নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদ্মা সেতু- "নির্মাণ ব্যয়, সময় ক্ষেপন আর টোল আদায় প্রসঙ্গে"

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৬


পদ্মা সেতু। কেউ কেউ বলে থাকেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশকে সম্পৃক্ত করার কাঙ্ক্ষিত এই প্রকল্প নিয়ে আমাদের আগ্রহের কোন কমতি নেই। আমরা চাই যথাসময়ে ব্রিজটা নির্মিত হোক। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে অবকাঠামো উন্নয়ন তথা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক হারে শিল্প কারখানা স্থাপিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এতে মংলা বন্দরে গতি আসবে, সুন্দরবনে পর্যটন শিল্প বিকশিত হবে। পদ্মা সেতু চায় না এমন একজনও মানুষ বাংলাদেশে খোঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়ন সহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে কোন কথা বলা যাবে না? যারা কোন যৌক্তিক প্রশ্ন তুলবে তারা কি পদ্মা সেতু বিরোধী?

না, তারা প্রকৃত দেশ প্রেমিক ও সচেতন বলেই আমি ধরে নেব। এতে স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতা বাড়বে। মানুষ সচেতন হবে। আমাদের চিন্তা চেতনার উন্নয়ন হবে। মস্তিষ্ক সক্রিয় হবে। নিজেদের দায়িত্ববোধ ও অধিকার নিয়ে ভাববে।

পদ্মা সেতুর টোল নির্ধারন বিষয়ে একটি খসড়া তালিকা পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম। সূত্রমতে, একটি মোটর সাইকেল পারাপার হতে চাইলে দিতে হবে ১০৫ টাকা; কার/জীপ ৭৫০ টাকা; ছোট বাস ২,০২৫ টাকা; বড় বাস ২,৩৭০ টাকা; ছোট ট্রাক ১,৬২০ টাকা; মাঝারি ট্রাক ২,১০০ টাকা এবং বড় ট্রাক ২,৭৭৫ টাকা এবং ট্রেইলার ৪,০০ টাকা। এছাড়া প্রস্তাবিত খসড়া তালিকায় বলা হয়েছে, টোলের এই হার প্রতি বছর ১০% হারে বৃদ্ধি পাবে। টোলের এই হিসাবের সাথে বঙ্গবন্ধু সেতুর তুলনা করলে তা প্রায় দ্বিগুণ এর সমান। পদ্মা সেতুর টোল দ্বিগুণ হলো কোন যুক্তিতে? এর কোন জবাব আছে? প্লীজ, আমাদের কাছে তা পরিষ্কার করুন।

পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে যে, ১.৬% জিডিপি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে তা তো 'টোল বাবা' খেয়ে ফেলবে। বিশেষজ্ঞরা কি এগুলো কখনো ভেবে দেখেছেন? নাকি এগুলো নিয়ে ভাবনার দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন?

খবরে প্রকাশ, পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় আবার বাড়ছে। বিদেশি ঠিকাদার ও পরামর্শক কাজের ভ্যাট ও আয়কর বৃদ্ধিজনিত কারণে এবার খরচ বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। চুক্তিমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত ধরা হয়েছে শতকরা ১.৪১ থেকে ৮.৩০ শতাংশ পর্যন্ত। সব মিলিয়ে ৬৮৫ কোটি ৮৯ লাখ ২ হাজার ১৯০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে। পদ্মা সেতু প্রকল্প কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সেতু বিভাগে।

২০০৭ সালে একনেকের বৈঠকে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। এরপর বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি ইত্যাদি ঘুরে বহুত জল ঘোলা করে প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখে। ২০১১ সালে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। মাত্র চার বছরের ব্যবধানে তা দ্বিগুণ হয়ে গেল অবিশ্বাস্য কারিশমায়! ২০১৬ সালে খরচ বাড়িয়ে ধরা হয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে আরো ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে বর্তমান ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয়; নিশ্চিতভাবে আরো বাড়বে প্রকল্প ব্যয়। প্রকল্পের মূল সেতুর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানী। নদীশাসন করছে আরেক চায়না কোম্পানী 'সিনোহাইড্রো করপোরেশন'। এ ছাড়া দেশী-বিদেশি বেশ কয়েকটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যুক্ত নির্মাণ কাজে। নতুন করে আয়কর ও ভ্যাট বাবদ বাড়ছে প্রায় পৌনে ৭শ কোটি টাকা। এ নিয়ে চতুর্থবার পদ্মা সেতুর ব্যয় বাড়ছে!

জানা গেছে, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজের সঙ্গে চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ২.৯৭ শতাংশ হারে খরচ বৃদ্ধির কারণে বর্তমান ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৪৯৩ কোটি ৮৮ লাখ ৪ হাজার ৬৯৯ টাকা ৬৩ টাকা। এতে খরচ বাড়ল ৩৬০ কোটি ৪৯ লাখ ২৮ হাজার ৬৯৯ টাকা।


নদীশাসন কাজের ঠিকাদার সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন এ প্রকল্পের সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে নদীশাসন কাজ। এ ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ ৪১ হাজার ৪৪৬ টাকার। বর্ধিত চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৯৭২ কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজার ৫২৮। ৩.০৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধির পরিমাণ ২৬৪ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার ৮১ টাকা। বিদেশি ঠিকাদারের ক্ষেত্রে ভ্যাট ও আয়কর ১০.৫০ শতাংশের পরিবর্তে ১৪.৫০ শতাংশ ধরা হয়েছে। ঠিকাদারের বাইরে পরামর্শক বাবদ ভ্যাট ও আয়কর ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশ।

এ কারণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্সি সার্ভিসেস-কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তিমূল্য ছিল ৫৬২ কোটি ৪৪ লাখ ৫ হাজার ৫৭৩ টাকা। ৮.৩০ শতাংশ হারে বেড়ে এখন ধরা হচ্ছে ৬০৯ কোটি ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ টাকা। তার মানে ৪৬ কোটি ৭০ লাখ ৬৪ হাজার ৯১ টাকা বেড়েছে। বিদেশি আরেক পরামর্শক ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট কনসালটেন্সি (এমএসসি) রেনডেল লিমিটেড, ইউকে এর চুক্তিমূল্য ১৬৮ কোটি ৯৭ লাখ ৬৯ হাজার ৮৬০ টাকা। ৮.১৯ শতাংশ হারে বেড়েছে ১৩ কোটি ৮৪ লাখ ৪৭ হাজার ১৪১ টাকা। এতে বর্ধিত চুক্তিমূল্য ধরা হচ্ছে ১৮২ কোটি ৮২ লাখ ১৭ হাজার টাকা।

চুক্তি মতে, ২০২০ সালের মধ্যে ঠিকাদাররা প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। এতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো কমিটেড। এর ব্যত্যয় ঘটলে তার দায়ভারও তাদের। তাহলে সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারলে এসব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়ার কথা। অথচ তা না করে প্রকল্পের সময় ও খরছ বাড়িয়ে দিচ্ছে সরকার! এটা অবিশ্বাস্য। এই ক্ষতির দায়ভার আমাদের উপরে পড়বে কেন?

আর দেশী পরামর্শকের ক্ষেত্রে ভ্যাট ও আয়কর ২৫ ভাগের স্থলে ২৭ ভাগ ধরা হয়েছে। দেশী পরামর্শক কনসালটেন্সি সার্ভিসেস-ইএসডিও-আইএলআরপি অ্যান্ড আইআরএপির বর্তমান চুক্তিমূল্য ১৩ কোটি ১৫ লাখ ৯ হাজার ১৭৬ টাকা। ১.৪১ শতাংশ হারে এখন বেড়েছে ১৮ লাখ ৫৬ হাজার ৮৯ টাকা। বর্ধিত চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৫ টাকা। আরেক দেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কনসালটেন্সি সার্ভিসেস-ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের চুক্তিমূল্য ৬ কোটি ৩১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৪০ লাখ ৫৮ হাজার ৮২৩ টাকা। ১.৪৬ শতাংশ হিসাবে বেড়েছে ৯ লাখ ২৩ হাজার ৮৮ টাকা।

আচ্ছা, দেশী পরামর্শক এই বিশেষজ্ঞ কারা? এতো বড় বিশেষজ্ঞ প্যানেল থাকতে বিদেশ থেকে হাজার কোটি টাকা খরছ করে বিশেষজ্ঞ আনতে হচ্ছে কেন? উনারাই তো একটি পদ্মা সেতু সহজেই তৈরী করে দেওয়ার কথা। এতো বছরেও বুয়েট একজন পদ্মা সেতু বানাতে সক্ষম ইঞ্জিনিয়ার তৈরী করতে পারেনি? অবিশ্বাস্য! আর যদি উনারা নাই পারেন তাহলে পদ্মা সেতু বিশেষজ্ঞ হলেন কোন যুক্তিতে?

গত কিছুদিন আগে চালু হওয়া হংকং-জুহাই-ম্যাকাও ব্রিজ-কে বলা হচ্ছে মডার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এর আইকন। ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেনের এ ব্রিজটা ম্যাকাও এর সাথে হংকংকে সংযুক্ত করেছে। ১৮.৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত বিশ্বের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং এ প্রজেক্টকে আলোর মুখ দেখাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পৃথিবীর সেরা ইঞ্জিয়ারদের। ব্রিজটার অন্যতম বিশেষত্ব হলো এতে তিনটি টানেল আছে যা ক্যাবল দিয়ে সংযুক্ত; এসব টানেল দিয়ে মেইনল্যান্ড চায়নার বড় বড় মালবাহী জাহাজ পারাপার হয়। এছাড়া চারটি কৃত্রিম আইল্যান্ড তৈরী করে ব্রিজটাকে টেকসই করা হয়েছে। এসব বাড়তি সংযোজন ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার মাত্র ৯ বছর ২ মাস পর ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রিজটি চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়।


১৫০,৪০০ কোটি টাকায় নির্মিত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রিজটার নির্মাণ ব্যয়ের সাথে আমাদের পদ্মা সেতুর তুলনা করলে দেখা যায় ৬.১৫০ কিলোমিটার আয়তনের এ ব্রিজটা নির্মাণে সর্বোচ্চ ১৬,৮১৭ কোটি টাকা ব্যয় হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ! এর যৌক্তিক কোন কারণ আছে? দেশের একজন সাধারন নাগরিক হিসাবে তা জানার অধিকার আমাদের আছে। কারণ, এই টাকা আমাদের; নির্মাণ ব্যয় মেটাতে নেওয়া ঋণ আমাদের পকেটের টাকায় পরিশোধ করা হবে। আগামী ৩৫ বছর ব্রিজের দুই পাশে টোল বসিয়ে আমাদের পকেট কেটে এই টাকা উদ্ধার হবে। প্লীজ, লাগামহীন এই নির্মাণ ব্যয়ের যৌক্তিক কারণগুলো স্পষ্ট করে বলুন। ২০০৭ সালে পাশ হওয়া এ প্রজেক্টের ব্যয় মাত্র কয় বছরে তিনগুণ বাড়লো কোন যুক্তিতে? প্লীজ, একটু বলুন। আমরা তো ব্রিজ বিশেষজ্ঞ নই।

