নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেরা ইউনিভার্সিটির তালিকায় কেন বাংলাদেশ নেই?

১১ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩


বিশ্ব মানের কোন ইউনিভার্সিটি কেন বাংলাদেশে নেই তার কারণগুলো অনুসন্ধান করা জরুরী। আমরা যারা অমুক-তমুক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্বে ফুলে যাই এগুলো সেরার তালিকায় থাকা দূরে থাক, মোটামুটি মানেও নেই কেন? তা জানা দরকার। আসুন কারণগুলো একে একে জেনে নিই।

(১) অদক্ষ প্রশাসন; রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। এখানে তাদের মূল যোগ্যতা দলীয় আনুগত্য আর চাটুকারিতা। এই মেরুদন্ডহীন পরিচালকের ছোয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও গবেষণার কাজ এগোনোর পরিবর্তে পিছিয়ে যায়। কেউ কেউ তো শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করেন। এছাড়া কর্মস্থলে না যাওয়ার সংস্কৃতি আছে কারো কারো।

(২) শিক্ষক রাজনীতি; অধিকাংশ শিক্ষক রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তিতে মশগুল। শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। তাদের একমাত্র কাজ গবেষণা ও পাঠদানে সীমাবদ্ধ নয় বলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ব্যহত হয়। শিক্ষকদের প্রমোশন ও স্কলারশিপে রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারবে না।

(৩) রাজনৈতিক বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ; বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এতো পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ এটি। এতে অধিকাংশ সময় অদক্ষরা সুযোগ পায়। এছাড়া এরা শিক্ষক হওয়ার পরও রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তি করে। একাডেমিক কার্যক্রমে দাদাগিরি করে। কোন কোন শিক্ষক তো অনার্স শেষ করেই শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পান!

(৪) ছাত্র রাজনীতি; একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে ছাত্র রাজনীতি যথেষ্ট। ছাত্ররা যখন ক্লাশ আর গবেষণা বাদ দিয়ে রাজনীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি নিয়ে মশগুল থাকে তখন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনতিবিলম্বে ছাত্র রাজনীতি ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর আইন করা আবশ্যক।

(৫) বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি; পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়াটি হাস্যকর। ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ছাত্ররা কোচিং সেন্টারগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তোতাপাখির মতো গাইডবই মুখস্থ করে। এই প্রক্রিয়ায় ভর্তি বন্ধ করতে হবে। যে ছাত্র যে বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে চায় শুধু সে বিষয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া উচিৎ। কোচিং সেন্টার আর গাইড বই নিষিদ্ধ করতে হবে।

(৬) অতিলোভী মনোভাব; অনেক শিক্ষক নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির পাশাপাশি অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় বেতনে চাকরি করেন। এতে মূল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান ও গবেষণায় সময় দেওয়ার ফুরসত থাকে না। এগুলো বন্ধ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়।

(৭) বিদেশ যাত্রা; কোন কোন শিক্ষক স্কলারশিপ নিয়ে বছরের পর বছর বিদেশে পড়ে থাকেন। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেতন নেন! বছরের পর বছর এই অনৈতিক কাজ করলেও সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ! যারা বেতন ভাতা নিয়ে দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করে বিশ্ববিদ্যালয় ফিরে আসবে না তাদের কাছ থেকে সমুদয় অর্থ ফেরৎ আনতে হবে। না দিলে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। এদের অনুপস্থিতিতে ছাত্ররা বঞ্চিত হয়।

(৮) বিদেশি শিক্ষক নিয়োগ; বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় না। এটা দুঃজনক। শুধু স্থানীয় শিক্ষক না রেখে বিদেশি শিক্ষক নিয়োগ দিলে শিক্ষার পরিবেশ আরো সুন্দর হতো।

(৯) আবাসিক ছাত্রাবাস; বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আবাসিক ছাত্রাবাস থাকায় ছাত্র ছাত্রীরা এই এলাকাকে নিজের বাড়ির মতো মনে করে। এতে তাদের মধ্যে ক্ষমতার দাম্ভিকতা আর অপরাধ প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া ক্লাসেও মনোযোগী কম হয় এরা। এজন্য আবাসিক হলগুলো একাডেমিক এলাকা থেকে দূরে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।

(১০) গবেষণার অভাব; এসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাজারো পিএইচডি দেওয়া হলেও উনাদের গবেষণাকর্ম কী বিশ্ব মানের হয়! কারণ, এসব পিএইচডি-ধারীদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া বাকি সবই শুধু কাগুজে! এজন্য প্রকৃত গবেষকদের গবেষণায় উদ্ভুদ্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যায়গুলোতে রিসার্চ ফ্যাসিলিটি বাড়াতে হবে। বিদেশি রিসার্চারদের নিয়ে আসতে হবে। দেশিদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে।

(১১) নামমাত্র ফি'তে ছাত্রদের উচ্চশিক্ষা বন্ধ করা উচিৎ। ইউরোপ-আমেরিকার মতো দেশেও ফ্রিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নেই। প্রয়োজনে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছাত্রদের "স্টুডেন্ট লোন" দেওয়া যেতে পারে। চাকরি জীবনে যাওয়ার পর সে ধাপে ধাপে তা পরিশোধ করবে। উচ্চ ফি দিয়ে ছাত্ররা পড়াশুনা করলে তারা ক্লাসে এবং গবেষণায় মনোযোগ দিতে বাধ্য থাকবে; অভিভাবকরাও সচেতন হবে। শিক্ষকরাও ফাঁকিবাজি করার সুযোগ কম পাবে।

মনে রাখতে হবে, পিএইডি (PhD) অর্জন কোন সার্টিফিকেট নয়; এটা গবেষণা কর্মের স্বীকৃতি।।


ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। সেরা তালিকায় বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় আসতে হলে আরো 100 বছর অপেক্ষা করতে হবে। ততদিনে যদি আমাদের কিছুটা পরিবর্তন আসেন নইলে আরো 1000 বছর অপেক্ষা করতে হবে। সুন্দর লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়।

১১ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ প্রিয় সাজ্জাদ ভাই;
প্রথম দু'টি কমেন্টে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। হ্যা, আপনি ঠিকই বলেছেন সেরা তালিকায় আসতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক অনেক পরিবর্তন আবশ্যক। না হলে, একশো কেন এক হাজার বছরেও কোন পরিবর্তন আসবে না। দেশের গরীব মানুষের করের হাজার হাজার কোটি টাকা এভাবে নষ্ট হওয়া দুঃখজনক। এখন, ছাত্রদের কাছে একাডেমিক পড়ার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়/মেডিকেল ভর্তি কোচিং আর বিসিএস কোচিং অধিক গুরুত্বপূর্ণ!! জাতির ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে।

২| ১১ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার লেখাটা আসলেই অসাধারণ। কোন একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ পড়তে পারতো।

১১ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমার লেখা জাতীয় দৈনিকে ছাপানোর যোগ্য নয়। প্রথম আলো আর বাংলাদেশ প্রতিদিনে লেখা পাঠিয়ে দেখেছি কেউ ছাপে না। এজন্য এখন আর লেখা পাঠাই না। এরা বড় নাম আর লবিং না থাকলে পাত্তা দেয় না।

৩| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন। লেখার মুনশিয়ানা নিয়ে তারিফ করলাম কিন্তু বিষয় নিয়ে বলাটা আমার পক্ষে বেশ অসুবিধাজনক। যাই হোক শুভবুদ্ধির উদয় হোক। শিক্ষাঙ্গনে স্ব শ্বসন বা রাজনৈতিক মুক্ত পরিবেশ গড়ে উঠুক।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, গুরুজি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তি থাকলে তা আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকে না। এগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর ভাগাড়ে পরিণত হয়। এদেশের উচ্চশিক্ষা ধ্বংস করেছে ছাত্র শিক্ষক রাজনীতি। আর অদক্ষ মেরুদণ্ডহীন প্রশাসনের কথা কী আর বলবো? দুঃখজনক।

৪| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১

নীলপরি বলেছেন: বিষয়টা খুব যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করেছেন । ভালো লাগলো ।

শুভকামনা

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, দিদি।
এ বিষয়গুলো নিয়ে বেশিবেশি করে লেখা উচিৎ। জনগনের করের হাজার হাজার কোটি টাকা সঠিক পথে ব্যয় হোক। জাতি প্রকৃতভাবে সুশিক্ষিত হোক। দেশ এগিয়ে যাক এই আশা রইলো।

৫| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বাংলাদেশের কোন ইুনিভার্সিটিতে পড়েছেন?

