নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীব েনর নানা রং

জীবন েযখােন েযমন

খালেদা আকতার

শুধু ম েন েরখ অা িম ো িছলাম েতা মােদর ই সা েথ।

খালেদা আকতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ভারা বাড়ি-পর্ব-০১

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭



অনেকদিন আগের কথা, টংগী হোসেন মাকেট সংলগ্ন মোক্তার বাড়ি রোডে তালুকদার ভিলা নামে আমরা একটি বাড়ি ভাড়া নেই। যতদিন ছিলাম বাড়িওয়ালার সাথে যতটা সম্ভব ম্যানেজ করেই চলছিলাম।যথারীতি নিয়ম মেন ভাড়া দেই। যখন যে সকল নিয়ম নীতি চালু করে তা মেনে চলি। তো একদিন হল কি-আমার খালাতো ভাই আসল আমার বাসায় বেড়াতে ঔ সময় আমার আমার ডায়নিং রুমের বাল্ব নষ্ট হয়ে যায়।

সচরাচর যা করা হয় বাসায় ছোট ভাইবোন থাকলে এইসব ছোটখাট কাজ করানো যায়। ও বাল্ব লাগাতে বেসিন এর উপর পা দিয়ে দাড়াতে গিয়ে বেসিন ভেঙ্গে নিচে পরে যায়।

যাই হোক বের হয়ে যায় বাড়িওয়ালার আসল রুপ, আমার বেসিন কিনে দিতে হবে।

ঠিক আছে দিব।

চিন্তায় পড়ে গেলাম কি করা যায়? শত বছরের পুরানা বেসিন এখন তো নতুন টা কিনে দিতে হবে।

ভাগ্য সুপ্রসন্ন আমার এক প্রতিবেশি দোকানদার, সিরামিক্সের দোকান।আলোচনা প্রসঙ্গে বলল ভাবী আমার দোকানে বি আইএস এফ এর ই একটা পুরাতন বেসিন আছে আপনি চাইলে ৫০% দামে নিতে পারেন।

দোকানে গিয়ে দেখলাম হুবহু বাড়িওয়ালারটার মত।

কথা না বাড়িয়ে আমি সেটা নিয়ে আসলাম।

বাড়িওয়ালাকে ডাকলাম।

বাড়িওয়ালা দেখে চক্ষু চড়কগাছ।

এটা পুরাতন আমাকে নতুন কিনে দিতে হবে।

আমি ওনার কথার কোন মানে বুঝলামনা, শেষে উনাকে বুজাবার জন্য আমার পরিচিত আরেক বাড়িওয়ালাকে নিয়ে আসলাম।

উনি যখন দেখল সবই ঠিক আছে তখন তিনি মেনে নিলেন আরকি।

যাই হোক এরপর থেকে আমার আর বাড়িওয়ালা সম্পর্ক ভাল যাচ্ছেনা। এভাবেবেশ কিছুদিন চলে যায় আমি বাসা ছেড়ে দেই। অমার চাকুরীর জন্য আমাকে বাড্ডায় বাসা নিতে হবে।

এক মাসের নোটিসে বাসা ছাড়ার তিন কি চারদিন পরে বাড়িওয়ালা আমার বাসায় আসে এবং বলে যে ভাবী আপনি তো চলে যাবেন আপনের এ মাসের ইলেকট্রিক বিলটা নেন । অনেকদিন আগের ঘটনা, আজ থেকে প্রায় ০৭ কি ০৮ বছর আগের হবে। বাড়িওয়ালা বলল ৬০০/- বিল হয়েছে আপনে নেন আপনের বিলের কপি। যদিও আগের বিল বাড়িওয়ালা বাড়ি ভাড়ার সাথেই নিত এবং যা বলত তাই দিতাম।

আমার এই সব বিলের ব্যাপারে তেমন কোন ধারনা ছিলনা। তবুও আমি বিলে কপিতে চোখ বুলিয়ে দেখলাম ওটা আগের মাসের বিলের কপি। জিজ্ঞেস করলে বলে যে এ মাসে ওরা অগ্রিম দিয়েছে। মাথা মুন্ড কিছুই বুঝলামনা। আমার স্বামী ব্যবসার জন্য অনত্র থাকে। ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম, বলল অমি আসি তার পরে দেখবো। তুমি টাকা দিওনা।

সে এসে বাড়িওয়ালাকে বলল, ভাই -আমরা ঠিক যে দিন যাব সেদিন আমাকে নিয়ে মিটার এর রিডিং দেখবেন এবং সেদিন আপনের বিল দেব।

কি আ করার, বাড়িওয়াল একরকম বাধ্য হয়েই মেনে নিল। যাওয়ার সময় মিটার এর রিডিং দেখতে গেল, আমিও পাশে ছিলাম।

বিল আসল ২৭৫/-

নিজেরই বিশ্বাস করতে কষ্ট হল মানুষ সামান্য কটা টাকার জন্য কি করে এত নিচে নামে। কোন কথা না বলে তিনি তখন টাকাটা নিয়ে গেল আর আমরা চলে আসলাম, হয়তোবা সারা জীবনের জন্য।

মনে মনে ভাবলাম একটা বাড়ি করার জন্য হয়তোবা এই টাকাটাই অনেক কিছু।



চলবে--

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: সবাই কোন না কোন ভাবে বাড়িওয়ালা নামক চামারদের কাছে হেনস্থা হয়।