দ্বিগুণ হারে টোল আদায় করার আসল কারণ তাহলে এই! নির্মাণ ব্যয় প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুণ হওয়ার ফলে টোলও পাল্লা দিয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। যা আগামী ৩৫ বছর ব্রিজটা পারাপার হওয়া পাবলিক পরিশোধ করবেন বাধ্যতামূলক ভাবে। বিষয়টি এমন, "আপনি শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে আমার মাটির ঘরটি পাকা করে দিয়ে যাওয়ার সময় হাতে একটি বিল ধরিয়ে দিয়ে গেলেন। যাচাই করে দেখা গেলো এই ঘরটি নিজে তৈরী করলে অর্ধেক টাকায় করা যেত। তাহলে আপনার অতিরিক্ত খরছ দেখানোর ফলে আমি যে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলাম তার দায়ভার কার? এজন্য প্রতিবাদ করা যাবে না? নাকি আপনি ঘরটি বানিয়ে দিয়েছেন বলে বড় গলায় বলবেন, এতো আস্পর্ধা! অকৃতজ্ঞ ছোট লোক! আরাম আয়েশের জন্য ঘরটি তৈরী করে দিলাম অথচ এখন কমপ্লেন করছে? নিমকহারাম কোথাকার।"

জনাব, আমার ঘরটি মাগনা তৈরী করে দিলে এই কমপ্লেন করতাম না, কিন্তু গরীবের ঘাড়ে ৩৫ বছরের ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে যখন প্রস্থান করবেন তখন আমাকে বিলাপ করতেই হবে। এতে আপনি বেজার হলে কিংবা অপবাদ দিলে কিছুই করার নেই।

এবার মহাসড়কে আর ব্রিজের টোল প্রসঙ্গে কিছু কথা বলি। এমনও দেখা যায়, ছোট্ট ছোট্ট ব্রিজে দিনের পর দিন টোল আদায় হচ্ছে। কবে তা শেষ হবে তা কেউ জানে না। এর পেছনে যৌক্তিক কোন কারণ না থাকলেও চলছে তো চলছেই। এই কৌতুহল শুধু আমার না; এদেশের কোটি কোটি মানুষের। গত কয়েকদিন আগে একটি পত্রিকায় দেশের কয়েকটি ব্রিজ ও মহাসড়কে টোল বাণিজ্য নিয়ে রিপোর্ট হয়। জানা যায় এর সাথে সরকারের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর জড়িত; আর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে টেন্ডার হাতিয়ে নেওয়ার বাস্তবতা তো আছেই। জানা যায়, গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে ভৈরব সেতু, ঘোড়াশাল সেতু এবং কাঞ্চন ব্রিজের টেন্ডার দেওয়া হয়। রিপোর্ট মতে, গোপন এ টেন্ডারে প্রায় ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আর রাজনৈতিক দলের নেতারা!

পদ্মা সেতুর টোল আদায়েও কি হাজার কোটি টাকার টেন্ডারবাজি হয়েছে কিংবা হবে? যদি হয়ে থাকে তাহলে এর সাথে কারা জড়িত? টোল আদায়ের এই অবিশ্বাস্য হার কে নির্ধারণ করেছে? প্লীজ, একটু খোলাসা করুন। জানতে বড় ইচ্ছে হয়। হাজার হোক, ব্রিজটা তো আমাদের টাকায় বানাইছেন। মালিকের কাছে জবাবদিহি করতে হয়; এটাই নিয়ম।


তথ্যসূত্র- [লেখায় সংযুক্ত করা আছে]

ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



তবে একটি বিষয় খুব ভাল লেগেছে এই সেতু নির্মাণ প্রতিষ্টানের। যখন সেতুর কাজ ২০% ও হয় নাই তখন দেখি টোল প্লাজা ১০০% কমপ্লিট!!!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রথম কমেন্টে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো শাহিন ভাই। সেতুর কাজ ২০% শেষ হওয়ার আগেই টোল প্লাজার কাজ শেষ! ভাবা যায়? টোল আদায়কারীদের ঘুম মনে হয় হারাম হয়ে গেছে। মাথায় একটাই ভাবনা "কবে গাড়ি চলবে আর পকেট ভারী হবে"। কমপ্লিট শপিং! প্লাজা আর বেশিদিন এতিম থাকতে হবে না। গাড়ি-সাইকেলে ভরে উঠবে সংসার অচিরেই!!

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল পোষ্ট! তবে সন্দেহ হচ্ছে তথ্য গুলিতে, কারণ গোড়াতেই সমস্যা রেখেছেন। আপনি লিখেছেন, "পদ্মা সেতু চায় না এমন একজনও মানুষ বাংলাদেশে খোঁজে পাওয়া যাবে না।" এটা খুব সম্ভবত আপনার অজ্ঞতার কারণে লিখেছেন। খোদ দক্ষিনাঞ্চলের যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ সব আশেপাশের এলাকার লোক শুধু মনে প্রাণে পদ্মা সেতু না হোক এটাই চায় নি; বরং আমার নিজের দেখা গত ২৫ বছরে তারা পত্রিকা থেকে শুরু করে সব রকম মিডিয়, সাহিত্য এমনকি রাজনৈতিক এজেন্ডাতেও পদ্মা সেতু না হোক সে বিষয়েই চেষ্টা চালিয়েছে। এটা এমন একটা বিষয় যে বারেবারে পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনা পিছিয়েছে শুধুমাত্র এই বরং অংশের আপত্তির কারণে।

পরের হিসাব গুলায় আর কোন তালগোল আছে কিনা কে জানে!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকে। "পদ্মা সেতু চায় না এমন একজনও মানুষ বাংলাদেশে খোঁজে পাওয়া যাবে না"- এখানে আমি বোধসম্পন্ন মানুষের কথা বলেছি। যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করছেন তারা না বুঝে করছেন। দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কিংবা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। একটি ঘটনার কথা বলি, গত দুই বছরে আমাদের গ্রামের অবস্থা সম্পন্ন দেশে-বিদেশে বসবাসকারী মানুষ পকেটের কয়েক লক্ষ টাকা খরছ করে একটি রাস্তা পাকা করে দিলেন। কিন্তু রাস্তা বাস্তবায়ন করার সময় দেখা গেলো কোন কারণ ছাড়াই কিছু মানুষ পেছনে লাগলো! রাস্তা করতে দেবেই না!! এই হলো আমাদের বাস্তবতা।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পদ্মা সেতু বংগবন্ধু সেতুর চেয়ে দৈর্ঘে অনেক বেশী প্রায় দেড়গুন। টোল তো বেশী হবেই।

আমেরিকার বেশিরভাগ সেতু এক্সপ্রেসওয়ে ও হাইওয়েতে টোল দিতে হয় মাইল প্রতি। দুবাইতে সবচেয়ে উচ্চহারে টোল দিতে হয়।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ হাসান ভাই। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার আর বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য ৪.৮০ কিলোমিটার। অতএব, দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। আর আমেরিকা, দুবাইয়ের মানুষের গড় আয় আমাদের চেয়ে অন্তত ৩০ গুণ বেশি। তারা দশগুণ বেশি টোল দিলেও সমস্যা নেই। আমাদের ৭০% মানুষ মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে না। তাদের দৈনিক ইনকাম ৫ ডলারেরও কম। একটি অতিদরিদ্র দেশের মানুষের জন্য টোলের এমন হার মোটেও যৌক্তিক নয়।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২৫

বলেছেন: পদ্মায় হাবুডুবু আর কত খাব?

অনেক তথ্যবহুল লেখা তবে আপনার ইলিশ বাবা পোস্টের মতো আমার কথা একটাই

কার কাছে জবাবদিহি চাইবেন???
উত্তর হলো --- সবুরে মেওয়া ফলে ( বিধি কি আছে উপায়,, উপায় বলো না)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় কবি;
এসব বিষয়ে অনেকেই লিখতে বিব্রত বোধ করেন। কারণ দলকানা আর চাটুকার বেষ্টিত নির্বোধ কিছু মানুষ এগুলোর পেছনে রাজনীতি খোঁজেন। চেতনার দন্ড ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে বলে নিলাপ করেন। আমরা জবাবদিহি চাইবো? সে সুযোগ নেই। সবুর করতে হবে।

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,

বেশ তথ্যবহুল পরিশ্রমী পোস্ট । আপনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। অবকাঠামোর উন্নয়ন সর্বকালের সমাদৃত। কর্তৃপক্ষ টোল আদায় করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দরিদ্র দেশের জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার দিকে লক্ষ্য রেখে তার সিলিঙটা হওয়া উচিত।জনি না কোন ভাবে পোষ্টটি কর্তৃপক্ষের নজরে আসবে কিনা।

এমন একটি পোস্ট স্টিকের দাবী করছি।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, গুরুজি।
আমি চেষ্টা করেছি তথ্য আর যুক্তি দিয়ে বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে। উন্নয়ন আমরা সবাই চাই। কিন্তু অতিরিক্ত খরছ দেখিয়ে কোন পক্ষের পকেট ভারী করার উন্নয়ন আমরা চাই না। আমাদের অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অর্ধেকের বেশি। দুর্নীতি আর লুটপাটের ফলে এসব মানুষ সবচয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৬

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত। প্রশাসন সরকারকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর জন্য এই ধরনের প্রস্তাবনা দেয়।।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ। বাংলাদেশে অতি ধনী মানুষের সংখ্যা কত কয় বছরে কয়েক গুণ বেড়েছে। এই বাড়ার হার বিশ্বের সর্বোচ্চ। প্রশাসনের লোকজন দুর্নীতিতে খুব চৌকস। এরা মিনিস্টারদের পথ বাতলে দেয়, কিভাবে খরছ বাড়িয়ে প্রজেক্ট উপস্থাপন করতে হয় তা বুঝিয়ে দেয়।

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮

বিলুনী বলেছেন: গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়ের উপর লিখেছেন । গুরুত্বপুর্ণ প্রকল্পটির অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা ও পোষ্ট দেয়া যেতেই পারে , সেটা নিয়ে নিয়ে লিখলে পদ্মা বিরোধি বলে অমুলক আশংকা আসছে কেন সেটা বোধে আসসেনা , এ রকম একটি পোষ্ট দিয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ পেতেই পারেন । তবে লেখাটিতে যেভাবে তথ্য সন্নিবেশ করে মতামত রাখা হয়েছে তা নিয়ে সচেতন পাঠক হিসাবে দুচারটি প্রাসঙ্গিগ কথা বলার অবকাশতো রয়েই যায় কি বলেন ।