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এই কুয়েশ্চন আপনি আমার আরেকটি পোস্টে করেছিলেন। আমি উত্তর দিয়েছি। খুশি হবো বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নিলে। আমি একাডেমিক লাইফে গোল্ড ম্যাডেলিস্ট টাইপের কোন ছাত্র ছিলাম না; অতি সাধারণ একজন পড়ুয়া ছিলাম। ব্যাস এইটুকু। (ধন্যবাদ)

৬| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "আমি একাডেমিক লাইফে গোল্ড ম্যাডেলিস্ট টাইপের কোন ছাত্র ছিলাম না; অতি সাধারণ একজন পড়ুয়া ছিলাম। "
-ইউনিভার্সিটিগুলো নাম করে, র‌্যাংকিং'এ আসে রিসার্চের পরিমাণ, রিসার্চে নিযুক্ত ষ্টুডেন্ট ও শিক্ষক, ভালো পিএইচডি শিক্ষক, তাদের প্রকাশনা ও গোল্ড ম্যাডেলিস্ট'দের সমন্নয় ঘটায়ে।

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমি ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বলতে চাইনি। আপনি ঠিকই বলেছেন, "ইউনিভার্সিটিগুলো নাম করে, র‌্যাংকিং'এ আসে রিসার্চের পরিমাণ, রিসার্চে নিযুক্ত ষ্টুডেন্ট ও শিক্ষক, ভালো পিএইচডি শিক্ষক, তাদের প্রকাশনা ও গোল্ড ম্যাডেলিস্ট'দের সমন্নয় ঘটায়ে।" এখানেই বড় ঘাটতি আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলোর।

৭| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেরা ইউনিভার্সিটির তালিকায় বাংলাদেশের কোন ইউনিভার্সিটির নাম নেই, থাকার কোন কারনও নেই। অদূঢ় ভবিষ্যতেও কোন সম্ভাবনা দেখছি না। কারনগুলো আপনি ভালোভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন। :)

জয় বাংলা।

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, মফিজ ভাই। শিক্ষা ব্যবস্থায় এতো গলদ থাকলে উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পৃথিবীর কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং নামক কোন বস্তুর অস্তিত্ব নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পড়াশুনা শেষ করার পরও বিসিএস কোচিং নামক কোন বস্তুর অস্তিত্ব নেই। শিক্ষক/ছাত্র রাজনীতির কোন অস্তিত্ব নেই। এগুলো এখনই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

৮| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


১১ নং টা'তে আপনার নিজস্ব মুল্যবান কথা বলেছেন; তা'হলে, জার্মান, কানাডা , সুইডেনের সরকারের লোকেরা আপনার থেকে কম বুঝেন, ওরা কেন ফ্রি উচ্চ-শিক্ষা দিচ্ছেন? যা বুঝেন না, সেটা নিয়ে ঢোল বাজান? বিশ্বে সবদেশে শিক্ষা ফ্রি হওয়া উচিত।

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



জার্মান, কানাডা, সুইডেন সহ আরো অনেক দেশ ফ্রিতে উচ্চশিক্ষা দেয় এটা আমার জানা। তবে এগুলো এক্সেপশনাল। তারা উচ্চশিক্ষা ফ্রি করার পেছেন যৌক্তিক কারণও আছে। মূলত, ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা আর গবেষণায় আগ্রহী করে তুলতে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশে এই ফ্রিতে উচ্চশিক্ষায় লাভের অংশ তেমন নেই। অরাজকতাই বেশি।

আপনি তো রাজনীতির বাদ্য-বাঁশি-ঢোল-তবলা ছাড়া কিছু বাজাতে পারেন না। একেক পোস্টে একেক রাজনৈতিক দর্শন দেন। শিক্ষা নিয়ে লেখার যোগ্যতা আছে বলেই লিখেছি। ব্লগে এ বিষয়ে অনেক লেখা আছে।

৯| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "আপনি তো রাজনীতির বাদ্য-বাঁশি-ঢোল-তবলা ছাড়া কিছু বাজাতে পারেন না। একেক পোস্টে একেক রাজনৈতিক দর্শন দেন। শিক্ষা নিয়ে লেখার যোগ্যতা আছে বলেই লিখেছি। ব্লগে এ বিষয়ে অনেক লেখা আছে। "

-১১ নং এ আপনার মনোভাব প্রকাশইত হয়েছে; শিক্ষা সম্পর্কে আপনার কোন ধারণাই নেই।

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এটা তো আমারই মতামত। সবার পছন্দ হবে কিনা তা নিয়ে মাথা ঘামাই না। যেমন আমার এই মতামতটি আপনার পছন্দ হয়নি। এই পছন্দ আর অপছন্দের বিরোধ থাকবেই।

১০| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, "জার্মান, কানাডা, সুইডেন সহ আরো অনেক দেশ ফ্রিতে উচ্চশিক্ষা দেয় এটা আমার জানা। তবে এগুলো এক্সেপশনাল। তারা উচ্চশিক্ষা ফ্রি করার পেছেন যৌক্তিক কারণও আছে। "

-ফ্রি উচ্চ-শিক্ষার পেছেন যদি জার্মান, কানাডা, ফ্রান্স ও সুইডেনের "যৌক্তিক কারণ" থাকতে পারে, আপনার "যৌক্তিক কারণ" নেই কেন?

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এই যৌক্তিক কারণ না থাকার যৌক্তিক কারণ আছে!!

১১| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি লিখেছেন, "এটা তো আমারই মতামত। সবার পছন্দ হবে কিনা তা নিয়ে মাথা ঘামাই না। যেমন আমার এই মতামতটি আপনার পছন্দ হয়নি। এই পছন্দ আর অপছন্দের বিরোধ থাকবেই। "

-আপনি "ফ্রি-উচ্চ শিক্ষার" বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন; আমাদের সরকার ও ব্যুরোক্রসীতে আপনার মতামতের লোকেরাই আছে; সেজন্য আমরা পেছেন পড়ে গেছি; স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও আমাদের "উচ্চ-শিক্ষার হার ভয়ংকরভাবে কম"; আপনি ভালো করছেন, আপনার সম-বয়স্ক ১০জন মাটি কাটছে!

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনি জানেন কিনা জানি না। আমাদের মতো উচ্চশিক্ষিত মানুষ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও নেই। আমেরিকায়ও এতো মাস্টারস ডিগ্রীধারী আছেন কিনা সন্দেহ। এদেশে সবাই ইউনিভার্সিটিতে পড়তে চায়!! এটা শিক্ষা ফেনটাসি!! উচ্চশিক্ষার সাথে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান আর ব্যবহারিক শিক্ষা থাকতে হয়। এছাড়া প্রকৃত উচ্চ শিক্ষিতদের অনেক ঘাটতি আছে আমাদের দেশে। এদেশের উচ্চশিক্ষিতরা মাস্টারস পরীক্ষা দিয়ে বিসিএস গাইড বইয়ে সাধারণ জ্ঞান শিখেন!! এদেশে উচ্চশিক্ষার হার প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি। এজন্য শিক্ষিত বেকার বাড়ছে। যারা উচ্চশিক্ষা নিয়ে উন্নত দেশে যান তারাও কামলা খাটছেন, রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছেন।

১২| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,




প্রথম চারটি পয়েন্টই সেরা ইউনিভার্সিটির তালিকায় বাংলাদেশের ভার্সিটিগুলোর নাম না থাকার জন্যে যথেষ্ট। গবেষনার অভাব এবং অনিচ্ছা এর পরেই। বাকীগুলো পানি ঘোলা করার সহযোগী বা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা!
কেউ কেউ মন্তব্যে বলেছেন, ১০০ বছরেরও এটা সম্ভব নয়। আমার তো তো মনে হয় - ইহজন্মেও দেশের ভার্সিটিগুলোর জাতে ওঠা হবেই না।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস;
প্রথম চারটি কারণই যত গন্ডোগুলের কারণ। রাজনীতি এদেশের তরুণ আর যুব সমাজকে শেষ করে দিয়েছি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও তাই। এগুলো বন্ধ না হলে আগামী ১০০০ বছরেও শিক্ষায় গুণগত কোন পরিবর্তন আসবে না। শুধু শুধু উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়বে।

১৩| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:২৩

সুমন কর বলেছেন: ফেবুতে পড়ে আসলাম, প্রতিটি পয়েন্টের সাথে সহমত।
+।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় কবি।
ফেইসবুকে চমৎকার একটি কমেন্ট করে ব্লগে এসে আবার কমেন্ট করার জন্য কৃতজ্ঞতা।

১৪| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি লিখেছেন, "আপনি জানেন কিনা জানি না। আমাদের মতো উচ্চশিক্ষিত মানুষ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও নেই। আমেরিকায়ও এতো মাস্টারস ডিগ্রীধারী আছেন কিনা সন্দেহ। "

-এটা বোধ হয়, আপনার পক্ষ থেকে এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় পর্যবেক্ষণ; সেরা ইউনিভার্সিটিগুলোতে বাংলাদেশের কোন ইউনিভার্সিটির নাম না থাকার কারণগুলোর মাঝে এটাও একটা।

শিক্ষা নিয়ে আপনি যতবেশী কথা বলবেন, তত বেশীই ভুল বলবেন, মনে হয়।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ভুল সবই ভুল, এই জীবনের পাতায় পাতায় যা লেখা সবই ভুল


১৫| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, "আপনি জানেন কিনা জানি না। আমাদের মতো উচ্চশিক্ষিত মানুষ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও নেই। আমেরিকায়ও এতো মাস্টারস ডিগ্রীধারী আছেন কিনা সন্দেহ। "

আপনার অবস্হা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে, জয়ের মতো, মুখ খুললেই ভুল বের হয়।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



একদম ঠিক বলেছেন, মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ার মতো ইংরেজি শব্দ চলে আসে। যেমন- হ্যালো গাইজ, থ্যাংক ইউ, ওয়াও, সো কিউট, আই লাভ ইউ, মেরি মি ইত্যাদি ইত্যাদি।

অফটপিক, আজ তো ছুটির দিন। বাড়ির পাশের পাবে একটু সময় কাটিয়ে আসুন ভালো লাগবে। নতুন বান্ধবী জোটার জোর সম্ভাবনাও আছে!! হ্যাপি, স্যাটারডে।

