নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধূমকেতু (গল্প)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:২৫


১.
কাজের তেমন ব্যস্ততা নেই আজ। তারপরও প্রতিদিনের মত রেবেকা ম্যাডাম ঠিক সময়ে অফিসে এসেছেন। সকাল নয়টা থেকে নয়টা তিরিশের মধ্যে অফিসে পৌছান তিনি। গত দুই-তিনদিন থেকে সারা দেশে রাজনৈতিক আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন আর হরতাল-অবরোধ থাকায় অফিসের ব্যস্ততা তুলনামূলক কম। এত রাজনীতি, এত আন্দোলন, এত মিছিল-মিটিং কেন হয় তা রেবেকার ছোট মগজে ধরে না। কবে ইলেকশনে ভোট দিয়েছিলেন মনে নেই; ভোট-জোট আর ক্ষমতার রাজনীতিতে কোন আস্থা নেই রেবেকার। দলগুলোর মারামারি, কাটাকাটি, হানাহানি ও হিংসা-বিদ্বেষের জন্য প্রায় সময় ব্যবসায় লস গুনতে হয়, বিদেশি ভায়াররা দেশে আসতে ভয় পায়, সময়মতো শিপমেন্ট হয় না। এজন্য বিদেশীদের কাছে নিজের দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয়।

ম্যাডাম এতে বিব্রত হন। সাথে বাড়ে দেশ-দশের লজ্জা।

বায়িং হাউজের ব্যবসা রেবেকার। বনানীতে বহুতল ভবনে বিশাল অফিস তার। ২১ তলা ভবনটির টপ ফ্লোরে বসেন তিনি। কোম্পানির অধীনে ১১টি গার্মেন্টস আাছে তাদের; চারটি মিরপুরে, পাঁচটি টঙ্গী আর বাকি দু'টি নারায়নগঞ্জে। বিশাল এ কোম্পানীর চেয়ারপার্সন হলেন রেবেকা ম্যাডাম। বনানীর এ অফিসটা মূলত বিদেশী বায়ারদের সাথে অন্যান্য কোম্পানীগুলোর সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া প্রতিটি গার্মেন্টসের দায়িত্বে থাকা একজন করে জিএম আছেন এখানে। আছেন কোম্পানির এইচআর, ডিজাইনার, মার্চেন্ডাইজার ইত্যাদি বহু পদবীর লোকজন।

সব ক'টি কোম্পানীর অপারেটর/অফসিয়াল মিলে প্রায় চব্বিশ হাজার মানুষ রেবেকার অধীনে কাজ করেন। তবে বনানীর এ অফিসে আছেন সর্ব সাকুল্যে ৯৩ জন কর্মচারী/কর্মকর্তা। লক্ষনীয় বিষয় যে, তার অফিসে কর্মরত অফিসার/কর্মচারীদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি মহিলা। মহিলাদের জন্য আছে আলাদা ওয়াশ রুমের সুব্যবস্থা। মহিলারা যাতে অফিসে কমফোর্ট ফিল করেন এজন্য সদা সতর্ক থাকেন তিনি। মহিলা কর্মচারী, কর্মকর্তাদের জন্য আছে বেতন সহ ছয় মাসের মাতৃত্বককালীন ছুটির বিধান। এছাড়া বিবাহ ভাতার ব্যবস্থাও আছে।

প্রতিদিন অফিসে এসে নিয়ম করে এক কাপ গ্রীন টি পান করেন তিনি। বেশ কয়েক বছর থেকে নিয়মিতভাবে চলছে এটি। আজও তার ব্যতিক্রম হয় নাই। প্রতিদিন নিজেই ইলেকট্রিক কেটলিতে পানি গরম করে চা তৈরী করেন। একান্ত প্রয়োজন না হলে কর্মচারীদের বিরক্ত করেন না। আজ দিনটি মেঘলা, মাঝে মাঝে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। বৈশাখ মাসের এ সময়টাতে কালবৈশাখী হয় বলে খুব ভয় পান তিনি; এমনকি বিদ্যুৎ চমকালেও ভীষণ ভয় হয়। পত্রিকায় পড়েছেন ইদানিং বজ্রপাতে বাংলাদেশে অনেক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।

ছোট বেলা থেকেই অন্ধকার, ঝড় ও বজ্রপাতকে তিনি এড়িয়ে চলতে চান।

রেবেকা ম্যাডামের অফিসটি বেশ ছিমছাম। গোছানো। আছে চার-পাঁচটি চেয়ার, একটি আলমারি ও দু'টি সেল্ফ। এছাড়া আছে মাঝারি আকারের একটি সোফা ও ওয়াশরুম। আছে দক্ষিণমুখী একটি জানালা। জানালাটি সব সময় ভারী পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে। পুরো অফিসটি এসি। এজন্য রুমের পর্দা/জানালা খোলার তেমন প্রয়োজন পড়ে না। যখন ঝম ঝম বৃষ্টি হয়, পশ্চিম আকাশে সূর্য হেলে পড়ে তখন পর্দাটা একটু ফাঁক করে প্রকৃতির এ রূপ-সৌন্দর্য উপভোগ করেন তিনি।


২.
মানুষের জন্ম, শৈশব, কৈশর আর যৌবনকাল কতই না বৈচিত্র্যময়; একটি সময়ের ভাবনা, ভাল লাগা-মন্দ লাগা, স্বপন-উপলব্ধি, চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে কত যে দূরত্ব তা কেউ কখনো মেপে দেখে না। বয়স বাড়ার পাশাপাশি মানুষের চিন্তা চেতনায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে, আসে পরিপক্বতা। অথচ জীবনের এতো এতো অভিজ্ঞতা অর্জন করার পরও মানুষ ভুলের মধ্যে বসবাস করে। যা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত চক্রাকারে আবর্তিত হয়। বিষয়টি ইদানিং খুব বেশি ভাবায় রেবেকা ম্যাডামকে।

হঠাৎ দরজায় জিএম হারুন সাহেবের নক শুনে ভাবনায় ছেদ পড়লো তার।
-- কি অবস্থা জিএম সাহেব, কিছু বলবেন?
-- সুখবর আছে ম্যাডাম। সুইডেনের এইচ এন্ড এম কোম্পানির অর্ডারটি ফাইনাল হয়ে গেছে। আগামী ক্রিসমাসের আগে তারা পঞ্চাশ হাজার পিস লেডিস সার্ট ও ত্রিশ হাজার পিস লেডিস ডেনিম প্যান্ট আমাদের কাছ থেকে নেবে। আর ইউএস এর গ্যাপের অর্ডারটিও দুই-এক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যাবে। জার্মানির এডিডাসের শিপমেন্ট আজ বিকালে হয়ে যাবে আশা করছি।
-- ভাল। খুশির সংবাদ। আপনারা সঠিকভাবে কাজ করছেন এজন্য এইচ এন্ড এমের কাজটি পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
-- না, ম্যাডাম এ কৃতিত্ব আপনার। আপনি দক্ষ হাতে কোম্পানিটা পরিচালনা করছেন বলে আমরা সফলতা পাচ্ছি।
জিএম লোকমান সাহেবকে আবারো ধন্যবাদ জানিয়ে ফাইলে সই করলেন রেবেকা ম্যাডাম। ফাইলটি তার হাতে দিতে দিতে প্রশ্ন করলেন-
-- নতুন কাজটির তদারকির দায়িত্ব কাকে দিয়েছেন?
-- এখনো কাউকে সিলেক্ট করা হয়নি, ম্যাডাম।
-- দায়িত্বটা মিস্ মিলা রহমানকে দেবেন। আর তাকে বলবেন, এক্ষুণি যেন আমার সাথে এসে দেখা করে।
-- ঠিক আছে ম্যাডাম, আ-সি।
-- হ্যা, শুনুন। আরেকটি কথা........
-- জি, ম্যাডাম।
-- বিকাল তিনটায় সব সেক্টরের জিএমদের নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয় আছে, সবাইকে জানিয়ে দেবেন। নতুন একটি নিট ওয়ার কোম্পানি খোলার প্লান আছে।
-- জি, অবশ্যই।

রেবেকা ম্যাডামের অফিসে অদ্ভুত একটি নিয়ম আছে। নিয়মটি এরকম; কোম্পানীর জিএম/ম্যানেজার/বায়ার/মার্চেন্টাইজারের কাছে তিনি ম্যাডাম। তবে সাধারণ কর্মচারী/শ্রমিকদের কাছে তিনি আপা। রেবেকা আপা। এটি তার অফিস অর্ডার।

গত চার বছর হলো রেবেকা ম্যাডাম কোম্পানীর চেয়ারপার্সনের দায়িত্বে আছেন; স্বামী আসলাম বেপারী মারা যাওয়ার পর থেকে। অতিরিক্ত নারী, ইয়াবা আর মদের আসক্তি স্বামী নামের লোকটিকে শেষ করে দিয়েছে অকালে। লিভার ও কিডনি ডেমেজে মৃত্যু হয়েছে তার। স্বামীর মৃত্যুর পর অনেক ঝড়-তুফান গেছে রেবেকার উপর দিয়ে। আসলামের বিশাল এ সম্পদের উপর অনেকেরই লোলুপ দৃষ্টি ছিল। অনেক মামলা মোকদ্দমাও মোকাবেলা করতে হয়েছে রেবেকাকে। কিছু সম্পদ হাতছাড়া হলেও কোর্টের রায়ে স্বামীর বেশিরভাগ সম্পদ ফিরে পেয়েছেন তিনি।

