নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরের তালিকায় আমাদের গর্বের ঢাকা নগরী; অভিনন্দন! হে মহান নগরী!! নাগরিকদের পক্ষ থেকে অভিবাদন গ্রহণ করুন।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩


বৃটেনের 'দ্যা ইকোনোমিস্ট' পত্রিকার করা জরিপ মতে মতে ২০১৯ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় আমাদের ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। অভিনন্দন হে মহান নগরী, প্রিয় ঢাকা! তাহলে প্রথম স্থানের শিরোপাজয়ী শহরের নামটিও এক্ষেত্রে বলে দেওয়া উচিৎ। হ্যা, ঢাকাকে রানারআপ করে আমাদের কাঁদিয়ে গর্বের এই শিরোপা গেছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের হাতে। অভিনন্দন দামেস্কবাসীকে! কথা দিচ্ছি আগামী বছর আপনাদের চ্যাম্পিয়নশীপ শিরোপা আমাদের হাতেই আসবে। এজন্য যতরকম কৌশল, ট্রেনিং নিতে হয় সব করা হবে। ঢাকা সিটির দুই মেয়র কাম কোচ এজন্য তাদের বাজেটের বড় একটি অংশ বরাদ্দ করবেন আশা করছি। সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগীতায় এগিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করি।

আমার অভিনন্দন বার্তায় যারা উল্লাসে ফেঁটে চৌচির হয়ে দম আটকে মরে যাওয়ার ভয়ে আছেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, তালিকাটির জরিপের ফলাফল একদম তলানী থেকেই শুরু করেছি। এদেশে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট আর আই এ্যাম জিপিএ ফাইভের বাম্পার ফলন হয় তাই ফেইলের বাম্পার ফলন দিয়ে শুরু করলাম। আরো স্পষ্ট করে বলি, পৃথিবীর সবচেয়ে অবসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়! না, কেউ ইচ্ছে করে আমাদের হাতে এই অযোগ্যতা আর বসবাসের অনুপযোগী শহরের খেতাব গলায় ঝুলিয়ে দেয়নি। আর এই তালিকা করতে লীগ-বিএনপির কোন হাত-অজুহাত ছিলো না। গত কয় বছরে সিরিয়া গৃহযুদ্ধ ক্ষতবিক্ষত না হলে শিরোপাটা আমাদের হাতেই থাকতো নিঃসন্দেহে।

তাহলে সত্যি সত্যি শিরোপাজয়ী শহর কোনটি? ইকোনোমিস্টের জরিপে ২০১৯ সালের সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহর 'ভিয়েনা'; মধ্য ইউরোপের শান্তিপ্রিয় আর হাজারো বছর থেকে তিলেতিলে সমৃদ্ধির সাথে উঠে আসা দেশ অস্ট্রিয়ার রাজধানী শহর এই ভিয়েনা। গত সাত বছর মার্জিন ব্যবধানে এগিয়ে ছিলো অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। তাদের অবস্থান এবার দ্বিতীয়। এরপর যথাক্রমে আছে; জাপানের 'ওসাকা', কানাডার 'ক্যালগেরি', অস্ট্রেলিয়ার 'সিডনি', কানাডার 'ভ্যাংকুবার', কানাডার 'টরেন্টো', জাপানের 'টোকিও', ডেনমার্কের 'কোপেনহ্যাগেন' এবং অস্ট্রেলিয়ার আ্যাডিলেড।

"ভিয়েনা পৃথিবীর সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরের মর্যাদা পেল যেসব কারণে"

এখানে একটি বিষয় লক্ষনীয়, প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং জাপানের একাধিক শহর তালিকায় স্থান পায়। এসব শহরের স্কোর কার্ডে ব্যবধান এতো কম থাকে যে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে খুব একটা পার্থক্য পাওয়া যায় না। সিঙ্গাপুর সিটিও তালিকার শীর্ষ দশে আসেনি। এশিয়ার একমাত্র প্রতিনিধি জাপান। শীর্ষে থাকা ভিয়েনার স্কোর একশোতে ৯৯.১! ভাবা যায়? আর ঢাকা একশোতে ৩৮; অর্থাৎ সেকেন্ড ডিভিশন আর থার্ড ডিভিশনের মাঝামাঝি। তালিকায় তলানীতে থেকে প্রথম স্থান পাওয়া দামেস্ক কিন্তু ৩০.৭ স্কোর করে ফেইল করেছে। আমরা তো ফেইল মারিনি; হোক তা থার্ড ডিভিশন! তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বলতে পারি, পাশ মার্ক তো!!

এখন দেখা যাক কোন কোন মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে এই জরিপ করা হয়। ইকোনোস্ট মূলত, পাঁচটা মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে এই তালিকা করে থাকে-
(১)রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা (অপরাধের হার আর জঙ্গিবাদের ঝুঁকিও পড়ে)।
(২)স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ-সুবিধা।
(৩) সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ (এর মধ্যে অবশ্য বেশ কিছু জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা হয় যেমন, শহরের গড় তাপমাত্রা, দুর্নীতির সূচক, খাবার-পানীয়র মান, খেলাধূলা বা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ ইত্যাদি)।
(৪) শিক্ষার মান ও সুযোগ-সুবিধা।
(৫) অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, ট্রান্সপোর্ট।


এই মানদন্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, একটি শহর বসবাসের যোগ্য হয়ে উঠতে দীর্ঘ একটি পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। শুধু অট্টালিকা, সুন্দর ঝকঝকে রাস্তা-ঘাট, শপিংমল, ধনীদের বসবাস এবং আভিজাত্যকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় আনা হয় না। এমনটি হলে লন্ডন, নিউইয়র্ক, মাদ্রিদ, প্যারিস, লসএঞ্জেলস, সাংহাই, সিউল, সাওপাওলো, দুবাই ইত্যাদি শহর শীর্ষে থাকার কথা। আমাদের রাজধানী শহর এতো অবসবাসযোগ্য হওয়ার কারণ খুঁজতে গেলে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরী।

আমাদের ঢাকা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্থিতিশীল? স্বাস্থ্য সেবার মানের বিষয়ে সরকার কিংবা ঔষধ কোম্পানি/হাসপাতাল/ডাক্তার পেশাগত জীবনে সৎ/ মানসম্পন্ন কিংবা সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর/দায়িত্বশীল? উদার সাংস্কৃতিক পরিবেশ বিদ্যমান? দুর্নীতি, পানীয় খাবরের মান, শিশু খাদ্যের মান-দাম, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি সহনীয়? শিক্ষার মান কিংবা সবার জন্য সমান শিক্ষার সুযোগ আছে? যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরাপদ/সহজলভ্য/আরামদায়ক?

