?
"হ্যা, তুমি কি হারটি খোলে দেখনি? নতুনটা অবিকল আগেরটির মতো ছিল।"

ফরেস্টিয়ার আচমকা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে চমকে উঠে ম্যথুয়েঁর হাত দু'টি নিজের মুঠোয় নিয়ে বলে উঠলেন -

"ওহ!! ... বেচারী .... ম্যাথুয়েঁ ... !!! আমার দেওয়া হারটি তো 'নকল' ছিল; এর বাজার মূল্য বড়জোর পাঁচশত ফ্রা!!!"



লেখক পরিচিতি -

Guy de Maupassant (মোফাসাঁ) ছিলেন একজন ফরাসি সাহিত্যিক। ১৮৫০ সালের ৫ আগস্ট তিনি ফ্রান্সের Tourville-sur-Arques জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একাধারে একজন ঔপন্যাসিক, কবি, গল্পকার। তাঁকে ছোট গল্পের প্রবাদ পুরুষ বলা হয়। মোফাসাঁর লেখা অন্যান্য বিখ্যাত ছোট গল্পের মধ্যে আছে, “Boule de Suif” (translated: Ball of Fat); “Two Friends”, “Madame Tellier’s Establishment”, “Mademoiselle Fifi”, “Miss Harriet”, “The Necklace”, “The piece of String”, “Claire de Lune,” “Mademoiselle Pearl,” “Madame Husson’s Rosier,” “That Pig of a Morin,” “Useless Beauty,” “The Olive Orchard,” “A Sale,” “Love,” “Two Little Soldiers” and “Happiness.” etc.
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এ সাহিত্যিক ৩০০ টির বেশি ছোট গল্প, ৬টি উপন্যাস এবং ৩টি ভ্রমণ কাহিনী লেখেন। ১৮৯৩ সালের ৬ জুলাই মাত্র ৪২ বছর বয়সে তিনি প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

চাইলে পড়তে পারেন-
আমার সবচেয়ে পঠিত, লাইক ও কমেন্ট প্রাপ্ত পোস্ট।
গল্প লেখার সহজ পাঠ
সবচেয়ে পঠিত প্রবন্ধ।
আধুনিক কবিতার পাঠ (সমালোচনা)
আলোচিত ফিচার 'দি লাঞ্চিয়ন'।
ব্রিটেনের প্রবাস জীবন- স্মৃতিকথা।
সবচেয়ে পঠিত গল্প।
সবচেয়ে লাইকপ্রাপ্ত গল্প।
ছবি ব্লগ (লন্ডনের ডায়েরি-১)।

মন্তব্য ১১২ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (১১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৪৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: পড়লাম। আপনার পোস্টে নতুন অনেক কিছুই শেখার থাকে।

অনুবাদ দারুণ হয়েছে। গল্পটাও চমৎকার!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
প্রিয় জুনায়েদ ভাই, শুভ সকাল। প্রথম কমেন্টে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগছে। আসলে 'মুফাসোঁ' হলেন একজন কিংবদন্তি কথা সাহিত্যিক; মাত্র ৪২ বছরের জীবনে বিশ্ব সাহিত্যেকে যেভাবে সমৃদ্ধ করে গেছেন তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। এসব বিখ্যাত সাহিত্যিকদের সাহিত্য ভান্ডারের খবর এদেশের বেশিরভাগ মানুষ জানেন না। এজন্য অনুবাদের মতো অত্যন্ত দূরুহ কাজে হাত দিয়েছি বিখ্যাত এসব লেখকদেরকে আমাদের পাঠকদের সাথে যোগসূত্র করে দেওয়ার জন্য।

শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য; শুভ সকাল জুনায়েদ বি রাহমান ভাই।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:২২

সোহানী বলেছেন: অনেকদিন পর গল্পটা মনে করিয়ে দিলেন। বাংলায় এ নিয়ে একটা নাটক দেখেছিলাম। আতিকুল হক পরিচালনায়। উনি অাগে বিটিভিতে বিদেশী গল্পের নাটক তৈরী করতেন। আপনি হয়তো দেখেননি কিন্তু অসাধারন পাত্র-পাত্রীর সেসব নাটক ছিল দেখারমতো।................

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আমার মেন্টর; প্রিয় আপুকে এতো সকালে পাব তা ভাবিনি; সাত সকালে পেয়েছি এজন্য মিন্ট লিফের সাথে গ্রীণ টি। হোপ, এখন ছুটির মাসটি পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেশ কাটছে; এটা আমার একান্ত চাওয়া। আপুর হাসি মুখটি সব সময় প্রত্যাশিত।

আপু, মোফাসোঁর গল্পের সাথে ১০-১২ বছর আগে পরিচয় হলেও; উনার গল্পগুলো আগে খুব একটা পড়া হয়নি। এজন্য এতো বড় একজন সাহিত্যিক সম্বন্ধে তেমন কিছু জানতাম না; ফলে মূল্যায়ন করারও সুযোগ ছিল না। আমি ভেবে অবাক হই মাত্র ৪২ বছরের জীবনে কিভাবে এতো পাকা সাহিত্য রচনা করলেন? সত্যি অবিশ্বাস্য!!! উনার লেখা ৩০০ টির মতো গল্প আছে; যার অধিকাংশই বিশ্বমানের। তাঁর লেখা উপন্যাসগুলোও বিশ্ব মানের।

আরো কয়েকটি বছর যদি সুপার ন্যাচারল ট্যালেনট্ এই লেখক বেঁচে থাকতেন তাহলে বিশ্ব সাহিত্য আরো অনেক অনেক সমৃদ্ধ হতো। মোফাসাঁর লেখা গল্প অবলম্বনে আতিকুল হক সাহেব কোন নাটক বানালেও জানা নেই, এজন্য দেখা হয়নি।

অনেক অনেক শুভ কামনা আপুনির জন্য; অলওয়েজ স্মাইল।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয়গুরুদেব,

নেকলেস আগে পড়া। এখন অবশ্য পড়িনি, সময় নিয়ে আবার আসবো ।আর আপনার অনুবাদ কাজ অসাধারণ হয়, যেমনটি এটাও হবে আশাকরি।

শুভকামনা গুরুদেবকে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
শুভ সকাল প্রিয় ভাইজান; প্রিয় গুরুদেব। আপনি সকালে এসে লেখায় চোখে বুলিয়ে আশীর্বাদ করে গেছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। 'নেকলেস' গল্পটি আগে পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো; এমন অসাধারন গল্পগুলো আমাদের সবার পড়া বাঞ্ছনীয়।

শুভ সকাল, প্রিয় গুরু।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:১৬

পল্লব কুমার বলেছেন: অনুবাদটা সুন্দর হয়েছে। লিখায় ভালোলাগা।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
দাদা, শুভ সকাল। লেখাটি পড়ায় এবং কমেন্ট করায় কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ''দি নেকলেস'' পড়েছি।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই।
আপনি লিখেছেন খুব সুন্দর করে।
চমৎকার, মনোমুগ্ধকর।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
শুভ সকাল, প্রিয় রাজীব ভাই। খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য সিলেটের খাঁটি সাত রঙের এক গ্লাস চা দিলাম। ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: দারুন, দারুন।
কী প্রাণবন্ত লেখা(অনুবাদ) মাইরি....;)
আবার আপনি ছোটগল্প লেখা শুরু করেন....