আমি ২৭০/১ মধ্যপাইকপাড়াতে যখন ভাড়া ছিলাম তখনকার কথা। বাসাতে যখন উঠি তখন যথারীতি একমাসের অগ্রিম ভাড়া দেই এবং লিখিত কপি রাখি। কিন্তু সমস্যা হলো যখন বাসা ছেড়ে দেই তখন অগ্রিম টাকার কথা বলতেই ঐ চামার বলে, না কোন অগ্রিম ছিল না। আমি কথা না বাড়িয়ে লিখিত কপিটি এনে দেখালে বলে, ওটা আমি এমনি ভাড়ার কথা লিখে রেখেছিলাম। যখন বাড়িওয়ালা চামার এই কথা বলল তখন আমার কোন ভাষা ছিলনা একরকম বাকরূদ্ধ হয়ে গেলাম। কি আর করা বুঝতেই তো পারছেন ডেমারেজ দিতেই হলো।

তয় একখান কথা আল্লাহর রহমতে আমার ছোট্ট একখানা বাড়ি আছে তাতে ৬টি ছোট পরিবার আছে। তারা পুরা স্বাধীন। মোটর, ইলেকট্রিসিটি গ্যাস সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রনে। আমি কখনই তাদের কোন ভাবে কষ্ট দেওয়ার চিন্তাও করিনা।

তবে আমি কিন্তু এখনও ভাড়া বাসায় থাকি এবং পানির সমস্যায় পরি মাঝে মধ্যেই।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

খালেদা আকতার বলেছেন: লখালেখির সময়ও পাইনা আর সময় পেলেও বিষয়বস্ত খুজতে খুজতে সময় পার হয়ে যায়। যখন ভাবলাম ঢাকার শহরে বাড়ি না থাকার যন্ত্রনাগুলো আমার মত ভুক্তভোগিদের সাথে শেয়ার করি তখন মনে হল লেখা বুঝি আর ফুরাবেনা। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাদের মত লোকদের বাড়ি করার তৌফিক দান করুক। ভাল থাববেন।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: চলুক শুনতে থাকি ......।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

খালেদা আকতার বলেছেন: চলবে-- সা েথই থাকুন, ধন্যবাদ!

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দারুন ---- চলুক ----

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

খালেদা আকতার বলেছেন: চলবে-- সা েথই থাকুন, ধন্যবাদ!

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

যাযাবর বেদুঈন বলেছেন: সামনের পর্ব পড়ার জন্য খুব আগ্রহ বোধ করছি। বাড়িওয়ালা আর ভাড়াটিয়ার মধ্যকার সম্পর্কগুলো এগুলো ঘিরে অভিজ্ঞতা আমারও জীবনে কম হয়নি। অনেক ক্ষেত্রেই প্রায় মিলে যায়। আমি একবার এক বাড়িতে উঠেছিলাম। সেখানে দেয়ালে পেরেক ঠোকা নিষেধ ছিল। বাড়িওয়ালা প্রতিদিন এসে চেক করে যেত দেয়ালে তাকিয়ে কিছু করেছি কিনা। এরপর বিরক্ত হয়ে বাসা ছেড়ে দেই। স্বভাবত মানুষ ঘরে দেয়াল ঘড়ি কিংবা ক্যালেন্ডার টাঙায় কিন্তু ওই লোক কিছুতেই তা মানতে চাইত না।

যাই হোক এখন যে বাসায় আছি সেটার বারিওয়ালা আবার নেহায়েত ভদ্রলোক এবং খুবই ভাল মন মানসিকতার মানুষ। সবসময় পানি দিচ্ছেন।

আপনার লেখাটা খুব ভাল লেগেছে। সাথে থাকব ইনশাল্লাহ...

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

খালেদা আকতার বলেছেন: আশা করি আমার লেখা আগামী পর্ব আপনের সাথে কিছুটা হলেও মিলে যাবে তবে আপনার বর্তমান বাড়িওয়ালা ভালো এটা শূনে মনে হল আহা! আপনি কত ভাগ্যবান। যতদিন ভাড়া থাকেন যেন এই বাড়িতেই থাকেন। এ বাড়িটিই যেন সর্বশেষ ভারা বাড়ি হয়। কষ্ট করে পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ সকল মানুষের মধ্যে বিচার বিবেচনা এবং মানবতা জাগ্রত করুক।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার বাড়িওয়ালাতো প্রায় ফেরেস্তার কাছাকাছি লোক দেখা যাচ্ছে, বেসিন ভেঙ্গে পুরোনো বেসিন কিনে দিলেও মেনে নেয়, আবার শেয মাসের বিদ্যুৎ বিল মিটার দেখে নেয়। আপনার সেই বাড়িওয়ালার ঠিকানা বলেন কদমবুচি করে আসি :)

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

খালেদা আকতার বলেছেন: পবিবর্তী ভাড়া বাড়িতে এসে অামার তাই মনে হয়ে েছ। কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

প্রামানিক বলেছেন: দারুন কাহিনী তুরে ধরেছেন। এমন বাড়িওয়ালার পাল্লায় আমিও পড়েছি। ভাড়া দিতে দেরি হলে প্রতিদিন আমাকে গুনতে হয় ১০ টাকা জরিমানা মানে লেট ফি। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.