এসব প্রশ্নের উত্তর পাঠকরা খুঁজবেন। পেয়ে যাবেন নিশ্চিত।

এবার ভিয়েনা শহরটি নিয়ে একটু আলোকপাত করা যাক।

অস্ট্রিয়া একটি ল্যান্ডলক কান্ট্রি। দেশটির সাথে জার্মানি, স্লোভেনিয়া, চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি, ইতালি এবং সুইজারল্যান্ডের বোর্ডার আছে। ভিয়েনার অবস্থান এমন একটা জায়গায় যেখান থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইটালি, জার্মানি, চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরিসহ কয়েকটা দেশে চলে যাওয়া যায় সহজেই।

দানিউব নদীর দুই তীরে বিস্তৃত চারশো বর্গ কিলোমিটারের সাজানো-গুছানো এক শহর ভিয়েনা। জনসংখ্যা প্রায় পঁচিশ লক্ষ। অস্ট্রিয়ার মোট জনসংখ্যা প্রায় তিন ভাগের এক ভাগই থাকে রাজধানী বা এর সাব-আরবান এলাকাগুলোয়। ভিয়েনার শহরতলীর এক অংশ ‘ভিয়েনা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার’ হিসেবে পরিচিত, যেখানে জাতিসংঘের আঞ্চলিক কার্যালয় অবস্থিত। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন, জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা, তেল রপ্তানিকারক দেশদের সংগঠন ওপেকসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর ভিয়েনায়। এর ফলে প্রতি বছরই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সভা-সম্মেলন লেগেই থাকে ভিয়েনায়। এক হিসাব অনুসারে প্রতি বছর ভিয়েনায় আসা ট্যুরিস্টের সংখ্যা প্রায় সত্তর লাখ, যা কিনা শহরটার স্থায়ী জনসংখ্যার কয়েক গুণ বেশি।

ভিয়েনা একটি মাল্টি কালচারাল সিটি। ভিয়েনায় তিনজন মানুষের সাথে দেখা হলে তার মধ্যে গড়ে একজন থাকবে যে কিনা জাতিতে অস্ট্রিয় না। সার্বিয়, তুর্কি, পোলিশ, জার্মান, রোমানিয়ান এমন কোনো ইউরোপীয় জাতির মানুষ নাই যাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না ভিয়েনায়। বিভিন্ন জাতির এই সাংস্কৃতিক মিলনই শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-স্থাপত্য সব দিক থেকেই ভিয়েনাকে ইউরোপে করেছে অনন্য। এর ফলে ইতিহাসের বহু বিখ্যাত মুখ তাদের জীবনের একটা সময় কাটিয়েছে ভিয়েনায়। এই তালিকায় সিগমন্ড ফ্রয়েডের মতো বিখ্যাত মানুষ থেকে শুরু করে আছে এডলফ হিটলারের মতো কুখ্যাত মানুষও।


সঙ্গীতের জগতে ভিয়েনা এতই বিখ্যাত যে অনেকসময় একে ডাকা হয় City of music নামেও। ভিয়েনাজুড়েই ছড়িয়ে আছে অসংখ্য থিয়েটার আর অপেরা। এই শহরেই কাজ করেছেন বেথোভেন, মোজার্টের মতো সুরস্রষ্টারা। সঙ্গীতের জগতে ভিয়েনার প্রভাব এতই প্রকট যে একে বিশ্ব সঙ্গীতের রাজধানী হিসেবেও সম্বোধন করা হয় অনেক সময়ে।

এখনকার ভিয়েনা শহর বেড়ে উঠেছে গত কয়েক শতাব্দী ধরে ধীরে ধীরে। ফলে এখানে যেমন মধ্যযুগীয় স্থাপত্যের নিদর্শন দেখা যায় ঠিক তেমনি দেখতে পাওয়া যায় অনেক আধুনিক স্থাপত্য। ভিয়েনা সিটি সেন্টারকে ইউনেসকো ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যদিও পরবর্তীতে ২০১৭ সালে এই স্বীকৃতির জায়গায় দেওয়া হয় ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ইন ডেঞ্জার’। শহরের আধুনিকায়ন করতে যেয়ে প্রশাসন হাই-রাইজ বিল্ডিং তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ইউনেস্কোর মতে এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শহরের স্বাভাবিক চালচিত্র, যার ফলে বিপদে থাকা হেরিটেজ সাইট ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বসবাসযোগ্য শহর হওয়ার আরেকটা যে মাপকাঠি সেই অবকাঠামোতেও ভিয়েনা এগিয়ে থাকে স্থাপত্যের জন্য। অবকাঠামোগত সুবিধার মধ্যে শুধু সুন্দর বাড়ি-ঘর পড়ে না, যোগাযোগ ব্যবস্থা (স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক), গণপরিবহণ, বিদ্যুৎ বা পানির মতো সুবিধার সহজলভ্যতার ভিত্তিতেই অবকাঠামোগত স্কোর দেওয়া হয়। এই বিচারে ভিয়েনা একশোতে একশো।