১৬| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:
খুবই সুন্দর ও গোছানো কথা।বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যা বেশী হয়ে গেছে। এত মানুষ গ্রাজিয়েট হয়ে করবে বা কী !
ভার্সিটিগুলোতে গবেষণাও হয় না

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় কবি। শুধু শুধু সার্টিফিকেট অর্জন করার জন্য উচ্চশিক্ষিত হয়ে কোন লাভ নেই। গবেষণা আর বাস্তবতার আলোকে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা না থাকলে এই শিক্ষা কোন কাজে আসে না।

১৭| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৩

কালো যাদুকর বলেছেন: ৭ নং এর স্যাথে একমত। ব্রেইন ড্রেন বলে একটা কথা আছে। ওঠা অনেক বছর ধরেই চলছে। এটা বন্ধ না করলে হবে না।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ভাই। আমার খুব ঘনিষ্ঠ এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বন্ধু বর্তমানে আমেরিকায় পিএইচডি করছে। গত ৬ বছর থেকে কোন ক্লাস না নিলেও বেতন ভাতা ঠিকই একাউন্টে যোগ হচ্ছে। একদিন এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বলে, সবাই তো করছে শুধু আমাকে দোষী করস ক্যান?? সে কোনদিন বঙ্গদেশে ফিরবে না। এটা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা যাবে না। ফাও ইনকাম বন্ধ হয়ে যাবে!!

১৮| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: রমজানের শুভেচ্ছা ভাই
আপনি শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লিখেছেন, যেখানে সরকার এগুলো নিয়ন্ত্রন করে, কিন্তু আমার কথা হলো, বিশ্বে যতগুলো টপ লিস্টেড বিশ্ববিদ্যালয় আছে তার কয়টা সরকারি? তার মানে, আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে কেন?

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, অনেক টাকা দিয়ে পড়তে হয়, যারা সেগুলো চালান, তারা তো দক্ষ লোক। সেখানে স্টুডেন্ট পলিটিক্স নাই, টিচাররা অভ্যন্তরীন রাজনীতি করেননা, তারা কেন ভালো করে না??
কিন্তু, টেকনিকালি, তাদেরতো ভালো করার প্রচেষ্টা আরো বেশি হওয়া উচিত, নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য হলেও!
শুভ রাত্রি

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার একটি মন্তব্য করেছো প্রান্ত;
আসলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ে লিখিনি কারণ এরা তো আমাদের করের হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করছে না। এগুলো ব্যবসার উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক এদেশের সাধারন জনগন। এজন্য এই অরাজকতা নিয়ে আমাদের লেখতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিভাগ সুযোগ সুবিধা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোতে নেই।

"সেখানে স্টুডেন্ট পলিটিক্স নাই, টিচাররা অভ্যন্তরীন রাজনীতি করেননা, তারা কেন ভালো করে না??" এখানে গবেষণা বলে কোন বস্তুর অস্তিত্ব নেই। এজন্য এই প্রাইভেটরা নিছক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান; আর কিছু নয়। এরা ব্যবসা বুঝে; জ্যাক মা, ল্যারি পেজ, মার্কজাকারবার্গ, বিল গেটসদের মতো অতো বুঝে না।

শুভ কামনা রইলো প্রিয় ভাই।

১৯| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্ট :)

আমিও শত বছরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের র্য্যাংকিং এ বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেখবো বলে মনে করি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই সত্যেন্দ্রনাথ বসু যুগের পর আর এগোয়নি। আগে বাংলায় ভালো ভালো গবেষণা হতো আর এখন সবই ডিগ্রি সর্বস্ব। বুয়েটেরও সেম অবস্থা।

এখন র্যাংকিং এ দেখি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের দৌরাত্ম্য। টাকা দিয়ে র্যাংকিং নেয় নাকি গবেষণার ভিত্তিতে আল্লা মালুম।

সুন্দর লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ভাই।
এগুলো শুধু হতাশাই বাড়ায়। দুঃখ লাগে এসব পরিসংখ্যান দেখলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোথা থেকে কোথায় নেমে গেল রাজনীতির প্যাচে পড়ে। এখন তো স্বীকৃত দলকানা না হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি/শিক্ষক/কর্মচারী হওয়া যায় না। আর প্রাইভেট রা ভাল করছে তা ঠিক নয়। রাজনীতি নেই বলে কিছু পয়েন্টে এগিয়ে থাকে এই যা।

২০| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০২

মুক্তা নীল বলেছেন: কাউসার ভাই,
প্রথম আলোতে পড়েছিলাম এশিয়ার ৪০০বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে , বাংলাদেশের অনুমোদন প্রাপ্ত ৪২ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একটিরও নাম নেই। আপনি অত্যন্ত সুক্ষভাবে ১১টি পয়েন্ট নোট করেছেন যা যুক্তিযুক্ত ও তথ্যবহুল ।
ভালো থাকবেন। নতুন কোন বই লিখছেন নাকি?

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপু।
৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটিও নেই এটা আমাদের জন্য চরম হতাশার। এদেশে এখন শিক্ষা হলো সবচেয়ে দামী পণ্য। কেউ এটা বিক্রি করে কোটিপতি আর কেউ এটি কিনে ফতুর। গত কালকে একটি দৈনিকে দেখলাম ঢাকার সবচেয়ে দামী ইংলিশ স্কুলগুলোতে ৩ লক্ষ টাকার বেশি গার্ডিয়ানদের খরছ করতে হয় প্রতি মাসে!! এই ১১টি পয়েন্ট ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে।

নতুন লেখা তো চলছে আপু। বইমেলার আগেই সব ঠিক করে নেব আশা করছি। এবার দুটি বই আনার পরিকল্পনা আছে। দেখা যাক। সময় আসুক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেব। দোয়া করবেন, আপু।

২১| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: বহুদিন পর আপনার পোষ্ট পেলাম।
আমি নিজেও সামুতে আসতে পারছি না। ভিপিএন দিয়ে বেশ ঝামেলা হয়।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, রাজীব ভাই। আপনার পোস্ট নিয়মিত পড়ি। আশা করি, রমজান মাস ভাল কাটছে। আমি ভিপিএন দিয়ে ব্লগে আসছি। মাঝে মাঝে ঝামেলা হয়। আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে প্রিয় সামু।

২২| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমাদের আরো কয়েকটি সমস্যা আছে | বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজি কমিউনিকেশনের সমস্যা রয়েছে | তাই এরা অন্য দেশে গিয়ে তার শিক্ষার সাথে মানানসই কোনো চাকুরীতে ঢুকতে পারে না | পলিটেকনিক পাশ করেও আমাদের অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে অদক্ষ শ্রমিকের কাজ করছে তার কমিউনিকেশন সমস্যার কারণে; অথচ দেখা যাচ্ছে তার ভারতীয় সুপারভাইজার তার চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে শুধুমাত্র কমিউনিকেশনের কারণে তার উপর ছড়ি ঘুরাচ্ছে | এমনকি অনেক নেপালীরাও ইংরেজিতে কমিউনিকেশনে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি পারদর্শী |

আমাদের শিক্ষা বই নির্ভর - হাতেকলমে শিক্ষায় আমরা অনেক পিছিয়ে | আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পাশ অনেকে বিদেশে গিয়ে যখন ব্যবসা করেন তখন তাদের ক্লায়েন্ট ব্যেইজ শুধুমাত্র বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে | ভারত/পাকিস্তানের কথা বাদ দিলাম, ব্যবসা-বাণিজ্যে আমাদের চেয়ে আফগানরাও অনেক এগিয়ে যাচ্ছে |

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, দাদা।
হ্যা, আমাদের ইংরেজি কমিউনিকেনের সমস্যা আছে। এজন্য বিদেশে গেলে ঝামেলায় পড়তে হয়। এজন্য বিদেশে চাকরি নিয়ে যারা যাবেন তারা প্রয়োজনে IELTS/SPOKEN করে যেতে পারেন। এতে যোগাযোগ দক্ষতার পাশাপাশি ভাল বেতন পেতে সহায়ক হবে। এছাড়া ব্যবসা বাণিজ্য করতে সুবিধা হবে।

২৩| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ সুন্দর পোস্ট। আমাদের দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা যে পরিমান ছাত্রছাত্রীরা বিদেশে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে উচ্চপদে চাকুরি করছে তার হার এশিয়ার অন্য আর দশটা উন্নত দেশের সাথে তুলনীয়। তাই আমি শুধু এটুকুই বলব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান এক ধাক্কায় অনেক উপড়ে উঠিতে দেয়া সম্ভব যদি এই দেশের কুৎসিত রাজনীতির হাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রক্ষা করা যায়। তবে সেটাইতো আমাদের সকল সমস্যার গোড়া। স্বৈরাচারের কাল থাবায় বন্দী এই দেশের সকল সেক্টর।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় ঢাবিয়ান ভাই।
এটা ঠিক। তবে অনেক উচ্চশিক্ষিত ছেলে মেয়ে অনেক কষ্টের কাজও করেন। তবে যারা সেসব দেশের ভাষায় পারদর্শী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রী নিয়েছেন তাদের বেলায় ভাল কাজ পাওয়া সহজ✌ হয়। এছাড়া এসব দেশের কাজের আওতাও অনেক বড়। বেকারত্বের হার কম। সহজে কাজ পাওয়া যায়।

২৪| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগের বিশিষ্ট গায়ে পড়ে ঝগড়াটের পাল্লায় পড়েছেন আবার =p~

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



স্যাটারডে হলো পশ্চিমাদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এদিন এরা বন্ধু বান্ধব নিয়ে ক্লাবে যায়, খেলা দেখতে যায়, পাবে যায়, কনসার্ট শুনতে যায়, সী-বীচে প্রায় ন্যাংটা হয়ে গোসল করতে কিংবা রোদে পোহাতে যায়। কিন্তু যারা বউ কিংবা বান্ধবীর সাতে ঝগড়া করে তাদের দিনটি খুব খারাপ যায়। অকারণে ঝগড়া করে।

২৫| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঢাবিয়ান বলেছেন, " ব্লগের বিশিষ্ট গায়ে পড়ে ঝগড়াটের পাল্লায় পড়েছেন আবার?"