পদ্মা সেতুর টোল সম্পর্কে আপনার দেয়া সুত্র ধরেই বলা যাক কথা, সেখানে যা বলা হয়েছে তার কিছু কথা নীচে তোলা ধরা হল ।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুটি চালু হলে ১০ মিনিটেই পদ্মা নদী পাড়ি দেওয়া সম্ভব বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে ফেরির মাধ্যমে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ঘাট হয়ে পদ্মা পার হয় যানবাহন। এ জন্য সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। সেতু চালু হলে সময় বাঁচলেও বাড়বে খরচ ( এখানে একটু ভুল হয়েছে কথাটা হবে সময় ও দুরত্ব কমার কারণে একদিকে সময় ও খরচ কমবে ফলে সাস্রয়কৃত অর্থ হতে এই ভারী প্রকল্পের দায় মিটানোর জন্য পুর্বে ফেরীতে দেয়া টোলের থেকে টোল বেশি দিতে হতে পারে । কারণ বর্তমানে চলাচলরত ফেরির দেড়গুণ হারে টোল নির্ধারণের প্রস্তাব যাচ্ছে অর্থ বিভাগে। অবশ্য টোলের হার আরও কম হওয়ার কথা। প্রথমে আলোচনা ছিল ৪৫ বছরে সেতুর নির্মাণ খরচ পরিশোধ করা হবে। পরে ১০ বছর কমিয়ে ৩৫ বছর ধরা হয়। বার্ষিক যান চলাচলের গড় হিসাব পর্যালোচনা শেষে টোলের হার চিন্তা করা হচ্ছে।

আপনার দেয়া সুত্র হতেই দেখা যায় টোল হার কিরুপ হবে , তা হবে বর্তমান ঐ রুটে আড়াই ঘন্টার ঘোরপথে ফেরী পারাপারের জন্য এখন যে টোল দেয় তার দের গুণ ।ঐ সংবাদেই আবার বলা হয়েছে এটা চুড়ান্ত নয় এটা আরো কমতে পারে প্রকল্পের জন্য আহরিত ঋণ পরিশোধের সময় সীমা প্রস্তাবিত ৩৫ বছর থেকে বেড়ে ৪৫ বছর করা হলে । তাই কল্পিত খসড়া টোল যে দ্বিগুন তা কোথাও বলা হয়নি । এরকম তথ্য প্রদান শুধু বিভ্রান্তিকরই নয় বরং সামুর মত একটি প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন বলে গন্য হতে পারে । এ কারণে সামুর ভাবমুর্তী ক্ষুন্য হওয়া ছাড়াও এটার উপর সরকারী নিয়ন্ত্রনের যৌক্তিকতাকে জোরদার করা হতে পারে ।

একটি প্রকল্পের প্রাককলিত বিনিয়োগ ব্যয় নির্ধারন করা হয় চলতি বাজার দামে (Current price ) , এতে মুল্যস্ফিতিকে ধরা হয় না . ষে জন্য প্রায় সকল প্রকল্পের Time and cost over run কে বিবেচনায় নিয়ে একে রিভাইজ করা হয়, এটা প্রায় সকল উন্নয়ন প্রকল্পের বেলাতেই হয় , আলোচিত প্রকল্পটি একটি বড় অংকের প্রকল্প, তাই এর সাথে মুল্যস্ফিতেকে ধরলে অংকটা বড়ই দেখাবে । প্রকল্পের আওতাও বিভিন্ন আইটেমের প্রকিউরমেন্ট ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আমাদের দেশে বেশ জটিল একটি কাজ । প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহনের মত একটি অতি সহজ কাজেও বছরের পর বছর পেরিয়ে যায় বিভিন্ন জটিলতার কারণে, এর ফলে প্রকল্পের সার্বিক কাজের বাস্তবায়ন বছরের পর বছর পিছিয়ে যায়। আর সে কারণে প্রকল্পের অন্যান্য অংঙ্গের বাস্তবয়ন কাজ পিছিয়ে পরে , ফলে টাইম অভার রানের কারণে কষ্ট অভার রান ঘটে যায় । এ নিয়ে উচ্চ বাচ্য করার অবকাশ থাকলেও তার পিছনে যৌক্তিক কারণগুলি তুলে না দিয়ে একতরফা কথা বললে তা কেবল বিভ্রান্তি ছড়ায় । প্রকল্প ব্যয় কি কারণে বেড়ে গেছে ও কেন রিভা্‌ইজ করতে হয়েছে তার ব্যাখ্যা আপনার দেয়া সুত্রেই বিস্তারিত দেয়া আছে । একটু ভাল করে দেখলে সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে এমনতর ভাষায় ব্যখ্যা চাওয়ার প্রয়োজন হয়তোবা হতোনা ।

যাহোক, এটা জানা কথা যে, একটি প্রকল্পের রিভিসনের সময় এর বিভিন্ন দিক বিভিন্ন কমিটি ও বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে চুল চেরা বিশ্লেষণ করেই করা হয় , কারো কোন নির্দেশে বা চোখ রাঙ্‌নোতে প্রকল্পের ব্যয় অযৌতিকভাবে বাড়ানো যায়না । এমনটি হলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেশনা প্রতিষ্ঠান , অর্থনৈতিক সমিতি , সিপিডি সহ দেশের অন্য সকল সরকারী বেসরকারী গবেষনা প্রতিষ্টান তুলাধুনা করত সরকারকে। সঠিক তথ্য নির্ভর কথা বলার মত বিশেষজ্ঞের অভাব নেই দেশে এটা মানতেই হবে।

পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে যে ১.৬ ভাগ জিডিপি বাড়বে তা টোল বাবা খেয়ে ফেলবে , এটা দিয়ে কি বুঝাতে চাইছেন বুঝা গেল না । টোল বাবার টাকা যে সরকারী কোষাগারে যাবে সেটা ভুলে গেলে চলবে কিভাবে । টোলবাবা কারো বাবা নয় এটা একটি সরকারী ব্যবস্থা যা দেশের সকল সরকারের আমলেই চলে আসছে । একটি সরকারী ব্যবস্থাকে এভাবে হেয় করে মতামত রাখা কতটুকু শোভন । সমালোচনা ভাল তবে এমন করেই কি সমালোচনার জন্য সমালোচনা!! এতে যে সার্বিকভাবে ব্লগিং জগতটাই প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়ে পড়বে তা ভেবে দেখার অবকাশ আছে !!। পদ্মা সেতুকে ঘিরে কত কথা ও গুজবের কান্ড কির্তি এইতো কিছু দিন আগে ঘটে গেল দেশে, তার ফলাফল হয়েছে মর্মান্তিক , তাই এ বিষয়ে কথা বলতে হলে তথ্যের সঠিক বিশ্লেষনের উপর ভিত্তি করেই করতে হবে , অন্যথায় বিভ্রান্তি সৃস্টি হলে তার পরিনাম যে কত ভয়াবহ হয় তা কি আর বলতে ।

প্রকল্পের বিনিয়োগ ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে অনেক তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে লেখাটিতে । প্রকল্পের প্রাককলিত বিনিয়োগ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে দ্বিমত করার কিছু নেই । তবে আপনি যে সুত্রটি তথা প্রথম আলোর সংবাদ ভাষ্যের কথা উল্লেখ করেছেন সেখানে আরো কিছু কথা আছে যা বলা প্রয়োজন ছিল , যাহোক সে কথাগুলি নীচে তুলে দেয়া হল ।
সাধারণত ঠিকাদারেরা প্রথমে প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির দাবি করে। তা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হয়ে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে যায়। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় পরিকল্পনা কমিশন। এখন পর্যন্ত সময় ও ব্যয় কী পরিমাণ বাড়ানো হবে, এই আলোচনা সেতু বিভাগ পর্যন্তই আছে। পরিকল্পনা কমিশনে উঠবে ডিসেম্বরের আগে।
তাই সেখানে গিয়ে যে অবস্থা দাঁড়ায় সেটাই হবে প্রকল্পের রিভাইসড বিনিয়োগ ব্যয় , অন্য কোনটি নয় ।
আপনার দেয়া সুত্রে আরো সংবাদ আছে যা নিন্মরূপ
প্রকল্প সূত্র বলছে, বাজেটে ঠিকাদারের ভ্যাট ও আয়কর ৪ শতাংশ বেড়েছে। বিদেশি পরামর্শকদের ভ্যাট ও কর বেড়েছে ১০ শতাংশ। দেশীয় পরামর্শকদের ভ্যাট ও কর বেড়েছে ২ শতাংশ। এই তিন খাতে ভ্যাট ও কর বাবদ ব্যয় বৃদ্ধির পরিমাণ ৬৮৬ কোটি টাকা। চুক্তির অতিরিক্ত কাজ করার দাবিতে ইতিমধ্যে মূল সেতু ও নদীশাসনের ঠিকাদার প্রায় ১৬০ কোটি টাকার বাড়তি বিল দাবি করেছে। সেটা আরও বাড়তে পারে। জাজিরা প্রান্তে ফেরিঘাট সরাতে ২০০ কোটি টাকা লাগতে পারে।

আয়কর ও ভ্যট সংক্রান্ত জাতীয় পর্যায়ের বিষয়গুলি সেতু কতৃপক্ষ এককভাবে এড়াবে কি করে, দয়া করে জানাবেন কি । তাদেরকেতো জাতীয় বাজেটের সাথে তাদের প্রকল্প ব্যয়কে এডজাস্ট করতে হবে ,আপনি হলে কি করতেন , একটি প্রকল্পের জন্য জাতীয় বাজেটকে কি বৃদ্ধাঙ্গুষ্টী দেখাতেন?

যাহোক আপনার দেয়া সুত্র হতেই প্রকৃত চিত্রটি দেখা যাক :
প্রকল্পের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কয়েক শ উপকরণ (আইটেম) লাগবে। এখন পর্যন্ত কোনো উপকরণের দামে বড় পরিবর্তন হয়নি। এর মধ্যে ভ্যাট–কর ও বাড়তি কাজের কারণে গত এক বছরেই প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বেড়ে গেছে। সময় যত যাবে নতুন নতুন ব্যয় যুক্ত হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
সুত্র Click This Link
পদ্মা ব্রীজের সাথে হংকং জুহাই মেকাও ব্রীজ এর তুলনা করে তথ্য সুত্রের যে লিংক দিয়েছেন তা অনুসরন করে ( ভোর ৬.৪১ মিনিটে দেখা তার পরে এডিট করা হলে ভিন্ন রকম হতে পারে ) গিয়ে দেখা যায় Wikipedia does not have an article with this exact name এ কথা লিখা আছে । মনে হচ্ছে সুত্র দেয়ার সময় লিংকে গিয়ে দেখেন নাই । এরকম একটি জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ ও সেনসেটিভ প্রকল্পের বিষয়ে পোষ্ট দিতে হলে আরো একটু ভাল করে দেখতে হবে বৈকি !!! যাহোক প্রসঙ্গটির অবতারনা যেহেতু করেছেন সেহেতু প্রকৃত অবস্থাটি সঠিক তথ্য সুত্রের লিংক দিয়েই তুলে ধরা হলো নীচে , যে কেও গিয়ে দেখে আসতে পারবেন ।
Click This Link target='_blank' >The Hong Kong–Zhuhai–Macau Bridge (HZMB),
officially the Hong Kong–Zhuhai–Macao Bridge, is a 55-kilometre (34 mi) bridge–tunnel system consisting of a series of three cable-stayed bridges, an undersea tunnel, and four artificial islands. It is both the longest sea crossing and the longest open-sea fixed link on earth. The HZMB spans the Lingding and Jiuzhou channels, connecting Hong Kong, Macau, and Zhuhai—three major cities on the Pearl River Delta.
The HZMB was designed to last for 120 years and cost 127 billion yuan (US$18.8 billion) to build. The cost of constructing the Main Bridge was estimated at 51.1 billion yuan (US$7.56 billion) funded by bank loans and shared among the governments of mainland China, Hong Kong and Macau.

