নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ হতে চাই!

এখনো আক্কেল দাঁত উঠেনি, কিছুটা অপরিপক্ব...

মোর্শেদ আলম কায়ান

চিন্তা-ভাবনায় নিজেকে ফরেস্ট গাম্প মনে হয়, কিন্তু নিজেই নিজেকে এখনো বলতে পারলাম না- Run Kayan, Run https://www.facebook.com/KayanMorshed

মোর্শেদ আলম কায়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশী মন্ত্রী যখন ওঝা

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৫:০১

“ফান পোস্ট। নো সিরিয়াসনেস”

বারাক ওবামা একদিন হটাত করে পরিচয় সংকটে ভোগা শুরু করলেন। কোন এক আজব কারণে তার ব্রেইন নতুন কোন সেল তৈরি করতে পারছিল না, বরঞ্চ পুরাতন সেলগুলোও মরে যাচ্ছিল। আমেরিকান চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা তো তটস্থ হয়ে পড়লেন। হেন কোন চেষ্টা বাকি রইল না। কিন্তু কোনভাবেই এই বিপদ ঠেকানো যাচ্ছিল না। তিনি নিজ থেকে সব ভুলে যাচ্ছিলেন। ব্যাক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় অনেক সিক্রেট তিনি ভুলে গেলেন। সবাই তো চিন্তায় অস্থির। শেষ চেষ্টা হিসেবে তাকে সাইকিয়াত্রিস্ট দেখানো হল, বৈদ্যুতিক শক দেয়া হল, হিপনোসিস করা হল, আরও কত কি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সবাই ব্যর্থ।

এদিকে ওবামাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরণের রিউমার প্রচলিত হতে লাগলো। অনেকেই তার ইতিহাস নিয়ে খিচুড়ি পাকাতে শুরু করল, বিশেষ করে রিপাবলিকানরা। কোন প্রোটেস্ট হচ্ছে না, কেউ ওবামার ইতিহাস ভালো জানে না। প্রেসিডেন্ট নিজে কিছু বলতে পারছেন না। রাষ্ট্রযন্ত্র পড়ল মহা ঝামেলায়। সি.আই.এ জানত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোন এক দেশে একজন মন্ত্রী রয়েছেন যিনি অনেকেরই (বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গ) অতীত বলে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। সি.আই.এ গোপনে তাকে বারাক ওবামার কাছে নিয়ে গেল। বারাক ওবামাকে তার কাছে হ্যান্ডওভার করে তার ইতিহাস ফিল্টার করতে বলল। মন্ত্রী সাহেব তো পড়ে গেলেন মহা ঝামেলায়। উনি তো আসলে প্রধানমন্ত্রী, তার পরিবারবর্গ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তার পরিবারবর্গ – এদের অতীত নিখুঁতভাবে বলতে পারেন। আমেরিকান প্রেসিডেন্টের বেলায় তো তার জ্ঞান কাজ করছে না।

উনি উপায়ান্তর না দেখে প্রেসিডেন্টকে তার দেশের প্রধানমন্ত্রী ভাবা শুরু করলেন এবং বলতে লাগলেন-
“মিঃ প্রেসিডেন্ট, মনে করে দেখুন, আপনার রেসের অনেক আগের একজন মানুষ ক্রুসেডের সময় খ্রিষ্ট ধর্মের জন্য কি না করেছেন! আপনারা তো আসলে ধর্মপ্রচারক।”

মন্ত্রী সাহেব জানতে পারলেন প্রেসিডেন্ট ধর্মের ব্যাপারে কিছুটা উদার প্রকৃতির। তিনি কথা ঘুরিয়ে ফেললেন-
“কিন্তু আপনার রেসের একমাত্র আপনিই ধর্ম-নিরপেক্ষতার জন্য সবচেয়ে বেশি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আপনি কোন ভাবেই চাচ্ছেন না, ধর্ম সমাজে কেয়সের উৎস হোক!!!”

মন্ত্রী সাহেব যোগ করলেন-
“আমি বুঝতে পারছি না কেন নোবেল কমিটি আপনার মত ভালো মানুষদের দেখে না। তারা দেখে শুধু তৃতীয় বিশ্বের স্বার্থান্বেষী অর্থনীতিবিদদের।”

মন্ত্রী সাহেব বেমালুম ভুলে গেছিলেন যে প্রেসিডেন্ট সাহেব অলরেডি নোবেল প্রাপ্ত। তারপরেও মন্ত্রীর পারফর্মেন্সে সবাই খুশি, খোদ প্রেসিডেন্টও খুশি। কিন্তু মন্ত্রী সাহেব নিজে খুশি না, কারণ উনি জানতে পারলেন, প্রেসিডেন্ট সাহেব কিছুটা মধ্যপন্থার রাজনীতি করেন।

উনি প্রেসিডেন্টকে নিজ দেশের মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দলের সাবেক প্রধানমন্ত্রির সাথে তুলনা করতে লাগলেন এবং মনে মনে বললেন-
“প্রেসিডেন্ট সাহেব, আপনি তো আসলে সুযোগ সন্ধানী মানুষ। সুযোগ পেয়েছেন, ক্ষমতায় বসে গেছেন বিশ্বটাকে লুটেপুটে খাওয়ার জন্য, বিশ্বে জঙ্গিবাদ ছড়ানোর জন্য।”

কিন্তু তিনি তা মুখে বলতে পারলেন না। কারণ এটা তার দেশ নয়, যেখানে একটা দলের প্রধান, জনপ্রিয় একজন নেতাকে সবার সামনে অপমান করলে তার (নেতার) অ্যান্টিরা অন্ধভাবে মন্ত্রীকে সাপোর্ট দিবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.