নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুধ নিয়ে কেলেঙ্কারি; নেই কোন জবাবদিহিতা।

২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০


বাজেট আসলে আমার মতো নিম্নবিত্ত মানুষের হার্টবিট বেড়ে যায়। কারণ, আমরা অতি সাধারণ জনগণ; না পারি বাজেট পূর্ব আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে, না পারি নিজেদের অভাব-অনুযোগ-শঙ্কার কথা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানাতে। আমরা অর্থনীতির বিরাট বিরাট তথ্য আর অগ্রগতি বুঝি না; শুধু বুঝি নিত্য প্রয়োজনীয় চাল-ডাল-লবণ-দুধ-তেল-পেয়াজ ইত্যাদির দাম কমছে কিনা? অথবা স্থির আছে কিনা? আমরা না পারি চুরি করতে, না পারি আওয়াজ করে নিজেদের দারিদ্র্যতা প্রকাশ করতে, না পারি পেটের খিদে সহ্য করতে। এজন্য নীরবে শুধু পর্যবেক্ষণ করি।

পৃথিবীর সব সভ্য দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা হয় বাজেটে। যাতে অল্প আয়ের মানুষের কষ্ট না হয়। প্রয়োজনে সরকার ভর্তুকীর ব্যবস্থা করে। কারণ, এই বাজেটের সিংহভাগ যোগান দেয় এসব খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের দেশের অতি উচ্চবিলাসী, অতি ধনী এমপি/মন্ত্রীরা কি এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখেন?

এবারের বাজেটে গুঁড়ো দুধের দাম বেড়েছে। কিন্তু এর বিকল্প হিসাবে পাস্তুরিত তরল দুধের যোগান ও মান ঠিক আছে কিনা তা কি যাচাই করা হয়েছে? গত দুই-তিন বছর থেকে দেশের নামকরা সব পাস্তুরিত দুধ কোম্পানীর প্যাকেটে ডিটারজেন্ট/শ্যাম্পুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। শুধু শ্যাম্পু দিয়েও এসব দুধ তৈরী করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এগুলো নিয়ে টিভি, পত্রিকায়ও অনেক লেখালেখি হয়েছে। আর পাস্তুরিত দুধে খাল-নালা-ড্রেন-টয়লেটের পানি তো হরহামেশা মেশানো হয়। এসব প্রতিবেদন দেখে কোন সুস্থ মানুষ এসব দুধ নামক বিষ কিনে খাবার কথা নয়। এজন্য বিকল্প হিসাবে বাধ্য হয়ে গুঁড়ো দুধ খাচ্ছে। আমরাও গুঁড়ো দুধ খেতে চাই না; চাই শতভাগ নিরাপদ আর পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ পাস্তুরিত তরল দুধ। বিএসটিআই/সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কি তা করতে পেরেছে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ও ফার্মেসি অনুষদের গবেষণার তথ্যমতে,"পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে ডিটারজেন্ট, এন্টিবায়োটিক ও ফরমালিন, গুঁড়া মশলায় (হলুদ) টেক্সটাইল রঙের উপস্থিতি এবং তেল (পামওয়েল, সরিষা, সয়াবিন), ঘি ও ফ্রুট ড্রিংকস বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) নির্ধারিত মান উত্তীর্ণ হতে পারেনি।"

পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনায় ‘ফ্যাট ইন মিল্ক’ এর বিবেচনায় ছয়টি নমুনা; ‘সলিড নট ফ্যাট’ বিবেচনায় পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের ১০টি নমুনার সবগুলো; ‘এসিডিটি এনালাইসিস’ বিবেচনায় পাস্তুরিত দুধের একটি নমুনা ও অপাস্তুরিত দুধের তিনটি নমুনা; ‘টোটাল ব্যাকটেরিয়া কাউন্ট’-এ পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার সবগুলো, ‘কলিফর্ম কাউন্ট’-এ পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার দুইটি, ‘স্টেফাইলোকক্কাস স্পেসিজ কাউন্ট’ হারে পাস্তুরিত দুধের পাঁচটি নমুনার পাঁচটি মানোত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে।

গবেষনা মতে, "খাদ্যপণ্যে যত্রতত্রভাবে এসব ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহৃত হলে আমরা বাঁচতে পারব না। মরে যাব। মানুষ ও পশুর জন্য ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিক সম্পূর্ণ আলাদা। গরুকে মানুষের এন্টিবায়োটিক দিলে, দুধ ও মাংসের মাধ্যমে তা আবার মানুষের শরীরেই প্রবেশ করে। যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বিষয়। তিনি বলেন, পরীক্ষায় পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার সবগুলোতেই মানব চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিক লেভোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন ও এজিথ্রোমাইসিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এছাড়াও অপাস্তুরিত দুধের একটি নমুনাতে ফরমালিনও মিলেছে। অন্য একটিতে পাওয়া গেছে ডিটারজেন্ট।"

অথচ বিএসটিআই কিছুদিন আগে ১৪টি ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধে আশঙ্কাজনক কিছু নেই বলে আদালতে প্রতিবেদন দেয়! ব্র্যান্ডগুলো হলো পুরা, আয়রান, আড়ং ডেইরি, ফার্ম ফ্রেশ মিল্ক, মো, মিল্ক ভিটা, আফতাব, আল্ট্রা, তানিয়া (২০০ গ্রাম ও ৫০০ গ্রাম), ইগলু, প্রাণ মিল্ক, ডেইরি ফ্রেশ, মিল্ক ফ্রেশ এবং কাউহেড পিওর মিল্ক।