প্রথম ছবিতে সেকী তার চাহনি!!! আমিতো পুরাই ফিট...:P



কাওসার ভাইয়া, প্রতিউত্তরে আমারে একটা কুরবানির গরু গিফটো করেন।:P

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
শুভ সকাল গুরু; আপনার যদি বিখ্যাত এ গল্পখানাীর অনুবাদ ভাল লাগে তাহলে তো পাশ মার্ক অন্তত উঠলো। এজন্য ধন্যবাদ জানে মন B-); আর ব্লগে নিজের গল্প না দিলেও লেখা কিন্তু পুরোদমে চলছে। সামনের মাসে ব্লগে গল্প দেব আশা করছি।

প্রথম ছবিতে সেকি চাহনি!! জানেমন মাইয়াটি তো আন্ডারএ্যাজ আইমিন অল্প বয়সি পিচ্ছি একটা মাইয়া!!! আপনার জন্য (৬) নং ছবিটা একদম ঠিকঠাক B-); কোরবানীর একখান আমেরিকান গরু গুরুকে গিফট করলাম; এই ঈদে আর গরু কিনতে হবে না গুরুকে।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

রক বেনন বলেছেন: অনুবাদ চমৎকার ও প্রাঞ্জল হয়েছে কাওসার ভাই। ভাল থাকবেন।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
শুভেচ্ছা নেবেন প্রিয় রক বেনন ভাই; কমেন্ট ও পাঠে অনেক ধন্যবাদ। আপনার নামে সাথে পিকটাও দারুণ! বেশ স্মার্ট!! অনেক ভাল লাগা রইলো ভাই। শুভ কামনা রইলো।

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

মোঃ রুবেল তালুকদার তারু বলেছেন: দারুণ হয়েছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
তারু ভাই, শুভেচ্ছা রইলো। গল্পটি পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো; আর কমেন্ট করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। আপনার সাথে হয়তো পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয়নি এজন্য আবারও আশীর্বাদ রইলো। ব্লগে নিয়মিত ভাল লেখা পোস্ট করুন; যে লেখাগুলো ভাল লাগে সেগুলোতে কমেন্ট করুন, এতে পরিচিতি বাড়বে; সেফ হতেও সহজ হবে।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২২

অধৃষ্য বলেছেন: পূর্ণেন্দু দস্তিদারের অনুবাদ পড়েছিলাম ১১-১২ শ্রেণির বাংলা বইয়ে । চমৎকার গল্প । আপনার অনুবাদটাও চমৎকার হয়েছে ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
প্রিয় অধৃষ্য ভাই; আমার ব্লগে স্বাগতম। ব্লগে নিয়মিত ভাল লেখা পোস্ট করুন; যে লেখাগুলো ভাল লাগে সেগুলোতে কমেন্ট করুন, এতে পরিচিতি বাড়বে; সেফ হতেও সহজ হবে। আর গল্পটি পড়ে কমেন্ট করায় কৃতজ্ঞতা রইলো।

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @আপনার জন্য (৬) নং ছবিটা একদম ঠিকঠাক;
না না না। আমার প্রথমটাই পছন্দ। ২-৭আপনিই দেখুন।




পুনশ্চঃ
এই গরুটা ব্লগবাাসীর জন্য। আর কুরবানির গরু অনেক আগেই কেনা শেষ। ;)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
তাইলে এইবার একটি তরুণ উঠ দিলাম; একদম হালাল মাংসে ঠাসা। খেতে ভারী মজা হবে।

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

জাহিদুল হক শোভন বলেছেন: অনুবাদটা মনোহর ভাবে তুলে ধরেছেন। ভাল্লাগছে। এই রকম ছোটখাটো ভুল, লোভের নেশা মানুষকে পরিবর্তন করে ফেলে আসলেই। শুভ কামনা।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
জাহিদুল হক সুবন ভাই, অনুবাদটি ভাল হয়েছে জেনে খুশি হলাম। আপনি ঠিকই বলেছেন, "এই রকম ছোটখাটো ভুল, লোভের নেশা মানুষকে পরিবর্তন করে ফেলে আসলেই।" শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: সবার আগে শুভ সকাল প্রিয় কাওসার ভাইয়া ।

পুরো গল্পটি পড়লাম। অসম্ভব ভালো লাগলো । ভালো লাগার সাথে একটি শিক্ষণীয় গল্প এটি ।

হয়তো কখনো কখনো আসেপাশের অন্যদের ভালো অবস্থা দেখে নিজের দুরাবস্থার জন্য কষ্ট হয়, এবং হওয়াটা অস্বাভাবিক না তবে নিজের যতটুকু আছে ততটুকু নিয়ে মনের মধ্যে সন্তুষ্টি ও শুকরিয়া আনতে পারলে অল্পের মধ্যেও জীবন হতে পারে অনেক সুন্দর যদি সে জীবনে থাকে ভালোবাসা, বিশ্বাস ও ভরসা করার মত একজন জীবনসঙ্গী যাকে জীবনের সব ধরনের পরিস্থিতি তে পাশে পাওয়া যাবে । তাহলে জীবনের অন্যান্য কষ্ট আর অপূর্ণতা গুলোও তখন আর কিছু মনেই হয়না।

আহারে বেচারি ম্যাথুয়ে সময় থাকতে যদি বুঝত যে জীবনে টাকা পয়সার চেয়ে ভালোবাসার মূল্য অনেক বেশী :(

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপুনি,
শুভ সকাল। আপনার কমেন্টগুলো খুব আন্তরিক হয়; লেখার মাঝে উপলব্ধিটা পাওয়া যায় এজন্য খুব ভাল লাগে। আপনার কথাগুলো উপলব্ধি করার মতো, অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিজের যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে; অন্যকে অনুকরণ করার পলাফল ভাল হয় না; এতে কেবল অশান্তি বাড়ে। মনুষ্যত্ববোধ নষ্ট হয়। আর ভালবাসার জন্য প্রয়োজন দু'টি সুন্দর মন, পারষ্পরিক সহযোগিতা, রেসপেক্ট, কেয়ারিং আর বিশ্বাস। এখানে অর্থ বিত্ত গৌণ।

আপনি ঠিকই বলেছেন, "আহারে বেচারি ম্যাথুয়ে সময় থাকতে যদি বুঝত যে জীবনে টাকা পয়সার চেয়ে ভালোবাসার মূল্য অনেক বেশী" :(:(:(¡¡

১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




অনবদ্য, সাবলীল, নান্দনিক একটি শিল্পের সাথে পরিচিত হলাম! প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম! পড়ব সময় করে!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় কবিকে; "দি ন্যাকলেস" গল্পটি বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। ১৮৮৪ সালে মোফাসাঁর এ গল্পটি প্রকাশিত হওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় ১৩৪ বছর!! তবুও এ গল্পের আমেজ একটুও কমেনি। বরং যুগে যুগে আরো বেড়ছে। এ গল্পটি এ পর্যন্ত শতাধিক ভাষায় অনুবাদ হয়েছে!!! লেখকের এ রকম শতাধিক কালজয়ী গল্প আছে।

শুভ কামনা রইলো, কবির জন্য।

১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

নজসু বলেছেন: সময় করে পাঠ করবো আশা করি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
প্রিয় নজসু ভাই। প্রথম পরিচয়ের শুভেচ্ছা নিবেন। গল্পটি প্রিয়তে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। একটু সময় করে গল্পটি পড়লে ভাল লাগবে। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। সামুতে আপনার পথ চলা সফল হোক।

১৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: শুভ দুপুর। ভালো উদ্যোগ। বিশ্বসাহিত্যের অনুবাদ পড়তে পারবো আমরা।

অনেক অনেক শুভকামনা ভাই।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



@ জুনায়েদ বি রাহমান ভাই, আবারো কমেন্টে পেয়ে ভাল লাগলো। আশীর্বাদ করবেন। অনুবাদ করতে অনেক ধৈর্য্য লাগে; পাশাপাশি অনেক সময় ব্যয় হয়। তারপরও চেষ্টার ত্রুটি থাকবে না।

১৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

রাকু হাসান বলেছেন:

দুঃখজনক হলেও সত্য যে গল্প টি আমি আগে পড়া হয়নি । মাত্র পড়লাম । দারুণ লাগলো । আরও দুঃখজনক এ লেখকের কোন গল্প মাত্রই পড়লাম |-) । ভাল লিখেন জান লিখনেন তা থেকে জানতে পারলাম । ভাল লাগে লেখকের ব্যাপারে কিছু তথ্য দিয়ে দেওয়া এতে করে আমরা লেখকের সাথেও পরিচিত হয়ে যায় । দারুণ কাজ গুরুজী। :) প্রথম মন্তব্যে লাইক দিয়েছি ।
আরও ভাল কিছু্র অপেক্ষায় ভাইয়া ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রিয় রাকু হাসান ভাই। আসলে আমেরিকান ও ব্রিটিশ সাহিত্যিকরা আমাদের কাছে যতটুকু পরিচিত; অন্যরা ততটুকু নয়। এর অন্যতম কারণ হলো ভাষাগত জটিলতা এবং সেসব সাহিত্যিকদের বইয়ের অপ্রতুলতা। এছাড়া এসব বিদেশী সাহিত্য অনুবাদ করাও অত্যন্ত দুরুহ কাজ। এজন্য বিখ্যাত অনেক সাহিত্যিকের লেখা আমরা পড়তে পারিনি।