রিসিপশনিস্ট হিসাবে আসলাম বেপারীর একটি কোম্পানীতে চাকরি করতেন রেবেকা। মফস্বলের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ঢাকায় মামার বাসায় থেকে জগন্নাথ কলেজ হতে মার্কেটিংয়ে অনার্স করেছেন তিনি। পাশাপাশি ইংরেজি বিষয়েও তার ভাল দখল ছিল। দেখতে আহামারি সুন্দরী না হলেও শ্যামলা চেহারার মাঝারি গঠনের আধুনিক, স্মার্ট একটি মেয়ে ছিলেন রেবেকা ম্যাডাম। ছোটবেলা থেকেই খুব চটপটে, মেধাবী ও কর্মট ছিলেন তিনি। কম্পিউটারে ভাল টাইপও জানতেন।

কাজ করতে করতে কখন যে আসলাম বেপারীর শিকারে পরিণত হলেন আজো ভেবে পান না তিনি। এ বিয়েতে রেবেকার কোন মত না থাকলেও পরিবারের চাপাচাপিতে শেষ পর্যন্ত রাজি হন। বিয়ের আগে আসলাম লাগামহীন জীবনযাপন করলেও পরবর্তীতে রেবেকা তাকে অনেকটা কন্ট্রোলে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু রক্তে বহমান নিষিদ্ধ আসক্তি শেষ পর্যন্ত কাল হল তার। স্বামী নামের লোকটার জন্য তেমন মায়া নেই রেবেকার, তবে আছে কৃতজ্ঞতাবোধ আর কিছু অম্ল-মধূর স্মৃতি।

রেবেকা ম্যাডামের একমাত্র ছেলে পার্থ অস্ট্রেলীয়ায় পড়াশুনা করে। হলিডে হলে বছরে দু'বার দেশে আসে। মা কখনো চান নাই ছেলেটা বিদেশে পড়তে যাক। শেষ পর্যন্ত ছেলের জেদের কাছে হার মানতে হয়েছে তাকে। বাবার সম্পত্তি, ব্যাবসা-বাণিজ্য কোন কিছুর প্রতি ছেলেটির তেমন আগ্রহ নেই। ভয় হয় যদি ছেলেটি ফিরে না আসে? ছেলেকে নিয়ে বেশী ভাবতে পারেন না রেবেকা। ইদানিং কি যেন হয়েছে তার; একটু টেনশন হলে প্রেসারটা হাই হয়ে যায়। মাথা ভন ভন করে ঘুরায়। চোখে অন্ধকার দেখেন।

ছোটবেলায় টিভি দেখার প্রতি খুব আগ্রহ ছিল তার; তবে নিজেদের বাড়িতে কোন টিভি ছিল না। যখন নানু বাড়িতে বেড়াতে যেতেন তখন ফিলিপ্সের সাদা কালো ১৪ ইঞ্চি একটি টিভি দেখার সুযোগ পেতেন। বহু আকাঙ্খিত ছিল সেই টিভি দেখা। এছাড়া প্রতিদিন পাড়া প্রতিবেশি অসংখ্য মানুষ টিভি দেখতে ভীড় করতো নানা বাড়িতে। শুক্রবার বিকালে বিটিভিতে বাংলা ছায়াছবি দেখানো হত বলে পাড়া প্রতিবেশী থেকে প্রচুর দর্শক সমাগম ঘটতো। ব্যাপারটি বেশ ভাল লাগত রেবেকার।

কিশোরী রেবেকার স্বপ্নগুলো ছিল খুব সাদামাটা। একটি রঙিন টেলিভিশন। একটি দুই কামরার ছোট্ট টনশেডে ঘর। দুই বেলা পেট ভরে ডাল ভাত। একজন ট্রেন ড্রাইভার স্বামী। তিনটি ফুটফুটে বাচ্চা। একটি স্টাইলিশ চায়নিজ কালো চশমা। সুন্দর লাল পাড়ের একটি বেনারসি শাড়ি। সিলেটের জাফলং, খুলনার সুন্দরবন আর কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি।

এখন তার বাসায় সনির ৬২ ও ৪০ ইঞ্চি দু'টি স্মার্ট টিভি আছে, কিন্তু দেখা হয় না। উত্তরায় আট বেডরুমের ডুপ্লেক্স ভিলা তার। এ পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় বিশ-বাইশটি দেশ ঘোরা হয়ে গেছে। কিন্তু অবাকের বিষয় এত প্রাচুর্য্যও তাকে আকৃষ্ট করতে পারে না, সুখ দিতে পারে না। বাসায় গেলে একাকীত্ব আর ভালবাসার আকাঙ্খা তাকে কুড়ে কুড়ে খায়। প্রাসাদপম এ অট্টালিকাকে কখনো কখনো তার কাছে নরক মনে হয়।

-- আপা, আসতে পারি?
-- হুম, আসো; কিছু বলবে শেফালি?
চোখের ইশারায় রিসিপশনিস্ট শেফালিকে সম্মতি দিয়ে জানতে চাইলেন।
-- আপনার নতুন যে ড্রাইভার আসার কথা ছিল উনি এসেছেন। আপনি অনুমতি দিলে ভেতরে নিয়ে আসবো।
-- ঠিক আছে পাঠিয়ে দাও।

ড্রাইভিং লাইসেন্সটা হাতে নিয়ে রেবেকা চমকে উঠলেন, নামটি খুব পরিচিত তার। কিন্তু লোকটিকে তো পরিচিত মনে হচ্ছে না।
-- ম্যাডাম?
হাতের ইশারায় উনাকে সামনের চেয়ারে বসতে বল্লেন। সাথে প্রশ্ন জুড়ে দিলেন-
-- আপনি আগে কোথায় কোথায় চাকরি করেছেন?
-- ম্যাডাম, আমি গত বিশ বছর কুয়েতে এক শেখের বাড়িতে গাড়ি চালিয়েছি। এর আগে দুবাইতেও কয়েক বছর ড্রাইভিং করেছি।
-- পড়াশুনা কতদূর আপনার?
-- পড়াশুনা তেমন করতে পারি নাই ম্যাডাম। ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময় পরিবারের হাল ধরতে দুবাই চলে যাই। এক বছর হলো একেবারে দেশে চলে এসেছি। আমার ইচ্ছা ছিল না, ছেলে-মেয়েরা জোর করে নিয়ে এসেছে। আমার ওয়াইফও চাচ্ছিলেন আমি দেশে চলে আসি। আপনাদের দোয়ায় বউ বাচ্চা নিয়ে অনেক সুখে আছি, ম্যাডাম।
-- ভালো। দেশে থাকলে পরিবারকে আরো বেশি সময় দিতে পারবেন।
-- হোম ডিসট্রিক্ট?
-- বাড়ি ম্যাডাম গাইবান্ধা।
-- গাইবান্ধা?
-- জি।
-- ইন্টারমিডিয়েট কারমাইকেল কলেজ, রংপুর?
মুখের দিকে চেয়ে চট করে বলে উঠলেন, রেবেকা ম্যাডাম।
-- কেমনে জানলেন ম্যাডাম, লাইসেন্সে তো কলেজের নাম লেখা নেই?
-- এখন কি আপনি কোথাও চাকরি করেন?
-- হ্যা, ম্যাডাম। একজন ডাক্তারের প্রাইভেট কার চালাই। কিন্তু সুযোগ সুবিধা তেমন পাই না। বুঝেনই তো সংসারে খরছ বেড়ে গেছে। বড় কোন কোম্পানীতে কাজ করলে হয়তো বেশি সুযোগ সুবিধা পাব এজন্য এসেছি।
-- ঠিক আছে। আপনার কন্টাক্ট নাম্বারটি রিসিপশনে রেখে যান। আপাতত আমাদের কোন ড্রাইভার লাগবে না। প্রয়োজন হলে অবশ্যই কল করব।
-- ঠিক আছে ম্যডাম। আসি।


৩.
মোবাইল নাম্বারটা স্বচ্ছ ভারী কাঁচের টেবিলের নীচে রাখা হলেও টানা টানা হাতের লেখা সংখ্যাগুলো দেখলেই প্রতিনিয়ত চোখ আটকে যায় রেবেকার। মনের অজান্তে কাজের ফাঁকে চোখ দু'টি ঠিকই সংখ্যা দু'টিকে খোঁজে ফেরে। ০১ দিয়ে শুরু হয়ে নাম্বারটা শেষে হয়েছে ০৭ দিয়ে। জুলাই মাসের প্রথম দিনটি হলো রেবেকার জন্মদিন; হয়তো এজন্য সংখ্যাগুলো তাকে টানে!

