নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিরব জ্ঞানী

হুমমম......

নিরব জ্ঞানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ স্বপ্ন

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩

জুলাই মাসের এই সময়টা যেন শুধুমাত্র আকাশের। তুলার মত সাদা মেঘগুলো পুরো আকাশটাকে সাজিয়ে রাখে আর পথিকের মন উদাস করে দেয়। আকাশের নীলের সাথে পাল্লা দিয়ে এসময় গাছের সবুজেরা পেরে উঠেনা। ঝাঁ ঝাঁ রোদের তীব্রতায় গাছগুলো কেমন শুকিয়ে যায়। একটু পানির জন্য মুখিয়ে থাকে। এখন দূপুর, তাই পুরো গ্রাম ঘুমিয়ে আছে। এটাতো আর শহর না যে এই দূপুরেও সবাই কাজ কর্মে ব্যস্ত থাকবে। কিন্তু জহির এই অলস দূপুরটা ঠিক উপভোগ করছেনা। বুকের ভিতরটা সকাল থেকেই দুরুদুরু করছে। জহিরের বাবা ক্ষেতে যাওয়ার সময় ছেলেকে একবার ডেকেছিল। কিন্তু জহির আজ বাবার সাথে যায়নি। কারণ আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ফলাফল দিবে। তাদের গ্রামের এক বড়ভাই- সোহেল সেখানে পড়ে। সোহেল বলেছিল রেজাল্ট পেয়েই পাশের বাড়িতে মোবাইলে জানাবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া জহিরের স্বপ্ন। আর তাই জহির একটু পর পর পাশের বাড়ির নিশ্চুপ বন্ধ দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে। এই বুঝি দরজা খুলে রেশমি চিৎকার করে উঠবে- “জহির ভাই, জহির ভাই, সোহেল ভাইয়ে ফোন দিয়েছে”।

জহিরদের গ্রামের নাম রাঙ্গাডাঙ্গা। কিশোরগঞ্জ জেলার কাটিয়াদি উপজেলার একটি ছোট গ্রাম। এগ্রামের বেশিরভাগ লোকই কৃষক। জমিতে ধান ফলানো বা সবজি চাষ করাই এখানকার লোকেদের মূল পেশা। গ্রামে একটা সরকারী স্কুল আছে, কিন্তু কোন কলেজ নেই। জহির গ্রামের স্কুলেই পড়াশোনা করেছে। ওর কলেজ ছিল গুরুদয়াল কলেজ। সে বরাবরই ভাল ছাত্র ছিল। বিজ্ঞানে তার মাথা বেশ খেলে। তাই স্কুল এবং কলেজের প্রায় সকল শিক্ষক বা শিক্ষিকাই তাকে বেশ আদর করত। তাকে নিয়ে সবারই বড় আশা। মিজান স্যার তো বলেই দিয়েছেন যে জহির অবশ্যই চান্স পাবে। জহিরের খুব ইচ্ছে হয় মিজান স্যারের কথা বিশ্বাস করতে। সে মনে মনে কত কিছুইনা কল্পনা করে ফেলেছে এরই মধ্যে। সে ঢাকায় থেকে পড়াশোনা করবে। পাশ করে চাকুরী করবে। বাবা মাকে ঢাকায় নিয়ে রাখবে। খুব সুন্দর একটা মেয়েকে বিয়ে করে সংসার করবে। আরো কত কিছু!

সে যখন এসব ভাবছিল তখন রেশমির মার মোবাইলে ফোন এল। সোহেল ফোন করেছে। রেশমির মা- গুল আরার মুখে হাসি ফুটে উঠল। জহির বলে রেখেছে যে সোহেল ফোন দিলেই যেন তাকে ডাকা হয়। গুল আরা ফোন না ধরেই রেশমিকে দিয়ে মোবাইলটা পাঠিয়ে দিলেন। রেশমি এক দৌড়ে উঠোন পেরিয়ে জহিরের কাছে গেল। “হ্যালো, সোহেল ভাই। আমার রেজাল্ট কি? আমি কি চান্স পেয়েছি?”

রেশমি তার জহির ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। যদিও সে খুব ছোট, মাত্র তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। কিন্তু সে বুঝতে পারছে জহির ভাইয়ের আজকে কিছু একটা হবে, কোথায় জানি লেখাপড়া করতে যাবে। সে খুব কৌতুহল নিয়ে তাকিয়ে আছে। সে ঠিক বুঝল না ফোনে কি ভাল খবর এল নাকি খারাপ খবর!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: স্বপ্নগুলো সত্যি হোক সবার।

শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

ভালো থাকবেন।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো । শুভেচ্ছা ভ্রাতা :)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৫৩

খেলাঘর বলেছেন:


মোটামুটি

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: :!>

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভাল লাগলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.