-শিক্ষা নিয়ে লেখা পোষ্ট কি আপনার মাথায় ঢুকবে যে, আপনি আলোচনা, কিংবা তর্ক করতে পারবেন? ব্লগে প্রশ্নফাঁসদের পুর্ণমিলনী হচ্ছে না এখনো।

১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এতো রাগেন কেন? পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটির দিনটি এনজয় করুন।

২৬| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:০৮

মা.হাসান বলেছেন: আমি আশাবাদি ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশের অনেক গুলো বিশ্ববিদ্যালয় টপ র‌্যাংকিঙে থাকবে। আপনার লেখায় একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বাদ গেছে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬- ২১ বছরে দেশকে অনেক পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া এখানে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে। হয়তো বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রথম সারির, যারা এখন র‌্যাঙকিঙ করে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না বলে ইচ্ছে করে ভুল র‌্যাংকিং করছে এমনও হতে পারে।

এই বিষয়ে আমার একটা লেখা আছে, পড়ার অনুরোধ থাকলো। ব্লগার আখেনাটেন ও একটা লেখা লিখেছিলেন।

পদাতিক চৌধুরীভাইকে যেমন বলেছি, আপনাকেও বলি, দুর্গন্ধ দূর করতে আগরবাতি ব্যবহার করতে পারেন। (আপনার জন্য একসেটের বেশি লাগতে পারে।)

১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় মা. হাসান ভাই।
২০৪১ তো আমাদের অনেক কিছু পাওয়ার বছর! আমি তো সব কিছু বাদ দিয়ে পৃথিবীর উন্নত দেশের এক্সক্লুসিভ তালিকায় ঢোকার অপেক্ষায় আছি। শিক্ষাও নিশ্চয় এগোবে!! রাজনৈতিক নেতারা কোটা ভিত্তিক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর হবেন। রাজনৈতিক দল/ব্যক্তির উপরে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার থিসিস হবে।

জব্বর কাকু ইন্টারনেটের আবিষ্কারক এই বিষয়ে বিদেশি গবেষকরা এসে গবেষণা করবে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে কিভাবে ফনি ঘূর্ণিঝড় আটকে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হবে, নাসা তাদের স্পেস কনট্রোল স্টেশন বাংলাদেশে বসাবে ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি.........!!

এ বিষয়ে আপনার লেখাটি অবশ্যই পড়বো। ব্লগার আখেনাটেনের লেখাটি খুব সম্ভবত পড়েছি আগে। না পড়া হলে অবশ্যই পড়বো। আপনার আগরবাতি তত্ত্ব জানা হলো!! গতকাল কোনো এক পোস্টে আগরবাতির ছড়াছড়ি দেখে কিঞ্চিৎ অবাক হয়েছিলাম। এখন সব কিলিয়ার হলো।

২৭| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৪৭

বলেছেন: তথ্য উপাত্ত দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করা আসলেই কেন বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যব৷ থেকে আমরা পিছিয়ে সেটা যে বৃথা আস্ফালন তা তো দেখতি পাচ্ছি যারা রাজনীতি বুঝে তার শিক্ষা বুঝবে কিভাবে।।

আমার কথা হলো,

১) শিক্ষা আর রাজনীতি এক চালে চলতে পারে না। রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্হা হলে কিছুটা অপবাদ দূর হতে পারে।
২) আন্তজার্তিক মানের কারিকুলাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সব পাশ আর সব মুক্তি যোদ্ধা এসব সাটিফিকেট বাদ দিতে হবে।।।
৩) যে সকল আবালরা বিদেশে থেকে না বুঝে যুক্তি তর্ক করে শিক্ষার রারোটা বাজাচ্ছে ওদের নিষিদ্ধ জরতে হবে।

ভালো লাগলো ++++

১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় র. লতিফ ভাই।
এ বিষয়টি নিয়ে আরো লেখা উচিৎ। সরকারের উচ্চ মহলে ব্যাপক আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। এটা আমাদের জাতীয় সমস্যা। সুপারবাগের মতো সর্বনাশী। এর মূল উৎপাঠন করা আশু দরকার। না হলে জাতির ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে।

(১) শিক্ষা আর রাজনীতি আলাদা বিষয়ে এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভালমতো বুঝলেও নিজেদের আখের গোছাতে রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তি করে। চাটুকরীতায় পারদর্শী হওয়ায় চেষ্টা করে।
(২) আন্তর্জাতিক মানের কোর্স চালুর বিকল্প নেই। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় বিভাগগুলো বন্ধ করে নতুন নতুন যুগোপযোগী বিভাগ চালু করা আবশ্যিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উর্দু বিভাগ বন্ধ করে চায়নিজ/জাপানীজ/পর্তুগীজ/স্পেনিশ/রাশিয়ান/ফরাসি/কোরিয়ান ইত্যাদি বিভাগ চালু করা উচিৎ।
(৩) অতিরিক্ত বুদ্ধিজীবিদের বুদ্ধির মাত্রা কমাতে প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক দিতে হবে।

ভালো থাকুন, প্রিয় ভাই।

২৮| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৫২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ভালো পোস্ট। আমাদের দেশের শিক্ষার কাঠামোগত সমস্যাই অনেক। এগুলো থেকে উত্তরণ ইহ জনমে সম্ভব নয়। বাংলাদেশে যেটাকে অনার্স ডিগ্রী বলা হয় সেটা আসলে উন্নত বিশ্বে অনার্স হিসেবে কাউন্ট হয় না গবেষণা ধর্মী কাঠামোতে পরে না বলে। তাই আমাদের দেশের ৩ বছরের অনার্স ডিগ্রী এবং এক বছরের পোস্ট গ্রাজুয়েশন মিলে ইউকেতে সাধারন আন্ডার গ্রাজুয়েট ডিগ্রী, ( যেটাকে বাংলাদেশে পাস কোর্স বলে) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আমাদের দেশের একটা ডিগ্রীকেও ওরা অনার্স ডিগ্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।

একটা অনার্স ডিগ্রীর কাঠামো কেমন হওয়া উচিৎ সেটা আমাদের শিক্ষক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানে না বলে মনে করার কিছু নেই, তারা সব জানে। কিন্তু এ বিষয়ে মাথা খাটিয়ে মাথা নষ্ট করার চেয়ে আরও অনেক লাভজনক বিষয় আছে, সেগুলোতেই তারা মাথা ঘামান বেশী। কোন মতে বস্তা পচা কাঠামোর আওতায় ফেলে পাবলিকে অকেজো শিক্ষার সনদ ধরিয়ে দিলেই শিক্ষার হাড় বারে, আর তাতেই তাদের ভোটের নিশ্চয়তাও বারে। কাজেই কি দরকার এতো সব গবেষণা করে করে সময় নষ্ট করার, টাকা নষ্ট করার !! তাদের সন্তানদের তো আর তারা ওসব ইউনিভার্সিটিতে পড়ান না। তারা তো চলে যান ইউরোপ এমেরিকার ইউনিতে পড়তে। পয়সাগুলো দেশের ইউনিভার্সিটিতে না ব্যবহার করে সেই পয়সা দিয়ে তাদের সন্তানেরা বাহির থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে আসে। এটাই তো লাভজনক তাদের জন্য।

আর একটা বিষয় চোখে পড়লো। ১১ নম্বরটা পারফেক্ট বলেছেন। উচ্চ শিক্ষা সবার জন্য নয়- এ কথাগুলো মাথামোটা, ওল্ড-স্কুল চিন্তা ভাবনার লোকরা বুঝবে না। ওদের বুড়া মাথায় আডভান্স চিন্তা করার যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে। বাংলাদেশে এখন ডিগ্রী , মাস্টার্স ডিগ্রীর ফলন খুবই উচ্চ। অথচ এই ডিগ্রীগুলো কোনই কাজের না। শুধুই আকাইম্ম কাগজের সমারোহ। অথচ উন্নত দেশগুলোতে যাদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সেরকম বুদ্ধিবৃত্তি এবং নিষ্ঠা রয়েছে তাদেরকেই উচ্চ শিক্ষা নেয়ার আহবান জানানো হয়। অন্যথায়, ওটাকে সময় নষ্ট এবং পয়সা নষ্ট বলে মনে করা হয়।