বাজারে প্রচলিত ৮টি ঘিয়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা চালানো হয়। এগুলো হলো- বাঘাবাড়ি, প্রাণ, মিল্কভিটা, মিল্কম্যান, সমির ও টিনে বিক্রি হওয়া নামবিহীন দু’টি নমুনা। বিএসটিআই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ঘিয়ে জলীয় উপাদান ও আয়োডিন ভ্যালু যতটুকু থাকার কথা রয়েছে এসব নমুনায় তার থেকে বেশি পাওয়া গেছে।

এই বিএসটিআই দিয়ে আমাদের হবেটা কী? দুধের মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যে ভেজাল ধরতে পারে না যে মাথামোটা সরকারি সংস্থা এদের বাঁচিয়ে রেখে কি লাভ আমাদের? প্রতি মাসে পাবলিকের করের শত শত কোটি টাকা যে সংস্থার পেছেনে খরছ হয়, সেই পাবলিকের কাছে তাদের কোন দায় নেই কেন? সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কি এই দুর্নীতির আখড়া প্রতিষ্ঠানটিকে জবাবদিহির আওতায় আনতে ব্যর্থ? নাকি নিজেরাও জড়িত? মিল্ক ভিটার মতো সরকারি দুগ্ধ খামারের দুধে এন্টিবায়োটিক, শ্যাম্পু আর ডিটারজেন্ট থাকবে কেন? এগুলোর জবাব দিতে হবে।



ফটো ক্রেডি,
গুগল।

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব

আপাতত উপস্থিতি জানান দিই। পরে পড়াশোনা করে আবার আসছি।

২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, গুরুজি।
প্রথমেই আপনাকে পেয়ে খুব খুশি হলাম। ভারত-ওয়েস্টইন্ডিজ ওয়ার্ল্ড কাপ ম্যাচ চলছে। দুই ওভারে ভারত-৫ রান; কোন উইকেট না হারিয়ে। শুভ কামনা রইলো টিম ইন্ডিয়ার জন্য। খেলাটি দেখুন, উপভোগ করুন।

২| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩

শায়মা বলেছেন: এই আড়ং বা মিল্কভিটা চুলায় জ্বাল দিলেই বুঝা যায় ইনাদের মান কেমন! এই মান বুঝতে বি এস টি আই দের এত দিন লাগলো!

আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম এমন দুধ কেমনে মান সন্মত বলে বাজারে বিক্রি হয়! সর পড়েনা, ঘন হয় না। দই সেমাই যাই রাঁধতে যাই না কেনো এক্সট্রা গুড়া দুধ এ্যাড করে ঘন করতে হয়!

২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমি লন্ডনে যাওয়ার পর সবচেয়ে অবাক হয়েছিলাম তাদের পিপায় ভরা তরল দুধের সহজলভ্যতা দেখে। দামও খুবই কম; মাত্র ১ পাউন্ড! এতো অল্পদামে কোয়ালিটি সম্পন্ন শতভাগ খাঁটি দুধ পাওয়া যায় তা কল্পনাও করিনি। এসব দুধ খুবই কঠোর নিয়মে মাননির্ধারণ করা হয়। দুধ ছিঁড়ে যাওয়ার কোন লক্ষণ কখনো পাইনি। মেয়াদের এক সপ্তাহ পরও দুধ ভালো থাকে। যদিও মেয়াদোত্তীর্ণ দুধ কেউ খায় না। আর আমাদের দেশে ডিটারজেন্ট, শেমপু, টয়লেটের পানি সবই মেশানো হয় দুধে। এটা দুঃখজনক। সরকারের চরম দায়িত্বহীনতা আর দুর্নীতি।

এসব দুধের তৈরী দুধ ও দই বর্জন করা উচিৎ। এক্সটা গুঁড়ো দুধ মেশানো লাগে দুধে পানির উপস্থিতির জন্য। ভাবছি নিজে একটা গাভী পালন শুরু করবো। বছরে বছরে একটা বাচ্চাও পাব।

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালী মহিলারা নিজেদের বাচ্চাদের স্তনের দুধ খাওয়ান, এগুলো পরীক্ষা করে দেখার সময় হয়েছে; হাজার হলেও বাংগালী মহিলা, কি ভেজাল দিচ্ছেন, কে জানে!

২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকে।
এখানেও ভেজাল থাকার জোর সম্ভাবনা আছ। কারণ, এদেশের মহিলারা সবচেয়ে বেশি এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করেন। ডাক্তাররা কমিশনের জন্য যত সহজে মহিলাদের এন্টিবায়োটিক লিখে দিতে পারেন পুরুষদের তেমনটি পারেন না! এসব মায়েদের দুধেও এন্টিবায়োটিক থাকার জোর সমভাবনা আছে। তবে এখন মায়ের স্মার্ট/ডিজিটাল হচ্ছেন। লেকটোজেন বায়োমিলে ভরসা রাখছেন!!