মোফাসাঁর কিছু গল্প এ দেশের পাঠকরা পড়লেও এ সংখ্যাটি হাতে গোনা। এজন্য বিশ্বখ্যাত এ সাহিত্যিকের কোন লেখা না পড়া কিংবা তাঁর সম্বন্ধে না জানাটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়, বরং খুবই স্বাভাবিক। আমার প্রিয় ভাইয়ের সাথে এই লেখককে পরিচিত করতে পেরেছি জেনে ভাল লাগলো।

শুভ কামনা রইলো প্রিয় ভাইয়ের জন্য।

১৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা! প্রথম পড়াতে কিশোর কালে যেমন কষ্ট লেগেছিল, আজো তেমনি লাগলো!!!
বেচারী ম্যাথিয়েঁ!!!

প্রাঞ্জল অণুবাদে ভাললাগা :)

+++

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
প্রিয় কবির মনভোলানো উক্তি; ভাল লাগে, অনুপ্রাণিত হই সব সময়। আসলেই দুঃখ লাগে বেচারী ম্যাথিয়েঁর জন্য। তার উচ্চবিলাস আর একটু অসতর্কতা তাকে জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে মনে করিয়ে দিল। গল্পের শেষ লাইনের টুইস্টটা ছিল দারুন!!!

১৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,

গল্পটা আগে পড়লেও স্মৃতি ফিকে হয়ে গেছিল। আজ আবার একবার আপনার সৌজন্যে গেঁথে নিলাম। অসাধারণ অনুবাদ করেছেন। আপনি জিনিয়াস । চালিয়ে যান। বাংলা সাহিত্যে আগামী দিনে আপনার এমন অনুবাদ কাজ স্থায়ী আসন পাবে তা হলফ করে বলতে পারি। সত্যি, এমন গুরুর কাছে দীক্ষিত হওয়াটা স্বপ্নের ব্যাপার । +++++++

অনেক অনেক ভালোলাগা ও শুভকামনা গুরুদেবকে।


১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরুজী,.................
আসলে অনুবাদ খুবই দুরুহ একটি কাজ; এ গল্পটি অনুবাদ করতে আমার কত কর্ম ঘন্টা হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে তা হিসেব করে বলতে পারবো না। চাইলে এই পরিশ্রম ও ভাবনার খোরাক দিয়ে নিজে ২-৩ টি গল্প লেখা যেতো। শতাধিক বছর আগের সাহিত্যের ভাষায় এবং লেখকের ভাবনায় ভিন্নতা থাকে। অনেক পুরাতন শব্দ এখন বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া আমরা তো ফরাসি জানি না, এজন্য আশ্রয় নিতে হয় ইংরেজি অনুবাদের। কিন্তু ইংরেজি অনুবাদগুলোও অনেক সময় মানসম্পন্ন হয় না। মোফাসাঁর এ গল্পটি অনুবাদ করতে গিয়ে আমি তা টের পেয়েছি।

আশীর্বাদ করবেন ভাইজান, যাতে কঠিন এ শিল্পটি আয়ত্বে আনতে পারি; পাশাপাশি লেখায় ধৈর্য্য রাখতে পারি। ছুটির দিনের শুভেচ্ছা রইলো।

১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯

লায়নহার্ট বলেছেন: {মজার কথা হলো এখানে একদম শেষে এসে পাঠককে নতুন কিছু ভাবার স্বাধীনতা দিয়েছেন গী দ্য মোপাসা, বান্ধবী এবার ম্যাথুয়েঁকে আসল হারটা ফেরত দিতে পারে}

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
প্রিয় লায়নহার্ট ভাই; গল্পের শেষ লাইনের টুইস্টটা পাঠককে ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘুরিয়ে দেবে; এটা অসাধারণ একটা ঝাঁকুনি। এই ঝাঁকুনির ফলে পাঠকরা গল্পটির কাহিনী আবার রিভাইজ করবে; গল্পের বিষয়বস্তু নিয়ে নতুন করে ভাববে; ম্যাথিয়েঁর জন্য দুঃখের একটি অনুভূতি হবে।

সবচেয়ে দামী কথা হলো ম্যাথিয়েঁ কী তার হীরের নেকলেস ফেরৎ পাবে? তবে আমার মনে হয় মহিলাটি সব শুনে তার জন্য দুঃখ করবে এবং নেকলেসটি সে ফেরৎ দেবে। নাকি নতুন কোন কাহিনীর জন্ম দেবে। ভাবছি বাকি অংশটি আমি লিখে ফেলবো, কি বলেন আপনি!!!

২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনার অনুবাদ বেশ সুন্দর হয়ে উঠছে এখন। কিন্তু মাটিল্ডকে ম্যাঁথিয়ে নামে লিখলেন কেন?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় @ এস এম মামুন অর রশীদ ভাই। আপনি তো দারুন অনুবাদ করেন। এ গল্পটি অনুবাদ করতে অনেক বেগ পেতে হয়ছে আমাকে। এ গল্পের নায়িকা মাটিন্ড নামটির আসলে ফরাসি ভাষায় উচ্চারণ করলে 'ম্যাথিয়েঁ' হয়। এ নামটি সঠিক উচ্চারণে ইংরেজিতে লেখা যায় না বলে অনুবাদকারী মাটিন্ড লেখেন। আমি এজন্য সঠিক নামটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। লেখকের নামটিও 'মোফাসাঁ'।

২১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার!
খুব ভাল লাগল।
ধন্যবাদ ভাই।।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
@ হাসান জাকির ৭১৭১ ভাই, শুভেচ্ছা রইলো। অনুবাদ গল্পটি পড়েছেন জেন খুশি হলাম। শুভ কামনা রইলো, সব সময়ের জন্য।

২২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: বেচারী ম্যাথিয়েঁ!!! :(

ভালো লাগলো।
এসব ইংরেজি ফরাসি এগুলা কেন? আপনি তো সামুরাই এক্সপার্ট, আইমিন জাপানি ভাষায় বিশেষজ্ঞ। জাপানি গল্প অনুবাদ করেন না কেন? ;)

এখন উনি গল্প অনুবাদ করছেন, নিজে লেখা কি বাদ নাকি? আপনার গল্প কই? :)

একটা নিজের লেখা গল্প, পরেরটা অনুবাদ গল্প, এভাবে লিখলে সুন্দর হত।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
C'était une de ces jolies et charmantes filles, nées, comme par une erreur du destin, dans une famille d'employés. Elle n'avait pas de dot, pas d'espérances, aucun moyen d'être connue, comprise, aimée, épousée par un homme riche et distingué; et elle se laissa marier avec un petit commis du ministère de l'Instruction publique.

Elle fut simple, ne pouvant être parée, mais malheureuse comme une déclassée; car les femmes n'ont point de caste ni de race, leur beauté, leur grâce et leur charme leur servant de naissance et de famille. Leur finesse native, leur instinct d'élégance, leur souplesse d'esprit sont leur seule hiérarchie, et font des filles du peuple les égales des plus grandes dames.

Elle souffrait sans cesse, se sentant née pour toutes les délicatesses et tous les luxes. Elle souffrait de la pauvreté de son logement, de la misère des murs, de l'usure des sièges, de la laideur des étoffes. Toutes ces choses, dont une autre femme de sa caste ne se serait même pas aperçue, la torturaient et.

২৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: :(
আপনার এই বিরাট পোস্টের প্রতিমন্তব্য পড়ার জন্য স্ক্রল করে আমি নিচে আসতে আসতে হয়রান হয়ে গেছি। এতো নিচে আসতে আসতে মনে হচ্ছিল যেন আমি বঙ্গোপসাগরের খাদ সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে নেমে গেছি। আর এখানে এসে এটা কি প্রতিমন্তব্য পেলাম?

আমি আর আপনার কোন প্রতিমন্তব্য একদম পড়ব না। :(

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আচ্ছা..... :(( .. অউ খতা খান কিলা খইলায় গো বুয়াই!!
এতো মনযোগ দিয়ে, গুরুত্ব দিয়ে যার কমেন্ট পড়ি; মনের গহীন থেকে প্রতিনিয়ত আশীর্বাদ করি; বালা মুসিবত ও বদ নজরে যাতে কেউ ঘায়েল করতে না পারে সেজন্য সিন্ধু সেঁচে তাবিজ এনে দেই; সেই আপুটি আমাকে ভুল বুঝলো :(!!! আমি তো আর কাউকে বিভিন্ন ভাষায় লেখে প্রতি উত্তর করি না; এখন তো দেখছি তর্জমা সহ কমেন্টের শানে নজুল বলে দিতে হবে; একটু কষ্ট করে অনুবাদ করলে কী এমন ক্ষতি আপনার? B-)

জাতি জানতে চায়!!! B:-)

"এখন উনি গল্প অনুবাদ করছেন, নিজে লেখা কি বাদ নাকি? আপনার গল্প কই? :) একটা নিজের লেখা গল্প, পরেরটা অনুবাদ গল্প, এভাবে লিখলে সুন্দর হত।"

বইনরে; এই অনুবাদ খরতে গিয়া আমি এখদম শেস অইজাইরাম; কুব খটিন লাগে। এখন ভাবছি আফনার সাজেশন মত নিজের লেখার লগে লগে অনুবাদ খরমু; ইতায় পেশার খম ফড়বো। ঈদর বাদ থাকি চেষ্টা খরমু।

"আমি আর আপনার কোন প্রতিমন্তব্য একদম পড়ব না। :(" খবরদার ইতা মাত আর হুনিনা জানি, না অইলে খবর আছে খইলাম B-) :-B B-))

২৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কী সাংঘাতিক গল্প! আহা ম্যাথিয়েঁ, আহা লাইজেল।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আমার ব্লগে স্বাগতম @ রূপক বিধৌত সাধু ভাই। গল্পটি আসলেই দুর্দান্ত ক্লাসিক্যাল। একদম শেষ লাইনে চমৎকার একটি টুইস্ট গল্পের পুরো বিষয়টিকে অন্য রকম একটি আমেজ দিয়েছে। বেচারা লাইজেল বউয়ের ভুলের খেসারত দিতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে; আর রূপসী ম্যাথিয়েঁ তো সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেল।

২৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: ফরাসি উচ্চারণ অন্য ভাষায় ভাষান্তর করা সহজ নয়, তারপরও আপনি উৎস আরেকটু চেক করে দেখুন, উচ্চারণে এত পার্থক্য হওয়ার কথা নয়। আমি ফরাসি উচ্চারণের বেশ কয়েকটা সাইটে মাটিল্ড-ই পাচ্ছি। যা-ই হোক, এটা বড় ব্যাপার নয়, আপনার অনুবাদে উৎকর্ষ আসছে। :)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমি আবার উচ্চারণটি দেখবো; আসলে ফরাসি উচ্চারণ খুব ডিফিকাল্ট। যদি দেখি মাটিল্ড-ই অধিক ব্যবহৃত অথবা ফরাসিরা এভাবে উচ্চারণ করে তবে অবশ্যই এই নামটিই দেব। আবারো বিষয়টি নিয়ে ঘেঁটে আমাকে জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় @ এস এম মামুন অর রশীদ ভাই।

২৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

সনেট কবি বলেছেন: গল্প বেশ ভাল লেগেছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় সনেট কবিকে; এতো গুণী মানুষের কমেন্ট আমাকে অনুপ্রাণিত করে। ভাল থাকবেন।

২৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

লায়নহার্ট বলেছেন: {আপনার লেখার হাত দেখে মনে হয় আপনিই পারবেন}

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় লায়ন হার্ট ভাই, আবারো কমেন্ট করে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আশীর্বাদ করবেন ভাই।

২৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

ঢাকার লোক বলেছেন: ভাই, দিন কয় আগে ও হেনরীর Gift of Magi গল্পের অনুবাদ পড়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এ গল্পের সাথে গুলিয়ে ফেলেছিলাম, হয়ত মনে আছে। এরই মাঝে এ গল্পটারও অনুবাদ পেয়ে যাব ভাবতে পারিনি! খুব সুন্দর হয়েছে আপনার অনুবাদ। ধন্যবাদ আপনাকে। এমনি ভাল ভাল গল্প আরো পাব আশা করছি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ভাই, শুভেচ্ছা রইলো। আপনি গিফট অফ ম্যাজাই পড়ে মন্তব্য করেছিলেন, এটি পুরোপুরিই মনে আছে। আপনি মান সম্মত বিদেশী সাহিত্যের একনিষ্ঠ পাঠক তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। আপনি হয়তো ভুলক্রমে "মোফাসাঁর" "দি নেকলেসের" কথা বলেছিলেন; এতো দোষের কিছুই নেই। এমনটি হতেই পারে। বিদেশী গল্পের মান সম্পন্ন অনুবাদ করা খুব কঠিন একটি কাজ; এতে অনেক সময় ও এনার্জি ব্যয় করতে হয়। আশীর্বাদ করবেন, যাতে অনুবাদ চালিয়ে যেতে পারি।

২৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

ঢাকার লোক বলেছেন: ভাই, একটা শব্দ মিয়ে মনে একটু খুত্ খুত্ ছিল, বলব কিনা দ্বিধা হচ্ছিল! আমার ধারনা "মেকি" শব্দটা যদিও একই অর্থ বহন করে, "নকল" শব্দটা আমাদের সমাজে নেশী ব্যবহার হয়। হারটা মেকি বলার চে নকল হীরার বললে কি বেশী অর্থবহ হতো?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। আপনি খুব সুন্দর একটি পয়েন্ট ধরেছেন; এ বিষয়ে আমিও সহমত আপনার সাথে। আসলে মন মত শব্দ না পেয়ে আপাতত 'মেকি' লেখেছিলাম; এটি আমিই পরিবর্তন করে দিতাম। সবচেয়ে ভাল হত এখানে 'রেপ্লিকা' শব্দটি ব্যবহার করতে পারলে, কিন্তু তা ইংরেজি হওয়ায় ব্যবহার করা গেল না। এখানে 'প্রতিরুপ' অথবা 'নকল' ব্যবহার করা যায়। আপনিও যেহেতু 'নকল' বলেছেন সেহেতু এটি পরিবর্তন করে দিলাম।

৩০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৯

ঢাকার লোক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার উত্তরের জন্য, আর আমাকে মনে রাখার জন্যও!
বলছিলাম বিশেষ করে গয়নার ক্ষেত্রে "আসল" আর "ইমিটেশন" বা আসল/নকল শব্দদুটিই বেশী ব্যবহার হয়, মনে পড়ে সেই,
যেজন প্রেমের ভাব জানে না
তার সনে নাই লেনা দেনা
খাঁটি সোনা ছাড়িয়া যে নেয় নকল সোনা
সেজন সোনা চেনে না..