উচ্চশিক্ষার সুযোগের জন্য ভিয়েনা ইউরোপের অন্যতম আকর্ষণীয় শহর। ১৩৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ইউনিভার্সিটি অফ ভিয়েনা ইউরোপের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটা। বর্তমানে ছাত্রসংখ্যার দিক থেকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটা এই বিশ্ববিদ্যালয়। ২০ জন নোবেল পুরস্কারবিজয়ী কাজ করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়াও এই শহরে আছে ১৬৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘একাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ ১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনিভার্সিটি অফ মিউজিক এন্ড পারফর্মিং আর্টস’ সব বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট। এর মধ্যে ‘ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি অফ ইকোনমিকস এন্ড বিজনেস’ ইউরোপের সেরা বিজনেস স্কুলগুলোর একটা হিসেবে পরিচিত।

ঢাকা একটি ব্যর্থ সিটি হওয়ার পেছনো হাজারো কারণ আছে। এজন্য দেশ-বিদেশের মিডিয়াগুলো কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছে। বিবিসি বাংলা তা নিয়ে একটি অনুসন্ধানমূলক রিপোর্ট করেছে

বিশ্বের অন্যতম জনবহুল, অন্যতম মেগা সিটির মর্যাদা পাওয়া ঢাকা একটি ফেইল সিটি। এটাই প্রকৃত সত্য। কারণ, ঢাকা কখনো পরিকল্পনা মাফিক গড়ে উঠেনি। স্বাধীনতা উত্তর ঢাকা সিটিকে সরকারগুলো দুর্নীতি আর রাজনৈতিক রঙ ছিটিয়ে প্রতিনিয়ত দূষিত করেছে। ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত নদী। এছাড়া ঢাকা সিটিকে দু'টি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করে আরো বেশি বসবাস অযোগ্য করা হয়েছে। প্রতি বছর ঢাকায় জন্ম নেওয়া হাইব্রিড অতি ধনিক শ্রেণীর জন্ম এই নগরীকে অভিশপ্ত করছে। এসব হাইব্রিড ধনীরা শ্রমিক আর নাগরিকদের রক্ত চুষে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। দেশে সম্পদের এভারেস্ট বানাচ্ছে। এজন্য অভিশপ্ত এই নগরী কখনো বসবাসযোগ্য হবে না। এটা প্রকৃতির বিচার।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল। (ছবিগুলো অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার)

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঢাকা ভালো শহর হিসেবে নাম করতে পারছে না কেন, ডেংগু সমস্যা?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ। ডেঙ্গু সমস্যা সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকাবাসীর জন্য একটি আতঙ্ক হলেও ঢাকা নগরী পৃথিবীর দ্বিতীয় বসবাস অযোগ্য শহরের তালিকায় আসার পেছনে এটি খুব ছোট্ট একটি কারণ হতে পারে। নগরীর স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামোর বিবেচনায় আনা হয় ইকোনমিস্টের এই রিপোর্টে।

আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘নামবিও’র প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ট্রাফিক ইনডেক্স-২০১৯-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। নামবিওর তথ্য থেকে জানা যায়, আগে ২০১৮ এবং ২০১৭ সালে যানজটে ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। তার আগে ২০১৬ সালে ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয়। কিন্তু মাত্র তিন বছর আগে ২০১৫ সালে ঢাকা ছিল অষ্টম। বসবাস অযোগ্যতায় তিন বছরে দুই ধাপ উন্নতি হলেও যানজটের দিক দিয়ে চার বছরে আট ধাপ অবনতি হয়ে আমরা প্রথম হয়ে গেছি। বিভিন্ন দেশের রাজধানী এবং গুরুত্বপূর্ণ ২০৭টি শহরকে বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা প্রণয়ন করেছে নামবিও। এ ক্ষেত্রে তারা সময় অপচয়, অদক্ষতা ও কার্বন-নিঃসরণকে বিবেচনায় নিয়েছে। বিশ্বের অনিরাপদ নগরীর তালিকায়ও ঢাকা পঞ্চম। এই তালিকাটিও করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামোগত নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকে বিবেচনায় রেখে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে ঢাকা চতুর্থ অনিরাপদ নগরী। আর ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় ষষ্ঠ অনিরাপদ নগরী ঢাকা। কিছুদিন আগে আরেক রিপোর্টে আমরা জেনেছিলাম, বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত রাজধানী ঢাকা, সবচেয়ে দূষিত বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে বিশ্ব বায়ুর মান যাচাই করে দেওয়া রিপোর্ট থেকে এমন তথ্যই উঠে এসেছিল।

বাতাসে ক্ষুদ্র কণিকার উপস্থিতির পরিমাণ হিসাব করে বায়ুদূষণের মাত্রা হিসাব করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডব্লিউএইচও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনা করে বাতাসে ক্ষুদ্র কণিকার গড় মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে সর্বোচ্চ ১০ মাইক্রোগ্রাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু ঢাকার বাতাসে এই কণিকার মাত্রা ২০১৮ সালে প্রতি ঘনমিটারে পাওয়া যায় ৯৭ দশমিক ১ মাইক্রোগ্রাম, যা নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তান ও ভারতের বাতাসে ক্ষুদ্র কণিকার মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে যথাক্রমে ৭৪ দশমিক ৩ ও ৭২ দশমিক ৫ মাইক্রোগ্রাম ছিল। এই বায়ুদূষণের জন্য দায়ী করা হয় ঢাকার আশপাশের ইটভাটা, ঢাকার নির্মাণকাজ, যানবাহনে ব্যবহৃত জ্বালানি, বর্জ্য পোড়ানো ইত্যাদি। ঢাকার এই অধঃপতন নিয়ে বছর দেড়েক আগে দৈনিক প্রথম আলো তাদের সম্পাদকীয়তে লিখেছিল, থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের করা এক তালিকায় নারীদের জন্য সবচেয়ে খারাপ মহানগরের মধ্যে বিশ্বে সপ্তম স্থানে আছে ঢাকা। যৌন সহিংসতা বিবেচনায় নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ; এখানে বাংলাদেশের স্থান চতুর্থ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা জিপজেটের করা পর্যবেক্ষণের ফলাফল অনুযায়ী বিশ্বে সবচেয়ে শারীরিক ও মানসিক চাপের শহরগুলোর মধ্যে সপ্তম স্থানে আছে ঢাকা।