সরকার ইউকের প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে উচ্চশিক্ষার জন্য লোন দিয়ে থাকে এবং এটাও নিশ্চিত করে যে ছাত্র ছাত্রীর আগ্রহের সাবজেক্টে তার কতখানি আগ্রহ রয়েছে এবং সাক্সেসফুল হবার potentiality কতখানি রয়েছে। আসলে সবাই তো উচ্চ শিক্ষার জন্য নয়, কেউ কারিগরি শিক্ষা নেবে, আরও অনেক জীবনমুখী শিক্ষা রয়েছে যেগুলো করে মানুষ জীবনে অনেক বেশী সাকসেসফুল হতে পারে, শুধু শুধু উচ্চ শিক্ষায় সময় নষ্ট না করে। কারন উচ্চ শিক্ষা তার জন্য নয়।

আর একটা ব্যপার হলো কোন শিক্ষাকেই ছোট করে দেখা উচিৎ নয়। আমারা বাঙ্গালীরা এই সব কারিগরি শিক্ষাকে খুবই নিচু মানের ভাবী এবং একটু অন্য চোখে দেখি। ঐ যে , আমাদের চিন্তা inflexible , তাই আমারা একই ওল্ড-স্কুল ফর্মুলায় চলি এখনো, কাউকে সম্মান দিতে জানি না, শুধু শুধু মিথ্যা অহংকার করি।

আমাদের দেশের শিক্ষার মান যে কত খারাপ সেটা আমি হাড়ে হাড়ে বুঝেছি যখন ইউকের ইউনিভার্সিটিতে পড়েছি এবং আমার বাচ্চাদের স্কুল কারিকুলাম দেখে, একেবারেই আকাশ পাতাল। আমার নিজের চোখে দেখা বাংলাদেশের সরকারী মেডিক্যাল থেকে পড়ে আশা মানুষ কফি শপে কাজ করে, এখনো সে ফ্লেবোটমির কাজ করে হসপিটালে, অনেক চেষ্টা করেও প্লাব পাস করতে পারছে না। খুবই খারাপ লাগে মানুষটাকে দেখলে। একেবারে ডিপ্রেশনে চলে গেছেন তিনি। আবার অনেকেই আছেন প্লাব পাশ করে এদেশের ডাক্তার হয়েছেন। যারা হতে পেরেছেন তারা আসলে সত্যিকারের ব্রেইনি, তাই পেরেছেন।

যাক, অনেক কথা বললাম, ভালো থাকবেন।

১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপা।
আপনার চমৎকার মন্তব্যটি আমার পোস্টের শোভা বর্ধন করেছে। কৃতজ্ঞতা রইলো এজন্য। আপনি বলেছেন, "বাংলাদেশে যেটাকে অনার্স ডিগ্রী বলা হয় সেটা আসলে উন্নত বিশ্বে অনার্স হিসেবে কাউন্ট হয় না গবেষণা ধর্মী কাঠামোতে পরে না বলে। তাই আমাদের দেশের ৩ বছরের অনার্স ডিগ্রী এবং এক বছরের পোস্ট গ্রাজুয়েশন মিলে ইউকেতে সাধারন আন্ডার গ্রাজুয়েট ডিগ্রী।"........ ঠিকই বলেছেন। সমস্যা হলো আমরা অনার্স পড়ি আর তাদের দেশগুলোতে ছাত্ররা গবেষণা করে/রিসার্চ পেপার তৈরী করে। পড়া মুখস্থ করার দরকার নেই। আসলে উচ্চশিক্ষা শুধুমাত্র রিসার্চ বেইস। নরমাল পড়াশুনা ইন্টার পর্যন্তই এনাফ।

আমাদের জাতি এখন শিক্ষা ফ্যাটাসিতে চরমভাবে ভুগছি। গার্ডিয়ানরা টাকার বস্তা নিয়ে রেডি সন্তানদের শিক্ষিত করার জন্য। এজন্য এরা তাদের বাচ্চাদের তোতাপাখির ন্যায় সারাদিন বই মুখস্থ করান, কোচিং সেন্টারে দৌড়ান, বাসায় পারলে এক ডজন টিচার রাখেন!! আর শিক্ষাবিদরা বিজি সরকারকে তৈল মর্দন করতে। নিজেদের সম্মান ধূলোয় মিশিয়ে দিয়ে আখের গোছাতে। সিলেবাস কি হবে? পরীক্ষা পদ্ধতি কি হবে? ইউনিভার্সিটি ভর্তি পদ্ধতি কেমন হওয়া উচিৎ? এগুলো নিয়ে ভাবনার মানুষ কই!!

(১১) এই পয়েন্টটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি মূল্যবান কিছু যখন ফ্রিতে পাবেন তখন তার গুরুত্ব থাকে না। এজন্য উন্নত দেশগুলো নিজেদের সামর্থ্য থাকার পরও ইউনিভার্সিটিতে ফ্রি পড়ায় না; খুব ব্যয়বহুল। আমাদের এই ফাও উচ্চশিক্ষা বন্ধ হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা কিছুটা হলেও ফিরে আসবে। ছাত্র/গার্ডিয়ান/শিক্ষক সবাই সচেতন হবে। অপ্রয়োজনে উচ্চশিক্ষা দেশ, জাতি, পরিবার কারো উপকারে আসে না। শুধু শুধু সময় নষ্ট মাত্র।

হ্যা, আমরা কোন কোন শিক্ষাকে ছোট করে দেখি। আর কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব সারা পৃথিবীতে আছে। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন কারিগরি/পলি টেকনিকে পড়ে কেউ বেকার নেই। সবাই কমবেশি ভাল চাকরি করছে। আমিও ইউকেতে না গেলে এসব বিষয় বুঝতে পেতাম না। এরা আমাদের চেয়ে অনেক কম পড়ে। তবে যা পড়ে তা বুঝার চেষ্টা করে, সময় নিয়ে নিজের মতো করে ভাবে, আনন্দের সাথে অনুধাবন করে। ইউকেতে অনেক বুয়েট পাশ করা ইঞ্জিনিয়ারকে সবজি দোকানে ১২ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে দেখেছি।

শুভ কামনা রইলো, আপু। ভাল থাকবেন।

২৯| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:১৪

আখেনাটেন বলেছেন:

উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশের দন্ডমুন্ডের কর্তাদের মাথাব্যথা নেই। এর থেকে সহজে পরিত্রাণও নেই মনে হচ্ছে। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভাগাড় বানানোর জন্য রাজনীতিকরা উঠে পড়ে লেগেছে।

*এসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাজার হাজার পিএইচডি দেওয়া হলেও উনাদের গবেষণাকর্ম কী বিশ্ব মানের হয়! -- আমার জানা মতে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাজার হাজার তো দুরে থাক শয়ে শয়ে পিএইচডিও বের হয় না। তথ্যের সোর্সটা দিলে ভালো হত।

এর পরও হাতে গোনা যে দু-চারজন বের হয় উনাদের গবেষণার মান কিংবা উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তর কথা বলা যায়।

১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আশা করি ভালো আছেন আপনি। অনেক দিন পর আপনার মূল্যবান কমেন্ট পেলাম। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র/শিক্ষক রাজনীতি ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে। এটা এখনই করতে হবে। না হলে জনগনের করের হাজার হাজার কোটি টাকায় চলা এসব ভাগাড় বন্ধ করে দিতে হবে।

হাজারো পিএইচডি মূলত রূপক অর্থে বলছি। হয়তো শয়ে শয়ে লিখলে বেশি মনোপুত হতো।

ধন্যবাদ।

৩০| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

ব্লগার ল মন্তব্যে বলেছেন,

" ২) আন্তজার্তিক মানের কারিকুলাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সব পাশ আর সব মুক্তি যোদ্ধা এসব সাটিফিকেট বাদ দিতে হবে।।। "

-মনে হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে এলার্জী আছে? আপনাদের লোকজন ১৯৭১ সালে পাকীদের ভক্ত ছিলেন?

৩১| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

@গুলশান কিবরীয়া,

আপনি বলেছেন, "আর একটা বিষয় চোখে পড়লো। ১১ নম্বরটা পারফেক্ট বলেছেন। উচ্চ শিক্ষা সবার জন্য নয়- এ কথাগুলো মাথামোটা, ওল্ড-স্কুল চিন্তা ভাবনার লোকরা বুঝবে না। ওদের বুড়া মাথায় আডভান্স চিন্তা করার যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে। বাংলাদেশে এখন ডিগ্রী , মাস্টার্স ডিগ্রীর ফলন খুবই উচ্চ। অথচ এই ডিগ্রীগুলো কোনই কাজের না। শুধুই আকাইম্ম কাগজের সমারোহ। অথচ উন্নত দেশগুলোতে যাদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সেরকম বুদ্ধিবৃত্তি এবং নিষ্ঠা রয়েছে তাদেরকেই উচ্চ শিক্ষা নেয়ার আহবান জানানো হয়। অন্যথায়, ওটাকে সময় নষ্ট এবং পয়সা নষ্ট বলে মনে করা হয়। "

-বৃটেনে পড়েছেন তো, মগজে কলোনিয়েল সিষ্টেম, ও ক্যালপিটেলিজম এক সংগে ঢুকে গেছে: শুধু আপনি পড়লেই চলবে, বাকী বাংগালীরা সৌদী ও মালয়েশিয়া যাবে কাজ করতে, আপনি লন্ডনে কফি খেয়ে ইংরেজদের চরকায় তেল দিতে থাকেন, আমাদের মেয়েরা আপনার বুড়ো-মা-বাবাে চাকুরাণী হোক; আপনাদের জীবনটাই লতাপাতার মতো, লিলিপুটিয়ান টাইপের।