আনমনে পত্রিকার পাতা ওল্টাতে পাল্টাতে হঠাৎ ছোট্ট একটি সংবাদের দিকে দৃষ্টি পড়লো রেবেকার, "আজ সন্ধা ছয়টায় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে দেশের সেরা লাইব্রেরিয়াকে সংবর্ধনা দেবে সরকার।" অনুষ্ঠানে রেবেকা ম্যাডামেরও উপস্থিত থাকার কথা; দেশের প্রথম সারির করদাতা হিসেবে সরকার তাকে সিআইপি মর্যাদা দিয়েছে। অথচ ইদানিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আসয় বেমালুম ভুলে যান তিনি। তবে আজকে যাবেন, এমন গুণী মানুষটির সাক্ষাতের সুযোগ পাওয়া কম কথা নয়।

ছয়টা বাজার বিশ মিনিট আগেই রেবেকা ম্যাডাম হলরুমে গিয়ে উপস্থিত। অতিথিরা তখনো আসছেন; মঞ্চের সামনে ভিআইপিদের জন্য সংরক্ষিত একটি আসনে বসতে বসতে চোখে পড়লো সোনালী মলাটে আবৃত একটি খাম। খামটি খোলতেই দৃষ্টিগোচরে আসলো সংবর্ধিত অতিথির সংক্ষিপ্ত বায়োগ্রাফি।

সুধী,
তিনি শুধু একজন ব্যক্তি নন; তাঁকে একটি প্রতিষ্ঠান বললেও কম বলা যাবে। প্রচার বিমূখ এ মানুষটি জীবনের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছেন বই কেনার পেছনে। লাইব্রেরির প্রয়োজনীয়তার কথা মানুষের মাঝে প্রচার করতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দিনের পর দিন ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি খুব বেশি পড়াশুনা করতে না পারলেও জ্ঞান পিপাসু একজন গুণী ব্যক্তি। তিনি বিশ্বাস করেন-

"কেবলমাত্র বই পড়েই সমাজ পরিবর্তন করা সম্ভব; বই মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে ধাবিত করে, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ দূর করে। নিজের চিন্তা-চেতনা ও বিবেককে শানিত করে। এছাড়া বই সমাজের পারষ্পরিক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো মজবুত করে। একটি জাতি যখন শিক্ষিত হয় তখন দেশের মর্যাদাও বিশ্ব দরবারে উপরের দিকে থাকে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে শুধু পাঠ্য বই পড়লে চলবে না, এজন্য প্রয়োজন অপাঠ্য বইয়ের প্রয়োজনীয় অনুশীলন। আর প্রয়োজনীয় বইয়ের অন্যতম ভান্ডার হলো লাইব্রেরি।"

বই পড়া আর লাইব্রেরির প্রতি ভালবাসার টানে তিনি কখনো সংসারমুখী হন নাই। তিনি যে টাকা উপার্জন করতেন তার সবটুকু বই কেনার পেছেনে খরছ হয়ে যেত। তাঁর ধারণা ছিল সংসারি হলে যে সামান্য টাকা তিনি উপার্জন করেন তা থেকে সংসার খরছ বাদে বই কেনার কোন টাকা অবিশিষ্ট থাকবে না। আজ তাঁর প্রতিষ্ঠিত ''আলোর পথে, বইয়ের সাথে" লাইব্রেরিতে দেশি বিদেশি প্রায় পঁচিশ হাজার বই আছে। এটি এখন দেশের অন্যতম বড় পাঠাগারের মর্যাদা পেয়েছে। এজন্য তাকে অভিনন্দন জানাই।

"শুভেচ্ছান্তে, আয়োজক কমিটি।"

রেবেকা ম্যাডাম এক নিঃশ্বাসে বায়োগ্রাফিটি পড়ে শেষ করতেই মঞ্চের পেছনের বড় পর্দায় চোখ আটকে গেল!! হঠাৎ খেয়াল হলো অতিথি আসনে সবার মধ্যমনি হয়ে চুপচাপ বসে আছেন আজকের সংবর্ধিত ব্যক্তি। কখন যে উনি এসে আসনে বসেছেন খেয়াল নেই। শত শত মানুষের করতালির শব্দে তাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন উপস্থাপক।

উপস্থাপক বলতে লাগলেন, " ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময় জীবিকার সন্ধানে পরিবারের ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা করতে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন আরবের মরুভূমিতে। সারাদিন সেখানে উট চরাতেন। তবে রাতের বেলা সময় কাটতো না তার। দেশে থাকতে বইয়ের পোঁকা হলেও বিদেশে বাংলা বই পাওয়ার কোন সুযোগ ছিল না। দিন যতই গড়াতে লাগলো নিজেকে তিনি রোবট ভাবতে শুরু করলেন। দেশে থাকতে সৃজনশীল যে মন মানসিকতার সৃষ্টি হয়েছিল তা ধীরে ধীরে পরিচর্যার অভাবে মরিচা ধরতে শুরু করলো। নরক যন্ত্রণায় পুড়তেন; মনে হত তাঁর নিজের কোন অস্তিত্ব নেই, কোন জিজ্ঞাসা নেই, স্বাদ-আহ্লাদ নেই, কোন মগজ নেই। গাঁধা আর নিজের মধ্যে পার্থক্য খুঁজতেন তিনি।

সংকল্প করলেন দেশে ফিরে জমানো সব টাকা দিয়ে বই কিনে মানুষের মাঝে বিতরণ করবেন, লাইব্রেরি দেবেন, মানুষকে শিক্ষা অর্জন করার তাগিদ দেবেন। আর কোন মানুষ যাতে পরিবারের ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা করতে বিদেশে কামলা দিতে না হয়। তিনি আমাদের আজকের সম্মানিত সংবর্ধিত অতিথি জনাব জয়নাল আবেদীন; বাড়ি গাইন্ধা জেলার পলাশ বাড়ি উপজেলায়। আসুন সবাই দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে আমাদের আজকের সংবর্ধিত অতিথিকে বরণ করে নেই। তাকে অভিবাদন জানাই।

রেবেকার দু'গাল বেঁয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো; অনেকটা উঁচু সুইচগেট দিয়ে আটকানো সর্বনাশা বড় কোন নদীর জল যেমন বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে অল্প অল্প গড়িয়ে পড়ে ঠিক তেমনই। এ অশ্রু আনন্দ নাকি বেদনার, নাকি জোর করে ছাই চাপা দিয়ে আটকানো কোন তুষের আগুনের তা বলা মুশকিল। জয়নাল আবেদীন নামে সবাই তাকে চিনলেও রেবেকা মারুফ বলে ডাকতো। গাইবান্ধায় বাড়ি বলে রেবেকা প্রায়ই তাকে 'গাই গরু' বলে খেপাতো। কারমাইকেল কলেজের মাত্র দেড় বছররের সহপাঠি হলেও তিনি ছিলেন রেবেকার পৃথিবী। এক টুকরো কিশোরী মনের আলপনা-কল্পনা; বাকি জীবনটা এগিয়ে নিয়ে চলার গীতিকাব্য। হঠাৎ করে হারিয়ে যাওয়া ধূমকেতু।

তাহলে ড্রাইভারের ইনটারভিউতে কেন তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন? তিনি কি প্রিয়তমা রেবেকাকে চিনতে পেরেছিলেন? নাকি নিজের গিফট করা পিতলের আংটিটা রেবেকার হাতে দেখতে পেয়েছিলেন?

জানা নেই রেবেকার।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

চাইলে পড়তে পারেন-
আমার সবচেয়ে পঠিত পোস্ট।
অনুবাদ গল্প-(দি নেকলেস)
দি গিফট অফ দ্যা ম্যাজাই
গল্প লেখার সহজ পাঠ
সবচেয়ে পঠিত প্রবন্ধ।
আধুনিক কবিতার পাঠ (সমালোচনা)
আলোচিত ফিচার 'দি লাঞ্চিয়ন'।
ব্রিটেনের প্রবাস জীবন- স্মৃতিকথা।
সবচেয়ে পঠিত গল্প।
সবচেয়ে লাইকপ্রাপ্ত গল্প।
ছবি ব্লগ (লন্ডনের ডায়েরি-১)।

মন্তব্য ৯৬ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (৯৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৩২

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
আহা, জীবন এমন কেন?
গল্প সুন্দর হয়েছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
প্রিয় @ স্বপ্নীল ফিরোজ ভাই, সর্ব প্রথমে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে কড়া এক কাপ কফির শুভেচ্ছা দিলাম৷গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে৷আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা৷ভাল থাকবেন ৷

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
১৮ কোটি মানুষের দেশে ক ঘটনা দুর্ঘটনা ঘটে। কে রাখে তাদের খবর।
কেউ কেউ হারিয়ে যায়। কেউ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
অসাধারণ গল্প। শুভ কামনা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় সাজ্জাদ ভাই, আশা করি প্রবাস জীবনে পরিবার নিয়ে ভাল আছেন৷গল্পটি পড়ে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম৷আর লাইক দিয়ে উৎসাহ দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো৷শুভ কামনা সব সময় আপনার জন্য ৷

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০২

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার গল্প।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো মামুন ইসলাম ভাই৷শুভ কামনা রইলো ৷

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:

যা চেয়েছি েকন তা পাইনা
যা পেয়েছী কেন তা চাইন . . .
সকল জীভনেই বুঝি এমন ধুমকেতুর গল্প থাকে! অলক্ষ্যে অগোচনে জল ঝড়ায় চোখের কোনে!
আর্দ্র হয় হৃদয়!

