নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার নির্বাচনী ইশতেহার - (জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৫৩


ইশতেহার। হ্যা, নির্বাচনী ইশতেহার বলে কথা! জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসলে দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো ইশতেহারের বহু পদের নির্বাচনী ইফতারি সাজিয়ে হাজির হয়। দেশের নামকরা বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে ইলেকশনের আগে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিডিয়া ডেকে তা প্রকাশ করে। এটা অনেকটা প্রেমপত্রের মত! প্রেমিকার মন পাওয়ার জন্য পাগল প্রেমিক যেভাবে তিলকে তাল বানিয়ে, কাককে ময়ূর বানিয়ে, ফুলিয়ে ফাপিয়ে মনের সবটুকু আবেগ ঢেলে প্রেয়সীর মন পেতে চায়; ঠিক সেভাবেই রাজনৈতিক দলগুলো ভোটারদের সামনে ইশতেহারের ঝকঝকে সাদা বিরাট আকৃতির মুলা ঝুলিয়ে রাখে। এসব ইশতেহার রাজনৈতিক দলগুলো পূরণ করতে চায় কিনা, সম্পাদন করার যোগ্যতা রাখে কিনা তা নিয়ে দেশের সচেতন নাগরিক সমাজে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এসব ইশতেহার বিশ্বাস করে এমন ভোটারের সংখ্যা নিতান্তই অল্প।

আমি বাংলাদেশের রাজনীতিতে খুব অনভিজ্ঞ একজন মানুষ। কোন রাজনৈতিক দল কিংবা জোটের বিষয়ে আমার কোন আগ্রহ নেই। অন্যভাবে বললে, তাদের নীতি ও আদর্শের ব্যাপারে আস্থা কিংবা বিশ্বাসের যথেষ্ঠ ঘাটতি আছে আমার। তবে আমি মনে করি, আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি দেশের খেটে খাওয়া সাধারন একজন নাগরিক হিসাবে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করছি।

(১) মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। দেশের শতভাগ মানুষের দুইবেলা অন্তত ডাল ভাতের ব্যবস্থা করা হবে। দেশের অতি দরিদ্র নাগরিক, যাদের বাড়ি-ঘর নেই তাদের জন্য সরকারি খরছে বাড়ি-ঘর নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া এবং কর্মসংস্থানের একটি ব্যবস্থা করা হবে। তাদের সন্তানদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। বাসা বাড়িতে ১৬ বছরের কম বয়সী কোন ছেলেমেয়েকে গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না। কেউ তা অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্য কোন চাকরির বেলায়ও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

(২) শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার করা হবে। শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ অবৈতনিক উপায়ে সরকারি খরছে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হবে। শিশুদের জন্য ফ্রি দুপুরের খাবারের নিয়ম করা হবে। প্রাইভেট কিন্ডার গার্ডেন/ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো বন্ধ/সীমিত করে দেওয়া হবে। ছাত্রদের রেজাল্ট নির্ভর মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্কুল-কলেজের সিলেবাসকে ছোট করা হবে যাতে ছাত্ররা সিলেবাসের বাইরের বইগুলো পড়তে উৎসাহ পায়; প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করতে মনযোগী হয়। শিক্ষকদের পাঠদান শ্রেণীকক্ষে শেষ করতে হবে; কোচিং ও গাইড বই বন্ধ করা হবে। প্রচলিত নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হবে। উচ্চ শিক্ষাকে আরো কার্যকর করতে ইউনিভার্সিটির সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে হবে। শুধুমাত্র প্রকৃত মেধাবীদের একটি বিশেষ উপায়ে বাছাই করে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া হবে। উচ্চশিক্ষায় গবেষণাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। এজন্য সর্বাধুনিক লাইব্রেরি ও গবেষনাগার স্থাপন করা হবে। সরকার প্রয়োজনীয় ফান্ডের ব্যবস্থা করবে। বাজেটের একটি বড় অংশ শিক্ষা ও গবেষণা খাতে খরচ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে গবেষণা ও একাডেমিক অর্জনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কোন সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে না।

(৩) একটি দেশকে এগিয়ে নিতে হলে নাগরিকদের মানসিক ও শারিরীক সুস্থতা দরকার। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সর্বাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে মিনি হাসপাতালে রুপান্তর করা হবে যাতে এখানে ছোট খাটো অপারেশন করা যায়। প্রতিটি উপজেলায় নাগরিকদের জন্য সরকারের তত্বাবধানে একটি কম্পিউটারাইজ ডাটা বেইজ থাকে। এসব ডাটা বেইজে রোগীদের যাবতীয় চিকিৎসা বিষয়ক নথি সংরক্ষিত হবে। কোন ল্যাবরেটরি টেস্টের প্রয়োজন হলে তা সরকারি খরছে হাসপাতালের মধ্যেই করা হবে। প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হবে। অসুস্থ রোগীদের যাতায়াতের জন্য সরকারি এম্বুলেন্স সেবা চালু করা হবে। হঠাৎ কোন দূর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ডাক্তার ও এম্বুলেন্স পাঠিয়ে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্রেকটিস বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে প্রাইভেট হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ঔষধ কোম্পানীগুলোর হয়রানি থেকে রোগীরা নিষ্কৃতি পাবে। রাজধানী সহ সারা দেশে পার্ক নির্মাণ করা হবে। খেলাধুলার জন্য স্টেডিয়াম সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

(৪) কৃষিখাতে ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হলেও অধিক জনসংখ্যা এবং চাষের জমির সল্পতার জন্য উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি পণ্য উৎপাদনের কোন বিকল্প নেই। এজন্য কৃষকদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। চাষের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিনা সুদে কৃষি ঋণের মাধ্যমে কৃষকদের দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় সার, বীজ ও কীটনাশক ভর্তুকি দিয়ে সরবরাহ করা হবে। পানি সেচের জন্য হাওরগুলোতে বড় বড় পাম্প বসানো হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।

(৫) একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ ও অবকাঠামোর উন্নয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দেশের সড়ক ও রেল পরিষেবাকে ঢেলে সাজানো হবে। রাজধানীর সাথে দেশের জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোর উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ঢাকার চারপাশে দশ লেনের একটি রিং রোড নির্মাণ করা হবে। এর সাথে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোকে পাঁচ লেনের রাস্তা (HighwaY) নির্মাণ করে সংযুক্ত করা হবে। দেশের সবগুলো বিভাগীয় ও জেলা শহরকে রেলপথে সংযুক্ত করা হবে। এজন্য রাজধানীর রিং রোডকে কেন্দ্র করে পাঁচটি অত্যাধুকিক রেল স্টেশন এবং পাঁচটি বাস স্টেশন স্থাপন করা হবে। দূরপাল্লার বাস ও ট্রেনগুলো সুলভ ও আরামদায়ক হবে। এগুলো পরিচালনায় পেশাদারিত্ব থাকবে। ড্রাইভারদের লাইসেন্স দিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। পরিবহনে সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি শুন্যের কোটায় নামিয়ে আনা হবে।

(৬) দেশের পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। রাজধানী সহ দেশের বড় বড় শহর, নগর এবং পর্যটকদের বিচরণের এলাকাগুলোতে তথ্যকেন্দ্র চালু করা হবে। এছাড়া এসব পর্যটক মুখর স্থানগুলোকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। টুরিস্ট পুলিশ ও সিসিটিভি ক্যামেরা বাড়ানো হবে। নতুন নতুন পর্যটন এলাকা তৈরী করা হবে; এজন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। পর্যটকদের কাছে দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে। ভিসা সহজিকরণ সহ নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। রাজধানীর অদূরে ১০০ তলার অধিক অত্যাধুনিক একটি ভবন নির্মাণ করে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত একটি স্মার্ট সিটি গড়ে তোলা হবে। পরবর্তীতে বিভাগীয় শহরগুলোতেও তা সম্প্রসারণ করা হবে।

(৭) নাগরিকদের নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি রোধে প্রয়োজনীয় পুলিশ মোতায়ন করা হবে। প্রতিটি উপজেলায় কমপক্ষে তিনটি করে পুলিশ ফাঁড়ি তৈরী করা হবে। এসব ফাঁড়িতে শতাধিক পুলিুশ মোতায়ন করা হবে। পুলিশের দুর্নীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। এজন্য দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি করে আইনি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। কেউ মিথ্যা মামলা করলে শাস্তি হিসেবে বাদীকে বড় অংকের জরিমানা ও কমপক্ষে এক মাসের জেলের বিধান থাকবে। মিথ্যা সাক্ষী দাতাদের বেলায়ও একই আইন প্রযোজ্য হবে। দেশের ভিআইপি (VIP) সংস্কৃতিতে লাগাম টেনে ধরা হবে। সরকারি চাকরিজীবীদের দুর্নীতি ও নাগরিকদের হয়রানি শুন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তারা প্রভু নয়, জনগনের সেবক এই মানসিকতায় পরিচালিত হতে হবে।

(৮) দেশের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং বেকারত্ব রোধের জন্য নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরী করা হবে। এজন্য কর্মমুখী/কারিগরি ও ভকেশনাল ট্রেনিং এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ, মূলধন যোগান ও সাহস দিয়ে সহায়তা করা হবে। এজন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা বিভাগ চালু করা হবে। দেশে ন্যুনতম মজুরী ব্যবস্থা চালু করা হবে। সরকারি চাকরীতে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করা হবে; ঘুষ আর স্বজনপ্রীতি কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তরুণদের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থানের যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে।

(৯) দেশের উন্নয়নকে তরান্বিত করতে বৈদেশিক মূদ্রার সংরক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য দক্ষ ও পেশাদার নাগরিকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন দেশে ভাল চাকরি কিংবা ব্যবসার জন্য পাঠাতে সরকার সহায়তা করবে। ধীরে ধীরে অদক্ষ শ্রমিকদের বিদেশগামীতা কমিয়ে আনা হবে; এরা যাতে সম্মানের সাথে নিজ দেশে পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। নারী শ্রমিকদের মধ্যপ্রাচ্য সহ অন্যান্য দেশগুলোতে পাঠানো বন্ধ করা হবে। দেশে বিকল্প কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। নারী ও শিশু পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দেশ থেকে মুদ্রা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে; দোষীদের বড় অংকের জরিমানা সহ জেলে ঢুকানো হবে।

(১০) দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রকে ঢেলে সাজানো হবে। সংসদকে দু'কক্ষ বিশিষ্ট করা হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। একজন সংসদ সদস্যকে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। জীবনে কখনো ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলে; কিংবা সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি এবং খুনি হিসেবে আদালত দ্বারা কখনো দন্ডপ্রাপ্ত হলে এসব লোকজন সারা জীবনের জন্য সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য বিবেচিত হবে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারীরা রাজনীতি করতে পারলেও রিটায়ার্ড করার পর সংসদ সদস্য হতে পারবেন না। যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে কিন্তু বউ বাচ্চারা দীর্ঘদিন থেকে বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তারা বাংলাদেশের নাগরিক হলেও সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন না। সাংসদদের জন্য প্লট/ফ্লাট বরাদ্দ বাতিল করা হবে; শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানীর সুবিধা বাতিল করা হবে। সংসদে আইন করে 'মাননীয়' শব্দটি নিষিদ্ধ করা হবে; যাতে মাননীয় বলতে বলতে কেউ চাটুকারিতা করতে না পারেন। বিরোধী দল ওয়াকআউট করতে পারবে তবে কোন অধিবেশন একটানা বয়কট করতে পারবে না। সরকারের নীতি ও কর্ম পরিকল্পনা জানতে এবং ভবিষ্যতে তার ধারাবাহিকতা রাখতে বিরোধী দল থেকে ছায়া মন্ত্রী (Shadow Minister) করা হবে। দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়ে সরকারি ও বিরোধী দল একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রয়োজনে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংসদে ভোট দেওয়া যাবে এই আইনটি প্রচলন করা হবে। সংসদ সদস্যরা বাধ্যতামূলক অধিবেশনে যোগ দিতে হবে; আইনের বিভিন্ন দিক, বাজেট ও বিল উত্থাপন সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