৩২| ১২ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:২৩

বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার চাঁদগাজী,

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে এলার্জী আছে? -- আপনি কি অস্বীকার করতে পারবেন এদেশে টাকা দিয়ে যেমন সাটিফিকেট পাওয়া যায় তেমনি টাকা আর মামা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায়। আসল মুক্তিযোদ্ধারা যেখানে আসহায় ও অভুক্ত সেখানে ভুঁইফোড় আবাল যোদ্ধারা সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে।
পাকিদের ভক্ত ওরাই যারা আজকে সব বুঝে বলে বালখিল্যতা দেখায় মূলত ওরা" লবা লছা জরজা"" উল্টোলে যা হয়।

৩৩| ১২ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


@ল ,

লন্ডন হচ্ছে জামাত ও পাকীদের ঘাঁটি; ওখানে আছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে অনেক সমস্যায় ভুগছেন, এবং সেটাই স্বাভাবিক।

৩৪| ১২ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:৩৬

বলেছেন: @মিঃ গাজী

আপনার অনুসারী আর শেফুদার অনুসারী একিই লোক।
মুলত আপনি ও শেফুদা একি আত্মা, একি চেতনা শুধু মোড়কটা ভিন্ন।

৩৫| ১২ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


@ল ,

আপনি বলেছেন, "আপনার অনুসারী আর শেফুদার অনুসারী একিই লোক।
মুলত আপনি ও শেফুদা একি আত্মা, একি চেতনা শুধু মোড়কটা ভিন্ন। "

-আমি শেফু মেফু'কে জানি না, আপনাকে জানি; সম্প্রতি, ব্লগের খারাপ সময়ে, যখন মুল ব্লগারেরা ব্লগে আসতে পারছেন না, হঠাৎ করে আপনি ব্লগার হয়ে গেছেন!

৩৬| ১২ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩৬

বলেছেন: হায় হায় কি বলেন!! আপনি তো সবজান্তা!! আমাদের ব্লগ মাস্টার পিস।।


ইউটিউব, মুখবুক, গুগল এগুলো সার্চ দেন,

শেফুদা কিন্তু একজন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা।।

৩৭| ১২ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা ভার্সিটির এমন করুণ পরিণতি যে কোনো দেশপ্রেমিক হৃদয়ে আঘাতের চিহ্ন এঁকে দেয়।

আপনার যৌক্তিক পয়েন্টগুলো একদম ঠিক মনে হচ্ছে, ভালো কিছু কারণ উল্লেখ করেছেন।

শুভ হোক শিক্ষক সম্প্রদায়ের,

শুভকামনা সবার জন্য

১২ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, নাঈম ভাই। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সাথে "রাজনৈতিক দলের আঁতুড়ঘর" সংযুক্ত করা দরকার। এখানে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের আখের গোছানোর জন্য গুন্ডা/গুনডি পালে। এরা গুন্ডামী করেই একাডেমিক বছরগুলো পার করে রাজনৈতিক ক্যারিশমায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবেও নিয়োগ পায়।

৩৮| ১২ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:০০

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
নতুন কি বলব আর আপনাকে? যা বলার আমি তো আগেই বলেছি আপনার এই পোস্ট গতকালকে।
রাজনীতিকে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে সম্পুর্ণ আলাদা করুন, ব্যস আর কিছুই লাগবে না।

কলতলার ঝগরাটে মহিলা বলে একটা প্রবাদ আছে। ব্লগ ঠিক এইরকম একটা চীজ আছে। কয়েকদিন আগে শুনলাম ব্যান খেয়েছিল। মনে হচ্ছে এর সুলাইমানি ব্যান উথড্র করা হয়েছে। ব্লগের বাকি সব ব্লগারদের খবর আছে!! আবার ব্যান না খাওয়া পর্যন্ত সবাইকে কিছুদিন ভালই জ্বালাবে...........
একে এত পাত্তা দেন কেন? এই জন্যই তো মাথায় উঠে??

মাহে রামাদানের শুভেচ্ছা রইল!

১২ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় গল্পের জাদুকর;
ফেইসবুকে পোস্ট পড়ে চমৎকার একটি মন্তব্য করে এখানেও এসে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন এজন্য ধন্যবাদ। আপনি ঠিকই বলেছেন, "রাজনীতিকে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে সম্পুর্ণ আলাদা করুন, ব্যস আর কিছুই লাগবে না।" একদম ঠিক। এই এইডস নামক মহামারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জুতাপেটা করে বিদায় করে দিতে হবে। না হলো সারা দেশ এই ছোঁয়াচে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবে।
রমজান মাস চলছে এজন্য এই মাসে ধৈর্য ধরা উচিৎ "এই চমৎকার হামদ/নাতটি" শুনুন মন ভালো হয়ে যাবে।

৩৯| ১২ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাল লিখেছেন।

তবে সেরা ভার্সিটিগুলোর Ranking যারা করে এরা কেউই বাংলাদেশে বা ভার্সিটি ভিজিটও করে না। শিক্ষার মানও যাচাই করে না। ছাত্র রাজনীতি আছে না নেই সেসবও বিবেচিত হয় না।
একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন- টাইমস/US News and World Report/ CSIC এর ওয়েবোমেট্রিক্স র‌্যাংকিং কিভাবে হচ্ছে?
এই র‍্যাঙ্কিং এর ডাটা কালেকশন কিভাবে কিভাবে করে?
ম্যাগাজিনেই সাইটেই DATA SUBMISSION গাইডটা দেয়া আছে। স্বতপ্রনদিত ভাবেও ডাটা (তেল) দেয়া যায়। একবার দেখেন - ওরা কিভাবে করছে!

মুলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট কন্টেন্ট দেখে র‍্যাঙ্ক যাচাই করা হয়।

সেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর তালিকা যেসব factor গুলোকে ভিত্তি করে করা হয় তার ভেতর 'শিক্ষার মান' বলে কোন ক্রাইটেরিয়া নেই।
গবেষনা পত্র শিক্ষাসঙ্ক্রান্ত ব্যাপারগুলো র সম্মিলিত পয়েন্ট ১৫%
অন্যান্ন গুলোর সম্মিলিত পয়েন্ট ৭৫%


factor গুলো

আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র, গাদায় গাদায় পিডিএফ বা ওয়ার্ড ফাইল দেয়া।
ছাত্রদের গ্রাজুয়েশন এর পর বড় কম্পানীতে চাকুরীর হার,
গবেষণা কর্ম, প্রতি বছর আন্তর্জাতিক জার্নাল গুলোতে এর পাবলিশিং পরিমান।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের হিট সংখ্যা
ফেবু-টুইটারে পেইজ ভেরিফাইড থাকলে পয়েন্ট বাড়বে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক আয় ব্যয় = মুনাফা।
টিউশন ফি/ সেমিষ্টার ফি/বেতন (যত বেশী তত পয়েন্ট)
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বৃহৎ কর্পোরেট লিঙ্ক (বোইং, জেনারেল মটরস, মাইক্রোসফট, জনসন এন্ড জনসন ইত্যাদি) যত ইনভেষ্ট, মিলিয়ন ডলার লেনদেন তত পয়েন্ট।

প্রায় ফ্রীতে লেখাপড়া, এমনকি থাকা খাওয়াও প্রায় ফ্রী বলা যায়। সরকারি ভিক্কায় চলা ঢাবি এসব পয়েন্ট কোথায় পাবে ভাই?

এসব থাকলেই তো হবে না। ওয়েবসাইটে উল্লেখ ডিটেইল ও ভেরিফাইড লিঙ্ক থাকতে হবে। কিছুই নেই।
যা অল্পকিছু আছে সবকিছু যদি সুন্দর ভাবে ওয়েবসাইটে থাকলে অন্তত পাকিদের পিছে পড়তে হত না।

প্রতি বছর আন্তর্জাতিক জার্নাল গুলোতে ঢাবি ও বুয়েটের এর ছাত্র ছাত্রি এবং শিক্ষকদের অসংখ্য লেখা ছাপা হলেও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তার তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের website এ দিতে ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছে। অনেক লেখা হারিয়েও গেছে। এটা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাদের সীমাবদ্বতার কথা অকপটে স্বীকার করেছে।

ধন্যবাদ।

১২ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হাসান ভাই, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো অনেক সময় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ মন্তব্যটি করার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের Ranking একেক প্রতিষ্ঠান একেকভাবে করে। এটা নিয়ে তর্ক বিতর্ক আছে। এদের দ্বারা পৃথিবীর সব ইউনিভার্সিটি সরাসরি ভিজিট করাও সম্ভব নয়। কিন্তু একটি ইউনিভার্সিটি ভালো মানে উন্নীত হতে যে সব উপাদান/আয়োজন থাকতে হয় তা কি আমাদের এখানে আছে? আমি যে বিষয়গুলো আলোচনায় এনেছি এগুলো সত্য হলে পৃথিবীর সেরা ইউনিভার্সিটির তালিকায় যাওয়ার সুযোগ আছে?