এখানে দেখা যায় মুল প্রকল্পটির প্রকল্প ব্যয় ছিল ৭.৫৬ বিলিয়ন ডলার যা পরবর্তীতে মাত্র সাত বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮.৮০ বিলিয়ন ডলারে । তার মানে প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে প্রায় আড়াইগুন গুণ বা ২৪৮ শতাংশ । পক্ষান্তরে ৬.৫১ কি মি পদ্মা ব্রীজটি ২০০৭ সালে একনেক ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে (আপনার লেখায় এটিকে বহুমুখী বলা হলেও এটা বহুমুখী ছিলনা ) অনুমোদন করেছিল। ২০০৭ সালের প্রকল্পটিতে রেললাইন ছিলনা । পরে এটাতে রেল লাইন যুক্ত করায় প্রকল্পের কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে এর ব্যয় বেড়ে যায় । ২০১১ সালে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকার প্রকল্প প্রস্তাবটি একনেকের অনুমোদন পায়। প্রকৃত অর্থে এটাকেই মুল প্রকল্প ও প্রকল্প ব্যয় হিসাবে গন্য করা হয় । যাহোক ২০১৬ সালে আবারো ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ালে এর মোট ব্যয় দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সবশেষ আরও ১৪শ কোটি টাকা বাড়ছে বলেও উল্লেখ করা হয় ।

এ প্রসঙ্গে আপনার দেয়া সুত্র হতে আরো জানা যায় যে সেতু বিভাগ মূল ডিপিপি’তে (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফরমা ) ১হাজার ৫৩০ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় প্রাক্কলত ছিলো ১ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। কিন্তু এখন মোট ভূমিঅধিগ্রহণ করতে হবে ২ হাজার ৬৯৮ হেক্টর। অতিরিক্ত জমি বাবদ মোট ব্যয় প্রয়োজন ২ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা।

আপনার দেয়া সুত্রে Click This Link উল্লেখিত ২০০৭ সনের মুল প্রকল্পে রেল লাইন অন্তর্ভুক্ত ছিলনা । বিবিধ জানা অজানা কারণে প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যাওয়ায় পরে এর সাথে রেল লাইন অন্তর্ভুক্ত করে ২০১১ সনে প্রণীত প্রকল্পের অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয় দাড়ায় ২০ হাজার ৫৭০কোটি ২০ লাখ টাকা (যা সেসময় কালের ডলার মুল্যমানে প্রায় ২.৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ( ১ ডলার = ৮১.৮০ টাকা ধরে ) । ২০১৬ সনে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্বির পরিমান দাঁড়ায় প্রায় ০.৪০ ভাগ ।অথচ সে সময়ে বিশ্ব ব্যাংকের মতে দেশে সার্বিক মুল্য স্ফিতির হার ছিল ১১% এর ও বেশী । তারপর এখনকার প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির পরিমান আপনার পোষ্টে ও উল্লেখিত সুত্রে দেখা যায় সব মিলিয়ে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকায় দাঁড়াবে যা বর্তমানে টাকার সাথে মার্কিন ডলার বিনিময় হারে ( ৮৪.৫৫ টাকা = ১ মার্কিন ডলার ) হবে প্রায় ৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার । যা ২০১১ সনের মোট প্রকল্প ব্যয় হতে ১.৪২ বা দেড় গুণেরো কিছু কম । অন্যদিকে এই ব্যয় বৃদ্ধির পরিমান আপনার লেখায় উল্লেখিত হংকং মেকাউ ব্লিজ হতে অর্ধেকেরোও কম । হংকং জুহাই মেকাউ ব্রীজটির মুল ব্যয় ছিল ৭.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা পরে প্রায় আড়াইগুণ বেড়ে দাড়িয়েছে ১৮.৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে , তার পরে সেটা করেছে তারা সম্পুর্ণ নিজস্ব প্রপুক্তিতে। সে তুলনায় পদ্মা ব্রিজ প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির পরিমান সেই প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি হার হতে অর্ধেকেরো কম যা অংকের হিসাবে প্রায় ১.৪২ গুণ মাত্র ।

তাই তথ্য কে সঠিকভাবে এনালাইসিস না করে জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ একটি প্রকল্পের বিষয়ে পাঠক তথা জনমনে বিরোপ ধারনা তৈরী করতে পারে তেমন একটি পোষ্ট দান কতটা যৌক্তিক সেটা ভাবার বিষয় বটে। তাই বলে ধরে নিবেননা যে সরকারকে অন্ধের মত সাপোর্ট করছি, এখানে শুধু তথ্যের সঠিক তথ্যগুলি তুলে ধরছি । সরকার খামখেয়ালী করে নয় ছয় করলে তাকে ঠেসে ধরতে কোন আপত্তি নেই, কোন অনিয়ম করলে দেশের সচেতন জনতার আদালতে তাকে দাঁড়াতেই হবে , তবে ভুল বাল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃস্টি করলে তার দায়ভাগ কে নিবে ।

লেখাটির শেষ দিকে থাকা কিছু তথ্যের যতার্থতা দেখতে গিয়ে আপনার দেয়া সুত্র অনুসরন করে প্রকৃত অবস্থা কিছুটা জানা গেল , সেগুলি নীচে দেয়া হল :
সরকারের সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুনে গাড়ি চলবে পদ্মা সেতু দিয়ে। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এ সেতুর নির্মাণ খরচ পরিশোধ করবে সেতু বিভাগ। সেতু দিয়ে চলাচল করা যানবাহন থেকে নেওয়া টোলের টাকা হবে নির্মাণ খরচ পরিশোধের উৎস। এ জন্য এখন পদ্মা সেতুর টোলের হার নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে।
২০২১-২২ অর্থবছর থেকে অর্থ বিভাগকে নির্মাণ খরচের টাকা পরিশোধ শুরু করবে সেতু বিভাগ। ৩৫ বছরের মধ্যে তা পরিশোধের কথা রয়েছে। সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, পদ্মা সেতুর টাকা ফেরতের জন্য সম্প্রতি অর্থ বিভাগের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ঋণের টাকা চুক্তি অনুযায়ী পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। কত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করবে তা চুক্তিতেই স্পষ্ট করা আছে।

জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর পর টোলের হার কী হবে এ নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। অর্থ বিভাগের সঙ্গে গত ২৯ আগস্ট সেতু কর্তৃপক্ষের চুক্তির পর বিষয়টি আরও গুরুত্ব পায়। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সরকার। ১ শতাংশ সুদহারে সুদসহ ঋণ পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ পরিশোধের শিডিউল অনুযায়ী প্রতি অর্থবছরে প্রায় সর্বনিম্ন ৮২৬ কোটি থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। এই টাকা আদায় করা হবে টোলের মাধ্যমে। নির্মাণকাজ শেষে গাড়ি চলাচলের ১৫ বছর পর ১০ শতাংশ বা যৌক্তিক হারে টোল বাড়বে বলে অর্থ বিভাগের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর মূল কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। সেতুটি চালু হলে জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করছে সরকার।


অসম্পুর্ণ ও অসংগতিপুর্ণ তথ্য পরিবেসনের কারণে আপনার লেখাটি হতে মানুষ কেমন বিভ্রান্ত হয় তার কিছু নমুনা দেখতে পাবেন নীচের একটি মন্তব্যে , সেখানে একজন বলেছেন প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র শতকরা ২০ ভাগ আর তাতেই টোল প্লাজা ১০০% কমপ্লিট । আপনার লেখাটি পাঠে সচেতনতা সৃস্টির কথা বলেছেন , দেখুন লেখা পাঠে কেমন সঠিক সচেতনতা আসছে, আমাদের মাঝে। ( মন্তব্যের কথাগুলি আপনার পোষ্টে থাকা সকাল ৮.৩০ মিনিট সময়কালে থাকা লেখার উপর ভিত্তি করে, এর পরে কোন রকম এডিট করে তথ্য পরিবর্তন করা হলে দায় আমার নয় ) ।

আবারো ধন্যবাদ আমাদেরকে সঠিক তথ্য জানার বিষয়ে সচেতন করার জন্য ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকে। সময় নিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য। আপনি মন্তব্যে অনেক বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছেন। টোল আদায় বিষয়ে বলি। আপনি বলেছেন, "৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুটি চালু হলে ১০ মিনিটেই পদ্মা নদী পাড়ি দেওয়া সম্ভব বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে ফেরির মাধ্যমে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ঘাট হয়ে পদ্মা পার হয় যানবাহন। এ জন্য সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।" এ বিষয়গুলো আপনি যেমন জানেন আমিও জানি। কিন্তু পদ্মা সেতু যেহেতু নিজস্ব অর্থায়নে করা হয়েছে সেহেতু এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগনের আর্থিক দিক বিবেচনায় এনে টোলের হার নির্ধারণ করা উচিৎ। বর্তমান হারটি মোটেও যৌক্তিক নয়।

আপনি বলেছেন, "একটি প্রকল্পের প্রাককলিত বিনিয়োগ ব্যয় নির্ধারন করা হয় চলতি বাজার দামে (Current price ) , এতে মুল্যস্ফিতিকে ধরা হয় না . ষে জন্য প্রায় সকল প্রকল্পের Time and cost over run কে বিবেচনায় নিয়ে একে রিভাইজ করা হয়, এটা প্রায় সকল উন্নয়ন প্রকল্পের বেলাতেই হয় , আলোচিত প্রকল্পটি একটি বড় অংকের প্রকল্প, তাই এর সাথে মুল্যস্ফিতেকে ধরলে অংকটা বড়ই দেখাবে ।"..... ভাই এসব প্রকল্প শুরু করার সময় এগুলো বিবেচনায় নিয়েই কাজটার সময় নির্ধারণ করা হয়। আন্তর্জাতিক যেসব কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করতে আসে তারা এগুলো বিবেচনায় নিয়য়েই আসে। এজন্য অযথা সময় ক্ষেপনের কোন কারণ নেই। আর দীর্ঘ প্রজেক্টে মূল্যল্যস্ফি কমন বিষয়। এটা বিবেচনায় নিয়েই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিডিং করে।

আপনি বলেছেন, "পদ্মা ব্রীজের সাথে হংকং জুহাই মেকাও ব্রীজ এর তুলনা করে তথ্য সুত্রের যে লিংক দিয়েছেন তা অনুসরন করে ( ভোর ৬.৪১ মিনিটে দেখা তার পরে এডিট করা হলে ভিন্ন রকম হতে পারে ) গিয়ে দেখা যায় Wikipedia does not have an article with this exact name এ কথা লিখা আছে । মনে হচ্ছে সুত্র দেয়ার সময় লিংকে গিয়ে দেখেন নাই । এরকম একটি জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ ও সেনসেটিভ প্রকল্পের বিষয়ে পোষ্ট দিতে হলে আরো একটু ভাল করে দেখতে হবে বৈকি!".......... ভাই আপনার কমেন্টের এই অংশ পড়ে অবাক হলাম। একটি লিঙ্ক ঠিকমতো কাজ করছে না, এটা তো হতেই পারে। এখানে মহাভারত অশুদ্ধ হলো কোথায়? ভাই ছেলেমানুষী বিষয় উপস্থাপন করে নিজেকে হালকা করছেন কেন? লিঙ্কটি শুদ্ধ করা পোস্ট দাতার দায়িত্ব আর আমি তাই করবো। প্লীজ, এসব শিশুতোষ কথা বলে নিজেকে ছোট করবেন না।

আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাংলাদেশের একটা প্রজেক্ট হবে আর সেখানে চোর চাট্টার দল সৎ থাকবে সেটা আশা করলে আপনাকে আমি দেশ বিরোধী(দেশের ভাও বুঝেন না অর্থে) ভাববো। শুধু সরকার বদল হোক। বালিশ, পর্দা-কেও ছাড়িয়ে যাবে এই পদ্মা সেতুর হরি লুটের খবর...