(১১) দেশের শতকরা প্রায় ৮০% মানুষ গ্রামে বাস করে। এজন্য গ্রামীন জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক বরাদ্দ দেওয়া হবে। শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে। মানুষকে সচেতন করে তুলতে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারের আয়োজন করা হবে। গ্রামের বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে সংস্কৃতির আদান প্রদান এবং সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রতিটি গ্রামে একটি করে 'কমিউনিটি হল' গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি একটি পাঠাগার ও ইন্টারনেট ক্যাফে প্রতিষ্ঠা করা হবে। দুই বছরের মধ্যে গ্রামগুলোতে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে এং ইন্টারনেট পরিষেবা দেশের প্রান্তীক জনপদে পৌছে দেওয়া হবে।

(১২) সত্যি বলতে কী আমাদের দেশের ছোট-বড় প্রায় সকল শহরই অপরিকল্পিত উপায়ে গড়ে উঠেছে। এসব শহর প্রতিষ্ঠায় ছিল না কোন পরিকল্পনার ছক। নাগরিক সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তার বিষয়টি কখনো গুরুত্ব পায়নি। নেই প্রয়োজনীয় সড়ক ও ফুটপাতের ব্যবস্থা। পাবলিক ট্রান্সপোর্টের নাজুক অবস্থা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ঢাকা থেকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি সহ অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানকে জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে স্থানান্তর করা হবে। ঢাকার মত বিভাগীয় শহরগুলোতে মেট্রো রেল পরিষেবা চালু করা হবে। ঢাকায় পাতাল রেল চালু করা হবে এবং রাস্তায় আলাদা বাস ও সাইকেল লেন থাকবে। পাবলিক বাসগুলো উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর ও আরামদায়ক হবে। সকাল ৭টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত প্রাইভেট কার/জীপ/লাইটেস ইত্যাদি বাহনগুলো রাজধানীর প্রধান এলাকাগুলোতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে; একান্ত প্রয়োজনে ঢুঁকতে চাইলে পাঁচশত টাকা চার্জ হিসেবে দিতে হবে। তবে প্রয়োজনীয় পাবলিক সার্ভিসের ব্যবস্থা হওয়ার পরে এ আইন কার্যকর হবে।

(১৩) দেশের পরিবেশ উন্নয়নে সর্বত্র বনায়ন করা হবে। রাস্তার পাশে এবং খোলা মাঠে গাছ লাগানো হবে। বনভূমি সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং নতুন করে বনায়ন করা হবে। শহরের রাস্তার পাশে ফুল, ফল ও ঔষধি গাছ লাগানো হবে। বন্য প্রাণী সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সুন্দরবনের উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। দেশের প্রধান নদীগুলোতে বেড়িবাঁধ তেরী করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। নদীগুলো ড্রেজিং করা হবে। নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বৈষয়িক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্টি বিপর্যয় থেকে দেশকে সুরক্ষা দিতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

(১৪) দুর্নীতি আমাদের সমাজের একটি বড় সমস্যা। এজন্য একটি কার্যকরী ও স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা হবে। এ কমিশন হবে সম্পূর্ণ স্বাধীন। যেকোন সময় যে কাউকে সরকারের অনুমতি ছাড়া প্রয়োজনে গ্রেফতার করতে পারবে। মাদক আমাদের সমাজকে গিলে খাচ্ছে। দেশকে মাদকমুক্ত করতে দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হবে। মাদকের উৎপাদন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে যাতে মাদক ঢুকতে না পারে সেজন্য সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকবল বাড়ানো হবে। মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। মাদক চোরাচালানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে চাকরি থেকে বরখাস্ত সহ কঠিন শাস্তির বিধান করা হবে।

(১৫) ধর্মকে পুঁজি করে যারা ব্যবসা করে; সাধারন ধর্মপ্রান মানুষদের বিভ্রান্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ নেওয়া হবে। ভন্ড পীর নামধারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। যারা বিভিন্ন সভা সমাবেশে ধর্মের নামে অন্য ধর্মকে গালি দেয়; ভিন্ন অনুসারীদের কটাক্ষ করে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। দেশের বড় বড় মাজারগুলো থেকে গাঁজাখোর, মদখোর ও মাজার ব্যবসায়ীদেরকে বের করে দেওয়া হবে। এজন্য ধর্মীয় বড় আলেমদের সমন্বয়ে একটি বোর্ড গঠন করে তাদের নির্দেশমতো শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

(১৬) একটি দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। এজন্য দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান জরুরী। নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য সুন্দর কর্ম পরিবেশ আবশ্যক; তাদের কর্মের সাথে নিরাপত্তা ও স্বাধীন সত্তা জড়িত। এজন্য সংসদে ৩০ জন সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে প্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে। প্রতিটি উপজেলায় নারীদের জন্য একটি করে ভাইস চেয়ারম্যান পদ সৃষ্টি করা হবে। প্রতিটি গ্রামে একটি করে নারী সংগঠন গড়ে তোলা হবে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করার জন্য সরকারি তরফে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(১৭) ছাত্র রাজনীতি আমাদের সমাজের এক অভিশাপের নাম। আইন করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হবে। ছাত্রদের মধ্যে নেতৃত্বগুণ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করা হবে; তবে এখানে কোন রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করা চলবে না। ছাত্ররা লেখাপড়ার পাশাপাশি ছুটির দিনগুলোতে যাতে পার্ট টাইম কাজ করতে পারে সেজন্য দেশব্যাপী কর্মসংস্থানের উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরী করা হবে। এতে তারা পকেটমানির পাশাপাশি কর্মদক্ষতা অর্জন করতে পারবে। তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য সরকারের তরফ থেকে দেশি বিদেশি শিল্প উদ্যোক্তাদের সব রকম সহযোগিতা করা হবে। রপ্তানীমুখী শিল্প গড়ে তুলতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা হবে।

(১৮) আধিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। চাকরির ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা প্রধান করা হবে। তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে সুরক্ষা দেওয়া হবে। 'সংখ্যালঘু' শব্দটি আইন করে নিষিদ্ধ করা হবে; একটি স্বাধীন ও সভ্য দেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়। সবাই সমান নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা ভোগ করবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশকে গড়ে তোলা হবে। পৃথিবীর উন্নত, পরিকল্পিত ও শিল্পোন্নত দেশগুলো জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রুপান্তর করেছে। আমাদের মত সল্পোন্নত দেশে অধিক জনসংখ্যা সম্পদ না হয়ে ব্যাপক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে মানুষকে সচেতন করা হবে; এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের জন্য উপযুক্ত ভাতার ব্যবস্থা করা হবে; যাতে তারা সম্মানের সাথে পরিবার ও সমাজে চলাফেরা করতে পারেন।

(১৯) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ফেইসবুক, ইউটিউব সহ অন্যান্য শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যমগুলো শিশু ও কিশোরদের জন্য সীমিত করা হবে। ইন্টারনেটকে সেন্সরশীপের আওতায় আনা হবে; যাতে অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরা ১৮+ বিষয়গুলো ইন্টারনেটে খুঁজে না পায়। ইন্টারনেট সাপোর্ট করে এমন ডিভাইজগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করার সময় বয়সের প্রমাণপত্র দেখিয়ে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা হবে।

(২০) মহান ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে দেশকে পরিচালনা করা হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ/হারিয়ে যাওয়া বীরদের নাম তালিকাভুক্ত করা হবে। নতুন করে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হবে; ভূয়াদের বাদ দিয়ে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হবে। মুক্তিযুদ্ধে যেসকল বীর বাঙালি নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাঁদের সবাইকে 'বীরশ্রেষ্ঠ' উপাধিতে ভূষিত করা হবে; যিনি দেশকে স্বাধীন করতে নিজের জীবনকে বিসর্জন করলেন তাঁর চেয়ে বড় মুক্তিযুদ্ধা কেউ হতে পারে না। তাদের সবাই আমাদের কাছে বীরশ্রেষ্ঠ। স্কুল কলেজের পাঠ্যসূচীতে দেশের মূল্যবোধ, জাতীয় ঐক্য, সামাজিক দায়িত্ব এবং মাতৃভাষাকে লালন করার তাগিদ থাকবে।

পরিশেষে, গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা হলো পৃথিবীর সর্বাধুনিক শাসন ব্যবস্থা। এ প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন বলে সরাসরি দেশের নাগরিকদের সম্পৃক্ততা থাকে। এজন্য যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করতে ভোটারদের সচেতনতা জরুরী। বাংলাদেশ গণতন্ত্রিক দেশ হলেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া/ধাপগুলো গণতান্ত্রিক নয়। এখানে নমিনেশন কেনা-বেচা হয়; ভোটার কেনা হয়; জাল ভোট দেওয়া হয়; ভোট বাক্স ছিনতাই হয়; ভোটকেন্দ্রে যেতে বাঁধা দেওয়া হয়; অযোগ্য প্রার্থীদের নমিনেশন দেওয়া হয়। এগুলো আর যাই হোক, গণতন্ত্র নয়। আগামী ৩০শে ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি সুষ্ঠু হোক এবং ভোটাররা যাতে নিরাপদে ভোট দিয়ে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত করেন এই প্রত্যাশা রইলো।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৮৮ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৯

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
দুর্নীতি কমিশন কে কিভাবে স্বাধীন করা হবে। পাছে তারাও যে দুর্নীতি করে বসে। এই খবর কি রাখেন।


১৯ নং ইহা অতীব জরুরি মনে করি। ইন্টারনেট প্রবণতা থেকে কিশোর অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে।। ইহা শুধু দেশ নই। স্বয়ং নিজ পরিবার থেকেও কঠোর হতে হবে।


২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শুভ সকাল, প্রিয় কবি।
আসলে সরকারের মধ্যে সৎ সাহস না থাকলে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিলে নাগরিকদের জন্য এগুলো সহায়ক হয় না। সরকার নিজের আখের গোছানোর জন্য, নিজ দলের দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করার জন্য দূর্বল ব্যক্তিত্বের লোকদের এসব পদে বসায়।

দেশের প্রধান বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এমনকি রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত একই ছকে বাঁধা। আমি ক্ষমতায় গেলে ইশতেহার শতভাগ পূরণ করার চেষ্টা করবো! (১৯) নং বিষয়টি আসলেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য এমন আইন করার কোন বিকল্প নেই। পরিবার থেকে সচেতনতা আসতে হবে।

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো।

এসব প্রস্তাবনাগুলো যদি কোন সরকার বাংলাদেশে কার্যকরী করতে চায়, কত সময়, কি রকম জনবল ও কি পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনার কমেন্ট পেয়ে আশ্বস্ত হলাম। এ বিষয়গুলো গত দুই ঘন্টায় একটানা লিখে শেষ করলাম। হঠাৎ করেই লেখা। আপনি লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। এসব প্রস্তাব কার্যকর করতে অর্থের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো উপযুক্ত নেতৃত্ব। বাংলাদের একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনার দেশ।

দুর্নীতি আর অদক্ষতাকে দূরে ঠেলে যেকোন সরকার এগিয়ে আসলে এই ইশতেহারটি বাস্তবায়ন সম্ভব। কয়েকটি বিষয়ের সুরাহা করতে কয়েক বছর লাগলেও কঠিন হবে না। এজন্য রিজার্ভ রেমিট্যান্সের একটা অংশ সরকার খরছ করতে পারে।

বার্ষিক বাজেট থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ খরছ করা যাবে, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বিত্তবান বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বিনিয়োগ আনা যেতে পারে, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা থেকে সল্প সুদে ঋণ নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, প্রতি বছর যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয় তার একটি বড় অংশ দেশে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। দেশীয় পুঁজিপতিদের কাছ থেকেও ঋণ নেওয়া যেতে পারে।

তবে কি পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ লাগবে তা বলা মুশকিল। প্রতি বছর ২০ বিলিওয়ন ডলার করে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে। তবে এজন্য একটি অর্থনৈতিক সমীক্ষা লাগবে।

ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। সব সময়।

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
শুভসকাল প্রিয় গুরুদেব,


আপাতত উপস্থিতি জানান দিচ্ছি। দুটি স্থানে আপনার ইফতাহারের সঙ্গে একটু যোগ করব ।
এক নম্বরে- শুধু বাসা বাড়িতে নয় সকল ক্ষেত্রে শিশুশ্রম 16 বছর বয়স পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা ।
দুই নম্বরে-অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মধ্যাহ্নভোজ বাধ্যতামূলক করা, সবার জন্য শিক্ষা বা সার্বিক শিক্ষা 14 বছর বয়সে অষ্টম মান পর্যন্ত নিশ্চিত করা, ইংলিশ মিডিয়াম কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পাশাপাশি বাংলা মাধ্যম স্কুল গুলোতেও একই সিলেবাস ও পাঠ্যসূচিতে সামঞ্জস্য আনা, র্যাপিড বুকস ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা ইংরেজি সাইন্স বাধ্যতামূলক করা, প্রতি দু মাস অন্তর স্বাস্থ্য শিবির স্থাপন করে ছাত্রদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা, জীবনমুখী শিক্ষা বৃত্তি শিক্ষায় উৎসাহ দান।,,( খরচ বানান টিতে টাইপো হয়ে গেছে।) বাকিটাতে আপনি খুবসুন্দর বলেছেন ; উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহ প্রদান ,গবেষণাধর্মীতে গুরুত্ব দেওয়া।

অন্যান্য সব ক্ষেত্রেও ভীষণ পাওয়ারফুল ইস্তেহার লাগলো।++++
সময় নিয়ে আবার আসছি ....