বাসযোগ্যতার দিক থেকে হোক, নিরাপত্তার দিক থেকে হোক, নারীর জন্য বা মানসিক চাপের প্রশ্নেই হোক, সব ক্ষেত্রেই ঢাকার স্থান একেবারে নিচের দিকে। এটাই বাস্তবতা। এগুলো অস্বীকারের কোন সুযোগ নেই।

পরিবহন সেক্টরের নৈরাজ্য, ফুটপাত বেদখল হয়ে যাওয়া, নির্মাণকাজের নামে পরিবেশকে নোংরা করে রাখা। বৃষ্টি হলেই ঢাকা শহর যে ডুবে যায়, সেটা তো নতুন না। শব্দদূষণ যে আমাদের জন্য নীরব ঘাতক হিসেবে নিত্যসঙ্গী হয়ে আছে, সেটা তো বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই জানান দিচ্ছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! ওয়াসার পানি দূষণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও নাটক কম হয়নি। স্যুয়ারেজ ব্যবস্থাপনাতেও যা-তা অবস্থা। মানুষের ত্যাগ করা পানি আর গ্রহণ করার পানি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় অনেক জায়গাতে। স্যুয়ারেজ লাইনের উপাদান আর ওয়াসার পানির লাইন কোথায় যে এক হয়ে যায়, তা বোঝা কঠিন। কোথায় জল আর কোথায় মল তার ঠিক থাকে না।

কত আর বলবো, বলেন? ঢাকা তালিকায় আছে এটাই তো আমাদের পরম পাওয়া।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: প্রথম লাইক দিছি, আমার ব্রিটল বিস্কুট পাওনা রইলো। খাইতে খাইতে বেলা চলে যাবে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরু,
নিজের বাগানের এককাপ চা দিলাম। সাথে হিন্দি বিস্কুট লাইকের জন্য। আগে থেকে কানাডার বেগমপাড়ায় একটি এপার্টমেন্ট কিনে রাখুন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। নিজেও অবসরে ছুটি নিয়ে চলে যাবেন!!

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: ঢাকা সমস্যাগুলি কি কি সেটা লিখতে শুরু করলে সেটাই একটা পোস্ট হয়ে যাবে।
ভিয়েনাতে যাবার খুব ইচ্ছে আছে। ইনসাল্লাহ আমাকে আল্লাহ এই সুযোগ করে দিবেন।
ভেনিসও দারুন। চষে ফেলেছিলাম ঘুরতে ঘুরতে।
দেখুন আপনার এই পোস্ট আবার আযুক্তবালপন্থীদের গাত্রদহের কারন না হয়। রাজাকার খেতাবও পেয়ে যেতে পারেন।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় গল্পকার।
ঢাকার সমস্যা নিয়ে লেখতে গেলে কলমের কালিতে কুল কিনারা হবে না। এজন্য যত কম বলা যায় ততোই ভালো। পৃথিবীর যেকোন শহরের একটি মৌলিক দিকও ঢাকার নেই। যেদিকে দৃষ্টি দেবেন শুধু দীর্ঘশ্বাস পড়বে। ঢাকায় মানুষ বসবাস করছেে এটাই তো বিষ্ময়।

ভিয়েনা যাওয়ার সখ আমারও আছে। যদিও সামর্থ্যে কখনো কুলাবে না। তবুও চমৎকার এ নগরটি একবার দেখে আসতে চাই। আপনি সময় সুযোগে একবার ঘুরে আসুন। আমরা শুনবো আপনার কাছ থেকে। ভেনিস ভ্রমণ নিয়ে একটি লেখা পোস্ট করতে পারেন।

আমি রাজনীতি মুক্ত মানুষ। লিখি নিজের বিবেক থেকে। এতে কেউ রাজাকার/মুক্তিযোদ্ধা যেকোন টাইটেল দিতে পারে। এতে আমার কিছু এসে যায় না। লেখকদের বিবেকবান হতে হয়; তৈল মর্দন কিংবা চাটুকারিতা লেখক সত্তাকে হত্যা করে। আমি এগুলো মুক্ত আছি। এটাই আমার শক্তি; আদর্শের জায়গা।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঢাকার লোকদের আমার পছন্দ হয় না, ওরা শীতলক্ষা নদীতে হাগু করে!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



(৫) নং মন্তব্যে আপনি সংশোধন করেছেন। বুড়িগঙ্গায় হাগু তো মামুলি ব্যাপার! কতশত টন কারখানা বর্জ প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে তার খবর কেউ নেয় না। ডাইরেক্ট সয়ুরেজ লাইন বুড়িগঙ্গার সাথে কানেক্টেড!!

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



৪ নং মন্তব্য ভুল আছে, উহা বোধ হয়, বুড়িগংগা হবে; বুড়িগংগা ও শীতলক্ষা কোথায়ও মিলিত হয় না?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ। ভুল হতেই পারে। সমস্যা নেই।

৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

বলেছেন: পোস্টের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।।।।

ঢাকার সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর সমস্যা কি জানাবেন!!!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ঢাকার সবগুলো সমস্যাই গুরুত্বপূর্ণ। কোনটি রেখে কোনটি বলবো। (১) নং প্রতি মন্তব্যে এ বিষয়ে আলোকপাত করেছি। এছাড়া বিবিসি বাংলার এই প্রতিবেদনটি একটি দেখে আসতে পারেন। কিছুটা হলেও সমস্যাগুলো জানবেন।

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

আনমোনা বলেছেন: ঢাকা তালিকায় আছে, আর বেশী কি চাই?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



একদম ঠিক কথা। আমাদের ঢাকা ১০০ নাম্বারে পরীক্ষায় ৩৮ পেয়ে থার্ড ডিভিশন আর সেকেন্ড ডিভিশন এর মাঝামাঝি আছে। ফেল তো করেনি। দামেস্ক তো ৩০ পেয়ে ফেইল করেছে!! আমরা গর্ববোধ করতে পারি।

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ঢাকা শহরের এরিয়াল ভিউ আর প্যারিসের এরিয়াল ভিউ একই - বলেছেন এদেশের একজন আবাল মন্ত্রী।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



একখান খাঁটি দলিল দিলেন শাহাদাৎ ভাই। এ বিষয়টি তো আমার মাথায় আসেনি! এই একটি কারণে আমরা তো প্যারিসের সমতুল্য! এজন্যই মিনিস্টাররা বলেন, সিঙ্গাপুর আর আম্রিকা হইতে আমাদের বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। উনারা তো খুব বেশি বিমানে চলাফেরা করে; বিজনেস ক্লাসে বসে জানালায় দৃষ্টি দিলেই উপর থেকে ঢাকাকে রুমান্টিক নগরী মনে হয়!!

৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,



তবুও তো বেঁচে আছি .............................

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, শ্রদ্ধেয়।
আমি অনেক ভুল করেছি এই জীবনে। অনেক বার, বহুবার। মাঝে মাঝে মনে হয়, যদি শুধরে নিতে পারতাম আমার সব ভুলগুলো, তা হলে আবার নতুন করে শুরু করতাম এই জীবন। তবুও বেঁচে আছি। সুন্দর একটা জীবনের স্বপ্ন মরে যায়নি এখনও। শেষ হয়ে যায়নি আশা। আর এই আশা নিয়েই তো আমরা মানুষরা বেচে থাকি, তাই না?
............... হ্যা, তবুও বেঁচে আছি; বেঁচে থাকতে হয় বলে।।

১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই সত্য কথা বলি, এই শহরে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে।
এই শহরের মানুষ গুলো বড্ড অমানবিক এবং হিংস্র।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ঢাকা একটি ঢাকনা দেওয়া শহর। ঢাকনাটা একটু সরালেই পঁচা-ভাসি দুর্গন্ধ। এটি হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র বস্তি নির্ভর শহর। যেখানে বস্তির ফাঁকে ফাঁকে বিশাল অট্টালিকা দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু হাঁটার রাস্তা নেই। ফুটপাত নেই, থাকলেও বেদখল। এই শহরকে ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইট হিসাবে সিলগাসলা করে জনগনের চলাচল আর বসবাস নিষিদ্ধ করা হোক।

১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই জরিপ মিথ্যা। এইসব মিথ্যাবাদী জড়িপ প্রতিষ্ঠান কি বলে না বলে তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা দেখছি রাতের ঢাকাকে প্যরিস মনে হয়, বিমানের উপড় থেকে দেখলে লস এঞ্জেলস লাগে, বর্ষায় ভেনিসের রুপ ধারন করে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হা হা হা। আপনি তো ঢাবিয়ান আইমিন ঢাকার খাস জমিদার!! আপনি কেন এই জরিপে কান দেবেন! বরং রাতের গুলিস্তানকে লাসভেগাস, সংসদ ভবনের সামনের পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন আর বলদা গার্ডেনকে রুমান্টিক প্রেমের প্যারিস মনে করেন। বুড়িগঙ্গাকে টেমস নদীর চেয়েও সুন্দর মনে করেন। ঢাকার বস্তিকে মালদ্বীপে হলিডে কটেজ মনে করেন। মতিঝিলকে সিঙ্গাপুর, কানাডা মনে করেন। এবং পরিশেষে একটি তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে এমন দৃষ্টি নন্দন নগরীতে জন্ম নেওয়ার জন্য পরওয়ার দিগারের কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন!!

১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গুরুদেব হাজিরা দিলাম।
যেহেতু ইতিপূর্বে পড়া মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
শুভকামনা জানবেন।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরুজির উপস্থিতি আমার কাছে অনেক। ইতিপূর্বে পড়ে মঙ্গল গ্রহে কমেন্টও করেছন। তবুও আবার এসে উপস্থিতি জানান দিয়েছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন।

১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

মা.হাসান বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে আপনার লেখাটি পক্ষপাত দুষ্ট। এই জরিপ গ্রহণযোগ্য নয়, বিসির রিপোর্ট মানতে পারছিনা। আপনি যে পাঁচটি ইন্ডিকেটরের কথা বলেছেন তার দিকে তাকানো যাক।
গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে একটি দলই ক্ষমতায় আছে। শেষ নির্বাচনে জনগন ভালোবেসে ৯৮% ভোট দিয়ে দলটিকে পুুনরায় ক্ষমতায় এনেছে। দলটি ২১৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে বলে আশা করি। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র আজীবন মেয়র। ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধির মধ্য থেকে উত্তরের মেয়র নির্বাচন করার রেওয়াজ চলে আসছে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ব্যাপারে কি বলব! আমি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি সেখানে প্রতি তিন বছর পর পর পে-স্কেল আপডেট করা হয়। নতুন ফিক্সেশনের পর আমার একজন সিনিয়র সহকর্মির নেট বেতন (ট্যাক্স কাটার পর) তিন বছর পরে ৩৯৬ টাকা বেড়েছে। ওনার নেট বেতন মাসে এক লক্ষ টাকার কিছু বেশি। মন্ত্রীদের বক্তব্য মতে গাড়ি ভাড়া বাড়ি ভাড়া দ্রব্যমূল্য সবকিছু স্থিতিশীল বরং কোন কোন ক্ষেত্রে কমেছে।

স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বলতে হয় ঢাকার স্বাস্থ্যসেবা অনন্য। যেই রোগীকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো সম্ভব হয় না প্রয়োজনে সিঙ্গাপুর তার কাছে চলে আসে। মাননীয় মেয়র বলেছেন ডেঙ্গুর বিষয়টি গুজব। এরপরেও যদি গুজব দ্বারা কেউ আক্রান্ত হয়ে থাকে তবে একটি ফোন করলে ডাক্তার এবং সেবকের দল বাসায় এসে সেবা দিয়ে যায়। পৃথিবীর কোন শহরে এটা সম্ভব?