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় জনদের ভুলতে নেই; এটা মহা অন্যায়। আপনি ঠিকই বলেছেন, গয়নার ক্ষেত্রে 'ইমিটিশন' শব্দটি বহুল প্রচলিত। কিন্তু এটিও ইংরেজি হওয়ায় বদলানো গেল না। আর আপনার দেওয়া গানটি তো কালজয়ী।

৩১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৭

করুণাধারা বলেছেন:  চমৎকার একটি গল্প অনুবাদের জন্য নির্বাচন করে চমৎকার অনুবাদ করেছেন, অজস্র ধন্যবাদ।

এই গল্পের কাহিনী অবলম্বনে বিটিভিতে যে নাটক তৈরি হয়েছিল, সোহানীর  মত আমিও সেটা দেখেছি। নাটকে ম‍্যাথিয়ে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সম্ভবত রুবিনা। মনে আছে শেষ দৃশ্যে ম‍্যাথিয়ের বেদনাহত মুখ দেখে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।

Mathilde pronunciation French লিখে গুগলে সার্চ দিলে যে ভিডিও আসে তাতে উচ্চারণ  শোনা যায় ম‍্যাথিয়ে ( চন্দ্র বিন্দু দিতে পারছি না)। আবার Mathilde pronunciation English লিখে সার্চ দিলে ভিডিওতে উচ্চারণ শোনায় মাটিল্ড। অতএব  দুটো উচ্চারণই ঠিক।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপু, শুভেচ্ছা রইলো। গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পাঠ করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। @ সোহানী আপুও কমেন্টে বলেছেন, এই গল্পের কাহিনী অবলম্বনে বিটিভিতে একটি নাটক প্রচারিত হয়েছিল; আমি নাটকটি দেখিনি এজন্য এ বিষয়ে জানি না। তবে এ গল্পের বিষয়ে বলতে পারি, সত্যি সত্যি মুগ্ধতায় পরিপূর্ণ।

গল্পের শেষ লাইনের টুইস্টটা পাঠককে ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘুরিয়ে দেবে; এটা অসাধারণ একটা ঝাঁকুনি। এই ঝাঁকুনির ফলে পাঠকরা গল্পটির কাহিনী আবার রিভাইজ করবে; গল্পের বিষয়বস্তু নিয়ে নতুন করে ভাববে; ম্যাথিয়েঁর জন্য দুঃখের একটি অনুভূতি হবে।

"দি ন্যাকলেস" গল্পটি বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। ১৮৮৪ সালে মোফাসাঁর এ গল্পটি প্রকাশিত হওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় ১৩৪ বছর!! তবুও এ গল্পের আমেজ একটুও কমেনি। বরং যুগে যুগে আরো বেড়ছে। এ গল্পটি এ পর্যন্ত শতাধিক ভাষায় অনুবাদ হয়েছে!!! লেখকের এ রকম শতাধিক কালজয়ী গল্প আছে।

আর 'ম্যাথুয়েঁ' উচ্চারণ নিয়ে বলতে গেলে আমিও দু'টি অপশনই পেয়েছি; তবে 'ম্যাথুয়েঁ' অধিক গ্রহণযোগ্য আমার কাছে মনে হয়েছে; ফরাসি ভাষার কিছু চর্চা থেকেই মূলত আমি(ঁ) ব্যবহার করি; আসল কথা হলো আমরা যেভাবেই লিখি না কেন তা ফরাসি উচ্চারণের মত শতভাগ হবে না।

আপু, ভাল থাকবেন; ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো।

৩২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, শাহরিয়ার ইমন ভাই ৷মোফাসাঁর কিছু গল্প এ দেশের পাঠকরা পড়লেও এ সংখ্যাটি হাতে গোনা। শতাধিক বছর আগের সাহিত্যের ভাষায় এবং লেখকের ভাবনায় ভিন্নতা থাকে। অনেক পুরাতন শব্দ এখন বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া আমরা তো ফরাসি জানি না, এজন্য আশ্রয় নিতে হয় ইংরেজি অনুবাদের। কিন্তু ইংরেজি অনুবাদগুলোও অনেক সময় মানসম্পন্ন হয় না। মোফাসাঁর এ গল্পটি অনুবাদ করতে গিয়ে আমি তা টের পেয়েছি।

শুভ কামনা রইলো প্রিয় ভাইয়ের জন্য।

৩৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৪

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @করুণাধারা ও লেখক, আপনারা কোথায় ফরাসি উচ্চারণটি ম্যাথিয়েঁ পেয়েছেন, জানার বেশ কৌতূহল হচ্ছে, কারণ কোনো জায়গায়ই আমি এরকম উচ্চারণ পাইনি।

যাহোক, আপনার বিখ্যাত ফরাসি সিনেমা A Very Long Engagement (French: Un long dimanche de fiançailles) দেখতে পারেন, যার কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম Mathilde। প্রথম ১৩ মিনিট দেখলেই বেশ কয়েকবার নামটি পাবেন। :)

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় @ এস এম মামুন অর রশীদ ভাই; আপনারটিও সঠিক। এতে কোন দ্বিমত নেই; আসলে নামের উচ্চারণে, অথবা নামের বানানে গল্পের কিছু যায় আসে না। কোন কোন অনুবাদক তো নামই নিজেদের ভাষার সাথে মিলিয়ে দিয়ে দেন। আসলে গল্পের কাহিনীটা নিজের ভাষায় ফুটিয়ে তুলতে পারাটাই আসল। আমি প্রয়োজনে আপনার দেওয়া সিনেমাটি দেখবো; শেখার কোন শেষ নেই।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মামুন ভাই, নামটি 'ম্যাচিলদ্' হলে কেমন হয়!!

৩৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৪

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:


গল্প টা কয়েকদিন আগেই পড়েছি। ইন্টারের বাংলা সাহিত্য বইয়ে।

যাইহোক আপনার অনুবাদ টাও পড়েছি। বলা যায় ভালই লেগেছে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গল্পটি কী ইন্টারের বাংলা সাহিত্যে আছে? বিষয়টি জানা ছিল না!! শুনে ভাল লাগলো। আসলে আমেরিকান ও ব্রিটিশ সাহিত্যিকরা আমাদের কাছে যতটুকু পরিচিত; অন্যরা ততটুকু নয়। এর অন্যতম কারণ হলো ভাষাগত জটিলতা এবং সেসব সাহিত্যিকদের বইয়ের অপ্রতুলতা। এছাড়া এসব বিদেশী সাহিত্য অনুবাদ করাও অত্যন্ত দুরুহ কাজ। এজন্য বিখ্যাত অনেক সাহিত্যিকের লেখা আমরা পড়তে পারিনি।

মোফাসাঁর কিছু গল্প এ দেশের পাঠকরা পড়লেও এ সংখ্যাটি হাতে গোনা। এজন্য বিশ্বখ্যাত এ সাহিত্যিকের কোন লেখা না পড়া কিংবা তাঁর সম্বন্ধে না জানাটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়, বরং খুবই স্বাভাবিক। আমার প্রিয় ভাইয়ের সাথে এই লেখককে পরিচিত করতে পেরেছি জেনে ভাল লাগলো।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ দিদি; শুভ রাত্রি।

৩৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩৫

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

কাওসার ভাই আমাকে আপনি লজ্জায় দিলেন কিন্তু। আমি এখনো ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে। তাই........

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



তাতে কি? আমরা ক্লাসমেট না হলেও কলিগ; আইমিন ব্লগীয় সহকর্মী, তাই নাা? এখানে আমাদের পরিচয় সহ ব্লগার হিসেবে; সো, কমেন্ট ও প্রতি মন্তব্যে ব্লগারদের সাথে রেসপেক্টের সম্পর্ক থাকতে হয়; এখানে বয়স কোন ফ্যাকট্ নয়।

৩৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৪২

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক আগে পড়েছিলাম, গল্পটা । নতুন করে আবার পড়লাম।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
নতুন করে আবারো গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ @ ঢাবিয়ান ভাই। আসলে এমন গল্প বারবার পড়তে মন চায়। ১৮৮৪ সালে মোফাসাঁর এ গল্পটি প্রকাশিত হওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় ১৩৪ বছর!! তবুও এ গল্পের আমেজ একটুও কমেনি। বরং যুগে যুগে আরো বেড়ছে। এ গল্পটি এ পর্যন্ত শতাধিক ভাষায় অনুবাদ হয়েছে!!! লেখকের এ রকম শতাধিক কালজয়ী গল্প আছে।

গল্পের শেষ লাইনের টুইস্টটা পাঠককে ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘুরিয়ে দেবে; এটা অসাধারণ একটা ঝাঁকুনি। এই ঝাঁকুনির ফলে পাঠকরা গল্পটির কাহিনী আবার রিভাইজ করবে; গল্পের বিষয়বস্তু নিয়ে নতুন করে ভাববে; ম্যাথিয়েঁর জন্য দুঃখের একটি অনুভূতি হবে।

ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো।

৩৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: প্রিয় কাউসার ভাই,
আমি নিয়মিত ব্লগ লিখিনা সত্য, তবে নিয়মিত ব্লগে আসি একথাও সত্য। আপনি আমার পছন্দের একজন মানুষ, তাই আপনার কথা সবসময় ভেবেছি। সময় নিয়ে আপনার পুরোনো লেখাগুলোও পড়েছি। কিন্তু মন্তব্য করিনি, কারণ আমি শুধুই পড়তে চেয়েছি।

আপনার প্রতি আমার প্রথম অভিযোগটি হলো, প্রোপিক সংক্রান্ত। X(( অবিলম্বে আপনার চেহারা সম্বলিত ছবিটি (ভালো হয় নতুন ছবি দিলে) প্রোপিকে দিন। আপনি কাজটি ভালো করেননি। আমাদের মতো কজন হ্যান্ডসাম ব্লগার আছে বলুন তো? আমিও একটা ভালো ছবি তুলে ব্লগে দিবো। সমস্যা হলো ক্যামেরা সম্পর্কিত, আমার ভালো ক্যামেরা নাই। =p~

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
প্রিয় ভাই প্রান্ত,
ব্লগে তোমার লেখা না থাকলেও এই বিশ্বাস ছিল তুমি ব্লগ নিয়মিত পড়; তুমি আমার লেখাগুলোও নিয়মিত পড়ো এজন্য খুশি হলাম ৷তোমার পড়ালেখায় ক্ষতি হোক তা আমি চাইনি বলে এতোদিন তোমাকে নক করিনি ৷

আর প্রোপিক সংক্রান্ত সমস্যাটি আপাতত চলুক!! এজন্য কমেন্টে একটি রেপ্লিকা B-) দিলাম ৷"আমি হ্যান্ডসাম ব্লগার" !!! এই প্রথম কেউ এমন কথা বললো :-B; সুন্দর চেহারাটিতে যাতে কারো নজর না লাগে সেজন্য প্রোপিক আর দেব না!!!

ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো ৷

৩৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনার সাথে আরো কথা আছে! এত ভালো অনুবাদ কেমনে করেন????? জর্জ অরওয়েল এর 'Shooting an Elephant' গল্পটা ভাবছি অনুবাদ করে আপনাকে উৎসর্গ করবো.....তবে জানেনই তো মোল্লার দৌড় কতদূর! দেখা যাক।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
George Orwell নিঃসন্দেহে একজন উচু মানের ঔপন্যাসিক; তাঁর "Shooting an Elephant" গল্পটি পড়া হয়নি এখনো ৷তুমি অনুবাদ করলে বাংলায় পড়বো ৷আর তুমি এই বয়সে অনুবাদ করতে সাহস করছো!! এটাই তো অনেক, তাই না ৷আমি জানি তুমি পারবে, সে যোগ্যতা তোমার আছে ৷

৩৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনাকে সংক্ষেপে একটা কথা বলি, আমাদের কলেজে আইসিটি পড়ান ছায়ারাণী ম্যাম (আড়ালে আমরা তাকে Shadow Queen বলি! =p~ ) তিনি কোন একটা প্রসঙ্গে চাঁদ আর পৃথিবীর দূরত্ব বলতে গিয়ে বর্গকিলোমিটার একক ব্যবহার করেছেন! আপনার কোন দোষ নেই!! এখানে এমন কিছু একটা ঘটনা ঘটেছে যা আমরা ঠিক ধরতে পারছি না।
আমি সব জানি। আপনি এখনো তার খোঁচা মারা মন্তব্যগুলোতে যে ভদ্রতার পরিচয় দিচ্ছেন, তাতে আমার মনে কোন সন্দেহ নাই, আপনি একজন নিখাদ ভদ্রলোক এবং যোগ্য শিক্ষক! আমি মনে মনে সংকল্প করেছি, কোনদিন আপনার সাথে দেখা করবো, হোকনা সেটা পাঁচ বছর পর!! তবে ভাই, আমি নিয়মিত লিখতে পারবো না, আমার পড়াশোনায় অনেক চাপ নিতে হবে। আমার পরিবার এবং আপনারা আমার কাছ থেকে যা আশা করেন, তা আমাকে পূরণ করতে হবে না?

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চাঁদের দূরত্ব মাইলে পরিমাপ করলে কী আর কিলোমিটারের পরিমাপ করলেই বা কী? সত্যি বলতে কী এতে কোন সমস্যা নেই; আসল কাজটি হলো সঠিক দূরত্ব মাপা ৷ কিন্তু তর্কের খাতিরে বলা যায় বর্গ কিলোমিটারে চাঁদের দূরত্ব সাধারণত মাপা হয় না, এটুকুই ৷তবে, কেউ মাপলে মহা ভারতের অশুদ্ধি হবে না ৷ এটা নিয়ে কাউকে কটু কথা শুনানো, মূর্খ বলা কিংবা অপমান করা স্রেফ "ইতরামি" ৷এদের সাথে উচিৎ হলো নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলা; এতে কিছুটা হলেও নিজের আত্মসম্মানটা বাঁচানো সম্ভব হয় ৷

তোমার সাথে অবশ্যই দেখা হবে; হয়তো আগামী বইমেলায় হতে পারে!! না হলেও বাকি জীবন তো পড়েই আছে, তাই না? দেখা হবেই ৷ তোমার শেষের কথাটি খুব ভাল লেগেছে; আশীর্বাদ করি যাতে জীবনে সফল একজন মানুষ হতে পার; পরিবার ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পার ৷

৪০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: @ঢাকার লোক বলার আগেই আমার মনে একথাটা এসেছিল। মেকির স্থলে নকল লিখলে ষোলকলা পূর্ণ হয়। প্লাস

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
"মেকির স্থলে নকল লিখলে ষোলকলা পূর্ণ হয়।" পরিবর্তন করে দিয়েছি অলরেডি B-)¡¡

৪১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর অনুবাদ করেছেন । ++++++

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
পরি আপু, আপনার কমেন্ট পেয়ে অনুপ্রাণিত হলাম ৷মোফাসোঁর গল্পের সাথে ১০-১২ বছর আগে পরিচয় হলেও; উনার গল্পগুলো আগে খুব একটা পড়া হয়নি। এজন্য এতো বড় একজন সাহিত্যিক সম্বন্ধে তেমন কিছু জানতাম না; ফলে মূল্যায়ন করারও সুযোগ ছিল না। আমি ভেবে অবাক হই মাত্র ৪২ বছরের জীবনে কিভাবে এতো পাকা সাহিত্য রচনা করলেন? সত্যি অবিশ্বাস্য!!!

উনার লেখা ৩০০ টির মতো গল্প আছে; যার অধিকাংশই বিশ্বমানের। তাঁর লেখা উপন্যাসগুলোও বিশ্ব মানের। আরো কয়েকটি বছর যদি সুপার ন্যাচারল ট্যালেনটেড এই লেখক বেঁচে থাকতেন তাহলে বিশ্ব সাহিত্য আরো অনেক অনেক সমৃদ্ধ হতো।

ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো ৷

৪২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
عيد مبارك" "عيد مبارك" "عيد مبارك" "عيد مبارك" "عيد مبارك" "عيد مبارك"

العيد بلدي. سوف أغيب عن مدونتي في الأيام الخمسة القادمة للاحتفال بالخيال والعامة مع عائلتي وأقاربنا. يتمنى الجميع التوفيق للجميع ، كما نرجو من الجميع أن يحتفل بالعيد بفرح كامل. كن آمنًا دائمًا واستمتع بالحياة السعيدة.

شكرا لكم.