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শুভ সকাল, প্রিয় গুরুজি।
গুরুর উপস্থিতি মঞ্জুর করা হলো!!

আপনি বলেছেন, "এক নম্বরে- শুধু বাসা বাড়িতে নয় সকল ক্ষেত্রে শিশুশ্রম 16 বছর বয়স পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা।" হুম, ঠিকই বলেছেন গুরু। তবে শেষ লাইনে এ বিষয়টিও সংক্ষেপে বলে দিয়েছি। শুধু বাসা-বাড়িতে অল্প বয়সী মেয়েদের ঝিয়ের কাজের ব্যবহারকে হাইলাইট করতে বাকী জবের বিষয়ে একটু কম বলেছি।

আপনি ঠিকই বলেছেন শুধু শিশু কেন কিশোরদের বেলায়ও দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা উচিৎ। তবে মাধ্যমিক পর্যন্ত হলে আরো ভাল হয়। গুরুজি, আমি সবে ইলেকশনে জিতে আসলাম! এতো টাকা কোথায় পাই বলুন!! ভোট দিয়ে আগামীবার নির্বাচিত করলে বাচ্চাদের সাথে আসা দিদি/আন্টিদেরও লাঞ্চের বন্দোবস্ত করবো। কথা দিলাম!! একদম পাক্কা কথা।

"প্রতি দু মাস অন্তর স্বাস্থ্য শিবির স্থাপন করে ছাত্রদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা, জীবনমুখী শিক্ষা বৃত্তি শিক্ষায় উৎসাহ দান।" একদম ঠিক বলেছেন। এমনটা করা যায়। তবে, (৩) নং এ বিষয়ে একটি রূপরেখা দিয়েছি। এজন্য স্কুলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়তো প্রয়োজন নাও হতে পারে!!

ভাল থাকুন, প্রিয় ভাই/গুরু। শুভ কামনা রইলো।

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৩৬

বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় কাওছার ভাই,

একজন অরাজনৈতিক ও নীতিবান লোকের কাছ থেকে এমন ইশতেহার পড়ে অনেক কিছু মনে হলো
যদিও বলার অনেক কিছু হিমঘরে বন্ধি হয়ে যায়, ভাষা হয় রুদ্ধ।
রাজনীতি করতে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা, নৈতিকতা, মানব, দয়া, সহনশীলতা দরকার তা আমাদের দেশ থেকে ওঠে গেছে।


এই কবিতাটা আপনার জন্য কোন রাজনীতি নয়।।।।

বক্তব্যটা ক্লিয়ার না!!
********************
বিডিআর হত্যায় হতবাক জাতি,
চারিদিকে বোবা কান্না দেখে তুমি বললে,
এটা নিছক দুর্ঘটনা
বলছি যখন তদন্ত চলছে ---
তবুও করছো কেন এত আস্ফালন !!
তাই ধমক দিয়ে বলো,কি চাও বক্তব্যটা ক্লিয়ার না!!

সাগর-রুনু হত্যা হলো,
মেঘ কাঁদে দ্বারে দ্বারে তুমি বললে,
এটা আবার কিসের সাংবাদিকতা!!
চব্বিশ ঘন্টা সময় লাগবে তবুও কথা বুঝে না!!
তাই ধমক দিয়ে বলো,কি চাও বক্তব্যটা ক্লিয়ার না!!

খাম্বা খেলো,ব্যাংক খেলো,
বাক্স ভর্তি টাকাগুলো পরীর দেশে গায়েব হলো,
তুমি বললে এই ক'টি টাকার জন্যে এত তামাশা,
সব টাকার হিসাব মিলবে কড়ায় গণ্ডায় জনস্বার্থেে আছি আমরা!!
তাই ধমক দিয়ে বলো,কি চাও বক্তব্যটা ক্লিয়ার না!!

জনতা গেলে,শেয়ার গেলো,সোনাগুলো তামা হলো,
এত এত লেখালেখি দেখে
তুমি বললে চুপ করো!
একটু আধটু চুরি কোন সমস্যা না
কেন এত বাড়াবাড়ি করো মাথায় আসে না!!
নিজের টাকা পদ্মা সেতু করবো কারো আমরা ধার ধারি না!!
তাই ধমক দিয়ে বলো,কি চাও বক্তব্যটা ক্লিয়ার না!!


দু'বেলা ভাতের বদলে মানুষ গুম হররোজ চলে,
মায়েরা সব কাঁদে বাচা তার কবে আসবে ফিরে,
তুমি বললো দেশটা তো স্বাধীন,উন্নয়ন চলছে দেদারসে,
টাকা যতই হোক চাল তো পাচ্ছিস,প্লাস্টিক তো খাচ্ছিস না !!
তবুও কেন মন ভারে না বুঝিয়ে বলো!!
তাই ধমক দিয়ে বলো,কি চাও বক্তব্যটা ক্লিয়ার না!!

কুকুরের মত মানুষ কামড়ায় মানুষ মারে,
ভাত ভোটের হাহাকার,মরছে সব রাজাকার,
এত এত অরাজকতা সৃষ্টির পেছনে তুমি দায়ী!!
তবুও বলো চুপ কর হারামজাদা
দেশটা যাচ্ছে ইউরোপ হতে এসব দেখো না!!
চোখে কি তাহলে কপালে তোলা!!
তাই ধমক দিয়ে বলো,কি চাও বক্তব্যটা ক্লিয়ার না!!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় 'লতিফ' ভাই।
এখনো জেগে আছেন? এতো চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। নীতিবান কিনা, জানি না। তবে খুব সাধারন একজন পাবলিক আমি। রাজনৈতিক দলগুলোর কোনটি মুখের কথা আর কোনটি বুকের কথা বুঝি না বলেই রাজনীতির ময়দানে আমার নীরব পদক্ষেপ।

আপনি চমৎকার বলেছেন, "রাজনীতি করতে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা, নৈতিকতা, মানব, দয়া, সহনশীলতা দরকার তা আমাদের দেশ থেকে ওঠে গেছে।"

বাহ!! কবিতা তো সমসাময়িক। অনেক অচেনা-অজানা বাস্তব ফুটে উঠেছে এখানে। আপনার কবিতার হাত দারুন তেজী। ছুটে চলে দূরন্ত গতিতে। কবিতা লেখায় আমি সব সময় কাঁচা। বড্ড কঠিন লাগে লেখতে।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২২

বলেছেন: আমার সালামের উত্তর পাই নাই!!!

জেগে আছি কারণ বড়দিনের টানা ছুটি ৩ তারিখ অব্দি ----

আমার এগুলো কবিতার ব্যাকরণে পড়ে কি না জানিনা তবে বই মেলায় আসছে ৭০ টি কবিতা নিয়ে জীবনের ব্যাকরণ সহ মোট তিনটি বই!!! আপনাকে জানালাম!!!

কবিতা নিয়ে আপনার লেখাটা পড়েছি কম করে হলেও ১০ বার -- আপনি কবিতার সব রথী মহারথী জানেন।
আপনি তো একসময় কবিতা লিখতেন ---
সব বড় বড় লেখকরা প্রথম কবিতা দিয়ে শুরু করেন আপনিও সেই দলের লোক।

ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




"ওয়া আলাইকুম সালাম".... লতিফ ভাই। স্যরি, একটানা কয়েক ঘন্টা বসে ইসতেহার লেখায় মনে হয় কিছুটা টায়ার্ড হয়ে গেছি। এজন্য ঘুম ঘুম চোখ টলমল করছে আঁখি। বড়দিনের ছুটি বলে কথা!! বড়-ই তো হবে?

আসলে কবিতা বলুন আর গদ্য বলুন; এসব ব্যাকরণ মানা কিংবা না মানায় কিছুই যায় আসে না। আসল বিষয় হলো, বিষয়বস্তুটা ঠিকমত গদ্য/পদ্যময় করা। আপনি তা ঠিকঠাক করেন এজন্য তা কবিতা; যথার্থই অর্থপূর্ণ আর সুখপাঠ্য।

কবিতা লিখতাম/লিখি!! তবে এগুলো প্রকাশ এখন আর করা হয় না; অনেক দিন হলো। হয়তো এগুলো অপ্রকাশিতই থেকে যাবে। দেখা যাক কি হয়!! আর এত খুশির সংবাদ শুনলাম। পাশে থাকলে মিষ্টি মুখ করাতাম। তিনটি বইয়ের জন্য শুভ কামনা রইলো।

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: ইশতেহার খুব ভাল হয়েছে। শুধু সদিচ্ছা থাকলে ইশতেহারের সবগুলো পয়েন্ট বাস্তবায়ন কোন সমস্যাই আসলে নয়।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ঢাবিয়ান ভাই। আপনি ঠিকই বলেছেন, এগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সদিচ্ছার কোন বিকল্প নেই। প্রয়োজন দক্ষ ও দুর্নীতিমূক্ত প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব। একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে তা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে।

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: ইশতিহারে শিক্ষার দিকে বেশি জোর দেয়া হয়েছে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ফাহিম ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন। একটি দেশের উন্নতির জন্য সুশিক্ষার কোন বিকল্প নেই। একটি দেশের মানুষ সুশিক্ষিত হলে অনেক সমস্যা আপনাআপনি সমাধান হয়ে যায়। এজন্য ইউনিভার্সিটিগুলোতে গবেষণা বাড়াতে হবে।

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
প্রবাসী শ্রমিক যারা অমানুষিক জীবন যাপন করে। যাদের কোন পারিবারিক জীবন নাই তাদের নিয়ে আপনার ভাবনা কী? তাদের উন্নয়ন কি ভাবে করবেন? ইশতারে সেটা চাই।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ফিরোজ ভাই। প্রবাসী শ্রমিকদের বিষয়ে সংক্ষেপে বলেছি আমি। ধীরে ধীরে অদক্ষ শ্রমিকদের বিদেশে পাঠানো কমিয়ে আনা হবে। এজন্য দেশে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। দেশে উপযুক্ত পরিবেশ থাকলে, ভাল মজুরি পেলে অদক্ষ শ্রমিকরা আর বিদেশমুখী হবে না। এগুলো অল্পদিনেই নিশ্চিত করা হবে।

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১২

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
এত ভালো ইশতিহার কি দেশে আসলেও বাষ্তবায়ন করা যাবে যদি না আসলে দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না পায়?
মানুষের মুখের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে কোনদিন ও উন্নয়ন করে দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন না..।
সব কিছুর মৌলিক শর্ত হলো দেশে গনতন্ত্র আনা.......
শুভ কামনা রইল!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় গল্পকার। আমি ইশতেহার নিয়ে লেখায় ব্যস্থ থাকায় আপনার সর্বশেষ পোস্ট পড়া হয়নি। পরে মনযোগ দিয়ে পড়ে একটি মন্তব্য রেখে আসবো। আমাদের দেশে নামেই শুধু গণতন্ত্র। সরকারগুলো কখনো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাঁড়াতে দেয়নি নিজেদের স্বার্থে। এ বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোর গুরুত্ব দিতে হবে। গণতন্ত্রের সাথে মানুষের অধিকার ও বাক স্বাধীনতার বিষয়টি জড়িত; এগুলো সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

ভাল থাকুন, সব সময়।

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

সোহানী বলেছেন: ওয়েল, আমার আপনার সবারই নির্বাচনী ইশতেহার একই। কারন আমাদের চাওয়া খুব সাধারন আর সেটা নিজেন জন্য নয়, দেশের অসহায় মানুষের জন্য। কিন্তু যারা এর বাস্তবায়ন করবে তাদের কতটুকু স্বদিচ্ছা আছে সেটাই প্রশ্ন। আমার মতে তাদের যদি ১% ও স্বদিচ্ছা থাকতো তাহলে আপনার আমার দাবীগুলোর ৬০% পুরোন হতো। আমরা চাইনি কোন স্পেস সেন্টার করতে, আমরা দুবেলা দু"মুঠো ভাত চেয়েছি। আমরা পাতাল রেল চাইনি, সামান্য ডাল মেখে মরিচ পোড়া দিয়ে ভাত খেতেে চেয়েছি। কিন্তু আমরা এ স্বাধীনতার ৪৮ বছরে কি পেয়েছি??? কত নির্বাচন গেল কত শত ইশতেহার তৈরী হলো দিস্তার পর দিস্তা কাগজে...্ কোন ইশতেহার কি কেউ পুরোন করেছে???..... না কেউই সেদিকে তাকায় নাই। কারন নির্বাচনে একটা ইশতেহার থাকতে হয় তাই আছে, এটা আসলে কি তাই মনে হয় অধিকাংশ জানে না................

