নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ১৯শে মে আসামের বরাক উপত্যকায় মাতৃভাষা দিবস

১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:১৮


আজ ১৯শে মে ভারতের বরাক উপত্যকায় পালিত হচ্ছে মাতৃভাষা দিবস। আমরা সবাই ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনে ঢাকায় শহীদ হওয়া ভাষা সৈনিকদের কথা জানি। এখন ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হওয়ায় বিশ্বব্যাপী দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। কিন্তু ১৯৬১ সালের ১৯শে মে মাতৃভাষার আন্দোলনকারী ১১ জন প্রতিবাদীকে শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে আসাম প্রাদেশিক পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। তাদের আত্মত্যাগের ফলে বরাক উপত্যকার কাছাড়, হাইল্যাকান্দী আর করিমগঞ্জ জেলার মানুষ মাতৃভাষায় কথা বলার এবং পড়াশোনা করার অধিকার পায়।

প্রেক্ষাপট-
১৯৬০ সালের এপ্রিলে, আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিতে অসমীয়া ভাষাকে প্রদেশের একমাত্র দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করার একটি প্রস্তাবের সূচনা হয়। এতে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। অসমীয়া উত্তেজিত জনতা বাঙালি অভিবাসীদের আক্রমণ করে। জুলাই ও সেপ্টেম্বরে সহিংসতা যখন উচ্চ রূপ নেয়, তখন প্রায় ৫০,০০০ বাঙালি হিন্দু ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে যায়। অন্য ৯০,০০০ বরাক উপত্যকা ও উত্তর-পূর্বের অন্যত্র পালিয়ে যায়। ন্যায়াধীশ গোপাল মেহরোত্রার নেতৃত্বে এক ব্যক্তির একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।

কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কামরূপ জেলার গোরেশ্বর অঞ্চলের ২৫টি গ্রামের ৪,০১৯টি কুঁড়েঘর এবং ৫৮টি বাড়ি ধ্বংস ও আক্রমণ করা হয়; এই জেলা ছিল সহিংসতার সবচেয়ে আক্রান্ত এলাকা। নয়জন বাঙালিকে হত্যা করা হয় এবং শতাধিক লোক আহত হয়। ১০ অক্টোবর, ১৯৬০ সালের সেই সময়ের আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিমলা প্রসাদ চলিহা অসমীয়াকে আসামের একমাত্র সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। উত্তর করিমগঞ্জ-এর বিধায়ক রণেন্দ্রমোহন দাস এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু ২৪ অক্টোবর প্রস্তাবটি বিধানসভায় গৃহীত হয়।

আন্দোলনের সূচনা-
বরাক উপত্যকার বাঙালিদের ওপরে অসমীয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ১৯৬১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে "কাছাড় গণ সংগ্রাম পরিষদ" নামক সংগঠনটির জন্ম হয়। আসাম সরকারের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ১৪ এপ্রিল তারিখে শিলচর, করিমগঞ্জ আর হাইলাকান্দির লোকেরা সংকল্প দিবস পালন করেন । বরাকের জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য এই পরিষদ ২৪ এপ্রিল একপক্ষ দীর্ঘ একটি পদযাত্রা শুরু করেছিল। ২ মে-তে শেষ হওয়া এই পদযাত্রাটিতে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা প্রায় ২০০ মাইল উপত্যকাটির গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচার চালিয়েছিলেন।

পদযাত্রার শেষে পরিষদের মুখপাত্র রথীন্দ্রনাথ সেন ঘোষণা করেছিলেন, যদি ১৩ এপ্রিল, ১৯৬১ সালের মধ্যে বাংলাকে সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা না হয়, তাহলে ১৯ মে তে তারা ব্যাপক হরতাল করবেন। যার ফলশ্রুতিতে ১২ মে তে আসাম রাইফেল, মাদ্রাজ রেজিমেন্ট ও কেন্দ্রীয় সংরক্ষিত পুলিশ বাহিনী শিলচরে ফ্ল্যাগ মার্চ করেছিল। ১৮ মে আসাম পুলিশ আন্দোলনের তিনজন নেতা নলিনীকান্ত দাস, রথীন্দ্রনাথ সেন ও বিধুভূষণ চৌধুরী (সাপ্তাহিক যুগশক্তির সম্পাদক) কে গ্রেপ্তার করে।