সাংস্কৃতিক এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ- কয়েক দিন পর পর ঢাকায় দেখতে পাবেন বিভিন্ন দল- সংগঠনের বর্ষপূর্তি, নেতার জন্ম বিবাহ ইত্যাদি উপলক্ষে আলোকসজ্জা, মাহফিল, মাইক বাজাইয়া বক্তৃতা পরিবেশন ইত্যাদি। আর কোন কোন শহরে গুলো দেখেছেন? প্রাকৃতিক পরিবেশের কথা কি বলব- উপর থেকে ঢাকাকে দেখে সানফ্রান্সিসকো মনে হয়, হাতিরঝিলকে দেখে প্যারিস মনে হয়।
শিক্ষার মান ও সুবিধা-আমার বাসার ৩০০ গজ এর মধ্যে পাঁচটি স্কুল আছে ( একটি আমার বাড়ির দেয়াল সংলগ্ন)। বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দেড়শতর মতো । এর মধ্যে ঢাকায় শ'খানেক আছে। উচ্চ শিক্ষার ভীষণ অনুকূল পরিবেশ বর্তমান। প্রতি বছর লাখ খানেক ছেলে মেয়ে জিপিএ ৫ পায়। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যাতে ইভনিং কোর্স করতে পারে, যাতে তাদের ছাত্রত্ব আজীবন বজায় থাকে এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নুতন বিধান করে দিয়েছে। কোথায় পাবেন এমন?

অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা ও ট্রান্সপোর্ট - আমাদের আছে মেট্রোরেল যা আর মাত্র কয়েকদিন পর চালু হয়ে যাবে এরপরে আছে র‍্যাপিড ট্রান্সপোর্ট, শতশত ফ্লাইওভার। কিছুদিন আগে একজন অসুস্থ মন্ত্রীকে যখন সিঙ্গাপুরে নেয়ার জন্য শাহবাগের হাসপাতাল থেকে উত্তরায় বিমানবন্দরে নেওয়া হয় তখন ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পার হতে সময় লেগেছিল মাত্র ৬-৭ মিনিট। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর যখন ঢাকার রাস্তা দিয়ে যায় তার গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার এর কাছাকাছি। আর কোন শহরে এটা দেখেছেন?
আপনি ভিয়েনার কথা বলেছেন। ভিয়েনা শহরে গত ১০ বছরে কোন উন্নয়ন হয়েছে কিনা বলতে পারবেন? ঢাকার যেকোনো একটি ছোট রাস্তা দিয়ে হাটতে থাকুন । শুধু ঢাকা না গোটা বাংলাদেশ গত ১০ বছরে কি কি উন্নয়ন হয়েছে তার বিলবোর্ড চোখে পড়বে।
ঢাকা মহানগরীর একজন গর্বিত বাসিন্দা হিসেবে আপনার লেখার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



মা. হাসান ভাই;
যদি একাধিক লাইক দেওয়ার অপশন থাকতো তাহলে কম করে হলেও দশবার লাইক দিতাম আপনার কমেন্টে। পক্ষপাতপুষ্ট লেখাটি পড়িয়া এমন ঝাঝালো মন্তব্য করিয়া আমাকে একদম বোল্ড আউট করিয়া দিলেন! চেতনার ঠিকাদারী না পাওয়ায় আপনার মতো আমিও খুব সমস্যায় আছি। কেউ কেউ রাজাকার খেতাবও দিতেছে। সমস্যা নেই, ভাবছি কিছু টাকা খরছ করে মুক্তিযোদ্ধা সনদ কিনমু; আপনার লাগলে কইয়েন লাইন আছে। শুধু কিছু কড়ি খরছ হইবে এই আর কি?

জনগনের ভালোবাসায় ৯৮% ভোট পাইয়া চেতনার বেলুন ফুলিয়ে যে দল ক্ষমতায় গেলো তাদের সমালোচনা করা ভীষণ অন্যায়; বেয়াদবীর শামিল। এটা চরম গোনাহের কাজ। ২০৪১ সাল আসিবার আগে তাদের কাজের মূল্যায়ন করা যাবে না। তখন বাংলাদেেশ কানাডাকে ঋণ দেবে। আমেরিকানরা এসে এদেশে ফেরি করিয়া তরকারী বেঁচবে। ব্রিটিশরা এসে ফুটপাতের চায়ের দোকানদারী করবে। জাপানীরা এসে জুতা সেলাই করবে। চীনারা এসে রাস্তা ঝাড়ু দেবে। শুধু সে পর্যন্ত বেঁচে থাকতে হবে!!

স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বলতে হয় ঢাকার স্বাস্থ্যসেবা অনন্য। এটা একদম ঠিক। একজন মিনিস্টারকে সেবা দিতে সিঙ্গাপুর পুরো দেশ ঢাকায় চলে আসলো; দেবীশেঠির মতো ডাক্তার দৌড়ে এসে রোগীর সেবা দিয়ে গেলেন। এটাই হচ্ছে ক্ষমতা। টাকা আর ক্ষমতা থাকলে এগুলো কিনা যায়। তবে দেবীসেঠিদের সময় কিনতে রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে কতকোটির চেক ফসকে গেলো তার খবর অবশ্য জানি না। আর ডেঙ্গুর বিষয়টি তো আসলেই গুজব। এমন পরিচ্ছন্ন আর ফিটফাট শহরে ডেঙ্গু আসা তো অবিশ্বাস্য। মেয়র সাহেব ভূল বলেননি।

"সাংস্কৃতিক এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ- কয়েক দিন পর পর ঢাকায় দেখতে পাবেন বিভিন্ন দল- সংগঠনের বর্ষপূর্তি, নেতার জন্ম বিবাহ ইত্যাদি উপলক্ষে আলোকসজ্জা, মাহফিল, মাইক বাজাইয়া বক্তৃতা পরিবেশন ইত্যাদি। আর কোন কোন শহরে গুলো দেখেছেন?"...... আসলেই তো! এসব তো এখনই চলছে। নেতা তোষণ যেখানে রাজনীতি আর পকেটনীতির মূল সেখানে এমন সাংস্কৃতিক পরিবেশ হওয়ারই কথা।

