নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিরব জ্ঞানী

হুমমম......

নিরব জ্ঞানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরুষের বাচ্চা

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১১

ক্লাস শেষ করে সবাই যখন কেন্টিনের দিকে যাচ্ছে সুমনা তখন রওনা দিয়েছে টিউশনি করাতে। ক্লাস শেষ হতে হতে দুপূর তিনটা। কলা ভবন থেকে কাটাবন রিকশা ভাড়া বেশি না, মাত্র বিশ টাকা। কিন্তু এই বিশ টাকাই সুমনার জন্য অনেক। মাসে যদি বাইশ দিন পড়ায় তাহলে সর্বমোট ৪৪০ টাকা বাঁচানো যায়। তাও প্রতিদিন যে বিশ টাকায় রিকশা যেতে রাজি হবে এমনও নয়। তাই সুমনা হেঁটেই টিউশনিতে যায়। মাঝে মাঝে ভার্সিটির বাস দিয়ে যায় কিন্তু তারজন্যে তাকে ৪৫ মিনিটের মত অপেক্ষা করতে হয়। তার চেয়ে হেঁটে যাওয়াই ভাল।
কলিংবেল টিপে সুমনা অপেক্ষা করে। ভিতর থেকে কাজের মেয়েটা চিৎকার দিয়ে বলে-‘কে?’
‘আমি সুমনা, রাতুলের টিচার’।
দরজা খুলে জুলেখা হাসি মুখে বলে-‘আহেন আপা, রাতুলরে পাঠাইতাছি’।
বসার ঘরে বসতে গিয়ে সুমনার মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। রাতুলের বাবা আজিজ সাহেব বাসাতেই আছেন। কাটাবন মোড়ে আজিজ সাহেবের দোকান। প্রায় সময়ই তিনি দুপূরে খেতে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। দোকানে ফিরে যান বিকেল বেলায়। এই সময়টা তিনি বসে বসে পত্রিকা পড়েন। সুমনাকে দেখেই তিনি হাসি দিয়ে বললেন- ‘ভাল আছেন? আপনার ছাত্রীর কি খবর? পড়াশোনা করে ঠিক মতন?’ বলার সময় আজিজ সাহেবের চোখজোড়া সুমনার সমস্ত শরীরে ঘুরে বেড়াল।
‘জ্বী, আপনি ভাল আছেন চাচা’। ‘চাচা’ বলার সময় সুমনা একটু বেশিই জোড় দেয়। একই সাথে বুকের ওড়নাটা আরেকটু ভাল করে ঠিকঠাক করে নিয়ে সবচেয়ে দূরের সোফাটায় গিয়ে বসে।
‘আছি আর কি। আমরা বুড়া মানুষ, আছিই বা আর কয়দিন। তা রাতুলকে একটু ভাল করে পড়ালেখা দেখিয়ে দিও’। এই বলে আজিজ সাহেব পত্রিকা পড়ায় মনযোগ দেন।
রাতুলকে পড়ানোর সময় সুমনা বেশ বুঝতে পারে আজিজ সাহেব এরই মাঝে বেশ কয়েকবার তাকে চোখ দিয়ে গিলে খেয়েছেন। রাগে, ঘৃনায় সুমনার মেজাজটা আরও খারাপ হয়ে যায়।


টিউশন থেকে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যে। সুমনাদের বাসা ভূতের গলিতে। সুতরাং কাটাবন থেকে আবার হাঁটা। এসময়টা সুমনার হাঁটতে ভালই লাগে। বিকেল বেলা ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা গলির রাস্তায় খেলাধুলা করে। দেখতে ভালই লাগে। সুমনাদের বাসাটা একটু ভিতরের দিকে হওয়ায় অলি গলি একটু বেশি। দূরে কয়েকটি ছেলে ফুটবল খেলছে, সেদিকে তাকিয়ে আনমনে সুমনা হাঁটছিল এমন সময় রোমেল ভাইয়ের সাথে দেখা।
‘আরে সুমনা, কেমন আছো?’
‘রোমেল ভাই, ভাল আছেন? মনিকা কেমন আছে?’
‘তোমার বান্ধবী ভাল আছে। তুমি আমাদের বাসায় আসনা অনেকদিন’। রোমেল মনিকার বড় ভাই। বুয়েট থেকে পাশ করে একটা ডেভেলপার কোম্পানীতে চাকরী করে। ভাল ছেলে হিসেবে পাড়ায় তার খুব সুনাম।
‘আসবো রোমেল ভাই, একদিন সময় করে আসবো’।
বলেই সুমনা আর কিছু না বলে সামনে এগিয়ে যায়। সুমনা ঠিক বুঝতে পারে রোমেলের চোখ জোড়া তার পিছনদিকে সেঁটে আছে। সুমনা ভেবে পায়না মানুষ এতটা মেকি হয় কি করে? মনিকাদের বাসায় সুমনা প্রায় এক বছর আগে শেষ গিয়েছিল। সেদিন মনিকাদের বাসা থেকে ফেরার পথে সিঁড়ি রুমে রোমেলের সাথে দেখা হয়ে যায়। অন্ধকার সিঁড়ি রুমে রোমেলকে দেখে তার মনে হয়েছিল ঠিক একটা হিংস্র হায়না। সুমনা কিছু বুঝে উঠার আগেই রোমেল সুমনাকে জড়িয়ে ধরে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে। ঠিক সেই সময় উপরের তলার একটি দরজা খুলে কেউ একজন নিচে নামতে থাকে। রোমেল ছেড়ে দেওয়া মাত্র সুমনা এক দৌঁড়ে বাসায় চলে আসে। তারপর সুমনা আর কোনদিন মনিকাদের বাসায় যায়নি। অথচ আজকে রোমেলকে দেখে মনে হয় এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি।


রোজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অভি পড়তে আসে সুমনার কাছে। বাড়িওয়ালার নাতি। সেই ক্লাস সিক্স থেকেই সুমনা তাকে পড়ায়। এই বছর ক্লাস এইট-এ। চোখ বন্ধ করে জেএসসি তে এ+ পাবে।
কিন্তু ইদানিং পড়ানোর সময় অভির চোখে একটা চোর চোর ভাব দেখা যায়। সুমনা খুব মনোযোগ দিয়ে জ্যামিতির একটা উপপাদ্যের ছবি আঁকছিল খাতায়। অভিকে বুঝিয়ে দিবে। হঠ্যাৎ তার কেমন যেন অস্বস্তি হয়। অভির দিকে চাইতেই দেখে চোরা চোখে সে সুমনার বুকের দিয়ে তাকিয়ে আছে। সুমনার মনটা খারাপ হয়ে যায়। চোখের সামনে আরেকটা মানুষের বাচ্চা ‘পুরুষের বাচ্চা’য় পরিনত হতে যাচ্ছে।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: পুরুষের বাচ্চা’য় পরিনত হতে যাচ্ছে। :(

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২০

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: :(

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৭

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: সুন্দর হয়েছে ভাই । পুরুষের বাচ্চা.....

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২০

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

কাক ??? বলেছেন: পুরুষের বাচ্চা..... :P :P B:-/

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২০

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: X(( X(

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

মোঃ-আনারুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগল পড়ে। +++++

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২১

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: আপনার মন্তব্যে +++++

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

লিও কোড়াইয়া বলেছেন:

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২১

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: :)

৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পড়লাম। লাইক দিলাম। খুব সুন্দর গল্পও বললাম। আজকাল পুরুষ বা ছেলে জাতিকে খাটো করে গল্প লিখলে মানুষের ভালই আকর্ষণ পাওয়া যায়। ধরে রাখুন এটা!

আমি কিন্তু খারাপ কিছু বলিনি।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩৩

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: মানুষের আকর্ষণ পাওয়ার জন্য এর চেয়েও ভাল আরো অনেক বিষয়ই আছে ভাইয়া। ;)

আমার যা ইচ্ছে হয় লিখি। নিজের আনন্দের জন্যেই লিখি। :)

(তবে নারী বা পুরুষজাতির বিরুদ্ধে কিছু লিখলে সব ধরণের মানুষই আকৃষ্ট হয়। তাই বলে যে আমি সব সময় এই বিষয় নিয়েই লিখব এটা ঠিক নয়।)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: পড়লাম।ভালো লেগেছে।তবে গল্পের চরিত্রের মতো সবাই একই আচরন করে এরকমটা ভাবা একদমই উচিত না।যদিও অধিকাংশ এমন ভেবে অন্যকে দোষ দিতে প্রস্তুত থাকে :)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া। সবাই এরকম হলে মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধা এগুলো থকতো না।

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

টিঙ্কু জিয়া বলেছেন: যা বলেছেন কঠিন সত্য বলেছেন। "পুরুষের বাচ্চা" কথাটা মন্দ বলেননি !! :)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: সব পুরুষের ভেতরই শয়তান থাকে। ছোট শয়তান, মাঝারি শয়তান,বড় শয়তান। চেহারা দেখে কিছু বোঝার উপায় নেই। যে যত বড় শয়তান তার চেহারা ততটাই ভাজা মাছ উল্টে খেতে পারি না টাইপ! —হুমায়ূন আহমেদ