১৯ মে'র ঘটনা-
১৯ মে শিলচর, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে হরতাল ও পিকেটিং আরম্ভ হয়। করিমগঞ্জে আন্দোলনকারীরা সরকারি কার্যালয়, রেলওয়ে স্টেশন, কোর্ট ইত্যাদিতে পিকেটিং করেন। শিলচরে তারা রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন। বিকেল ৪টার সময় সূচির ট্রেনটি ছাড়ার সময় পার হওয়ার পর হরতাল শেষ করার কথা ছিল। ভোর ৫:৪০ এর ট্রেনটির একটিও টিকিট বিক্রি হয় নাই। সকালে হরতাল শান্তিপূর্ণ ভাবে অতিবাহিত হয়েছিল। কিন্তু বিকালে স্টেশনে আসাম রাইফেল এসে উপস্থিত হয়। বিকেল প্রায় ২:৩০ ঘটিকার সময় ন'জন আন্দোলনকারীকে কাটিগোরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি ট্রাক তারাপুর স্টেশনের (বর্তমানের শিলচর রেলওয়ে স্টেশন) পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। পিকেটিংকারী তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে দেখে তীব্র প্রতিবাদ করেন। ভয় পেয়ে ট্রাকচালক সহ পুলিশরা বন্দীদের নিয়ে পালিয়ে যায়।

এর পর কেউ একজন লোক ট্রাকটি জ্বালিয়ে দেয়, যদিও দমকল বাহিনী এসে তৎপরতার সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপর প্রায় ২:৩৫ নাগাদ স্টেশনের সুরক্ষায় থাকা প্যারামিলিটারী বাহিনী আন্দোলনকারীদেরকে বন্দুক ও লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। এরপর সাত মিনিটের ভেতর তারা ১৭ রাউণ্ড গুলি আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে চালায়। ১২ জন লোকের দেহে গুলি লেগেছিল। তাদের মধ্যে ন'জন সেদিনই নিহত হয়েছিলেন; দু'জন পরে মারা যান। এরপর ২০ মে শিলচরের জনগণ শহীদদের শবদেহ নিয়ে শোকমিছিল করে জোর প্রতিবাদ জানায়।

শহীদদের তালিকা-
কানাইলাল নিয়োগী, চন্ডীচরণ সূত্রধর, হিতেশ বিশ্বাস, সত্যেন্দ্রকুমার দেব, কুমুদরঞ্জন দাস, সুনীল সরকার, তরণী দেবনাথ, শচীন্দ্র চন্দ্র পাল, বীরেন্দ্র সূত্রধর, সুকোমল পুরকায়স্থ এবং কমলা ভট্টাচার্য। শহীদ কমলা ভট্টাচার্য হলেন পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম মহিলা ভাষা শহীদ; তিনি ছিলেন মাত্র ১৬ বছরের কিশোরী। এছাড়াও আসামে বাংলা ভাষার জন্য ১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট বিজন চক্রবর্তী নামে একজন শহীদ হন। এছাড়া ১৯৮৬ সালের ২১ জুলাই শহীদ হন আরো দু'জন। তারা হলেন জগন্ময় দেব ও দিব্যেন্দু দাস।

এই ঘটনার পর আসাম সরকার বরাক উপত্যকায় বাংলাকে সরকারি ভাষা হিসাবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। প্রতি বছর বরাক উপত্যকাসহ ভারতের বিভিন্নপ্রান্তে ১৯ মে কে "বাংলা ভাষা শহীদ দিবস" হিসেবে পালন করা হয়। আজকের এই দিনে আসামে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শোক ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।


ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৩১

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: তাদের সবার জন্য ভালবাসা নিরন্তর। তাদের ত্যাগ ভুলা যাবেনা।