গল্পে ভাললাগা

++++

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় @ বিদ্রোহী ভৃগু ভাইকে পেয়ে মনটি ভাল হয়ে গেল৷আপনি ঠিকই বলেছেন, "যা চেয়েছি কেন তা পাইনা যা পেয়েছী কেন তা চাইন; সকল জীবনেই বুঝি এমন ধুমকেতুর গল্প থাকে! অলক্ষ্যে অগোচনে জল ঝড়ায় চোখের কোনে! আর্দ্র হয় হৃদয়৷"

এটাই জীবনের আসল রূপ; যা পাই তা ভুল করে পাই আর যা চাই তা পাই না৷তবুও জীবন চলছে তার আপন গতিতে৷এ গতির শেষ হবে জীবণ প্রদীপ না নেভা পর্যন্ত৷শুভ কামনা রইলো প্রিয় কবির জন্য ৷

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার জন্য বেশী বড় হয়ে গেছে

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কমেন্টে নিজের অভিমত জানিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে৷গল্পটি আপনার জন্য কিছুটা বড় হয়ে গেছে এজন্য খারাপ লাগছে৷আমি গল্পটি খন্ড খন্ড করে পোস্ট করিনি গল্পের সাবলীলতা নষ্ট হয়ে যাবে বলে৷তবে কষ্ট করে পুরোটা গল্প পড়লে আপনার ভাল লাগবে৷গল্পের শেষ অংশটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ; এজন্য পুরোটা না পড়লে গল্পের মূল ভাবনার বিষয়টি অজানাই থেকে যাবে৷আপনার সু-স্বাস্থ্য কামনা করছি ৷

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১০

রাকু হাসান বলেছেন: বস :) ক্লাসে যাই । পরে এসে পড়ে মন্তব্য করবো ঠান্ডা মাথায় । আপনার লেখার প্রতি বিশ্বাস আছে যে ভাল হবেই ,সেই সুবাধে লাইক দিয়ে গেলাম ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় রাকু হাসান ভাইকে৷আমার প্রতি অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস আছে বলেই সকাল বেলার শুভেচ্ছা ও লাইক দিয়ে গেলেন৷সত্যি মনটা দারুণ খুশি হলো৷জানি না, গল্পটি পড়ে আপনি পুরোপুরি সেটিসফেকশন পাবেন কিনা, তবে গল্পটি পড়ে আবারো নিজের অনুভূতিটা শেয়ার করলে খুশি হবো৷আমার টেনশনটিও কিছুটা লাঘব হবে৷পাশাপাশি, পড়াশুনাটা যাতে আরো ভাল হয় এই কামনা রইলো ৷

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: কাওসার ভাই শুভ সকাল।
খুব সুন্দর গল্প। সহজ সরল প্রানবন্ত।
রেবেকা'র জন্য শুভ কামনা। তবে রেবেকার চেয়ে শেফালিকে আমার বেশি ভালো লেগেছে।
শেষে যে বই এর গুরুত্ব তুলে ধরেছে তা খুব চমৎকার হয়েছে।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গল্পটি পড়েছেন জেনে খুশি হলাম রাজিব ভাই৷আসলে গল্পের শেষ অংশটি হলো গল্পের প্রাণ৷রেবেকার জীবনে আরেকটা টার্নিং পয়েন্ট৷আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো ৷

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: এমনি তেই মেজাজ গরম। তার উপর আগের মন্তব্যটা সেন্ড করার আগেই মুছে গেল..




১. আপনার প্রোপিকে, বদ্ধ বাল্বের ভেতর মোমবাতি কীভাবে জ্বলে! বুঝিনা।
কোন ব্যাখ্যা?

২. সামুতে আপনার অন্য আইডি আছে?? (নিক থাকা দোষের নয়, নিকের অপব্যবহার দোষের। আশাকরি ভেতরের কথা বুঝেছেন..)


লেখালেখি চলুক..

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



জানেমন গুরু,
আপনার মেজাজ কবে শান্ত আছিলোা!! কমেন্ট করতে আসলেই মেজাজ গরম থাকে কেন? এই বেয়াড়া মেজাজটি কনট্রোল করতে "বিয়ে থেরাপি" দরকার৷এতে ঝগড়া করার মানুষ হাতের কাছেই থাকবে৷আর প্রিয়তমার আহ্লাদ মাখা ডাক শুনলে মেজাজ এক নিমিষেই মাইনাস ০.০০১ ডিগ্রিতে নেমে যাবে৷

আর প্রোপিকে বদ্ধ বাল্বের ভেতর মোমবাতি জ্বলতে পারে দেখেই তো এটি সিলেক্ট করেছি৷এখানে বাল্বটি হলো পৃথিবী আর মোমবাতি হলো আলোর দিশারী৷কি বুঝা গেল?

আর এই কয়মাসে আমাকে দেখে নিশ্চয় কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন; এখন আপনিই সিদ্ধান্ত নিন "অপব্যবহার' এই বান্দার দ্বারা কখনো সম্ভব কিনা? একটু ভাবলে উত্তরটি আপনিই পেয়ে যাবেন ৷

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: জীবন টা এরকমই। যাহা চাই তা পাই না । যাহা পাই তা চাই না। সুন্দর একটা জীবনধর্মী গল্পের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, নীলআকা৩৯ ভাই৷আসলে মানুষের পুরো জীবনটাই একটা গল্প৷এই গল্পের মাঝে মাঝে আছে অসংখ্য অনুগল্প, অসংখ্য টুইস্ট৷আছে পাওয়া না পাওয়া এবং হাসি কান্নার এ অসম্ভব সংমিশ্রণ৷জীবনের গল্পগুলো কখন কোন পথে মোড় নেবে তা কেউ জানে না৷সবাই পরিণতির জন্য অপেক্ষায় থাকে৷শুভ কামনা থাকলো আপনার জন্য ৷

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১২

ঋতো আহমেদ বলেছেন: গল্প গতানুগতিক হলেও নিপাট বর্ণনার সুন্দর উপস্থাপন। আর একটু ছোট হলে ভালো হোতো। ++

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



মতামতের জন্য ধন্যবাদ @ ঋতো আহমেদ ভাই৷গল্পটি পড়ে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম৷আর প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো৷গল্পটি ছোট হলে পাঠকের জন্য ভাল হতো৷তবে গল্পের কাহিনী আসলে এটিকে টেনে নিয়ে গেছে৷পরবর্তী সময়ে চেষ্টা থাকবে ছোট করে লেখার৷শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য ৷

১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২২

করুণাধারা বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে। গল্পের শুরুতে বর্ণনা পড়ে রেবেকাকে বুঝতে পারছিলাম, গল্পের শেষের টুইস্ট চমৎকার সমাপ্তি এনে দিয়েছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপু শুভেচ্ছা রইলো৷আপনি সংক্ষেপে মনের মত একটি মন্তব্য করেছেন৷আপনি মনোযোগ দিয়ে গল্পটি পড়েছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো৷আসলে গল্পের শেষ অংশটিই মূল৷এজন্য পুরো গল্পটি মনযোগ দিয়ে না পড়লে গল্পের মজা পাওয়া যাবে না৷শুভ কামনা রইলো প্রিয় আপুর জন্য ৷

১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার লেখনিতে জাদু আছে শ্রদ্ধেয়, পাঠকের মন ধরে রাখার কলাকৌশল লেখনিতে বিদ্যমান থাকে সবসময়।
দারুন লাগলো গল্পটা, খুব সুন্দর। ছবিগুলোও চমৎকার।

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার একটি কমেন্ট করে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে৷আমি কতটুকু ভাল লিখি তা বলতে পারবো না৷তবে লেখাগুলো মনের মতো না হলে পোস্ট করি না৷এজন্য লেখাগুলো খুব যত্ন করে সাজাই৷অনেক সময় নিয়ে চূড়ান্ত করি৷আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন যাতে পরিশ্রম করার মানসিকতা ধরে রাখতে পারি৷শুভ কামনা রইলো প্রিয় নয়ন ভাইয়ের জন্য ৷

১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: গল্পের শুরুটা গতানুগতিক হলে ক্রমান্বয়ে নতুন স্বাদ, আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। চিঠিটা ভালো লেগেছে। আর শেষের দিকে- রেবেকা'র সাথে তো আমার চোখদুটোও জলে ভরে গিয়েছিলো। জীবনের গল্প কতো বিচিত্র, কতো কঠিন।