সুতরাং আমিও শয়তান, আপনিও ...।
নিজের ভিতরের শয়তানটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই আমরা 'পুরুষের বাচ্চা' থেকে মানুষের বাচ্চা হতে পারি।

৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
এরকম অবস্থায় ওদের সবসময়ই পরতে হয়।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: আসলে একজন মেয়েকে আমাদের দেশে কিরকম পরিস্থিতিতে থাকতে তাই অনুবভ করতে চেষ্টা করছিলাম।

১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হুমমমম। অবাস্তব নয়। পরিবেশটাই এমন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে বা বাড়ছে তা কী ভেবে দেখেছেন? আজকে যদি সবাই ছোট বেলা থেকেই ধর্মীয় অনুশাসনে থাকতো, ‍আশে পাশের পরিবেশ যদি সারা বছর রমজান মাসের মত থাকতো তাহলে কি এসব হতো? ইন্টারনেট সাইটগুলো যদি নিয়ন্ত্রণ করা হতো, তাহলে কি স্কুলের ছেলে মেয়েরা প্রিম্যাচিউরড বিষয়গুলো জানতো?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: আমরা আমাদের পরিবার থেকে শুরু করতে পারি। একটি বাচ্চাকে শেখাতে হবে মানুষকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেখানো উচিৎ। প্রতিটি পরিবার নিয়ে, পরিবারিক পরিবেশটা নিয়েই একটি সামাজিক পরিবেশ তৈরি হয়।

আর ভাল মন্দের পার্থক্য শেখালে ইন্টারনেট থেকে, আশপাশের পরিবেশ থেকে ভালটুকুই সে গ্রহণ করতে পারবে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: আমার ভেতরেও একটা পুরুষের বাচ্চা আছে । তবে আমার বিভেক, শিক্ষা, পারিবারিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সেই পুরুষের বাচ্চাকে মানুষ হতে তাড়িয়ে বেড়ায় সব সময় । শুধু পুরুষকে দোষ না দিয়ে নিজেকে নিরাপদ দুরত্বে গুছিয়ে রাখাটাও জরুরী ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১৫

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ভাইয়া।

১২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

চন্দ্রপ্রেমিক বলেছেন: আমার মাঝে দেবতা , আছে নতর্কীও। তবে আমি না দেবতা না নতর্কী। ধন্যবাদ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১৫

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরি মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর!
রিপুর তাড়নে যখনই মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক-অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পূণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরষ্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।

১৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০

সারোয়ার ইবনে গিয়াস বলেছেন: বাচ্চাতো পুরুষেরই হয়। পুরুষ আজন্ম দাবীদার আর জামিনদারোও। মানুষের জন্ম দেয় শুধু মনুষ্যত্ব!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১৬

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: মানুষের জন্ম দেয় শুধু মনুষ্যত্ব! :)

১৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০১

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার করে লিখেছেন!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১৭

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। কেমন আছেন আপনি?

১৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

রানার ব্লগ বলেছেন: বুঝলাম এমোন অকাতরে পুরুষের ইজ্জত পানি তে ভাসিয়ে দিলেন??!!!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১৭

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: :P

১৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: পড়ে মনে হইল সুমনা খুব এ্যট্রাক্টিভ!! রোমেল পার্ভার্ট অথবা স্টুপিড , যে কোন সিগনাল ছাড়াই একটা ম্যাসেজ ভুল প্রোসেস করেছে (iq good but sq very bad) অনেক সো কল্ড পড়ুয়াদের এ রকম হতে পারে। অভি আর আজিজ সাহেব নর্মাল মনে হইল। হইতে পারে সুমনা অভির জীবনের প্রথম ইনফ্যাকচুয়েসন, যা সে প্রকৃত প্রেমে পড়ার আগে পর্যন্ত জীবনের প্রথম প্রেম ভাববে। হতে পারে আজিজ সাহেব সুমনাকে নিজের স্ত্রীর সাথে তুলনা করে অনেক যোগ বিয়গের পরে হয়ত তার স্ত্রীই বেশিরভাগ সময় জিতে যায়, নইলে সমাজ টিকত না। হতে পারে সুমনা বেশিরভাগ সময়ই নিজের বাবাকে মায়ের সাথে ভালো ব্যাবহার করতে দেখে নাই কিন্তু কোন দিন কাউওকে বলতেও পারে নাই। হতে পারে পুরো গল্পটাই সুমনার ফ্যান্টাসি এবং she seeks attention but not attractive enough.