২০ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
প্রথম মন্তব্যে আপনাকে স্বাগতম। আসামের কাছাড় জেলার শিলচরে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাদের আত্মত্যাগের ফলে বরাক উপত্যকার বাঙালিরা বাংলায় কথা বলার অধিকার পেয়েছেন। লেখা-পড়ার অধিকার পেয়েছেন।

২| ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৪০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এখন কয়জনেইবা তাঁদের স্মরণ করে?
এমন সুন্দর একটি লিখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২০ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ
মাহমুদুর রহমান ভাই। হ্যায়, তাদের এই অবদানের জন্য সংখ্যায় খুব কম মানুষ তাদেরকে স্মরণ করেন। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের অনেকেই এই আন্দোলন এবং নিহত শহীদদের কথা জানেন না। মূলত, এই আন্দোলনের প্রচার তেমন একটা হয় না। তবে, আসামের বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ, হাইল্যাকান্দী আর কাছাড় জেলার লোকজন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করেন। রেডিও-টিভি-পত্রিকায়ও দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় তুলে ধরা হয়।

৩| ২০ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:০৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: মেহরোত্রা নাকি মালহোত্রা ?
অসম লিখেছেন একজায়গায়। আসাম হবে।
শনাক্ত করা যায় নি এমন - অ-শনাক্ত লেখা যায় ?

অনেক ইতিহাস লুকিয়ে আছে। অসমীয়া আর বাংলা তো প্রায় একই রকমের।

ধন্যবাদ মূল্যবান পোস্টটির জন্য :)


২০ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। নামটি "ন্যায়াধীশ গোপাল মেহরোত্রা" ঠিক আছে। আর আসাম নামটি একেক ভাষায় একেকভাবে উচ্চারণ করা হয়। অসামীয়রা বলে 'অহম'; বরাক উপত্যকায় বাঙালিরা বলে 'অসম' আর আমরা বলি 'আসাম'। আর কিছু টাইপো ছিল ঠিক করে দিয়েছি। বাংলাভাষার বিরাট অংশজুড়ে অহমীয় ভাষার প্রভাব। আমাদের সিলেট অঞ্চলের ভাষার সাথে অহমীয় ভাষার অনেক মিল আছে।

৪| ২০ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৩৭

বলেছেন: কত অজানারে জানাইলে তুমি হে গুণী!!!

২০ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হা হা হা...............
কিযে বলেন, হে প্রিয় কবি। এটা ইতিহাস, পৃথিবীর সব বাঙালি জানুক আমরা মাতৃভাষার জন্য একবার নয় দু-দুবার জীবন বিলিয়ে দিয়েছি। আমাদের দায়িত্ব এই বীর শহীদদের নিয়ে বেশি বেশি লেখা। বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেওয়া। মাত্র ষোল বছর বয়সে শহীদ হওয়া আমাদের বোন কমলা ভট্টাচার্য মাতৃভাষার জন্য শহীদ হলো। এই বোনটির আত্মত্যাগের কথা সব বাঙালি জানুক।

আমার আগামী বইমেলার গল্পের বইটি প্রিয় "কমলা ভট্টাচার্য" কে উৎসর্গ করবো।

৫| ২০ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:০২

পথিক প্রত্যয় বলেছেন: আসামের বাঙাল খেদাও আন্দোলন নিয়ে কিছু লিখেন।
ভাষা আন্দোলন নিয়ে লিখার জন্য ধন্যবাদ । একসময় যে ভাষার জন্য পূর্বসূরিরা রক্ত দিয়েছিল আজ সেই ভাষার অশুদ্ধ ব্যবহার ভীষণ পীড়াদায়ক

২০ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
আসামের বাঙাল খেদাও আন্দোলন নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে। তবে বাস্তবতা হলো বাঙাল খেদাও আন্দোলন যত সহজ বাঙাল খেদানো ততো সহজ নয়। বিজেপির এই নীতি কখনো কার্যকর হবে না। ইতিমধ্যে আসামের বিজেপি সরকার নিজেদের অবস্থান থেকে অনেকটা সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। আর বাংলা ভাষার অশুদ্ধ ব্যবহারই শুধু নয়, ইংলিশ মিডিয়াম নামক ভাইরাস স্কুলগুলো এ জাতির মগজে পঁচন ধরিয়েছে।