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: অত্যান্ত যুগোপযোগী লেখা।

২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, মাহমুদুর রহমান ভাই।

৫| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। আঠারো বছর ধরে বিদেশে আছি। এই এত বছরে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়তে দেখি না। কিন্ত বিলাস সামগ্রীর দাম দিনকে দিন বেড়ে যাচ্ছে। সমাজের ধনী সম্প্রদায় অখুশী কিন্ত সাধারন জনগন খুশী । আর আমাদের দেশের কথা আর কি বলব!! একেতো জিনিষ পত্রের দাম আকাশ ছোয়া তারওপড় খাদ্যে ভেজাল। বিএসটিআই এ চাকুরিরতদের ঘুস খাওয়ার অন্যতম একটা উপায় হচ্ছে কোন কিছু পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া!! সুতরাং কি আশা করতে পারি আমরা তদের কাছে? তাছাড়া ভেজাল প্রমানিত হওয়া সত্ত্বেও কি আজতক কোন কোম্পানিকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে? নষ্টের জয় জয়কার সর্বত্র।

২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো ভাই।
আঠারো বছর বিদেশে থাকায় বুঝতে পেরেছেন জনগনের প্রতি সে দেশের সরকারের দায় কতটুকু। আমাদের এখানে সরকার গরীব মানুষদের ভিক্ষা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। এখনতো সরকার হতে ভোটও লাগে না। অতএব দায়বদ্ধতা কিসের!! সংসদ হলো এদেশের ধনীদের রিসোর্ট। এই রিসোর্টে বসে নিজের ব্যবসা শতগুণ বাড়ানোর ধান্দা করে এমপিরা। বিভিন্ন প্রজেক্টের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করে। সারারাত মদ, জুয়া আর নারীবাজি করে। এজন্য আমাদের দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বলে কিছু নেই। যাদের কোটি কোটি টাকা আছে তাদের পক্ষে বাজেট হলেই সকল সমস্যার সমাধান। এতে ধনীরা আরো ধনী হয়; তাদের ড্রাইভার একজন থেকে পাঁচজন হয়; বুয়া-আয়া-মালির সংখ্যাও বাড়ে সমান তালে।

বিএসটিআই হলো একটি অভিশাপ।

৬| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: খুবই ভালো বিষয়ে লিখেছেন; আমি মাঝে মাঝেই বিরক্ত হয়ে ভাবি, এত অভিযান চলে ভেজাল ধরার জন্য কিন্তু দুধে ভেজাল এটা সবাই জানে, অথচ এদের ধরা হয় না কেন! আপনি এটা নিয়ে চমৎকার ভাবে লিখেছেন।

এই বিএসটিআই দিয়ে আমাদের হবেটা কী? দুধের মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যে ভেজাল ধরতে পারে না যে মাথামোটা সরকারি সংস্থা এদের বাঁচিয়ে রেখে কি লাভ আমাদের? প্রতি মাসে পাবলিকের করের শত শত কোটি টাকা যে সংস্থার পেছেনে খরছ হয়, সেই পাবলিকের কাছে তাদের কোন দায় নেই কেন? সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কি এই দুর্নীতির আখড়া প্রতিষ্ঠানটিকে জবাবদিহির আওতায় আনতে ব্যর্থ? নাকি নিজেরাও জড়িত? মিল্ক ভিটার মতো সরকারি দুগ্ধ খামারের দুধে এন্টিবায়োটিক, শ্যাম্পু আর ডিটারজেন্ট থাকবে কেন? এগুলোর জবাব দিতে হবে

এই প্রশ্নগুলোর জবাব আমরা সবাই চাই, কিন্তু আমরা হচ্ছি সেই দুর্বল জনগণ, যাদের প্রশ্নের জবাব দেবার দায় কারো নেই। এটা মেনেই আমরা দিনযাপন করতে থাকি।

পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপা।
সর্ষের মাঝে ভূত থাকলে আপনি তাড়াবেন কেমনে? দুদক বাবাজি এতো কিছু দেখেন, অথচ দুধে ভেজালকারীদের চোখে পড়ে না! বিএসটিআইয়ের উপরে সাধারণ জনগণের আস্থা কখনো ছিলো না, এখনো নেই। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষও অলমোস্ট একই। সরকারের এতো দায় পড়েনি দুধের ভেজাল পরীক্ষা করার। তারা মহা পরাক্রমশালী। পাবলিককে তারা ভিক্ষা দিতে আরাম পায়। ইদানিং ক্ষমতায় যেতে পালিকের ভোটও দরকার পড়ে না।

এই প্রশ্নগুলোর জবাব দেওয়ার টেকা কারো নেই। দায়িত্বশীলরা প্রভুর মানসিকতায় বসে আছে।

৭| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: তিন নাম্বার মন্তব্যে পড়ে অনেক হাসলাম।
যাই হোক, ভবিষ্যতে গ্রামে চলে যাব নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করে খাব।

২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, হোসাইন ভাই।
তিন নাম্বার মন্তব্যটি আসলেই চমৎকার হয়েছে। তিনি জ্ঞানী মানুষ। এ বিষয়ে আগামী দিনগুলোতে হয়তো ভাবতে হবে। আমি ভাবছি ছাদ গাভী প্রকল্প চালু করতে। যাতে নিজেই নিজের পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত দুধ উৎপাদন করতে পারি।

৮| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তিন নং কমেন্ট পড়ে হাসবো না কাঁদবো বুঝলাম না...

পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ভাই। আপাতত কিছুক্ষণ হেঁসে নিন। পরে মন খোলে কাঁদুন। হার্ট ভালো থাকবে। লেখাটি পড়েছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। প্রফাইল পিক তো দারুণ হয়েছে।

৯| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দেশের মানুষ আর কি খাবে !!

দেশটাই যে ভেজালের আখড়া !!!

২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
হ্যা, পুরো দেশটাই ভেজালময়!!

১০| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
দেখার কেউ নেই
মৌনার কেউ নেই
বলার কেউ নেই ...