৪৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাই,
ঈদ আপনার জীবনে নিয়ে আসুক, সুখ, শান্তি, রহমত

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, ভাই প্রান্ত; ঈদের ছুটিতে নেটওয়ার্কের বাইরে ছিলাম তাই দেরীতে ঈদের শুভেচ্ছা দিলাম ৷আশা করি, তোমার ঈদের ছুটি উপভোগ্য হয়েছে ৷শুভ কামনা রইলো তোমার জন্য ৷

৪৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছ।।
শুভ কামনা নিরন্তর।
শান্তি আসুক সবার জীবনে।
আন্তরিক ভালোবাসা।
প্রিয় লেখক প্রিয়জন।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো প্রিয় রহমান লতিফ ভাই ৷আশা করি, ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেশ উপভোগ করেছেন ৷শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য ৷

৪৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বিশ্বনাটক নামে অনেক আগে ৯০ এর দশকে বিটিভিতে একটি অনুষ্ঠান হতো। সেখানে অনেক বিদেশী গল্পের নাট্যরূপ দেখতাম। অনেক সময় ছোটখাট নাটক দেখানো হতো।

নাট্যকার সাঈদ আহমেদ এক জন গুণী মানুষ ছিলেন।

আপনার অনুবাদ সুন্দর হয়েছে। তবে যদি সরাসরি মূল ফ্রেন্স ভাষা থেকে অনুবাদ করতে পারতেন তাহলে আরো ভালো হতে পারত। প্রথমে ফরাসী< ইংরেজি< বাংলা এই ভাবে আসল গল্পের আমেজ কমে যায়।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো, প্রিয় সাজ্জাদ ভাই ৷৯০ এর দশকে বিটিভি দেখার সৌভাগ্য হয়নি ৷এজন্য বিদেশী গল্পের নাঠ্যরূপ দেখা হয়নি ৷আপনি ঠিকই বলেছেন, "যদি সরাসরি মূল ফ্রেন্স ভাষা থেকে অনুবাদ করতে পারতেন তাহলে আরো ভালো হতে পারত। প্রথমে ফরাসী< ইংরেজি< বাংলা এই ভাবে আসল গল্পের আমেজ কমে যায়।"... সহমত আপনার সাথে ৷

৪৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গুরু গল্প তো বিশাল ব্যাপার ! আমি সামান্য মানুষ - আমি এই কৌলিন পরিবারের পোশাকের প্রেমে পড়েছি সেই স্কুল জীবনে !!!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরু,
ঈদ মোবারক৷আমি তো টাইটানিক ছবি রিলিজ হওয়ার পর কেট উইস্লেটের প্রেমে মশগুল হয়েছিলাম৷তার ভূবন ভুলানো মুচকি হাসি দেখলে বুকের মাঝে চিন চিন ব্যাথা করতো৷কত যে কল্পনা করতাম!! তবে খুশির কথা, কেট উইস্লেটের সাথে লন্ডনে দেখা হয়েছে৷ততো দিনে স্বপনের নায়িকার সেই সৌন্দর্য, সেই ফিগার আর নেই৷ তবে হাসিটা আগের মতোই আছে৷ স্টিফেন স্পিলবার্গের সাথেও দেখা হয়েছে, অনেকক্ষণ কথাও বলেছি৷

৪৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সিনেমার পর্দার নায়ক নায়িকা আর বাস্তবে দেখা নায়ক নায়িকা এক না, পরিচিত মুখ তারপরও অপরিচিত মনে হয়, গুরু কেট উইন্সলেট আমারো প্রিয় নায়িকা, তবে টাইটানিক ছবির আমলে আমি ছাত্র নই, ছাত্র বয়ষে তাদের কৌলিন পোষাকের প্রেমে পড়েছি - ব্রিটিস রমণীিদের বিয়ের পোশাক, কৌলিন পরিবারের পোষাক, প্রিন্সেসের পোষাক আমাকে সবসময় মুগ্ধ করে ।



২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরু,
প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ের দিনটিতে আমি সামনে থেকে দেখেছি৷ রয়েল ওয়েডিং যে এতো জৌলুস পূর্ণ হয় তা সামনে থেকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না৷এ অনুভুতি অসাধার, দেখার মতো৷তবে মেকাপ ছাড়া এরা অতি সাধারন৷ ঠিক সিনেমার নায়িকা এবং মডেলদের মতো৷

৪৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪০

কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন: গল্প সুন্দর, তার চাইতে সুন্দর গল্পের ছবিগুলো, পোষাক মানুষের বড় অলংকার ।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, কাজী ফররুখ আহমেদ ভাই৷আসলে গল্পটি অনেক লম্বা এজন্য পাঠকদের যাতে পড়তে কষ্ট কম হয় কিংবা পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এজন্য মাঝে মাঝে গল্পের সাথে রিলেটেড ছবি সংযুক্ত করেছি৷এ ছবিগুলো গল্পের কাহিনী কল্পনা করেই আঁকা হয়েছে৷

ভাল থাকবেন ভাই, শুভ রাত্রি ৷

৪৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

নিউজপ্রিন্ট বলেছেন: আমি ব্লগে নতুন, কিছু মনে করবেন না আপনি তো গল্পে সব সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়ে একাকার করে দিয়েছেন, গল্পের আকর্ষন যে ছবি দিয়ে করতে হয় বা ছবিও যে কথা বলে তা আপনার দি নেকলেস না পড়লে জানতে পারতাম না, আমার জন্য অত্যন্ত সুবিধা হয়েছে আমি প্রতিটি লেখাতে মানসম্মত ছবি দিবো, আর পরবর্তি আপনার পুরাতন সব পোষট আমি পড়বো, আপনি প্রাঞ্জল ভাষায় গল্প লেখেন, ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর গল্প আর সুন্দর ছবি উপহার দেওয়ার জন্য ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আমার ব্লগে স্বাগতম৷আশা করি সামুতে আপনার পথচলা সফল হবে৷আপনি আমার ব্লগবাড়ি ঘুরে দেখেছেন জেনে খুশি হলাম৷আমার লেখাগুলো একটু লম্বা হয় এজন্য লেখার সাথে রিলেটেড কিছু ছবি যুক্ত করি৷মূলত, আমি প্রবন্ধ ও ফিচার লেখি৷পাশাপাশি গল্প (অনুবাদ গল্পসহ) ও রম্য লেখি৷আমি লেখার সময় চেষ্টা করি যাতে তা সহজপাঠ্য হয়৷গল্প/প্রবন্ধ লেখার সময় চেষ্টা থাকে মূল বিষয়টিকে সহজভাবে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে৷কঠিন কথাটিকে আরো কঠিন করে নয়, আরো সহজ করে উপস্থাপন করাই হলো লেখকের স্বার্থকতা৷আমি তাই করার চেষ্টা করি৷

ভাল থাকুন আর সুন্দর সুন্দর পোস্ট লিখুন ৷

৫০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আগেই নজরে এসেছে, বড় দেখে পড়িনি।
আজ সময় নিয়ে পড়লাম।
আপনার অনুবাদ প্রথম শ্রেনির। অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশের চিন্তা ভাবনা মাথায় রাখতে পারেন।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
অনুবাদ গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো @ লিটন ভাই৷আপনাদের দেখে, আপনাদের লেখাগুলো পড়েই আমার পথচলা শুরু হয়েছে৷এজন্য আপনাদের দেওয়া উৎসাহ আমাকে প্রেরণা যুগায়, আশাবাদী করে৷জানি না অনুবাদটি কতটুকু সফলভাবে করেছি, তবে এতে চেষ্টায় কোন ত্রুটি ছিল না৷

"দি ন্যাকলেস" গল্পটি বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। ১৮৮৪ সালে মোফাসাঁর এ গল্পটি প্রকাশিত হওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় ১৩৪ বছর!! তবুও এ গল্পের আমেজ একটুও কমেনি। বরং যুগে যুগে আরো বেড়ছে। এ গল্পটি এ পর্যন্ত শতাধিক ভাষায় অনুবাদ হয়েছে!!! লেখকের এ রকম শতাধিক কালজয়ী গল্প আছে।