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপা, আপনার চমৎকার মন্তব্য আমার পোস্টকে অলঙ্কারিত করেছে। এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি ঠিকই বলেছেন এসব চাওয়া আমাদের একার নয়, দেশের প্রতিটি নাগরিকের। এজন্য সরকারের উচিৎ এগুলো বাস্তবায়নে মনোযোগী হওয়া।

হুম, আমাদের স্পেস সেন্টার লাগবে না; আমরা চাই দেশের শতভাগ মানুষ দুমুঠো ভাত খেয়ে সম্মানের সাথে বেঁচে থাকবে। তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে। তাদের টেক্সের পয়সা ঠিকমত কাজে লাগবে। দেশের অর্থ কেউ বিদেশে পাচার করলে কঠিন শাস্তির বিধান করা হবে।

আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছরে কি পেয়েছি??? কত নির্বাচন গেল কত শত ইশতেহার তৈরী হলো দিস্তার পর দিস্তা কাগজে। কোন ইশতেহার কি কেউ পুরোন করেছে??? না, কেউই সেদিকে তাকায় নাই। কারন নির্বাচনে একটা ইশতেহার থাকতে হয় তাই আছে, এটা আসলে কি তাই মনে হয় অধিকাংশ জানে না।

এটাই বাস্তবতা; এটা দুঃখজনক।

১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

প্রামানিক বলেছেন: আমরা যে যেভাবেই ইশতেহার দেই না কেন রাজনৈতিক নেতারা তাদের স্বার্থ বিরোধী কোন ইশতেহার গ্রহণ করবে না।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হুম। তবে তারাও দলীয় বুদ্ধিজীবিদের দিয়ে চমৎকার নির্বাচনী ইশতেহার তৈরী করেন। কিন্তু নির্বাচিত হলে এগুলো বিলকুল ভুলে যান। ইশতেহার দিতে হবে তাই দেওয়া। ভোটারদের সামনে মূলা ঝুলিয়ে নিজেদের আখের গুছানোর ফন্দি এগুলো।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ, প্রিয় ছড়ার জাদুকর।

১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
রাজীব ভাই, আপনার ইশতেহারটি পড়বো। ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

১৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: দূর্নীতি নিয়ে কথা বলাটা জরুরী ছিল, যেটা আপনার ইশতেহারে উঠে এসেছে। ভালোলাগা জানবেন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বাহ, আপনার মন্তব্যটি আমাকে অনুপ্রাণিত করলো। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। দেশে উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য এর কোন বিকল্প নেই। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

১৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: কাউসার ভাই, কেমন আছেন?


আসলে ভাই, আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মূখ্য উদ্দেশ্যে হচ্ছে ব্যাক্তিস্বার্থকে অগ্রাধিকার শুধু নয়, ব্যক্তিস্বার্থের কারণেই রাজনীতি করা।

খুব খারাপ লাগে এমনসব কুকর্ম দেখে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আরে, তাজুল ভাই! কেমন আছেন? আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রকৃত নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন নেতার বড়ই অভাব। রাজনীতিতে লুটপাটের গণতন্ত্র চলছে। সবাই সুযোগের সদব্যবহার করে নিজেদের চৌদ্দ গোষ্ঠীর জন্য আখের গোছাতে মরিয়া। পাবলিক নিয়ে ভাবার সময় কই!!

১৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভাই আমি চমৎকার আছি।

এসব কষ্টের কথা।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
শুনে খুশি হলাম, তাজুল ভাই। ভাল থাকুন, সব সময়।

১৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বিস্তারিত পড়ে মন্তব্য করবো :)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



'আর্কিওপটেরিক্স'!! আপনার আগমন মানেই আমার পোস্টের ঝলমলে ভাব। হাজিরাটা জানিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আসবেন কিন্তু আবার। বলতে হবে পড়ে কেমন লাগলো। ভাল থাকুন, সব সময়।

১৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

আরোগ্য বলেছেন: কাওসার ভাই ,
দুবার আপনার ইশতেহারটি পড়লাম। কালরাতেও আপনার ব্লগে ইশতেহার খুঁজতে গিয়েছিলাম।
আপনার বিশ্লেষণধর্মী ইশতেহারটি বেশ ভালো হয়েছে। অনেকগুলো পয়েন্ট আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। তবে সড়কের ব্যাপারে যে পরিকল্পনা তা সময়সাপেক্ষ ও ব্যাপক মূলধনের দরকার।
অনেকের ইশতেহারেই এক প্রধানমন্ত্রী দুই বারের বেশি না থাকার কথা বলা হয়েছে। আমার মতে যদি কোন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে কল্যান হয় আর নাগরিকও সন্তুষ্ট থাকে তাহলে ততোধিক বার নেতৃত্ব করলে আমি কোন সমস্যা দেখি না। যদিও আমাদের দেশে যোগ্য প্রার্থীর অভাব এটা ভিন্ন কথা।
মধ্যপ্রাচ্যে নারীর কাজের জন্য নিষেধাজ্ঞা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
সর্বোপরি ইশতেহার ভালো হয়েছে। প্রকৃত বাস্তবায়ন করা গেলে দেশ উন্নত চিত্র ধারণ করবে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় 'আরোগ্য' ভাই। গত কাল শেষ রাতে নিরিবিলি একটানা বসে নির্বাচনী ইশতেহারটি লিখেছি। কাভা ভাই ২০টি পয়েন্ট নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় আটকে যেতে হলো। না হলে আরো কিছু বিষয় সংযোজন করতাম! আপনি গত রাতে ইশতেহারটির খুঁজে এসেছিলেন জেনে খুশি হলাম। এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। আজ দুইবার পড়লেন? বাহ!! দারুণ সম্মানের আমার জন্য বিষয়টি। জানি না আপনাদের মনমত হয়েছে কিনা; তবে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে যা লিখেছি এগুলো সময় সাপেক্ষ। অবকাঠামোর স্থায়ী উন্নয়ন করতে হলে দীর্ঘ প্লান ও সময় দরকার হয়। এছাড়া বড় অঙ্কের টাকার যোগান দিতে সময় প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী দুইবারের বেশি হলে হয়তো সমস্যা নেই। কিন্তু ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য এবং রাজনৈতিক দলগুলোতে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠার জন্য ১০ বছরের অধিক কাউকে এই পদে রাখা সমীচীন নয়। এতে সিন্ডিকেটের সম্ভাবনা কিংবা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার রিস্ক থাকে। এগুলো থেকেই পরিবারতন্ত্রের জন্ম হয়। এজন্য গণতন্ত্রের স্বার্থে দুই টার্ম-ই ভাল।

ভাল থাকুন, সব সময়। শুভ রাত্রি।

১৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

হাবিব বলেছেন: আপনার ইশতিহার সবচেয়ে ভলো. লেগেছে

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
খুশি হলাম, হাবীব ভাই। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। (শুভ রাত্রি)

১৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩১

টুনটুনি০৪ বলেছেন: আপনার ইশতেহার ভালহয়েছে। আমার (বিপিপি) ইশতেহার

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
টুনটুনি আপু, আমি চুপিচুপি আপনার লেখা ইশতেহার পড়েছি। চমৎকার হয়েছে।

২০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রিয় সিনিয়র খায়রুল আহসান ভাইয়ের ইশতেহারের পর আপনার ইশতেহারটিও বেশ লাগল!
সবগুলো অবশ্য পড়া হয়ে ওঠেনি। তবে গড়পরতা মৌলিক বিষয়ে সবার ভাবনা একই রকম।

আপনার শিক্ষার উপর জোর দেয়া সহ খুটিনাটি অনেক বিষয়কে যুক্ত করেছেন। যোগাযোগ একটা দেশের উন্নয়নের মাপকাঠি।
যদিও বিগ প্লান তবু্ও এরকমইতো হতে হবে। সময়ের আগে ভাবতে হবে বৈকি!
ধর্মীয় ভন্ডামীর নিয়ন্ত্রনে সদিচ্ছা্ও প্রশংসার্হ।
প্রশাসনকে পুরোপুরি রাজনীতি মুক্ত করাটা একটা অতি জরুরী বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। রাজনৈতিক দুর্বত্তায়নের ফলে
আম নাগরিকগণ ব্যাপক ভাবে অবহেলিত হন। সরকারী চাকুরী পুরোপুরি রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে। শুধু শ্রমিক অধিকার বিষয়ক একটি মাত্র ট্রেড ইউনিয়ন ছাড়া বাকী দলীয় নামে বেনামে কোন প্রকার সাংগঠনিক কাজ করা অবৈধ করতে হবে।

লোম বাছতে গাঁ উজারের মতো হাল ভায়া দেশের। এত বেশি অবনমন আর ভুলপথে চালিত করা হয়েছে -একেবারে কেঁচে ন্ডুষ করতে হবে। তবে কিছুই অসম্ভব নয়। শুধু চাই দেশপ্রেমিক শিক্ষিত সৎ নেতৃত্ব।

অনেক অনেক ভাললাগা আর শুভেচ্ছা রইল।

অই মিয়া খিতা হইল? এক্কেবারে ভূইলা গেলেন? ;)
হা হা হা

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কিতা খবর?
জানেমন। স্টিল নাউ আই মিস ইয়র বয়েস। যদি আরেকটু সময় আপনার সাথে থাকতে পারতাম!! আফসুস হয়। আগামীতে কোন এক উদাস দূপুরে জমিয়ে আড্ডা হবে। দেখি ঢাকায় যাওয়ার ভাড়া জোগাড় করতে পারি কিনা?

