নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বকবক আমার স্বভাব।\n

কবঠ

মোস্তাক খসরু

শয়তানের সংখ্যা তিন ছয় বাইবেলে আছে।

মোস্তাক খসরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর কোন বির্তক চাই না।।

০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৫


যারf জয়বাংলা বলতে বলতে জীবন উৎসর্গ করলো এই দেশের জন্য সেই জয়ধ্বনি দিতে যারা অপমানিত বোধ করে, ত্রিশ লক্ষ শহিদ এর সংখ্যা নিয়ে যারা বির্তক করে ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদান অস্বীকার করে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা দয়া করে আপনাদের পুত পবিত্র পাকিস্তানে চলে যান। আমরা শেখ হাসিনার নেত্রিত্বে সুখিসমৃদ্ধশালী একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

১৯৭১ সাল। মুক্তিযুদ্ধের নয়টি মাস। যারা স্বচোক্ষে দেখে আজো বেচে আছে তারাই শুধু বলতে পারে সেই যুদ্ধে পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকারের হিংস্রতা আর ভয়বহতা। আমার বয়স তখন চোদ্ধ। আজো যে বেচে আছি, তাকে ঠিক বেচে থাকা বলে না। প্রতিবন্দি মানুষের আবার বেচে থাকা। ফুলে ফুলে উঠা লাশের বোটকা গন্ধ আজও নাকে এসে ধাক্কা দিয়ে যায়। আমরা বেশীর ভাগই এখন মানসিক প্রতিবন্দি। ব্রাম্মনবাড়ীয়ার আশুগঞ্জ থানার অন্তরগত সোহাগপুর গ্রামে ১৯৭১ এর ডিসেম্বরের প্রখম দিকে যে রক্তক্ষয়ি যুদ্ধটি সংগঠিত হয়েছিল। সেটা আজ বলবো। ডিসেম্বরের এক দুই তারিখেই পাকিস্তানিরা বুঝতে পেরেছিল ওদের হাতে সময় খুব কম তাই পিছু হটতে থাকে।ধ্বংশ করতে থাকে দেশের প্রধান প্রধান যোগাযোগ ব্যাবস্থা গুলি। মুক্তিযোদ্ধারাও ভারতীর সৈনদের সহায়তায় বিনা বাধায় আশুগঞ্জের সোগাগপুর পর্যন্ত চলে এসে পাকিস্তানীদের এম্বুশের মধ্যে ধরা পরে। সেদিনের সেই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তানিদের মধ্যে যে রক্তক্ষয়ি যুদ্ধটি সংগঠিত হয়েছিল সেখানে কমকরে ধরলেও বারশত ভারতীয় সৈন্য প্রান হারায়েছিল সাথে কিছু সংক্ষক মুক্তিযোদ্ধা। আল্লার কশম করে বলছি পাকিস্তানিরা মানুষ সয় ওরা পশুর চাইতেও অধম আর শিয়ালের চাইতে দ্রুত আর শয়তানের মতো লোভি। এর পর থেকে ধর্মের প্রতি আমার কোন টান বা ভক্তি অনুভব করি না। আল্লার কশম বললাম সেটা র্দীঘ সময়ের অভ্যাসের ফল। পাকি প্রেমী, বিএনপি ও জামাতকে দেখলে এখনো মনে হয় পাকিস্তানেই বসবাস করছি। আমি মানুষ হয়ে মরতে চাই, মুসলমান হয়ে নয়। আমার লাশ যেন দাফন করা না হয় মানুষের উন্নয়নে ব্যাবহার করা হয়। বাঙ্গালী হয়ে মরতে চাই বাংলাদেশী হয়ে নয়। আমি শুধু এইটুকুই বুঝি আমি ভাল কাজ করলে আখেরে আমার ভালোই হবে।

মনে প্রানে ভারতের উন্নতি চাই। প্রতি বছর মন থেকে ওদের জন্য প্রার্থনা করি ওরা যেন ভাল থাকে। ভারতীয় এক শিখ সৈনিককে ৭১রে আশুগঞ্জ বাজারে বলতে শুনেছিলাম পতাকাটা শক্ত করে ধর হেলা ফেরা করে ধরো না, তারপর এগিয়ে যাও এই পতাকার জন্যে আমরাও রক্ত দিয়েছি। সেদিন সেই সৈন্যটির দিকে অশ্রুসজল চোখে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলাম। এই যুদ্ধটার কথা উল্লেখ করলাম এই কারনে যে, এই গোলাম রাজাকারটার জন্মস্থান ঐ যুদ্ধক্ষেত্রের ছয় সাত মাইলের মধ্যেই হবে। গোলাম আযমের জিন তাই বলবে যা গোলাম আযম চাইত। জামাত, বিএনপি ও পাকি প্রেমী পাকিস্তানিদের মুখে থু থু দিন আর ঘেন্না করুন আর আপনার সন্তনদের এই শিক্ষাটাই দিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.