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকে। দুর্নীতি এদেশের সুযোগ সন্ধানীদের শিরায় শিরায় প্রবাহমান। তাই বলে একটি লিমিটও থাকবে না? একটি আইসিইউ পর্দা কিনার বিল যখন ৩৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেখানো হয় তখন এগুলোকে আর দুর্নীতি বলা যায় না; এগুলো হলো দেশ বিক্রি। একদিন হয়তো এই প্রকল্পের সাপ-বিচ্ছু বেরিয়ে আসবে।

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৯

বিলুনী বলেছেন: Hong Kong–Zhuhai–Macao Bridge, লিংকটি উপরে আসছেনা বিধায় এখানে নীচে দেয়া হল
https://en.wikipedia.org/wiki/Hong_Kong–Zhuhai–Macau_Bridge

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ভাই আপনার কমেন্টের "Click this link"-এ ক্লিক করে "হংকং-জুহাই-ম্যাকাও" ব্রিজের কোন তথ্য পেলাম না! আমি না হয় ভুল লিঙ্ক দিলাম, কিন্তু আপনার মতো বিজ্ঞ মানুষের তো ভুল হওয়ার কথা নয়। যাক, এটা বড় কোন তথ্য বিভ্রাট নয়!!

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: পদ্মা সেতু আমাদের খুব বেশি প্রয়োজন।
আমাদের পদ্মাসেতু দরকার। কত টাকা লাগবে বানাতে, কত দিন লাগবে এসব আমি জানতে চাই না।
ফেরী ঘাটে সীমাহীন দূর্ভোগ। দীর্ঘ লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা থাকা আর কত??

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, রাজীব ভাই।
আমাদের পদ্মাসেতু দরকার। এই বিরাট প্রকল্প দুর্নীতিমুক্ত হওয়াও দরকার। না হলে এই বাড়তি ব্যয়ভার আপনার-আমার উপর পড়বে। এই অতিরিক্ত টাকা টোলের মাধ্যমে আপনার পকেট থেকে চোরেরা নিয়ে যাবে। এজন্য এসব বিষয়ে কথা বলা দরকার। একটি দুর্ভোগ বন্ধ করার নামে আরেকটি প্রকল্পে হরিলুট মোটেও কাম্য নয়।

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সেতুর কাজই তো শেষ হয় নি
তার পর না টোল
আজিব

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপা। সেতুর কাজ শেষ হওয়ার দুই বছর আগেই টোলের বাদ্য শুরু হয়েছে। এগুলো হলো পাবলিকের পকেট কাটার অগ্রীম ধান্দা। টোলের এই খসড়া হার মোটেও যৌক্তিক নয়।

১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১২

কলাবাগান১ বলেছেন: আজিব!!! আশাই আছি সেতুর কাজ যাতে শেষ না হয়ে ভেংগে পড়ে তবেই শান্তি হবে উপরে আজিব বলে কমেন্ট করা ব্লগার।
....তখন আর টোল নেওয়ার প্রশ্ন ই উঠবে না

আর পোস্ট দাতা উনি এখনও সন্দিহান ১৯৭১ সনে শহীদের সংখ্যা নিয়ে ..উনাদের এজেন্ডা কি সেটা বুঝতে কারো অসুবিধা হয় না... যত বেশী প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় তত বেশী লাভ...। বিলুনি এর জবাবে প্লাস

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমি পোস্টে যা লিখেছি তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছি। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় লিঙ্ক সংযুক্ত করেছি। আমার কোন আলোচ্য বিষয়ে যে কারো দ্বিমত থাকতে পারে। এটাই হওয়ার কথা। এজন্য দরকার পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করা। কিন্তু আপনি কি তা করেছেন? একজন সিনিয়র ব্লগার হিসাবে আপনি তা না করে অযথা লেখকের পেছনে লাগলেন; এটা অসভ্যতা। আর পারলে নিজের গেয়ান থেকে একখান পোস্ট লিখে মতামত দিন; পেছনে লাগার অভ্যাস বাদ দিন।

আমার এই পোস্টের জন্য পদ্মার পিলার ভাঙবে না; ভাঙলে দুর্নীতির ফলাফল স্বরূপ ভাঙবে।

একটা গল্প বলি; এক কলা চাষী ছিলো। সে ভাবতো তার চেয়ে উন্নতমানের কলা পৃথিবীর কোথাও চাষ হয় না। তার এই বদ্ধমূল ধারণার পেছেন মূল কারণ ছিলো, লোকটি একজন পীর বাবার অন্ধভক্ত। তিনিই ভক্তকে এই বাণী শুনিয়েছিলেন। কিন্তু একটা সময় দেখা গেলো তার প্রতিবেশী অনেকেই তারচেয়ে উন্নতমানের কলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু লোকটি পীর বাবার কথায় অটল থাকার ফলে একটা সময় আম-ছালা দু'টি হারালো।

আপনি নেক্সট টাইমে অন্য কোন জমিনে কলার বাম্পার ফলন করুন। আমার পোস্ট থেকে একশো হাত দূরে থাকুন। এসব পোস্ট কোন দলকানার জন্য লেখা হয় না।

১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই পুরো সেতু নির্মান প্রকৃয়াটা লুটপাট আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। যেভাবে কিছুদিন পর পর প্রজেক্টের কস্ট বাড়ানো হচ্ছে, সেটাই আসলে বলে দিচ্ছে কিভাবে হরিলুট হচ্ছে এখানে। প্রজেক্ট মানেজমেন্টের কোন থিওরীর মধ্যেই এটা পরে না।

দেশীয় কন্সালটেন্ট এর নামে চলছে আরেক লুটপাট। প্রজেক্ট এ যদি বিদেশী কনসালটেন্ট থাকে তাহলে এদের কাজ কি? এখানকার টাকা কোথায় যাচ্ছে সেটা অনেকেই জানে কিন্তু মুক্ত প্লাটফর্ম এ সব কিছু বলা যায় না।

টোলের নামে চলবে দেশের লোকজনকে আরেক দফা শোষন। এই দুর্নীতি কত দিন ধরে চলবে সেটা একমাত্র আল্লাহ জানে।

দারুন একটা বিষয়ে লেখা দেবার জন্য আপ্নাকে অভিনন্দন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, নীল আকাশ ভাই।
২০০৭ সালে যে সেতুর বাজেট ছিল ১০ হাজার কোটি টাকা; মাত্র ৪ বছর পর ২০১১ সালে তা হয়ে গেলো দ্বিগুণ!! আর ২০১৮ সালে বেড়ে হলো তিনগুণ!! এগুলো কি দুর্নীতির আলামত নয়? আপনি তো বুয়েট পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার এ বিষয়গুলো আমার চেয়ে আপনি ভালো জানেন। আমি প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত আর লিঙ্ক দিয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। কারো বিরুদ্ধে কিছু লিখিনি। তবে দায়িত্বশীলরা এগুলো এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯

এমজেডএফ বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ পোস্টের জন্য আপনাকে এবং যুক্তিসঙ্গত মন্তব্যের জন্য বিলুনীকে ধন্যবাদ।

ব্লগার বিলুনী খুবই সুন্দরভাবে অনেক যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। তাই আর বেশি কিছু লিখতে হলো না। দেশের অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য খরচের টাকা সরকার ঋণ, ট্যাক্স বা টোল কোন না কোনভাবে জোগাড় করবে। ট্যাক্স বা টোল বাদ দিলাম, ঋণের টাকাও পরোক্ষভাবে রাজস্ব আয়ের টাকা দিয়েই শোধ করতে হবে। পদ্মা সেতুর খরচ যারা সেতু ব্যবহার করবে তাদের কাছ থেকেই আদায় করা যুক্তিসঙ্গত। টোল আপাত দৃষ্টিতে কিছুটা বেশি হয়েছে এটা ঠিক। বর্তমান ফেরি চার্জ, সময়, ভোগান্তি ইত্যাদিও চিন্তা করতে হবে। সেতু সম্পন্ন হতে আরো কমপক্ষে দুই - তিন বছর সময় লাগবে। তখনকার জন্য মনে হয় এটা খুব বেশি হবে না। দুর্নীতি ও লুঠপাট এটাতো আমাদের জাতীয় চরিত্র! দুর্নীতি ও লুঠপাটের ভয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করে দেবো - এটও ঠিক হবে না।

শুভেচ্ছা রইলো, ভালো থাকুন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপনাকে।
আমি চেষ্টা করেছি বিষয়টিকে তথ্য উপাত্ত আর যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করতে। শুধু গুণগান না করে এসব মেগা প্রজেক্টের দুর্বল দিক নিয়ে আলোচনা করার দরকার আছে। এতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো সতর্ক হবে, মানুষ জেনে সচেতন হবে, প্রতিবাদ করবে। ব্লগার 'বিলুনী' যুক্তি দিয়ে বেশ কিছু বিষয়ে আলোকপত করেছেন। এগুলো দরকার। এতে পোস্টে আলোচনার দুয়ার খোলে। আমি মনে করি, অতি দরিদ্র মানুষ এই টোল চার্জে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সেতুর নির্মাণ ব্যয় কম হলে টোলের হারও কম হতো।

১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: খরচটা বেশি হয়ে গেছে । আর দেশের অর্থায়নে নির্মিত ব্রীজে এত উচ্চহারে ট্যুল কেন দেয়া লাগবে। দুটো আসল্্ই এ সময়ের জিজ্ঞাসা। আর ব্রীজ নির্মানের সাইড ইফেক্ট থাকবে এটাই স্বাভাবিক। দেখা যাবে আপ স্ট্রীমে পনির উচ্চতা বেড়ে বন্যা হচে্ছ । আসলে বিশদ ভাবে ব্যাখ্যা আর উদাহরণ দিলে জিনিসটা ক্লিয়ার হবে। তবে এর প্রয়োজনীয়তা বেশি। সুন্দর তথ্য বহুল পোস্ট ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় কবি।
আপনি বলেছেন, "খরচটা বেশি হয়ে গেছে । আর দেশের অর্থায়নে নির্মিত ব্রীজে এত উচ্চহারে ট্যুল কেন দেয়া লাগবে? দুটো আসলেই এ সময়ের জিজ্ঞাসা।....... আমি পোস্টে এ বিষটিই বলার চেষ্টা করেছি। আমরা উন্নয়ন চাই, দেশের অতি দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। কিন্তু মেগা প্রজেক্টের নামে পুকুর চুরি চাই না।