৬| ২০ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:৩১

বলেছেন: বাহ বেশ ভালোলাগালো আপনার আগামী বইমেলার এই উৎসর্গের কথা জেনে।।

হয়তো একটু হলে কমলার বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে আর তা হয়তে লেখকের জন্য সাফল্যের স্রোতধারা বয়ে নিয়ে আসবে।।


শুভ কামনা নিরন্তর।।।

২০ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো কমেন্টে আসার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় র. লতিফ ভাই। "কমলা ভট্টাচার্য" মাত্র ষোল বছর বয়সে জীবন দিয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আমাদের নতুন প্রজন্ম এই শহীদ বোনটাকে চেনে না। আমরা যারা লেখালেখি করি তাদের নৈতিক দায়িত্ব বাংলার জন্য জীবন উৎসর্গ করা এসব সোনার মানুষদের পরিচয় সবার কাছে তুলে ধরা। আমি তাই করার চেষ্টা করছি মাত্র। এটা শহীদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

৭| ২০ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩০

বলেছেন: স্যার,
আপনাকে উৎসর্গ করে আজকের পোস্ট ---"" আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা "

পুরা সপ্তাহ লাগলো পোস্টটি লিখতে।।।

পড়ার অনুরোধ রইলো

২০ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমার মতো ছাপোষা একজনকে মহা গুরুত্বপূর্ণ এ লেখাটি উৎসর্গ করায় খুবই সম্মানিত অনুভব করছি। গুরুত্বপূর্ণ এ লেখাটি ব্লগটাকে প্রাণবন্ত করেছে। আমাদের অনেক অজানা তথ্যের সন্ধান দিয়েছে। আর পুরো সপ্তাহ জুড়ে এ বিষয়ে পোস্ট দেবেন শুনে আরো ভালো লাগলো। অপেক্ষায় থাকবো প্রতিদিন নতুন পোস্টের জন্য।

শুভ কামনা রইলো প্রিয় ভাই।

৮| ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,

বরাক উপত্যকার বাঙালি ও বাংলা ভাষার উত্তরণের খবরটি জেনে চমৎকৃত ও সমৃদ্ধ হলাম। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি জানাই শ্রদ্ধার্ঘ্য।
আরো একবার আলাদাভাবে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করি শহীদ কমলা ভট্টাচার্যকে। যথার্থ কাজটিই করেছেন আপনি আগামী বইটি ওনাকে উৎসর্গ করে। ধন্যবাদ আপনাকে। বইটির জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় গুরুদেবকে।

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, গুরুজি।
বরাক উপত্যকার শহীদদের বিষয়ে আমরা তেমন একটা জানি না। এ বিষয়ে আলোচনা, প্রচার-প্রচারণাও তেমন হয় না। আমাদের কলম হোক এই শহীদদের বেঁচে থাকার অবলম্বন। আর শহীদ কমলা ভট্টাচার্যকে নিয়ে আরো জানার আগ্রহ আছে। উনার রক্তের ঋণ শোধ করতেই মূলত, আগামী বইটি উনার নামে উৎসর্গ করার প্রয়াস। উত্তরসূরী হিসাবে এটা আমাদের দায়িত্ব।

অনেক ভালোবাসা রইলো প্রিয় ভাই, প্রিয় গুরুজি।

৯| ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।
আপনাকে অনেক দিন পর ব্লগে দেখলাম। আশা করি, ভালই আছেন। অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা রইলো। নিয়মিত ব্লগে পেলে ভাল লাগবে। আপনার লেখা কবিতা খুব মিস করি। ভালো থাকবেন।

১০| ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: না জানা ইতিহাস জেনে ভালো লাগছে, আর অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করা বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রাখি সবসময়।
এভাবেই অমর হোক ১৯ মে-এর ভাষা শহীদ যাঁরা।

