নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মূল (ইংরেজী) : গোলাম কিবরিয়া
অনুবাদ : মুহাম্মাদ খাইরুল ইসলাম
ভাবুক মেয়ে আদরিয়া। সারাক্ষণ ভেবেই চলে। আমাদের স্রষ্টা কতো সুন্দর করে সাজিয়েছেন পৃথিবী। কতো মায়া দিয়ে সৃষ্টি করেছেন প্রাণীকূল। কত যত্ন করে বানিয়েছেন ফুল। আর তাতে কতো সমাদরে রং ঢেলে দিয়ে সাজিয়েছেন মনের মতো করে। আদরিয়া ভাবনার গভীরে তলিয়ে যায়। সে অনুভব করে, যেনো মূলের গভীরে ফুলেরা অগ্নিশিখা লুকিয়ে রাখে। আর সে শিখায় তারা জ্বলতে থাকে। ফুল প্রেমিক আদরিয়া তার বাড়িতে রং- বেরংয়ের ফুলের একটা বাগান করে। বাগানের গাছগুলোর খুব যত্ন নেয়। অবসরে সে বাগানে সময় কাটায়, ফুলগুলোর সাথে ভাব জমায়। এক রাতের কথা, যখন সে ঘুমের দেশে। এক রূপসী পরী তার কাছে এলো। চোখে তার যেনো নীল মাখানো, সোনালী চুল আর পরিচ্ছদ। পরনে সাদা ফ্রক।
- আদরিয়া! পরীটা তার নাম ধরে ডাকলো। তৎক্ষণাৎ জেগে উঠলো আদরিয়া।
- আমি তোমাকে ফুলের দেশে নিয়ে যেতে চাই, যাবে আমার সাথে? বললো পরী।
পরীর সরাসরি প্রস্তাবে ফুল প্রেমিক আদরিয়া সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলো। পরী তাকে চোখের পলকে নিয়ে হাজির করলো ফুলের দেশে। ড্যাফোডিলের উৎসব চলছে এখানে, সে লক্ষ্য করলো। উন্মাতাল করা ফুলের গন্ধ। তার চারপাশে নানা রঙয়ের ফুলের সমাহার। যেনো ওরা রাতের আকাশে মিটিমিটি তারা। তার চারপাশে জ্বলছে আর বাতাশে দোল খাচ্ছে। ফুলের রানী গোলাপ তাকে ডাকলো। গোলাপকে দেখে তার গ্রীক মাইথোলজি’র (পুরাতত্ব) কথা মনে পড়ে গেলো। সেখানে বলা হয়েছে গোলাপ ভেনাসের পায়ের রক্ত দিয়ে সৃষ্টি যে কিনা ভালোবাসার দেবী।
- তোমরা মানুষেরা! ভিষণ হিংসুটে আর দ্বান্দিক। কানে কানে বলল গোলাপ। তোমাদের মাঝে দন্দ-সংঘাত লেগেই থাকে। অথচ আমাদের দেখো, আমরা কতো সংগঠিত। আমাদের মাঝে কোন সংঘাত নেই, রক্তারক্তি নেই। তাইতো আমরা এতো সুন্দর। আর আমাদের সংষ্পর্শে এলে তোমাদের মাঝেও সে আবেশ ছড়ায়। তার কথায় শিউরে উঠলো আদরিয়া। গোলাপ বলেই চলল: তোমরা সিরিয়া ও আফগান সমস্যার কোন সমাধান করতে পারোনি, যদিও তোমরা সংখ্যায় অনেক। সেখানকার শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না। তারা ফুলের সৌন্দর্য আর মহত্ব উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত। তোমরা মানুষেরা অনবরত বিরক্তিকর কর্মকান্ড করেই চলেছো। তোমরা ফুলের বিক্ষিপ্ত চাষ চাষ করছো, তাই বাগান তৈরী করতে পারছো না। আদরিয়া ভেবে দেখলো গোলাপ সত্যিই বলছে। মানুষ আসলেই খুব খারাপ।
কথাবার্তা শেষে আদরিয়া একটি অনুষ্ঠান উপভোগ করলো। দুইটি ফুলের মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান। সে এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথী। আদরিয়া তাদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হলো। অনুষ্ঠান শেষে তারা তাকে জেসমিন ফুলের তৈরী করা পানীয় খেতে দিলো।
- এবার বিদায়ের পালা বন্ধুরা! তোমাদের কথা আমার মনে থাকবে। বলল আদরিয়া।
- আবার এসো বন্ধু! ফুলের ভূবন তোমার জন্য উন্মুক্ত থাকবে সব সময়। আল্লাহ হাফেজ।
হঠাৎ নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করলো আদরিয়া। সেই সাথে ফুলদের অনুষ্ঠানে তাকে নিষ্ফল আমন্ত্রনের রহস্য অনুসন্ধানের চেষ্টা করলো। রবীন্দ্রনাথের কথা অনুসারে- রহস্য হলো চিরন্তন তবে রহস্য যাই হোক না কেনো, আদরিয়া সকল সৃষ্ট জীবের প্রতি কোমল হৃদয় হওয়ার প্রতিজ্ঞা করলো।
[email protected]
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৪
মুহাম্মাদ খাইরুল ইসলাম বলেছেন: কৃতজ্ঞতা অশেষ
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: ভাল লেগেছে
২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০১
মুহাম্মাদ খাইরুল ইসলাম বলেছেন: শুকরিয়া
৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার।
২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬
মুহাম্মাদ খাইরুল ইসলাম বলেছেন: শুকরিয়া ভাই আমার
৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০
মুহাম্মাদ খাইরুল ইসলাম বলেছেন: এছাড়া কাল্পনিক ভালোবাসাকে তার ভালোলাগা শেয়ার করার জন্য কৃতজ্ঞতা
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর শিক্ষনীয় গল্প, ভালো লাগলো