আজকের খবরটি দেখেই পিত্তি জ্বলে গেল। সেই সো কল্ড বিএসটিআইর পোষ্য সনদকে ভিত্তি ধরে আমাদের মান্যবর মন্ত্রী মহোদয় বললেন -
মিল্কভিটা সুস্বাদু দুধ, ঢাবি শিক্ষকদের রিপোর্ট মিথ্যা: সমবায় প্রতিমন্ত্রী
স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, আমাদানিকৃত গুঁড়া দুধের ওপর ৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। আমি মনে করি এটি একটি সময়োপোযোগী পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপের ফলে মিল্কভিটা, তার যে দুধের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার সেটি বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন গত পরশু দিন বাংলাদেশের কিছু অসৎ ব্যবসায়ী ঢাকা ইউনিভার্সিটির একটি টেস্ট রিপোর্ট দিয়ে বলছে, মিল্কভিটাতে আর্সেনিক আছে। মিল্কভিটা দুধের মধ্যে না-কি ফরমালিন আছে। এটি একটি সর্বস্ব মিথ্যা কথা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষকদের একটি গবেষণার কথা সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পেয়েছেন।
তবে বাজারে থাকা ১৪টি ব্র্যান্ডের ১৮টি পাস্তুরিত/ইউএইচটি দুধ পরীক্ষা করে আশঙ্কাজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে ২৫ জুন হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে গতকাল বিএসটিআই থেকে রিপোর্ট দেখেছি সেখানে কোনো ফরমালিনের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে যত টেস্ট করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে মিল্কভিটা দুধ হচ্ছে পরিপূর্ণ, উপযুক্ত এবং সুস্বাদু দুধ। এর বিপরীতে কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। আমরা এ বিষয়টি আপনার মাধ্যমে, এই সংসদের মাধ্যমে জনগণকে নিশ্চিত করতে চাই। এখন পর্যন্ত যে সমস্ত আমদানিকৃত দুধ বাজারজাতকরণ করা হচ্ছে তার সব ক্ষেত্রে মিল্কভিটা অনেক ক্ষেত্রে ভালো। অনেক ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য এবং পুষ্টিকর।

আজ থেকে উনাকে মিল্কভিটা মন্ত্রী বলা যেতেই পারে!!!!!!!

এখন বলুন কোথায় যাবেন ভায়া?
একজন মন্ত্রী পদাধিকারী যখন একটি কোম্পানীর হয়ে নিলর্জ্ব সাফাই গায় একটা বিশ্ববিদ্যারয়ের রিপোর্টকে ভুয়া বলে আমজনতা আর কার কাছে যাবে ????

২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, গুরু। চমৎকার এ রিপোর্টটি শেয়ার করার জন্য। এদেশে এখন মিনিস্টার হতে লাগে মাত্র তিনটি যোগ্যতা। আর তা হলো, (১) চাটুকারিতা (২) গলাবাজি (৩) দলীয় প্রধানের আত্মীয়/ সুনজর। এই বলদ মিনিস্টারকে এখনই বহিষ্কার করা উচিৎ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা রিপোর্ট ভুল হলে এই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিন। এই মুর্খ জানে না একটি গবেষণা রিপোর্টকে মিথ্যা প্রমাণ করতে আরেকটি গবেষণার দরকার হয়। এর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি/সমমান নেই বলেই আমার বিশ্বাস।

ধিক্কার জানাই।

১১| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই আপনাকে ব্লগে নিয়মিত পাই না কেন??
খুব মিস করি আপনাকে।

২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় রাজিব ভাই।
আমিও আপনাকে খুব মিস করি। ব্যস্থতা বেড়ে যাওয়ায় ব্লগে আগের মতো আসতে পারি না। তবে আপনার লেখাগুলো অফলাইনে পড়া হয়, মন্তব্য অনেক সময় করা হয় না। চেষ্টা করবো আরো সময় দিতে।

১২| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন।
খাদ্য নিয়ে যারা এরকম ছিমি মিনি খেলছে তাদের কঠিন বিচার হওয়া উচিত।

২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
এ বিষয়ে গত কয়েক বছর থেকে অনেক লেখালেখি হচ্ছে কিন্তু কোন প্রতিকার হয়নি। সরকার সবকিছু দেখেও রোবটের মতো বসে আছে। নিরাপদ খাদ্য জনগণের মৌলিক অধিকার। তা নিশ্চিত করতে সরকার দায়বদ্ধ।

১৩| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে থেকে মানবতা নামক সুন্দর গুণটি ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। আফসোস।

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় সাজ্জাদ ভাই।
এদেশের ব্যবসায়ী/রাজনৈতিক নেতা/সরকারি কর্মচারীরা হলেন এদেশের মালিক। ভোটাররা হলেন তাদের গোলাম। এই গোলামদের যে যেমন পারে শোষণ করছে, তাদের রক্ত চুষছে। ব্যবাসায় মুনাফাটাই সবকিছু; মানবিকতায় কোন লাভ নেই।

১৪| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,




তীব্র প্রতিবাদী লেখা। বিএসটিআই এর নিজেরই তো মানের ঠিক নেই, সে আবার অন্যের মান ঠিক করবে কি!
আর আমরা হলুম সুন্দর- সুন্দরীদের নিয়ে করা ‌এ্যাডাসক্ত (এ্যাড আসক্ত) আহাম্মক পাবলিক। ঐসব এ্যাডের আফিম খেয়েই আমরা বুঁদ!
দুধ-তেল-ঘি-মসলা-দধি ইত্যাদির চেহারা দেখে আর খেয়েও আমরা কেন বুঝতে চাইনে , মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের মুনাফা লোটার জন্যে খাদ্যবস্তুতে ভেজাল আর ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো একটি নৈমত্যিক ব্যাপার? এদেশের সব কিছুতেই তো ক্ষতিকারক ভেজাল, এটা জেনেও আমরা খাদ্যদ্রব্যের বেলায় অসচেতন কেন যা আমাদের জীবন সংহারের কারন ?