ভায়া, আমিও @ খায়রুল ইসলাম স্যারের ইশতেহারটি পড়েছি। ভাল লেগেছে। সবাই যার যার মত করে ইশতেহার লিখছেন। একসাথে হাজারো বিষয় তুলে আনা অনেক কঠিন কাজ। আমি চেষ্টা করেছি।

ধর্মীয় ভন্ডামী আর রাজনীতি থেকে প্রশাসনকে মুক্ত রাখা সময়ের দাবী। এগুলো না করলে সমাজে দুর্নীতি আর স্বজন প্রীতি বেড়ে যাবে। সমাজে ঘৃণা আর অবিশ্বাসের বীজ রুপিত হবে। সমাজ ও রাষ্ট্র পিছিয়ে পড়বে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগুলো করতে হবে।

অই মিয়া খিতা হইল? এক্কেবারে ভূইলা গেলেন? ;)
হা হা হা ---------- গুরু, দেখা হবে দুজনে; কথা হবে বাতাসে!! (শুভ রাত্রি)

২১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৫

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: ভাল লাগলো ভাই

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো 'বাঁশি' ভাই। প্লাসে প্রীত। (শুভ রাত্রি)

২২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৩৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুধু ইসতেহার শুনেই, না পড়ে, মন্তব্যে এলাম।। সেই ৭৩ থেকেই তো দেখে আসছি।। আর ভালও লাগে না।।
দেশে যদি সত্যিকার দেশপ্রেমিক থাকে , তবে তা আছে মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তের মাঝেই।।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শুভেচ্ছা নেবেন। আশা করি, সুস্থ আছেন। আসলে সেই ৭৩ সাল থেকে যে ইশতেহার দেখে আসছেন; এখনো এভাবেই চলছে। এগুলো পূরণ করার মানসিকতা নিয়ে দলগুলো ইশতেহার দেয় না। এগুলো হলো ভোটারদের সামনে মুলা ঝুলিয়ে ভোট চাওয়ার কৌশল।

২৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন:

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



১ম পুরষ্কার!! কিযে বলো 'প্রান্ত'!! আমি তো এ পুরষ্কারটি তোমাকে দিয়েছি। এই বয়সে তোমার মত অধিকাংশ ছেলে ইশতেহার কি তা-ই বুঝে না; অথচ তুমি রীতিমত চমৎকার একটি ইশতেহার লিখে ফেলেছ!! এজন্য এই পুরষ্কার তুমি ডিজার্ভ কর। লেখালেখিটা বন্ধ করো না। লেখাপড়ার ফাঁকে চালিয়ে যাবে। অনেক সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি তোমার মধ্যে।

২৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ২০টা পয়েন্টের ২০ টাই প্রপারলি ইউলিলাইজ করেছেন B-)
অনেক ভালো লাগলো কাউসার ভাই।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হুম। আসলে 'কাভা' ভাই ২০টি পয়েন্ট সীমাবদ্ধ করে দেওয়ায় এর মধ্যেই শেষ করতে হলো। চেষ্টা করেছি দরকারী বিষয়গুলো ইশতেহারে তুলে আনতে এবং তা বাস্তবায়ন করার সুবিধা এবং কৌশল সংক্ষেপে তুলে ধরতে। জানি না কতটুকু পেরেছি?

২৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: বুঝলাম না, Utilize লিখতে গিয়ে ইহা কি লেখলাম :-/
এইটা নিয়া তিনটা মন্তব্য করে ফেললাম |-)
তবে, আপনার ব্লগে তিনটা কেন; ত্রিশটা মন্তব্য করলেও আপনি কিছু মনে করবেন না জানি B-)

শিক্ষা খাতে ২টা পয়েন্ট কি আসতে পারতো?
-পিএসসি জেএসসি বাতিল
-নিজেদের কারিকুলাম নিজেরা করা...

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



তিনটি গোল্ডেন কমেন্ট করেছো! এটা আমার জন্য পরম সৌভাগ্যের। আগের কমেন্টে তুমি Utilize লিখেছো এটা বুঝতে পেরেছি। হ্যা, শিক্ষা খাতে এ দু'টি পয়েন্ট আসতে পারতো। তবে আমি মনে করি, পিএসসি ও জেএসসির দরকার আছে। তবে এসব পরীক্ষা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিতে হবে একটি নরমাল পরীক্ষার আদলে। ঘটা করে রেজাল্ট দেওয়া, অনলাইনে রেজাল্ট প্রকাশ, শিক্ষা মন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রেজাল্ট বগলদাবা করে নিয়ে জাতির সামনে সেলফি; এগুলো বন্ধ করতে হবে। এগুলো বাচ্চাদের মনে প্রেসার ক্রিয়েট করে। আর A+ জাতীয় বিষয়গুলো এসব পরীক্ষা থেকে তুলে দেওয়া উচিৎ।

২৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

নজসু বলেছেন:



১৯ নম্বর পয়েন্টার জন্য আমার অনেক আগে থেকেই চিন্তা হয়।
নাক টিপলে দুধ পড়ে এমন ছেলেপেলেদের ফেসবুকে কর্মকান্ড আর লেখাজোখা দেখলে মাথা নষ্ট হয়ে যায়।
ইশতেহারে লাইক আর ♥♥♥

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আরে আমার 'সুজন' ভাইজান! আপনার চমৎকার কমেন্ট আমার পোস্টের অলঙ্কার। আপনি সহ অনেকেই (১৯) নং কমেন্ট হাইলাইট করেছেন। আমি মনে করি, ১৮ বছর বয়সের আগে ফেইসবুক কেউ যাতে ব্যবহার করতে না পারে।

এই বয়সের ছেলেমেদের উচিৎ নিজের ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে পাঠে মনযোগী হওয়া। ফেইসবুক এখন শিশু-কিশোরদের একটি ক্রেজ হয়ে গেছে; চরম নেশা। এতে তারা পড়াশোনায় মনযোগ হারাচ্ছে।

আর ইউটিউবে তো আর ভয়াবহ; পিচ্চি ছেলেমেয়েদের অশ্লীল ভিডিওতে সয়লাব। এদের অভিবাবকরা কই থাকে? কোন সাহসে এই ভিডিওগুলো ছড়িয়ে দেয়। ইদানিং একটি নায়িকা নাকি মডেল দেখলাম নিজের বুকের ওজন অপারেশন করে এভারেস্টের উচ্চতায় নিয়ে গেছে!! এগুলো নিয়ে তিনি লাইভেও আসেন?? তরুণরা তো গোল্লায় যাচ্ছে এসব ভিডিও গিলে। সমাজে মেয়েদের প্রতি হেরাসমেন্ট বাড়বে।

অনেক তরুনীকে তো ইমোতে XXX করতে বিকাশ নাম্বার শেয়ার করতে দেখা যায়? এগুলোকে বন্ধ করতে হবে ইমিডিয়েটলি। এখনই। একদম রেইট বলে দেয়; ঘন্টায় ১০০০ টাকা। টাকার কমতি থাকলেও সমস্যা নেই সর্টটাইম সার্ভিসও আছে ১৫মিনিটের!!

২৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

নজসু বলেছেন:



:-B :-B :-B

একদম ঠিক বলেছেন।
ব্লগে নিরাপদ হবার আগে এই বিষয়ে আমি ছোট্ট একটা পোষ্ট দিয়েছিলম।

সেখানে আপনার সহমত মন্তব্য পেয়েছি।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



সুজন ভাই, আপনার এ পোস্ট আমি পড়েছিলাম মনে আছে। বাংলাদেশের মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহারে এখনো পরিপক্বতা অর্জন করতে পারেনি। শিশু, কিশোর ও যুবারা এগুলোর মিস ইউজ করছে। এজন্য আপনার মত আমারও অভিমত একই।

২৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




প্রিয় কাওসার ভাই

আপনার উচিত একটা দল খুলে ফেলা । যদিও এই ইশতেহার কারো মাথায় ঢুকবে না । আপনি গ্রামের মানুষদের এই ইশতেহার দিলে তারা আপনাকে ভাবতে এই লোক কই থেকে আসছে । তারা মার্কা আর মানুষ দেখে ভোট দেয় ।

এবার ইশতেহার নিয়ে বলি,

১ নং পয়েন্ট নিয়ে বলার কিছু নেই । গৃহকর্মী না নেয়াই ভালো । তবে যদি নিতেই হয় তবে সেটা ১৬ না করে ১৮ করে দিলে বেশি ভাল হয় ।

২ নং এ শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি প্রয়োজন । দরকার হলে স্কুল কলেজ বন্ধ করে সবাই কে কারিগরি শিক্ষা দেয়া যেতে পারে ।

৩ নং হচ্ছে হাসপাতাল এর বিষয় । এটা আসলে ধরে বেধে বা আইন করে কিছু হবে না যদি না ডাক্তার কে আপনি রেজিস্টার্ড করে থাকেন । আর ৪ নং এ হচ্ছে কৃষি খাতে আপনাকে যা করতে হবে তাদের দালালদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে । মধ্যস্থাকারী সরিয়ে কৃষক যাতে সঠিক মুল্য পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ।

৫ , ৬ এবং ৭ নং নিয়ে কোন কথা নেই ।

৮ এবং ৯ নং এ বলব বেকারদের সহজ শর্তে লোন দেয়ার বিষয় ও বিদেশে লোক পাঠানোর ব্যাপারে দক্ষ লোক পাঠানোর ব্যবস্থা ও পাসপোর্ট তৈরিতে দালালী বন্ধ করতে হবে ।

১০ নং করা সম্ভব তবে সেটা অনেক কঠিন একটা ব্যাপার হবে ।

১১, ১২ ও ১৩ ঠিক আছে ।

১৪ নং এ আপনি স্বাধীন কিভাবে করবেন । এটা তো আর আর্মি নয় । এর উপর ও নিয়ন্ত্রন রাখা জরুরী । আমরা এখন এতোটা সৎ হইনি যে রাস্তায় পরে থাকা টাকার বান্ডিল পুলিশ স্টেশন বা যার তার কাছে দিয়ে আসব ।

১৫ এবং ১৬ এর সাথে সম্পূর্ন এক মত ।

১৭ তে এটা যদি করা যায় তবে ভাল হয় । কিন্তু এরশাদের মত অবস্থায় হয়ে যেতে পারে । তবে আমিও ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে ।

এরপর ১৮ ১৯ এবং ২০ সব গুলো ই যৌক্তিক ।

ভাল থাকবেন ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় 'অপু' ভাই;
এতো ব্যস্থতার মাঝেও আমার নির্বাচনী ইশতেহারটি মনযোগ দিয়ে পড়ে চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন; এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দুর্নীতি গ্রস্ত ও দূর্বল গণতান্ত্রিক দেশে হাজারো সমস্যা বিদ্যমান। এর সবগুলোই দরকারী। এজন্য ইশতেহারে লিস্টি অনেক লম্বা হয়।

(১) গৃহ কর্মীদের বয়স ১৮ হলে ভাল হয়; তবে নূন্যতম ১৬ হলেও খারাপ হবে না। কোন কোন বাসায় তো হাফ ডজন কাজের মানুষ দেখা যায়; বেতন খুবই অল্প। এজন্য সরকারের উচিৎ গৃহকর্মীদের নুন্যতম মজুরী নির্ধারণ করা। কেউ এই নিয়ম না মানলে জেল-জরিমানার বিধান করা।

(২) আপনি ঠিকই বলেছেন। এই আন্তঃসার শুন্য এতো উচ্চ শিক্ষিত মানুষ দিয়ে কি হবে? এজন্য কারিগরী শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। আর ইউনিভার্সিটিগুলোতে গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। সবাইকে মাস্টার্স পাশ করতে হবে কেন?

(৩) চিকিৎসা ও চিকিৎসক বিষয়ে আমি একটি রূপরেখা দিয়েছি। এগুলো ফলো করলে চিকিৎসায় অরাজকতা ধীরে ধীরে ধীরে বন্ধ হহবে। (৪) কৃষিতেও ঠিক তাই।

(৮) বেকারদের প্রশিক্ষণ সহ সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।

(৯) বিদেশে দক্ষ ও উচ্চ শিক্ষিত মানুষদের পাঠাতে হবে। অদক্ষ শ্রমিক ও গৃহকর্মী মহিলা পাঠানো বন্ধ করতে হবে। দেশে তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান করতে হবে। রেমিটেন্সের জন্য রপ্তানী নির্ভর শিল্প গড়ে তোলতে হবে। বিদেশে মুদ্রা পাচার বন্ধ করতে হবে।

(১০) দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্রকে টকসই করতে হলে এর কোন বিকল্প নেই। রাজনীতিতে লাগাম টেনে ধরতে হবে। সুশিক্ষিত ও দক্ষ লোকজন যাতে রাজনৈতিক নেতৃত্বে আসতে পারে সে সুযোগ করে দিতে হবে। সংসদে দক্ষ মানুষ পাঠাতে হবে।

(১৪) দুর্নীতির গলায় ঘন্টা বাঁধতে না পারলে সব ভাল উদ্যোগ ভেস্তে যাবে। এজন্য শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশনের কোন বিকল্প নেই। সরকারকে এ বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে এবং দক্ষ লোকদের নিয়োগ দিতে হবে।

(১৭) রাজনৈতিক দলগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতে হলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। এটা এখন সময়ের দাবী। ছাত্রদের কাজ পড়ালেখা করে দেশের সুনাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা। কোন দলের লাঠিয়াল বাহিনী হওয়া নয়।