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
আমাদের দায়িত্ব এই বীর শহীদদের নিয়ে বেশি বেশি লেখা। বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেওয়া। মাত্র ষোল বছর বয়সে শহীদ হওয়া আমাদের বোন কমলা ভট্টাচার্য মাতৃভাষার জন্য শহীদ হলো। এই বোনটির আত্মত্যাগের কথা সব বাঙালি জানুক।

১১| ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

নয়া পাঠক বলেছেন: কত অজানা বিষয় লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাসের পরতে পরতে! আপনার কল্যাণে জানতে পারলাম শুধু বাংলাদেশেই নয় ভারতেও বাংলা ভাষার জন্য জীবন হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন মানুষ! তারমধ্য আবার একজন মাত্র ১৬ বছর বয়সের কিশোরী।

তাদের সকলের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন কত অজানা বিষয় লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাসের পরতে পরতে। আমাদের দায়িত্ব হলো এই লুকিয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়গুলো নিয়ে লেখা। প্রচার করা। এতে সবাই ইতিহাসটা জানবে। আর বরাক উপত্যকার ভাষা আন্দোলন ও এ আনদোলনের শহীদদের নিয়ে আরো লেখা দরকার।

১২| ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:২০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যদিও বিষয়টি জানা ছিল তবে এত বিস্তারিত না।

আর কমলার বিষয়টি নতুন জানলাম।

বাংলা আমার প্রাণের ভাষা।

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের অনেকেই এই আন্দোলন এবং নিহত শহীদদের কথা জানেন না। মূলত, এই আন্দোলনের প্রচার তেমন একটা হয় না। তবে, আসামের বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ, হাইল্যাকান্দী আর কাছাড় জেলার লোকজন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করেন।

১৩| ২০ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: অজানা একটি তথ্য জানলাম। আপনাকে ধন্যবাদ।

সকল ভাষা শহীদদের প্রতি রহিল বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি..

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
আমি এ বিষয়টি জানলেও এতো ডিটেলে জানতাম না। বিশেষ করে কমলা ভট্টাচার্যের শহীদ হওয়ার বিষয়টি আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে। মাত্র ষোল বছর বয়সেই জীবনকে নিঃশেষ করে দিলেন বাঙলা ভাষায় কথা বলার অপরাধে। এই ইতিহাস পৃথিবীর সব বাঙালির জানা দরকার।

১৪| ২০ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন। ভুলেই গিয়েছিলাম।

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, রাজীব ভাই।
এ বিষয়টি নিয়ে আরো লেখা হোক। পৃথিবীর মানুষ জানুক ভাষার জন্য আমাদের আত্ম ত্যাগের কথা। আমরা বাঙলা ভাষার জন্য যত রক্ত দিয়েছি পৃথিবীর কোন জাতি তার সিকিভাগও ত্যাগ স্বীকার করেনি।

১৫| ২০ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রইল।

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
ভাষা শহীদদের প্রতি আমাদের অনেক কৃতজ্ঞতা। পৃথিবীর সব ভাষা সৈনিকদের স্যালুট জানাই। ষোল বছরে বয়সে শহীদ কমলা ভট্টাচার্যের জন্য শোক প্রকাশ করছি। তাঁরা বেঁচে থাকবেন বাংলা যতদিন বেঁচে থাকবে।

১৬| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:২১

মুক্তা নীল বলেছেন: আমাদের বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানতাম, কিন্তু এই ঘটনা জানা ছিল না। আপনার মাধ্যমে নতুন করে জানা।
কাউসার ভাই, একটা লোকেশন জানতে চাচ্ছি , শিলং থেকে গৌহাটি যাওয়ার মাঝেই কি শিলচর?
কমলা ভট্টাচার্যের জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা রইল ।
শুভকামনা জানবেন।