১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮

আরইউ বলেছেন: বিলুনীর মন্তব্য পড়ে আর তার জবাবে আপনার প্রতিমন্তব্য দেখে, আপনার পোস্ট বিশ্বাসযোগ্য/ দায়িত্বশীল মনে হচ্ছেনা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ। @ বিলুনীর মন্তব্যটি চমৎকার হয়েছে। আমার সাথে দ্বিমত থাকতে পারে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু উনার দীর্ঘ এ মন্তব্যটির প্রতিটি লাইন প্রতি উত্তর করতে বসলে আমার পোস্টের চেয়ে বড় হয়ে যাবে। আপনার কোন বিষয়ে যুক্তি থাকলে দিতে পারেন। মতামত দিয়ে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। আমি চেষ্টা করবো প্রতি উত্তরে তা ডিফেন্স করতে।

১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৭

ভবিষ্যত বলেছেন: ভাই দেশ এখন হরিলুটেরাদের দখলে ... কোন জবাবদিহিতা নাই.. আইনের শাসন নাই.. দুর্নীতি এখন অপেন সিক্রেট এর মত হয়ে গেছে...এখন আর কোন সন্তানকে নিয়ে তার মা স্বপ্ন দেখে না যে আমার ছেলে মেয়ে বড় হয়ে এখন ভাল মানুষ হবে। সবার এ এখন একটাই উদ্দেশ্য লক্ষ্য..টাকা কামাই করতে হবে..সেটা সাদা হোক আর কালো...কাউকে মেরে হোক আর দখল করে...এটাই বাস্তবতা..

বাংলাদেশের ভবিষ্যত পুরোটা লোডশেডিং এ ভরা... একদিকে ভারতের আগ্রাসন অন্যদিকে চীনের ঋণের বোঝা....

যেদেশের সরকার প্রতিষ্ঠার গোড়াতে গলদ সেদেশে আর যাই হোক দেশপ্রেমী নেতা আশা করা মূর্খতা...

যে কয়দিন জীবিত আছি... সব দেখে ও না দেখার ভান করা... নিজের সততা কে বিসর্জন দেয়া....আমরা নেতা তোমার নেতা স্লোগান দেয়া.... ফেসবুকে আজগুবি ভাইরাল খবর দেখা... মোশারফ করিমের বস্তা পঁচা নাটক দেখে...কাটিয়ে দিতে হবে..


পদ্মা সেতু যে সাধারন মানুষের ঘাড়ে বিশার ঋনের বোঝা হবে সেটা যেমন স্বাভাবিক আর আমরা বাংলাদেশীরা যে আর স্বাধীন নই পরাধীন সেটা ও স্বাভাবিক...




০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপনাকে।
এদেশে হরিলুটের শুরু হয়েছে স্বাধীনতার পর থেকেই। যখন যে সুযোগ পেয়েছে, দায়িত্ব পেয়েছে দেশকে গিলে খেয়েছে। এখন তো ডিজিটাল দুনিয়া। তাই চুরি, ডাকাতিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। এখন অল্পতে কেউ সন্তুষ্ট হতে চায় না। চাহিদার কোন শেষ নেই।

১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৫

রাকু হাসান বলেছেন:



মিস করছিলাম । কিছু যাবত দেখছি না ব্লগে তাই। আপনার ব্লগে আসতেই দেখি আলোচিত পাতায় আপনার পোস্ট । আশা করছি ভালো আছেন । গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পোস্ট করেছেন । অযৌক্তিক টোল আদায় নিয়ে খবরটি আমাকে ব্যয়িত করেছে। কিছু সেতুর টোল টোল আদায় দেখছি জন্মের পর থেকেই । সেগুলো তিন-চার দশক পার হলেও এখন আদায় হচ্ছে । কেন হচ্ছে ,কি কারণে হচ্ছে , আর কত দিন হবে সে বিষয়ে জানতে চেয়েও উত্তর পায়নি। দেশের প্রভাবশালীরা এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টাকা লুটে খাচ্ছে । সরকার ২০% পায় কিনা সন্দেহ আছে। এত দিনে ঋণ পরিশোধ হয়ে যাবার কথা কিন্তু হচ্ছে না । পদ্মা সেতু তো আমাদের নিজেদের অর্থায়নে করা । ঋণের বোঝা নেই । থাকবে জাতীয় বাজেটের নির্ধারিত অংশ। সেগুলো ব্যয় হবার কথা সেতুর রক্ষণাবেক্ষক সহ যাবতীয় কাজে । সেই টাকা আমি ,আপনার পকেট থেকেই দিব । তাহলে এত টোল আদায়ের ঘোষণা কেন । যেহেতু জনগণ নিজের টাকায় সেতু তৈরি করছে তাহলে অবশ্যই টোল আদায় হলেও নিতান্ত কম হবার কথা ।আপনি বেশ কিছু প্রশ্ন রেখেছেন । সে প্রশ্ন জনসাধারণের । আমারও । সে সব প্রশ্নের উত্তর কে দিবে ? আপনার পোস্টের প্রশংসা না করলেও হবে । ভালো থাকবেন ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় ভাই আমার।
ব্লগের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় আপনার সর্বশেষ পোস্টে যাওয়া হয়নি। সময় করে অবশ্যই নিজের মতামত রেখে আসবো। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন দুর্নীতির খবর প্রকাশ পায়। এগুলোর সত্য-মিথ্যা যাচাই করা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিলো না। কিন্তু ২০০৭ সালে সেতুর বাজেট ছিলো ১০ হাজার কোটি টাকা; ২০১৮ সালে তা হয়ে গেলো তিনগুণ বেশি অর্থাৎ ৩০ হাজার কোটি টাকা! এই দশ বছরে পৃথিবীতে কি এমন ঘটলো যে সবকিছুর দাম তিনগুণ বেড়ে গেলো?

এগুলো নিয়ে কথা বললে আপনি হয় চেতনার পরিপন্থী না হয় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী!! এদেশে চেতনার লেবাস পরা ধর্ষক, চোর, ডাকাত আর দুর্নীতিবাজরা হলো প্রকৃত দেশ প্রেমিক। এরা দেশটাকে নিজেদের পৈতৃক ভিটা মনে করে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করছে। আর এদের সহযোগী কিছু দলকানা মেরুদণ্ডহীন কীট আছে। এগুলো খুব বেদনাদায়ক।

আমার মনের কথাটি বলেছেন, "কিছু সেতুর টোল টোল আদায় দেখছি জন্মের পর থেকেই । সেগুলো তিন-চার দশক পার হলেও এখন আদায় হচ্ছে । কেন হচ্ছে ,কি কারণে হচ্ছে , আর কত দিন হবে সে বিষয়ে জানতে চেয়েও উত্তর পায়নি। দেশের প্রভাবশালীরা এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টাকা লুটে খাচ্ছে । সরকার ২০% পায় কিনা সন্দেহ আছে।"

আমার মনের কথাগুলো অল্প বাক্যে বলে দিলেন, "পদ্মা সেতু তো আমাদের নিজেদের অর্থায়নে করা। ঋণের বোঝা নেই। থাকবে জাতীয় বাজেটের নির্ধারিত অংশ। সেগুলো ব্যয় হবার কথা সেতুর রক্ষণাবেক্ষক সহ যাবতীয় কাজে। সেই টাকা আমি ,আপনার পকেট থেকেই দিব। তাহলে এত টোল আদায়ের ঘোষণা কেন? যেহেতু জনগণ নিজের টাকায় সেতু তৈরি করছে তাহলে অবশ্যই টোল আদায় হলেও নিতান্ত কম হবার কথা।........ এসব প্রশ্নের জবাব এদেশের মানুষ চায়।

ভালো থাকুন, প্রিয় ভাই। শুভ রাত্রি।

১৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০

নাসির ইয়ামান বলেছেন: আপনি অবশ্যই প্রশংসা পাবার যোগ্য।
তথ্যবহুল পোস্ট করেছেন,আশা করব এর দ্বারা জনসচেতনতা তৈরী হবে!
বলি কী! গণতন্ত্র বাদে এদেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলেই ভালো!

দলকানারা ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী। হোক সে বিএনপি জামাত শিবির কিম্বা আঃলীগ ছাত্রলীগ!

মানুষের আত্মিক উন্নতি দরকার,এবং সমাজপতিদের মাধ্যমে অপরাধের সামাজিকভাবে তাৎক্ষণিক বিচার করতে হবে!
আল্লাহ আমাদের মাঝে সৎ নির্ভিক জাতির সেবক পাঠিয়ে দিন!

যে যার জায়গা থেকে প্রতিবাদে সোচ্চার হোন,নইলে দুর্নীতির দৈত্য সবারি ঘাড় মটকাবে!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ভাই।
আমি চেষ্টা করেছি দলমতের উর্ধে উঠে লিখতে। সবার সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় লিঙ্ক সংযুক্ত করেছি। এই দেশটা আমাদের। এদেশে কোন অনিয়ম হলে তা জনসম্মুখে প্রচার করা সচেতন মানুষের দায়িত্ব। এতে সমাজে পজেটিভ ফলাফল আসে। দেখবেন ইদানিং জাতীয় সংসদেও কেউ বিতর্কে জড়ায় না; দুর্নীতি নিয়ে আওয়াজ তুলে না! আমাদের দায়িত্বশীলরা নিজেদের আখের গোছাতে সর্বদা বিজি। দলকানারা সব সময় উন্নয়নের ঢোল পেটায় না বুঝে। এদের সংখ্যা এদেশে কয়েক কোটি।

২০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৫

মানতাশা বলেছেন: **********************************************************************************************************
ইহা ভালো পোস্ট। বিলুনির মন্তব্যের যথার্থ উত্তর প্রদান করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন।এতে পাঠক হতাশ হইবেন। সমালোচনা করা হইতে বিরত থাকিবেন।যুক্তি তর্কই ব্লগিংয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বলিয়া জানেন।কিছু উত্তর তিন দিনে দিতে হইলেও দিতে হয় বলিয়া মনে করিয়া থাকি।
**********************************************************************************************************

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ। বিলুনির মন্তব্যের কোন গুরুত্বপূর্ণ উত্তর বাদ পড়লে উনি জানতে চেয়ে পুনরায় কমেন্ট করতে পারেন। সব পাঠককে খুশি করিয়া মন্তব্য করাও সম্ভব নয়।