ভাল থাকুন, প্রিয় ভাই। (শুভ রাত্রি)

২৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইশতিহারে অনেক কিছু বেশ ডিটেইলসে লিখেছেন, ফলে বুঝতে সুবিধে হয়েছে। অনেক চিন্তা ভাবনা করে লিখেছেন, এটা ইশতিহার পড়েই বোঝা যায়।
আইন পাশ করে কিছু শব্দ নিষিদ্ধ করার কথা বলেছেন, যেমন 'মাননীয়', 'সংখ্যালঘু' ইত্যাদি। আমি মনে করি, এর জন্য আইন পাশ করার দরকার নেই। একটা শব্দ বন্ধ করবেন, আরেকটা আসবে। চাটুকারিতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শিক্ষা এবং স্বয়ম্ভরতা বাড়লে ধীরে ধীরে এসব শব্দ আপনা আপনি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
ভাল ইশতিহার +।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



স্যার, চমৎকার একটি মন্তব্য করে আমার পোস্টকে অলঙ্কারিত করেছেন। আমি চেষ্টা করেছি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ইশতেহারে তুলে আনতে। বিকেলে আপনার ইশতেহারটি পড়েছি; খুব ভাল লিখেছেন। সময় কম থাকায় কমেন্ট করা হয়নি।

আইন পাশ করে কিছু শব্দ নিষিদ্ধ করার কথা মূলত মনের কষ্ট থেকে বলেছি। সরকার, বিরোধী দল, আমলা, পাবলিক সময় সুযোগ পেলেই এই কথাগুলো বলে। একটি স্বাধীন দেশে কাউকে/কোন গোত্রকে সংখ্যালঘু বলা দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিৎ। এটি চরম অসম্মানজনক শব্দ। ওয়াজ মাহফিলগুলোতে অন্য ধর্মকে গালি দেওয়া কমন বিষয়।

'মাননীয়' নিয়ে কি আর বলবো। এ শব্দটা সম্ভবত জাতীয় সংসদে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। মাননীয় স্পিকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় সংসদ সদস্য ইত্যাদি শব্দগুলো কলোনিয়াল সময়ে হয়তো ঠিক ছিল। একটি সভ্য ও স্বাধীন দেশে এমন চাটুকারিতা পূর্ণ শব্দ থাকবে কেন?

আপনি ঠিকই বলেছেন, এসব শব্দ বিলুপ্ত করলে নতুন নতুন শব্দ পয়দা হবে। আমাদের রক্তে চাটুকারীতা লেপ্টে গেছে। এজন্য সুনাগরিক ও সুশিক্ষিত জাতি বড়ই প্রয়োজন। প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো, স্যার। (শুভ রাত্রি)

৩০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

কালীদাস বলেছেন: মুটামুটি গোছানো ইশতেহার, মন্দ না। গত দুইদিন অনেক ইশতেহারের পোস্টে এনভায়নরমেন্টের সাপোর্টে পয়েন্ট তেমন একটা দেখিনি- আপনি মুটামুটি গুছিয়েই বলেছেন কয়েকটা পয়েন্টে। এনিওয়ে, পেনশন সিসটেমের কথা বাদ গেছে আপনার ইশতেহারে।

সোশ্যাল মিডিয়ার পয়েন্টটা (১৬) নিয়ে আমি কিছুটা পরিমার্জনের কথা ভাবব। গত দশবছরে দেশের মেইন ব্যান্ডউইডথ খরচ হয়েছে ফেসবুকে। ফেসবুক বন্ধ করতে আইনী পদক্ষেপের কথা আমি নিজেও অনেক জায়গায় বলেছি, এই জাতি কম্পিউটার অন করতে জানে না কিন্তু ফেসবুকের উপর গাইড বই লিখতে জানে। কিন্তু ইউটিউব বন্ধ করার পক্ষপাতি আমি না; এটা থেকে উপকারিতা পাওয়ার আশা আছে। ধরেন, খান একাডেমি পুরোটাই দাঁড়িয়ে আছে ইউটিউবের উপর বেস করে। যেকোন সমস্যায় গুগলে সার্চ করলে প্রচুর সলভ পাবেন ইউটিউবের লিংকসহ। ফেসবুককে সেই কাতারে দেখি না। যে দেশে এখনও পেটেভাতে চলার সমস্যা শেষ হয়নি সে দেশে এত সামাজিকতা মারানোর লজিক আমার কাছে স্পষ্ট না।


শিক্ষার পয়েন্টে আমার দুটো আপত্তি আছে। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল আমারও পছন্দ না, কিন্তু বন্ধ করার লজিকটা কি? নন-ইংলিশ স্পিকিং প্রায় সব ইউরোপিয়ান দেশেই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল আপনি পাবেন। আরবী ডিপেন্ডেন্ট মাদ্রাসা যদি থাকতে পারে, এরা পারবে না কেন? আমরা যখন ইউনিতে পড়তাম, আমাদের কিছু ক্লাশমেট ইংলিশ মিডিয়ামের স্টুডেন্টদের ডিল করত। এদের কনটেন্ট বরং মেইনস্ট্রিমের হাজার হাস্যকর এক্সপেরিমেন্টের চেয়ে অনেক গোছান এবং স্ট্রাকচারাল। প্লাস, ইন্টার পর্যন্ত এদের কোয়ালিটির পার্থক্য শুধু একটাই, এরা বাংলায় দুর্বল। তো সেটা বাংলার পয়েন্টে স্ট্রেংথ বাড়ালেই হয়। ব্লগার শায়মা ইংলিশ মিডিয়ামের সাথে জড়িত, তিনি আরও ভাল বলতে পারবেন এই পয়েন্টগুলো।

সেকেন্ড আপত্তি হল উচ্চশিক্ষায় পাবলিক ভার্সিটি সরকারি অনুদানের উপর ডিপেন্ড করবে কেন? শিক্ষা মৌলিক অধিকার, উচ্চশিক্ষা না। উন্নত বিশ্বে পাবলিক ভার্সিটিগুলো সরকার থেকে গ্রান্ট পায়, হয় প্রোপার্টি (ল্যান্ড/সি) অথবা হাতে গোণা কিছু স্কলারশিপ যেগুলো খুবই কম্পিটিটিভ অথবা বছরওয়ারি একটা বা দুইটা গ্রান্ট। রিসার্চের টাকা হয়ত প্রতিষ্ঠালগ্নে এককালীন দেয়, কিন্তু সেটা সারাজীবন না। যদি ভার্সিটির পন্ডিতরা নিজের যোগ্যতায় যোগাড় করতে না পারে, এই খোড়া প্রতিষ্ঠান দিয়ে কি হবে ভবিষ্যতে? গত সাতচল্লিশ বছরে; স্যরি আমার নিজেরটা সহ আরো কয়েকটা ভার্সিটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে; বেতন, গ্রান্ট সব পেয়ে আসছে, প্রত্যাশিত আউটকাম কই? আমার নিজের কলিগই আছে ফুল প্রফেসর যে জীবনে একটা পেপার নিজে লিখেনি, ফুল প্রফেসর হয়ে বসে আছে। প্রতিটা ভার্সিটির রিসার্চের গ্রান্ট আছে যেগুলো কেউ ইউজ করে না, কারণ বেশিরভাগ টিচারের সেই যোগ্যতাই নেই। যাদের দরকার নিজের যোগ্যতায় নিয়ে এসে করছে। আমরা প্রোডাক্টিভ, মেরিটোরিয়াস টিচার চাই যারা নতুন জ্ঞান নিজের যোগ্যতায় সৃষ্টি করতে পারবে; মানসিক ভাবে পঙ্গু, বিকারগ্রস্হ কপিবাজ না।

বাকি পয়েন্টগুলোর সাথে অনেকটাই একমত।
চালিয়ে যান :)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমি খুব চাচ্ছিলাম আপনার একটি বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য। আমি সৌভাগ্যবান যে, আমার চাওয়াটুকু আপনি পূরণ করেছেন। এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি যে বিষয়গুলোর উপরে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করবো।

প্রথমত, আসলে আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দুর্নীতিবাজ আর অদক্ষ নেতৃত্বের দেশের ইশতেহারে হাজারো পয়েন্ট ঢুঁকালেও শেষ হবে না। এজন্য চেষ্টা করেছি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো তুলে ধরতে। এনভায়নরমেন্টের সাপোর্টে তেমন কিছু তুলে না ধরলেও এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোকপাত করেছি। আর পেনশন সিস্টেম ঠিক হয়ে যাবে দেশে আইনের শাসন, জবাবদিহিতা আর রাজনৈতিক নেতৃত্বের ইতিবাচক মানসিকতা হলে। এজন্য আগে প্রশাসনের দীর্ঘসূত্রিতা আর দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, সোশাল মিডিয়া নিয়ে যা বলেছেন তার সাথে দ্বিমত করার কোন সুযোগ নেই। ফেইসবুক তরুণ প্রজন্মকে ড্রাগের মতো জড়িয়ে ধরেছে। এই নেশার ফলে ছাত্ররা পাঠে মনযোগী হতে পারছে না। ইউটিউব দরকার আছে। কিন্তু এখানেও সেন্সরশীপ লাগবে। দেশীয় নোংরা ভিডিওগুলো ব্লক করতে হবে। আপনি ঠিকই বলেছেন, 'যে দেশে এখনও পেটেভাতে চলার সমস্যা শেষ হয়নি সে দেশে এত সামাজিকতা মারানোর লজিক আমার কাছে স্পষ্ট না'।

তৃতীয়ত, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর ব্যাপারে আমার ধারণা পজেটিভ নয়। প্রয়োজনে যাচাই করে কিছু রাখা যেতে পারে। তবে এতো এতো হবে কেন? এগুলো অনেকটা বড় লোকের ছেলে মেয়েদের শিক্ষা বিলাস। আমার মূল আপত্তির কারণ হলো এসব স্কুলে বাংলাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এসব ছাত্ররা বাংলা লেখতে, পড়তে ও বলতে ভীষণভাবে কাঁচা। দুঃখজনক হলেও সত্য তাদের মধ্যে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির গুরুত্ব তেমন একটা নেই। এটা দুঃখজনক। আমি সাড়ে চার বছর দেশের নামকরা একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থেকেই কথাটি বলেছি। শিক্ষার মাধ্যম মাতৃভাষায় হওয়া বাধ্যতামূলক হতে হবে। সাথে ইংরেজিকে গুরুত্ব দিলেই হয়। একটি ভাষা শিখতে সারা জীবন নিজের মাতৃভাষা বাদ দিয়ে পড়তে হবে কেন? ইউরোপ আমেরিকায় স্থানীয় কোন ছেলে মেয়ে বিদেশি ভাষার কোন স্কুলে পড়ে না। এসব স্কুলে পড়ে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ইমিগ্র্যান্ট আর চাকরিজীবীর সন্তানরা ।

চতুর্থত, উচ্চ শিক্ষায় সরকারি অনুদানের বিষয়টি নিয়ে আমিও ভেবেছি। দেখুন, আমরা তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ। এখানে ছাত্ররা উচ্চ টিউশন ফি দিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে না। তবে আমিও মাগনা টাইপের পড়াশুনা বন্ধ করার পক্ষে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর পৃথিবী বিখ্যাত ইউনিভার্সিটিগুলো মূলত বিদেশী ছাত্রদের কাছ থেকে বড় অংকের টিউশন ফি নিয়ে ফান্ড তৈরী করে। লন্ডনের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি ছাত্রদের কাছ থেকে কি পরিমান পয়সা নেয় তা শুনলে বিশ্বাস হবে না আপনার। তবুও প্রতি বছর তাদের ছাত্র বাড়ছে। কারণ, ইন্টারনেশনালি তারা একটি অবস্থানে চলে গেছে। আমরা কখনো তাদের সমকক্ষ হতে পারবো না। এজন্য সরকারি ফান্ডের কোন বিকল্প নেই। অদক্ষ শিক্ষকরাও কম দায়ী নয়; গবেষণা করার যোগ্যতাই বা কয়জনের আছে!