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
আমাদের বায়ান্নর ভাষা আনদোলনের কথা আমরা সবাই জানলেও বরাক উপত্যকার ভাষা শহীদদের আমরা চিনি না। এটা মূলত প্রচারের অভাবে হয়েছে। আসামের ৩১টি জেলার মধ্যে মাত্র তিনটি জেলা করিমগঞ্জ, হাইল্যাকান্দী আর কাছাড় জেলার মানুষ বাঙলায় কথা বলে। এজন্য এই এলাকার মানুষের ভাষা আন্দোলনের সমৃদ্ধ ইতিহাস অনেকের অজানা। এ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মিডিয়ায়ও তেমন প্রচার হয় না। বিষয়টি বিশ্বব্যাপী আরো প্রচার হওয়া দরকার।

আর, শিলং থেকে গৌহাটি যেতে শিলচর পাওয়া যায় না। শিলচর হলো বরাক উপত্যকায়। জকিগঞ্জে যেখান দিয়ে বরাক নদী সুরমা-কুশিয়া নাম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তার একটু সামনেই শিলচর। আমার বাড়ি থেকে শিলচরের উঁচু একটি ব্রিজের লাইটিং দেখা যায়। দূরত্ব সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার হবে।

শুভ রাত্রি, আপু।

১৭| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৫

আল আমিন সেতু বলেছেন: ধন্যবাদ। এই ইতিহাস আগে কোথাও শুনি নি। পড়ি নি। জানার অনেক কিছুই বাকী রয়েছে। শুভ রাত্রি। আপনাদের মিস করেছি। বাংলাদেশে এই সামু ব্লগ ব্লকের কারণে আমি অনেক মাস সামুতে লগ ইন করতে পারি নি। আমি অন্য অনেকের মত ভিপিএন দিয়েও চালাতে জানিনা। এই আইসিটি লাইনে ও দুর্বল। শুভ রাত্রি।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, সেতু ভাই।
এই ভাষা আনদোলনের ইতিহাস বাঙালিরা খুব একটা জানে না। এর অন্যতম কারণ, ভারতের আসাম প্রদেশের এই অঞ্চলে মাত্র তিনটি জেলার মানুষ বাংলায় কথা বলে। বাকী ৩০ জেলায় অহমীয় ভাষা প্রচলিত। এছাড়া বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গেও এই আন্দোলনের প্রচার খুব একটা হয়নি। লেখালেখিও কম হয়। আশা করি, আপনি এবার নিয়মিত ব্লগিং করবেন। সামুতে আসবেন। আমি নিজেও এখন ভিপিএন দিয়ে ব্লগিং করি।

শুভ কামনা রইলো ভাই।

১৮| ১৮ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাষা শহীদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আর সাথে অনেক অনেক ভালোবাসা আমার গুরু (যিনি রাজা গৌর গোবিন্দর দেশে বাস করেন) কাউসার চৌধুরী ভাইকে।

১৮ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরু, কই আপনি?
হঠাৎ করে দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যান। আশা করি, ভালো আছেন। মিস করি আপনাকে।

১৯| ১৮ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ব্লগবন্দী হয়ে ছিলাম, দেশের বাইরে ছোটবোনের বাসায় এসে জানতে পারলাম দেশের বাইরে ব্লগমুক্তি আছে। তাই লেখা শুরু করেছি, জানিনা দেশে গিয়ে লেখতে পারবো কিনা, আমার লেখা পোষ্ট দেখে আসতে পারেন। আপনাকে খুবই মিস করেছিরে গুরু।
অবাক বাংলাদেশ
বন - আমার প্রিয় বন্ধু

১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হ্যা, সামু এখন কঠিনতম সময় পার করছে। অনেককে ভিপিএন দিয়ে কষ্ট করে সামুতে আসছেন। কেউ কেউ তাও পারছেন না। বিশেষ করে সামুর সাধারন পাঠকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সামুতে পড়ার জন্য কেউ ভিপিএন ব্যবহার করবে না। শুধু সামুর লেখক ও সমালোচকরা ছাড়া। আপনার বিদেশ ভ্রমণের দিনগুলো আরো সুন্দর হোক, এই কামনা রইলো। দেশে ফিরলে ভিপিএন ব্যবহার করে সহজেই ব্লগিং করতে পারবেন।

মিস ইউ, গুরু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.