গল্পে +

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বাহ!! দারণ ভাল লাগার একটি কমেন্ট করেছেন প্রিয় জুনায়েদ ভাই৷আপনি ঠিকই বলেছেন, গল্পের শুরুটা কিছুটা গতানুগতিক৷এর পেছেন অবশ্য একটি কারণ আছে৷মানুষের শিশুকাল থেকে পরিণত বয়স পর্যন্ত চিন্তা ভাবনা যেমন অতি সহজ থেকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে জটিল হতে থাকে ঠিক তেমনি জীবনের চাওয়া পাওয়া আর আবেগ অনুভুতির হিসাবগুলোও আরো জটিল হয়, কখনো বা অপূর্ণ থেকে যায়, আবার কখনো মিথ্যা মনে হয়৷গল্পটিতেও আমি পরিণতির কথা মাথায় রেখে গতানুগতিক পথে শুরু করেছি৷গল্পের একদম শেষে এসে পাঠকরা গল্পটি আবার রিভাইজ করবেন৷অনেক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবেন৷আমি এসব জটিল ভাবনাগুলো পাঠকের উপর ছেড়ে দিয়েছি ৷

অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো প্রিয় জুনায়েদ ভাইয়ের জন্য ৷

১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আগেও পড়েছি আবারো পড়লাম, এই গল্পটি পড়ে আমিও একটা গল্প লেখার চেষ্টা করেছিলাম। আবারো ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমার মনে আছে তারেক ভাই৷তখন গল্পের পরিসমাপ্তি নিয়ে আমি কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না; এজন্য অনেক ভেবেচিন্তে গল্পের শেষ সমাপ্তিটা করলাম৷কমেন্টে ও প্লাসে ভাল লাগা জানিয়ে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা রইলো ৷

১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

রাকু হাসান বলেছেন: মারচেন্ডাইজার নাকি মার্চেন্টাইজার ,কনফিউজ আমি |-) ? একটি টাইপো আছে B-) মানে shift চাপার কারণে ‘ছ’ হয়ে গিয়েছে । :-B
নাহ হলো না ,গল্পটি মাত্র জমে উঠলো ওমনি শেষ |-) ,,আমি তো আরও আশা করছিলাম । প্রথম অংশ পড়ার ফলে যা মনে হচ্ছিলো না গল্পটি এভাবে শেয়ে এসে মোড় নিবে । খুব অবাক হলাম একটি বিষয়ে খুউব অবাক হলাম :|| :( ,জয়নাল আবেদীনের মত আমার এমন ইচ্ছা প্রায়ই হয় । =p~ । যাক বেশ কয়েকদিন পর গল্পে ফিরে আসলেন আপনি । :-B

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো কমেন্টে আসায় খুশি হলাম রাকু হাসান ভাই৷আপনি ঠিকই বলেছেন শব্দটি 'মার্চেন্ডাইজার' হবে; টাইপোটি দেখিয়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে৷আসলে গল্পটি অনেক লম্বা হয়ে গেছে, তবুও আপনার মন ভরেনি!! একেই বলে একনিষ্ঠ পাঠক৷আসলে উপন্যাস আর গল্পের পার্থক্য তো এখানেই৷গল্প পড়া শেষ হওয়ার পরও অনেক জিজ্ঞাসা আর কৌতুহল মনের কোণে উঁকি মারে৷এজন্য গল্পের অপ্রকাশিত দৃশ্যটি পাঠক নিজের মতো করে কল্পনা করেন৷এটাই আসলে গল্পের স্বার্থকতা ৷

১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: গল্পটি বড় হলও পাঠে ক্লান্তি আসেনি।

গল্পে ভালোলাগা ++

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



উত্তর দিতে কিছু দেরী হয়ে গেছে এজন্য স্যরি 'তারেক ফাহিম' ভাই৷গল্পটি পড়ে আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম৷এত বড় একটি গল্প পড়ে আপনার ক্লান্তি আসেনি জেনে প্রীত হলাম; আপনাদের অনুপ্রেরণা আমার ভবিষ্যতে আরো ভাল লেখার হাতিয়ার৷শুভ কামনা রইলো ভাই ৷

১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

রাকু হাসান বলেছেন: আবার মন্তব্য করি :-B ? করেই ফেলি =p~

আমার প্রতি আপনার ইতিবাচক কথা শুনে ভাল লাগলো । আরও বেশি খুশি হয়েছি এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য । খুব সুন্দর বলেছেন ‘‘আসলে উপন্যাস আর গল্পের পার্থক্য তো এখানেই৷গল্প পড়া শেষ হওয়ার পরও অনেক জিজ্ঞাসা আর কৌতুহল মনের কোণে উঁকি মারে৷এজন্য গল্পের অপ্রকাশিত দৃশ্যটি পাঠক নিজের মতো করে কল্পনা করেন৷এটাই আসলে গল্পের স্বার্থকতা ৷

সুতারাং আপনার গল্পের ও স্বার্থক হয়েছে । :-B অনেক বেশি ভাল থাকবেন ,সেই দোয়া করি ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



@ রাকু হাসান ভাই, একজন ভাল লেখক হওয়ার সব গুণাবলি আপনার আছে৷একজন লেখককে আগে একনিষ্ঠ পাঠক হতে হয়৷আপনি ঠিক তাই৷শুভ কামনা রইলো ভাইয়ের জন্য৷৷আশীর্বাদ রইলো ৷

১৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

লাবণ্য ২ বলেছেন: এই গল্পটা আগেও দুবার পড়েছি ভাইয়া।অসাধারন লিখেছেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



@ লাবণ্য আপু শুভেচ্ছা রইলো৷আপনার লেখা গল্পগুলোও আমার ভাল লাগে৷আশা করি, যত দিন যাবে আপনার লেখার গতি আরো সাবলীল হবে৷আপনার সে প্রতিভা আছে৷আপনি নিয়মিত লিখুন৷আশীর্বাদ সব সময় থাকবে ৷

১৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: গল্পটি পড়েছেন জেনে খুশি হলাম রাজিব ভাই৷আসলে গল্পের শেষ অংশটি হলো গল্পের প্রাণ৷রেবেকার জীবনে আরেকটা টার্নিং পয়েন্ট৷আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো ৷

おはようございます!
今朝の根室は朝6時の気温18.4度、風速16m・・・今朝6時58分には瞬間最大風速25.3mを記録。それでも予想していたより酷くなく、このまま通り過ぎてくれるといいなぁーと思っています。台風21号で被害に遭われた皆様にはお見舞い申しあげます。こちらは午後からは台風一過となる予報です。
それでは今日も元気で頑張りましょう。

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



রাজীব ভাই,
þakka þér kærlega fyrir. vona að þú hafir gaman af því að lesa þessa sögu. mér finnst innblásin þegar ég fékk kommentina þína. Hafðu samband alltaf. Gangi þér vel.
Góða nótt.

২০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গুরু
ঢেকি স্বর্গে গেলেও “রেবেকা ম্যাডাম/আপার আজকে যেই শান - সৌকত কিভাবে ? আসলাম বেপারী । তাহলে কি আসলাম বেপারী মৃত্যুর পেছনে রেবেকা ম্যাডাম/আপা প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষ জড়িত ???

১। আপনি কিভাবে জানেন তিনি প্রচার বিমুখ? - কারণ আপনাকে প্রচার করে জানানো হয়েছে রেবেকা ম্যাডাম প্রচার বিমুখ !!!
২। যে কোনো অনুষ্ঠানে গিয়ে যতোটুকু আলোকপাত করা যায়, তার চেয়ে বেশী আলোকপাত ও আলোচনায় আসা যায় অনুষ্টানে অংশগ্রহন না করে - ভারতীয় অভিনেতা আমীর খান, তিনি কোনো অনুষ্ঠানে বা পদক আনতেও উপস্থিত থাকেন না ।


০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরু,.............
প্রথমেই স্যালুট পুরো গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য৷আসলে এ গল্পটি পড়লে কখনো পাঠকের মনে হবে না রেবেকা ম্যাডাম তার অসুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কিংবা আসলাম বেপারীর সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য তাকে মেরে ফেলেছেন৷কারণ, লোকটির অগোছোলো জীবন আর অতিরিক্ত মদ্যপান এজন্য দায়ী৷তবে এটা ঠিক লোকটি মারা না গেলে মিসেস রেবকা "রেবেকা ম্যাডাম" হয়ে উঠতে পারতেন না৷আর গল্পের শেষ পরিণতিও অন্যদিকে মোড় নিত ৷

(১) গুরু, গল্পটি তো থার্ডপারসনে লেখা এজন্য এগুলো গেজ করে নিয়ে লেখতে হয় ৷
(২) এখানে আমিও একমত গুরুর সাথে; তবে, যাদের ইউনিক আইডেন্টিটি নেই তারা প্রচারিত না হলে কেউ চিনবে না৷এর সফল উদাহরণ এদেশের রাজনীতিবিদরা ৷

ভাল থাকুন সব সময়; আর লিখুন মন খোলে ৷

২১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গুরুদেব আজকের গল্পটা এক কথায়, মধুরেন সমাপয়েৎ বলবো।



অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় গুরুদেবকে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরু,...............
আমি খুব লাকি ব্লগে এতো আপনজন খোঁজে পেয়েছি বলে; আপনাকে আমি @ শান্তনু দাদার আসনে বসিয়েছি৷আমি দাদাকে যেমন রেসপেক্ট করি, আপনাকেও ঠিক তাই৷আপনি আমার বড় ভাই, গুরুজন৷আপনার মত মানুষের প্রেরণা আর আশীর্বাদ আমার জন্য বিরাট এক পাওয়া৷দোয়া করবেন যাতে লেখার মান উপরে তুলতে পারি ৷

শুভ রাত্রি৷

২২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
おはようございます!
今朝の根室は朝6時の気温18.4度、風速16m・・・今朝6時58分には瞬間最大風速25.3mを記録。それでも予想していたより酷くなく、このまま通り過ぎてくれるといいなぁーと思っています。台風21号で被害に遭われた皆様にはお見舞い申しあげます。こちらは午後からは台風一過となる予報です。
それでは今日も元気で頑張りましょう。


রাজীব ভাইয়ের ভাষা বুঝেন?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ @
সৈয়দ ইসলাম ভাই,
Terima kasih banyak. harap Anda menikmati ketika Anda membaca cerita ini. saya merasa terilhami ketika saya mendapatkan jawaban Anda. Tetap berhubungan selalu. Semoga kamu beruntung.