উচা থুক্কু উচ্চ শিক্ষায় বাংলাদেশ একটি মাইল ফলক এখন! এদেশে মেট্রিক পাশ করলেই মাস্টারস ডিগ্রি পর্যন্ত অনায়াসে পাশ করা যায়। এদেশ হলো ইউনিভার্সিটির প্রজননতন্ত্র। প্রতি বছর তা পয়দা হচ্ছে তো হচ্ছেই থামানোের কোন সুযোগ নেই। এটি এদেশের অন্যতম লাভজনক ব্যবসা। তাই ব্যবসায়ীরা দলবল নিয়ে এই ব্যবসায় লাইন দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না। এটা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড।

"আমাদের আছে মেট্রোরেল যা আর মাত্র কয়েকদিন পর চালু হয়ে যাবে এরপরে আছে র‍্যাপিড ট্রান্সপোর্ট, শতশত ফ্লাইওভার। কিছুদিন আগে একজন অসুস্থ মন্ত্রীকে যখন সিঙ্গাপুরে নেয়ার জন্য শাহবাগের হাসপাতাল থেকে উত্তরায় বিমানবন্দরে নেওয়া হয় তখন ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পার হতে সময় লেগেছিল মাত্র ৬-৭ মিনিট। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর যখন ঢাকার রাস্তা দিয়ে যায় তার গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার এর কাছাকাছি।" এই মেট্রোরেল পৃথিবীতে আমরাই পরথম শুরু করেছি। ফ্লাইওভারের সেঞ্চুরিও আমরাই পরথম করছি। মাননীরা মরে গেলে দেশকে কে সিঙ্গাপুর বানাবে? তাই তাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে ২০৪১ সাল পর্যন্ত। তিনারা মরলে আমরা এতিম হইয়া যাইমু!! শুধু প্রধানমন্ত্রী কেন? রাষ্ট্রপতির গাড়ির গতি তারচেয়ে কম নাকি? তিনারা যখন কোন রাস্তাদিয়ে পদধূলি দিয়ে যাবেন তখন একঘন্টা আগে থেকে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রজারা অসহায় হয়ে তাদের মিলিটারী প্যারেড দেওয়া গাড়িগুললো দিকে চাইয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে আশীর্বাদ করতে থাকে!!

সবশেষে খাঁটি একখান কথা কইলেন। ভিয়েনা শহর গত দশ বছর কেন পঞ্চাশ বছরেও এতো উন্নয়নের পরশ পায়নি। গত দশ বছরে ঢাকায় কয়েক হাজার কোটি টাকা খরছ হয়েছে উন্নয়নের জন্য। ভিয়েনার কপালে তার সিকিভাগও পড়েনি! আপনার তেব্র পরতিবাদ এখ বাক্কে মানিয়া নিলাম। জয় হোক চেতনার। বাংলাদেশ দীর্ঘজীবি হোক।

১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০১

রাকু হাসান বলেছেন:

দিনশেষে ঢাকাকে ভালোবাসী। বিকল্প নগরী গড়ে না তুললে ঢাকার উন্নতি সম্ভব নয় । আছেন কেমন ?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ ভাই আমার।
দিনশেষে তো নিজের শহর! মন্দ হোক, তবুও স্মৃতিময়। ঢাকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলো সরিয়ে বিকল্প শহর গড়ে তুলতে হবে। গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থান করতে হবনে। এতে ঢাকামুখী মানুষের ঢল কমবে। ঢাকা কিছুটা হলেও বসবাসযোগ্য হবে। তবে অদূর ভবিষ্যতে সে সম্ভাবনা দেখছি না।

আমি মোটামুটি ভালো আছি। আশীর্বাদ করবা।

১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ঢাবিয়ান এবং মা.হাসান ভাইয়ের চৌকষ মন্তব্যে প্লাস। উত্তরগুলোতেও। পোস্টের জন্য আলাদা করে +++

ঢাকাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, বসবাসযোগ্য শহরের পর্যায়ে কল্পনা করতে হলে প্রয়োজন সমন্বিত দীর্ঘ মেয়াদি বাস্তবসম্মত মহাপরিকল্পনা। দুর্ণীতি, স্বজনপ্রীতি ও অপরাজনীতি পরিহার করে ঢাকাকে গড়ে তুলতে না পারলে পরিস্থিতি পাল্টাবে বলে মনে হচ্ছে না।

বরাবরই আমি আশাবাদি। নিরাশার অন্ধকারেও আলোর ঝলকানি আমাকে আমোদিত, আন্দোলিত করে। আমার মনে হয়, আমাদের প্রিয় শহর ঢাকাকে সকল নাগরিক সুবিধা সম্বলিত একটি আদর্শ শহরে রূপান্তরিত করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন ব্যক্তিস্বার্থ, দলীয় স্বার্থ এবং ক্ষুদ্রতার উর্ধ্বে থেকে জাতীয় স্বার্থ চিন্তা করতে পারে- এমন নি:স্বার্থ দেশ গড়ার কারিগর।

শুভকামনা প্রিয় কাওসার ভাই।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, নকিব ভাই।
ঢাবিয়ান এবং মা.হাসান ভাই রম্য করে চমৎকার দু'টি মন্তব্য করেছেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি প্রতি উত্তর সুন্দর করে দিতে। আপনি চমৎকার বলেছেন, "ঢাকাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, বসবাসযোগ্য শহরের পর্যায়ে কল্পনা করতে হলে প্রয়োজন সমন্বিত দীর্ঘ মেয়াদি বাস্তবসম্মত মহাপরিকল্পনা। দুর্ণীতি, স্বজনপ্রীতি ও অপরাজনীতি পরিহার করে ঢাকাকে গড়ে তুলতে না পারলে পরিস্থিতি পাল্টাবে বলে মনে হচ্ছে না।"....... সহমত আপনার সাথে এর কোন বিকল্প নেই।

