নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোলাহল ত্যাগী

মুহাম্মাদ খাইরুল ইসলাম

মুহাম্মাদ খাইরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপনোদন-১

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১০

"স্রষ্টার অস্তিত্ব অস্বীকার করলে যেসব প্রশ্ন বা জটিলতা তৈরী
হয় তা মূর্খও বোঝে । আর স্বীকার করলে যেসব জটিলতা তৈরী
হয় তা বুঝতে উন্নত চিন্তার প্রয়োজন হয়"
_____________________________________________
অপনোদন : জানিনা আপনি এর দ্বারা কি বোঝাতে চাচ্ছেন । আমি যদি ভুল বুঝে না
থাকি হয়তো আপনি বলতে চাচ্ছেন যে স্রষ্টা নাই যারা বলেন তাদের থেকে আছে
পক্ষের লোকেরা অনুন্নত চিন্তার অধিকারী । আর নাই পক্ষের লোকেরা অপেক্ষাকৃত
উন্নত চিন্তার অধিকারী । তাহলে উন্নত চিন্তার মানুষ গুলোর চিন্তাশক্তি কি এতোই
প্রখর যে আজও পর্যন্ত তারা এর সমাধান বের করতে পারলো না । অথবা এর
সমাধান কি এতোই জটিল যে মানুষের পক্ষে তার সমাধান বের করা অসম্ভব আর
বাস্তব সত্যও এই যে মানুষের চিন্তা - বুদ্ধি আজও পর্যন্ত সেই জটিলতার মজবুত
দেয়াল ভেদ করতে পারেনি । আর কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের অর্জিত সকল জ্ঞান ও
অভিজ্ঞতা একত্রিত করেও মানুষ এর সমাধান বের করতে পারবে না । পৃথিবীর
যাবতীয় সৃষ্টি থেকে সৃষ্টি নৈপুন্য জ্ঞান বুদ্ধি বিবেচনায় মানুষ শ্রেষ্ঠ সন্দেহ নেই । তবে
তার সীমবদ্ধতা আছে । সৃষ্টিগতভাবে মানুষকে অসীম শক্তি দেয়া হয়নি আবার তাকে
এতোটা দূর্বল করা হয়নি যে সে অন্য সৃষ্টির পদানত হয়ে থাকবে । কিন্তু বিভিন্ন সময়
মানুষ তার এ দুয়ের সীমা অতিক্রম করে অভিনব পথ বেঁছে নিয়েছে কেউ জগতের
অপরাপর জীব বা জড়বস্তুর কাছে নিজের শির নত করেছে । কখনো নিজেকে
সর্বশক্তিমান প্রভূ দাবী করেছে বিশ্বজগতের প্রভূকে অস্বীকার করেছে । স্রষ্টার প্রশ্নে
মানুষকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নীতি অবলম্বন করতে দেখা গেছে । কেউ বলেছেন স্রষ্টা
বলতে কিছু নেই । কেউ বলেছেন থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে । কেউ
বলেছেন স্রষ্টা আছে তবে একজন নয় অনেক । কেউ বা বলেছেন স্রষ্টা একজন
আছেন তবে মানব জীবনের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই । এসব বিভিন্ন নীতি
অবলম্বনকারীদের কারো কাছে কোন নিশ্চিত জ্ঞান নেই । তাদের দাবীর পক্ষে
কোন অকাট্য দলীল নেই । তবে বিভিন্ন সময়ে কিছু মানুষ দাবী করেছে যে তাদের
কাছে ঈশ্বর প্রদত্ত নিশ্চিত জ্ঞান আছে । এবং তারা দাবী করেছে যে তাদের কাছে
সুষ্পষ্ট দলীল আছে । তারা তাদের দলীল পেশ করেছে । পাশাপাশি তারা
সৃষ্টিজগতের প্রতি, এর প্রত্যেকটি ক্রিয়াকর্ম ও নিয়ম শৃঙ্খলার প্রতি গভীর দৃষ্টি
নিক্ষেপের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন । মানুষের চারপাশে এমনসব নিদর্শন
ছড়িয়ে আছে যা থেকে সে স্রষ্টার অস্তিত্ব অনুভব করতে পারে । মানুষ যদি নিজের
দিকে একবার দৃষ্টি দেয় তবে সে যে স্রষ্টার সবচেয়ে বড়ো নিদর্শন তা খুব সহজেই
অনুধাবন করতে পারে । কিন্তু কিছু মানুষ এসব কিছুকে যথেষ্ঠ মনে করে নি তারা
এমন যিনিষ নিয়ে গবেষণা শুরু করল যা তাদের আয়ত্তের বাইরে । এমন কারো
সন্ধানে উন্নত চিন্তার পরিচয় দিতে গেলো যেখানে সে অক্ষম । অথচ সঠিক
পথনির্দেশের জন্য এমন সব সহজ নিদর্শনের প্রয়োজন ছিলো যা সবার জন্যে বুঝা
সহজ । সল্পোন্নোত বিবেক দিয়েও যাকে অনুভব করা যায় .. বিবেকের সঠিক রায়
এই হওয়া উচিৎ ছিলো যে এমন সুশৃঙ্খল ভাবে যে সৃষ্টিজগৎ চলছে । সে কিভাবে
নিয়ন্ত্রকহীন হতে পারে আর তার শেষ পরিনতি কেমন করে নিরুদ্দেশ হতে পারে ।
যারা এর চেয়ে উন্নত মস্তিস্কের পরিচয় দিতে চান তারা স্রষ্টার স্রষ্টা নিয়ে বা বিগব্যাং
এর আগের অবস্থা নিয়ে গবেষণা করে করে দিন পার করতে পারেন..........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.