Selamat malam.

২৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সনেট কবি বলেছেন: গল্প সুন্দর হয়েছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় সনেট কবির মতো গুণীজনের কমেন্ট আমাকে অনেক ভরসা দেয়; নিজের দায়িত্ববোধ আরো বাড়িয়ে দেয়৷লেখার মান বাড়াতে প্রেরণা যোগায়৷আপনার সনেট নিয়মিত পড়ি, হয়তো অনেক সময় কমেন্ট করা হয় না৷ভাল থাকবেন সব সময় ৷

শুভ রাত্রি ৷

২৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: ওএমজি!
কত বড় গল্পরে! :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপুনি,........
সামনে তো পরীক্ষা, তাই না? মন একদম ফ্রেশ করে প্রস্তুতি নাও৷আমার আশীর্বাদ সব সময় থাকবে, সাথে শাসন!! আর গল্প পড়ে "ওএমজি" বললে চলবে না৷নিজেও এমন বড় বড় গল্প লেখার প্রেকটিস করতে হবে৷গল্প লেখা অনেক কঠিন কাজ৷এখানে গল্পের ভেতরে আরো অসংখ্য গল্প থাকে৷আছে নদীর গতিপথের ন্যায় বিভিন্ন বাঁক; আর টুইস্ট হলো গল্পের অলঙ্কার৷যে গল্পের অলংকার যত দামী হবে সে গল্প তত পাঠক প্রিয়তা পাবে৷পাশাপাশি, গল্পের ভাষা হতে হবে প্রাঞ্জল আর লেখা হতে হবে সুখপাঠ্য ৷

শুভ রাত্রি ৷

২৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৯

বলেছেন: সুন্দর প্রকাশ ---
মায়াবীনি নারী, অভেদ রহস্য ঘেরা,

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় @ রহমান লতিফ ভাই, আপনার সংক্ষিপ্ত অথচ অনেক গভীর এই কমেন্টগুলোর মর্ম আমি গভীরভাবে অনুধাবন করি৷"মায়াবীনি নারী", "রহস্য ঘেরা" শব্দগুলো গল্পের অনেক গভীর বিষয় মিন করেছে৷আপনাকে ধন্যবাদ এমন কাব্যিক মন্তব্য করার জন্য৷শুভ কামনা রইলো লতিফ ভাই ৷

২৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

সোহানী বলেছেন: আপনার বেশ কয়টা জমে আছে না পড়ার তালিকায়। সরি, আবার আসবো ফিরে। শুধু জানান দিলাম আপনার তাগিদের কারনে একটা অগোছালো লিখা দিলাম।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপু, এইমাত্র আপনার লেখাটি পড়ে আসলাম; আর আমার তাগিদে যদি এই লেখটি হয় তাহলে বলতেই হবে আমি মহা ভাগ্যবান!! আপু ভাল থাকুন সব সময়৷শুভ কামনা আনলিমিটেড ৷

২৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১২

ঢাকার লোক বলেছেন: গল্পটি বেশ হয়েছে ! ভাবছি জয়নাল আবেদীনকে যদি রেবেকা ম্যাডাম ড্রাইভারের চাকুরীটা দিয়ে দিতেন তো কি হতে পারতো ! কেমন হতো গল্পের শেষটা?
ভালো থাকবেন ভাই, ! ও আরেকটা কথা, তলস্তয়ের "একজন লোকের কতটুকু জায়গা দরকার" গল্পটি কি অনুবাদ করার কোনো প্ল্যান আছে ?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কেমন আছেন ভাই? "ভাবছি জয়নাল আবেদীনকে যদি রেবেকা ম্যাডাম ড্রাইভারের চাকুরীটা দিয়ে দিতেন তো কি হতে পারতো ! কেমন হতো গল্পের শেষটা?" বিষয়টি আমিও ভেবেছি৷তবে বিষয়টি এমন হলে গল্পের প্লট দূর্বল হয়ে যেত৷৷গল্পের বাঁকটা গতানুগতিক হয়ে যেত৷এসব বিষয়ে লেখকদের কৌশলী হতে হয়!! যাতে পাঠকের কল্পনাকে অতিক্রম করতে পারেন ৷

আরেকটা কথা, তলস্তয়ের "একজন লোকের কতটুকু জায়গা দরকার" গল্পটি কি অনুবাদ করার কোনো প্ল্যান আছে?... তলস্তয়ের এই গল্পটি পড়া হয়নি, গল্পটির ইংরেজি নামটি একটি দিয়ে সহযোগিতা করলে পড়ে দেখবো; আর কাহিনী মনঃপুত হলে অনুবাদ করবো ৷

২৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৫

প্রামানিক বলেছেন: এক নিঃশ্বাসেই পড়ে ফেললাম। গাইবান্ধা, পলাশবাড়ির ঠিকানা দেয়ায় মনে হচ্ছিল এ বুঝি সত্যি কাহিনী। পড়ে খুবই ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরুজনের মন্তব্য আমাকে প্রেরণা যোগায়, উৎসাহ দেয়৷আসলে গল্পগুলো তো আমাদের কারো না কারো জীবনের টুকরো টুকরো অংশ৷এগুলো আমাদের চারিপাশে ঘটে যাওয়া হাজারো ঘটনার একটি অংশমাত্র৷আমি গল্প লেখার সময় কাহিনীগুলো বিশ্বাসযোগ্য করার চেষ্টা করি, যাতে পাঠক পড়তে পড়তে নিজের জীবনের গল্পগুলো খোঁজে পান৷এজন্য হয়তো গাইবান্দার পলাশবাড়ির নাম তুলে এনেছি ৷

ভাল থাকবেন প্রিয় কবি ৷

২৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২০

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ @ ইব্‌রাহীম আই কে ভাই৷কেমন আচেন আপনি? গত কিছুদিন নেটে তেমন দেখিনি৷আশা করি ভাল আছেন৷

৩০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গুরুদেব

প্রতিমন্তব্য দেখতে এসে ৮ নং কমেন্ট ও তার প্রতিমন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। নিজামভাইকে তাহলে ' বিয়ে থেরাপির ' পরামর্শ দিচ্ছেন। হা হা হা। তবে আমরা যেন বঞ্চিত না হই। বাড়তে কিন্তু একজন মেহমানও ঢুকতে পারবেনা , বলে দিলুম। হি হি হি ♥♥♥♥♥

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরু,
@ মন্ডল ভাই মন্তব্য করতে আসলেই "হয় মাথা গরম", নয়তো "খুব বিজি", নয়তো " আজ মন ভাল নেই" টাইপের কথা!! অনেক ভেবেচিন্তে জানে মন দোস্তের জন্য এই দাওয়াই আবিষ্কার করলাম!! @ মন্ডলের বিয়ের দাওয়াত আমরা না পেলেও সামুর অনেক আপু পাবে এটা নিশ্চিত!!! তবে আমরা বিয়ে বাড়ির সামনে অনশন লাগিয়ে দেব ৷

৩১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

আখেনাটেন বলেছেন: গল্পটি আরো কনসাইজ করা যেতে পারত। রবি বাবুর কথাতে ছোটগল্প হবে 'নহে তত্ত্বকথা, নহে উপদেশ'।

মূল চরিত্র দুটির সংযোগও কিছুটা ঢিলেঢালা মনে হয়েছে।

তারপরও পড়তে খারাপ লাগে নি। শুভকামনা। :D

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ব্লগে এসে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে৷আপনি তো আমার অগ্রজ, গুরুজন৷আপনার লেখা পড়ে আমি অনেক কিছু শিখেছি৷আপনি নিয়মিত লেখলে আমরা উপকৃত হবো৷আর গল্প নিয়ে আপনার কমেন্ট ভাল লেগেছে৷

"রবি বাবুর কথাতে ছোটগল্প হবে 'নহে তত্ত্বকথা, নহে উপদেশ।"