৫১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১১

শামচুল হক বলেছেন: সেই ১৯৭৮ সালে গল্পটি কলেজের বাংলা টিচারের কাছে শুনেছিলাম, আজ পুরো পড়লাম। অনুবাদ খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ কাওসার ভাই।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গল্পটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো শামচুল ভাই৷আপনি ১৯৭৮ সালে গল্পটি পড়েছেন!! অথচ তখন আমার জন্মই হয়নি৷আপনার গল্পগুলো আমার খুব ভাল লাগে৷

আসলে অনুবাদ খুবই দুরুহ একটি কাজ; এ গল্পটি অনুবাদ করতে আমার কত কর্ম ঘন্টা হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে তা হিসেব করে বলতে পারবো না। চাইলে এই পরিশ্রম ও ভাবনার খোরাক দিয়ে নিজে ২-৩ টি গল্প লেখা যেতো। শতাধিক বছর আগের সাহিত্যের ভাষায় এবং লেখকের ভাবনায় ভিন্নতা থাকে। অনেক পুরাতন শব্দ এখন বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া আমরা তো ফরাসি জানি না, এজন্য আশ্রয় নিতে হয় ইংরেজি অনুবাদের। কিন্তু ইংরেজি অনুবাদগুলোও অনেক সময় মানসম্পন্ন হয় না। মোফাসাঁর এ গল্পটি অনুবাদ করতে গিয়ে আমি তা টের পেয়েছি।

৫২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থায়, অসাধরন একটি গল্প।। এখানেই লেখকদের প্রাধান্য।। তারা ভুত-ভবিষ্যৎ দেখতে পান।।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো ভাই৷অনেক দিন পরে ব্লগে পেলাম৷আশা করি ভালই আছেন৷আপনি ঠিকই বলেছেন, "বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থায়, অসাধরন একটি গল্প।। এখানেই লেখকদের প্রাধান্য।। তারা ভুত-ভবিষ্যৎ দেখতে পান।"

গল্পের শেষ লাইনের টুইস্টটা পাঠককে ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘুরিয়ে দেবে; এটা অসাধারণ একটা ঝাঁকুনি। এই ঝাঁকুনির ফলে পাঠকরা গল্পটির কাহিনী আবার রিভাইজ করবে; গল্পের বিষয়বস্তু নিয়ে নতুন করে ভাববে; ম্যাথিয়েঁর জন্য দুঃখের একটি অনুভূতি হবে।

"দি ন্যাকলেস" গল্পটি বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। ১৮৮৪ সালে মোফাসাঁর এ গল্পটি প্রকাশিত হওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় ১৩৪ বছর!! তবুও এ গল্পের আমেজ একটুও কমেনি। বরং যুগে যুগে আরো বেড়ছে। এ গল্পটি এ পর্যন্ত শতাধিক ভাষায় অনুবাদ হয়েছে!!! লেখকের এ রকম শতাধিক কালজয়ী গল্প আছে।

৫৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

নাবিলা নিতু বলেছেন: যদিও গল্পটা আমার জানা তবুও পড়লাম ভালো লাগলো

আসলে সবার-ই বুঝা উচিত সে যেমন তেমন কিছুই আসা করা উচিত এর বেশি কিছু আসা করা ভুল

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
নাবিলা নিতু আপু, গল্পটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ রইলো৷আপনি খুব ভাল লেখেন৷ আশা করি অল্প দিনেই সেফ হবেন৷শুভ কামনা রইলো৷নিয়মিত লিখুন, মন খুলে৷

৫৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

নজসু বলেছেন: জ্বী পাঠ করলাম। এটি একটি অনবদ্য রচনা।
জীবন সংগ্রামে পরাজিত হওয়া কিংবা না হবার এক মহামূল্যবান রত্ন The Necklace।
অনেকদিন আগে পড়েছিলাম আর মন খারাপ ছিল অনেকটা সময়। যদিও পরাজয় নয় তবু এই ধরনের অনেক ঘটনা এখনও ঘটে।
Henri- Renri-Albert-Guy de Maupassant এর আরেকটা গল্প Boule de Suif পড়েছিলাম। সেটিও ভালো লেগেছিল।
হৃদয়ে দাগ কাটে The Necklace এর গল্পের মতো আর অন্য কোন অনুবাদ পড়েছিলাম কিনা মনে নেই।
লেখক মানসিক রোগী ছিলেন। গল্পগুলো তার জীবনের ছায়া কিনা জানিনা।
শ্রদ্ধেয়, তবে একটা কথা স্বীকার করতে হবে আপনার অনুবাদের ধরনটি খুবই সরল। এতোটাই গুছিয়ে লিখেছেন পাঠক হিসেবে কোথাও থমকে যেতে হয়নি।
ভালো থাকবেন।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল 'নজসু' ভাই। আপনি খোঁজে খোঁজে আমার আগের একটি অনুবাদ গল্প পড়েছেন জেনে প্রীত হলাম। আমরা ব্রিটিশদের কলোনিয়াল হওয়ায় ইংরেজি সাহিত্য সবচেয়ে বেশি পড়ার সুযোগ পেয়েছি। বিশ্বমানের স্পেনিশ, রাশিয়ান ও ফরাসি সাহিত্য আমাদের তেমন পড়া হয়নি; যেমন- আর্জেন্টিাইন বিখ্যাত সাহিত্যিক 'Jorge Luis Borges' এর নাম আমাদের দেশের অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষও জানেন না!! এছাড়া কলম্বিয়ান 'Gabriel Garcia Marquez'; চিলির 'Pablo Neruda'; আর পেরুর 'Mario Vargas Llosa' কে তো বর্তমান সময়ের সেরা স্পেনিশ সাহিত্যিক ধরা হয়।

আপনি বিদেশি সাহিত্য নিয়মিত চর্চা করেন জেনে ভাল লাগল। জ্ঞান আহরণের জন্য সাহিত্যের কোন বিকল্প নেই। আর 'মুফাসা' যে মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন তা জানতাম না। আসলে অনুবাদে আমি এখনো শিশু; বিদেশি সাহিত্য নিয়মিত চর্চা করলেও অনুবাদ করার সাহস হয়নি। এখন বেশ কয়েকটি গল্প অনুবাদের জন্য নির্বাচিত করে রেখেছি, সময়ের অভাবে পারছি না। অনুবাদ করা আমার কাছে খুব কঠিন লাগে।

আর অনুবাদ করতে প্রচুর খাটতে হয়; অনেক সময় দিতে হয়; বিষয়বস্তু আর লেখার সময়কার ধারণা থাকতে হয়। আমি লেখায় সব সময় শতভাগ কোয়ালিটি মেইনটেন করতে চেষ্টা করি। এজন্য সব লেখা অনেক সময় নিয়ে লিখি। আমি নিজের লেখা গল্পগুলোতেও বিষয়বস্তু আর ভাব 'সরল' রাখার চেষ্টা করি। এতে পাঠকের জন্য সহজ হয়। আমি কঠিন বিষয়টি, কঠিন কথাটি সহজ ভাষায় বলার চেষ্টা করি।

অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য। ভাল থাকবেন সব সময়।

৫৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৯

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: অনেক আগে পড়েছিলাম। দুর্দান্ত গল্প

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



অনুবাদ গল্পটি আবারো পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।

৫৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

ইরাবতী (ভূতের পেত্নী) বলেছেন: উচ্চমাধ্যমিক দেবার সময় সিলেবাসে দ্যা নেকলেস গল্পটি ছিলো তখন কারনে অকারণে গল্পটি পড়তাম ৷ সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো পড়তাম আক দৃশ্যগুলো মনে মনে কল্পনা করতাম জেনো সব চোখের সামনে হচ্ছে ৷ দীর্ঘ দু বছর পর আবারো পড়লাম ৷ ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি দেবার জন্য ৷

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এই গল্পটিও আপনার পড়া হয়ে গেছে!! তারপরও আবারো ব্লগে এসে পড়েছেন এবং মূল্যবান কমেন্ট করে নিজের উপস্থিতি জানিয়ে গেছেন। এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে। দারুন টুইস্ট নির্ভর এ গল্পটি বিশ্ব সাহিত্যের ছোট গল্পের উল্লেখযোগ্য সংযোজন।

আবারো শুভেচ্ছা রইলো। ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.