এই ভেজাল তো প্রশাসনের সিঁড়ি থেকে ছাদের চিলেকোঠা পর্যন্ত। জবাব চাইবেন কার কাছে? চাইলেই তো "বিদ্রোহী ভৃগু" মন্তব্যে উল্লেখ করার মতো ওয়াজ শুনতে হবে!!!!!!!!!!!

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস।
আসলে এ বিষয়ে গত কিছুদিন থেকে খুব মনঃপীড়ায় ভুগছি। দুধ নিয়ে এই মহা কেলেঙ্কারি দেখে সহ্য হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত বিবেকের তাড়নায় এই প্রতিবাদ। জানি এসব ব্লগ লেখায় কিছু হবে না; যারা দেখার তাদের চোখে পড়বে না। তবুও লিখলাম। কারণ, আমাদের প্রতিবাদের একমাত্র ভাষা হলো কলম।

মানুষের সামাজিক আর রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা না থাকলে মানুষ আর মানুষ থাকে না। এদেশের ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফালোভী মনোভাব, সরকারের নিষ্কৃয়তা আর প্রশাসনের দুর্নীতি খাদ্যে ভেজালকারীদের পক্ষে গেছে। আর এই প্রতিবাদ কার কাছে করবেন?

১৫| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩০

বলেছেন: এই বিএসটিআই দিয়ে আমাদের হবেটা কী---
জনাব, জবাবটা চাইবেন কার কাছে?

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় কবি।
এই জবাবটা কার কাছে চাইবো নিজেই বুঝতে পারছি না!!

১৬| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

সুমন কর বলেছেন: বাঙালি মনে হয় এমন জাতি, "যে জাতি ভেজাল খেয়েও এতো দিন বেঁচে আছে" X(( X( ভালো লিখেছেন। +।

২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুমন ভাই।
বাঙালিরা বীরের জাতি; এজন্য খাদ্যে ভেজালে কিছু যায় আসে না!! যদিও ফার্মেসিগুলোর সামনে, ডাক্তারদের চেম্বারে আর হসপিটালের বারান্দায় গেলে এই বিষাক্ত খাদ্য ভক্ষণের কিছু নমুনা দেখা যায়। ভেজাল খাদ্য মানুষকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে দেয়। শরীরের কর্মক্ষমতা শেষ করে দেয়, অসুখ-বিসুখে জর্জরিত করে। এতে মানুষের জীবন হয়ে উঠে নরক সম। আমরা বেঁচে আছি ঠিকই, কিন্তু সুস্থ নয় মোটেও।

১৭| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:১৮

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: সোস্যালিজম: তোমার দুটো গরু থাকলে, একটা তোমার প্রতিবেশীকে দাও।
কমিউনিজম: তোমার দুটো গরু থাকলে, দুটো সরকারকে দাও, সরকার তোমাকে কিছু দুধ দিবে।
ফ্যাসিজম: তোমার দুটো গরু থাকলে, গরু দুটো রেখে তার দুধ সরকারকে দাও, এবং সরকার তার থেকে কিছু দুধ তোমার কাছে বিক্রি করবে।
নিউডিয়ালিজম: তোমার দুটো গরু থাকলে, একটা মেরে ফেল সুট করে, অন্যটার দুধ দুইয়ে ড্রেনে ফেলে দাও।
নাজিজম: তোমার দুটো গরু থাকলে, সরকার তোমাকে সুট করে, তোমার গরু দুটো দখল করবে।
ক্যাপিটেলিজম: তোমার দুটো গরু থাকলে, একটি বিক্রি করে, একটা ষাঁড় কেনো।

২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বাহ! চমৎকার বলেছেন রিদওয়ান ভাই।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে ক্যাপিটালিজমের সূত্র পড়ে। আর ফ্যাসিজম!!

১৮| ২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:০৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আসলেই কিছু কিছু কোম্পানি সংস্থা দুর্নীতি করেই যাচ্ছে করেই যাচ্ছে যেন দেখবার কেউ নেই! সবাই সরকারে টাকা খাচ্ছে কিন্তু সরকারে টাকা নিজের টাকা মনে করে নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে চলার সাহস দেখিয়েই যাচ্ছে। দিনদিন প্রতিবাদ করবার লোকেরাও হারিয়ে যাচ্ছে দুর্নীতির দম্ভ দেখে!!


সুন্দর আলোচনা করেছেন শ্রদ্ধেয় প্রিয়

২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, নয়ন ভাই।
এখন সরকারি চাকরিজীবীদের সুসময় চলছে। জবাবদিহিতার তেমন দরকার নেই। সরকার এদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার নৈতিকতা হারিয়ে ফেলেছে; কারণ ইলেকশনে এরা একজোট হয়ে রাতের অন্ধকারে ভোটের বাক্স ভরে দিয়েছে। আর সরকারও নিজেদের রাজা-বাদশা ভাবা শুরু করেছে। এজন্য পাবলিকের কাছে কোন দায়বদ্ধতা নেই।

১৯| ২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ২:২৭

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: বুঝতে পারছি না কোন ভাষায় ভিপারটিসি-দের সন্মান জানাই । এরকম একটা সুন্দর লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।

২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ভাই।
দুধে ভেজাল করে যে জাতি তারা আর যাই হোক মানুষের কাতারে পড়ে না। এ বিষয়ে পাবলিকদের আরো সোচ্চার হতে হবে। সরকারকে বাধ্যতামূলক দুধে ভেজাল রোধ করতে হবে। সরকার জনগনের সেবক; প্রভূ নয়।

২০| ২৮ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

রাকু হাসান বলেছেন:

বিবেকের তাড়না থেকে হোক বা নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই হোক । লেখার বিষয়বস্তুটি ভালো লাগছে । আরও আগেই আমাদের লেখার উচিত ছিল।গণমাধ্যমে দু একটা রিপোর্টের মাধ্যমে আমরা কিছু জানতে পারলেই ,ওরা পার হয়ে যাচ্ছে । আইনের ফাক গলে । যাদের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল ,তারা সত্যিই আবার মান সম্মত পণ্য উৎপাদন করে বিএসটিআইয়ের কাছে গেছে । কেউ কেউ স্বীকৃতিও পাচ্ছে । কিন্তু কোম্পানিগুলো কিন্তু কিছুদিন পর সেই আগের অবস্থানে চলে যাবে । ওদের দেখাশোনা করার মতো এত সময় বিএসটিআইয়ের কই ? পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কেমন আছেন, রাকু হাসান ভাই?
আশা করি, ভালো আছেন। এ বিষয়টি নিয়ে গত কিছুদিন থেকে খুব মনোকষ্টে ভূগছি। নিজের অসহায়ত্ব সহ্য করতে না পেরে এ বিষয়ে লিখলাম। এ বিষয়ে মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার দরকার আছে। সরকার নিজ দায়িত্বে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।

যেখানে বিএসটিআই আর স্বয়ং মিনিস্টার এসব জালিয়াতি করা কোকোম্পানির দালালি করছে সেখানে আমরা কি করতে পারি? এদেশের ভোক্তা অধিকার, আইনের শাসন আর জবাবদিহিতা বলতে কিছু নেই। টাকা আর পেশির জোর থাকাটাই আসল কথা।

২১| ২৮ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: একরাতে সকল গরু ছাগল মহিষ নিধন করে মাটি চাপা দিলে কি সমস্যা সমাধান হবে?

২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরু,
কেমন আছেন? বিদেশ ভ্রমণ ভালোই হয়েছে আশা করি। একরাতে গরু ছাগল সব মারলে সমস্যার সমাধান হবে না নিশ্চিত; এরা ডিটারজেন্ট আর শেমপু দিয়ে পরদিন থেকে খাঁটি দুধ বানিয়ে ফেলবে। এজন্য সবচেয়ে ভালো হয় এসব ভেজালকারীদের একটি মাঠে জড়ো করে বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে। এতে নিশ্চিত কাজ হবে। কারণ, বাঙালিরা মৃত্যুকে ভীষণ ভয় পায়।

২২| ২৮ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গুরু,
আপনার লেখার মন্তব্য দিতে আস্ত একটি পোষ্ট দিতে হবে। আমি তার ব্যাবসাথা করছি। আপনি যা বোঝেন তা যোগ্য স্থানে বসা অযোগ্যলোকজন জানেনা, তাদের কিভাবে বোঝাবেন ?



২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ গুরু।
আমার লেখাটি পড়ে আপনি আস্ত একটি পোস্ট লিখবেন শুনে খুশি হলাম। এ বিষয়টি নিয়ে বেশি বেশি লিখতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। আমি মোটেও খুব ভালো বুঝি না; আপনার মতো গুরুজনেরা যা লিখেন তা থেকে শেখার চেষ্টা করি। আর যারা ভালো বুঝে, যাদের ভালো কিছু করার ক্ষমতা আছে তারা কখনো দায়িত্ব পায় না। দেশটা চলছে সমাজের বখাটে, চুর, খুনি আর চাটুকারদের তত্বাবধানে।

২৩| ২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২২

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন ।বাস্তব ।
শুভকামনা

২৮ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, দিদি।
আশা করি, ভালো আছেন। এ বিষয়ে আরো লেখালেখি দরকার। এতে সাধারন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে। যদিও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু আমাদের দেশে সরকার খুব উদাসীন। পাবলিক মরলে কি আর বাঁচলে কী? নেই কোন দায়বদ্ধতা। এজন্য নিজেদেরকেই সচেতন হতে হবে।

২৪| ২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সেদিন পত্রিকায় দেখলাম, ফেবিকল, মোম আর পাম ওয়েল দিয়ে ঘি বানানো হচ্ছে।
এত এত ভেজাল খেয়ে বাংলাদেশের মানুষ বেঁচে আছে কিভাবে এটাই একটা মিরাকল !

২৮ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় লেখক।
এই রিপোর্ট আমিও পড়েছি। এজন্য এখন আর ঘি কিনি না। ফেবিকল, মোম আর পামওয়েল দিয়ে যে জাতি ঘি বানাতে পারে তাদের প্রতিভার প্রশংসা করতেই হয়! এজন্য রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, "সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি।"

২৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জবাবদিহীতা থাকা উচিৎ। সব খাবারে ভেজাল থাকলে মানুষ সুস্থ থাকবে কী করে। সুস্থতা মৌলিক দাবী ও চাহিদা। বাজেট মানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। এ থেকে আমাদের কি পরিত্রাণ নেই । দারুন একটা বিষয়ের উপর পোস্ট করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় কবি।
দুধের মতো অত্যাবশ্যকীয় খাবারে সরকার-সমাজ-ব্যবসায়ী সবার আরো সচেতন হওয়া জরুরী। ব্যবসায়ীদের বুঝতে হবে ব্যবসার উদ্দেশ্য শুধু টাকার মেশিন ক্রয় করা বুঝায় না। এতে নীতি-নৈতিকতার বিষয়ও জড়িত। এছাড়া যারা এসব জালিয়াতির সাথে জড়িত তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

২৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:১৯

শ্রেষ্ঠ অফিসার বলেছেন: দুধ নিয়ে কেলেঙ্কারি;-- কিসের দুধ, কার দুধ ?