তবে এখনকার সময়ে এই ধারার পরিবর্তন আসছে৷নতুন প্রজন্মের লেখকরা অনেক ফ্রিডম নিয়ে লেখন৷হুমায়ুন আহমদের গল্পগুলো তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ৷আসলে যুগের সাথে মানুষের চিন্তা চেতনা, সামাজিক পরিবেশ, সংস্কৃতি, অভ্যাস এবং রুচি পরিবর্তন হয়৷যার প্রভাব সাহিত্যে পড়ে৷আর সাহিত্য হলো চলমান সময়ের ডায়েরির মতো৷সাহিত্যের ধারা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়; এটি সাহিত্যের ধর্ম ৷

৩২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: আপনি তো আমার অগ্রজ, গুরুজন৷ -- এই রে সারছেন! দিলেন তো মাটি করে। গুরুজন তো বিরাট ভারীজন। আমার কি এত ওজন? এ যে আপনার বিনয়! :(

আপনি পড়ুয়া মানুষ। আমি নিজেও তাই। তাই পড়ুয়াদের আমি ভালো পাই। :D

অার ছোটগল্প নিয়ে রবিবাবু যা বলেছেন তা চিরন্তন। ছোটগল্পের ভিতরেই থাকবে বার্তা অতি সূক্ষ্মভাবে। আলাদাভাবে তা দিতে চাইলে উপন্যাস বা নিদেনপক্ষে বড়গল্প লেখা যেতে পারে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


এই রে সারছেন! দিলেন তো মাটি করে। গুরুজন তো বিরাট ভারীজন। আমার কি এত ওজন? এ যে আপনার বিনয়! :(..... ইহা একটি সত্য বচন ৷

"আপনি পড়ুয়া মানুষ। আমি নিজেও তাই। তাই পড়ুয়াদের আমি ভালো পাই।" :D

"অার ছোটগল্প নিয়ে রবিবাবু যা বলেছেন তা চিরন্তন। ছোটগল্পের ভিতরেই থাকবে বার্তা অতি সূক্ষ্মভাবে। আলাদাভাবে তা দিতে চাইলে উপন্যাস বা নিদেনপক্ষে বড়গল্প লেখা যেতে পারে।"

আসুন আমরা সবাই মিলে এ ধারার পরিবর্তন শুরু করি ৷


৩৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

মিথী_মারজান বলেছেন: যাহা চাই ভুল করে চাই
যাহা পাই তাহা চাইনা।... :(

চাওয়া পাওয়ার বিশাল ফারাকটার জন্যই মনেহয় মনের আকাশে ধুমকেতু ছোটে।:

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ @ মিথী_মারজান আপু৷আসলে এটাই জীবন৷সবার জীবনে ধূমকেতুর দেখা না মিললেও ধূমকেতুর আবহ তৈরি হয়৷এগুলোই জীবনের বাঁক৷এই বাঁক কারো সর্বনাশ আবার কারো জন্য আশীর্বাদ৷তবে সবার জীবনে ধমকেতু যেন আশীর্বাদের হয় এই প্রত্যাশা করি ৷

৩৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

ঢাকার লোক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ভয় হচ্ছে গল্পটা একটু বড় হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে এই ব্লগের জন্য ! আমি একটা লিংক দিচ্ছি , সুযোগ মতো পড়ে দেখবেন .
http://www.online-literature.com/tolstoy/2738/

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"Leo Tolstoy" এর লেখা "How Much Land Does a Man Need?" গল্পটি দেখেছি৷গল্পটি একটু লম্বা লাগলো আমার কাছে৷তারপরেও আমি পুরোটা পড়ে দেখবো৷যদি কাহিনীটা আমার ভাল লাগে তবে অনুবাদ করবো৷চমৎকার একটি নাটকের সন্ধান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ৷

৩৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

ঢাকার লোক বলেছেন: http://www.online-literature.com/tolstoy/2738/

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি গল্পটি পেয়েছি৷আবারও ধন্যবাদ আপনাকে ৷

৩৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

শামচুল হক বলেছেন: আপনার লেখা গল্প আমি তন্ময় হয়ে পড়লাম, আপনি যেভাবে বাইং হাউসের কার্যক্রমের বর্ননা দিয়েছেন তাতে মনে হলো আপনার গা্র্মেন্টস-এর উপর ভালো অভিজ্ঞতা আছে। গাইবান্ধা, পলাশবাড়ির নাম উল্লেখ করায় গল্পটি আরো জীবন্ত হয়ে উঠেছে। খুবই ভালো লাগল। ধন্যবাদ কাওসার ভাই।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কেমন আছেন, @ শামচুল হক ভাই? ব্লগে আপনাকে ইদানীং কম পাচ্ছি৷শামচুল ভাই, আমি লন্ডনে যাওয়ার আগে কিছুদিন ঢাকার মিরপুরে একটি বায়িং হাউজে কুছুদিন কাজ করেছি; চার-পাঁচ মাস হবে৷আর গল্পে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি আনার মূল উদ্দেশ্য হলো, আমি চেয়েছি দেশের প্রত্যন্ত এলাকার দুজন সফল মানুষের সংগ্রাম করে উঠে আসা এবং তাদের প্রতিষ্ঠা পাওয়াটিকে হাইলাইট করতে৷গল্পটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম৷অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য ৷

৩৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: রেবেকার চরিত্রটি ভালো লেগেছে ভাইয়া । আমার রেবেকার মত সফল হতে মন চায় খুব :( তবে নিজের চেষ্টায়, বসকে বিয়ে করে নয় :P
বিরহ কেন এতো :(

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কথাপু,............
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো গল্পটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য; রেবেকারা জীবনের অনেক কঠিন বাঁক পেরিয়ে সফলতার পথ দেখতে পান৷কিন্তু জীবনটা বড়ই বৈচিত্র্যময়; এখানে কেউ পরিপূর্ণ নয়৷তবুও কখনো কখনো এই অপূর্ণতা অনেক বড় পূর্ণতায় ভরে উঠে নিজের অজান্তে; ঠিক যেন ধূমকেতুর মত৷আপনি রেবেকা ম্যাডামের সম পর্যায় যেতে পারবেন নিজের যোগ্যতায়; সে আশীর্বাদ রইলো ৷

পুনশ্চঃ বিকেলে আপনার টাইম লাইনে একটি গল্প পড়লাম; কিন্তু এখন কমেন্ট করতে গিয়ে দেখি গল্পটি নেই৷কেন সরিয়ে নিলেন গল্প? বিষয়টি বোধগম্য হয়নি৷শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য ৷

শুভ রাত্রি৷

৩৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫১

ভাইয়ু বলেছেন: রেবেকার নাম শুনে ছোট বেলায় খেলা ডাবল ড্রাগন গেমটার কথা মনে পড়ে গেল৷
আপনি গল্প অনেক সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন...

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ভাইজান শুভেচ্ছা রইলো; সর্বশেষ লেখা আপনার 'মূল্য' গল্পটি পড়েছিলাম৷দারুন লেখেন আপনি৷গল্পের গাঁথুনি খুব সুন্দর আর বিষয়বস্তু ও প্লট ছিল চমৎকার৷আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো৷আর, আমার গল্পটি পড়ে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম ৷(ধন্যবাদ)

৩৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @পুনশ্চঃ বিকেলে আপনার টাইম লাইনে একটি গল্প পড়লাম; কিন্তু এখন কমেন্ট করতে গিয়ে দেখি গল্পটি নেই৷কেন সরিয়ে নিলেন গল্প? বিষয়টি বোধগম্য হয়নি৷শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য ৷-- হা, ওটা আমি ড্রাফট করে নিয়েছি ভাইয়া। পদাতিক ভাইয়া খুব দারুন কিছু সাজেশন দিয়েছেন ওখানে। কিন্তু আরও একজন সিনিয়র ওখানে একটি পচা শব্দ লিখেছিল মন্তব্বে, খুব পচা অবশ্য না। কিন্তু তাঁর ভাষা আমার কাছে ভালো লাগেনি । তাঁর চেয়ে গল্প বা লেখা ভালো লাগেনি বললে আমি খুশী হই। ভালো না লাগতেই পারে, অস্বাভাবিক কিছুনা কিন্তু কিছু বলার ক্ষেত্রে ভাষার শব্দটাও একটু ভালো হওয়া উচিত এখানে । মেজাজ টা খারাপ লাগছিল, ভাবছিলাম মন্তব্যটি ডিলিট করে দিব কিন্তু তা না করে ড্রাফট করে রেখেছি। পরে মেজাজ টা ঠিক হলে পোস্ট করবো :P

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আ...হা...!!
মন খারাপ করবেন না; নিজের উপর আস্থা রাখুন৷পদাতিক ভাইয়ের সাজেশনগুলো মাথায় রাখবেন৷আমিও মন্তব্যে কিছু পরামর্শ দিতাম; কারণ গল্পটি পড়ে মনে হয়ছিল কিছু কিছু বিষয়ে আরো মনযোগী হওয়ার সুযোগ আছে৷আসলে কেউ কেউ নতুন লেখকদের গল্প পড়ে সাজেশন না দিয়ে বাজে মন্তব্য করেন, এটা ঠিক না; এতে লেখকের মনে খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷শুভ কামনা রইলো আপুনি ৷