এজন্য নিজেদের ছোঁয়াচে রোগগুলো আগে এন্টিবায়োটিক দিয়ে তাড়াতে হবে।

শিক্ষার মান বলে কোন ক্রাইটেরিয়া থাকবে কেন? ইউনিভার্সিটি তো গবেষণার জায়গা। এখানে রিসার্চ পেপার আর নতুন নতুন বিষয় উদ্ভাবনের উপর ভিত্তি করে গ্রেডিং হয়। গবেষণা পত্রে সম্মিলিত পয়েন্ট ১৫% হলেও এটাই আসল। বাংলাদেশের কোন ইউনিভার্সিটি এই ১৫% এর মধ্যে ২% পাবে না। বাকী ৭৫% এর মধ্য পাবে বেশি হলে ১৫%। এটাই আসল চিত্র। এগুলোকে অস্বীকারের কোন সুযোগ নেই।

আপনি ঠিকই বলেছেন, "আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র, গাদায় গাদায় পিডিএফ বা ওয়ার্ড ফাইল দেয়া। ছাত্রদের গ্রাজুয়েশন এর পর বড় কম্পানীতে চাকুরীর হার, গবেষণা কর্ম, প্রতি বছর আন্তর্জাতিক জার্নাল গুলোতে এর পাবলিশিং পরিমান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের হিট সংখ্যা ফেবু-টুইটারে পেইজ ভেরিফাইড থাকলে পয়েন্ট বাড়বে।"..... এগুলো তো করা উচিৎ। বিশ্ববিদ্যালয় মানেই তো পুরো বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করা। ইউনিভার্সিটি প্রশাসন নীরবে আঙুল চুষবে কেন??

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে কর্পোরেট লিঙ্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলোর ব্যর্থতার জন্য এই লিঙ্ক মেইনটেইন করা সম্ভব হয় না। ভারতের সেরা ইউনিভার্সিটিগুলোর সাথে পৃথিবীর বিখ্যাত সব কর্পোরেট অফিসের লিঙ্কআপ আছে।

আমি (১১) নং পয়েন্টে বলেছি। ইউনিভার্সিটিগুলোতে এই ফ্রি/ফাও পড়াশুনা বন্ধ করতে হবে। এতে ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের প্রয়োজনে ইনভেস্ট করতে পারবে। স্টুডেন্টরাও গাঁটের পয়সা খরছ করলে পড়াশুনা/গবেষণায় মনোযোগী হবে। রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি বন্ধ হবে।

আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন, "প্রতি বছর আন্তর্জাতিক জার্নাল গুলোতে ঢাবি ও বুয়েটের এর ছাত্র ছাত্রি এবং শিক্ষকদের অসংখ্য লেখা ছাপা হলেও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তার তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের website এ দিতে ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছে। অনেক লেখা হারিয়েও গেছে। এটা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাদের সীমাবদ্বতার কথা অকপটে স্বীকার করেছে।"................ এটা সীমাহীন উদাসীনতার ফল।

৪০| ১২ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: @চাঁদগাজী,
আপনাকে ধন্যবাদ আমার মন্তব্যটি পড়ার জন্য।

আপনার একটা ক্যপিটালিজম সম্পর্কে লেখা পড়লাম। একটু ফ্রি হয়ে ভাবছিলাম মন্তব্য করবো, কিন্তু পরে আর সুযোগ হয়নি।
আপনি ক্যপিটালিজম নিয়ে কি সব লিখলেন, একেবারেই ব্যসিক আইডিয়ার মধ্যে আপনি রয়েছেন।এখানেও আবার ক্যপিটালিজম ক্যপিটালিজম বলে বলে অস্থির। আপনার ভাষা আমি যতটুকু বুঝেছি আপনি কয়েকটি মন্তব্যে খুবই সামান্য করে বলেছেন সোশ্যালিজম দিয়ে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আসে অথবা মানুষের যে কোন প্রকার মুক্তি আসে , বা আপনি বলতে চেয়েছেন সোশ্যালিজম হচ্ছে বেস্ট স্কুল অফ আইডিওলজি এবং ইকনমিক সিস্টেম । আমার প্রশ্ন হলো আপনি কি সত্যিই সোশ্যালিজম সম্পর্কে সম্যক ধারনা রাখেন? আমার সন্দেহ আছে।

সোশ্যালিজম feudal system তৈরি করে সমাজে র‍্যংকিং তৈরি করে। বেশীভাগ মানুষ এই সিস্টেমের আওতায় এসে উঁচু তোলার মানুষের চাকর হয়ে যায়। এখানে মানুষের মুক্তি নেই। ছাপোষা জীবন যাপন করে দাস হয়ে মানুষ বাঁচতে চায় না। মানুষ মুক্তি চায়। হয়তো চীনের উদাহরণ দিবেন আপনি। চীনে ডেমোক্রেসি নাই। চীনের মানুষ বাচ্চা কয়টা পয়দা করবে সেটাও ঠিক করে দেয় সরকার। যেকোন সিস্টেমই মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়, সোশ্যালিজমও সেরকম আইডিয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে, কিন্তু প্রাক্টিকালি এটা কখনোই মহৎ হতে পারেনি এবং পারবেও না।

তারপর ক্যপিটালিজম প্রকাণ্ড রূপ ধারন করে ৯০ এর দশক থেকে। এই সময় থেকেই বিশ্ব জোড়া এর পপিউলারিটি বারে। সাধারন মানুষ ভাবে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে মানুষের মাঝে। পরের চাকর না হয়ে নিজেই নিজের বিজনেস করে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বাদ নিয়ে নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষা উচ্চাকাঙ্ক্ষা আকাশচুম্বী হয়ে যায়। এই আকাশচুম্বী আকাঙ্ক্ষার কারনেই গুটি কয়েক ধনী মানুষ তৈরি হয় আর বাকী সব সেই দাসই থেকে যায়। পয়সা আছে কিন্তু শান্তি নেই। বড় বড় ধনীরা একেকটা অর্থের রাক্ষসে পরিণত হয়ে যাচ্ছে, এক জন আরেক জনকে খেয়ে ফেলছে। এভাবেই এক সময় ক্যপিটালিজম ঐ সোশ্যালিজমের মতোই অর্থ বাণিজ্য এবং শ্রমকে সেন্ট্রালাইজ করে ফেলবে যেটাকে বলা হচ্ছে ইকনোমিক সিঙ্গুলারিটি। সেই একই রেজাল্ট অথবা আরও ভয়াবহ । কাজেই সোশ্যালিজম বা ক্যপিটালিজম কোনটাই মানুষকে মুক্তি দিতে পারে না।

মানুষকে মুক্তি দিতে পারে Anarchism। অবাধ স্বাধীনতা। কিন্তু কথা হলো অবাধ স্বাধীনতা কি ভালো কিছু বয়ে আনবে? মনে হয় না। কাজেই কোন একটি স্কুল অফ ইকনমিক সিস্টেম মানুষকে মুক্তি দিতে পারে না মিশ্রতাই দিতে পারে শান্তি। মানুষের জীবন যেমন বৈচিত্র্য , সেরকম বৈচিত্র্যতাই দিতে পারে ভিন্ন মাত্রা।

এতো সব কথা বলার কারন হচ্ছে আপনার লেখায় পরিপূর্ণতা নেই। প্রশ্ন করেন অনেক , কিন্তু ভালো উত্তর নেই।

আপনার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আপনি না জেনে মানুষ সম্পর্কে যা নয় তাই মন্তব্য করেন যেটা অপরিপক্বতার লক্ষণ। আপনার লেখাগুলো একেবারেই খাপ ছাড়া। কোন স্ট্রাকচার ফলো করেন না। কি বলতে চান সেটা পরিষ্কার করে বলেন না। সবাইকে লিলিপুটিয়ান ভাবেন।

যাক, আজ আর না। মন্তব্য করলে পরে আরেকদিন এসে আপনাকে ক্যপিটালিজম বুঝিয়ে যাবো। এখন এক কাজ করতে পারেন, এনারকিজম নিয়ে গুগোল সার্চ দিয়ে একটু পড়াসুনা করে নিতে পারেন। তবে গুগলিং করে ভালো জার্নাল আর্টিকেল পাওয়া যায় না।
বিদায়। পরে আবার আসবো নে।

৪১| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:১৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: চমৎকার দিকগুলো তুলে ধরেছেলেন।আহ! এসব যদি দুষ্টুলোক চোখে পড়তো তবে কতই না ভালো হতো।

১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ভাই। এসব বিষয়ে আরো লেখালেখির প্রয়োজন। দরকার হলে আন্দোলন করতে হবে। সেরা তালিকায় আসতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক অনেক পরিবর্তন আবশ্যক। না হলে, একশো কেন এক হাজার বছরেও কোন পরিবর্তন আসবে না। দেশের গরীব মানুষের করের হাজার হাজার কোটি টাকা এভাবে নষ্ট হওয়া দুঃখজনক। এখন, ছাত্রদের কাছে একাডেমিক পড়ার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়/মেডিকেল ভর্তি কোচিং আর বিসিএস কোচিং অধিক গুরুত্বপূর্ণ!! জাতির ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে।

৪২| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:১১

রাকু হাসান বলেছেন:

আমার মতে আপনার তুলে আনা পয়েন্টগুলো কর্তাদের বুঝার ক্ষমতা আছে। এবং অনেকে জানাও আছে, কিন্তু করার নেই। আপনার পয়েন্টগুলো থেকে অনন্ত তিনটি পয়েন্টই মূল সমস্যা রাজনীতি । রাজনীতি মুক্ত করতে পারলেই আমাদের অনেক সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে। কথা হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই সমস্যা সমাধানে আজ পর্যন্ত কোনো রাজনীতিবিদ এগিয়ে এসেছেন? বা আমরা কি সুযোগ দিচ্ছি? প্রশ্নগুলোর উত্তর নিশ্চয় না হবে।এগুলো সমাধানে দায়িত্ব যাদের তাদেরই করতে হবে। আমাদের জন্মগতভাবে এগুলো হয়েই আসছে। স্বাধীনতা পরবর্তী গণতন্ত্রের গালে জুতা মারা শুরু হওয়ার সাথে শুরু হয়েছিল। আর সেই সবই আমরা গ্রাস করেছি ।ভাই আমাদের দরকার আনিসুল হকদের ,আমাদের দরকার রেনেঁসা মানব। তা না হলে উত্তরণ বহুত দেরি।

১১ পয়েন্ট নিয়ে একটু কথা বলতে চাই বিনয় এবং শ্রদ্ধা রেখেই ।
যে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেও আমরা একটি ই-মেইল আইডি খুলতে পারি না ,ব্লগ চিনি না । কম্পিউটারে সাইন্সে পড়াশোনা করেও কম্পিউটারের অ,আ বুঝি না । সেই উচ্চ শিক্ষা দিয়ে কি হবে জানি না । যেখানে অধিকাংশ চাকরির ক্ষেত্রে চাওয়া হচ্ছে স্নাতক পাশ । সেখানে না করেই বা আমাদের কি করার । জানি উচ্চ শিক্ষা নিয়েও আমরা খুব একটা লাভবান হচ্ছি না । কিন্তু উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ না করেও কিছু করার নেই। আর স্নাতক ব্যতিত যেসব চাকরির অফার দেওয়া হচ্ছে সেই সব চাকরি আমাদের জীবিকার শক্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে । তাই নিতান্ত সার্টিফিকেটের জন্য হোক কিংবা গবেষণার জন্যই হোক উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছি। এসব অসঙ্গতি নিয়ে কাজ করার আছে অনেক কিছুই বলে আমার মতামত।আমি ভুল না করলে বলতে পারি,নাহিদ যুগে উচ্চ শিক্ষায় কর বসাতে চেয়েছিল সরকার । সেটা আলোর মুখ দেখিনি । যখন নীতিনির্ধারকরা এসব নিয়ে চিন্তা ,ভাবনা করছিল ঠিক তখনই আন্দোলনের বীজ বপন হতে যাচ্ছিলো । তারপরের খবর জানি না । পাই নি।লোনের ব্যাপারটা ভালো বলেছেন। একটি সুষম বীজ তলা তেরি করে -এসব নিয়ে ভাবতে পারে সরকার।

রমজানের শুভেচ্ছা নিবেন । আশা করছি ভালো আছেন।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ২:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আমার প্রিয় ভাই;
চমৎকার যুক্তিপূর্ণ কিছু বিষয়ে আপনি আলোকপাত করেছেন, এজন্য সাধুবাদ আপনার প্রাপ্য। ৪৭-এর দেশ বিভাগ, ৫২-এর ভাষা আনদোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি সবগুলো জাতীয় ইস্যুতে এদেশের ছাত্ররা নেতৃত্ব দিয়েছেন। এসব নেতৃত্ব ছিল জনমুখী, দেশ-দশের অধিকার আদায়ের রেঁনেসা। তখন রাজনীতি ছিল দুর্নীতিমুক্ত আর আদর্শ সমাজ গঠনের হাতিয়ার। স্বাধীনতা উত্তর বিশেষ করে নব্বই এর স্বৈরাচারী আন্দোলনের পর থেকে এদেশের ছাত্র রাজনীতি এইডসে আক্রান্ত হয়। যা এখনো অব্যাহত আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো থেকে ছাত্র রাজনীতি জুতাপেটা দিয়ে বিদায় করলে শিক্ষার মান এমনিতেই অনেক বেড়ে যাবে।

এখনই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।

এখন উচ্চ শিক্ষা হলো মূলত সার্টিফিকেট নির্ভর। কারণ এখন একটি দোকানের ম্যানজার চাইলেও স্নাতক পাশ চায়। অতএব, যে করেই হোক একখান সার্টিফিকেট লাগবে। এজন্য যতটুকু না ছাত্ররা দায়ী তারচেয়ে অনেক বেশি দায়ী সিস্টেম। এদেশে ব্যাংকের ক্যাশিয়ারদের প্রায় সবাই মাস্টার্স ডিগ্রীধারী। অথচ এগুলো ইন্টার পাশ করাদের কাজ। ছাত্ররা বাধ্য হচ্ছে মাস্টার্স পর্যন্ত পড়ে সার্টিফিকেট অর্জন করতে। আর, শিক্ষায় কর না বসিয়ে উচ্চহারে টিউশন ফির ব্যবস্থা করা হোক। এতে ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ফান্ড বাড়বে। গবেষণায় আরো উদ্যোগী হবে। ছাত্রদেরও এ বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে হবে। মাগনা উচ্চশিক্ষার মূল্য অতি সামান্য।

আবারো ধন্যবাদ প্রিয় রাকু হাসান ভাই।

৪৩| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৫৩

অর্পিতা মন্ডল বলেছেন: গতিশীল আলোচনা।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ২:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য। আপনি কলকাতা ইউনিভার্সিটির ইংরেজি সাহিত্যের মেধাবী স্টুডেন্ট হওয়ার পরও বাংলা সাহিত্য চর্চা করছেন এটা আমার খুব ভাল লাগে। আপনার কবিতাগুলো বারবার পড়তে মন চায়। খুব ভাল লিখেন আপনি। নিয়মিত ব্লগে আসবেন আশা করি।

৪৪| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯

করুণাধারা বলেছেন: এভাবে পয়েন্ট করে যে ১২ টি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন, তার প্রতিটির সাথে সহমত।

আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক নিয়োগ, ছাত্র রাজনীতি, টেন্ডারবাজি এইসব সমস্ত জিনিস জোর করে তুলে দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সহজ হবে না। কিন্তু যে জিনিসটা আমার সব সময় মনে হয়, উচ্চশিক্ষা হওয়া দরকার মেধাভিত্তিক, এবং অবশ্যই এমন বিনা পয়সায় না। আমাদের দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন মাসিক ১৩ টাকা থেকে বেড়ে ১৭ টাকা হলেই আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অতি বিত্তবান যেমন পড়ে, তেমন অনেক গরিব ছাত্র দেখেছি যারা প্রায় না খেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ জোগায়। বেতন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার অনেক খরচ আছে, আজকাল অনলাইনে অনেক পড়া পড়তে হয়, যার জন্য একটা স্মার্ট ফোন অত্যাবশ্যক হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের জন্য। এদের জন্য শিক্ষা ঋণ দেবার ব্যবস্থা করা দরকার।

চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।++++

১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপা। দেরীতে হলও লেখাটি গুরুত্ব দিয়ে পড়ে নিজের মতামতটি শেয়ার করেছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। "বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক নিয়োগ, ছাত্র রাজনীতি, টেন্ডারবাজি এইসব সমস্ত জিনিস জোর করে তুলে দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সহজ হবে না।" এটা আমিও মনে করি। তবে এভাবে তো শুরু করতে হবে। গতকাল সন্ধায় ঢাবির মধুর কেন্টিনে ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিতদের সংবাদ সম্মেলনে অপর পক্ষের গুন্ডারা আক্রমণ করে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়েছে। একটি ছাত্রীর মুখ তো থেতলে দিয়েছে।

১৩ টাকা ১৭ টাকা হলেই আন্দোলন শুরু হয়ে যায় এটা সত্য। এগুলোর একটা সুরাহা হওয়া দরকার। শিক্ষাবিদ ও নীতিনির্ধারকদের এ বিষয়ে গভীর ভাবনার দরকার আছে। না হলে উন্নতির কোন সুযোগ নেই।

৪৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: দেশের শিক্ষাঙ্গণের কিছু মৌলিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং তার সমাধানের পথ খুঁজেছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পাঠকের মন্তব্যেও অনেক ভাল ভাল পয়েন্ট উঠে এসেছে, সেজন্য সেসব মন্তব্যকারী পাঠকগণকেও ধন্যবাদ।
সমস্যাগুলোকে আপনি মোটামুটি ঠিকভাবেই চিহ্নিত করতে পেরেছেন।
পোস্টে প্লাস +

২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, স্যার।
আগের লেখাটি খোঁজে খোঁজে পড়ে চমৎকার মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। বাংলাদেশে কোন কিছুই দীর্ঘ পরিকল্পনা মাফিক শুরু হয়নি। রাস্তা থেকে শুরু করে উন্নয়ন সবখানেই অপরিকল্পিত কাজকর্ম। সরকার পরিবর্তনের সাথে পলিসিরও পরিবর্তন হয় দ্রুত। এদেশে কোন কিছুই জাতীয় পরিকল্পনার অংশ নয়। শিক্ষা নিয়ে এজন্য প্রতি বছর হরেক রকম পরিকল্পনা হয় কিন্তু বাস্তব কোন গুনগত পরিবর্তন হচ্ছে না। শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনের জন্য যেসকল পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তা করা হয় না। এজন্য শিক্ষায় পৃথিবীর সেরা ইউনিভার্সিটির স্টেনডার্ডে আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলো নেই। এছাড়া ছাত্র রাজনীতি আর দলীয়করণ শিক্ষাকে শেষ করে দিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.