ভালো থাকুন, প্রিয় ভাই। শুভ কামনা রইলো।

১৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: গুরু গম্ভীর কিন্তু নতুন প্রজন্মের এই ধরনের লেখা গুলো খুব প্রভাবিত করবে। ভাবতে শেখাবে । লেখকের জন্য শুভ কামনা ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপা। সীমাহীন দেশপ্রেম আর অনেক আকাঙ্খা নিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলাম। বাকি জীবনটা মা, মাটি আর মানুষের কাছাকাছি থাকতে চেয়েছিলাম। দেশ একদিন পরিবর্তন হবে, অবিচার উঠে যাবে, মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি মিলবে কিন্তু না এগুলো মিথ্যা সান্তনা ছাড়া আর কিছুই নেই। ঢাকাকে যারা বসবাস অযোগ্য করে কোটি কোটি টাকা কামাইছে তারা এখন ডুয়েল সিটিজেনশিপের মালিক। সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ।

১৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: রঙ রস মিশ্রিত পোস্ট হলেও এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংযোজিত হয়েছে। বিশেষ করে ভিয়েনা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
ঢাকা অবসবাসযোগ্য শহর বলে বিবেচিত হবার একটা বড় কারণ এর মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা। রুটি রুজির সন্ধানে সবাই গ্রাম এবং মফস্বল শহর ছেড়ে রাজধানী ঢাকার দিকে দিনে দিনে ধেয়ে আসছে। অথচ তাদের বসতির জন্য পর্যাপ্ত স্থান সংকুলান করা যায় না। ফলে তাদেরকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। অধিবাসী কমে গেলে যানবাহনও কমে যাবে, অসহনীয় যানজটও কমে যাবে। এর জন্য প্রয়োজন সরকারী দপ্তরসমূহের বিকেন্দ্রীকরণ, বিচারালয়ের বিকেন্দ্রীকরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের এলাকাভিত্তিক সুষম বন্টন।
ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় ১৩৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জেনে বিস্মিত হ'লাম। এ তথ্য আমার জানা ছিল না। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ জন নোবেল বিজয়ী বের হয়েছেন, এটাও প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।
মেয়র আনিসুল হক এর উপর ঢাকাবাসী আস্থা রেখেছিলেন। তার আধুনিক চিন্তাপ্রসূত এবং রুচিসম্মত কিছু সিদ্ধান্ত সুফলও পেতে শুরু করেছিল। কিন্তু এখন আবার মনে হয়, এ ঢাকা যেন সে ঢাকাই। সংস্কারগুলো যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা, তা দেখার যেন কেউ নেই!
দুনিয়ার বুকে আমাদের দেশের এত লো প্রোফাইল, যা চিন্তা করা যায় না। কোন দেশের ভিসা পেতে গেলে কিংবা সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে কোন নিরাপত্তা এলাকা পার হবার সময় তা হারে হাড়ে টের পাওয়া যায়।
কাদের জন্য বা কি জন্য এমনটি হলো?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এমন সুন্দর মন্তব্য সত্যি আমার পোস্টের জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ। ভিয়েনা সত্যি মুগ্ধ হওয়ার মতো একটি নগরী। এই পোস্ট লিখতে ভিয়েনা নিয়ে অনেক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেছি কতটুকু সুশৃঙ্খল আর পরিকল্পনায় নগরটি গড়ে তোলা হয়েছে। ঢাকা কখনো পরিকল্পিত ছিলো না এখনো নেই ভবিষ্যতেও হবে না। এজন্য ঢাকা কখনো বসবাসযোগ্য হবে না, এটা হলফ করে বলা যায়।

ঢাকায় নাগরিক সুবিধার বিশ গুণ বেশি মানুষের বসবাস। এটা এখন কয়েদখানা। রাজনৈতিক ও সামরিক সরকারগুলো ঢাকাকে নিয়ে কখনো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করেনি। এটা দুঃখজনক। কোন ধরণের পরিকল্পনা ছাড়া ঢাকার এরিয়া বড়ানো হয়েছে। মানুষের মধ্যে সচিতনতা না থাকায় ঢাকা এখন ডাস্টবিনের মর্যাদা পেয়েছে।

আপনি ঠিকই বলেছেন, "প্রয়োজন সরকারী দপ্তরসমূহের বিকেন্দ্রীকরণ, বিচারালয়ের বিকেন্দ্রীকরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের এলাকাভিত্তিক সুষম বন্টন।"

১৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৯

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: ঢাকা যতই বসবাসের অযোগ্য হোক, একে আর যাই হোক অপছন্দ করতে পারি না কেন জানি। তবে তার মানে এই না এর উন্নতি চাই না। নিজেদের ভালো প্রত্যেকেই চায়।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। ঢাকায় যারা থাকেন কিংবা যাদের জন্ম ঢাকায় তাদের কাছে ঢাকা যত অপরিকল্পিত আর বসবাস অযোগ্য হোক ঢাকাকে অপছন্দ করার সুযোগ নেই। এর সাথে নিজের শিকড় আর সহস্র স্মৃতি জড়িত। আপনারও তাই। আমরা চাই ঢাকা একটি পরিকল্পিত নগরী হোক, যদিও সে সম্ভাবনা নেই।

১৯| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ২:০১

রাকু হাসান বলেছেন:



আপনার নতুন কোনো পোস্ট আসছে না । অনেক দিন । অপেক্ষায় আছি। ভাই ..। হয়তো ব্যস্ত সময় পার করছেন ।

২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কৃতজ্ঞতা রইলো, প্রিয় ভাই। গত দুই সপ্তাহ থেকে তিনটি বিষয়ে লিখবো লিখবো করে আর লেখা হচ্ছে না। ব্যবসার ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় লিখতে সময় বের করা কঠিন হয়ে গেছে। তবে চেষ্টা করবো দুই-একদিনের মধ্যে অন্তত একটি বিষয়ে লিখতে। আরেকটি কথা, ব্লগ নিয়ে আপনার নতুন পোস্টটি চমৎকার হয়েছে; পড়ে চুপিচুপি একটি লাইক দিলেও কমেন্ট করা হয়নি। আপনি নিয়মিত লিখুন; ব্লগে ভালো লেখার অভাব।

ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.