৪০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অশ্রু রহস্য ময়। তবে মোক্ষম সময়ে তা প্রবাহিত হয়।ত্বক ভিজিয়ে দেয় ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় @ সেলিম আনোয়ার ভাই৷আপনি ঠিকই বলেছেন, "অশ্রু রহস্য ময়। তবে মোক্ষম সময়ে তা প্রবাহিত হয়।ত্বক ভিজিয়ে দেয়।" হুম, দারুণ অনুভূতি ৷

৪১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

নষ্টজীবন® বলেছেন: খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন, জানতে পারলাম অনেককিছু সুন্দরভাবে।
সুন্দর পোস্ট।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আলোচনা!! এটা তো গল্প!!! যাক গল্পটি যদি পড়ে থাকেন তাহলে ধন্যবাদ আপনাকে৷সামুতে পথচলা আপনার সফল হবে এই আশীর্বাদ রইলো৷ভাল থাকবেেন ভাই৷

৪২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুবই সুন্দর হয়েছে,দাদা।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান ভাই; গল্পটি পড়েছেন জেনে খুশি হলাম৷অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য৷

৪৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

আরোগ্য বলেছেন: তারপর কি হল?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ভাই; তারপর কি হলো! বিষয়টি রহস্যময়, তাই না? শেষ পরিণতিতে অনেক কিছু হতে পারে৷বাকিটুকু পাঠকের কল্পনার উপর ছেড়ে দিয়েছি আমি৷আর পাঠকরা চাইলে গল্পের প্লট থেকে ধারণা নিতে পারেন; গল্পে পরিণতির ইঙ্গিত আছে ৷

৪৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৭

সূর্যালোক । বলেছেন: গল্পের নায়কের বইপ্রেম ও মানসিকতা দেখে আমি মুগ্ধ । আপনি ভাল গল্প লিখতে পারেন । আগেও পড়তাম যখন নিক না খুলে ব্লগ দেখতাম । টগরের হোম ওয়ার্ক নামে মে বি একটি গল্প পড়ছি আমি আগেই । প্লাস


রাঙ্গা স্বপ্ন আমার

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনি তাহলে আগে থেকেই এই ব্লগ পড়তেন? শুনে খুব খুশি হলাম; একজন ভাল লেখক হওয়ার সব গুণাবলী আপনার আছে৷মন খুলে লিখুন, পারবেন৷আর আপনি আমার গল্প আগেও পড়েেছেন জেনে প্রীত হলাম; আপনি ঠিকই বলেছেন, 'টগরের হোমওয়ার্ক' নামে একটা গল্প আছে৷গল্পটি পড়ে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম৷আর "ধুমকেতু" হলো একটা চমৎকার টুইস্ট নির্ভর ক্লাসিক প্রেমের গল্প৷গল্পের শেষ অংশটি খুবই চমকপ্রদ আর শিক্ষনীয় ৷

শুভ রাত্রি ৷

৪৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১৭

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
আপনি খুব সুন্দর লিখেছেন।
আমার ব্লগ বাড়িতে একবার বেড়াতে আসুন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ফিরোজ ভাই আবারো মন্তব্য করার জন্য৷আমি আপনার ব্লগে অনেকবার ভিজিট করেছি৷এখন আবার দেখে আসবো৷আশা করি, নিয়মিত ব্লগে একটিভ থাকবেন (ধন্যবাদ)

৪৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

নজসু বলেছেন: আহারে ভালোবাসা।

ধুমকেতুর মতো আসে ধুমকেতুর মতোই চলে যায়।

আপনার লেখার এই এক মজা যে পরের প্যারায় যেয়ে সম্পূর্ণ বোকা বনে যাই। ভাবি এক হয় আর এক। প্রত্যেকটা অংশে নতুন একটা চমক থাকে। শুরুটা শুরু হলেও শেষটা শুরুটার অন্য আরেকটা দিক দিয়ে।

আমাদের সমাজে আসলাম বেপারির মতো নারী লোলুপ, মদ্যপ লোকের পাল্লায় পরে কত নারীর সর্বনাশ হয় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। রেবেকার বেলায় অন্য চিত্র দেখতে পেলাম। স্বামীর রেখে যাওয়া বিশাল সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন উনি। ছেলে বিদেশে পড়াশুনা করছে। আর কি চাই। বদ লোকের পাল্লায় পরে যদি নারীরা আর্থিক সুখে থাকে, (ঝড় তুফান যতই যাক) সামাজিক মর্যাদা পায় ( রেবেকা বড় বড় অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত হন) তাহলে মনে হয় কোন কোন নারী আসলাম বেপারীদের জোর জুলুমে জয়নাল আবেদিন ওরফে মারুফ ওরফে গাই গরুদের ভালোবাসা ত্যাগ করতে দ্বিধা বোধ করবেন না।

বিষয়টা কি অন্যভাবে উপস্থাপন করা যেত প্রিয়?

গল্পটা কিন্তু খুব হৃদয়াস্পর্শী হয়েছে। দুটি মনের গভীর ভালোবাসা মুগ্ধ করেছে। হোক না বিচ্ছেদ।

আরেকটা কথা। আমার বাড়ি কিন্তু গাইবান্ধায়। পলাশবাড়ী থানার সাথে লগোয়া থানাতেই আমি থাকি।


২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ 'নজসু' ভাই। আসলে আমি খুব ভাল লেখতে পারি না। আমার আনাড়ি হাতের কাঁচা লেখাগুলো পড়ে আপনার ভাল লাগে জেনে খুশি হলাম। আসলে যারা লেখালেখি করেন প্রত্যেকের নিজস্ব একটা ধারা থাকে। আমিও চেষ্টা করি নিজের মত করে লিখতে, আর টুইস্ট নির্ভর গল্প লেখতে বেশি পছন্দ করি। এজন্য গল্পের উপস্থাপনায় নাটকীয়তা থাকে। আর শেষে টুইস্ট।

এজন্য খুব সতর্ক থাকতে হয় যাতে পাঠক কোন অবস্থায় শেষ দৃশ্যটি বুঝতে না পারেন, কিংবা কল্পনা না করেন। এছাড়া বর্ণনায় বাহুল্যতা পরিত্যাগ এবং গল্পের ধারাবাহিকতা ধরে রাখাও জরুরী। চেষ্টা করি গল্পগুলো যেন সুখপাঠ্য হয়।

এ গল্পের শেষ দৃশ্যটি কী হতে পারে তা সরাসরি বলা না হলেও 'হ্যাপি এন্ডিং' এর স্পষ্ট ইঙ্গিত আছে। গল্পটির উপস্থাপনা হয়তো অন্যভাবেও করা যেত। তবে আমার কাছে এটাই পারফেক্ট মনে হয়েছে এজন্য এভাবে লিখেছি। আসলে প্রতিটা মানুষের চিন্তা আর অনুধাবনের ভাবনা আলাদা হয়। এজন্য অনেক সময় লেখকের ভাবনার সাথে পাঠকের ভাবনা এক হয় না।

আর আপনার বাড়ি 'গাইবান্ধা' শুনে খুশি হলাম। এজন্য গল্পটি আপনাকে 'উৎসর্গ' করলাম। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। নিয়মিত লিখুন, সামুতে নিজের প্রতিভার সাক্ষর রাখুন।

৪৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গল্পটা যতবার পড়ি ততবারই ভাল লাগে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



মাইদুল ভাই; আপনি গল্পটি একাধিকবার পড়েছেন জেনে খুবই খুশি হলাম। এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো আপনার প্রতি। আপনি তো খুব ভাল লেখেন। এজন্য নিয়মিত আপনার চমৎকার লেখাগুলো পড়ি। শুভ কামনা রইলো আপনার প্রতি।

৪৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫৮

নজসু বলেছেন: প্রিয় লেখক, আপনি বলেছেন আমি খুব ভাল লেখতে পারি না।
এমন বিনয় না করলেও চলে।
নতুন হিসেবে ব্লগে আপনার সম্পর্কে যতখানি ধারণা হওয়ার তা আমার হয়েছে।
বিনম্র ভালোবাসা, অসীম শ্রদ্ধা আপনার প্রতি।

গল্পটি আমাকে 'উৎসর্গ করলেন। খুব খুশি হলাম। কৃতজ্ঞতা রইল।
আপনিও ভালো থাকুন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় 'নজসু' ভাই। আবারো আপনাকে কমেন্টে পেয়ে খুশি হলাম। আসলে আমাদের পুরো জীবনটাই হলো একটা পাঠশালা। এজন্য জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে প্রতিনিয়ত আমাদেকে সংগ্রাম করতে হয়, অজানাকে জানতে হয়, নিজের অভিজ্ঞতাকে বাড়িয়ে নিতে হয়। মানুষ যত চর্চা করে জ্ঞানের পথে এগিয়ে যায়, তার শিখার পরিধিও বৃদ্ধি পায়। আর লেখালেখি করতে হলে সাহিত্য চর্চার কোন বিকল্প নেই।

ভাল থাকুন সব সময়। শুভ কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.