শিরোনামে ভুল ------হায় লেখক হায়

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
কার দুধ?
কিসের দুধ?
কী দুধ?
এগুলো তো পাঠকের আবিষ্কার করার কথা!! আমি জাস্ট লিখলাম।

ধন্যবাদ, ভাই।

২৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে পোষ্ট দেয়ার জন্য ।মুল্যবান পোষ্ট টি দেখতে বিলম্ব হয়ে গেল ।
বিষয়টা এখন হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে । বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হওয়া পাস্তুরিত তরল দুধের নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিক ও সীসার মত ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যাওয়ায় ক্রেতারাও শঙ্কায় পড়েছেন। অনেকেই বাজার থেকে দুধ কেনা ছেড়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার শঙ্কিত দুধ দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন খাবারের মান নিয়েও। দুধে ক্ষতিকর উপাদান থাকার খবর পাওয়ার পর থেকে মিষ্টি বা পনিরের মত দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার ব্যাপারেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেননা এখন অনেকেই ।

মাঝে মাঝে মিষ্টি খেতাম এখন বুজি তাও গেল । আমরা যেমন তেমন. কচি বাচ্চাদের কি হবে সেটা ভাবতে গেলে ভীষন কষ্ট লাগে । সকলেই এই মরনঘাতী ভেজাল থেকে বিপদ মুক্ত থাকুক এ কামনাই করি ।

শুভেচ্ছা রইল

১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ,
দেরীতে হলেও আমার ব্লগে আপনার আগমন এবং মনোযোগ দিয়ে পোস্ট পড়া আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। ব্লগে লগইন করার পর থেকেই আপনার নাম শুনতাম। তখন সম্ভবত ব্লগে সাময়িক বিরতি দিয়েছিলেন। নামটি সার্চ করে বেশ কিছু লেখা পড়লাম। ব্লগে গুণী মানুষজন লিখেন, তাদের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ভাবনাগুলো শেয়ার করেন তা আপনার পোস্ট পড়ে অনুধাবন করেছিলাম।

আপনি আবারো ব্লগে সক্রিয় হয়েছেন দেখ খুব খুশি হয়েছি। ব্লগের এই দুর্দিনে আপনাকে খুব দরকার ছিল। আশা করি, সময়-সুযোগে নিয়মিত লিখবেন।

আপনার সর্বশেষ পোস্টে কমেন্টের প্রতি উত্তরে "পূর্বাচলে উচ্চবিত্তের ১৪২ তলার আকাশ চুম্বী স্বপ্ন :: পাশের গায়ে দরিত্র তাঁতী প্রজন্মের স্বপ্ন: একটি ছোট্ট তাঁত পল্লী" লিঙ্কটা না দিলে তাঁতীদের জীবন মান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক কিছুই অজানা থেকে যেত। চমৎকার একটি ফিচার। ব্লগের পাঠকরা নিশ্চয় এমন লেখা পড়ে উপকৃত হয়েছেন।

এবার আমার পোস্টের বিষয়ে আসি; ইংল্যান্ড ৮ বছরের জীবনে দুধ নিয়ে তাদের সচেতনতা দেখে অবাক হয়েছিলাম। দুধের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে ন্যুনতম জালিয়াতি করার সাহস কিংবা সুযোগ কারো নেই। দুধের ক্রয়মূল্য সাধারন মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখতে প্রয়োজনে সরকার ভর্তুকি দেয়। দুধ ছিড়ে যাওয়া কিংবা ফেটে যাওয়ার মতো কোন বিষয় তাদের দুধে নেই। আর আমরা মাথায় টুপি দিয়ে, হজ্জ করে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে দুধে পানি মেশাই, ভেজাল দেই।

ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

২৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৩

রাকু হাসান বলেছেন:

ভালো আছি শ্রদ্ধেয় ভাই। আপনি কেমন আছেন ?
পোস্ট নিয়ে আরও কিছু বলি যেহেতু লিংক ধরে এখানে পাঠক আসবেন ,মন্তব্যগুলোও যেহেতু দেখবেন । জনসচেতনতার জন্যই । দুধে বনস্পতি উপাদান ব্যবহার করা হয় । এসব দুধে খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব ফেলে । হার্ট আর্ট্রাক ,স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাবে । সবচেয়ে ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে শিশুরা । আমরা জন্মের পরই আমরা তাঁদের কিডনি,ব্রেইনে,রক্তে ক্যামিক্যাল প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছি এসব উঠতি প্রজন্ম থেকে আমরা কিভাবে উর্বর মাথার কাজ আশা করতে পারি ? সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করার দরকার । মৌসুমি ,লোক দেখানো অভিযান বন্ধ করে গোঁড়ায় কাজ করতে হবে ।

জনসচেতনতার জন্য নিচের অংশটি কপি মন্তব্য করলাম ।
জেনে নিন খালি চোখে ভেজাল দুধ চেনার বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি।

পরীক্ষা ১: দুধকে পরিমাণে বাড়াতে একদল কুচক্রি আজকাল দুধে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে বনস্পতি বা ডালডা মিশিয়ে থাকেন। বেশি মাত্রায় ডালডা বা বনস্পতি জাতীয় উপাদান আমাদের শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, ডলডায় উপস্থিত ট্রান্স ফ্যাটের কারণে ব্রেস্ট এবং ইন্টেস্টাইনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। দুধে ডালডা বা ঐ জাতীয় কোনও উপাদান মেশানো আছে কি-না তা বুঝার সহজ উপায় হচ্ছে, ১ চামচ দুধ নিয়ে তাতে ২ চামচ হাইড্রোক্লরিক অ্যাসিড এবং ১ চামচ চিনি মেশান। কিছু সময় পরে যদি দেখেন মিশ্রনটি লাল রঙের হয়ে গেছে তাহলে বুঝবেন ঐ দুধে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ডালডা মেশানো আছে।