২১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৩২

বিলুনী বলেছেন: পাঠকের কাজ কি শুধু লাইক দিয়ে যাওয়া, নাকি পোষ্ট মনযোগ দিয়ে পাঠ করে তার ভিতরে থাকা বিষয়বস্তু মুল্যায়ন করে মাতামত রাখা ? আমি সে কাজটিই করেছি । প্রথমে বলেছি ভাল বিষয়ে পোষ্ট দিয়েছেন। তার পরে গঠনমুলক সমালোচনার দৃষ্টিকোন হতে এর ভিতরের বিষয়বস্তু ও তথ্যগুলিকে বিশ্লেষন করে আপনার দেয়া তথ্যসুত্র হতেই (যেগুলি আপনি ইচ্ছে করে বাদ দিয়েছেন ) কিছু তথ্য তুলে দিয়ে সঠিক বিশ্লেশন দিয়েছি ।মনে হচ্ছিল কোন একটি বিশেষ লক্ষ্য নিয়ে আপনি আপনার তথ্য সুত্রের অনেক প্রাসঙ্গিক তথ্য চেপে গিয়ে আংশিক তথ্য তুলে ধরেছেন । আমি বেশ কড়াকড়িভাবে অনেক কথাই বলতে পারতাম, সেটা না করে শালীনতার ভিতরে থেকে ভুল গুলিকে যুক্তি ও সুত্র উল্লেখ করে সঠিক তথ্য দিয়ে তুলে দিয়ে, পোষ্ট দাতার কি করলে ভাল হতো সেটা ভদ্রচালে শুধু একটি কথা দিয়ে বলেছি দেখলে ভাল হত বৈকি! আর তাতেই চটে গিয়ে আপনি ব্যক্তি আক্রমন করেছেন, বলেছেন শিশুতোষ তথা ছেলেমানুষি, শুধু সেখানেই থেমে থাকেন নি, বলেছেন নীজকে ছোট করছি । কারো লেখায় কোন ভুল ধরিয়ে দেয়া শিশুতোষ আর ছোট লোকি হয় তা জানা ছিলনা । কোন লিংক কাজ করছে কিনা তা পরখ করা পোষ্ট দাতার কাজ, সেটা করা না হলে পাঠক কষ্ট করে সেখানে গিয়ে কি পেল এবং তা এখানে তার মন্তব্যের ঘরে বলল সেটা শিশুতোষ হয়ে যায়, এটা কোন জাতীয় ব্লগিং তা বোধগম্য নয় । ভুলটা স্বীকার করে নিয়ে তার পরে এটা যথাযথভাবে সংশোধন করা হয়েছে মর্মে একটি ধন্যবাদ সহ মন্তব্যদানকারীকে অবহিত করাই নিয়ম । সেটা না করে মন্তব্য দানকারীকে হিউমিলিয়েট করে ছোট মানুষি করার কথামালা কোন্‌ বড় মানুষীর পরিচায়ক তা আমার জানা নেই। আমার মন্তব্যের ঘরে কাজ করছেনা এমন একটি লিংকের কথা বলে পরের মন্তব্যের ঘরে জানিয়ে দিয়ে সেই লিংক টি দিয়ে দিয়েছি । যদিও মন্তব্যের ঘরে লিংক দেয়ার পরে তা কাজ না করলে মন্তব্যদানকারীর দ্বিতিয় আর কোন অপসন থাকেনা , তারপরেও আমি জানাতে চেয়েছি যে আমার দেয়া লিংকটি কাজ করছেনা। একটি পোষ্ট সাবমিট করার অআগে ও পরে পোষ্ট দাতার নীজ উদ্যোগে তা সংশোধন করার অনেক অবকাশ থাকে । তিনি নীজে সেটা করার অআগে কোন পাঠক ভুল পেলে ও বললে শিশুতোষ ও ছোট মানুষী কার কাছে হয় সেটা ভেবে দেখতে পারেন ।

তবে হ্যাঁ ছেলে মানুষী একটি হয়েছে । যদি মন্তব্যটি লেখার আগে কলাবাগান ১ এর কথামালা দেখা যেত তাহলে হয়ত এ বৃথা পরিশ্রম করতাম না। বুঝে নিতাম পদ্মা সেতুর প্রথম প্রকল্পের বেলায় মিথ্যা দুর্ণীতির অভিযোগ তুলে (যা পরে কানাডার কোর্টে মিথ্যা অভিযোগ বলে প্রমানিত হয়েছে ) ভেস্তে যাওয়ার ক্ষেত্রই শুধু তৈরী করা হয়নি বরং বন্ধ হয়ে যায় মুল প্রকল্পটির অর্থায়ন এবং সেটিকে স্থগিত করা হয় । প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরে অনেক মহতি প্রচেষ্টার পর পদ্মা ব্রীজের বাস্তবায়ন কাজ শুরু করে এর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে আসার সন্ধিক্ষনে এর জন্য মানুষের মাথা লাগার একটি গুজব তৈরী করে সেতুটির বিষয়ে জনমনে বিভিষিকা পয়দার লক্ষ্যে মহল বিশেষের দ্বিতীয় কৌশলটিও ভেস্তে যায়। এখন এর নির্মান ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়াবলীর অবতারনা করে এতে হাওয়াই জাতীয় লোটপাটের অবতারনা করে ও টোলের বিষয়ে গোল বাধিয়ে এর বাস্তবায়ন পর্যায় বিঘ্নিত, বিলন্বিত ও জনগনকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল নিয়ে যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে তা বুঝতেই পারতামনা । পোষ্টটি যে কোন ক্যাটাগরীর মানুষের রচনা তা এখন বুঝতে পেরে সত্যিই নীজকে ছেলে মানুষই ভাবছি । তবে যিনি শিশুতোষ তথা ছেলেমানুষী অভিধায় অভিসিক্ত করেছেন তার সত্যিকার ক্যটাগরীর পরিচয় পেয়ে ধন্য হলাম। মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে বিবিধ ধরনের কুরুচীপুর্ণ ভাষায় কারা অভিহিত করতে পারে তাদের পরিচয়টাও কিছুটা হলেও পরিস্ফুট হয়েছে বলেই দেখা গেল । কোন লেখা কিংবা মন্তব্যকে যুক্তি তর্ক ও প্রকৃত তথ্য এবং সে সব তথ্যের সঠিক বিশ্লেষন দিয়ে শালীনতার মধ্যেই তা করতে হয়, কিন্তু তার কোনটিই আপনি করেন নি । যাহোক, বড় মানুষের পোষ্ট দেখার মানসিকতা আর নেই , থাকার কথাও নয়। জানা গেল সকল মন্তব্য দানকারীকে খুশী করাও পোষ্ট দাতার কাজ নয় , তবে অন্য কেও ভুল বললেও নীজের মতের বাইরে না গেলে তাকে তুষ্ট করে প্রতি মন্তব্য করা যায় তাও জানা গেল, বুঝা গেল ব্লগে আপনার মত গুণী ব্লগারের কাছ হতে আরো এধরনের অনেক সবক শিখার আছে !! তাই আমার মন্তব্যের জবাব পুনরায় যেভাবেই দিন না কেন (যদি আদৌ দেন), সেটা যে এর থেকেও বেশী ভুল বাল মিথ্যা ও আংশিক তথ্য দিয়েই সাজাবেন তাতে কোন সন্দেহ নাই। যাহোক মুক্তি যুদ্ধের চেতনা বিরোধিদের কোন পোষ্টে যাওয়ার মানসিকতা আর থাকার কথা না ।

যাহোক আমার মন্তব্যের জবাবে যদি কোন কথা বলার থাকে তাহলে আমার মন্তব্যটি আরো বার কয়েক মনযোগ দিয়ে পড়ে নিবেন, ভাল করে দেখবেন সেখানে বলা আছে প্রকল্পের বিনিয়োগ ব্যয় আপনার লেখাটিতে থাকা ঐ হংকং জুহাই মেকাও ব্রীজ প্রকল্পের বিনিয়োগ ব্যয় বৃদ্ধির তুলনায় অর্ধেকেরো কম , আবার টোল আদায়ের খসড়া প্রস্তাবে যা বলা হয়েছে তা আপনার সুত্রের মধ্য থাকা দেড়গুণ , পোষ্টে উল্লেখিত দ্বিগুণ নয় , যাহোক গুণ নিয়ে কথা নয়, কথা হল এমন একটি জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ প্রকল্পের উপরে পোষ্টে অসত্য ও অসম্পুর্ণ খন্ডিত তথ্য পরিবেশন করা নিয়ে। তার পরে এই টোল আদায় কিভাবে কমানো যায় সে প্রসঙ্গে আপনার সুত্রে যেমন বলা আছে সেটা তুলে ধরে আমার মন্তব্যে বলা আছে টুলের পরিমান কিভাবে আরো কমানো যায় । সংবাদ ভাষ্যেও বলা হয়েছে এটা চুড়ান্ত নয় এটা কমানোর সন্ভাবনা রয়েছে, আর আপনি একে লোটপাটের পর্যায়ে নিয়ে মুক্তি যুদ্ধের চেতনার সাথে মিলায়েছেন বিভিন্ন মন্তব্যের ঘরে, আপনার প্রতি মন্তব্যে । অবশ্য চেতনা শব্দটির আগে মুক্তিযুদ্ধ লাগানোর মত মানসিকতা যে নেই তাতো বুঝাই যাচ্ছে, ইদানিং দেখা যাচ্চে জগতের যত সব খারাপ কাজ আছে তার দায় শুধু চেতনার , মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিদের ঘৃনীত আচরন ও অআস্ফালন যে এতে বেড়ে যায় তা কি মনে বাজেনা, নাকি এটাই মুল লক্ষ তা ভাবার অবকাশ থেকে যায় ।চেতনা বিরোধিরা যে খোলস পাল্টিয়ে বিবিধ পরিচয়ে ভিন্ন আঙগিকে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে তা বুঝাই যাচ্ছে । চেতনা শব্দমালার পুর্বে মুক্তিযুদ্ধ কথাটি সযতনে চেপে গিয়ে অন্য একটি পরিচয়ের সবটুকু প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে সেটি কিন্তু আর লোকানো নেই । আর হ্যাঁ মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিনতার চেতনাধারী হতে পারলে নীজকে গৌরবান্বিত মনে করি, এর বিরোধি হওয়াকে লজ্জাস্কর মনে করি ।

আপনার পোষ্টের বিশ্লেষন দেখে বুঝাই যাচ্ছে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রনয়ন থেকে শুরু করে এর বাস্তবায়ন পর্যন্ত বিভিন্ন কারিগরী, আর্থিক, অর্থনৈতিক দিকগুলি ও প্রকল্প প্রনয়ন প্রক্রিয়া হতে শুরু করে এর অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তেমন কোন পরিস্কার ধারনা প্রসুত বিশ্লেষন লেখাটিতে নেই( সঙ্গত কারণেই বিভিন্ন পোষ্টের মন্তব্যে বলা ব্লগার চাঁদগাজীর ম্যাও প্যাও, মগজহীন লিলিপুটিয়ান জাতীয় কিছু কথামালার কথা এখানে মনে পড়ে যায়)।