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২০

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: আপনার কল্পনা শক্তির প্রশংসা করতেই হয়।

আমি তো এতো কিছু হিসাব নকাশ করিই নাই।

কিন্তু অভির ব্যাপারটা আমি মেনে নিতে পারি। এই বয়স আমিও পার করেছি, কিন্তু আজিজ সাহেবের ব্যাপারটাতে আমি একমত নই। এটা 'স্বাভাবিক' হতে পারে না। :|

১৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন !!

১৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সব কিছু মিলিয়ে ভাল লেগেছে।

কেন এমন হয় বেশির ভাগ পুরুষের বাচ্চা :(

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২১

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

১৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

ইলুসন বলেছেন: বাস্তব অনেক কিছুই উঠে এসেছে। আমিও এক সময় এমন করতাম, গাধার মত হা করে তাকায় থাকতাম। এখন বড় হয়ে বুঝতে শিখছি, এখন আর এমন করি না। হঠাত টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে কিশোর বয়সে এমন হয়, পরে আস্তে আস্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে যায়। একবার নানু বাসায় যাব রাস্তা পার হচ্ছিলাম তখন দেখলাম দোকানের সামনে এক বড় আপু শাড়ি পরে দাঁড়ায় আছে, কিশোর বয়সে আমার মনে হচ্ছিল এত সুন্দর মেয়ে আমি জীবনে দেখিনি! আমি মনে হয় একটু বেশি সময় তাকায় ছিলাম, আপু বুঝতে পেরে ভ্রু উঁচু করল, আর একটা হাসি দিয়ে লজ্জায় ভাগলাম। এখন ভাবতে খারাপ লাগে, এসব কারণে আমাদের বড় আপুদের অনেক কষ্ট হত একা চলাফেরা করতে। সমস্যা হচ্ছে বুইড়া ধামড়া মানুষও যদি নিজের চোখ নিয়ন্ত্রণ করতে না শিখে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২১

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে বুইড়া ধামড়া মানুষও যদি নিজের চোখ নিয়ন্ত্রণ করতে না শিখে।-একমত

২০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: *পুরুষের শুধু পুরুষ বাচ্চা-ই হয় না নারী বাচ্চাও হয়, তারাও কিন্তু কম যায় না......যেমন ঘুড়ি যেমন বাতাস-তেমনভাবেই উড়ে ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২৬

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ভাল খারাপ মিলিয়েই আমরা সবাই।

কিন্তু আপনি যদি অনুপাত বা শতাংশ হিসাব করেন তাহলে বাস্তবতাটুকু বোঝা যায়।

২১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

হোয়াইট টাইগার বলেছেন: নারী পুরুষ একে অপরের দিকে তাকাবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু মাপজোক যখন ই শুরু হবে তখন সেটা অস্বাভাবিক ।আর আমাদের সমাজে অস্বাভাবিক লোকের সংখ্যাই বেশি ।এমন কি নিজের স্বামীও অস্বাভাবিক আচরন করে থাকে ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২৮

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। :)

২২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গালিটা বিব্রতকর! পুরুষ মানেই কিন্তু... না! গল্পটা অবাস্তব নয় ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩০

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। একই শব্দ কিন্তু গালি এবং প্রশংসা দুটোই হতে পারে।

একটা মেয়ের আমার কারণে বিব্রত হয়ে যদি পুরুষের বাচ্চা বলে সেটা গালি আবার আমি যদি মেয়েটাকে কোন 'বিপদ' থেকে বাঁচাই তাহলেও সে বলবে আমি পুরুষের বাচ্চা। B-)

২৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

মোঃহাদী বলেছেন: ধর্ষন আমার অধিকার , ঈমানদন্ড ঠিক থাকলে অবশ্যই ধর্ষনের ভূমিকায় অবতীর্ন হব আমি । যে যোনি নিয়ে জন্মিছে সে অবশ্যই ধর্ষনের পাত্রী , এর জন্য সব সময় তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে *(ধার্মিক)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩২

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: /:)

মাথার উপর দিয়ে গেল।

২৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২১

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: ভালো লেগেছে। বর্তমান সমাজে এমনটা অহরহ ঘটছে নারীদের সাথে। তবে সমাজে যেমন খারাপ মানুষ আছে। তেমনি ভালো মানুষ ও আছে। যারা নারীদের সম্মান দিতে জানে। তথাকথিত পুরুষের মতো লোলুপ দৃষ্টিতে তাকায় না।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩২

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া।

২৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৪

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।পুরুষদের হাজারো ভালো গুন থাকলেও এই কামপ্রবত্তির জন্য তা ছাই হতে সময় লাগে না ।তাই একজন মানুষ হইতে চাইলে কাম কে নিয়ন্ত্রন করতে হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.