পরীক্ষা ২: দুধকে অনেকক্ষণ তাজা রাখতে অনেকেই এতে ফরমালিন নামে একটি উপাদান মিশিয়ে থাকেন। ফরমালিনের প্রভাবে চোখ থেকে জল পরা, গলায় এবং নাকে জ্বালা করা, কাশি, মাথা ঘোরা, ত্বকে মারাত্মত জ্বালা ভাব প্রভৃতি। এক্ষেত্রে মাত্র ১০ এম এল দুধে ২-৩ চামচ সালফিউরিক অ্যাসিড মিশিয়ে নিন। কিছু সময় পরে যদি দেখেন মিশ্রনটির উপরের দিকে নীল রঙের আংঠির মতো গোলাকার অবয়ব তৈরি হয়েছে তাহলে সেই দুধ একেবারেই খাওয়া চলবে না।

পরীক্ষা ৩: পরিমাণ মতো দুধ একটা বাটিতে নিয়ে অল্প আঁচে কম করে ২-৩ ঘন্টা ধীরে ধীরে ফোটাতে থাকুন। নিদির্ষ্ট সময়ের পর দুধটা আর তরল থাকবে না। সেটা খোয়া ক্ষীরে পরিণত হয়েছে। তখন যদি দেখেন ক্ষীরটা খুব শক্ত হয়ে গেছে, তাহলে বুঝবেন দুধটা ভেজাল ছিল।

পরীক্ষা ৪: দুধে অনেকে নানা ধরনের স্টার্চও মিশিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে ৫ এম এল দুধ নিয়ে তাতে ২ চামচ লবণ ফেলে দেখুন দুধটা নীল রঙের হয়ে যাচ্ছে কি-না। যদি দেখেন এমনটা হচ্ছে, তাহলে মনে কোনও সন্দেহ রাখবেন যে ঐ দুধটা ভেজাল।

পরীক্ষা ৫: আজকাল দুধে নানা ধরনের কেমিকেল, এমনকী সাবান মিশিয়েও দুধকে ঘন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এমন দুধ ফোটালেই হালকা হলুদ বর্ণের হয়ে যায়। এবার থেকে তাই দুধ ফোটানোর সময় যদি দেখেন দুধের সাদা ভাব ধীরে ধীরে বদলে ফ্যাকাসে হলুদ রঙের হয়ে গেছে তাহলে ভুলেও সেটি মুখে তুলবেন না।

পরীক্ষা ৬: দুধের পরিমাণ বাড়াতে বেশিরভাগই তাতে ইউরিয়া মিশিয়ে থাকেন। এক চামচ দুধের সঙ্গে এক চামচ সোয়াবিন বা অরহর ডালের গুঁড়ো মিশিয়ে মিশ্রনটিকে ভাল ভাবে নারাতে থাকুন। ৫ মিনিট পরে তাতে লিটমাস কাগজ চুবিয়ে ৩০ সেকেন্ড পর যদি দেখেন মিশ্রনটি লাল থেকে নীল হয়ে যাচ্ছে। তাহলে বুঝবেন ঐ দুধে ইউরিয়া মেশানো রয়েছে।

পরীক্ষা ৭: দুধে পানি মেশানো তো কোন কাল থেকে হয়ে আসছে। আসলে পানি শরীরের পক্ষে কোন ক্ষতিকর নয়। কিন্তু তারপরও দুধে পানি মেশানো হয়েছে কি-না তা পারীক্ষা করে দেখতে পারেন। এক্ষেত্রে হাতের উপরে এক ড্রপ দুধ ফেলার পর যদি দেখেন দুধের ফোঁটাটা পেছনে রেখা তৈরি করে গড়িয়ে পরে যাচ্ছে, তাহলে বুঝবেন সেই দুধে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ পানি মেশানো হয়েছে।

নিজের এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীরের কথা ভেবে দেরি না করে এখন থেকেই অনুসরণ করুন ভেজাল দুধ চেনার সহজ পদ্ধতিগুলো।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় রাকু হাসান ভাই
দুধে বনস্পতি উপাদান ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীরে নানান রোগ ব্যাধি বাসা বাধে। এ থেকে পরিত্রাণে কোন উপায় আছে বলে মনে হয় না। এজন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে, সরকার ও খামার ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল হতে হবে। আমাদের অতি লোভী মানসিকতা আর মানুষকে ঠকানোর সহজাত ভাবনাগুলো আমাদের রক্তের শিরায় শিরায় বহমান। এগুলো থেকে পরিশুদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই।

খালি চোখে ভেজাল দুধ চেনার উপায়গুলো পড়ে খুব উপকৃত হয়েছি। ভাল থাকুন আর নিয়মিত লিখুন। মিস করি আপনাকে।

২৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই গুরুত্বপূর্ণ, জনসচেতনতামূলক পোস্টের জন্য আপনাকে বিলম্বে হলেও, ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমরা নিজেদের জন্য, বাচ্চাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য দুধপান করি। বয়স্কা নারীদের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণের জন্য দুধপান করাটা জরুরি। কিন্তু হায়, দুধের নামে আমরা এসব কী পান করছি? শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট? আল্লাহ এসব পাপীদেরকে হেদায়েত দান করুন!
জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, জনপ্রতিরোধ গড়তে হবে। কিন্তু কোথায় সে জন? চারিদিকে তো দেখি শুধু জানোয়ার!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.