এখানে আবারো বলছি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ ব্যয় প্রাকলন ( Estimated project cost ) চলতি দামে (Current price ) করা হয়, সেখানে Inflation জনিত মুল্যবৃদ্ধি জনিত হিসাব নেয়া হয় না। সকল আইটেমের দাম যে কেবল বাড়বে তাতো নয়, সরকারকতৃক প্রতিবছরের বাজেটে করহার হ্রাস বৃদ্ধির কারণে অনেক আইটেমের দাম কমতেও পারে আবার বাড়তেও পারে । তাই Inflation তথা Cost Over run এর কারণে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পেলে তা বিবেচনায় নিয়ে পরে প্রকল্প সংশোধনের বিধান রয়েছে, এটা শুধু এই প্রকল্পের বেলাতেই নয় , দেশের হাজার খানেক উন্নয়ন প্রকলপের সবগুলিতেই সকল সরকারী আমলেই হয়েছে, যে আমল নিয়ে অনেকের গর্বের সীমা নেই তাদের সময়েও এটা কম হয়নি কিন্তু ।যাহোক, কথা সেটা নয় কথা হচ্ছে নিয়মটা নিয়ে। অন্যদিকে চলতি দামে প্রকল্প প্রণয়ন করার সময় Inflation কে হিসাবে না নিলেও প্রকল্পের বিনিয়োগ ব্যয় প্রাককলনের সময় কোন Unforeen cost elament কে কভার দেয়ার জন্য physical contingency ও price contingency খাতে কিছু অর্থ ধরার বিধান রয়েছে এবং সে খাতে অর্থ রাখাও হয়, তবে তা মোট প্রকল্প ব্যয়ের একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ, কনভেনশনালী তা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ১% থেকে ২% মধ্যে সীমাবদ্ধ তাও তা প্রকল্প দলীলে একবারই ধরা হয়ে থাকে, অথচ দেশের অর্থনীতিতে বিগত কয়েক বছরে গড়ে প্রতি বছর ৬% থেকে ১১% Inflation ঘটে, যার প্রতিফলন ঘটে প্রকল্প ব্যয়ে ধারাবাহিকভাবে।

আরো একটি ভুল ও অজ্ঞতাপ্রসুত কথা বলেছেন, তা হল প্রকল্পের নির্মানকাজে অংশগ্রহনকারী দেশী বিদেশী দরদাতারা Inflation কে ধরে নিয়েই তাদের টেন্ডার দাখিল করে। কিন্ত এটা আপনার জানা নেই যে প্রকল্পখাতে ঐ বিশেষ কাজের জন্য যে অর্থ বরাদ্ধ আছে তার বাইরে Inflation ধরে টেন্ডার দাখিল করলে আর্থিক মুল্যায়নের ( Financial evaluation ) সময় দেখা যাবে তার দর অনুমোদিত প্রকল্পখাতের ব্যয় রবাদ্ধ হতে অনেক বেশী ফলে এ কারণেই তার টেন্ডারটিই বাতিল হয়ে যাবে, সে ক্ষেত্রে কারিগরী মুল্যায়নে (Technical evaluation ) পিছনে থাকা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা আর্থিক দিক বিবেচনায় টেন্ডারটি ও কার্যাদেশ পেয়ে যাবে ( তাই কোন নয় ছয় করতে হলে তাকে ঐ অনুমোদিত প্রকল্পখাতের মধ্যে থেকেই করতে হবে , তা না হলে আর কিছু না হলেও সংস্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তাদেরকে সরকারী অডিট আপত্তির মুখে পড়ে দায় ভোগ করতে হবে এমনকি অবসরে যাওয়ার পরেও, তাই প্রকল্প সংস্লিষ্টগন এই ভুল করবেনা , যা করবে তা কার্যাদেশ দেয়ার পরেই করবে, প্রকল্প বাস্তবায়নে যে দুর্ণিতি একেবারেই হয় না তা কিন্তু নয়, সেটা দেখার ভার দুদকের উপর ছেড়ে দেয়া যায় , কোন রকম দুর্ণিতি কেও যদি করে তবে সে ছাড়া পাক সেটা কাম্য নয় , এখানে বলা হচ্ছে চলতি দামে প্রকল্পের মোট বিনিয়োগ ব্যয় ধরা নিয়ে । তাই এতবড় ভুল কোন গর্ধভেও করবেনা, যেখানে দরদাতার জানা অছে একবার সে কাজের জন্য নিয়োগ পেলে Inflation জনিত Cost Over run কারণে প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোর বিধান রয়েছে এবং এর ফলে তার নিয়োগ বাতিল হবেনা । অতএব ইত্যাকার বিবিধ কারণে আপনার যুক্তি অসার ও অজ্ঞতা প্রসুতই শুধু নয় তা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্যও দায়ভুক্ত । এখানে এই মন্তব্যের ঘরে আসার আগে আপনার প্রতি মন্তব্যটি আমি দেখেছি, তবে এর উপরে কোন কথা বলার রুচি ছিলনা । কিন্ত নীচে নেমে এসে দেখলাম আমি এখনো কিছু বলেনি বলে আপনি সঠিক আছেন বলে ধরে নিয়েছেন । তাই বাধ্য হয়ে দুএকটি কথা আবার বলতেই হলো । জানিনা এবার কি বলে আবার ব্যক্তি আক্রমন করবেন ।

যাহোক এ পোষ্টের প্রকল্পের বিষয়ে আমার ধারনা ও জ্ঞান খুবই কম, তাই আমি শুধু আপনার দেয়া তথ্যভান্ডার হতে তথ্য নিয়ে সঠিক একটি বিশ্লেষনী মন্তব্য তুলে দিয়েছিলাম । এর পরেও যদি আপনার কিছু বলার থাকে তা লিখতে পারেন তবে এসব বিষয়ে আমার জ্ঞান কম বলে প্রকল্পটির বিষয়ে আপনার মুল্যায়নটি বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের মুল্যায়ন ও পরিবিক্ষন বিভাগে https://imed.gov.bd (আইএমইডি)সরাসরি পঠিয়ে দিতে পারেন।তারা প্রকলপ মুল্যায়নে বিষেষজ্ঞ ও সেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারীদের সংখাও খুব বেশী নেই, সেখানে এখনো ঐ আমলের লোকদেরই প্রাধান্য রয়েছে ।ফলে প্রকল্পের বিষয়ে আপনার নীজস্ব মুল্যায়নটিতে থাকা সত্যা সত্য বিষয়গুলি তারাই ভাল বুঝতে পারবেন, ও তা দেশের জন্য আরো বেশী ভাল হবে ।কারণ আই এম ই বিভাগের কাজই হলো প্রকল্পের ভুল ক্রটিগুলি সঠিক তথ্য ও বিশ্লেষনের মাধ্যমে তুলে ধরা, আর সে সব মুল্যায়ন রিপোর্ট সরকার ও দেশী বিদেশী সংস্লিষ্ট সংস্থার কাছেও যায়। ফলে কোন অনিয়ম হলে জল অনেকদুর গড়াতে পারে , বিষয়টি আপনার জানা না থাকলেও প্রকল্প কতৃপক্ষের বিলক্ষন জানা আছে । আমরা আপনার পোষ্ট পাঠে শুধু সঠিক বিষয়াবলীর ক্ষেত্রে সচেতন হব, সুযোগ পেলে তুলে ধরব সত্য কথা । তবে আপনার পোষ্ট পাঠে তেমন সচেতন হওয়ার ইচ্ছা রাখিনা, যেখানে শতকরা ৭০ ভাগের উপরে কাজ শেষ হওয়া প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ ২০% হয়েছে বলব আর একটি খসড়া টোলকে ১০০% কমপ্লিট বলব । ভুল ও আংশিক তথ্যপুর্ণ বিশেষ উদ্দেশ্য প্রনোদিত পোষ্ট পাঠের পর পাঠক চেতনা এমন হওয়াই স্বাভাবিক, পোষ্টটি দান স্বার্থক হয়েছে বৈকি !!এর জন্য আর এক প্রস্ত ধন্যবাদ রইল।
তবে বলতেই হয় একটি এত বড় ভুলের জন্য কাওকে শিশুতোষ তথা ছেলেমানুষী বা ছোট মানুষী বলা হল না শুধু পোষ্টটি মনযোগ দিয়ে পাঠের পর কিছু ভুল ধরিয়ে দিয়ে বিশ্লেষনী মন্তব্য লেখার কারণে হয়ে গেল শিশুতোষ ও ছোট লোকি, তাইতো কথায় বলে বিচিত্র সেলোকাস!!

যাহোক, কলাবাগানকে যা বলেছেন তেমন ভাবে‌ না হলেও ধন্যবাদের সহিত বলে যাচ্ছি গুডবাই ।


১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার দু'টি কমেন্ট পড়ে পাঠকরা মূল্যায়ন করবেন। আমার লেখায় দেওয়া তথ্য-উপাত্ত আর যুক্তি বিশ্লেষণ করে যাচাই করবেন। এসব বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আপনি অনেক সময় নিয়ে দু'টি করেছেন এজন্য ধন্যবাদ।

২২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫১

কলাবাগান১ বলেছেন: যারা ৭১ এর শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করে পুরো মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অর্জনকে ই প্রশ্নবিদ্ধ করে

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



পোস্টের কোন বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন না করে দালালী কমেন্ট করে যাচ্ছেন কেন? আবারও এসে একই গীত গাইছেন। আপনার আত্মমর্যাদাবোধ থাকলে আসতেন না। আমার পোস্টে আপনি আসেন নিজের পান্ডিত্ত্ব জাহির করতে। পারলে ভালো কিছু লিখে পোস্ট করুন; পাঠকরা আপনার দৌড় দেখুক।

২৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি লিখেছেন বলেই তো বিষয়টি নিয়ে আমরা, যারা সংবাদপত্র পড়া বা টিভির খবর শোনার সময় কিংবা উৎসাহ, কোনটাই পাই না, তারা এত কিছু জানতে পারলাম। লিঙ্কে বা কোন তথ্য উপাত্তে ভুল থেকে থাকলে আশাকরি সংশোধন করে নেবেন সময়ে সময়ে, যখনই নজরে আসবে।
বাংলাদেশের ছোট বড় সব উন্নয়ন সেক্টরে দুর্নীতি হওয়াটা কোন নতুন খবর নয়। স্বাধীনতার পর থেকেই সব সরকারের আমলে তা হয়ে এসেছে। জনগণও এটাকে অপরিহার্য নিয়তির বিধান (ফেইট এ্যাকোমপ্লি) বলে মেনে নিয়েছে। তবে সব কিছুর একটা সীমা আছে। এখনকার দুর্নীতিগুলো বোধকরি বাংলাদেশের ইতিহাসে এ যাবতকালের সকল সীমারেখা অতিক্রম করেছে। সত্য মিথ্যা যতটাই হোক, পাবলিক পারসেপশন এরকমই বলে আমার মনে হয়।
বিলুনী যথেষ্ট যত্নের সাথে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। এজন্য তিনি অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য। এই পোস্টে তার কোন মন্তব্যের জন্যই তাকে দলকানা বলে মনে হয় নাই। তবে সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললেই অন্য কিছু দলকানা যেভাবে হইচই করে উঠেন, এখানেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, স্যার।
এসব বিষয়ে যত লিখা হবে ততো বেশি জনসচেতনতা বাড়বে। আমি চেষ্টা করেছি লেখার পক্ষে যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপন করতে। এজন্য কেউ কেউ পাল্টা যুক্তিও দেখিয়েছেন। এটাই ব্লগের মহত্ত্ব। বিলুনির চমৎকার কমেন্ট আমার পোস্টকে সমৃদ্ধ করেছে। আর দলকানারা আছে বলেই সরকার ইলেকশন ছাড়াই গণতন্ত্র কায়েম করেছে এদেশে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.