পরিশেষে বলবো আপনার এমন কমেন্ট আমার পোস্টকে সমৃদ্ধ করেছে। আশা করি, আপনার চিন্তাশীল মনের চমৎকার কমেন্ট নিয়মিত পাব। শুভ কামনা আপনার জন্য। (শুভ রাত্রি)

৩১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫২

কালীদাস বলেছেন: সেন্সরশীপ জিনিষটা বাকস্বাধীনতার সাথে কতটুকু যায় সে প্রশ্ন থেকে যায়। ইভেন ফেসবুক ব্যান করাও খুব যুক্তিসংগত না, কারণ এখন অনেকেই প্রক্সি ইউজ করতে জানে। ইউটিউবের নোংরা ভিডিওর জন্য পারিবারিক শিক্ষা এবং নীতিজ্ঞানহীন প্রাইমারি এডুকেশনকে দায়ি করব আমি। নারীকে নারী হিসাবে না দেখে সেক্স টয় হিসাবে শেখার ফল শুধু ইউটিউব না সবখানে দেখবেন কিছু স্পেসিফিক ইতরের। ফেসবুকের ব্যাপারটা আলাদা এক্ষেত্রে কারণ জাতিগতভাবেই আমরা খানিকটা অলস, সেটার বড় চর্চার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক X((

ইংলিশ মিডিয়াম বন্ধ করার এই লজিক দেখালে সেইম লজিকে মাদ্রাসাও বন্ধ করতে হবে। আমি তো বরং ইংলিশ মিডিয়ামকে প্রেফার করব আরবদের শঠতা এবং লিমিটেড জব মার্কেটের জন্য। বেটার, শর্টকামিং ওভারকাম করতে হবে যেন মেইনস্ট্রিমের সাথে কম্পিটিশনে টিকতে পারে। আরেকটা ছোট্ট কারেকশন, শুধু ইমিগ্রান্টদের জন্য ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল চালানো হয় না ইউরোপে কোথাও কারণ অনেক দেশেই ইমিগ্রান্ট নেয়া এখন খুবই নিয়ন্ত্রিত; এখানে আমেরিকার এক্সাম্পল টানার প্রয়োজন ছিল না। আমি স্প্যানিশ প্রি স্কুলের কথা আপাতত বলছি না বরং ইংলিশের কথাই বলছি পার্টিকুলারলি। উত্তর কোরিয়ার খবর জানিনা, বাদবাকি সারা দুনিয়াতে ফরেন সিটিজেনদের স্ট্যান্ডার্ড যোগাযোগের ভাষা ইংলিশই :( প্লাস আরেকটা জিনিষ মনে পড়ল মাত্র, সব মিডিয়ামের জন্যই আদবকায়দা এবং নীতিশাস্ত্র শেখানো জরুরী হয়ে পড়ছে। উল্লেখযোগ্য স্কুল/কলেজের বাচ্চাদের দেখবেন ইভেন টিচারদের সাথেও ঠিকমত কথা বলার আদব জানে না। পারিবারিকভাবেও আগের মত সামাজিক মূল্যবোধ শেখানো হয় না। এই ল্যাকিংস কাটছে না বাকি জীবনেও :(

গুডনাইট :)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। সেন্সরশীপ জিনিসটা বাক স্বাধীনতার অন্তরায় কথাটি ঠিক। কিন্তু বয়স বেঁধে এগুলো করা উচিৎ বলে আমি মনে করি। একটি পূর্ণ বয়স্ক মানুষের বাক স্বাধীনতা আর ১৬ বছরের নিচের একটি ছেলে/মেয়ের বাক স্বাধীনতাকে এক পাল্লায় মাপা যাবে না। নীল ছবি দেখলে বড়রা স্বাভাবিকভাবে নিলেও বাচ্চাদের জন্য তা ভয়ঙ্কর হতে পারে। এজন্য সেন্সরশীপ হোক কিংবা অন্য কোন উপায়ে হোক তা বন্ধ করতে হবে। আর ইন্টারনেটের বিকল্প উপায়ে ব্যবহারও চিন্তার কারণ।

খেয়াল করলে দেখবেন, আমি একমুখী প্রাইমারি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে বলেছি। এজন্য শিশুদের মাদ্রাসা শিক্ষার আলাদা কোন প্রয়োজন নেই; ধর্মীয় শিক্ষা মক্তব থেকেও নেওয়া যায়। আমি মনে করি, কওমী/সরকারি মাদ্রাসাগুলো সীমিত করলে ভাল হয়। এ বিষয়ে আমার নিজস্ব কিছু মতামত আছে তবে ব্লগে তা আলোচনা করবো না। কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে সর্বত্র।

একটু খেয়াল করলে দেখবেন; দামী দামী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে অভিবাবকরা বাচ্চাদের ভর্তি করান মূলত প্রেস্টিজ আর বাচ্চারা যাতে ভাল ইংরেজি শিখতে পারে; ফটফট করে ইংরেজি বলতে পারে এজন্য। এখানে শিক্ষা অর্জন করাটা অনেকটা গৌণ। একটি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে সারা জীবন ঐ ভাষায় পড়াশুনা করতে হবে কেন? তাও মাতৃভাষা বাদ দিয়ে?

আমি ইউরোপে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকেই কথাটি বলেছি। ইউকে ছাড়া ইউরোপের কেউ ইংরেজিকে গুরুত্ব দেয় না। ইংরেজি জানলেও বলে না। তাদের ছোট্ট একটি দেশেও নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ। তবে Scandinavian দেশগুলোর স্কুলে ইংলিশকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এরা স্কুলে অন্য যেকোন একটি ভাষা Second Language হিসেবে নেয়। জাস্ট এটুকু।

আমেরিকায় জন্ম নেওয়া কোন অরিজিন আমেরিকান ইংলিশ ছাড়া অন্য কোন ভাষায় শিক্ষা নেবে না। কোন কানাডিয়ান ফরাসি ও ইংরেজি ছাড়া অন্য কোন ভাষায় শিক্ষা নেবে না। হয়তো শেখার আগ্রহ থেকে অন্য কোন ভাষা শিখবে। মাতৃভাষাকে কখনো বাদ দিয়ে নয়।

জাপান, কোরিয়া, চায়না, জার্মান, ফারসি, স্পেনিশ, রাশিয়ান, ইতালিয়ান, পর্তুগীজরা বিশ্ব মঞ্চে নিজের ভাষায় কথা বলে। এতে কে বুঝতে পেল? কে পেল না? এতে তাদের কিছুই যায় আসে না। এতে মানুষগুলোর প্রতি বিশ্ববাসীর রেসপেক্ট বাড়ে। একটি স্বাধীন দেশে জন্ম নিয়ে এবং ৫২-র ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে ভুলে নতুন প্রজন্মের কোন ছেলে/মেয়ে বাংলায় ঠিকমত কথা বলতে, লিখতে আর পড়তে যদি না পারে তাহলে এটি জাতীয় লজ্জা। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি চরম অসম্মান।

শুভ রাত্রি।

৩২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রায় বছর দুয়েক আগে ২০১৬ সনে একটি সাময়িকীতে Manifestos and the "two faces" of parties: addressing both members and voters with one document শিরোনামে একটি আর্টিকেলে দেখেছিলাম core functions of manifestos সম্পর্কে তাঁরা ফভচ্যচব ইলেকসন মেনুফেষ্টো হলো একদিকে voter-directed party image projection এবং অন্যদিকে party members-directed identity-building. তাই একটি নির্বাচনী ফেনোফেস্টো জনগনের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পাওয়ার জন্য প্রথমেই এ দুটি বিষয়ের উপরে বিশেষ করে পার্টি মেম্বারদের অতীত ও বর্তমান আইডেনটিটি তথা নির্বাচনী ইসতেহারটি বাস্তবায়নের জন্য তার বা তাদের নিজস্ব ইতিকথা, সামর্থ ও যোগ্যতা ও ইসতেহারে বলা বিষয়গুলি বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান অবকাঠামোর পুর্ণবিন্যাস কিংবা দরকারী নব ভৌত ও অভৌত অবকাঠামো সৃজনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ও তা সংস্থানের বিষয়াবলী অন্তর্ভুক্ত থাকা প্রয়োজন । তবে আমার মনে হয় গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় থাকার একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে । এ সময়ের মধ্য বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়গুলিই শুধু নির্বাচনী ইসতেহারে রাখা সমীচীন । যে কথাগুলি নির্বাচনী ইসতেহারে বলা হয় সে কথাগুলি নির্বাচনের অনেক পুর্বেই নীজ পার্টির গঠনতন্ত্রে লিপিবদ্ধ করে সেগুলি মেনে চলার বিষয়ে নীজ পার্টির আচার ও কালচার সম্পর্কে জনমানুষের কাছে নীজেদের গ্রহনযোগ্যতা ও সেগুলি বাস্তবায়নের জন্য নীজেদের অতীত কৃতি ( যদি থাকে ) ও বর্তমান কালচার ও ভবিষ্যত কমিটমেন্টের বিষয়টি জনগনের কাছে আস্থার বিন্দুতে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে । কেবল তাহলেই নির্বাচনী ইসতেহারটি জনগনের কাছে আছর করতে পারবে , তা না হলে নির্বাচনী ইসতেহারের বিষয়ে ব্লগার সোহানী ও প্রামানিকের মত অনেকেই মত ব্যক্ত করবেন । আমার মনে হয় গনমুখী দাবী দাওয়া নিয়ে মাত্র দুএকটি বিষয় নির্বাচনী ইসতেহারে রাখা হলে তার ভিত্তিতেই একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে পারে সাফল্যের সঙ্গে। জনগন ধরে নিবে তাদের পছন্দের পার্টি ক্ষমতায় গেলে তাদের গঠনতন্ত্রে বর্ণিত গনমুখী পরিকল্পনা ও এজেন্ডাগুলি তারা বাস্তবায়ন করবেন । তাই পার্টির নীজ গঠনতন্ত্রে না রেখে কিংবা যেগুলি গঠণতন্ত্রে আছে ( যথা পার্টি নেতৃত্ব নির্ধারণের জন্য গনতান্ত্রিক পদ্ধতি ও তা যথাযথভাবে অনুসরন ও প্রতিপালন করা, ) সেই বিষয়গুলি নির্বাচনী ইসতেহারে রাখা হলে তাকে কি অভিধায় বিবেচনা করা হবে আর তার ফলাফলই বা কি হবে তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে।
যাহোক, বিষয়টি নিয়ে দেশের একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে একটি সুন্দর আলোচনার সুত্রপাতের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনার মহা মূল্যবান একটি কমেন্ট আমার পোস্টে পেয়ে সত্যি কৃতজ্ঞ। ব্লগে আসার পর থেকে আপনার সম্বন্ধে জেনে এসেছি; আপনার বেশ কয়েকটি লেখা ব্লগে পড়েছি। আশা করি, পুরোপুরি সুস্থ আছেন এখন। আসলে Election Manifesto-তে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মেয়াদের প্রথম ভাগে যে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করবে কিংবা করা প্রয়োজন তা-ই গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা উচিৎ।

বিখ্যাত NewsStatesman ম্যাগাজিনের মতে, Manifestos serve a very important function, because they are the main way of telling voters why they should give their vote to a particular political party. The body of a manifesto usually breaks the party's policies down into a number of key areas.

পৃথিবীর উন্নত আর প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে ইলেকশনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো দুই-তিনটি বিষয়কে হাইলাইট করে ভোটারের মনযোগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। সেসব দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো আর আইনের শাসনের উপস্থিতির ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এমনিতেই সমাধান হয়ে যায়, ইশতেহারে আনতে হয় না। কিন্তু আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্থ আর দূর্বল নেতৃত্বের দেশগুলোতে ইশতেহারে হাজারো বিষয় সংযুক্ত করলেও শেষ হবে না।

আপনি যথার্থই বলেছেন, "মেনুফেষ্টো হলো একদিকে voter-directed party image projection এবং অন্যদিকে party members-directed identity-building. তাই একটি নির্বাচনী ফেনোফেস্টো জনগনের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পাওয়ার জন্য প্রথমেই এ দুটি বিষয়ের উপরে বিশেষ করে পার্টি মেম্বারদের অতীত ও বর্তমান আইডেনটিটি তথা নির্বাচনী ইসতেহারটি বাস্তবায়নের জন্য তার বা তাদের নিজস্ব ইতিকথা, সামর্থ ও যোগ্যতা ও ইসতেহারে বলা বিষয়গুলি বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান অবকাঠামোর পুর্ণবিন্যাস কিংবা দরকারী নব ভৌত ও অভৌত অবকাঠামো সৃজনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ও তা সংস্থানের বিষয়াবলী অন্তর্ভুক্ত থাকা প্রয়োজন।"

এজন্য দলগুলোর উচিৎ যোগ্য লোকদের নমিনেশন দিয়ে সংসদে নিয়ে আসা। ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরী করা, এগুলো করতে কি পরিমান টাকা লাগতে পারে, কতদিন সময় লাগবে এবং টাকার যোগান কিভাবে হবে তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এর ধারেকাছেও যায় না। শুধু দলীয় বুদ্ধিজীবিদের দিয়ে সুন্দর করে একটি ফর্দ তৈরী করে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে।

আপনার মত আমিও মনে করি, 'গনমুখী দাবী দাওয়া নিয়ে মাত্র দুই-একটি বিষয় নির্বাচনী ইসতেহারে রাখা হলে তার ভিত্তিতেই একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে পারে সাফল্যের সঙ্গে। জনগন ধরে নিবে তাদের পছন্দের পার্টি ক্ষমতায় গেলে তাদের গঠনতন্ত্রে বর্ণিত গনমুখী পরিকল্পনা ও এজেন্ডাগুলি তারা বাস্তবায়ন করবেন।'

ভাল থাকবেন, সব সময়। আশীর্বাদ রইলো। (শুভ রাত্রি)

৩৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ফভচ্যচব শব্দটা বলেছেন হবে লেখার সময় হঠাত করে বাংলা থেকে ইংলিশ ফন্ট চলে আসায় এই শব্দটি তৈরী হয়েছে । তখন নজরে পরে নাই , পোষ্ট করার পরে ধরা পরেছে , এখন আর করার কিছুই নেই ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কমেন্ট পড়ার সময় টাইপোটি বুঝতে পেরেছি। এই সমস্যা আমাদের অনেকেরই হয়। কমেন্ট পোস্ট করার পর তা সংশোধনের সুযোগ থাকে না। এটা বড় কোন ভুল নয়; যেহেতু ফেইসবুকের মত কমেন্ট এডিট করা যায় না সেহেতু এগুলোও সংশোধন করা যায় না। (ধন্যবাদ)

৩৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সামুর কমেন্ট এডিট সহ আরও বিষয় নিয়ে আমার পোস্ট সামু ভাবনা ৩ পোস্ট করবো.....

অবশেষে এলাম....
পড়লাম...
এবার মন্তব্য করবো....

আপনার ইশতেহারটা চমৎকার হয়েছে....
প্রায় সব টপিকই ইন ডিটেইলস লিখেছেন....
ফলে বুঝতে অনেক সুবিধা হয়েছে....

আপনার ইশতেহারটা সত্যি যদি বাস্তবায়ন হতো !!!!


আমার ছোট্ট ইশতেহার পড়ার আমন্ত্রণ রইলো :)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় "আর্কিওপটেরিক্স" ভাই।
আশা করি, ভাল আছেন। আপনার ফানি মন্তব্যগুলো আমার বেশ ভাল লাগে। আপনি ইশতেহারটি পড়ে মন্তব্য করেছেন এজন্য ধন্যবাদ। আমি চেষ্টা করেছি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ইশতেহারে সংযোজন করতে। যাতে পাঠকরা পড়ে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে পারেন। জানি এগুলো কোন সরকারই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে না; তবুও দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সাধারন মানুষের চাওয়াটুকু তুলে ধরেছি।

৩৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
আমি একটা পোষ্ট দিয়েছে ইশতিহার নিয়ে এখানে Click This Link
আপনার সুচিন্তিত মতামত চাচ্ছিলাম, যদি হাতে সময় থাকে আপনার.......
শুভ কামনা রইল!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় ভাইকে অনলাইনে দেখেই ব্লগে ঢুকলাম; ইশতেহারটিও পেয়ে গেলাম। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ছোট্ট একটি মন্তব্যে নিজের ভাললাগাটুকু জানিয়ে আসলাম। আপনার ইশতেহারে বেশ নতুনত্ব আছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। একটি দেশের আইনের শাসন, জবাবদিহিতা ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এগুলো অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে।

আপনার চিন্তাশীল মনের চমৎকার ভাবনাগুলো কলমের আঁচড়ে সুচারুভাবে ফুটে উঠেছে। এজন্য সাধুবাদ আপনার প্রাপ্য। ভাল থাকুন, নীল আকাশ ভাই। অগ্রীম ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা।

৩৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৫

রাকু হাসান বলেছেন:

আপনার সবগুলো পয়েন্টের সাথে ভালো লেগেছে । সুচিন্তিত । অনেক কথা হয়েছে বেশ কিছু দিন ধরে ইশতেহার নিয়ে । আমিও আবার বললে ,হয়তো চর্বিত চর্বন হ্যেয় যাবে । আজ আর বললাম না । অন্য পোস্টে মন্তব্যে খুশি করার চেষ্টা করবো । শুভকামনা ভাইয়া । আমার সালাম নিবেন । ভালো থাকুন ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ওয়া আলাইকুম সালাম, প্রিয় রাকু হাসান ভাই।
বিকাল থেকে খুব ব্যস্ত থাকায় আপনার ইশতেহারটি পড়া হয়নি। এখন পড়বো আশা রাখি। আপনাকে গত কিছুদিন থেকে ব্লগে পাচ্ছি না। হয়তো খুব বিজি আছেন। আমি হঠাৎ করেই ইশতেহারটি লিখেছি; এজন্য খুব বেশি ভাবনা চিন্তার সুযোগ হয়নি। ব্লগে নিয়মিত ভাইয়ে পোস্ট চাই।

শুভ রাত্রি। ভাল থাকুন, সব সময়।

৩৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৩৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমার দেখা ভোট : জনগনের ভাবনা
................................................................................................
কিছুক্ষন আগেই সংবাদ এলো ২/১ জনের প্রান গেল , ব্যালট বক্স ছিনতাই হলো,
পুলিশের ঘুম হারাম হলো । কেন এই সহিংসতা ???
..................................................................................................
আমার ব্লগে আসুন "ভোট দিন "

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমি ভাবছি; এখন পর্যন্ত যে ছেলগুলো জেগে জেগে ভোটের জন্য প্রস্থুত হচ্ছে। তাদের কেউ হয়তো ভোটের বলি হবে। তাদের তাজা রক্তের উপরে পা দিয়ে; তাদের লাশ নিয়ে টানাহ্যাচড়া করে; মিছিল করে ক্ষমতার মসনদে বসবে। কিন্তু গণতন্ত্রের নাম করে লাশ হওয়া ছেলেটির পরিবার নিঃস্ব হবে; তাদের বুকের কষ্ট বাতাসে মিলিয়ে যাবে; তাদের বুক খালি হবে। এই গণতন্ত্র দিয়ে কি হবে বলুন? এজন্য তো দেশ স্বাধীন হয় নাই। ৩০ লক্ষ তাজা প্রাণের বিনিময়ে এই রাজনীতি তো মুক্তিযোদ্ধারা চান নাই। এই উন্নয়ন আর চেতনার ব্যবসা দিয়ে কি হবে?

কেন জাল ভোট হবে? কেন ব্যালেট বাক্স ছিনতাই হবে? কেন মানুষ মারা যাবে?

৩৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

রাকু হাসান বলেছেন:

ওয়ালাইকুম সালাম ।
ব্যস্ত থাকবো বলে ,ভেবেছিলাম পোস্ট করবো না ,খানিক বিরতি নিব । পরে ভাবলাম ব্লগে কিছু সময়ের জন্যও আসতে পারলে কিছু পড়বো এবং কিছু না কিছু লেখার চেষ্টা অবচেতন মন থেকেই আসবে । তাই সিদ্ধান্ত পাল্টালাম । হুম কিছু লিখলে কিছু পড়া হবে ,নতুন পোস্টও করতে হবে । আপনিও মনে হয় ব্যস্ত সময় পার করছেন । ইদানীং আগের পোস্ট ও কমেন্ট দেখি না । আমিও লিখলা, তবে তেমন পাবার সুযোগ হয়নি ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় ভাই। ভাবছিলাম ব্লগ ডে'তে আপনার সাথে দেখা হবে। আশা করি, আগামীতে কোন একদিন দেখা হবে। ব্লগে পরিশ্রমী লেখকের বেশ ঘাটতি আছে। এজন্য যারা ভাল লেখেন এবং যুক্তিপূর্ণ কমেন্ট করে ব্লগটিকে সচল রাখছেন তাদের দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এজন্য আশা করবো সময় সুযোগে ব্লগে আসবেন।

ভোটের দিনটি নিরাপদ হোক, এই প্রত্যাশা রইলো।

৩৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: জাতিগতভাবেই আমরা খানিকটা অলস, সেটার বড় চর্চার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক - কালীদাস এর এ কথাটার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো কমেন্টে পেয়ে ভাল লাগলো, স্যার। @ কালীদাশ এর আগেও আমার কিছু পোস্টে দারুন পরিশ্রমী কিছু কমেন্ট করেছেন। এগুলো আমার পোষ্টের অলঙ্কার হিসেবে জ্বলজ্বল করছে। এ পোষ্টে উনার চমৎকার দু'টি কমেন্ট আমার পোস্টের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। তিনি খুব ভাল পাঠকও বটে।

হ্যাপি নিউ ইয়ার, স্যার।

৪০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

মুক্তা নীল বলেছেন: প্রথমেই বলছি ভাই, আমি রাজনীতির অতকিছু বুঝি না। গতকাল বাংলাদেশে শুধুশুধু ২১ জন মানুষ মারা গেলো। ইলেকশন না হলে কি হতো? আর হয়তো নাও হতে পারে। সিলেট কে নিয়ে একটা প্রচলিত ধারণা আছে, সিলেট ১ আসন সরকার গঠন করে তো আমি মনে মনে ভাবছিলাম, যদি ১ আসনে মক্তাদির যায়,তাহলেতো ভাবতেই হবে ইলেকশন হলো!!! আপনি আর লতিফ ভাই আমাকে লিখার জন্যে উৎসাহ দিয়েছেন, কিন্তু যখন লিখলাম তখন আর কেউ দেখে না। ভাই, জানাবেন কেমন হলো।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এদেশের রাজনীতি কে বুঝে, বলুন? নীতিহীন রাজনীতি হয় বর্ণচোরা। একেক সময় একেক পক্ষের কথা বলে। গণতন্ত্র, রাজনীতি, সুশাসন আর দায়বদ্ধতা আমাদের দেশের রাজনীতিতে অনুপস্থিত। এজন্য আমাদের মতো সাধারন মানুষ রাজনৈতিক কুটকৌশলের পাঠ নিতে জানি না। গত কালের নির্বাচনে যা ঘটেছে, এগুলো কোন রাজনৈতিক ফর্মুলায় পড়ে না। এটা হলো পাওয়ার পলিটিক্স।

হ্যাপি নিউ ইয়ার।

৪১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৬

নজসু বলেছেন:

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হ্যাপি নিউ ইয়ার, প্রিয় 'সুজন' ভাই। B-) B-) B-)

৪২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনার নতুন বছর ভালো কাটুক বড় ভাই :)

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হ্যাপি নিউ ইয়ার প্রিয় ভাই প্রান্ত। দিনে দিনে বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল দ্বীপ হয়ে সবাইকে আলোকিত করবে এই প্রত্যাশা রইলো। বই মেলায় তোমার সাথে দেখা হবে; আসবে তো?

৪৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

নীলপরি বলেছেন: ভালো লিখেছেন । পড়তে দেরী হোলো । ++

শুভকামনা

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, দিদি। আপনি সময় করে লেখাটি পড়েছেন এজন্য ভাল লাগছে। আশা করি ভাল আছেন। নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো।

৪৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১

আরোগ্য বলেছেন: কাওসার ভাই বেশ কদিন যাবৎ আপনাকে ব্লগিং দেখছি না। আশা করি ভালো আছেন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



স্যরি, প্রিয় আরোগ্য ভাই। গত কয়েকদিন থেকে কিছু ব্যস্ত থাকায় ব্লগে আসতে পারিনি। মিস ইউ ভাই অলওয়েজ। বই মেলায় আসেন, দেখা হবে। ভাল থাকুন সব সময়। +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.